গল্প :-অবৈধ -----♥
.
লেখক:- #RJ_Nayem_Ahmed
.
পর্ব :-০৭ ~~~~
.
.
.
আয়াত: সে আর কেউ না।
তোমার নিজের "মা"
তনয়া "মা" কথাটি শুনে ঠিক বিশ্বাস করতে পারলো না। তাই আবার জিজ্ঞেস করলো,,,,
কার নাম বললা আয়াত???
আয়াত: জানি আমার কথাটা তুমি ঠিক হজম করতে পারছো না বা বিশ্বাস করতেও তোমার কষ্ট হবে। কিন্তু এটাই সত্যি যে আমাকে কিডনাপ তোমার মা ই করিয়েছে।
তনয়া: আয়াত!! তুমি কি বলছো এসব??? তোমার মাথা ঠিক আছে তো???
আয়াত: তনয়া আমি জানি আমার কথা তোমার বিশ্বাস হচ্ছে না। হবার কথাও না। কারণ আমি জানি পৃথিবীতে তুমি তোমার মাকে সব থেকে বেশি ভরসা করো। কিন্তু আমি যেটাই বলছি সেটাই সত্যি। আমাদের অনাগত সন্তানকে ছুয়ে বলছি,,,,
(তনয়ার পেটে হাত রেখে) আমি সত্যিই বলছি।
তনয়া: দেখো আয়াত আমি জানি তুমি সত্যি বলছো। কিন্তু আমার মনে হয় তুমি হয়তো ভুল দেখেছো বা জেনেছো। দেখো অনেক সময় চোখ যেটা দেখা সেটা তো ভুলও হয়। মা তোমার সাথে এমনটা কেন করবে???
আয়াত: সে প্রশ্নতো আমার মনেও???
তনয়া: কিন্তু তুমি কি করে বুঝলা যে তোমাকে মা কিডনাপ করেছে???
আয়াত: দেখো তনয়া এর আগেও মানে তিন চারমাস আগে আমি একবার পালাতে সক্ষম হয়েছিলাম। পালিয়ে সোজা মেইন রোডে আসলাম। ভাবলাম কোনো গাড়িতে লিফট নিয়ে শহরে চলে আসবো। আমাকে দেখে একটা গাড়ি থামলো। গাড়ি থেকে তোমার মা বেরোলেন। আমি ভাবলাম হয়তো আল্লাহ আমার উপর রহমত করেছেন।
তিনি প্রথমে আমার সাথে খুব ভালো করে কথা বলছিলেন। গাড়িতে উঠে কিছুদুর আসার পর আমার মাথায় কেউ ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত করলো। আমি আবার বেহুস হয়ে গেলাম।
জ্ঞার সিজেকে আবার বন্ধ ঘরে বাধা অবস্থায় আবিষ্কার করলাম। কিন্তু চোখ খুলতেই দেখি আন্টি আমার সামনে এতটা চেয়ারে বসে আছে। আর আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। আমি আন্টির এমন রুপ দেখে হতভম্ব হয়ে গেলাম। আর তাকে জিজ্ঞেস করলাম,,,,,
আন্টি আপনি এমন কেন করছেন?? আর আমাকে কেন এখানে বেধে রেখেছেন???
আন্টি: আয়াত তুমি খুব বোকা। এখোনো বুঝতে পারো নি???
আয়াত: কিন্তু আন্টি আপনি আমার সাথে এমন কেন করছেন??? কি ক্ষতি করেছি আমি আপনার???
আন্টি: তুমি আমার কোনো ক্ষতি করো নি। কিন্তু তোমার তনয়া করেছে।
আয়াত: মানে?? ও তো আপনার মেয়ে??
আন্টি: মানে টা না পরে একদিন জানলে।
আয়াত: প্লীজ আমাকে ছেড়ে দিন আন্টি। এখন আমার তনয়ার পাশে থাকা দরকার।
আন্টি: সেজন্যই তো তোমাকে কিডনাপ করলাম।
দেখো আয়াত তোমার সাথে আমার কোনো শত্রুতা নেই। কিন্তু তনয়াকে আমি ঘৃণা করি। প্রচন্ড ঘৃণা। তনয়াকে কষ্ট দেওয়ার জন্যই তোমাকে আটকে রেখেছি। কাজ শেষ হলে তোমাকে ছেড়ে দিবো। তার আগে চালাকি করলে বেচে ফিরতে পারবে না।
আয়াতের কথা শুনে তনয়া যেনো নিজেকে সামলাতে পারলো না। মাথাটা ঘুরছে। আয়াত তনয়ার হাত ধরে। নিজেকে প্লীজ সামলাও তনয়া।
এই জন্যই তোমাকে আমি বলতে চাই নি।
তনয়া: কিন্তু আয়াত মা কেন আমাকে ঘৃণা করে??? আর তুমি কেন পুলিশকে এ ব্যাপারে বললে না???
আয়াত: আমি চাই নি আমাদের পরিবারের মধ্যে পুলিশ আসুক।
তনয়া: কিন্তু মা এমনটা কেন করলো??? তনয়া খুব কান্না করতে ছিলো। তনয়া শত চেষ্টা করেও যেনো নিজেকে সামলাতে পারছে না।
আয়াত তনয়াকে ঠিক কি দিয়ে সান্ততনা দিবে তা ভেবে পাচ্ছে না।
তনয়া: আমি এখনই মাকে সবটা জিজ্ঞেস করবো?? কেন সে এসনটা করলো??
আয়াত: প্লীজ তনয়া এমনটা করো না। আর হাসপাতালে বসে নিজেদের ঘরের কথা বলা ঠিক না। হ্যা জিজ্ঞেস কইরো কিন্তু এখন না কিছুদিন পর।
তনয়া: কিন্তু আয়াত যতোক্ষন না জানতে পারছি আমি শান্তি পাবো না।
আয়াত: তোমাকে শান্তিু দেওয়ার উপায় আমার কাছে আছে।
তনয়া: কি উপায়??
আয়াত: আমার কাছে আসো,,,
তনয়া: আসলাম তো।
আয়াত তনয়াকে নিজের বুকের মাঝে চেপে ধরলো। খুব শক্ত করে।
আয়াত: এখন শান্তু খুজে পেয়েছো???
তনয়া: পৃথিবীর সব থেকে বেশি খুশি তো এখানেই লুকিয়ে থাকে। জানো একটা মেয়ের জন্য পৃথিবীতে সব থেকে শান্তির আর সুরক্ষিত জায়গা হলো তার স্বামীর বুক।
প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেলো,,,,,,
আয়াত এখন একটু সুস্থ। কিন্তু শরীর খুব ক্লান্ত। পুরো পুরী সুস্থ হতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। এ কয়দিন আয়াতকে পুরো সিকিউরিটির মধ্যে রাখা হয়েছে।
এই কয়দিন তনয়া তার মায়ের সাথে একটা কথাও বলে নি। তাকে আয়াতের কাছে যেতে দেই নি। আর তাকে সব সময় চোখে চোখে রেখেছে। তনয়া সবসময় আয়াতের পাশে থেকেছে।
আজ আয়াতকে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে। তনয়া আয়াতকে বলেছে বাড়ি যাবার সাথে সাথে সব কিছু ফয়সালা করবে। আয়াতকে নিয়ো সবাই আয়াতদের বাড়ি গেলো। তনয়ার বাবা মাও ওদের সাথে গিয়েছে। বাড়ি গিয়ে বসার সাথে সাথে আয়াতদের বাড়ি পুলিশ আসলো।
আয়াতের বাবা: কি খবর অফিসার???
অফিসার: মি. আয়াত যে ছেলেটার কথা বলেছিলো তাকে আমরা খুজে পেয়েছি। আর সেই ছেলে সেই লোকের নাম বলেছে যে আয়াতকে এতোদিন আটকে রেখেছিলো।
আয়াতের মা: কে সেই পাপি শয়তান???
অফিসার: মিসেস তনয়ার মা।
পুলিশের মুখ থেকে এ কথা শুনার পর সবার পায়ের নিচের মাটি যেনো কেপে উঠলো।
আয়াতের বাবা: কি বলছেন এসব??? বেয়ান এসব কাজ কেন করবে??? আপনাদের কোথাও ভুল হচ্ছে।
অফিসার: জ্বি না। আমরা সব কিছু জেনে শুনেই তদন্ত করেই এসেছি। আর আমরা সাদাফকে এরেস্ট করেছি। সেই আমাদের আমাদের সব বলেছে।
আয়াতের বাবা: কিন্তু???
তনয়া: বাবা ওনারা সত্যি কথা বলেছেন?? এসব কিছু আমার মা ই বলেছে।
আয়াতের বাবা: তনয়া তুমি এসব কি বলছো???
তার মানে তুমি সব জানতে তনয়া??
তনয়া: হ্যা বাবা জানতাম। আয়াত হাসপাতালে বসে আমাকে সব বলেছে। কিন্তু আয়াতের অনুরোধে আমি চুপ ছিলাম। কিন্তু আর না।
এবার তনয়ার মা মুখ খুললেন,,,,,
তনয়ার মা: কি বলছিস এসব??? আমি কেন এমনটা করবো???
তনয়া: সে প্রশ্নতো আমার মনেও মা?? কেন???
তনয়ার মা: আয়াত মিথ্যা বলছে,,,,
তনয়া: একদম চুপ মা। তোমাকে মা বলতেও আমার লজ্জা লাগে। মা তো সে যে নিজের সন্তানের জন্য জীবন পর্যন্ত দিয়ে দেয়। কিন্তু তুমি মা নিজজের সন্তানের জীবন নষ্ট করতে চাইছো?? কেন?? মা?? বলো???
তনয়ার বাবা এতোক্ষণ চুপ ছিলো কিন্তু এখন আর চুপ থাকতে পারলো না। এবার বললেন------?????
.
.
♥-----"To be Continue"----♥