গল্প :-
--------""অহংকারী মেয়ে""♥
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
★---------পর্ব :- ০৫~~~~
.
.
মিস শান্ত ওপপপস স্যরি মি.শান্ত আমাদের বাড়ির বিশ্বস্ত চাকর।সে ১২ বছরের উপরে হয় আমাদের বাড়িতে চাকরের মতো কাজ করে যাচ্ছে।(এনি)
-এই এই ওয়েট ওয়েট তুই আমার বয় ফ্রেন্ডকে এমন সবার সামনে ছোট করছিস কেনো?(জুই)
-ওরে ছোট করার কি আছে? ও যেমন ঠিক তেমন ই বললাম
-তোর কি যোগ্যতা আছে যে তুই শান্তর বদনাম গাচ্ছিস?
-এটা ওরে বল
-শান্ত এই ভার্সিটির সবচেয়ে ভালো স্টুডেন্ট, সবচেয়ে ভদ্র ছেলে,ওরে নিয়া অনেকে স্বপ্ন দেখে।
-হি হি হি স্বপ্ন দেখে?
-হ্যা
-কই আমি তো দেখি না
-তুই কাকে নিয়া স্বপ্ন দেখবি? তোর এসব আবেগ ভালোবাসা নাই,আমার ভাবতেও কেমন জানি লাগে যে তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।
-জুই শুধু শুধু একটা ছেলের জন্য বাজে বকিস না
-বাজে কি বলছি? তোর মনে কখনো এসব আসছে? প্রত্যেকটা মেয়ের ইচ্ছা থাকে তার স্বামি যেনো তাকে অনেক বেশি ভালোবাসে।আমার শান্ত কে আগেও ভালো লাগতো আর এখন তো বয়ফ্রেন্ড কয়দিন পরে স্বামী হবে। আমার মনে হয় তোর লাইফে এখনো টাকা ওয়ালা ছেলে আসে নাই।এমন ছেলে আসলে যেইভাবে হউক নিজের করে নিস বলে শান্তর হাত ধরে অন্য কোনো জায়গায় যায়।
-ওরে এভাবে বলা ঠিক হয় নাই(শান্ত)
-তো কিভাবে বলবো?
-ও মনে হয় অনেক রাগ করছে
-করলে করবে, কত্তো বড় সাহস আমার শান্তকে ছোট করতে আসছে বলে জুই শান্তর কাধে মাথা রেখে নিশ্বাস ফেলে।
শান্ত তখন মাথায় হাত রেখে কপালে একটা চুমু খেয়ে এক হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে।
এনি বাসায় গিয়ে জুই এর কথাগুলো ভাবছে।
আসলেই তো আমি কখনো প্রেমে পরিনি। আমি এমন কেনো? কত ছেলেই তো প্রপোজ করছে কিন্তু কারোর প্রেমে সারা দেয় নাই।
শান্তরে দেখতে তো ভালোই লাগে কিন্তু আমি কেনো ওর সাথে এমন করি?
আর জুই আমাকে এমন ভাবলো?
ভাবলে ভাবুক, আমিও দেখবো তাদের প্রেম কতটুকু যায়।শান্ত তখন বাসায় আসে।
আজকে এনির সামনে পরার পরেও কোনো কিছু বলে নাই।এই প্রথম এনি তাকে সামনে পেয়েও কিছু না বলে ছেড়ে দিলো।শান্ত রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে জুই এর সাথে কথা বলা শুরু করে।
পরেরদিন এনি ভার্সিটিতে গিয়ে দেখে শান্ত আর জুই একসাথে বসে আছে আর হাসাহাসি করছে।জুই এনিকে দেখে শান্তকে হালকা করে কিছ করে।
-এই সবার সামনে এসব কি করছো(শান্ত)
-তো কি হয়ছে? বলে শান্তর ঠোটে আরেকটা দেয়।
এনি এসব দেখে রাগি মুখে সামনে থেকে চলে যায়।ক্লাস শেষে শান্ত আর জুই একসাথে হাত ধরে হেটে হেটে বাহিরের দিকে যাচ্ছে আর এনি তাদের দিকে চেয়ে আছে আর ভাবছে জুই কতো চেইন্জ হয়ে গেছে। এতদিনের বন্ধুত্ব শেষ করে দিয়ে ও একটা ছেলের হাত ধরে হাটছে। এসব ভাবতে এনি বাসায় যায়।
শান্ত বাসায় যাওয়ার পরে এনির বাবা তাকে খোজ করে তখন সে এনির বাবার সামনে যায়।
-আংকেল কিছু বলবেন?
-আজকে আমরা সবাই একটা অনুষ্টানে যাবো সাথে তুমিও যাবে
-আংকেল না গেলে হয় না?
-আমাদের সাথে যেতে পারলে ভালো হতো
-ওকে
সন্ধ্যার দিকে গাড়ি নিয়ে বের হয়।এনির সামনের সিটে আর এনির মা-বাবা পিছনে বসে আছে।
এনির বাবার বন্ধুর বাড়ির উদ্দেশ্যে যায়। আজ নাকি তাদের ওখানে কিসের অনুষ্টান যেনো আছে তাই এখানে সবার আসা।
গাড়ি পার্কিং করে বাসায় আসার পরে এনির বাবার বন্ধুর ছোট মেয়ে এনির কাছে আসে
-আপু কেমন আছো?(নিশি,পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ে)
-হুম ভালো, তুমি কেমন আছো?(এনি)
-হুম ভালো,আপু এই ছোলেটা কে?
-এমনি কেউ না
-বুঝছি
-কি বুঝছো?
-এটা কি তোমার বয় ফ্রেন্ড? তোমার সাথে অনেক ভালো মানাবে বলে হাসি মারে
-এই কি বলছো এসব?
-তোমার বর নাকি?
-নিশিইইই চুপ করো
-আচ্ছা বলে চলে যায়।
নিশি যাওয়ার পরে এনি শান্তর দিকে খেয়াল করে দেখে শান্ত নিচের দিকে চেয়ে চেয়ে মোবাইল টিপছে আর নিজে নিজে হাসতাছে ।এনি তখন ভাবে হয়তো জুই এর সাথে চ্যাটিং করতাছে।
এভাবে অনুষ্টান শেষ হওয়ার পরে সবাই আবার গাড়ি করে বাসায় চলে আসে।
দুইদিন পরে ভার্সিটিতে গিয়ে দেখে শান্ত আর জুই হাত ধরে ধরে কথা বলছে আর হাসাহাসি করতাছে এনি তখন তাদের চোখে ধরা না দিয়ে বাসায় চলে আসে।
এনি তার মা-বাবাকে সামনে রেখে......
-বাবা
-কি হয়ছে বল
-তোমাকে একটা কথা বলার ছিলো
-কি বলবি বল
-কথাটা একটু ডিফারেন্ট
-আরে বল
-আমি শান্তকে বিয়ে করবো
-কিহহহহ(এনির বাবা অবাক হয়ে)
-হ্যা বাবা
-কিন্তু তুইতো ওরে একদম সহ্য করতে পারিস না,সারাক্ষণ ঝগড়া লেগে থাকিস, হঠাৎ এমন পরিবর্তন হলি কিভাবে?
-বাবা আমি এসব কিছু জানিনা, তারাতারি বিয়ের ব্যাবস্থা করো
-সামনে তোদের পরীক্ষা
-পরীক্ষা আরো ৫ মাস আছে
-তোর কি হয়ছে বল তো
- কিছু না, শান্ত তো তোমাদের পছন্দের ছেলেই, শান্তর সাথে বিয়ে দিতে কোনো আপত্তি আছে নাকি?
-নাহ
-তাহলে তারাতারি শান্তকে বলে বিয়ের ব্যাবস্থা করো বলে এনি রুমে চলে যায়।
এনির বাবা শান্তকে ডেকে এসব বলার পরে..........
.
.এনির বাবা শান্তকে ডেকে.....
-বাবা একটা কথা ছিলো (এনির বাবা)
-জি আংকেল বলেন
-কথা টা কিন্তু পার্সোনাল
-আগে বলুন
-আমাদের এনি তোমাকে বিয়ে করতে চায়
-কিহহহ
-হ্যা
-আংকেল আমি পারবো না
-কেনো বাবা
-কিছু সমস্যা আছে,আর আমি এখন বিয়ের জন্য প্রস্তুত নয়
-কি হয়ছে? আর কি সমস্যা?
-আংকেল আমি একটু রুমে যায় প্লিজ,বলে শান্ত রুমে আসার সাথে সাথে জুইকে ফোন দিয়ে সব কিছু বলে।
-এই শান্ত এসব কি বলছো?(জুই)
-হ্যা
-না না না এটা হতে পারে না,আমি তোমাকে সত্যিকারের ভালোবাসি
-আমিও রে জুই, আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না বলে কান্না করে দেয়।
-জুই ও কান্নায় ভেঙ্গে পরে।
-এই কান্না করছো কার সাথে(এনি)
-তুমি?
-ওহহহ ডিস্টার্ব করলাম নাকি?
-মানে?
-জুই এর সাথে আর কথা বলবানা
-আমি জুইকে ভালোবাসি
-ঐ চুপ,এই মুখে জুইয়ের নাম নিবি তাহলে খুব খারাপ হবে বলে দিলাম।
-এনি আমি এটা বিশ্বাস করি যে তোমাদের ফেমিলির জন্য আমি পড়ালেখা করতে পারছি,এতে আমি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো।
প্লিজ এনি আমার সাথে এসব টা কইরো না, আমি জুইকে বড্ড বেশি ভালোবাসি , আমি জুইকে ছাড়া বাচতে পারবো না
-নাটক বন্ধ কর
শান্ত তখম এনির পায়ে ধরে ফেলে,
-এই এই কি করছিস?
-প্লিজ আমাকে জুইয়ের কাছ থেকে আলাদা কইরো না। জুই আমার সব
-এখন কি তোর সিনেমা বন্ধ করবি নাকি অন্যকিছু করবো?
-অন্য যা কিছু করো কিন্তু জুইয়ের কাছ থেকে আমাকে সরিয়ে নিও না
-চুপ ছোট লোকের বাচ্চা বলে এনি চলে যায়।শান্ত তখন কান্না করতে থাকে।
-এনি(এনির বাবা)
-হ্যা বাবা বলো(এনি)
-বিয়েতে মনে হয় শান্ত রাজি না
-কেনো?
-জানিনা
-বাবা আমি এসব কিছু জানিনা, আগামী দুই দিনের মধ্যে ওর সাথে বিয়ে হতে হবে
-ও তো রাজি না,তাহলে কি করবো?
-দরকার হলে জোর করো
-সবকিছু জোর করে হয় না
-আপোষে কেউ না দিলে জোর করে আদায় করে নিতে হয় আর যদি না পারো তাহলে তুমি তোমার একমাত্র মেয়েকে হারাবা
-এসব বাজে বকছিস কেনো?
-বাজে বকছি না, সত্যি সত্যি খারাপ কিছু করে ফেলবো।
-তুই রুমে যা আমি দেখতাছি।
বলে এনির বাবা শান্তর রুমে প্রবেশ করে।
-বাবা আমি একটা কথা বলি?
-জি আংকেল বলেন
-আমাকে কি তোমার বাবার মতো মনে হয় না?
-হ্যা
-যদি বাবা ভাবো তাহলে এই অনুরোধটা রাখো প্লিজ
-আরে আংকেল এসব কি করছেন,আপনি রুমে যান, যা ভালো হয় তা করেন
-এনির বাবা তখন খুশি মনে রুম ত্যাগ করে।
শান্ত তখন জুইকে ফোন করে বলে তার সাথে দেখা করতে।
দুজনে দেখা করার পরে দুজন দুজনের চোখে চোখ রেখে কান্না করে দেয়।
জুই তখন শান্তকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কান্না করে দেয়।
শান্ত ও নিশ্চুপ থেকে কান্না করে দেয়।
-শান্ত আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না (জুই)
-জুই আমি ও, তোমাকে ছাড়া থাকা কোনো ভাবেই সম্ভব না
-এটা কি ফিরানো যায় না?(জুই)
-যে আমাকে ১২ বছর হয় লালন পালন করতাছে তার বিপরীতে একটা কথা বলবো কি জ্ঞান নিয়ে?
-তাহলে কি আমাদের মিলন হবে না?
-আমি তোমাকে বিয়ে করবোই
-শান্ত আমি তোমাকে ছাড়া একটা মুহূর্ত ও ভাবতে পারিনা
- আর ভাবতে হবে না (পিছন থেকে এনি)
-জুই তখন দৌড়ে উঠে এনিকে জড়িয়ে ধরে বলে, এনি বইন আমার আমাদের সাথে এসব করিস না
-আমাদের বিয়েতে আসিস
-এনি সেই ক্লাস ওয়ান থেকে আমি তোর বেস্টফ্রেন্ড , তুই আমার সাথে এসব করতে পারবি?
-স্বামীর ভাগ আপন বোনকেও কেউ দেয় না আর সেই জায়গায় তো তুই বান্ধবী
-প্লিজ এনি, আমি শান্তকে ছাড়া বাচতে পারবো না।
এনি তখন শান্তর হাত ধরে টেনে গাড়িতে উঠিয়ে নেয়।
-এনি প্লিজ আমাদের সাথে এই কাজটা কইরো না (শান্ত)
-এখন কি আপনাআপনি চুপ করবি নাকি খারাপ কিছু করতে হবে?
-শান্ত তখন চুপচাপ চোখের পানি ছেড়ে দেয়।
দুইদিন পরে এনি আর শান্ত এর বিয়ে হয়ে যায়।
আজকে দুজনের বাসর রাত,শান্ত ছাদের উপরে গিয়ে জুইকে একটা মেসেজ দেয়।
জুই আমি তোমাকে ভালোবাসি,আমার সবকিছু তোমার, আমাকে এনি কখনোই মন থেকে পাবে না, আমাকে বিশ্বাস করো আগামী ৬ মাসের মধ্যে আমি তোমাকে বিয়ে করবো , প্লিজ বিলিভ মি।
এটা লিখে মেসেজ সেন্ড করে দেয়।
-এখানে কি করছো?(এনি)
-এমনি তে বসে আছি(শান্ত)
-রুমে আসো
-কেনো?
-আসো বলছি
-শান্ত তখন এনির পিছনে পিছনে রুমে যায়।
শান্ত রুমে প্রবেশ করার পরে এনি দরজা লাগিয়ে শান্তর দিকে এগুচ্ছে আর শাড়ির কুচি গুলো এক এক করে খুলছে, এনি যখন শান্তর খুব কাছে চলে আসে শান্ত তখন এনিকে জোরে ধাক্কা দিয়ে ফ্লোরে.........
.
.
♥----"To be Continue"---♥

গল্প :-
--------""অহংকারী মেয়ে""?
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
★--------পর্ব :- ০৪ ~~~ ❤️
.
.
আমাকে বউ হিসাবে কেমন লাগবে?(জুই)
-লাল শাড়িতে হেব্বি মানাবে(শান্ত)
-ওহহহ শিট
-কি?
-ভালোবাসি
-কাকে
-আমি তোমাকে ভালোবাসি
-তেমার মাথা ঠিক আছে?
-হ্যা আমি ঠিক আছি
-ঠিক থাকলে এই কথা কিভাবে বলতে পারলা?
-শান্ত(রাগি চাহনি তে)
-হ্যা বলো
-সত্যিইইই অনেক ভালোবাসি
-এসব আবোলতাবোল না বলে বাসায় গিয়ে রেস্ট নাও
-তোমার সাথে ঘুরতে বের হয়ছি, আরো রাত হউক তারপর যাবো বলে শান্তর হাত ধরে ফেলে
-শান্ত তখন জুই এর দিকে চেয়ে দেখে জুই শান্তর দিকে চেয়ে আছে আর মুচকি হাসছে
-বলো নাহহহহহ
-কি বলবো?
-বলো জুই আমিও তোমাকে ভালোবাসি
-বললে কি হবে?
-আমাদের ছেলে মেয়ে হবে
-ভালোবাসি বললে ছেলে মেয়ে হয় এটা আজ প্রথম শুনলাম
-বলো না
-ভালোবাসি
তখন জুই হাটার মাঝে একটু উকি মেরে ঠোটে একটা কিছ করে লজ্জা পাওয়ার মতো করে নিচে চেয়ে থাকে
-এই এটা কি করলা?
-কি করছি?
-কিছ করার কথা আমি আর কিছ করছো তুমি
-তোমাকে করতে না করছে কে
-থাক এখন করবো না
-কেনো?
-এমনিতে
-না না এখন করতে হবে।
এভাবে সেদিনের মতো কথা বলে তারা তাদের বাসায় যায়।
বাসায় যাওয়ার পরে.......
-আজ এতক্ষণ কোথায় ছিলি?(এনি)
-বন্ধুর বাসায়(শান্ত)
-কোন বন্ধু?
-আমার যে কোনো বন্ধুই থাকতে পারে
-এটা-ই তো, সেটা ছেলে না মেয়ে
-অবশ্যই ছেলে
-ওকে যাহ
শান্ত রুমে গিয়ে ভাবতে থাকে.... জুইকে লাল শাড়ি পরলে আসলেই মানাবে। মেয়েটা অনেক ভালো,ওর চেহারায় মায়া আছে ঠিক তখনি জুই এর ফোন আসে।
-কি করো(জুই)
-শুয়ে শুয়ে কারো কথা ভাবছি(শান্ত)
-এই এই কার কথা
-কার আবার, এখন আমার সাথে যে কথা বলছে তার কথা ভাবছি
-সত্যিইইইই
-হুমম
-এই এই কি ভাবছো বলো না
-ভাবছি তোমাকে বিয়ে করবো
-কুত্তা না করলে তোর খবর আছে।
এভাবে আরো অনেক্ষন কথা বলে।
পরেরদিন শান্ত নীল পান্জাবি পরে ভার্সিটিতে যায়।
জুই ক্যাম্পাসে অনেকক্ষন হয় অপেক্ষা করছে।
শান্ত যাওয়ার সাথে হাসি দিয়ে চোখ টিপ মারে।
শান্ত তখন জুই এর দিকে চেয়ে শান্ত ও চোখ টিপ মারে
-ক্লাস শেষে আজকে একজায়গায় যাবো(জুই)
-কোথায়?
-ঐ পাশের এলাকায় একটা লেক আছে অনেক সুন্দর
-ওকে
ক্লাস শেষে দুজনে ওখানে গিয়ে বসে।
শান্ত বসার পর জুই শান্তর কাধে মাথা রেখে বসে পরে।
-তোমার সাথে কিছু কথা আছে(শান্ত)
-এখানে তো কথা বলার জন্যই আসছি, বলো(জুই)
-আমাকে কি তুমি সত্যি ভালোবাসো নাকি আমার সাথে খেলা করছো?
-শান্ত তুমি আমার জীবনের প্রথম ভালোবাসা,আমি তোমাকেই ভালোবাসি
-আমার জীবন সমন্ধে তুমি মনে হয় সব কিছুই জানো
-হ্যা না জেনে কি ভালোবাসছি নাকি?
-সব জেনে শুনেও ভালোবাসবা?
-হ্যা, সারাজীবন ভালোবাসতে চাই বলে জুই শান্তকে জড়িয়ে ধরে বুকে মাথা রাখে
-কেউ দেখবে তো
-দেখলে আরো ভালো হবে
-কেউ দেখলে ইচ্ছামতো মারবে
-মারলেও ভালো, মারার পরে দুজনের বিয়ে দিয়ে দিবে
-ওমাহহহ, এত বুদ্ধি?
-তখন জুই হেসে দেয়
-এই একটা ই দাও(জুই)
-কি?
-কিছ করো
-এই জায়গায়?
-হ্যা,ভয় পাও নাকি?
-কেউ দেখবে তো
-দেখবেনা
-দেখলে প্রবলেম হবে।
জুই তখন শান্তর মুখটা কাছে এনে কয়েক সেকেন্ডে কয়েকটা কিছ করে দেয়।
শান্ত আর জুই এভাবে কতক্ষণ থাকার পর বাসার উদ্দেশ্যে যায়।
শান্ত বাসায় যাওয়ার পরে......
-ক্লাস কখন শেষ হয়ছে?(এনি)
-সেটা তো তুমি ও জানো
-ক্লাস শেষ হয়ছে ৩ঘন্টা আগে, এতক্ষণ কোথায় ছিলি?
-যেখানেই যায় সেটা তোমার জানতে হবে না
-এই বাড়িতে তুই কি হিসাবে থাকিস?
-আংকেল আন্টির ছেলের মতো হয়ে
-হি হি হি
-হাসার কি আছে?
-এটা না বলে বল বিশ্বস্ত চাকর
-তুমি যেটা মনে করো সেটাই বলে শান্ত তার রুমে চলে যায়।
তার ১০-১৫ মিনিট পরে এনি শান্তর রুমে যায় কিছু বাজার আনানোর জন্য।
এনি রুমে যাওয়ার পরে শান্তর মোবাইল থেকে একসাথে দুইটা মেসেন্জারের নটিফিকেশনের সাউন্ড আসে।
এনি তখন শান্তর মোবাইল টা হাতে নিয়ে যা দেখলো তা দেখে তার মাথা নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো।
.এনি দেখে জুই এর আইডি থেকে কয়েকটা মেসেজ আসছে এরকরম,বাবু বাসায় গেছো? খেয়ে নিও কেমন।
আর হ্যা শুনো কালকে আমার ফেবারিট জায়গায় যাবো তোমাকে সাথে করে নিয়ে।
এসব দেখে এনির মাথায় রক্ত উঠে যায়।
তখন শান্ত ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে আসে।
-আজকে কোথায় গেছিলি?
-ফ্রেন্ডের বাসায়
-জুই তোর ফ্রেন্ড?
-মানে?
-কিছু বুঝিস না?
-কি বলছো?
-জুই এর সাথে কোথায় গেছিলি?
-কেনো?
-এই কুত্তার বাচ্চা তোরে না বলছি আমাকে প্রশ্ন করবি না
তা ও প্রশ্ন করিস কেন এই বলে শান্তর গলায় খামচি মারে।
শান্ত তখন ব্যাথায় কান্না করে দেয়।
-এই তোর নাটক কান্না বন্ধ কর,বল কোথায় গেছিলি?
-পার্কে
-কেনো?
-জুই নিয়ে গেছে
-নিয়ে কি বলছে?
-অনেক কিছু
-বল কি বলছে?
-শান্ত তখন চুপ হয়ে থাকে
-প্রেম হয়ে গেছে তাই না?
ভালোই ধান্দা বাইর করছিস।
-কি সব যা তা বলছো? আমি কেনো ধান্ধা করবো?
-বড় লোকের মেয়ের সাথে প্রেম করছিস, তারপর বিয়ে করতে পারলে লাইফ সেটেল তাই না?
-হ্যা বলে শান্ত বারান্দার দিকে চলে যায়।
হ্যা বলছে কারন শান্ত জানে ওর কাছে যতক্ষন না মাথা নত না করবে ততক্ষণ সে খোচাবে।
পরেরদিন শান্ত বের হয়ে
জুই যেখানে বলছে শান্ত সেখানে যায়।
জুই এর সাথে দেখা হওয়ার সাথে সাথে জুই শান্তর হাত ধরে...
-এই এত দেরি হলো কেনো?
-ঠিক সময় ই তো আসছি
-আমি অনেক্ষন হয় এসে বসে আছি বলে শান্তর হাতে জড়িয়ে ধরে কাধে মাথা রাখে।
কাধে মাথা রাখার পরে গলার দিকে নজর যায়।
-এইটা কিসের দাগ(জুই)
-কোথায়?
-গলায়
-এমনিতে ওগুলো কিছু না
-কিভাবে হয়ছে বলো
-আরে কিছু না
-মিথ্যা ও বলতে পারো
-আরে তা না
-কিভাবে হয়ছে বলো
-বাদ দাও না
-এটা খামচির দাগ,এনি তোমাকে খামচি দিছে
-হুম
-কেনো?
-কালকে যে তুমি টেক্সট করছো ওগুলো ও দেখে ফেলছে
-কিভাবে দেখছে?
-আমি মোবাইল চার্জে লাগিয়ে ওয়াশ রুমে গেছিলাম ঠিক তখন ই তোমার মেসেজ আসছিলো
-তুমি কি প্রতিবাদ করতে পারো না?
-সবাই প্রতিবাদ করতে পারে না
-কেনো পারবেনা?
-তোমাকে আগেই বলছিলাম যে যেই পজিশনে থাকে সে বুঝে তার জায়গাটা কেমন
-আমি ওকে দেখে নিবো
-এসব বলতে হবে না
-কেনো?
-আমাকে এমনিতেই সহ্য করতে পারে না এর মধ্যে এমন হলে তো আরো সহ্য করতে পারবে না।
শান্ত আর জুই আরো কতক্ষণ সময় কাটিয়ে ক্লাসের সময়ে ভার্সিটিতে গিয়ে উপস্থিত হয়।
শান্ত ভার্সিটিতে গিয়ে ফ্রেন্ডদের সাথে চলে যায়।
জুই ও তাদের বন্দুর সাথে মিশে যায়।
-কোথায় গেছিলি?(এনি)
-বয় ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে(জুই)
-বয় ফ্রেন্ড বানিয়ে নিছিস? কে রে সে (অন্যান্য বন্দু)
-আছে, আমাদের ক্লাসমেট ই
-নাম কি বল না রে(বন্দু)
-দোস্ত ট্রিট দে(আরেকজন)
-তোর মোবাইল টা দে একটু(এনি)
-দিচ্ছি বলে শান্ত আর জুইয়ের লিপ কিছের একটা ছবি ওয়াল পেপার দেয়।
-নে বলে জুই মোবাইল টা হাত বাড়িয়ে দেয়।
-এনি মোবাইলের ওয়ালপেপারে এসব ছবি দেখে রাগে নাক মুখ লাল হয়ে যায়। এনি সাথে ওয়ালপেপার টা দেখার সাথে সাথে মোবাইল টা আবার জুইকে ফিরিয়ে দেয়।
-কি রে নাম বলবিনা?(রাফি নামে একটা ছেলে)
-জুই তখন সবার সামনেই শান্তকে ফোন দিয়ে আসতে বলে।
শান্ত তাদের কাছাকাছি এসে দেখে এনি ও সেখানে উপস্থিত।
শান্ত এনিকে দেখে একটু একটু ভয় ও পাচ্ছে।
শান্ত আসার পরে জুই সবার সামনে হাত ধরে বলে...
-এই ভার্সিটির টপ স্টুডেন্ট আমার অনেক দিনের ক্রাশ। সেমিস্টার শেষের দিকে তাই আর দেরি না করে ওকে সব কথা বলে দিলাম। শান্ত ই আমার স্বপ্ন বলে সবার সামনেই তার কাধে মাথা ফেলে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।
তাদের মধ্যে সবাই অভিনন্দন জানাচ্ছে শুধু এনি ছাড়া।
-কি এনি কথা বলছিস না যে?(জুই)
-এনি মনে হয় তোর জামাইরে পছন্দ করতো বলে সবাই হেসে দেয়।
-মালিক কখনো চাকরেরর কাছে বিয়ে বসে?
-মানে?(সবাই অবাক হয়ে)
-মিস শান্ত ওপপপস স্যরি মি.শান্ত আমাদের বাড়ির বিশ্বস্ত চাকর। সে ১২ বছরের উপরে হয় আমাদের বাড়ির চাকরের মতো করে কাজ করে যাচ্ছে।
জুই তখন.......... ♥
.
.
♥----"To be Continue"---♥

image

#RU_University_Job
#Jobs_in_Rajshahi
স্নাত্বক পাশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ।
আবেদন করতে বিস্তারিত দেখে নিন- https://bit.ly/2GJUjnJ
আবেদন করার শেষ তারিখ: ১০ মার্চ ২০১৯ইং ।

স্নাত্বক পাশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ।
bit.ly

স্নাত্বক পাশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ।

আবেদন করার শেষ তারিখ: ১০ মার্চ ২০১৯ইং ।
Circular created a new article
6 yrs

স্নাত্বক পাশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি । | #Rajshahi University job Circular 2019 – www.ru.ac.bd

স্নাত্বক পাশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ।

স্নাত্বক পাশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ।

আবেদন করার শেষ তারিখ: ১০ মার্চ ২০১৯ইং ।

#mahinalmaruf

image

?সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি :

বিভিন্ন সূত্র জানাচ্ছে যে, আমাদের প্রায় সবার একাউন্ট ক্লোন করা হচ্ছে! আপনার প্রোফাইল পিকচার এবং নাম দিয়ে আরেকটি একাউন্ট খোলা হচ্ছে! এরপর তারা আপনার বন্ধুকে বন্ধুত্বের রিকোয়েস্ট পাঠাচ্ছে। আর আপনার বন্ধুরা আপনি ভেবে তা গ্রহণ করছে। আর বিভিন্ন সরকার বিরোধী ধর্মবিরোধী যা আপনাকে ফাঁসাতে লেখা ছবি পোস্ট করবে। এই সুযোগে এই তস্করের দল তাদের বার্তা ছড়াবে আপনার পরিচয়ে। আমি নিশ্চিত করে জানাচ্ছি যে, আমার নামে নতুন করে আর কোন একাউন্ট খোলার কোন ইচ্ছা বা পরিকল্পনা আমার নেই। তাই আমার এই একাউন্ট ব্যতিত অন্য কোন একাউন্ট থেকে দ্বিতীয় কোন রিকোয়েস্ট আসলে তা গ্রহন করবেন না।
এবং কেউ আমার পরিচয়ে ভ্রান্তি ছড়ালে আমি দায়ি নই। এই ম্যাসেজটি কপি পেস্ট করে আপনার ওয়ালে রাখুন। আমিও রাখলাম। নিজে বাঁচুন, অন্যকেও বাঁচান। ধন্যবাদ।

প্রথম প্রেম কি ভোলা যাই ?
- উহা বরিশাল পর্যন্ত যাই ! ???

স্বনামধন্য প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড Prime Bank Limited নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
অনলাইনে এখান থেকে আবেদন করা যাবে
আবেদনের লিংক ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখুন এখানেঃ...https://bit.ly/2GJ9Gg6
আবেদন করুন ০২ মার্চ ২০১৯ এর মধ্যে।

অফিসার পদে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড- এ নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ।>>> অনলাইনে আবেদন করতে ক্লিক করুন..
bit.ly

অফিসার পদে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড- এ নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ।>>> অনলাইনে আবেদন করতে ক্লিক করুন..

Prime Bank Limited Job circular Application Online start on 2019. Career Opportunity at prime bank Limited from Bangladesh. Civil Engineer,Senior Civil Engineer,Junior Civil Engineer – Construction Position are available now. See Below for more infor
Circular created a new article
6 yrs

অফিসার পদে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড- এ নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ।>>> অনলাইনে আবেদন করতে ক্লিক করুন.. | #primebank.com.bd

অফিসার পদে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড- এ নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ।>>> অনলাইনে আবেদন করতে ক্লিক করুন..

অফিসার পদে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড- এ নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ।>>> অনলাইনে আবেদন করতে ক্লিক করুন..

Prime Bank Limited Job circular Application Online start on 2019. Career Opportunity at prime bank Limited from Bangladesh. Civil Engineer,Senior Civil Engineer,Junior Civil Engineer – Construction Position are available now. See Below for more information. You have to apply this bank jo