৪৫,০০০/- বেতনে এনআরবি ব্যাংক লি: এ ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি>>> সকল তথ্য দেখতে ক্লিক করুন... | #NRB Bank Limited Job Circular 2019 – www.nrbbankbd.com
Discover postsExplore captivating content and diverse perspectives on our Discover page. Uncover fresh ideas and engage in meaningful conversations
৪৫,০০০/- বেতনে এনআরবি ব্যাংক লি: এ ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি>>> সকল তথ্য দেখতে ক্লিক করুন... | #NRB Bank Limited Job Circular 2019 – www.nrbbankbd.com
গল্প:-- "হেডমাষ্টারের princes"
.
লেখক:- #RJ_Nayem_Ahmed
.
পর্ব:--০২~~~♥
.
.
আমি: ইয়ে মানে আপনি তো বল্লেন যে আপনি নাকি আমাকে খেলা দেখাবেন তাই লজ্জা করছে আসলে এই প্রথম মেয়ে সামনে খেলা দেখাবে |
মেয়ে: ওরে কচি খোকা আসো তোমাকে খেলা দেখাচ্ছি |
আমি: সত্যি আগে কথা থেকে শুরু করবেন ?
মেয়ে: আচ্ছা বাবু মাথাটা নিচু করো |
অতঃপর তাদের কথা মতো মাথা নিচু করলাম ভাবলাম এটা নতুন রুল যে মাথা নিচু করলাম সেই দুম দাম পিঠের উপর ঘুশি আর থাপ্পর শুরু তখন সে বল্লো----->
মেয়ে: কেমন খেলা দেখলা ?
আমি: এই প্রথম মেয়েরা মাইর দিলো আহারে কত যে মজা |
মেয়ে: কি বল্লি ?এই দোষ্ট চল আবার দেই ওরে দলাই |
আমি: এই না না প্লিজ আমাকে ছেরে দিন আমি এখানে নতুন তার উপর আমি নিষ্পাপ একটা শিশু প্লিজ ছেরে দিন |
মেয়ে: ওরে আমার শিশু তখন মনে ছিলো না এটা ?
আমি: আসলে তখন বুঝতে পারি নি যে আপনারা গুন্ডা থুক্কু গুন্ডি|
মেয়ে: হ্যা আমরা গুন্ডির দল কিন্তু তোকে তো ছারবো না তুই কার সাথে বেয়াদবি করছিস |
আমি: আচ্ছা এখন কি আপনার পা ধরতে হবে আচ্ছা ধরছি ?
মেয়ে: এই কি করছিস ছার বলছি ?
আমি: কেনো আমি তো অপরাধ করেছি তার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি |
মেয়ে: হইছে থাক আর অপরাধী সাজতে হবে না কখন না আবার অপরাধী গান শুরু করে দিবি |
আমি: ওহ ঠিক বলছেন খারান বলতেছি------> ও গুন্ডি ও গুন্ডি রে তুই অপরাধীরে আমার মতো নিষ্পাপ শিশুকে দে ছাইরা দে|
অতঃপর গান তারা শুনার পর সবাই হাসছে আর সে দেখি রাগে ফুলতেছি তখন আমি বল্লাম---->
আমি: আচ্ছা গানটা কি খারাপ হয়েছে আচ্ছা নতুন একটা বলবো?
মেয়ে: হারামজাদা তোর গানের গুষ্টি কিলাই তোকে আজকেই মেরেই ফেলবো তুই আমাকে চিনিস না |
আমি: এই প্লিজ এভাবে থ্রেড দিবেন না আর না হলে আমি আবার হিশু মানে প্যান্টে মুতে দেই |
কথাটা শুনার পর সে ও তার ফ্রেন্ডরা সবাই হাসতেছে অতঃপর সে বল্লো----->
মেয়ে: হাহাহা তোর কথা শুনে আমার এখনো পেটে ব্যাথা করছে তুই দেখি অনেক ভিতু |
আমি: হ্যা আমি অনেক ভিতু আবার মাজে মাজে অনেক রাগি তাই তখন রাগে কথাগুলো বলছি |
মেয়ে: আর এখন সেই রাগ কথায় ?
আমি: ঐযে বল্লাম খুব ভিতু |
মেয়ে: শালার আগে জানতাম পরুষ রা নাকি বীর পরুষ হয় আর তুই দেখি ভিতুর ডিম |
আমি: কি করবো বলেন আপনাদের মতো ইয়া বড় হাতি যদি আক্রমন চালান তাহলে আমি শেষ |
মেয়ে: কি আমরা হাতি দোষ্ট আমাদের হাতি বলছে এই মালটাকে আবার দলাই দিতে হবে |
তার এক বান্ধুবি বল্লো------>
বান্ধুবি: হ রে দোষ্ট মালটা সেই চালাক এইটাকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না |
আমি: এই আপনারা এত মাল মাল করছেন কেনো আমি একজন সাধারন নিষ্পাপ মানুষ প্লিজ আমাকে যেতে দিন দেরি হলে আবার আমার ভাইয়া আক্রমন চালাবে |
মেয়ে: হাহাহা এত বড় দামরা ছেলে এখনো মাইর খায় |
আমি: আচ্ছা বায় কাল দেখা হবে টাটা |
যেই যেতে লাগলাম সেই আমার কলারটা টান দিলো আর বল্লো---->
মেয়ে: এই হারামজাদা কথায় যাস তোর তো এখনো সাস্তিই হয়নি|
আমি: হায়রে আমার কপাল এ আমি কার কপালে পরলাম |
মেয়ে: এখনো তো কিছুই করি নি যখন কলেজ থেকে বের করে দিবো তখন বুজবি যানিস আমার আব্বু পুরা স্কুল আর কলেজ দেখা শুনা করে |
আমি: ওহ তার মানে আপনার আব্বু আমাদের নাইট র্গাড না দারোয়ান আচ্ছা রাতে দেখাশুনা করে নাকি দিনে ?
মেয়ে: হারামজাদা তুই কি বল্লি আমার আব্বু নাইট র্গাড আর কি দারোয়ান তোকে তো মেরেই ফলবো ঐ দোষ্ট তোরা রট টা নিয়ে আয় |
আমি: এই না না প্লিজ ছেরে দিন আমি মরে যাবো আর আপনারা কি মানুষ একটা নিষ্পাপ শিশুকে রট দিয়ে পিটাবেন |
মেয়ে: রাখ তোর শিশু এর আগে কত পিটাইছি কিন্তু আজকে তোকে সত্যি সত্যি মেরে ফেলবো লাগলে জেলে যাবো তুই আমার আব্বুকে কি বল্লি ?
আমি: এই না আমাকে মারবেন না আর আমি চাই না আপনার মতো সুন্দর একটা মেয়ে জেলে যাক |
মেয়ে: পাম মারিস আমাকে কিছু বুজি না ?
আমি: আচ্ছা আপনি বলুন আপনি বল্লেন যে আপনার আব্বু স্কুল ও কলেজ দেখা শুনা করে তাই আমি ভাবলাম যে নাইট র্গাড বা দারোয়ান ও হতে পারে তাই না বলুন ?
মেয়ে: দেখ তোর কথা শুনে কিন্তু আমার শরিরে রাগের আগুন জলতেছি |
আমি: আচ্ছা তাহলে ঠান্ডা পানি নিয়ে আসি |
মেয়ে: উফফ তোকে কালকেই কলেজ থেকে বের করে দিবো |
আমি: কেনো আপনি কি আমাদের কলেজের প্রিন্সিপাল ?
মেয়ে: হায়রে হারামজাদা আমি না আমার আব্বু আর আব্বু শুনতে পারলে যে কি করবে ?
আমি: ও আচ্ছা তাহলে আপনি কি হেড মাষ্টারের মেয়ে ?
মেয়ে: এই আমি হেড মাষ্টারের মেয়ে হতে যাবো কেনো ?
আপনারা বুঝলেন নাতো আসলে তার আব্বু স্কুলের হেড স্যার আর কলেজের প্রিন্সিপাল পরুটা তার দায়িত্বে তাই তাকে রাগানোর জন্য বল্লাম তাই এটা হেড মাষ্টারের শয়তান মেয়ে এখন গল্পে আসি------>
আমি: আপনি তো বল্লেন যে আপনার আব্বু স্কুল আর কলেজ দেখা শুনা করে তাই তো বল্লাম হেড মাষ্টার |
মেয়ে: আরে হারামজাদা আমার আব্বু প্রিন্সিপাল |
আমি: ঐ একি হলো |
মেয়ে: অনেক বক বক করছিস এখন তোর মাইরের পালা আর কাল কলেজ থেকে বিদায় দিবো |
একটু আবেগ দেখিয়ে বল্লাম----->
আমি: আজ আমি গরিব বলে কোনো রকম কলেজে র্ভতি হইছি অনেক কষ্ট পরাশুনা করি কি আর করার অন্য কলেজে দেখি আবার র্ভতি হতে পারি কিনা[ চাপা ]
মেয়ে: আহারে আমি বুজতে পারি নি আচ্ছা সরি |
যাক চাপাটা কাজে লাগলো পরে আমি বল্লাম----- ♥
.
.
"To be Continue"
গল্প:-- "হেডমাষ্টারের Princes"
.
লেখক:- #RJ_Nayem_Ahmed
.
_____পর্ব:- ০১~~~~♥
.
.
.
এস এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা কলেজে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন কলেজ টা কাছে তাই |
তো আজ প্রথম কলেজে গেলাম ক্লাসে ডুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফালিয়ে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দিখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক পরি দূর এই সব চিন্তা করে লাব নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে----->
মেয়ে: এই বেটা চোখে দেখিস না ?
আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম---->
আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফালিয়ে দিছেন ?
মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফালিয়ে দিছি ?
আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না |
দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো---->
মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ?
আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো?
মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ?
আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্তির মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা বলতে হবে আর হলেই বা কি আমার তাতে যায় আসে না |
তো এরকম জোগরা করতে করতে দেখি স্যার এসে পরলো আর বল্লো---->
স্যার: এই ছেলে তুমি ওকে চিনো ?
আমি: দেখুন না স্যার আজ আমি নতুন ক্লাসে আসলাম আর তখন এই মেয়েটা লেং মেরে ফেলে দিছে |
স্যার: চুপ বেয়াদব মেয়েদের সাথে জোগরা করো যাও ক্লাসে |
এটা কি হলো দোষ করলো মেয়েটা আর দোষ হলো আমার দূর তখন দেখি স্যার মেয়েটাকে বলতেছে----->
স্যার: যাও মা ক্লাসে যাও |
মেয়ে: ধন্যবাদ স্যার |
দেখি মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে দূর আজ প্রথম দিন এসেই এই অবস্থা কি যানি বাকি দিন কি হয় |
[তো ক্লাসে যাওয়ার আগে আমার পরিচয়টা দিয়ে দেই আর না হলে পরে আবার আমাকে ভুলে যাবেন যাইহোক আমি জাহিদ বাবা মার তিন নম্বর সন্তান খুব দুষ্টু আর খুব ভিতু এবার ইন্টার ফাষ্ট ইয়ারে ভর্তি হলাম আর এতখুন যার সাথে জোগরা হলো একটা গুন্ডি মেয়ে চিনি না এইরে আপনাদের পরিচয় দিতে গিয়ে আমার ক্লাস শুরু হয়ে গেলো ]
তো আজ প্রথম দিন ক্লাস করলাম কিছু নতুন নতুন ফ্রেন্ড ও হলো তো নতুন এক বন্ধু বল্লো---->
বন্ধু: কিরে তুই কি ঐ মেয়ে টাকে চিনিস?
আমি: কেনো মেয়েটা কি কোনো রাজার মেয়ে নাকি যে চিনবো ?
বন্ধু: আরে শালা জানিস ঐটা কার মেয়ে ?
আমি: কার মেয়ে ?
বন্ধু: ঐটা হেড স্যারের মেয়ে এর আগে ঐ মেয়ের জন্য অনেক ছেলে কলেজ থেকে পালাইছে আর অনেক ছেলেকে টিসি ও দিছে|
আমি: দোষ্ট তুই এই কথা আগে বলিস নি কেনো এখন আমার কি হবে তখন তো মেয়েটাকে অনেক কিছু বলে ফেলছি |
বন্ধু: জানি না দোষ্ট যা হবার উপর আল্লাহ জানে |
অতঃপর খুব চিন্তায় পরলাম নতুন কলেজে ভর্তি হলাম এখন যদি বের হয়ে যেতে হয় তাহলে তো ভাইয়ার হাতে মার খেতে হবে তার উপর মেয়েটা নাকি আমার এক ইয়ারের বড় দূর এই চিন্তা করতে করতে কখন যে ছুটি হলো |
তো বাসায় যাচ্ছি দেখি কে যানো ডাকছে---->
মেয়ে: এই হারামজাদা এদিকে আয় |
তখন পিছনে ঘুরতেই দেখি সেই হ্যাড মাষ্টারের গুন্ডি মেয়ে তাও একটা সাথে লেডি গেং তো আমি ভয়ে বল্লাম---->
আমি: জী আমাকে ডাকছেন ?
মেয়ে: ঐ দোষ্ট মালটা নতুন কি করা যায় ?
আমি শুনে হাত পা কাপা শুরু করতেছে তার উপর লেডি গেং তখন আমি ভয়ে বল্লাম---->
আমি: প্লিজ আমাকে ছেরে দিন আমি তখন যা করেছি তার জন্য সরি |
মেয়ে: না না তোকে তো ছারা যাবে না আজ পর্যন্ত কেও ঐরকম ভাবে কথা বলার সাহস হয়নি আর তুই খারা আজ তোকে খেলা দেখাবো |
আমি: ছি ছি কি বলছেন আমি মেয়েদের খেলা দেখতে লজ্জা পাই|
মেয়ে: ওরে হারামি কি বল্লি....!!!!
.
.
-----""To be Continue""------
গল্প :- অবৈধ ~~~♥
.
লেখক:- #RJ_Nayem_Ahmed
.
পর্ব:-০৮~~[শেষ পর্ব]
.
.
.
তনয়ার বাবা এতোক্ষন চুপ ছিলো কিন্তু এখন আর চুপ থাকতে পারলো না। তিনি বললেন,,,,,,
তনয়ার বাবা: ও তোর নিজের মা না।
কথাটা শুনে সবাই অনেক অবাক হলো।
তনয়া: কি???(অনেক অবাক হয়ে)
তনয়ার বাবা: হ্যা রে মা। তোর জম্মের পর তোর মা মারা যায়। আর তারপর আমি ওকে বিয়ে করি।
আমি তোকে তোর মায়ের কথা জানাই নি কারণ আমি চাই নি তুই ওকে সৎ মা ভাবিস। আমাকে ক্ষমা করে দে মা।
তনয়া: না বাবা তুমি কোনো ভুল করো নি। কিন্তু মা আমি তো তোমাকে ছোট বেলা থেকে মা জেনেছি
মেনেছি তোমার ভালোবাসা পেয়েছি। কিন্তু কি এমন হলো যে তুমি আমার সাথে এমনটা করলে???
তনয়ার মা: কারণ আমি তোকে ঘৃণা করি প্রচন্ড ঘৃণা।
তনয়া: কেন মা?? আমি কি এমন করেছি যে তুমি আমায় ঘৃণা করো???
তনয়ার মা: আমাকে একদম মা বলবি না। তোর কারণে আমি আজ মা হওয়ার সুখ থেকে বচ্ঞিত।
তনয়া: কি বলছো এসব মা?? আমি কি করেছি???
তনয়ার মা: বিয়ের পর তোকে আমি নিজের মেয়ের মতোই দেখতাম। কিন্তু তোর যখন তিন বছর বয়স তখন আমি পাচ মাসের প্রগনেন্ট। তখন তুই খেলতে গিয়ে ম্যান হোলের পাশে চলে যাস।
তখন দৌড়ে তোকে বাচাতে গিয়ে আমি পরে যাই।
তখন আমার বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে যায় আর সাথে সাথে আমি মা হবার ক্ষমতাও হারাই।
তখন থেকেই ভেবে নিয়েছি তুই আমাকে ঠিক যে পরিমাণ কষ্ট দিছোস তার তিনগুন তোকে আমি ফিরিয়ে দিবো। তোকে আমি একেবারে মারতে মারতাম। কিন্তু তোকে আমি রোজ রোজ কষ্ট দিয়ে তিলে তিলে মারতে চেয়েছিলাম। যেমনটা এতোটা বছর ধরে আমি পাচ্ছি।
আর তার সুযোগটা তুই আয়াত সামান্য একটা ভুল করে দিয়ে দিলো। ভেবেছিলাম আয়াত হয়তো তোকে কাছে পাবার পর ছেড়ে দিবে কিন্তু ও তোকে পাগলের মতো ভালোবাসে। তাই আমি আয়াতকে অপহরন করাই।
এলাকায় তোর প্রেগন্সির খবরটা আমিই ছড়িয়েছিলাম। যাতে সবাই তোকে নষ্টা বলে। আমি তোর বাচ্চাটাকে কখনো মারতে চাই না।
সবসময় চেয়েছি বাচ্চাটা পৃথিবীতে আসুক আর সবাই তাকে অবৈধ বলুক। অবৈধ।
যখন লোকজন তোকে নষ্টা আর তোর বাচ্চাকে অবৈধ বলে তখন আমার খুব শান্তি লাগে। বিশ্বাস কর মনে হয় ২২বছর অপেক্ষার ফল পাচ্ছি।
প্রথমে আয়াতকে মারতে চাই নি পরে ভাবলাম ওকে মেরে ফেললে সারাজীবন তোকে অবৈধ নামক বোঝাটা বয়ে বেড়াতে হবে। আর আমি এটাই চায়েছিলাম।
তনয়া ওর মায়ের কথা শুনে যেনো বোবা হয়ে গেলো। পাথরের মতো দাড়িয়ে আছে।
কি বা বলার থাকে তখন, যখন সব থেকে কাছের মানুষ নিজের মা ধোকা দেয়। তখন কথা বলার অনুভুতিগুলো ভোতা হয়ে যায়। হারিয়ে যায় বলার মতো শব্দগুলো। তখন চোখ থেকে নিঃশব্দে ঝরতে থাকে কিছু নোনা তরল।
অফিসার তনয়ার মাকে এরেস্ট করতে চাইলে আয়াত বাধা দেয়।
আয়াত: অফিসার উনার প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই।
সবাই অবাক দৃষ্টিতে আয়াতের দিকে তাকালো।
আয়াত: হ্যা আমি জানি উনি অন্যায় করেছে কিন্তু তবুও উনি তনয়ার মা। আর উনার উপর আমার কোনো রাগ নেই।
তনয়ার বাবা: কিন্তু আমার আছে,,,,তুমি হয়তো ওকে মাফ করতে পারো কিন্তু আমি না। কারণ আমি আমার মেয়েকে এতোগুলো দিন অসহ্য যন্ত্রনার মধ্য দিয়ে কাটাতে দেখেছি। তা তোমরা ভুললেও আমি ভুলবো না।
তনয়া: কিন্তু বাবা????
তনয়ার বাবা: কোনো কিন্তু নাই। আজকে আমি তোর কোনো কথাই শুনবো না। ওকে তোর জীবনে ভালোবাসার পরস দিতে এনেছিলাম। কিন্তু ও তো
তোর জীবনটাকে বিষের থেকে বিষময় করে দিয়েছে।
অফিসার ওকে নিয়ে যেতে পারেন।
পুলিশ তনয়ার মাকে নিয়ে চলে গেলো। সারাদিন সবাই অস্থির মধ্যে ছিলো। কারণ সবাই ভাবছে এটা হয়তো কোনো দুঃস্বপ্ন। যেটা ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে ভেঙ্গে যাবে। কিন্তু আফসোস তা হবার নয়।
রাতে তনয়া জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে ছিলো। আয়াত রুমে ডুকে পিছন থেকে তনয়াকে
জড়িয়ে ধরে।
আয়াত: হেই বিউটিফুল। সব ভুলে যাও। চলো সব নতুন করে শুরু করি আমরা।
তনয়া: পারবো কি???
আয়াত: পারবে না কেন?? আমি আছি না তোমার কাছে, তোমার পাশে, তোমার হৃদয়ে, তোমার অনুভুতিতে, তোমার সারাটা জুড়ে। যেমনটা তুমি আছো আমার সাড়াটা জুড়ে তাহলে কেন পারবে না???
তনয়া: হুম ঠিক বলেছো। তুমি থাকলে সব পারবো।
আয়াত: তনয়া!!!
তনয়া: হুম।
আয়াত: আই লাভ ইউ,,লাইক এ ম্যাড
তনয়া: আই নো। এখন ভালোবাসা অনেক হয়েছে যাও ঘুমাও। রাত কম হয় নি। আমি অনুর কাছে যাচ্ছি।
আয়াত: অনুর কাছে কেন???
তনয়া: ঘুমাতে,,,
আয়াত: কেন?? আমার খাটে কি জায়গা নাই???
তনয়া: বেহায়া!!! বেশরম!!!
আয়াত: যাহ এমন কি বললাম???
তনয়া: কি বলেছিলে মনে নাই?? যতোদিন না পারিবারিকভাবে বিয়ে হবে ততোদিন একদম ভুল করবে না।
আয়াত: তো আমি কি ভুল করতে বলেছি নাকি??? (দুষ্টুমি করে)
তনয়া: অসভ্য,,,যাও ঘুমাও।
আয়াত: উওরটা দিয়ে যাও।
তনয়া: আই ডোন্ট লাভ ইউ।
আয়াত: বাট আই লাভ ইউ টু বিউটিফুল।
পরেরদিন সকালে তনয়ার বাবা বলছে,,,,
আজ তনয়াকে তার বাড়ি নিয়ে যাবে।
আয়াত: কেন???
আয়াতের বাবা: ওরে গাধা। বাড়ি না নিলে বৌমাকে বিয়ে করে ঘরে নিয়ে আসবি কি করে??
আয়াত: ও হ্যা। তা কবে নিয়ে আসবো??
আয়াতের বাবা: বেহায়া। পরশু শুত্রবার। আমি চাই আমার নাতী পৃথিবীতে আসার আগে ওর মাথা থেকে অবৈধ নামক কলঙ্কটা মুছে যাক।
আয়াত: হ্যা বাবা। একদম ঠিক বলছো।
তারপর মুটামুটি ঘরোয়া আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়ে গেলো। তনয়া অসুস্থ বলে বেশি জাকজমক করে নি।
অনু তনয়াকে আয়াতের রুমে নিয়ে আসলো। রুমটা খুব সুন্দরভাবে সাজানো।
আয়াত: তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে বিউটিফুল।
তনয়া লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ফেললো।
আয়াত: লজ্জা পেলে কাজ হবে না আমার উওরটা চাই হুমমম।
তনয়া: দিবো না।
আয়াত: তাহলে কিন্তু আবার চলে যাবো।
তনয়া আয়াতের মুখটা চেপে ধরে,,,,,
তনয়া: ঠেং ভেঙ্গে খোড়া করে ঘরে রেখে দিবো।
আয়াতকে জড়িয়ে ধরে আই লাভ ইউ টু।
তারপর সারারাত মিলে দুজনে গল্প করলো। দুজনের মনে যে হাজারো কথা জমে আছে। জমে আছে অনেক ঝগড়া,,ভালোবাসা,
,খুনসুটি।
তার কয়েকদিন পর ওদের কোল জুড়ে আসলো ছোট একটা পরী।
পরীটাকে এখন কেউ অবৈধ বলতে পারবে না। কারণ পরীটা আয়াত আর তনয়ার ভালোবাসাকে মনের ডোরে বেধে দিয়েছে। পরীটার উপর থেকে মুছে গিয়েছে অবৈধ নামক কলঙ্ক।