অছিন পাখি changed his profile cover
6 yrs

image
অছিন পাখি changed his profile picture
6 yrs

image

গল্প:-- "হেডমাষ্টারের princes"
.
লেখক:- #RJ_Nayem_Ahmed
.
পর্ব:--০২~~~♥
.
.
আমি: ইয়ে মানে আপনি তো বল্লেন যে আপনি নাকি আমাকে খেলা দেখাবেন তাই লজ্জা করছে আসলে এই প্রথম মেয়ে সামনে খেলা দেখাবে |
মেয়ে: ওরে কচি খোকা আসো তোমাকে খেলা দেখাচ্ছি |
আমি: সত্যি আগে কথা থেকে শুরু করবেন ?
মেয়ে: আচ্ছা বাবু মাথাটা নিচু করো |
অতঃপর তাদের কথা মতো মাথা নিচু করলাম ভাবলাম এটা নতুন রুল যে মাথা নিচু করলাম সেই দুম দাম পিঠের উপর ঘুশি আর থাপ্পর শুরু তখন সে বল্লো----->
মেয়ে: কেমন খেলা দেখলা ?
আমি: এই প্রথম মেয়েরা মাইর দিলো আহারে কত যে মজা |
মেয়ে: কি বল্লি ?এই দোষ্ট চল আবার দেই ওরে দলাই |
আমি: এই না না প্লিজ আমাকে ছেরে দিন আমি এখানে নতুন তার উপর আমি নিষ্পাপ একটা শিশু প্লিজ ছেরে দিন |
মেয়ে: ওরে আমার শিশু তখন মনে ছিলো না এটা ?
আমি: আসলে তখন বুঝতে পারি নি যে আপনারা গুন্ডা থুক্কু গুন্ডি|
মেয়ে: হ্যা আমরা গুন্ডির দল কিন্তু তোকে তো ছারবো না তুই কার সাথে বেয়াদবি করছিস |
আমি: আচ্ছা এখন কি আপনার পা ধরতে হবে আচ্ছা ধরছি ?
মেয়ে: এই কি করছিস ছার বলছি ?
আমি: কেনো আমি তো অপরাধ করেছি তার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি |
মেয়ে: হইছে থাক আর অপরাধী সাজতে হবে না কখন না আবার অপরাধী গান শুরু করে দিবি |
আমি: ওহ ঠিক বলছেন খারান বলতেছি------> ও গুন্ডি ও গুন্ডি রে তুই অপরাধীরে আমার মতো নিষ্পাপ শিশুকে দে ছাইরা দে|
অতঃপর গান তারা শুনার পর সবাই হাসছে আর সে দেখি রাগে ফুলতেছি তখন আমি বল্লাম---->
আমি: আচ্ছা গানটা কি খারাপ হয়েছে আচ্ছা নতুন একটা বলবো?
মেয়ে: হারামজাদা তোর গানের গুষ্টি কিলাই তোকে আজকেই মেরেই ফেলবো তুই আমাকে চিনিস না |
আমি: এই প্লিজ এভাবে থ্রেড দিবেন না আর না হলে আমি আবার হিশু মানে প্যান্টে মুতে দেই |
কথাটা শুনার পর সে ও তার ফ্রেন্ডরা সবাই হাসতেছে অতঃপর সে বল্লো----->
মেয়ে: হাহাহা তোর কথা শুনে আমার এখনো পেটে ব্যাথা করছে তুই দেখি অনেক ভিতু |
আমি: হ্যা আমি অনেক ভিতু আবার মাজে মাজে অনেক রাগি তাই তখন রাগে কথাগুলো বলছি |
মেয়ে: আর এখন সেই রাগ কথায় ?
আমি: ঐযে বল্লাম খুব ভিতু |
মেয়ে: শালার আগে জানতাম পরুষ রা নাকি বীর পরুষ হয় আর তুই দেখি ভিতুর ডিম |
আমি: কি করবো বলেন আপনাদের মতো ইয়া বড় হাতি যদি আক্রমন চালান তাহলে আমি শেষ |
মেয়ে: কি আমরা হাতি দোষ্ট আমাদের হাতি বলছে এই মালটাকে আবার দলাই দিতে হবে |
তার এক বান্ধুবি বল্লো------>
বান্ধুবি: হ রে দোষ্ট মালটা সেই চালাক এইটাকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না |
আমি: এই আপনারা এত মাল মাল করছেন কেনো আমি একজন সাধারন নিষ্পাপ মানুষ প্লিজ আমাকে যেতে দিন দেরি হলে আবার আমার ভাইয়া আক্রমন চালাবে |
মেয়ে: হাহাহা এত বড় দামরা ছেলে এখনো মাইর খায় |
আমি: আচ্ছা বায় কাল দেখা হবে টাটা |
যেই যেতে লাগলাম সেই আমার কলারটা টান দিলো আর বল্লো---->
মেয়ে: এই হারামজাদা কথায় যাস তোর তো এখনো সাস্তিই হয়নি|
আমি: হায়রে আমার কপাল এ আমি কার কপালে পরলাম |
মেয়ে: এখনো তো কিছুই করি নি যখন কলেজ থেকে বের করে দিবো তখন বুজবি যানিস আমার আব্বু পুরা স্কুল আর কলেজ দেখা শুনা করে |
আমি: ওহ তার মানে আপনার আব্বু আমাদের নাইট র্গাড না দারোয়ান আচ্ছা রাতে দেখাশুনা করে নাকি দিনে ?
মেয়ে: হারামজাদা তুই কি বল্লি আমার আব্বু নাইট র্গাড আর কি দারোয়ান তোকে তো মেরেই ফলবো ঐ দোষ্ট তোরা রট টা নিয়ে আয় |
আমি: এই না না প্লিজ ছেরে দিন আমি মরে যাবো আর আপনারা কি মানুষ একটা নিষ্পাপ শিশুকে রট দিয়ে পিটাবেন |
মেয়ে: রাখ তোর শিশু এর আগে কত পিটাইছি কিন্তু আজকে তোকে সত্যি সত্যি মেরে ফেলবো লাগলে জেলে যাবো তুই আমার আব্বুকে কি বল্লি ?
আমি: এই না আমাকে মারবেন না আর আমি চাই না আপনার মতো সুন্দর একটা মেয়ে জেলে যাক |
মেয়ে: পাম মারিস আমাকে কিছু বুজি না ?
আমি: আচ্ছা আপনি বলুন আপনি বল্লেন যে আপনার আব্বু স্কুল ও কলেজ দেখা শুনা করে তাই আমি ভাবলাম যে নাইট র্গাড বা দারোয়ান ও হতে পারে তাই না বলুন ?
মেয়ে: দেখ তোর কথা শুনে কিন্তু আমার শরিরে রাগের আগুন জলতেছি |
আমি: আচ্ছা তাহলে ঠান্ডা পানি নিয়ে আসি |
মেয়ে: উফফ তোকে কালকেই কলেজ থেকে বের করে দিবো |
আমি: কেনো আপনি কি আমাদের কলেজের প্রিন্সিপাল ?
মেয়ে: হায়রে হারামজাদা আমি না আমার আব্বু আর আব্বু শুনতে পারলে যে কি করবে ?
আমি: ও আচ্ছা তাহলে আপনি কি হেড মাষ্টারের মেয়ে ?
মেয়ে: এই আমি হেড মাষ্টারের মেয়ে হতে যাবো কেনো ?
আপনারা বুঝলেন নাতো আসলে তার আব্বু স্কুলের হেড স্যার আর কলেজের প্রিন্সিপাল পরুটা তার দায়িত্বে তাই তাকে রাগানোর জন্য বল্লাম তাই এটা হেড মাষ্টারের শয়তান মেয়ে এখন গল্পে আসি------>
আমি: আপনি তো বল্লেন যে আপনার আব্বু স্কুল আর কলেজ দেখা শুনা করে তাই তো বল্লাম হেড মাষ্টার |
মেয়ে: আরে হারামজাদা আমার আব্বু প্রিন্সিপাল |
আমি: ঐ একি হলো |
মেয়ে: অনেক বক বক করছিস এখন তোর মাইরের পালা আর কাল কলেজ থেকে বিদায় দিবো |
একটু আবেগ দেখিয়ে বল্লাম----->
আমি: আজ আমি গরিব বলে কোনো রকম কলেজে র্ভতি হইছি অনেক কষ্ট পরাশুনা করি কি আর করার অন্য কলেজে দেখি আবার র্ভতি হতে পারি কিনা[ চাপা ]
মেয়ে: আহারে আমি বুজতে পারি নি আচ্ছা সরি |
যাক চাপাটা কাজে লাগলো পরে আমি বল্লাম----- ♥
.
.
"To be Continue"

গল্প:-- "হেডমাষ্টারের Princes"
.
লেখক:- #RJ_Nayem_Ahmed
.
_____পর্ব:- ০১~~~~♥
.
.
.
এস এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা কলেজে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন কলেজ টা কাছে তাই |
তো আজ প্রথম কলেজে গেলাম ক্লাসে ডুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফালিয়ে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দিখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক পরি দূর এই সব চিন্তা করে লাব নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে----->
মেয়ে: এই বেটা চোখে দেখিস না ?
আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম---->
আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফালিয়ে দিছেন ?
মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফালিয়ে দিছি ?
আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না |
দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো---->
মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ?
আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো?
মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ?
আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্তির মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা বলতে হবে আর হলেই বা কি আমার তাতে যায় আসে না |
তো এরকম জোগরা করতে করতে দেখি স্যার এসে পরলো আর বল্লো---->
স্যার: এই ছেলে তুমি ওকে চিনো ?
আমি: দেখুন না স্যার আজ আমি নতুন ক্লাসে আসলাম আর তখন এই মেয়েটা লেং মেরে ফেলে দিছে |
স্যার: চুপ বেয়াদব মেয়েদের সাথে জোগরা করো যাও ক্লাসে |
এটা কি হলো দোষ করলো মেয়েটা আর দোষ হলো আমার দূর তখন দেখি স্যার মেয়েটাকে বলতেছে----->
স্যার: যাও মা ক্লাসে যাও |
মেয়ে: ধন্যবাদ স্যার |
দেখি মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে দূর আজ প্রথম দিন এসেই এই অবস্থা কি যানি বাকি দিন কি হয় |
[তো ক্লাসে যাওয়ার আগে আমার পরিচয়টা দিয়ে দেই আর না হলে পরে আবার আমাকে ভুলে যাবেন যাইহোক আমি জাহিদ বাবা মার তিন নম্বর সন্তান খুব দুষ্টু আর খুব ভিতু এবার ইন্টার ফাষ্ট ইয়ারে ভর্তি হলাম আর এতখুন যার সাথে জোগরা হলো একটা গুন্ডি মেয়ে চিনি না এইরে আপনাদের পরিচয় দিতে গিয়ে আমার ক্লাস শুরু হয়ে গেলো ]
তো আজ প্রথম দিন ক্লাস করলাম কিছু নতুন নতুন ফ্রেন্ড ও হলো তো নতুন এক বন্ধু বল্লো---->
বন্ধু: কিরে তুই কি ঐ মেয়ে টাকে চিনিস?
আমি: কেনো মেয়েটা কি কোনো রাজার মেয়ে নাকি যে চিনবো ?
বন্ধু: আরে শালা জানিস ঐটা কার মেয়ে ?
আমি: কার মেয়ে ?
বন্ধু: ঐটা হেড স্যারের মেয়ে এর আগে ঐ মেয়ের জন্য অনেক ছেলে কলেজ থেকে পালাইছে আর অনেক ছেলেকে টিসি ও দিছে|
আমি: দোষ্ট তুই এই কথা আগে বলিস নি কেনো এখন আমার কি হবে তখন তো মেয়েটাকে অনেক কিছু বলে ফেলছি |
বন্ধু: জানি না দোষ্ট যা হবার উপর আল্লাহ জানে |
অতঃপর খুব চিন্তায় পরলাম নতুন কলেজে ভর্তি হলাম এখন যদি বের হয়ে যেতে হয় তাহলে তো ভাইয়ার হাতে মার খেতে হবে তার উপর মেয়েটা নাকি আমার এক ইয়ারের বড় দূর এই চিন্তা করতে করতে কখন যে ছুটি হলো |
তো বাসায় যাচ্ছি দেখি কে যানো ডাকছে---->
মেয়ে: এই হারামজাদা এদিকে আয় |
তখন পিছনে ঘুরতেই দেখি সেই হ্যাড মাষ্টারের গুন্ডি মেয়ে তাও একটা সাথে লেডি গেং তো আমি ভয়ে বল্লাম---->
আমি: জী আমাকে ডাকছেন ?
মেয়ে: ঐ দোষ্ট মালটা নতুন কি করা যায় ?
আমি শুনে হাত পা কাপা শুরু করতেছে তার উপর লেডি গেং তখন আমি ভয়ে বল্লাম---->
আমি: প্লিজ আমাকে ছেরে দিন আমি তখন যা করেছি তার জন্য সরি |
মেয়ে: না না তোকে তো ছারা যাবে না আজ পর্যন্ত কেও ঐরকম ভাবে কথা বলার সাহস হয়নি আর তুই খারা আজ তোকে খেলা দেখাবো |
আমি: ছি ছি কি বলছেন আমি মেয়েদের খেলা দেখতে লজ্জা পাই|
মেয়ে: ওরে হারামি কি বল্লি....!!!!
.
.
-----""To be Continue""------

গল্প :- অবৈধ ~~~♥
.
লেখক:- #RJ_Nayem_Ahmed
.
পর্ব:-০৮~~[শেষ পর্ব]
.
.
.
তনয়ার বাবা এতোক্ষন চুপ ছিলো কিন্তু এখন আর চুপ থাকতে পারলো না। তিনি বললেন,,,,,,
তনয়ার বাবা: ও তোর নিজের মা না।
কথাটা শুনে সবাই অনেক অবাক হলো।
তনয়া: কি???(অনেক অবাক হয়ে)
তনয়ার বাবা: হ্যা রে মা। তোর জম্মের পর তোর মা মারা যায়। আর তারপর আমি ওকে বিয়ে করি।
আমি তোকে তোর মায়ের কথা জানাই নি কারণ আমি চাই নি তুই ওকে সৎ মা ভাবিস। আমাকে ক্ষমা করে দে মা।
তনয়া: না বাবা তুমি কোনো ভুল করো নি। কিন্তু মা আমি তো তোমাকে ছোট বেলা থেকে মা জেনেছি
মেনেছি তোমার ভালোবাসা পেয়েছি। কিন্তু কি এমন হলো যে তুমি আমার সাথে এমনটা করলে???
তনয়ার মা: কারণ আমি তোকে ঘৃণা করি প্রচন্ড ঘৃণা।
তনয়া: কেন মা?? আমি কি এমন করেছি যে তুমি আমায় ঘৃণা করো???
তনয়ার মা: আমাকে একদম মা বলবি না। তোর কারণে আমি আজ মা হওয়ার সুখ থেকে বচ্ঞিত।
তনয়া: কি বলছো এসব মা?? আমি কি করেছি???
তনয়ার মা: বিয়ের পর তোকে আমি নিজের মেয়ের মতোই দেখতাম। কিন্তু তোর যখন তিন বছর বয়স তখন আমি পাচ মাসের প্রগনেন্ট। তখন তুই খেলতে গিয়ে ম্যান হোলের পাশে চলে যাস।
তখন দৌড়ে তোকে বাচাতে গিয়ে আমি পরে যাই।
তখন আমার বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে যায় আর সাথে সাথে আমি মা হবার ক্ষমতাও হারাই।
তখন থেকেই ভেবে নিয়েছি তুই আমাকে ঠিক যে পরিমাণ কষ্ট দিছোস তার তিনগুন তোকে আমি ফিরিয়ে দিবো। তোকে আমি একেবারে মারতে মারতাম। কিন্তু তোকে আমি রোজ রোজ কষ্ট দিয়ে তিলে তিলে মারতে চেয়েছিলাম। যেমনটা এতোটা বছর ধরে আমি পাচ্ছি।
আর তার সুযোগটা তুই আয়াত সামান্য একটা ভুল করে দিয়ে দিলো। ভেবেছিলাম আয়াত হয়তো তোকে কাছে পাবার পর ছেড়ে দিবে কিন্তু ও তোকে পাগলের মতো ভালোবাসে। তাই আমি আয়াতকে অপহরন করাই।
এলাকায় তোর প্রেগন্সির খবরটা আমিই ছড়িয়েছিলাম। যাতে সবাই তোকে নষ্টা বলে। আমি তোর বাচ্চাটাকে কখনো মারতে চাই না।
সবসময় চেয়েছি বাচ্চাটা পৃথিবীতে আসুক আর সবাই তাকে অবৈধ বলুক। অবৈধ।
যখন লোকজন তোকে নষ্টা আর তোর বাচ্চাকে অবৈধ বলে তখন আমার খুব শান্তি লাগে। বিশ্বাস কর মনে হয় ২২বছর অপেক্ষার ফল পাচ্ছি।
প্রথমে আয়াতকে মারতে চাই নি পরে ভাবলাম ওকে মেরে ফেললে সারাজীবন তোকে অবৈধ নামক বোঝাটা বয়ে বেড়াতে হবে। আর আমি এটাই চায়েছিলাম।
তনয়া ওর মায়ের কথা শুনে যেনো বোবা হয়ে গেলো। পাথরের মতো দাড়িয়ে আছে।
কি বা বলার থাকে তখন, যখন সব থেকে কাছের মানুষ নিজের মা ধোকা দেয়। তখন কথা বলার অনুভুতিগুলো ভোতা হয়ে যায়। হারিয়ে যায় বলার মতো শব্দগুলো। তখন চোখ থেকে নিঃশব্দে ঝরতে থাকে কিছু নোনা তরল।
অফিসার তনয়ার মাকে এরেস্ট করতে চাইলে আয়াত বাধা দেয়।
আয়াত: অফিসার উনার প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই।
সবাই অবাক দৃষ্টিতে আয়াতের দিকে তাকালো।
আয়াত: হ্যা আমি জানি উনি অন্যায় করেছে কিন্তু তবুও উনি তনয়ার মা। আর উনার উপর আমার কোনো রাগ নেই।
তনয়ার বাবা: কিন্তু আমার আছে,,,,তুমি হয়তো ওকে মাফ করতে পারো কিন্তু আমি না। কারণ আমি আমার মেয়েকে এতোগুলো দিন অসহ্য যন্ত্রনার মধ্য দিয়ে কাটাতে দেখেছি। তা তোমরা ভুললেও আমি ভুলবো না।
তনয়া: কিন্তু বাবা????
তনয়ার বাবা: কোনো কিন্তু নাই। আজকে আমি তোর কোনো কথাই শুনবো না। ওকে তোর জীবনে ভালোবাসার পরস দিতে এনেছিলাম। কিন্তু ও তো
তোর জীবনটাকে বিষের থেকে বিষময় করে দিয়েছে।
অফিসার ওকে নিয়ে যেতে পারেন।
পুলিশ তনয়ার মাকে নিয়ে চলে গেলো। সারাদিন সবাই অস্থির মধ্যে ছিলো। কারণ সবাই ভাবছে এটা হয়তো কোনো দুঃস্বপ্ন। যেটা ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে ভেঙ্গে যাবে। কিন্তু আফসোস তা হবার নয়।
রাতে তনয়া জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে ছিলো। আয়াত রুমে ডুকে পিছন থেকে তনয়াকে
জড়িয়ে ধরে।
আয়াত: হেই বিউটিফুল। সব ভুলে যাও। চলো সব নতুন করে শুরু করি আমরা।
তনয়া: পারবো কি???
আয়াত: পারবে না কেন?? আমি আছি না তোমার কাছে, তোমার পাশে, তোমার হৃদয়ে, তোমার অনুভুতিতে, তোমার সারাটা জুড়ে। যেমনটা তুমি আছো আমার সাড়াটা জুড়ে তাহলে কেন পারবে না???
তনয়া: হুম ঠিক বলেছো। তুমি থাকলে সব পারবো।
আয়াত: তনয়া!!!
তনয়া: হুম।
আয়াত: আই লাভ ইউ,,লাইক এ ম্যাড
তনয়া: আই নো। এখন ভালোবাসা অনেক হয়েছে যাও ঘুমাও। রাত কম হয় নি। আমি অনুর কাছে যাচ্ছি।
আয়াত: অনুর কাছে কেন???
তনয়া: ঘুমাতে,,,
আয়াত: কেন?? আমার খাটে কি জায়গা নাই???
তনয়া: বেহায়া!!! বেশরম!!!
আয়াত: যাহ এমন কি বললাম???
তনয়া: কি বলেছিলে মনে নাই?? যতোদিন না পারিবারিকভাবে বিয়ে হবে ততোদিন একদম ভুল করবে না।
আয়াত: তো আমি কি ভুল করতে বলেছি নাকি??? (দুষ্টুমি করে)
তনয়া: অসভ্য,,,যাও ঘুমাও।
আয়াত: উওরটা দিয়ে যাও।
তনয়া: আই ডোন্ট লাভ ইউ।
আয়াত: বাট আই লাভ ইউ টু বিউটিফুল।
পরেরদিন সকালে তনয়ার বাবা বলছে,,,,
আজ তনয়াকে তার বাড়ি নিয়ে যাবে।
আয়াত: কেন???
আয়াতের বাবা: ওরে গাধা। বাড়ি না নিলে বৌমাকে বিয়ে করে ঘরে নিয়ে আসবি কি করে??
আয়াত: ও হ্যা। তা কবে নিয়ে আসবো??
আয়াতের বাবা: বেহায়া। পরশু শুত্রবার। আমি চাই আমার নাতী পৃথিবীতে আসার আগে ওর মাথা থেকে অবৈধ নামক কলঙ্কটা মুছে যাক।
আয়াত: হ্যা বাবা। একদম ঠিক বলছো।
তারপর মুটামুটি ঘরোয়া আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়ে গেলো। তনয়া অসুস্থ বলে বেশি জাকজমক করে নি।
অনু তনয়াকে আয়াতের রুমে নিয়ে আসলো। রুমটা খুব সুন্দরভাবে সাজানো।
আয়াত: তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে বিউটিফুল।
তনয়া লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ফেললো।
আয়াত: লজ্জা পেলে কাজ হবে না আমার উওরটা চাই হুমমম।
তনয়া: দিবো না।
আয়াত: তাহলে কিন্তু আবার চলে যাবো।
তনয়া আয়াতের মুখটা চেপে ধরে,,,,,
তনয়া: ঠেং ভেঙ্গে খোড়া করে ঘরে রেখে দিবো।
আয়াতকে জড়িয়ে ধরে আই লাভ ইউ টু।
তারপর সারারাত মিলে দুজনে গল্প করলো। দুজনের মনে যে হাজারো কথা জমে আছে। জমে আছে অনেক ঝগড়া,,ভালোবাসা,
,খুনসুটি।
তার কয়েকদিন পর ওদের কোল জুড়ে আসলো ছোট একটা পরী।
পরীটাকে এখন কেউ অবৈধ বলতে পারবে না। কারণ পরীটা আয়াত আর তনয়ার ভালোবাসাকে মনের ডোরে বেধে দিয়েছে। পরীটার উপর থেকে মুছে গিয়েছে অবৈধ নামক কলঙ্ক।

গল্প :-অবৈধ -----♥
.
লেখক:- #RJ_Nayem_Ahmed
.
পর্ব :-০৭ ~~~~
.
.
.
আয়াত: সে আর কেউ না।
তোমার নিজের "মা"
তনয়া "মা" কথাটি শুনে ঠিক বিশ্বাস করতে পারলো না। তাই আবার জিজ্ঞেস করলো,,,,
কার নাম বললা আয়াত???
আয়াত: জানি আমার কথাটা তুমি ঠিক হজম করতে পারছো না বা বিশ্বাস করতেও তোমার কষ্ট হবে। কিন্তু এটাই সত্যি যে আমাকে কিডনাপ তোমার মা ই করিয়েছে।
তনয়া: আয়াত!! তুমি কি বলছো এসব??? তোমার মাথা ঠিক আছে তো???
আয়াত: তনয়া আমি জানি আমার কথা তোমার বিশ্বাস হচ্ছে না। হবার কথাও না। কারণ আমি জানি পৃথিবীতে তুমি তোমার মাকে সব থেকে বেশি ভরসা করো। কিন্তু আমি যেটাই বলছি সেটাই সত্যি। আমাদের অনাগত সন্তানকে ছুয়ে বলছি,,,,
(তনয়ার পেটে হাত রেখে) আমি সত্যিই বলছি।
তনয়া: দেখো আয়াত আমি জানি তুমি সত্যি বলছো। কিন্তু আমার মনে হয় তুমি হয়তো ভুল দেখেছো বা জেনেছো। দেখো অনেক সময় চোখ যেটা দেখা সেটা তো ভুলও হয়। মা তোমার সাথে এমনটা কেন করবে???
আয়াত: সে প্রশ্নতো আমার মনেও???
তনয়া: কিন্তু তুমি কি করে বুঝলা যে তোমাকে মা কিডনাপ করেছে???
আয়াত: দেখো তনয়া এর আগেও মানে তিন চারমাস আগে আমি একবার পালাতে সক্ষম হয়েছিলাম। পালিয়ে সোজা মেইন রোডে আসলাম। ভাবলাম কোনো গাড়িতে লিফট নিয়ে শহরে চলে আসবো। আমাকে দেখে একটা গাড়ি থামলো। গাড়ি থেকে তোমার মা বেরোলেন। আমি ভাবলাম হয়তো আল্লাহ আমার উপর রহমত করেছেন।
তিনি প্রথমে আমার সাথে খুব ভালো করে কথা বলছিলেন। গাড়িতে উঠে কিছুদুর আসার পর আমার মাথায় কেউ ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত করলো। আমি আবার বেহুস হয়ে গেলাম।
জ্ঞার সিজেকে আবার বন্ধ ঘরে বাধা অবস্থায় আবিষ্কার করলাম। কিন্তু চোখ খুলতেই দেখি আন্টি আমার সামনে এতটা চেয়ারে বসে আছে। আর আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। আমি আন্টির এমন রুপ দেখে হতভম্ব হয়ে গেলাম। আর তাকে জিজ্ঞেস করলাম,,,,,
আন্টি আপনি এমন কেন করছেন?? আর আমাকে কেন এখানে বেধে রেখেছেন???
আন্টি: আয়াত তুমি খুব বোকা। এখোনো বুঝতে পারো নি???
আয়াত: কিন্তু আন্টি আপনি আমার সাথে এমন কেন করছেন??? কি ক্ষতি করেছি আমি আপনার???
আন্টি: তুমি আমার কোনো ক্ষতি করো নি। কিন্তু তোমার তনয়া করেছে।
আয়াত: মানে?? ও তো আপনার মেয়ে??
আন্টি: মানে টা না পরে একদিন জানলে।
আয়াত: প্লীজ আমাকে ছেড়ে দিন আন্টি। এখন আমার তনয়ার পাশে থাকা দরকার।
আন্টি: সেজন্যই তো তোমাকে কিডনাপ করলাম।
দেখো আয়াত তোমার সাথে আমার কোনো শত্রুতা নেই। কিন্তু তনয়াকে আমি ঘৃণা করি। প্রচন্ড ঘৃণা। তনয়াকে কষ্ট দেওয়ার জন্যই তোমাকে আটকে রেখেছি। কাজ শেষ হলে তোমাকে ছেড়ে দিবো। তার আগে চালাকি করলে বেচে ফিরতে পারবে না।
আয়াতের কথা শুনে তনয়া যেনো নিজেকে সামলাতে পারলো না। মাথাটা ঘুরছে। আয়াত তনয়ার হাত ধরে। নিজেকে প্লীজ সামলাও তনয়া।
এই জন্যই তোমাকে আমি বলতে চাই নি।
তনয়া: কিন্তু আয়াত মা কেন আমাকে ঘৃণা করে??? আর তুমি কেন পুলিশকে এ ব্যাপারে বললে না???
আয়াত: আমি চাই নি আমাদের পরিবারের মধ্যে পুলিশ আসুক।
তনয়া: কিন্তু মা এমনটা কেন করলো??? তনয়া খুব কান্না করতে ছিলো। তনয়া শত চেষ্টা করেও যেনো নিজেকে সামলাতে পারছে না।
আয়াত তনয়াকে ঠিক কি দিয়ে সান্ততনা দিবে তা ভেবে পাচ্ছে না।
তনয়া: আমি এখনই মাকে সবটা জিজ্ঞেস করবো?? কেন সে এসনটা করলো??
আয়াত: প্লীজ তনয়া এমনটা করো না। আর হাসপাতালে বসে নিজেদের ঘরের কথা বলা ঠিক না। হ্যা জিজ্ঞেস কইরো কিন্তু এখন না কিছুদিন পর।
তনয়া: কিন্তু আয়াত যতোক্ষন না জানতে পারছি আমি শান্তি পাবো না।
আয়াত: তোমাকে শান্তিু দেওয়ার উপায় আমার কাছে আছে।
তনয়া: কি উপায়??
আয়াত: আমার কাছে আসো,,,
তনয়া: আসলাম তো।
আয়াত তনয়াকে নিজের বুকের মাঝে চেপে ধরলো। খুব শক্ত করে।
আয়াত: এখন শান্তু খুজে পেয়েছো???
তনয়া: পৃথিবীর সব থেকে বেশি খুশি তো এখানেই লুকিয়ে থাকে। জানো একটা মেয়ের জন্য পৃথিবীতে সব থেকে শান্তির আর সুরক্ষিত জায়গা হলো তার স্বামীর বুক।
প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেলো,,,,,,
আয়াত এখন একটু সুস্থ। কিন্তু শরীর খুব ক্লান্ত। পুরো পুরী সুস্থ হতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। এ কয়দিন আয়াতকে পুরো সিকিউরিটির মধ্যে রাখা হয়েছে।
এই কয়দিন তনয়া তার মায়ের সাথে একটা কথাও বলে নি। তাকে আয়াতের কাছে যেতে দেই নি। আর তাকে সব সময় চোখে চোখে রেখেছে। তনয়া সবসময় আয়াতের পাশে থেকেছে।
আজ আয়াতকে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে। তনয়া আয়াতকে বলেছে বাড়ি যাবার সাথে সাথে সব কিছু ফয়সালা করবে। আয়াতকে নিয়ো সবাই আয়াতদের বাড়ি গেলো। তনয়ার বাবা মাও ওদের সাথে গিয়েছে। বাড়ি গিয়ে বসার সাথে সাথে আয়াতদের বাড়ি পুলিশ আসলো।
আয়াতের বাবা: কি খবর অফিসার???
অফিসার: মি. আয়াত যে ছেলেটার কথা বলেছিলো তাকে আমরা খুজে পেয়েছি। আর সেই ছেলে সেই লোকের নাম বলেছে যে আয়াতকে এতোদিন আটকে রেখেছিলো।
আয়াতের মা: কে সেই পাপি শয়তান???
অফিসার: মিসেস তনয়ার মা।
পুলিশের মুখ থেকে এ কথা শুনার পর সবার পায়ের নিচের মাটি যেনো কেপে উঠলো।
আয়াতের বাবা: কি বলছেন এসব??? বেয়ান এসব কাজ কেন করবে??? আপনাদের কোথাও ভুল হচ্ছে।
অফিসার: জ্বি না। আমরা সব কিছু জেনে শুনেই তদন্ত করেই এসেছি। আর আমরা সাদাফকে এরেস্ট করেছি। সেই আমাদের আমাদের সব বলেছে।
আয়াতের বাবা: কিন্তু???
তনয়া: বাবা ওনারা সত্যি কথা বলেছেন?? এসব কিছু আমার মা ই বলেছে।
আয়াতের বাবা: তনয়া তুমি এসব কি বলছো???
তার মানে তুমি সব জানতে তনয়া??
তনয়া: হ্যা বাবা জানতাম। আয়াত হাসপাতালে বসে আমাকে সব বলেছে। কিন্তু আয়াতের অনুরোধে আমি চুপ ছিলাম। কিন্তু আর না।
এবার তনয়ার মা মুখ খুললেন,,,,,
তনয়ার মা: কি বলছিস এসব??? আমি কেন এমনটা করবো???
তনয়া: সে প্রশ্নতো আমার মনেও মা?? কেন???
তনয়ার মা: আয়াত মিথ্যা বলছে,,,,
তনয়া: একদম চুপ মা। তোমাকে মা বলতেও আমার লজ্জা লাগে। মা তো সে যে নিজের সন্তানের জন্য জীবন পর্যন্ত দিয়ে দেয়। কিন্তু তুমি মা নিজজের সন্তানের জীবন নষ্ট করতে চাইছো?? কেন?? মা?? বলো???
তনয়ার বাবা এতোক্ষণ চুপ ছিলো কিন্তু এখন আর চুপ থাকতে পারলো না। এবার বললেন------?????
.
.
♥-----"To be Continue"----♥

গল্প :-অবৈধ ~~~~♥
.
লেখক:- #RJ_Nayem_Ahmed
.
পর্ব :-০৬ ~~~~
.
.
পুলিশ: আচ্ছা আপনি কি ওই লোকগুলোকে চিনেন??
আয়াত: একজনকে চিনি।
পুলিশ: কে???
আয়াত: তনয়াকে কিছু ছেলে বিরক্ত করতো বলে
যেসব ছেলেদের আমি পুলিশে দিয়েছিলাম তাদের লিডার।
তনয়া:কে সাদাফ???
আয়াত: হুম। কিন্তু ও নিজেও এসব করতো না। ওদেরকে কেউ ফেনে এসব করতে বলতো।
পুলিশ: আপনি কি জানেন সে কে??
আয়াত: কিছুটা চুপ থেকে না।
পুলিশ আয়াতের কাছ থেকে আরো কিছু জিজ্ঞেস করে চলে গেলো।
রাফি: দেখুন আয়াতের এখন বিশ্রাম করা দরকার। আপনারা যেকোনো একজন এখানে থাকুন। বাকি সবাই বাইরে চলে যান।
অনু: তনয়া থাকুক।
তনয়ার দিকে তাকিয়ে দুষ্টুমি একটা হাসি দিয়ে অনু চলে গেলো।
সবাই চলে যাওয়ার পর তনয়া আয়াতের পাশে থেকে উঠে যেতে চাইলে আয়াত তনয়ার হাত ধরে ফেলে।
এতোদিন পর দুইজনের দেখা হলো। মনের ভিতর জমে আছে হাজারো কথা। কিন্তু কারো মুখে কোনো কথা নেই। কথাগুলো যেনো কোথাও হারিয়ে গেছে??? এতোদিনের দুরুত্ব দুইজনের মনের মাঝে দুরুত্ব তৈরী করতে না পারলেও দুইজনের কথার মাঝে একটা জিনিস কিন্তু দাড় করিয়ে দিয়েছে। দাড় করিয়ে দিয়েছে হাজারো দ্বিধা। লজ্জা,,ভয় আর ভালোবাসার শিহরন মিলে একাকার।
আয়াত: তনয়া,,,,একটা কথা বলবো???
তনয়া: হ্যা বলো।
আয়াত: Can i touch your womb??
তনয়া মৃদু হাসি দিয়ে আয়াতের হাতটা ধরে নিজের পেটের উপর রাখলো।
আয়াত: জানো তনয়া আমি ভেবেছিলাম লোকের কথায় তুমি হয়তো ওকে পৃথিবীতে আসতে দিবে না। তখন আমি নিজেও চাইতাম যে তুমি আমাকে ভুলে সামনের দিকে আগাও। কারণ আমি যে বেচে ফিরবো তার আশা ছিলো না আমার।
আর তাছাড়া যখন একটা মেয়ে বিয়ের আগে প্রেগন্যান্ট হয় তখন আমাদের সমাজ তার কি অবস্থা করে তা ভেবেই কষ্ট হচ্ছিলো। আর আমাদের বিয়ের কথাতো কেউ জানতই না।
আই এ্যাম সরি,,,,
তনয়া :আয়াতের হাতটা ধরে,, প্লীজ আয়াত এভাবে বলো না। তুমি কি করে ভাবলা আমি আমার আয়াতের ভালোবাসাটাকে মেরে ফেলবো??? আমার মনে দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো তুমি কখনো আমাকে ধোকা দিতে পারো না। আজ সারা পৃথিবীর লোক ওকে অবৈধ ভাবলেও আমি জানি তুমি জানো ও আমাদের ভালোবাসার পবিএ চিহু।
সরি বলে তুমি আমাকে আর দোষী করো না। এই সাত মাস তুমি যে কষ্ট পেয়েছে তার তুলনায় আমার কষ্ট নগন্য।
আয়াত: হ্যা তুমি ঠিক বলেছো ও আমাদের ভালোবাসার পবিএ চিহৃ। কষ্ট আমরা দুজনেই সমান পেয়েছি কারণ আমাদের শরীর দুটো হলেও
আত্নাতো একটাই। তাই না বিউটিফুল??
তনয়া: (চোখ বন্ধ করে) কতোদিন পর তোমার মুখ থেকে এই ডাকটা শুনলাম।
আয়াত: জানো তনয়া খুব ইচ্ছে ছিলো আমাদের বেবি তোমার ভিতরে কিভাবে বেড়ে উঠে তা তোমার পাশে থেকে অনুভব করবো। অনুভব করবো ওর একটু একটু করে বেড়ে উঠা।
কিন্তু নিয়তির সাথে কে বা পেরে উঠে বলো??? যে সময় আমার তোমার কাছে থাকা সবচেয়ে বেশি দরকার ছিলো সেই সময়টাই........
তনয়া: যা হয়েছে তা ভুলে যাও।
আয়াত আবার তনয়ার পেটে হাত রেখে বলল,,,
কতোদিন টরে আসবে প্রিন্সেস???
তনয়া: এক মাস নেই।
আয়াত: ওয়েটিং ফর ইউ বেবি।
তনয়া: আয়াত???
আয়াত: হুম।
তনয়া: একটা কথা বলবো?? সঠিক উওর দিবা।
আয়াত: তোমার সাথে কখনো মিথ্যা বলেছি???
তনয়া: আয়াত কে তোমাকে এতোদিন আটকে রেখেছিলো?? এমন কে যে তোমাকে এতোটা ঘৃণা করে??? যে তোমাকে সাত মাস এভাবে আটকে রেখেছে??
আয়াত: (কিছুটা তুতলিয়ে) আমি তো বললাম যে জানি না।
তনয়া: আয়াত তোমার মুখ আমার থেকে কথা লুকালেও তোমার চোখদুটো তা পারবে না।
আয়াত চুপ করে আছে,,,,,
তনয়া আয়াতের হাতটা নিজের পেটের উপর চেপে ধরে বলল,,,,,
এখন বলো তুমি তাদের কে চিনো না???
আয়াত: হাতটা সরিয়ে নিয়ে,,,
তাদের উদ্দেশ্য আমাকে না তোমাকে কষ্ট দেওয়া ছিলো। আর তারা তাতে সফল হয়েছে।
তনয়া: কে?? কলেজের ছেলেগুলো???
আয়াত: নাহ বাইরের কেউ নয়। আমাদের ঘরেরও কেউ নয়। তোমার খুব কাছের সে।
তনয়া :কে সে???
আয়াত: --------?????
.
.
♥------To be Continue-----♥

গল্প:- অবৈধ~~~~~
.
লেখক:- #RJ_Nayem_Ahmed
.
পর্ব :-০৫ ~~~~
.

.
তনয়া এখন আট মাসের গর্ভবতী। এই আট মাসে আয়াত মোট দুইবার ফোন করেছিলো ওর মায়ের কাছে। কিন্তু আয়াতের মা আয়াতের সাথে তেমন ভালো করে কথা বলে নি।
সকাল ১০টা.......
তনয়া ঘরে একা। কারণ অনু কলেজে।
আয়াতের মা কিছু কেনা কাটা করতে গেছে আর আয়াতের বাবা ব্যবসায়ের কাজে শহরের বাইরে গেছে।
তখন তনয়ার ফোনে একটা অচেনা নাম্বার থেকে কল আসলো।
তনয়া: আসসালামু আলাইকুম কে??
---তনয়া আমি
কন্ঠটা শুনে তনয়া যেনো শতব্ধ হয়ে গেলো। মুখ থেকে যেনো কথা বের হচ্ছে না। তবুও খুব কষ্ট করে বলল,,,,,
তনয়া: ফোন করতে এতোটা সময় নিলে আয়াত?
আয়াত: তনয়া আমার সাথে একটু দেখা করবে প্লীজ???
তনয়া: তুমি বাড়ি এসো। আমি থাকতে কেউ তোমাকে কিছু বলবে না।
আয়াত: সেটা পারছি না তনয়া। তুমি প্লীজ এই ঠিকানায় চলে আসো।
তনয়া: ঠিক আছে।
আট মাসের প্রেগন্যান্ট একটা মেয়ের হাটতে চলতে ঠিক কতটা কষ্ট হয় তা শুধু সেই জানে।
তবুও তনয়া কাউকে কিছু না বলে আয়াতের দেয়া ঠিকানায় চলে গেলো।
তনয়া!!! বলে কেউ পিছন থেকে ডাক দিলো।
তনয়া পিছনে তাকিয়ে দেখে আয়াত দাড়িয়ে আছে। কিন্তু একি----???
------তনয়া আয়াতের দিকে তাকাতেই ওর হুদয়টা যেনো কেপে উঠে। চোখ দুটো দিয়ে নিজের অজান্তেই টপ টপ করে জল পরতে থাকে।
সেই হার্টথ্রব আয়াত। যাকে প্রথম দেখলে যেকোনো মেয়ে প্রেমে পরে যেতো। দেখতে প্রচন্ড সুন্দর সে আগের মতো সুন্দর নেই। আয়াতের ফর্সা মুখটা আগের থেকে অনেকটা কালো হয়ে গেছে। চোখ দুটো ভিতরে ডুকে গেছে। চোখের নিচে অনেক কালি জমে গেছে। দেখে মনে হয় প্রচন্ড দূর্বল।
তনয়া আয়াতের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আয়াত তনয়ার কাছে আসলো। তনয়ার দিকে তাকিয়ে বললর,,,,
আয়াত: ক্যান আই হাগ ইউ???
তনয়া কিছু বলতে পারছে না। চুপ করে শুধু কান্না করছে।
আয়াত তনয়াকে জড়িয়ে ধরে বলল,,,,
আই ওলয়েজ লাভ ইউ এভার এন্ড ফেরএবার।
ধীরে ধীরে আয়াত তার শরীরের সব ভার যেনো তনয়ার উপর ছেড়ে দিচ্ছে। কিন্তু তনয়া ওকে সামলাতে পারে না। আয়াতকে কোনো মতে নিচে বসায়। আয়াতের দিকে তাকিয়ে দেখে আয়াতের মুখ নীল বর্ন ধারণ করেছে। মুখ থেকে ফেনা বের হচ্ছে মনে হচ্ছে কোনো বিষক্রিয়ার শিকার হয়েছে আয়াত।
তনয়া আয়াত বলে একটা চিতকার দিলো। আশে পাশের লোকজনের সাহ্যয্যে আয়াতকে হাসপাতালে নিয়ে গেলো। হাসপাতালে আয়াতের ডাক্তার বন্ধু ছিলো। যার ফলে চিকিৎসা করতে বেশি সময় নে নি।
তনয়া বাড়িতে ফোন করে সবাইকে সবকিছু খুলে বলে। তারাও হাসপাতালে চলে আসলো। কিছুক্ষণপর ডাক্তাররা
অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হলো।
তনয়া: কি খবর আয়াতের???
রাফি(আয়াতের বন্ধু): ভাবি মনে হচ্ছে আল্লাহ নিজে নিচে নেমে এসে আয়াতকে বাচিয়েছে।
তনয়া: কি হয়েছিলো ওর???
রাফি: আমি পুলিশকে ফোন দিয়েছি।
তনয়া: পুলিশ কেন???
রাফি: ভাবি কেউ ওকে বিষ দিয়েছিলো। আর সব থেকে হতভম্বের বিষয় কি জানেন??? আয়াতের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাবে আজব ধরনের রোগ ছড়িয়েছিলো। এটা সাধারণত তখন হয় যখন একটা মানুষ দীর্ঘতিন যাবত সূর্যের রশ্নি ও বাইরের হাওয়া বাতাস থেকে দুরে থাকে।
আয়াতকে দেখে মনে হয় অনেকদিন যাবত ওকে কেউ কোনো বদ্ধ রুমে আটকে রাখেছিলো। ওর শরীরের ভিটামিন ডি এর অভাব। শরীরে
আয়রন
এবং সাথে সাথে ভিটামিন সি এরও অনেক ঘাটতি হয়েছে।
তনয়া: সাথে রাফির কথা শুনে হতবস্ব হয়ে গেলো।
তনয়া: কি বলছেন এসব???
রাফি: আমি যা দেখেছি তাই বলছি। বাট চিন্তা করবেন না কয়েকদিন রেস্ট নিলে,, খোলা পরিবেসে থাকলো,,আর ঠিকমতো খেলে সব ঠিক হয়ে যাবে। আর বাকিটা আপনাকে না দেখালে বুঝতে পাবেন না। কিছুক্ষণের মধ্যে ওর জ্ঞান ফিরবে।
ডাক্তারের কথা শুনে বাড়ির সবাই হতোভম্ব হয়ে গেলো। সবার মনে হাজারো প্রশ্ন?? কিন্তু যে উওর দিবে সে এখনো অজ্ঞান।
কিছুক্ষণপর ডাক্তার এসে বলল,,,,ভাবি আয়াতের জ্ঞান ফিরেছে। আর শুধু তনয়ার সাথে দেখা করতে চায়।
তনয়া আয়াতের কাছে যায়,,,,
রাফি: ভাবি বললাম না আপনাকে না দেখালে বুঝাতে পারবো না। এই বলে আয়াতের শার্টটা খুলে দিলো।
আয়াতের শরীরের দিকে তাকিয়ে তনয়া ডুকরে কেদে উঠে। কারণ আয়াতের শরীরে অসংখ্য মারের দাগ। কিছু দাগ কালো হয়ে গেছে। কিছু নীল বর্ণ ধারণ করেছে।
তনয়া কাপা কাপা হাতে আয়াতের শরীরে হাত দিতে যায় তখন আয়াত তনয়ার হাতটা ধরে বলে
আমি ঠিক আছি তনয়া।
তনঢা আয়াতকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকে।
আয়াত: এই পাগলি আমি ঠিক আছি। প্লীজ কান্না করো না। আমি বেচে আছি আর তোমার কাছেই আছি। জানো তনয়া-------
আয়াত কিছু বলতে যাবে এর মধ্যেই পুলিশ ওর জবান বন্দি নওয়ার জন্য আয়াতের কাছে এলো।
আয়াত শুধু তনয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু হঠাৎ কাউকে দেখে আয়াতের চোখ যেনো ভয়ে নেমে এলো।
আয়াতের চোখের ভাষা তনয়া হয়তো বুঝতে পেরেছে। তাই আয়াতের পাশে গিয়ে বসে আয়াতের হাতে হাত রাখলো। তারপর চোখ দিয়ে আয়াতকে ভরশা দিলো।
পুলিশ: বলুন মি. আয়াত,, এতোদিন কোথায় ছিলেন আপনি?? আর আপনাকে বিষ দিয়েছিলো কারা???
আয়াত: প্রায় সাত মাস আগে আমি তনয়ার সাথে দেখা করতে তনয়াদের বাসায় যাচ্ছিলাম। পথে একটা মেয়ে আমার কাছে লিফট চায়। মেয়েটা বোরকা পরা ছিলো আর মুখ বাধা ছিলো। আমি মেয়েটিকে লিফট দিলাম। কিন্তু কিছুদুর যেতেই মেয়েটি আমার মুখে কি যেনো স্প্রে করলো। তারপর আর কিছু মনে নেই।
ডখন জ্ঞান ফিরলো তখন নিজেকে একটা রুমে চেয়ারের সাথে বাধা পেলাম। তারপর কিছু লোক আসলো।
তাদের কাছে জানতে চাইলাম আমাকে কেন কিডনাপ করা হয়েছে??? কিন্তু তারা কোনো জবাব দেই নি।
তাদের মধ্যে থেকে একজন বলল,,,,,
এখন থেকে আমরা যা বলবো তাই করবি না করলে তোর মা,,বাবা,,বোন আর তোর প্রেমিকা সবাইকে মেরে ফেলবো।
ওদের কাছে আমার ফ্যামিলির পুরো ডিটেইলস ছিলো। তাই বাধ্য হয়ে তাদের কথা মতো তনয়াকে ফোন করে যে আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি। আর তাকে নিয়ে শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছি। আরো অনেককিছু।
এরপর কয়েকবার পালানোর চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু পারি নি। ওরা আমাকে প্রায় মারতো। আর ওদের কথা মতো বাড়িতে দুবার কথা বলেছিলাম।
সাত মাস ধরে ওরা আমাকে আমাকে একটা রুমে
আটকে রেখেছিলো। এই সাতমাস ঠিক কিভাবে কেটেছে তা শুধু আমি আর আল্লাহই জানে।
তারপর গত কালকে আমি পালাতে সক্ষম হই। কিন্তু ওরা আমার পিছু নেয়। বাড়ি আসি কিন্তু বাড়ির চারপাসে ঐ লোকগুলোকে দেখলাম। তাই তনয়াকে ফোন করে দেখা করতে বললাম।
কিন্তু কপাল খারাপ থাকলে যা হয় আর কি। ওরা আমাকে ধরে ফেললো। কিন্তু এবার ওরা আমাকে
একেবারে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো। তাই আমার শরীরে বিষাক্ত ইনজেকশন দেয়।
কিছুটা সময় আমি ওদের সামনে মরার মতো পরে থাকি। তারপর ওরা আমাকে মৃত ভেবে চলে যায়।
তারপর তনয়ার সাথে দেখা হয়। আর আল্লাহর অশেস রহমতে বেচে গেলাম।
আয়াতের কথা শুনে সবাই বিষন হতভম্ব হয়ে গেলো। কারণ একটা মানুষকে সাত মাস আটকে কেউ কিভাবে রাখতে পারে????
আয়াতের বাবা,,মা,,অনু,,তনয়া,, ওর বাবা মা সবার চোখে জল। তাদের চোখের জলে তাদের মন থেকে মুছে গেলো আয়াতের উপর জমে থাকা সকল রাগ,,ঘৃণা আর অভিমান।
তনয়া : আমি তোমাদেরকে বলেছিলাম না আমার আয়াত এমন করতে পারে না। ওর নিশ্চয় কোনো বিপদ হয়েছে। কিন্তু তোমরা কেউ আমার কথা শুনলে না।
আয়াতের বাবা: মাফ করে দে আয়াত। সেদিন তনয়ার কথা মেনে তোকে আমাদের খোজা উচিত ছিলো। তাহলে তোকে এতোটা কষ্ট পেতে হতো না।
আয়াত: নাহ বাবা এতে তোমাদের কোনো দোষ নেই। আমি তোমাদের যেভাবে বলেছি তাতে শুধু তোমরা কেন সবাই আমার কথা বিশ্বাস করতো।
পুলিশ: আচ্ছা আপনি ওই লোকগুলোকে চিনেন???
আয়াত: একজনকে চিনি।
পুলিশ: কে-----?????
.
.
♥-----"To be Continue"-----♥

গল্প :-অবৈধ~~~~~
. লেখক:- #RJ_Nayem_Ahmed
.
পর্ব :-০৪ ~~~~
.
.
.
তনয়া: কি সর্বনাশ হয়েছে অনু???
অনু: আরে পাশের পারা প্রতিবেশিরা এসে নানা রকম কথা বলছে। বুঝতে পারছি না তারা এ খবর কোথা থেকে পেলো???
তনয়া: (রহস্যময় হাসি দিয়ে) এই তোর সর্বনাশ হয়েছে?? এখন কয়েকদিন এসব শুনতে হবে। এমন পরিস্থিতি সামলাতে হবে।
জানিস অনু ভালো কথা ভালো কাজ লোকসমাজে ছড়াতে দেরী লাগে না। কিন্তু কারো দোষ বা ত্রুটির কথা বাতাসের আগে ছড়ায়। চল দেখি এরা আবার কি বলে???
অনু আর তনয়া সামনের রুমে গিয়ে দেখে কয়েকজন মহিলা সেখানে আসছে আর তাদের মুখ থেকে খারাপ বাক্য শোনা যাচ্ছে,,,,
কথাগগুলো এরকম,,,,,
--ছিঃ ছিঃ ভাবি আপনাদের কাছ থেকে এমনটা আশা করি নি।
আরেকজন বলল,,,,,,
--ঠিক বলেছেন ভাবি বিয়ে হয় নি অথচ মা হচ্ছে আর এমন মেয়েকে আবার ছেলের বউ হিসেবে ঘরে তোলা। এমন মেয়ের মুখ দেখাও উচিত না।
আয়াতের মা: প্রথমতো ভুলটা তনয়ার না। আমার ছেলের। আর দ্বিতীয়তো ওদের বিয়ে অনেক আগেই হয়েছে তার প্রমানও আছে। আর প্রমান না থাকলে আমরা তনয়াকে মেনে নিতাম। কারণ আমরা তনয়াকে বিশ্বাস করি। আর শুনুন ভাবি আপনি কোন মুখে বলছেন এমন মেয়ের মুখ দেখাও পাপ?? আরে আপনার ছেলেতো গত বছর এর থেকেও বড় কান্ড করলো আর আপনারা মেয়েটাকে মেনে নেন নি।
--তো ছেলে মানুষ একটু আকটু দোষ করতেই পারে।
আয়াতের মা: আপনার ছেলে দোষ করলে সেটা দোষ না আর মেয়েটা কিছু না করেই সব দোষ তার ঘাড়ে। এসব নিচু মানুষিকতা বদলান। আর আপনারা শুনুন এটা আমাদের পারিবারিক বিষয়। আপনাদের নাক না গলালেও চলবে।
--তাহলে পরিবার সমাজের বাইরে গিয়ে বসান। আর এই মেয়েটি কোন পরিচয়ে আপনাদের বাড়ি থাকবে???
আয়াতের বাবা: কেন আয়াতের স্ত্রী হিসেবে। আর তাতে যদি আপনার সমস্যা হয় তাহলে তনয়া আমাদের মেয়ের পরিচয়ে থাকবে। আজ থেকে আমার দুই মেয়ে তনয়া আর অনু। আপনাদের আর কিছু বলার আছে???
--কিন্তু???
অায়াকের বাবা: (কিছুটা শান্ত গলায়) দেখুন তনয়ার সাথে যেটা হয়েছে সেটা যদি আপনাদের কারো মেয়ের সাথে হতো তাহলে কি আপনারা এমনটা বলতেন?? হ্যা তনয়া আর ভুল করেছে কিন্তু পাপ না। আমি আয়াতের বাবা। আর আমি যদি তনয়াকে মেনে নিতে পারি তাহলে আপনাদের সমস্যা কোথায়??
তারপর আর কেউ কিছু বললো না। সবাই চুপচাপ চলে গেলো।
প্রায় এক মাস হয়ে গেছে কিন্তু এখনো আয়াতের কোনো খবর নাই। ফোনও দেয় না। আয়াতের বাবা মা অার অনু সবাই তনয়ার খুব ভালো খেয়াল রাখছে। আয়াতের বাবা তনয়াকে বলে দিয়েছে পড়া লেখা যেনো ঠিক ভাবে করে।
তনয়া ভাবে এরকম একটা পরিবার পেলে যে কেউই খুব ভাগ্যবতী হবে। কিন্তু আয়াত---???
মনের ভিতর হাজারো প্রশ্ন এসে ভির করছে। আয়াতের দিকে তাকিয়ে নিজের পেটে হাত দেয় তনয়া। ছোট্র একটা ব্রুন কিভাবে দিনে দিনে বড় হচ্ছে আমার মাঝে। পেটে হাত দিয়ে নিজের অজান্তেই তনয়ার মুখ থেকে বেরিয়ে গেলো মিস ইউ আয়াত। আজ বাইরে খুব ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। তনঢা জানালার সামনে দাড়িয়ে আছে। বাতাসের ঝাপটায় বৃষ্টির কনাগুলো ওর গাল ছুয়ে যাচ্ছে।
তনয়া ভাবছে এরকমই এক রাতে আয়াত আমার কাছে এসেছিলো। অনেকটা কাছে। এতোটা কাছে যে ওর শ্বাস প্রশ্বাসের ধ্বনি শুনতে পাচ্ছিলাম। মিশে গিয়েছিলো আমার নিঃশ্বাসে।
ওদের বিয়ে বয়স তখন চার মাসের বেশি। সেদিন
তনয়ার বাবা মা ওর নানুকে দেখতে শহরের বাইরে যায়। কথা ছিলো সন্ধার মধ্যে পৌছে যাবে। তাই তনয়া সালেহা(ওদের বাসায় কাজ করে) তাকেও বাসায় থাকতে বললো না।
সালেহা সন্ধার আগে চলে যায়। তনয়া ভাছে ওর বাবা মা সন্ধার পরই হয়তো চলে আসবে। রাত প্রায় আটটার দিকে তনয়ার বাবা ফোন করে বলল
ঝড়ের কারণে শহরে ডুকার রাস্তা বন্ধ কালকের আগে বাড়ি যেতে পারবে না। তনয়া যেনো পাশের বাসার আন্টিকে ঘরে এনে রাখে।
কিন্তু তনয়া জানে তাতের বাসার সবাই বিকেলে কোথায় যানি গেছে। কিন্তু ওর বাবা যাতে চিন্কা না করে তাই বলল ঠিক আছে টেনশন করো না। এদিকে ঝড়ের মাএা বাড়ছে। তনয়া ঘড় অনেক ভয় পায়। কিছু না বুঝে অনুকে ফোন দিলো।
তনয়া: হ্যালো অনু তুই কোথায়??
অনু: আর বলিস না রে এক কাজিনের বাসায় আসছিলাম। যে ঝড় তাতে কালকের আগে যেতে পারবো বলে মনে হয় না।
কেন কিছু বলবি???
তনয়া: না এমনিতেই,,রাখি।
এদিকে ভয়ে তনয়ার তম বন্ধ হয়ে আসছিলো। তাই কিছু বুঝতে না পেরে আয়াতকে ফোন দিলো
তনয়া: হ্যা হ্যালো আয়াত,,তুমি কোথায়???
আয়াত: অফিস থেকে বাড়ি যাচ্ছি। কিন্তু তনয়া তুমি ঠিক আছো তো এভাবে কথা বলছো কেনো?
তনয়া: আয়াত আমি ঘরে একা আর বাইরে খুব ঝর হচ্ছে।
আয়াত: কেন আংকেল আন্টি আসে নি??
তনয়া: বন্যার কারণে রাস্তা বন্ধ। কালকের আগে রাস্কা ক্লিয়ার হবে না। আয়াত প্লীজ তুমি একটু আসবে???
আয়াত: দেখোেভয় পেয়ো না আমি আসছি।
তনয়া ফোনটা রেখে চুপচাপ বসে রইলো। ঝরের কারণে বিদ্যুৎ ও নেই। পুরো ঘর অন্ধকার সুধু একটা চার্জার লাইট জ্বালিয়ে নিজের রুমে বসে আছে। কিছুক্ষণপর কেউ তরজায় নক করলো।
ভয়ে তনয়ার বুক ধুকপুক করছে। ভয়ে ভয়ে দরজার সামনে গিয়ে বলল,,,,,
তনয়া: কে???
আয়াত: তনয়া আমি,,
আয়াতেররকথা শুনে তনয়ার যেনো তেহে প্রান ফিরে এলো। তাড়াতাড়ি দরজাটা খুলে আয়াতকে জড়িয়ে ধরে বাচ্চাদের মতো কান্না করতে লাগলো।
আয়াত: এই বোকা মেয়ে কাদছো কেন?? দেখো আমি এসে গেছি। এখন আর কোনো ভয় নেই। চুপ করো। আর এখন ভিতরে আসো।
তনয়া: হুম চলো।
তনয়া ভিতরে গিয়ে দেখে আয়াত পুরো ভিজে গেছে।
তনয়া: এ কি অবস্থা তোমার দাগাও আমি টাওয়াল নিয়ে আসছি।
তনয়া আয়াতকে টাওয়াল দিয়ে বলল,,,,,
তনয়া: নাও তাড়াতাড়ি গা মুছে কাপড় পাল্টে নাও। নয়তো ঠান্ডা লেগে যাবে।
আয়াত: কিন্তু ম্যাডাম আমি তো জানতাম না যে আজকে আপনাদের বাসায় আসবো তাই এক্সটা কাপড় নিয়ে আসি নি।
তনয়া: দাড়াও ব্যবস্থা করছি।
তনয়া ওর বাবার একটা ড্রেস আয়াতকে দিয়ে বলল,,,,,আপাতত এটা ম্যানেজ করে নাও।
আয়াত ড্রেসটা নিয়ে দাড়িয়ে আছে।
তনয়া: কি হলো দাড়িয়ে আছো যে চেন্জ করে নাও।
আয়াত: তুমি তাকিয়ে থাকলে কিভাবে করি???
নাকি দেখার ইচ্ছা আছে???
তনয়া লজ্জা পেয়ে অন্যদিকে ঘুরে রান্না ঘরে চলে গেলো।
আয়াত ড্রেসটা পরে বলল,,,,,,
আয়াত: তনয়া শশুর আব্বাকে ডায়েটিং করতে বলবা???
তনয়া: কেন???
আয়াত: পান্জাবীটার মধ্যে আরো দুটো আয়াত ফিট হতে পারবে।
তনয়া রাগি চোখে আয়াতের দিকে তাকালো।
আয়াত: ওকে সরি। কিন্তু ম্যাডাম খুব খিদে পেয়েছে???
তনয়া: এইতো খাবার রেডি। চলো খাবে।
তারপর দুজন মিলে খাওয়া দাওয়া শেষ করে গল্প করতে লাগলো। এদিকে বাইরে ঝড়ের মাএা আরো বেড়েছে। খুব জোড়ে জোড়ে বজ্রপাত হচ্ছে। তনয়া এরকম শব্দ ভিশন ভয় পায়। আয়াতকে সেটা বুঝতে দিচ্ছে না। কিন্তু চোখে মুখে সে ভয় স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।
তনয়া: আয়াত তুমি গেস্ট রুমে সুয়ে পরো। আমি আমার রুমে আছি কিছু লাগলে বলো।
আয়াত: ওকে। কি আর করা। নিজের বিয়ে করা বউ কাছে থাকতেও বৃষ্টির মতো এতো রোমান্টিক দিনেও কাছে পাবো না। কপাল খারাপ থাকলে কি আর করা????
তনয়া: জাস্ট সেটাপ। চুপচাপ গিয়ে শুয়ে পরো।
তারপর আয়াত রুমে গিয়ে শুয়ে পরলো। কিন্তু মনে পরলো যে ওর ফোনটা খাবার টেবিলে রেখে আসছে। তাই উঠে খাবার টেবিলে যাওয়ার সময়
তনয়ার রুমে চোখ যায়। দেখে এখনো চার্জার জ্বলছে। তাই রুসে গিয়ে দেখলো তনয়া বিছানায় গুটিসুটি মেরে বসে আছে। চোখ দুটু বন্ধ করে কানে হাতত দিয়ে রেখেছে। বজ্রপাতের শব্দে বাবরবার কেপে কেপে উঠছে। তনয়ার এ অবস্থা দেখে আয়াত নিজের হাসি চাপিয়ে রাখতে পারলো না।
তনয়া চোখ খুলে তুমি এখানে কেন?? আর হাসছো কেন???
আয়াত: একটা কিউট বিউটিফুলকে যেখছি। যে কথায় কথায় মানুষকে বলে ঠ্যাং ভেঙ্গে দিবে,,নাক ফাটিয়ে দিবে,,পিটাবো কিন্তু দেখো সে কেমন সামান্য ঝরকে ভয় পায়।
তনয়া: মজা নিচ্ছো???
আয়াত তনয়ার পাশে বসসে তো কি করবো??
এর মধ্যে খুব জোড়ে একটা বাজ পরলো। তনয়া ভয়ে চিতকার দিয়ে আয়াতকে জগিয়ে ধরলো। আয়াতও যেনো আজ তনয়াকে নিজের থেকে দুর করাতে পারছে না। খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো তনয়াকে। চুম্বুকের দুই মেরু যেমন একে অপরকে আর্কষণ করে ঠিক তেমনি আজ ওরা একে অপরকে অার্কষণ করছে।
আয়াত তনয়ার কপালে একটা ভালোবাসার চিহু একে দেয়। তনয়া কিছু বলতে চেয়েও যেন বলতে পারছে না। এর মধ্যে আয়াতের গরম নিঃশ্বাস তনয়ার ঠোট দুটোকে গ্রাস করে ফেলেছে। দুজনেই বুঝতে টারছে যা হচ্ছে তা ঠিক না কিন্তু
তবুও কেউ একে অপরকেেআটকাতে পারছে না।
ভালোবাসার এক গভীরে হারিয়ে যায় দুজনে।
সকালবেলা তনয়া নিজেকে আয়াতের বুকে আব্ষিকার করলো। আয়াতের দৃষ্টিতে কতোক্ষণ বেঘোর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো। কিন্তু কাল রাততের কথা মনে পড়তেই তনয়া শিউরেেউঠে।
তনয়া খুব কান্না করতে ছিলো। আয়াতের নিজেরও খুব খারাপ লাগতে ছিলো। কারণ আয়াতই তনয়াকে বলেছিলো পারিবারিকভাবে বিয়ের আগে এমন কিছু হবে না। ভরশা রাখতে পাররো। আর আজ ওই কিনা তনয়ার ভরসাটা ভেঙ্গে ফেললো।
আয়াত: প্লীজ আমাকে মাফ করে দেও তনয়া। আমি জানি না কাল রাততে কেন নিজেকে সামমলাতে পারি নি?? প্লীজ মাফ করে দাও।
তনয়া কাদদছে আর ভাবছে এতে তো আয়াতের একার দোষ নয়। আমিও তো ওকে বাধা দিতে পারতাম। কেন করলাম না আমি এইটা????
আয়াত: প্লীজ তনয়া কান্না করো না। আমারর নিজেকে খুব অপরাধি মনে হচ্ছে।
তনয়া আয়াতের হাতদুটো ধরে বলল,,,,,
তনয়া: ভুল তোমার একার না আয়াত। আমারও তোমাকে বাধা দেওয়ার উচিত ছিলো। তোমার নিজজেকে অপরাধি ভাবার কোনো কারণ নেই। কিন্তু আজ আমরা একে অপরকে কথা দেই পারিবারিকভাবে বিয়ে না হহওয়া পর্যন্ত আমরা এমন ভুল দ্বিতীয়বার আর করবো না।
আয়াত: হুম।
তারপর এ ভুল তারা আর করে নি। কিন্তু একটা কথা আছে না ভুল সবসময় ভুলই হয়। সেটা একবার হোক আর বহুবার। তার মাসুলতো গুনতেই হবে।
কিছুদিনপর তনয়া নিজেরর মাঝে পরিবর্তন দেখতে পায়। তারপরের ঘটনাতো সবাই জানেন।
এক রাততের ভালোবাসার ফল বয়ে বেড়াতে হবে সারাজীবন।
তনয়া ভাবছে সে রাতে যদি ঝড়টা না হতো তাহলে হয়তো আমার জীবনেও আজ এমন ঝড় আসতো না। এ এমন ঝড় যা বয়ে বেড়াতে হবে সারাজীবন।
বুক ভরা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়া আর কিছুই দিবে না এ ঝড়।
এরকম ভাবেই দেখতে দেখতে কেটে যায় ছয় মাস।
ছয় মাস পর-------?????
.
.
♥-----To be Continue-----♥

গল্প :-অবৈধ ~~~ ♥
. লেখক:- #RJ_Nayem_Ahmed
.
পর্ব :- ০৩~~~~
.
.
তনয়া:--হ্যালো আয়াত!
আয়াত: হ্যা বলো তনয়া,,
তনয়া: তুমি কোথায় আয়াত?? বাড়ির সবাই তোমাকে নিয়ে কতটা টেনশনে আছে। প্লীজ আয়াত চলে আসো???
আয়াত: তুমি কি কিছু বুঝো না নাকি?? আমি তোমার জন্য বাড়ি আসছি না। আমি অন্য একজনকে ভালোবাসি আর তাকে নিয়েই থাকতে চাই।
তনয়া: আয়াত একদম মিথ্যা বলবা না।
আয়াত: তোমার সাথে আমি মিথ্যা কোন বলবো?? আজব!!
তনয়া: কারণ আমি আমার আয়াতকে চিনি।
আয়াত: তাহলে তুমি ভুল চিনেছো। আমি বাবা মাকে বলে দিয়েছি যে তোমাকে বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব না। আর আমি শহড় ছেড়ে চলে যাচ্ছি। কবে ফিরবো তা জানি না। রাখছি,,,,,
তনয়া: আয়াত শোনো,,,
আয়াত: শোনো তনয়া,,,,নিজের খেয়াল রেখো,,ভালো থেকো।
এই বলে আয়াত ফোনটা কেটে দিলো।
অপলক দৃষ্টিতে তনয়া ফোনটার দিকে তাকিয়ে আছে। আর ওর কানে শুধু একটা কথাই বাজছে ভালো থেকো। নিজের কষ্টটা আটকাতে না পেরে
জোড়ে একটা চিৎকার দিলো। তনয়ার চিৎকার শুনে ওর বাবা মা তাড়াতাড়ি ওর কাছে এলো।
মা: কি হয়েছে মা?? কাদছিস কেন?? বল মা
তনয়া: মা সব শেষ হয়ে গেছে। ও আমায় ভালো থাকতে বলেছে। কিভাবে ভালো থাকবো মা আমি?? কিভাবে?? আর কোন কথা বলছে না তনয়া। শুধু মাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করছে। ওর বাবা মাও কান্না করছে। পৃথিবীর কোনো বাবা মাই
নিজের সন্তানের এমন অবস্থা দেখতে পারবে না।
সারাটা দিন সারাটা রাত তনয়া নিজের রুমে বসে কান্না করলো। শত চেষ্টা করেও নিজেকে সামলাতে পারছে না। মনের মাঝে কষ্টটা এমনভাবে আটকে গেছে যে কিছু ভাবার মতো ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে।
পরেরদিন সকালবেলা আয়াতের বাবা মা এলো।
তনয়ার মা তাদের অনেক কথা শুনালেন।
তনয়ার বাবা তনয়ার মাকে চুপ করতে বললেন।আর বললেন,,,,
তনয়ার বাবা: এতে তাদের কোনো দোষ নেই। তারা তো আয়াতকে এসব করতে বলে নি।
তনয়ার মা: সেটা আমি বুঝি। কিন্তু আমার মেয়ের জীবনটাতো নষ্ট হয়ে গেলো। আমার মেয়ের এখন কি হবে???
আয়াতের বাবা: দেখুন সে বিষয়েই আমরা কথা বলতে এসেছি। অনু তুই তনয়াকে ডেকে আনতো।
অনু তনয়ার রুমে গিয়ে দেখে তনয়া নিচে বসে বসে কান্না করছে। সারা ঘর আয়াতের ছবি ছড়ানো।
অনু: আমাকে মাফ করে দে তনয়া।
তনয়া: কেন?? তুই কি করেছিস??
অনু: না আমি ভাইয়াকে কলেজে নিয়ে যেতাম না তোদের কাহিনী এতো দুর গড়াতো। আমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না যে,,,,আয়াত ভাইয়া আমার আয়াত ভাইয়া কোনো মেয়ের সাথে এমন করেছে। যে ভাইয়া সবসময় মেয়েদের সম্মান করতো সে এমনটা করবে তা যেনো ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে।
তনয়া: নারে তোরা ভুল বুঝছিস আয়াতকে?? আমার মন এখনো এটা মানতে নারাজ যে আয়াত আমাকে ধোকা দিয়েছে।
অনু: বিশ্বাস ভালো কিন্তু অন্ধ বিশ্বাস ভালো না তনয়া!!!
তনয়া: এ বিশ্বাসেই তো সংসার চলে।
অনু: ভাইয়াকে বাবা বলেছে ও যেনো বাড়ির চারপাশেও না আশে। ওরকম ছেলে তার লাগবে না।
তনয়া: আমি জানি আমার আয়াত আসবে।
অনু: পাগলামি করিস না তনয়া?? একটু স্বাভাবিক
হবার চেষ্টা কর।
তনয়া: পাগলি না অনু বিশ্বাস আর ভরসা। জানিস তোর ভাইয়া কার আমাকে শেষ কি কথা বলেছে?
অনু: কি???
তনয়া: নিজের খেয়াল রেখো। ভালো থেকো।
অনু: সেটা হয়তো এমনি তেই বলেছে।
তনয়া: জানিস আমাদের বিয়ের বয়স ছয় মাস কিন্তু রিরেশনের বয়স সাত আট মাস। এই সাত আট মাসে যখনই আমরা কথা বলতাম দেখা করতাম তখনই আয়াত আমাকে বলতো নিজের খেয়াল রেখো। আই লাভ ইউ। কিন্তু ভালো থেকো কথাটি কখনো বলে নি।
অনু: তাতে কি বুঝায়??
তনয়া: জানিস তোর ভাইয়াকে আমি একবার বলেছিলাম ভালো থেকো। তখন ও আমার উপর রাগ করেছিলো। যখন আমি রাগের কারণ জানতে চাইলাম তখন বললো যখন কেউ কারো থেকে অনেক দুরে চলে যায় কিন্তু সে সবসময় তার মনের মধ্যে গেথে থাকে তখন বলে ভালো থেকো।
আর আমি তোমার কাছ থেকে কখনো দুরে যাবো না। আর যদি কোনো কারণে যাওয়া লাগে তখন তোমায় বলবো ভালো থেকো। কারণ তখন তুমি আমার থেকে দুরে থাকবে কিন্তু মন থেকে দুরে কখনো থাকবে না। হয়তো আমার শরীর দুরে যাবে
কিন্তু আমার মনটা তখন তোমার কাছেই থাকবে।
তার মানে আয়াতের কোনো বিপদ নয়তো কোনো বিশেষ কারণে ও আমাদের কাছে আসতে পারছে না।
অনু: সবটা তোর মনের ভুল ধারনা। ভাইয়ার জন্য তুই পাগল হয়ে গেছিস।
তনয়া: সে তো কবে থেকেই। তুই কি আজকে জানলি নাকি???
অনু: বাদ দে তো ওসব কথা। বাইরে সবাই তোকে ডাকছে। চল।
তনয়া: হুম।
তনয়া ঠিক ভাবে দাড়াতে পারছে না। দাড়াতে গিয়ে আবার দপ করে বসে পরলো। কি করে দাড়াবে??
কাল থেকে ওকে যে কেউ কিছু খাওয়াতে পারে নি। তনয়া এ অবস্থা দেখে অনু কান্না করে দিলো। অনু তাড়াতাড়ি রান্নাঘর থেকে তনয়ার জন্য
কিছু খাবার আর জুস নিয়ে আসলো।
অনু: এগুলো আগে খেয়ে নিবি তারপর উঠবি।
তনয়া: নারে ইচ্ছা করছে না।
অনু: চুপ একদম চুপ। তনয়া তুই ভুলে যাচ্ছিস যে তুই একা না। নিজের না রাখলেও তোর ভিতরে ছোট্র একটা প্রাণটা বেড়ে উঠছে তার খেয়াল তোকে রাখতে হবে। আর তুই না বললি আয়াত ভাইয়া ফিরে আসবে। সে যদি এসে তোর এ অবস্থা দেখে আর তোকে জিজ্ঞেস করে তোর এ অবস্থা কেন??? তাহলে তাকে তুই কি বলবি???
অনুর কথা শুনে তনয়া সামান্য কিছু খেলো। তারপর অনুর সাথে সামনের রুমে গেলো। সেখানে ওর আর আয়াতের বাবা মা গম্ভীর ভাবে বসে আছে।
তনয়াকে দেখে আয়াতের মা তার নিজের পাশে বসালো। তারপর বলল,,,,,
আয়াতের মা: দেখো মা তোমার সাথে যে অন্যায় হয়েছে কিন্তু আমরা চাইলেও তার সমাধান খুজে বের করতে পারবো না। এখন তুমি কি চাও বলো????
আয়াতের বাবা: হ্যা মা। আয়াত যাই বলুক তুমিই আমাদের ঘরের লক্ষি। আমাদের পুএবধু। তুমি চাইলে এখন থেকে আমাদের বাসায় থাকতো পারো।
তনয়ার মা: তার তরকার নেই। তনয়া মাএ এক মাসের প্রগনেন্ট। আমি ওর এবোশন করাবো।
এবোশন কথাটা শুনেই তনয়া চমকে উঠলো। মনে হলো ওর কলিজাটা ধরে কেউ টান দিছে।
তনয়া: নাহ!!! আমি আমার বাচ্চাকে মারতে পারবো না।
তনয়ার মা: কিন্তু তনয়া এ বাচ্চার কোনো ভবিষৎ নেই। কিন্তু তোর আছে। যে এখনো পৃথিবীতে আসে নি তার জন্য নিজের উজ্জ্বল ভবিষৎটাকে
এমনভাবে নষ্ট করে দিবি???
তনয়া: মা এটা সত্যি যে ও এখনো পৃথিবীতে আসে নাই। কিন্তু ওর প্রান আছে। ওর অস্তিত্ব আমি অনুভব করতে পারি। ওর অস্তিত্বের রন্ধ্রে রন্দ্রে আমার আয়াতকে খুজে পাই। খুজে পাই আয়াতের ভালোবাসাকে।
তনয়ার মা: কিন্তু মানুষে তোর বাচ্চাকে অবৈধ বলবে। জারত বলবে। তখন তুই তাদের কি বলবি???
তনয়া: থাক মা। সমাজের মানুষের কথা এখন না হয় থাক। সমাজ যাই বলুক আমার বাচ্চা যে অবৈধ নয় তা আমি জানি। আর তোমাদের এখানে থাকলে তোমাদের যদি সমস্যা হয় তাহলে বলো
আমি আয়াতের বাবার সাথে চলে যাবো। তারাও যদি না নেন তাহলে আমি নিজের আর আমার বাচচ্চার খেয়াল রাখতে পারবো। আমার কারো দরকার নাই।
তনয়ার বাবা: কি বলছো এসব মা?? তোমার কোথাও যেতে হবে না। আমি জানি আমার মেয়ে কোনো অন্যায় করে নি। তোমার সিদ্ধান্তে আমি কখনো বাধা দিবো না।
আয়াতের বাবা: এখানে থাকলে সবাই আরো বেশি বাজে কথা বলবে তার থেকে বরং আমি ওকে আমাদের বাড়ি নিয়ে যাই। সবাইকে বলবো যে আয়াতের স্ত্রী। আর আয়াত কয়েক বছরের জন্য বিদেশ গেছে।
তনয়ার বাবা: তনয়ার যা ইচ্ছা। আমি সবসময় আমার মেয়ের ইচ্ছাকে সম্মান করি।
------আজ তনয়ার বিদায়। হুম এমন মেয়ে বিদায় হয়তো কেউ জীবনে দেখে নি। কারণ মেয়ে বিদায়ে বর নেই। কনে বধু সাজে নাই। সবার চোখে শুধু কান্না হতাসা আর সামনের দিকে কি হবে তা নিয়েয়ে ভয়।
তনয়া আয়াতদের বাড়ি চলে আসলো। আয়াতের রুমে গিয়ে চারিদিকটায় তাকিয়ে শুধু একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ছাগলো।
কি সুন্দর করে সাজিয়েছে আয়াত রুমটাকে। বাচ্চাদের খেলনায় ভর্তি রুমটায়। খেলনা গুলো হাত বুলিয়ে দেখছে তনয়া। আয়াতের রুমের টেবিলের উপর রাখা আয়াত আর তনয়ার ছবি।
তনয়া ছবিটা হাতে নিয়ে দেখলো।
ছবিটা ওদের বিয়ের। মনে পরে যাচ্ছে তনয়ার নিজের বিয়ের কথাগুলো। কোনো সাজগোজ নেই। তনয়ার পরনে বেগুনি রং এর একটা থ্রি পিচ
আর আয়াত ছিলো অফিসের ড্রেসে। একটা ঘোরের মধ্যে হয়েছিল বিয়েটা। কত সুন্দর ছিলো দিনগুলো। স্মৃতিগুলো যেনো চোখের সামনে ভাসছে।
ওদের সম্পর্ক তখন দু মাসের মতো। কলেজের কিছু বাজে ছেলে তনয়াকে খুব বিরক্ত করতো। আয়াতকে বলা মাএ আয়াত তনয়ার সাথে কলেজে গিয়ে ছেলেদের বলল,,,,,,
আয়াত: কি ছোট ভাই ওকে বিরক্ত কেন করছেন???
---তাতে তোর কি?? তোর কি বোন লাগে???
আয়াত: না বউ লাগে। কিছুদিন পর বউ হবে।
---তাহলে কিছুদিন পরেই এখানে আসিস। যখন তোর বই হবে তখনই অধিকার খাটাতে আসিস। তার আগে মালটা আমাদের। এরকম আরো অনেক বাজজে কথা বলল।
কখাটা শুনে আয়াতের মাথায় রক্ত উঠে গেলো।
আয়াত: আধঘন্টা পর অাসছি।
আয়াত তনয়ার হাত ধরে বলল চলো।
তনয়া: কোথায় যাচ্ছি আমরা??
আয়াত: চলো তো তারপর বলছি।
পথে অনু আর আয়াতের বন্ধুকে কাজি অফিসে আসতে বলল।
কিছুক্ষণের মধ্যে বিয়ে হয়ে গেলো। তনয়া যেনো এখনো ঘোরের মধ্য আছে। মনে হচ্ছে কোনো স্বপ্ন দেখছে।
তারপর আয়াত তনয়াকে নিয়ে আবার কলেজে গেলো। সেখানে গিয়ে বলল,,,,,
ছোট ভাই কাজি অফিস থেকে বিয়ে করে সোজা এখানে আসলাম। এখন বলেন কেউ যদি আপনার বউকে বাজে কথা বলে তখন তাকে কি করবেন????
আমিও ঠিক তাই করবো।
আয়াত সাথে নিজের কয়েকটা বন্ধু নিয়ে এসেছিলো। সবগুলোকে ইচ্ছে মতো দুলাই দিয়ে সোজা পুলিশে দিলো। কারণ ছেলেগুলো অনেক বাজে ছিলো। আর বলল,,,,,
আয়াত: বস দেখতে চকলেট বয় হলেও একশনের রিএকশন কিভাবে দিতে হয় সেটা খুব ভালো করে জানি।
তনয়ার ঘোর যেনো এখনো কাটে নি।
আয়াত: চলো তোমাকে বাড়ি পৌছে দি??
গাড়িতে যাবার সময় তনয়া বলল,,,,,,
তনয়া :সামান্য বিষয়টার জন্য আমাকে বিয়ে করার কি দরকার ছিলো???
আয়াত: এটা সামান্য বিষয়?? আজকের পর থেকে কেউ তোমার দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারবে না। আর দোষটা ওদের না তোমার।
তনয়া: মানে???
আয়াত: তুমি দেখতে এতো সুন্দর যে কেউই তোমার জন্য পাগল হবে। যেমন আমি হয়েছি।
আর এখন থেকে তোমাকে হারানোর ভয়টা আমার আর থাকবে না।
তনয়া: পাজি ছেলে। আচ্ছা আয়াত একটা কথা বলবো??
আয়াত: হুম বলো।
তনয়া: আমাদের তো বিয়ে হয়ে গেছে। তারমানে আমরা এখন হাজবেন্ড ওয়াইফ।
আয়াত: হুম তো???
তনয়া: তুমি আবার আমার সাথে সেরকম কিছু করবে না তো??
আয়াতদুষ্টুমি করে) কেন ইচ্ছা আছে নাকি???
তনয়া রাগ করে আয়াতের দিকে তাকিয়ে বলল,,,,
তনয়া: ঠেং ভেঙ্গে দিবো।
আয়াতজোরে হেসে বলল) ম্যাডাম আপনাকে আমি সারাজীবন নিজের করে রাখতে চাই। তাই যত দিন না পর্যন্ত পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে হয় ততদিন পর্যন্ত আমরা এরকম ওরকম সেরকম কিছুই করবো না। ভরসা রাখতে পারেন।
তার দুমাস পর তনয়ার পরীক্ষা শেষ হলো। কিন্তু হঠাৎ আয়াতের দাদি মারা যায়। যার কারণে বিয়েটাকে আরো কয়েকমাস পিছিয়ে দেওয়া হয়।
আর-------
তনয়া তনয়া,,,,,
কেউ তনয়াকে ধাক্কা দিলো। ঘোর কাটলো তনয়ার
তনয়া: কে কে????
অনু: কতোক্ষণ ধরে ডাকছি কিরে কি ভাবছিস???
অনুর চোখ যায় তনয়ার হাতের ছবিটার দিকে। অনু বুঝে গেলো তনয়া ঠিক কি ভাবতে ছিলো।
তনয়া সর্বনাশ হয়ে গেছে। বাইরে চল তাড়াতাড়ি...... ♥