গল্প :-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে""
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- ১২~~~ ♥
.
.
এদিকে কণার চিঠিটা পড়ে নিজের
অজান্তেই চোখের পানিতে ভেসে যাচ্ছে
বুক, টপ- টপ করে চোখের পানি পড়ে চিঠিটা
ভেঁজে যাচ্ছে। কণাকে দাফন করে, রওনা
দিলাম ' সজিবের কাছে বোনের মৃত্যুর
প্রতিশোধ নিতে। কিন্তু গিয়ে যা দেখলাম
তা দেখায় একেবারে প্রস্তুত ছিলাম না
আল্লাহ এতো বড় শাস্তি দিয়েছে
সজিবকে। সজিব তাঁর মা বাবার লাশের
কাছে বসে কাঁদছে। আঙ্কেল আন্টি রোড
একসিডেন্টে কাল রাতেই মারা যায়।
নিজের অজান্তেই চোখ থেকে দু'ফোটা
অশ্রু গড়িয়ে পড়তে লাগলো। শত্রু হলে কী
হবে, তাঁর মা- বাবাকে সবসময় নিজের মা
বাবা মনে করতাম। আজ তাঁরা দুজন নিশ্চুপ
হয়ে শুয়ে আছে। আঙ্কেল আন্টির লাশের
পাশে বসে পড়লাম। একটা হাত সজিবের
কাঁধে রাখতেই, সজিব চোখের পানি ছেঁড়ে
দিয়ে জড়িয়ে ধরলো। বুকের মাঝে বোন
হারানোর পাহাড়সম কষ্ট চাঁপা রেখে যে
হাতে নিজের কলিজার টুকরা বোনটাকে
মাটি দিয়েছি, সে হাতেই পাপিষ্ঠ'টাকে
জড়িয়ে ধরলাম! বুকটা ধুঁমড়ে-মুচড়ে যাচ্ছে।
বুকের মাঝে বোন হত্যার প্রতিশোধের আগুন
দাউ-দাউ করে জ্বলছে! এদিকে দেখি সজিব
ছোট বাচ্চার মতো বুকে মুখ লুকিয়ে কান্না
করছে।
.
এই সজিব, মা- বাবা কারো চিরকাল বেঁচে
থাকেনা।যে পাঠিয়েছে আঙ্কেল - আন্টি
তাঁরই ডাকে সাড়া দিয়েছে। এতে আমাদের
কারো কিছু করার নেই! এখন যদি এভাবে
কান্না করিস তাহলে আঙ্কেল -আন্টির
আত্মা কষ্ট পাবে। প্লিজ আর কাঁদিস না।
.
দোস্ত আমার আর আপন বলতে কেউ রইলো
নাহ্!
.
সজিব তুই কি আমাকেও ভুলে গেলি, আমি
কি মারা গেছি। আমার মা-বাবা তোর মা-
বাবার মতোই তো।
.
আমার কথাগুলো শুনে, কেমন যানি অপরাধী
দৃষ্টি নিয়ে তাকালো।এদিকে আঙ্কেল-
আন্টিকে দাফন করার পর বাসায় এসে
পড়লাম।
.
রাতে শুয়ে শুয়ে, ভাবছি আল্লাহর বিচার
সবচেয়ে সুন্দর ও নিখুত বিচার। সজিব এর
জন্য আমার বোনটাকে হারালাম। আর
আল্লাহ্ তায়ালা তাঁর মা- বাবাকে তাঁর
থেকে দূরে সরিয়ে দিলেন।
.
পরদিন সকালে সজিবের বাসা থেকে ফোন
আসে, সজিব নাকি কিছুই খায়নি।
.
কথাটা শুনে নিজের অজান্তেই কেমন
যানি লাগছে। খুব কষ্ট লাগছে
বিশ্বাসঘাতক'টার জন্য। তাই, আর দেরি না
করে চলে গেলাম সজিবের বাসায় গিয়ে
দেখি এখনো বসে বসে কাঁদছে। কাজের
মেয়েকে খাবার এনে দিতে বললাম।দোস্ত
হা কর।
.
রাজ ভাই আমি খাবোনা।
.
পাগল হয়ে গেলি। কাল থেকে কিছু
খাইসনি, এভাবে না খেয়ে থাকলে অসুখ
করবে হা কর বলছি। এদিকে সজিব'কে
খাইয়ে দিচ্ছি, আর অন্যদিকে কে যেন
কলিজাতে ছুঁড়ি চালিয়ে দিচ্ছে! যে হাতে
আমার কলিজার টুকরা বোনটাকে খাইয়ে
দিতাম,আজ সে হাতে তাঁর খুনিকে খাইয়ে
দিচ্ছি। হাতটা কেমন যেন কাপঁছে। চোখ
দিয়ে বোন হারানো ব্যথায় বিষাদ সিন্ধুর
জল গড়িয়ে পড়ছে। খাওয়া শেষ হলে সজিব
আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো।
.
রাজ, দোস্ত তুই আমাকে ক্ষমা করে দে, তুই
সত্যি অনেক মহান।
.
কি হলো কাঁদছিস কেনো। আর ক্ষমা কেন
চাচ্ছিস?
.
দোস্ত আমি না """ এ পর্যন্ত বলতেই পকেটে
থাকা ফোনটা বেজে ওঠলো! স্ক্রীনের
দিকে তাকিয়ে দেখি মা ফোন করেছে।
ফোন ধরতেই মা বাসায় যেতে বলে। সজিব
কি যেন বলতে চেয়েও বলতে পারলো না।
আচ্ছা দোস্ত পরে আবার আসবো মা কেন
যানি জরুরী ফোন করেছে বাসা থেকে।
.
গাড়িতে বসে বসে ভাবতে লাগলাম সজিব
তোকে কীভাবে ক্ষমা করি। তুই যে আমার
কলিজার ভেতর ছুঁড়ি চালিয়ে দিয়েছিস।
যে হাতে বোনকে খাইয়ে দিতাম সসে
হাতে বোনকে কবরে দাফন করেছি। তোকে
ক্ষমা করলে যে আমার বোনটার আত্মা
শান্তি পাবেনা। তুই আমার হৃদপিন্ডে
আগেই ছুঁড়ি ডুকিয়ে দিয়েছিস। তোর
বন্ধুত্বের জন্য নিজের ভালবাসাকে
বন্ধুত্বের কাছে কুরবানী দিয়েছি। কথাকে
নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালবাসতাম।
প্রতিটি রাত কথাকে নিয়ে হাজারো
স্বপ্নের জাল বুনেছিলাম। কিন্তু যেদিন, তুই
আমার কাছে বলেছিলি, তুই কথাকে
ভালবাসিস। সেদিন পৃথিবীটা এক মুর্হুর্তের
জন্য আমার চারপাশটা অন্ধকার হয়ে যায়।
কিন্তু তুই যখন বলেছিলি তুই কথাকে ছাঁড়া
বাঁচবিনা তখন আমার পৃথিবীটাই অন্ধকারে
ঢাকা পড়ে যায়। কারণ তুই শুধু আমার বন্ধু
ছিলিনা ছিলি, আমার ভাই। সেদিন তোর
ঠোঁটের কুণে হাসি ফুটানোর জন্য নিজের
হৃদপিন্ডে ছুঁড়ি ডুকাতেও একবিন্দু
কাপর্ণ্যতা বোধ করিনি । কিন্তু বিনিময়ে
আমার বোনটার সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে
আত্মহত্যা করতে বাধ্য করলি । কথা তো
আমার প্রতিটি নিঃশ্বাসে ছিল।আর কণা
ছিল আমার কলিজার টুকরা দুইজনকে তোর
জন্য আজ হারিয়েছি।
.
কথা ডাইরির এই পর্যন্ত পড়ার পর, আর কিছু
দেখতে পারছেনা। চোখ'দুটি ঝাপসা হয়ে
যাচ্ছে। একটা মানুষ এতোটা মহান হয়
কীভাবে, এতটা ভালবাসার পরও নিজের
বন্ধুর মুখের হাসির জন্য নিজের
ভালোবাসাকে কুরবাণী দেয়। আমি তো
রাজকে কখনো ভালো তো দূরের কথা
স্বামী হিসেবেও মানতে পারিনি। শুধু
কষ্টই দিয়েছি।রাজ কী আমাকে ক্ষমা
করবে? চোখ থেকে টপ-টপ করে জল পড়ছে।
ডাইরির পাতা গুলো ঝট লেগে গেছে।
চোখ'টা মুছে আবার পড়তে লাগলো কথা;
মায়ের ফোনে বাসায় এসে শুনতে পারলাম
আজ কণার মৃত্যুর সাতদিন! তাঁই
দোয়া,কালাম পড়বে। ফকির-মিসকিন
খাওয়াবে তাই মা বাজারে যেতে বললো।
.
সারাদিন ক্লান্তি শেষে রাতে, কণার রুমে
গিয়ে বসলাম। হঠাৎ কণার ছবির দিকে চোখ
যেতেই অবাক হলাম। মনে হচ্ছে, কলিজার
টুকরা বোনটা আমায় 'ভাইয়া,ভাইয়া বলে
ডাকছে, মনে হচ্ছে আমার দিকে চেয়ে সে
মুক্তা ঝরা হাসি আবার হাসছে'।এক'পা
দু'পা করে কণা'র ছবিটার কাছে গিয়ে
পলকহীন নয়ন জোড়া নিয়ে চেয়ে রয়েছি।
বোন'টা আমার মিটি-মিটি নয়নে তাঁকিয়ে
মুচকি-মুচকি হাসছে। নিজের অজান্তে
কণা'র ছবিটাতে কাঁপা, কাঁপা হাতে, হাত
ভুলাতে গেলেই। বুকটা কেমন যেন ছ্যাঁত
করে ওঠে।নিঁচের দিকে তাঁকাতেই দেখি,
কণা'র কাঁচের ফ্রেমে বাঁধাই করা ছবিটা
টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে আমার
কলিজা টুকরা, টুকরা হয়ে গেছে। নিঁচ থেকে
কনার ছবি'টা তুলে বুকে জড়িয়ে নিলাম!
বুকটা মনে হচ্ছে কষ্টের সাগর হয়ে গেছে।
চোখ দিয়ে অবিরাম বিষাদ সিন্ধুর জল
গড়িয়ে পড়ছে।
♥-----"To be Continue"--♥ -

গল্প :-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে""
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- ১১ ~২~~ ♥
-- তারপর ভার্সিটি যাওয়া বন্ধ করে দেয়!
কিন্তু বিভ্রাট ঘটে তখন যখন সজিব আমার
কলিজার ' ভাই টা শহরে আসে, সে এসে
ভার্সিটিতে নিয়ে যায় আমাকে।
-- দিনগুলি কথার প্রাণে তাকিয়েই পার
করছিলাম,কিন্তু কথাকে ভুলে যায়নি!
লুকিয়ে নামছাড়া চিরকুট দিতাম, আর আমি
বরাবরের মতোই ফেসবুকে লিখা-লিখি
করতাম, তা সজিব ছাড়া কেউ জানতো না "
কিন্তু কথাও আমার ফ্রেন্ডলিস্টে ছিল এবং
সে তাঁর আইডি দিয়ে লেখাগুলো পড়তো।
তেমনি একদিন কথা গল্প পড়তে পড়তে
তাকে দেওয়া একটা স্ক্রীপ পোস্ট করা পায়
নীচে লেখা' অতিথি পাখি" কথার বুঝতে
বাকি থাকেনা, তার অতিথি পাখিটিই,
তাঁর প্রিয় লেখক নিজের অজান্তেই
ভালবেসে ফেলে নিজের থেকে বেশি।
এদিকে তাঁর চিরকুটের অতিথি পাখিটিকে
দেখার জন্য পাগল প্রায়। কথা
ম্যাসেন্জারে ভয়েস রেকর্ডে কান্না করে
অডিও ক্রীপ দেয়। একটা সময় কথার
পাগলামি গুলি সহ্য না করতে পেরে তার
পর পরের দিন বিকালে কথাকে পার্কে
দেখা করতে বলি!
.
-- কথা এখনো আমাকে দেখেনি! জানিনা
দেখলে কী রকম রিয়াক্ট করবে। এসব ভাবতে
ভাবতে বাসা থেকে পার্কের উদ্দেশ্যে
বের হতেই সজিব এর সাথে দেখা!
.
-- কিরে সজিব হাতে ফুল নিয়ে,পাগলের
মতো কোথায় যাস( আমি)
.
-- দোস্ত তোকে পেয়ে ভালোই হইছে চল
ওখানে বসে কথা বলি? (সজিব)
.
--- হুম কি বলবি বল! (আমি)
.
-- দোস্ত তোকে কীভাবে যে বলি! আমি
একটা মেয়েকে ভালোবেসে ফেলেছি!
তাঁকে ছাড়া বাঁচবোনা! দোস্ত তুই আমাকে
বাঁচা যে ভাবে হয় ওই মেয়েটার সাথে
প্রেম করিয়ে দে! আমাকে বাঁচা। ( সজিব)
.
--- আরে তোর জন্য আমার জীবনও দিতে
পারি! আর তোকে প্রেম করিয়ে দিবোনা!
আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করবো!
.
-- দোস্ত প্রমিজ কর আমাকে ওই মেয়ের
সাথে প্রেম করিয়ে দিবি?( সজিব)
.
-- আচ্ছা তোকে ছুঁয়ে বলছি প্রমিজ বল কোন
সে ভাগ্যবতী রাজকন্যা যে আমার
কলিজার টুকরা বন্ধুটার মন কেঁড়ে নিয়েছে?
.
--- দোস্ত মেয়েটা আর কেউ না! আমাদের
কলেজের সেরা সুন্দরী কথা! বল কীভাবে
কি করলে আমাকে ভালোবাসবে কথা।
( কথা)
.
--- সজিবের মুখে 'কথা'র নামটা শুনতেই
কলিজাটা কেঁপে ওঠলো! সজিবের আড়ালে
চোখের পানি মুছলাম। দাঁতে দাঁত- চেপে
কান্না আকটে রাখছি!
.
-- দোস্ত কিভাবে কীরবো প্লিজ বল!
কথাকে না পেলে দোস্ত আমি মরেই যাবো
হয়তো, সারাদিন তাঁকে ভেবেই পার করি!
.
-- দোস্ত শোন আমার ফেসবুক আইডি এই নে
পাস! যদি কথা কিছু বলে বলবি আইডি'টা
তোর! কথাকে বলবি তার অতিথি পাখিটাই
তুই! আমি আগেই জানতাম তুই কথাকে
ভালোবাসিস তাই ফেইক আইডি দিয়ে
তোর প্রেম করিয়ে দিলাম! আমার ট্রিটটা
যেন পায় ঠিক সময়ে! ( আমি)
.
-- দোস্ত তুই সত্যি মহান বলে, সজিব
আমাকে জড়িয়ে ধরলো!
.
-- দোস্ত আর লেট করিস না পার্কে কথা
তোর জন্য অপেক্ষা করছে! ( আমি)
.
-- আচ্ছা দোস্ত চলিয়ে, এই বলে সজিব
পার্কে গিয়ে দেখে কথা বসে আছে!
কথাকে সব বলার পর কথা তার অতিথি
পাখি ভেবে, শক্ত করে জড়িয়ে ধরে!
.
-- এদিকে দূর থেকে নিজের ভালবাসার
মানুষটাকে অন্যের বুকে লেপ্টে যেতে
দেখি!বুকের মাঝে চিন-চিনো ব্যাথা
করছে,এ হয়তো ভালবাসা হারানোর
ব্যাথা।আজ নিজের বন্ধুত্বের কাছে
নিজের ভালবাসাকে কুরবানি দিলাম।
.
-- কথার বুক ফেঁটে কান্না আসতেছে!
চোখের পানি ডাইরির পাতায় টুপ- টুপ করে
পড়ছে! ডাইরির পাতাগুলো ঝটলা বেঁধে
যাচ্ছে! বামহাতে চোখের পানি মুছে
আবারো, ডাইরির পাতা উল্টাতে লাগলো।
.
-- দিনগুলি ভালোই কাটতেছিল, এখন কথাও
আমার খুব ভালো ফ্রেন্ড এতেই আমার
শান্তি কারণ ভালবাসার মানুষটাকে কাছ
থেকে দেখতে পারবো।আর সবচেয়ে বড় কথা
হলো, আমার কলিজার টুকরা বন্ধুটার কাছে
আমার ভালবাসার মানুষটি আছে!
.
-- সবকিছু ঠিক-ঠাক চলছে, হঠাৎ এমন একদিন
আসে সুখের সংসারটা কালবৈশাখী ঝড়ে
লন্ডবন্ড হয়ে যায়। সেদিন সকাল টা যদি
আর কোনদিন না আসতো তাহলেই ভালো
হতো, প্রতিদিন সকাল বেলা চোখ বন্ধ করে,
কাঁনার মতো হাতিয়ে, হাতিয়ে কলিজার
টুকরা বোনটার রুমে গিয়ে সবার প্রথম '
কণা'র মুখটা দেখতাম। তারপর দিন শুরু
করতাম প্রতিদিনের মতো সেদিনও চোখ
বন্ধ করে ' ছোট্ট রাজকুমারী বোনটির রুমে
গিয়ে চোখ বন্ধ করে বললাম, মহারাণী
আপনার প্রজা কি চোখ খুলিতে পারে,?
এভাবে কয়েকবার বলার পরও কোন সাড়া না
পেয়ে চোখ খুলতেই মনে হচ্ছে আমি অন্ধ
হলেই ভালো হতাম। কারণ আমার কলিজার
টুকরা বোনটা যে ফ্যানের সাথে ঝুলছে!
বুকের মাঝে কে যেন ছুঁড়ি চালিয়ে
দিয়েছে। হৃদয় থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
এদিকে কণা'কে জড়িয়ে ধরে কান্না করছি
হঠাৎ এমন সময় কণা'র হাতে একটা চিরকুট
পায়। চিরকুট'টাতে লিখা ;
.
-- প্রিয়,
আমার নয়নের মণি ' ভাইয়া'
.
এ অপবিএ নষ্টা মেয়ে হয়ে তোমার পবিএ
নাম কীভাবে নিবো ভেবে পাচ্ছিনা! তবুও
নিলাম কী করবো আর হয়তো ডাকতে
পারবোনা! এই ডাকটাই আমার শেষ ডাক!
ভাইয়া আমি বাঁচতে পারলামনা।
প্রতারকটা আমাকে আর আমার মাঝে
বেড়ে ওঠা, অবৈধ ভালবাসার ফসলের
স্বকৃতি দেয়নি ভাইয়া তাই মরার পথ বেঁছে
নিলাম। জানো ভাইয়া' বিশ্বাস ঘাতক
সজিব আমার সাথে মিথ্যা প্রেমের নাটক
করে। আমাকে বিয়ের কথা বলে দিনের পর
দিন ভোগ করে, তারই ফসল আমার গর্ভে। '
ভাইয়া জানো সজিবকে যেদিন বলেছি, যে
ভাইয়াকে বলো আমি অন্তঃসন্তা আমাকে
তুমি বিয়ে করবে! প্রতিত্তরে সজিব বলেছে
আমার গর্ভে নাকি তাঁর সন্তান না,আমি
নাকি নষ্টা। আমাকে নিয়ে রাত কাটানো
যায় তবে নাকি বিয়ে করা যায়না। আর সে
আমাকে কোনদিনই বিয়ে করবে না।হাতে
বাচ্চা নষ্ট করার ওষধ দিয়ে আমাকে বাসা
থেকে বের করে দেয়। সজিবের হাতে
আমার ভালবাসার এতো বড় অপবাদ সইতে
পারিনি।কীভাবে মুখ দেখাবো, কেউ যদি
বলে এ বাচ্চার বাবা কে কি বলবো,
বাচ্চাকে তো আর একা মারতে পারিনা
তাই মা- সন্তান একসাথে পাড়ি জমালাম
না ফেরার দেশে। ' ভাইয়া আজকের পর
থেকে তোমাকে আর খাইয়ে দিতে পারবো
না কারণ আমি যে নষ্টা, ভাইয়া বিশ্বাস
করো আমি নষ্টা না, বিশ্বাস করেছিলাম
ওকে' ওই 'আমাকে বিয়ের কথা বলে সর্বনাশ
করেছে। ক্ষমা করোনা তাঁকে কোনদিনই।
ভাইয়া কাঁদছো কেনো, একদম কাঁদবেনা
তুমি কাঁদলে যে আমি কষ্ট পায়। যদি
তোমার নষ্টা বোনটির জন্য কষ্ট হয় তাহলে,
তোমাকে দেওয়া জোঁড়া পুতুলটার সাথে
গল্প করবে। তাহলে আমার সাথে গল্প করা
হবে। ভাইয়া খুব ইচ্ছা করছে তোমার কুলে
মাথা রেখে ঘুমাতে ' কিন্তু আমি আর
কোনদিন ভাইয়ার কুলে ঘুমাতে পারবোনা,
পারবোনা তোমার প্লেট থেকে মাংস চুরি
করতে, চুরি করে বলবোনা আর কোনদিন '
ভাইয়া ছোট্ট বিড়ালে তোমার মাংস
খেয়েছে! কথাটা শুনার পর তোমার মুখের
সেই হাসিটটা আর দেখতে পারবোনা। আর
কোনদিন আইনক্রিম এর জন্য বাইনা ধরতে
পারবোনা,, যে ভাইয়া আইসক্রিম না
আনলে গেট বন্ধ। ভাইয়া' জানি শুনতে
পারবোনা তবুও বলছি একবার ' মহারানী
বলে ডাকবে আমায়?
.
-- ইতি, তোমার নষ্টা বোন।
.
-- এদিকে কণার চিঠিটা পড়ে নিজের
অজান্তেই চোখের পানিতে ভেসে যাচ্ছে
বুক, টপ- টপ করে চোখের পানি পড়ে চিঠিটা
ভেঁজে যাচ্ছে। কণাকে দাফন করে, রওনা
দিলাম ' সজিবের কাছে বোনের মৃত্যুর
প্রতিশোধ নিতে। কিন্তু গিয়ে যা দেখলাম
তা দেখায় একেবারে প্রস্তুত ছিলাম না
আল্লাহ এতো বড় শাস্তি......
.
.
♥-----"To be Continue"--♥ -

গল্প :-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে""
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- ১১ ~~~ ♥
.
.
ডাক্তার তোবার ডিএন এ টেস্ট করে
অবাক হয়ে গেলেন। যে সব রির্পোট ছিল সব
ভূয়া। ডাক্তার কথা, এবং তার মা বাবাকর
যা বললো তা শুনে সবাই অবাক হয়ে গেল!
ডাক্তার বললো, প্রকৃত পক্ষে তোবা
অন্তঃসন্তা নয়, তার ডি.এন. এ রির্পোট
তাই বলছে। ( ডাক্তার)
.
----what. how possible..? সব রিপোর্ট ভূয়া।
( কথা)
.
-- হ্যাঁ আমিও ভাবতে পারিনি, তাই একই
টেস্ট তিনবার করেছি!( ডাক্তার)
.
---ডাক্তার কি বলছেন এইসব, কিসের ভূয়া
আপনি আবার টেস্ট করান। আর হ্যাঁ
রির্পোট গুলো আপনাদের হসপিটালের
সবচেয়ে বড় ডাক্তার' সিনহা স্যারের'! তাঁর
রির্পোট মিথ্যা হতে পারেনা "( কথা)
..
-- শুনেন মিস কথা,ডাক্তার সিনহার
রির্পোট এর জন্যই আমি একই টেস্ট তিনবার
করেছি, । কিন্তু রির্পোট গুলো পড়ে সিনহা
স্যারের প্রেসক্রিপশন ফর্ম এর সাথে
মিলাতে গিয়েই, শকর্ড খেয়েছি। কারণ
স্যারের প্রেসক্রিপশন হুবহু কপি এটা। আর
এটা বানানো রির্পোট( ডাক্তার)
.
--- ঠাস- ঠাস করে চড় বসিয়ে দিলেন কথার
বাবা তেবার মুখে। চড় দিয়ে বলতে
লাগলো; আজ তোর মতো মিথ্যাবাদী
মেয়ের জন্য 'রাজ ' হসপিটালে,মৃত্যুর সাথে
পান্জা লডছে!"
.
-- প্লিজ স্টপ, পেশেন্ট কে মারবেন না। সে
সৎ জ্ঞানে এমনি করে নি! " তোবা একজন
মানসিক রোগী ' ডিসপ্রেশন গত সমস্যা
এটা তার"। সম্ভবত কারো কাছ থেকে প্রচন্ড
মানসিক আঘাত পেয়ে 'অন্যকে দোষারোপ
করা, গুছিয়ে মিথ্যা কথা বলা, যেন সবাই
বিশ্বাস করে,আর সবচেয়ে বড় কথা তার
জেদটা মস্তিষ্কে মিশে গেছে।আর
সবচেয়ে বড় কথা তোবার এর আগে একবার
এবারশন হয়েছিল।এই জন্য এই মিথ্যা
খেলাটা করছে,। তাই বলছি ওকে উন্নত
চিকিৎসার জন্য " বিদেশে পাঠাতে হতে
পারে" নইলে বড্ড পাগল হয়ে যাবে।
( ডাক্তার)
.
-- এদিকে ডাক্তারের কথা শুনে কথার
কলিজাটা ফেঁটে যাচ্ছে! চোখ দিয়ে পানি
গড়িয়ে পড়ছে, আর মনেমনে ভাবছে, সেদিন
রাজের কথাগুলোই সত্য ছিল। আচ্ছা! রাজ
কেন অপরাধ না করেও, আমার হাতের দুধের
গ্লাসে ঘুমের ওষধ থাকার পরও কেন খেয়ে
নিলো। নিজেকে কোন কারণে মৃত্যু মুখে
ধাবিত করলো! আজ কথার চোখে ভেঁসে
ওঠছে, রাজের সেই ভালবাসা, যত্ম,
অবহেলার পরও ভালবাসা পাওয়ার
পাগলামি।
.
-- আপু আমার বাবুকে কিন্তু কাউকে
দিবোনা, আর তোমাদের ডির্ভোস কবে
হবে আপু( তোবা)
.
-- এদিকে তোবার কাছে বাচ্চার কথা শুনে
কথা ভাবতে লাগলো, তোবা এর আগে
এবারশন করেছে! তাঁর মানে তাঁর সাথে
কারো সম্পর্ক ছিল। কে সেই জন এইসব
অবশ্যই আমাকে জানতে হবে। আচ্ছা
রাজের বোনও তো অন্তঃসন্তা ছিল, এবং
ফাসিতে ঝুলে মারা যায়। সব কিছুর পিঁছনে
কে? ( এসব ভাবতে ভাবতে কথার রাজের
ডাইরির কথা মনে পড়ে"
.
- কথা তাঁর বাবাকে বলে, চলে যায় রাজের
বাসায়। আলমারি খুলে একটা ডাইরি
দেখতে পায়। যে ডাইরিতে রাজ রাতে বসে
বসে কি যেন লেখতো। কখনো পড়া তো
দূরের কথা ' ডাইরিটা কথা ছুঁয়েও দেখেনি।
কিন্তু আজ দেখতেই হবে। এইভেবে
ডাইরিটা খুলতেই দেখলো ' আমি তুমি আর
সজিব ' লেখাটা দেখেই খটকা লাগলো
কথার। 'তুমি"টা কে
.
--- এদিকে ডাইরির পাতা উল্টাতেই চোখে
পড়লো' জীবনে একটা বন্ধু পেয়েছি যে শুধু
আমার বন্ধু নয় কলিজার টুকরা' সজিবকে মা-
বাবাও অনেক পছন্দ করে! নিজের ছেলের
মতো মনে করে! মনে করার কারণও আছে,
সজিবের মতো ছেলে হয়না আমাদের
ফ্যামিলিকে নিজের ফ্যামিলি মনে করে!
মা অনেকদিন সজিবকে মুখে তুলে খাইয়ে
দিয়েছে। সজিব মাকে মা বলেই ডাকতো।
আমার সবসময় মনে হতো আমি একটা ভাই
পেয়েছি।
.
-- দিনগুলি ভালোই কাটছিল। যেখানে
যেতাম দুজন মিলে যেতাম। যাইহোক
একদিন ভার্সিটিতে বসে আছি। হঠাৎ নীল
পাড়ের কালো শাড়ীতে একমেয়ে কলেজের
গের্ট দিয়ে প্রবেশ করতেই বুকের মাঝে এক
অজানা শিহরণ বয়তে থাকে। প্রথম দেখায়
মেয়ে'টা হৃদয়ে জায়গা করে নেয়। তাঁর পর
সজিবের অজান্তেই মেয়েটার পিছন, পিছন
ঘুরা- ঘুরি করি। মেয়েটা আর কেউ নয় ' সে
হচ্ছে আমার মায়াপরী কথা'। তাই
ডাইরি'টার নাম দিলাম "আমি,, তুমি,ও
সজিব"।
.
-- ভাবছিলাম সজিবকে, সারপ্রাইজ দিবো
কথার সাথে রিলেশন করে। তাই প্রথম
প্রপোজ করাতেই কথা রাজি হয়ে যায় এবং
শর্ত দেয়, কলেজের সবার সামনে তাকে
প্রপোজ করতে। সেদিন আমি সবচেয়ে বেশি
খুশি হয়েছিলাম। সারাটা রাত নির্ঘুম
কাটে। সকাল হতেই একগুচ্ছ কদম নিয়ে
ভার্সিটির সবার নিজের মায়াপরী,
কল্পনার রাজকুমারী' টাকে প্রপোজ করি।
তাঁর পর ভার্সিটির সবার সামনে আমার
পবিএ ভালবাসার প্রতিদান, তিনটি থাপ্পর
দেয়। সেদিন বাসায় এসে মেয়েদের মতো
দরজা লাগিয়ে কেঁদেছি, আমার কানে শুধু
তখন সে কথাগুলো শুনা যাচ্ছিল, তোর কি
করে সাহস হয়, আমাকে প্রপোজ করার।
নিজের চেহারা কখনো আয়নার দেখেছিস।
একটা ক্ষ্যাত মার্কা ছেলে,দেখে মনে হয়
ঝুকার। আর হ্যাঁ তুই যে গত ছয়মাস আমার
পিছনে ঘুরে যে যন্ত্রণা দিয়েছিস তাঁর
শোধ নিলাম।তাই তোই যখন কাল আমাকে
প্রপোজ করিস, আমার মাথায় রক্ত ওঠে
যায়, তাঁর পরেও আমি মাথা ঠান্ডা
রেখেছিলাম তোর টিজ করার সাজা দিবো
বলে। " রাজের কানে কথার এমন কথা বারি
খাচ্ছে আর নিরবে বালিশ ভেঁজতেছে।
.
-- তারপর ভার্সিটি যাওয়া বন্ধ করে দেয়!
কিন্তু বিভ্রাট ঘটে তখন যখন সজিব আমার
কলিজার ' ভাই টা শহরে আসে, সে এসে
ভার্সিটিতে নিয়ে যায় আমাকে।
♥-----"To be Continue"--♥ -

বিয়ের পর আমাদের প্রথম হানিমুন হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমার শ্বশুর আমার আর বউয়ের সাথে যেতে চাচ্ছেন। শাশুড়ি বারবার করে বলছেন, “ওদের মাঝে আপনি গিয়ে কি করবেন?”
“গেলে কি সমস্যা? সেন্টমার্টিন যাচ্ছে, আমার দেখার খুব শখ। আর তাছাড়া ওরা একা একা যাচ্ছে, একটা সেফটি আরকি!” বলেই বিতর্কে বিজয়ী হয়েছেন এমন একটা ভাব করলেন। এদিকে আমার রাগে পিত্তি জ্বলে যাচ্ছে।

বিয়ের পর থেকেই শশুর আমার আর আমার বউয়ের মাঝে ‘কাবাব মে হাড্ডি’ হয়ে বসে আছেন। তাঁর উৎপাতে বিয়েতে তোলা ছবির এলবামে আমি আর নীরা একসাথে একটি ছবিতেও নেই। যেগুলোতে আমরা একসাথে আছি, সেখানে তিনি আছেন। কোনটায় স্বেচ্ছায় পোজ দিচ্ছেন, কোনটায় হুট করে এসে পড়েছেন, কোনটায় ব্যাকগ্রাউন্ডে। এটুকুই শেষ নয়, বিয়ের রাতে প্রায় একটার দিকে আমাকে ফোন দিয়ে বলেছিলেন, “জামাই, কয়েলটা দেয়া হয়নি, দরজাটা একটু খুলবে?” সেরাতে মোট তিনবার ফোন করে একবার কয়েল, আরেকবার পানির জগ-গ্লাস আর শেষবার একটা কাঁথা দিয়ে গেছেন।

বিয়ের পর থেকে উনার উৎপাত বহুগুণ বেড়েছে। শশুরবাড়ি আসলে সারাক্ষণ উনার রেডিও শুনতে হয়। কি নেই এই রেডিওতে! রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, সব ধরণের বকবক এই রেডিওতে ফ্রি পাওয়া যায়। মডার্ণ প্রব্লেমের মডার্ণ সলিউশন প্রয়োজন, আমিও এই রেডিও বন্ধ করার সলিউশন বের করেছি। যখনি তিনি বকবক করা শুরু করেন, আমি বাবাকে টেক্সট করি উনাকে কল দিতে। এরপর বাবা কল দেন, রেডিও অন্যদিকে কনভার্ট হয়ে যায়। বেশ ক’দিন এই রেডিও শুনে শুনে বাবাও বিরক্ত হয়েছেন। তাই এখন তিনিও একটি মডার্ন সলিউশন বের করেছেন। তিনি এখন, “তো রাজনীতির কি হাল অবস্থা বেয়াই সাহেব?” বলে ফোন পাশে রেখে দেন। কাজকর্ম শেষ করে এসে আবার ফোন ধরে, “হুম। আচ্ছা। তো অর্থনীতির কি অবস্থা?” ব্যস! রেডিও চলে, বাবাও ফোন পাশে রেখে নিজের কাজ করেন। এভাবে আমি, বাবা দুজনেই বেঁচে যাই। বিজ্ঞানে জিনতত্ত্ব নামে একটি বিষয় আছে, অর্থাৎ পিতার আচার-আচরণ সন্তানের মধ্যে থাকে। তবে মাঝেমাঝে কিছু ব্যতিক্রম হয়, আর সেই ব্যতিক্রমের জন্যই আমি বেঁচে আছি। নয়ত, আমার ঘরে যদি ননস্টপ মিনি রেডিও চলত, তবে এতদিনে আমাকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হত।

শ্বশুর আমাদের সাথে যাওয়ার ব্যাপারে বেশ সিরিয়াস দেখলাম। যাওয়ার আগের রাতেই সব গুছিয়ে রাখলেন। কার থেকে যেন একটা ক্যামেরাও ধার করে আনলেন। নিজের গোছগাছ শেষ করে তিনি আমাদের গোছগাছ দেখতে চলে এলেন। তারপর জ্ঞানীর মত পরামর্শ দিতে লাগলেন, “জামাই ক্যাডস নিও কিন্তু!”
“বাবা, আমরা সমুদ্রে যাচ্ছি, পাহাড়ে না”
“তাই তো!”
বলেই তড়িঘড়ি করে রুমে গিয়ে ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখা ক্যাডস জোড়া বের করে রেখে দিলেন। তারপর আবার এসে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, “সুইমস্যুট কি নিব?”
হানিমুনে যাচ্ছি আমরা, অথচ উত্তেজনা তাঁর মধ্যে বেশি। “বাবা, ব্যস্ত হওয়ার দরকার নেই। আপনার ইচ্ছে করলে নিতে পারেন সুইমস্যুট”। তিনি কি বুঝলেন কে জানে, কিছু না বলে চলে গেলেন।

রাত বারোটার দিকে আমরা বাসে উঠলাম টেকনাফের উদ্দেশ্যে। আমার আর নীরার পাশাপাশি সিট। শ্বশুরের সিট টা আমাদের সিটের ডান সারিতে জানালার পাশে। বাস চলছে, মৃদু দুলুনি আছে, হাল্কা বাতাস বইছে, সেই বাতাসে নীরার চুল উড়ছে। আমি নীরার কাঁধে মাথা এলিয়ে শুয়ে আছি আর ফিসফিস করে কথা বলছি দুজন। হঠাৎ করেই আমার পিঠে কারো স্পর্শ পেয়ে ঘাড় ফিরিয়ে দেখি শ্বশুরমশাই। আমি তড়িঘড়ি করে সোজা হয়ে বসতেই তিনি কাচুমাচু হয়ে বললেন, “ইয়ে! আমার পাশের লোকটা খুব নাক ডাকছে, তার নাক ডাকার জন্য ঘুমুতে পারছিনা। তুমি ঐ সিটে গিয়ে বসবে একটু?” বেচারার চেহারায় কেমন একটা অসহায়ত্ব, দেখে আমার মায়া হল। আমি গিয়ে তাঁর সিটে বসলাম, তিনি বসলেন আমার সিটে। তারপর সারা রাত আমার শ্বশুর এমন নাক ডাকলেন, আশেপাশের কয়েক সিটের মানুষ সারারাত ঘুমুতে পারলো না।

আমরা টেকনাফ পৌঁছাই সকাল সাতটায়। টেকনাফ নেমেই আমাকে দৌড়াতে হল শ্বশুরের জন্য। তার প্রচণ্ড টয়লেট পেয়েছে। পাশে একটা পাবলিক টয়লেটে নিয়ে গেলাম। ছোট টয়লেট পাঁচ টাকা, বড় টয়লেট দশ টাকা। শ্বশুর ঢোকার আধঘণ্টা পর বেরিয়ে এলেন। দশটাকা বিল দিতেই কাউন্টারের মহিলা রেগে গেল। “আধা ঘন্টায় আমার কয়টা কাস্টমার হয় যানেন? চল্লিশ টাকা দেন”। শ্বশুর মশাই ঝগড়া লেগে গেলেন, “তোমরা তো টাইমের ভিত্তিতে ভাড়া দাওনা, ভাড়া দাও বড়-ছোট এই ভিত্তিতে, আমি যতক্ষণ থাকি- তোমার কি? কোয়ান্টিটি ম্যাটার করে এটা তো বলোনি!” আমি শ্বশুর কে থামালাম, শেষমেশ ঐ মহিলাকে ত্রিশ টাকা দিয়ে একটা হোটেলে ঢুকে হালকা নাস্তা করলাম। নাস্তার টেবিলেও শ্বশুরের অসুবিধা। টেবিল অপরিষ্কার কেন এটা নিয়ে ওয়েটারকে ডেকে দশ মিনিট পরিচ্ছ্বন্নতা বিষয়ক জ্ঞান দিলেন। তারপর সেখান থেকে কোনমতে খেয়েদেয়ে লঞ্চে উঠলাম।

ভিআইপি কেবিনে শ্বশুরকে বসিয়ে আমি আর নীরা ডেকের দিকে যেতেই শ্বশুর আটকালো। “আমি দাবা নিয়ে এসেছি সঙ্গে করে, একা খেলবো নাকি?” অগত্যা বসতে হল। আমি একটু তাড়াতাড়ি চাল দিচ্ছিলাম, খেলা শেষ করার জন্য। শ্বশুর রেগে গেলেন, “এইযে তুমি বিশ সেকেন্ড না হতেই চাল দিয়ে দিচ্ছ, এটা কি প্রমাণ করছে না যে তুমি পরিকল্পনাহীন চাল দিচ্ছ?” তারপর খেলা বন্ধ রেখে ত্রিশ মিনিট পরিকল্পনা বিষয়ক বক্তব্য দিলেন।

নীরা অনেকক্ষণ পর মুখ খুললো, “বাবা, চলো না সমুদ্র দেখে আসি”
“সে তো দেখবোই। সমুদ্র দেখবো বলেই তো যাচ্ছি সেন্ট-মার্টিন”
“কিন্তু বাবা, লঞ্চ কিভাবে যাচ্ছে সমুদ্রের বুক চিরে, সেটা দেখাটা ইন্টেরেস্টিং হবে না? চলো দেখি!”
“এই, একটা ভুল কথা বললি। সমুদ্রের বুক চিরে মানে কি? সমুদ্রের বুক কি চেরা যায়? পানি তো আকার নেই, চিরবে কি করে!”
“বাবা, এটা একটা উপমা কেবল!”
“শোন, আকাশকুসুম উপমা দিলে বাক্য যোগ্যতা হারায়, জানিস?”
“জ্বি জানি। আচ্ছা আর উপমা দেব না। এবার চলো, সমুদ্র দেখে আসি”
“তুই যা, আমাদের খেলাটা শেষ হোক”

তাঁর শেষ বাক্যে আমার হৃদয় ভেঙে গেল। নীরাও উপায়ন্তর না দেখে বসে রইল। খেলা চলতে থাকলো, তিনি বেশ অনেকক্ষণ ভেবে ভেবে চাল দিতে লাগলেন। এভাবে যখন সেন্টমার্টিন এসে পৌঁছেছি, তখন সবার হৈ হৈ এ খেলা ভাঙলো। খেলা কিন্তু শেষ হয়নি, তখনো শ্বশুরেরই চাল ছিল।

সেন্টমার্টিন নামার আগেই শ্বশুর চোখে চশমা পরে নিলেন। তারপর দ্বীপে নেমে আমরা হোটেলের দিকে চললাম। বেশ বিলাসবহুল একটা হোটেলে আমরা দুটো রুম নিলাম। একটা ডাবল বেড, একটা সিঙ্গেল বেড। শ্বশুরকে রুমে পাঠিয়ে দিয়ে আমরাও রুমে ঢুকলাম। কিছুক্ষণ পর দরজায় নক শুনে দরজা খুলে দেখি শ্বশুর এসেছেন, “তোমাদের এখানে কি বারান্দা আছে? আমি একটু কাপড় শুকাবো”।
“কাপড় ধুয়েছেন নাকি?”
“হ্যাঁ। এইযে হেঁটে আসলাম, শার্টে বালিতে ভরে গেছে”

আমি মনে মনে ভাবলাম, সেন্টমার্টিনে যে পরিমাণ বালি, শ্বশুরের খুব আসা-যাওয়া পড়বে মনে হচ্ছে রুমে বারান্দায় কাপড় শুকানোর জন্য। দুপুরে খেয়েদেয়ে বিকেলে বের হলাম বীচে ঘুরতে। সমুদ্রের গর্জন, পানির ভিজিয়ে দেয়া, সূর্যকে সাগরের গিলে খাওয়া, সব মিলিয়ে অসাধারণ এক আবহ সেখানে। আমার ইচ্ছে হল ক’টি ছবি তুলি বউয়ের সাথে, আবার শ্বশুর ক্যামেরাও নিয়ে এসেছেন। কিন্তু আমার স্বপ্নকে ধুলিস্যাৎ করে দিয়ে শ্বশুর আমাকে দিয়ে নিজের শ’খানেক ফটো তোলালেন। কতশত পোজের ছবি, এদিক বেঁকে-ওদিক বেঁকে, বসে, হাত ছড়িয়ে এমনকি ভি সাইন দিয়েও ছবি তুলেছেন। আমি মনে মনে বললাম, “শালার বুড়ো! আমার হানিমুন ধ্বংস করার আনন্দেই মনে হয় ভি সাইন দেখাচ্ছিস!” আর এই বুড়ো বয়সে এত ছবি তুলে করবেটা কি বুড়ো! বাবার মত তো তার ফেসবুক আইডিও নেই।

আমার এ ভাবনা কাল হল, রাতে দেখি আমার ফেসবুকে রিকোয়েস্ট এসেছে শ্বশুরের আইডি থেকে। প্রোফাইল পিকচারে আমার তোলা ছবি। আইডিতে গিয়ে দেখলাম, গত একঘণ্টার মধ্যেই ত্রিশবারের মতন তিনি প্রোফাইল পিকচার চেঞ্জ করেছেন।

রাতে খাওয়াদাওয়া করার বেলায় আমরা টুনা মাছ অর্ডার করলাম। খাবার টেবিলে আমাদের সার্ভ করার জন্য একটা ওয়েটার বেশ বিনয়ী ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে রইলো। শ্বশুর কথা বলা শুরু করলেন, “এ টুনা মাছ কি তুমি ধরেছো?”
“জ্বি না স্যার। আমরা এগুলো কিনে এনেছি”
“কার থেকে কিনেছো?”
“জ্বি, মাঝিদের থেকে”
“মাঝিরা সাগর থেকে ধরেছে?”
শ্বশুরের অদ্ভুত সব প্রশ্নে আমার গা জ্বলে গেল। ওয়েটার বেচারাও সম্মানার্থে উত্তর দিচ্ছে।
“জ্বি স্যার। সাগর থেকেই ধরেছে”
“এই মাছের কোন ইন্টেরেস্টিং স্টোরি আছে?”
“একচুয়ালি স্যার, প্রকৃত টুনা মাছ বাংলাদেশে পাওয়া যায়না। এখানে টুনা বলতে বড় সুরমাগুলোকেই বোঝানো হয়”
“মানে? এ টুনা নয়?”
“জ্বি টুনা। বড় সুরমাকে টুনা বলা হয় আরকি!”
“তার মানে এটা সুরমা মাছ?”
“জ্বি, বড়গুলো। প্রকৃত টুনামাছ শ্রীলংকায় পাওয়া যায়”
“কিন্তু তুমি তো বললে এগুলো জেলেরা এই সমুদ্র থেকে ধরেছে!”
“স্যার! এগুলো জেলেরা সমুদ্র থেকে ধরেছে। এগুলো বড় সুরমা, বড় সুরমাকে বাংলাদেশে টুনা বলা হয়”
“মানে তোমরা টুনা বলে সুরমা খাওয়াচ্ছ?”

একথা বলেই শ্বশুর উত্তেজিত হয়ে গেলেন। ম্যানেজারকে ডেকে গালাগাল দিতে লাগলেন আর তৎক্ষণাত ৯৯৯ এ ফোন দিতে গেলে আমি বাঁধা দিলাম। অনেক চেষ্টার পর তাঁকে শান্ত করে, বড় সুরমা দিয়ে ভাত খাইয়ে হোটেলে নিয়ে এলাম। সারাদিনের ক্লান্তির পর রাতে মাত্র চোখ লেগে এসেছে এমন সময় শ্বশুর ফোন দিলেন, “জামাই! তোমাদের টয়লেটে পানি আছে? আমার টয়লেটে পানি নেই, বড় সুরমা তো পেটে যাওয়ার পর এদিক ওদিক নড়েচড়ে বোধহয় টুনা হয়ে গেছে,,,,

গল্প :-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে""
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :-১০ ~~~ ♥
.
.
হা,হা,হা, খুনির আবার কষ্ট কিসের, তুই কিভাবে ভাবলি
আমার স্বামীকে খুন করার পরও তোকে
স্বামী হিসেবে মেনে নিবো! আজ দুধের
সাথে ২৭ টা ঘুমের পিল মিশিয়ে দিয়েছি! তুই নিশ্চিত
মৃত্যু বরণ করবি! অনেক কষ্ট দিয়েছিস আমাকে,
আমার বোনটাকে অন্তঃসন্তা করেছিস! তাই তো
হাতের লেখার মতো সুসাইড নোট লিখেছি! আর
তুই মারা গেলে সুসাইড বলে চালিয়ে দিবো!আজ
আমি অনেক খুশি আমার স্বামী হত্যার বিচার নিজ
হাতে করতে পেয়েছি। এই কথা বলে ,
বিদ্রুপের হাসি হাসতে থাকলো।
.
-- কথার হাসিটা আজ অনেক ভয়ংকর লাগছে, এতোটা
ভয়ংকর মনে হয় পৃথিবীতে কিছু নেই। চোঁখ
দিয়ে জল গঁড়িয়ে পড়ছে, খুব কষ্ট হচ্ছে, মৃত্যু
কষ্ট'টা যে এতটা বেদনাদায়ক।বিঁড়- বিঁড় করে বললাম
কথা তুমি সুখে থেকো, আর গর্ভের মেয়েটার
নাম 'রাইসা 'রেখো। হয়তো এটাই আমার শেষ
কথা। এর পর আর চোঁখ মেলে তাকাতে পারিনি।
নিঃশ্বাস'টা এই বুঝি বন্ধ হয়ে গেলো। এর পর আর
কিছু মনে নাই।
.
-- প্রতিদিনের সকালের মতো, আজও সকাল
হয়েছে, পাখি গুলো কিচিঁর - মিচির করছে,
পূর্বদিকে সূর্য'টা সকল অন্ধকার দূর করে আলোর
বার্তা নিয়ে এসেছে। কিন্তু রাজ এখনো চোখ
খুলেনি হয়তো, আর কখনো খুলবেও না, গত
কয়েক মাসের মাঝে আজ কথার তৃপ্তির ঘুম
এসেছে, কারণ কথা আজ তার স্বামী হত্যার
প্রতিশোধ নিতে পেয়েছে।
.
-- ভাবী, ও ভাবী দরজা খুলো কয়টা বাজে
দেখেছ!(রিও)
.
-- রিওের ডাকে কথা স্বাভাবিক ভাবে-ই দরজা
খুললো! দরজা খুলতেই রিও রাজের জন্য চা নিয়ে
গেলো!
.
-- ভাইয়া, ও ভাইয়া এভাবে মশায় মতো পড়ে, পড়ে,
ঘুমাচ্ছো ওঠো চা খেয়ে নাও বলে ধাক্কা দিতেই
রাজের কোন শব্দ নেই! ভাবী, ভাইয়া কথা
বলছে না কেন?( রিও)
.
-- রিওের ডাকে কথা রাজের কাছে স্বাভাবিক ভাবে
একগ্লাস পানি নিয়ে হালকা পানি মুখে ছিটা দেয়। কিন্তু
রাজ চোখ খুলছে না!
.
-- মা- বাবা কোথায় তোমরা'ও 'ভাবী ভাইয়ার কী
হলো, আমার ভাইয়াটা কথা বলছেনা কেন।( রিও)
.
- এদিকে রিওের ডাকে রাজের মা - বাবা এসে
দেখ রাজ কথা বলছেনা!
.
-- হঠাৎ রিওের চোঁখ যায়, টেবিলের উপর একটা
নীল খামের দিকে, । রিও নীল খামটা টেবিল
থেকে নিয়ে পরের, কান্না করে দিলো! না
আমার ভাইয়া এমন কাজ করতে পারেনা! মা ভাইয়া
ঘুমের পিল খেয়েছে, ভাইয়াকে হসপিটালে নাও
প্লিজ। ( কথা' টা বলতেই রিওের গলাটা ধরে
এলো)
.
-- কথা ৮ মাসের অন্তঃসন্তা ঠিকমতো নড়তেও
পারেনা। তাই রিও, রাজের মা -বাবা কথাকে বললো,
মা তুমি পরে এসো। আমরা রাজকে এডমিন করি
হসপিটালে, আবার তোমার কিছু হয়ে যাবে বলে
বের হতেই,: বাবা আমিও তোমাদের সাথে
যাবো আমি আমার স্বামীকে ছাঁড়া বাঁচবো
কেমনে কথাটা বলে ( অভিনয়ের কান্না করে
দিলো, যেন সন্দেহের তীঁর কথার উপর না
আসে)
.
-- এদিকে, সবাই রাজকে নিয়ে চলে গেলে, কথা
দরজা বন্ধ করে চোঁখের পানি মুছে, হা,হা, করে
হাসতে লাগলো, হাঁসিটা বড্ড ভয়ংকর রূপ ধারণ
করেছে ।হঠাৎ, টেবিলের ওপর নীল খামটা
দেখে অবাক হলো, কারণ কথা তো কোন
খামে সুসাইড নোট লেখেনি, তাহলে কথাটা
ভাবতেই মাথাটা কেমন যানি ঘুরতে লাগলো!
.
--- তাড়াহুড়া করে চিরকুটটা হাতে নিয়েই পড়তে
লাগলো,; প্রিয় বাবা,
এটা হয়তো আমার তোমাকে দেয়া প্রথম এবং
শেষ চিরকুট। বাবা আমি সত্যিই অনেক অপরাধী।
আমার ভাবতেও লজ্জা লাগে যে তোমার মতো
একজন মহৎ বাবার সন্তান হয়ে কেমনে পারলাম
এমন নোংরা কাজ করতে, । আমি আমার শ্যালিকা যে
কিনা আমার বোনের মতো তাঁর সাথে অশ্লীল
আচরণ করেছি। আমারি সন্তান তাঁর গর্ভে।ভাবতে
পারছিনা তোমার সন্তান হয়ে এমন কাজ করবো
কোন নারীর মোহে পড়ে। বাবা আর হ্যাঁ
অনেক ঠকিয়েছি, আমার অন্তঃসন্তা স্ত্রী টাকে।
বাবা তোমার কাছে অনুরোধ কথাকে তোমার
নিজ দায়িত্বে দেখে রাখবে, আর ভালো পাএ
পেলে তার হাতে তুলে দিবে।বাবা আমাদের
বংশে মরার পর প্রতিটা মেয়ে স্বামীর বাড়ি
ছেড়ে চলে যায়।বংশের ইতিহাসে কোনদিন
কেউ কাউকে ডির্ভোস দেয়নি কিন্তু আমি যে
বড় অপরাধী কথার আপন বোনের সাথে নষ্টামি
করার পর কথাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে
নিতে পারিনি। তাই কথাকে আমার পাপের ছাঁয়াতলে
রাখতে চায়নি ক্ষমা করে দিয়ো। কথাকে বলো
আলমারিতে একটা খাম আছে তার ভিতরে ডির্ভোস
পেপার সেটাতে আমি সই করে দিয়েছি। কথা
যেন তাঁর দুশ্চরিএ অপরাধী স্বামীকে ক্ষমা
করে দেয়।
ইতি, তোমার অপরাধী সন্তান রাজ।
.
-- কথার বুঝতে বাকি রইলো না যে তাঁর চিঠি এটা নয়
এটা রাজের লেখা। কিন্তু কেন এমন করলো এসব
ভাবতে ভাবতে আলমারিতে থাকা খামটি বের
করেই দেখলো যে ডির্ভোস পেপার,
সেখানে রাজের সাইন করার জায়গা ফিলাপ। তাঁর মানে
কথা সাইন করলেই অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে।
খামটার নিচে ছোট্ট আরেকটি খাম পেল।
সেখানে লেখা;
.
-- জানি কথা তুমি ভাবছো কেন এমন করলাম? তাহলে
শোন তুমি যখন সজিব হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার
জন্য সুসাইড নোট লেখ আমার হয়ে সেটা
কোখায় রেখেছিলে তা দেখে ফেলি। তখন
আর বুঝতে বাকি থাকেনা যে তুমি আমাকে
ভালবাসতে পারনি আর পারবেওনা, । সত্যিই তো
প্রকৃত অর্থে কোন মেয়েই তাঁর স্বামীর খুনি,
বোনের ধর্ষণ কারীর সাথে সংসার করবেনা
তুমিও ঠিক তাই করেছে। তোমাকে ভালবেসে
তো কিছু দিতে পারলামনা তাই হাসি মুখে নিজের
জীবনটাই দিয়ে দিলাম। কি করবো, পাপের
প্রায়শ্চিত করলাম হাজার হলেও যাকে ভালোবাসি তাঁর
চোখে আমি যে খুনি, অপরাধী। আর ক্ষমা
করে দিয়ো, সুসাইড নোট'টা আমার লেখার জন্য
কারণ তুমি আমার হাতের লেখা কপি করতে
পারোনি, আর যেভাবে কোন রিজন ছাড়া সুসাইড
নোট লিখেছ, তাতে সবাই তোমাকে সন্দেহ
করতো তাই আমিই লিখেছি। আর হ্যাঁ রাইসার খেয়াল
রেখো।
.
--- ইতি, খুনী,
.
-- কথা মনে মনে ভাবছে বেঁচারা সত্যিই আমাকে
যদি ভালোবাসতি তাহলে আমার বোনকে কেন
ধর্ষণ করলি। হা,হা, আজ আমার প্ল্যান সাকসেস ফুল।
আমার সমস্ত পথের কাঁটা আজ দূর হয়ে গেছে।
.
-- কথা ডির্ভোস পেপারটা নিয়ে বাসায় এসে পড়ে,
মনে মনে ভাবে খুনিটা সাড়েঁ- তিন হাত মাটির নিঁচে
গেড়ে ডির্ভোস পেপারে সাইন করবো।তাঁর
আগে করবোনা, অনেক কষ্ট দিয়েছে
আমাকে। অভিনয়ের স্ত্রী সেজে থাকতে
থাকতে আজ আমি বড্ড ক্লান্ত।
.
-- বাসায় গিয়ে কথা তার মাকে কান্না করে সব বলে
দেয় যে রাজ তোবার সর্বনাশ করেছে।
.
-- মা আমাকে ক্ষমা করে দাও আমার জন্য তোবার
জীবনটা নষ্ট হয়ে গেল। ( কান্না করতে
করতে কথা কথাগুলো বললো)
.
-- নারে মা তোর কোন দোষ নেই কাঁদিস না সব
ঠিক হয়ে যাবে। ( কথার মা)
.
-- মা তোবা কোথায়?
.
-- দেখ ওর রুমেই কি সব করছে ছোট বেলা যা
করছে ইদানিং তাই করছে।
এদিকে কথা রুমে ডুকতেই দেখে তোবা পুতুল
নিয়ে খেলছে।
.
-- তোবা ছোটবেলা থেকেই পুতুল
ভালোবাসতো তাই তাঁর বাবা- কিছু ভাবেনি।
.
-- তোবা বোন আমার কি করছিস পুতুল নিয়ে।
( কথা)
.
-- চুপ কথা বলোনা, দেখছো না আমার বাবুটা
ঘুমাচ্ছে, ওইতো জেগে যাবে। ( তোবা)
.
-- কি বলছিস পাগল হয়ে গেছিস? ( কথা)
.
--- জানো, আপু আমার পেটের বাবুটা কথা বলে
পুতুলটার মতো। বাবা - মা ওকে নিয়ে নিতে চাই,
আপু আমার বাবুটাকে কাউকে দিবোনা। ( তোবা)
.
-- তোবা কি করছিস এসব তকে যে এ অবস্হা
করেছে তাকে নিজের হাতে শাস্তি দিয়েছি।
প্লিজ বোন আমার পাগলামী করিস না, খেতে
চল। ( কথা)
.
-- এদিকে কথা খাবার কথা বলে চলে গেলে '
তোবা পুতুলটা ছুঁড়ে ফেলে হাসতে লাগলো।
.
-- এদিকে তোবাকে নিয়ে খাওয়া শেষ করে,
সবাই মিলে তোবার অজান্তে তোবার এবারশন
করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। বাবা - মাকে বললাম মা
রাজ আমাকে ডির্ভোস দিলেও মানবিকতার দিকে
লক্ষ রেখে রাজকর দেখতে যাওয়া উচিত! ( কথার
মা- বাবা প্রথমে না করেও পরে সম্মতি দিলো)
.কথা মনেমনে ভাবলো যাক কেউ আমাকে
সন্দেহ করতে পারবে না, । এদিকে হসপিটালে
গিয়ে যা শুনলো তা শুনে কথার নাঁচতে ইচ্ছা
করছে। কারণ রাজ খুব হলে ২৪ ঘন্টা বাজবে,
বেঁচে থাকার কোন চান্স নেই। এওোগুলো
ঘুমের পিল খাওয়ার পর লিভার ড্যামেজ হয়ে
গেছে।
.
-- সবাই কাঁদছে, সব চেয়ে বেশি কাঁদছে রিও। কথা
অভিনয়ের ভাব নিয়ে, কেঁদে কেঁদে বলতে
লাগলো, কেন করলে তুমি আমার সাথে, আমরা না
ভালবেসে বিয়ে করেছিলাম, তোমার না তোমার
সন্তান রাইসাকে নিয়ে কতস্বপ্ন। কেন আমার
সাথে এমন করলে কী অপরাধ করেছি আমি,
কেন আমাকে দূরে সরিয়ে দিলে। আমি কাকে
নিয়ে বাঁচবো।
"" মা'রে তোর সাথে বড় অন্যায় হয়েছে।
রাজের হয়ে আমি ক্ষমা চাচ্ছি রাজ তোমাকে যে
ডির্ভোস দিয়েছে তা ভাবতে পারিনি।( রাজের বাবা)
.
-- না বাবা আমি আপনার মেয়ের মতোই! কেন
ক্ষমা চেয়ে কষ্ট দিচ্ছেন। বাবা আমি একটা
অনুরোধ করবো?( কথা)
.
-- হ্যাঁ মা কি অনুরোধ করবে বল( রাজের বাবা)
.
--- বাবা আমি কি আমার স্বামীর সাথে দেখা করতে
পারি? ( কথা)
.
-- আচ্ছা ডাক্তার কে বলছি!
.
-- বাবা, আমি রাজের সাথে একা দেখা করতে চায়!
( কথা)
.
-- আচ্ছা মা ঠিক আছে যাও( রাজের বাবা)
.
-- এদিকে কথা কেবিনে গিয়ে দেখে রাজের
মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো, কথা মনে মনে
বলতে আমি চাই তুর মতো ধর্ষণ খুনির ২৪ ঘন্টার
বাঁচার অধিকার নেই কথাটা বলে, কপালে একটা চুমু
দিয়ে বলতে লাগলো এটা তোর ভালবাসার
প্রতিদান। কথাটা বলেই অক্সিজেন মাক্সটা খুলে
ফেললো। রাজ মৃত্যুর যন্ত্রণার ছট-ফট করছে
এদিকে কথার খুব শান্তি লাগছে মিটি-মিটি হাসছে। হঠাৎ
দরজায় কারো পায়ের শব্দ পেয়ে অক্সিজেন
মাস্কটা লাগিয়ে দিয়ে মনে মনে বলতে লাগলো,
কপাল ভালো হাঁয়াত টা একটু বেড়ে গেল তোর!
কথা রাজের বাবা - মাকে বলে বাসায় চলে যাওয়ার নাম
করে সজিবের বাসায় যায়। কথার সজিবের রুমে
গিয়ে সজিবের ছবির কাছে গিয়ে ছবির উপর হাত
রেখে বললো ' প্রিয় স্বামী আমি তোমার
হত্যার প্রতিশোধ নিজ হাতে নিয়েছি। কথাটা বলে
সজিবের ছবি বুকে নিয়ে হারিয়ে গেলে ভার্সিটির
সেই দিনে, ফুলশর্য্যা রাতের কথা মনে পড়তেই
কথার চোখ গড়িয়ে পানি পড়ছে। অনেক ক্ষণ
সজিবের ছবিটা বুকের সাথে জড়িয়ে রাখলো,
তারপর ছবিটার কপালে চুমু দিয়ে বের হতেই
দেখে সজিবের খাটের নিঁচে একটা আন্টির
মতো কি যানি দেখা যায়!
.
-- আন্টি'টা হাতে নিতেই কথা অবাক হয়ে যায়, এটা
তো তোবার আন্টি এখানে কীভাবে এলো,
নাকি তোবাও এখানে এসেছিল। কথার মাথায় অনেক
কিছুই ঘুড়তে ছিল।তা হলে কি তোবা সবকিছুর
পিছনে রয়েছে। হঠাৎ কথার ফোনটা বেজে
ওঠলো!
.হ্যালো কথা মা তুই কোথায়, তোবাকে এবারশন
করতে নিতে যাচ্ছি, তুমি হসপিটালে এসে পড়ো।
( কথার বাবা)
.
-- এদিকে কথার বাবার কথা মতো, কথা হসপিটালে
গিয়ে এবারশন করার সব কিছু ঠিক- ঠাক করে
আসলেন!
.
-- ডাক্তার তোবার ডিএন এ টেস্ট করে অবাক হয়ে
গেলেন। যে সব রির্পোট ছিল সব ভূয়া। ডাক্তার
কথা, এবং তার মা বাবাকর যা বললো তা শুনে সবাই
অবাক হয়ে গেল! ডাক্তার বললো, প্রকৃত পক্ষে
তোবা অন্তঃসন্তা নয়.......
.
.
♥-----"To be Continue"--♥ -

গল্প :-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে""
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed

.100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- ০৯~~~ 2
.
-- কথা, তোবার কথা শুনে মনে, মনে ভাবছে
ভালোই হয়েছে রাজকে এই সুযোগে
ডির্ভোস দেয়া যাবে! তার সাথে নিজের
বোনের গর্ভের সন্তান। আমি না হয়
সজিবের ভালবাসার সন্তানটার মুখ দেখেই
জীবনটা পার করে দিবো! মুক্তি পাবো
আমার স্বামীর খুনির কালো ছাঁয়া থেকে!
.
-- আপু কি হলো বলছো না কেন কিছু! আপু
ক্ষমা করে দাও তোমার ডির্ভোস এর কথা
বলা ঠিক হয়নি! আমি না হয় আমার
বোনটার সুখের জন্য নিজেকে কুরবানী করে
দিবো! ( তোবা)
.
-- চুপ কর বোন আমার! তোর হাসি মুখটা
দেখার জন্য এমন দুশ্চরিএ স্বামীকে হাজার
বার ডির্ভোস দিতে পারি! চিন্তা করিস
না!
.
--- এদিকে তোবা কথার মুখে ডির্ভোসের
কথা সুনে, ফোনটা রেখে দিয়ে, হি,হি,হি
করে হেসে দিলো! আর বলতে লাগলো" রাজ
বলেছিলাম না তোমাকে যে ভাবে হোক
আপন করে নিবো"! হা,হা,হা এখন কথা
রাজকে ডির্ভোস দিবে! আর আমি
রাজকে""""" থাক বাকিটা না হয় পরে জেনে
নিবেন।
.
--- এদিকে বিকেলে অফিস থেকে আসার
সময়, বেবী কর্নার থেকে দুইটা পুতুল কিনে
নিয়ে আসলাম "। দেখতে দেখতে আজ ৯ মাস
আর একমাস পরেই রাইসা আসবে আমার ঘর
আলোকিত করে আমি বাবা হবো, কথা মা
হবে। কথা তখন আর আমাকে দূরে সরিয়ে
রাখতে পারবে না।কথা বুঝবে তাকে কতটা
ভালোবাসি! এসব ভাবতে ভাবতে বাসায়
এসে দরজা লক না করে রুমে ডুকতেই দেখি
কথা কাপড় চেন্জ করছে! পুতুল দিয়ে মুখটা
ডেকে ফেললাম!নিজের কাঁছে কেমন জানি
লাগছে!
.
--- অ্যা, অ্যা তুমি এখানে কি হচ্ছে এসব
কারো রুমে আসতে অনুমতি লাগে! এই কথা
বলে কাপড় টা পড়ে নিলো!
.
--- সরি! আমি জানতে পারিনি তুমি চেইন্জ
করছো! জানলে হয়তো আসতাম নাহ্!আচ্ছা
বলো তো পুতুল গুলো কেমন হয়েছে? ( আমি)
.
-- হি,হি, আমি কি ছোট বাচ্চা যে পুতুল
দিয়ে খেলবো! ( কথা)
.
-- আরে তোমার জন্য না আমাদের মেয়ের
জন্য! ( আমি)
.
--- ওহ্ তাই বুঝি! কেমন করে ভাবলে ওইটা
তোমার মেয়ে হবে, এই কথা বলে পুতুল গুলো
ফেলে দিলো!
.
-- পুতুল গুলো ফেলে দেওয়ার দিকে তাকিয়ে
আছি।
.
---- আর শোন তোর মতো দুশ্চরিএ আমার
গর্ভের মেয়ের বাবা তো দূরের কথা আমার
মেয়ের নামও নিতে পারবি না! আর হ্যা ৬
মাস হতে তিনদিন বাকি, ডির্ভোস টা
দিয়ে দিবে তোমার কালো ছাঁয়া সজিবের
সন্তানের ওপর, আমাদের ভালবাসার
ফসলের ওপর পড়তে দিবো না। ( কথা)
.
-- কি বলছো এসব, আমি কি এতই খারাপ যার
জন্য এমন করছো! প্লিজ এমন
বলোনা,ডির্ভোস দিয়ে কিভাবে থাকবো
আমি! আমি মরেই যাবো! আমার সমস্ত
ভাবনা জুড়েই তুমি। একটা বার ভেবে দেখ
তো তুমি ; একটা মানুষ অন্য আরেকটা
মানুষকে কতটা ভালবাসলে অন্তঃসন্তা
মেয়েকে বিয়ে করতে পারে! শুধু তাই নয়
আজ পর্যন্ত স্বামীর অধিকারও ফলায়নি।
কথা সত্যি তোমাকে বড্ড বেশি ভালবাসি!
.
-- ঠাস- ঠাস, ওই পাপী মুখে ভালবাসার কথা
বলতে লজ্জা করেনা! ছিঃ তুই এতটা
নিলজ্জ, এতটা দুশ্চরিএ তোর বোনের মতো
আমারো বোন তোবাকে হোটেল এ নিয়ে
যেয়ে রুম ডেট করে গর্ভবতী করে
ফেলেছিস।এই তোর ভালবাসা, আমার মন
চায় তোর রক্ত দিয়ে গোসল করে নিজের
মনের জ্বালা মিটায়! ( কথা)
.
-- কথার মুখে তোবাকে নিয়ে এমন কথা শুনে
নিজের অজান্তেই বুকটা ফেঁটে কান্না
আসছে! চোখ দিয়ে অঝরে পানি পড়ছে! কিছু
না বলে কথার সামনে থেকে চলে গেলাম!
কী লাভ, তাকে সত্যটা বলে, তাকে যতই সত্য
বলি সে বিশ্বাস করবেনা! রেগে গিয়ে
গর্ভের সন্তানের ক্ষতি করবে! ফেলে
দেওয়া পুতুল গুলো কুঁড়িয়ে বুকে নিয়ে শুয়ে
রইলাম! রাতে শুয়ে শুয়ে ভাবছি অনেক
হয়েছে কাল ডির্ভোস পেপার দিয়ে দিবো!
তার সাথে মুক্তি দিবো সব ভালবাসার
বন্ধন থেকে, । সজিবের কথা মনে পগছে!
সজিবের সাথে এমন করাটা ঠিক হয়নি!
সজিব তো আমার বন্ধু ছিল! সত্যি কি আমি
ওকে বন্ধু ভাবতাম নাহ্! এসব ভাবতে ভাবতে
রাতে না খেয়েই সোফায় শুয়ে পড়লাম।
.
---- কথা রাতে ভাবছে, যদি তার জন্ম না
হতো পৃথিবীতে তাহলেই হয়তো ভালো
হতো। কি এমন পাপ করেছিলাম যার জন্য
এমন দুশ্চরিএের সাথে সংসার করতে হচ্ছে!
এসব ভাবতে, ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে যায়
কথা!!
.
--- কেমন আছো! এতো কান্না করো কেন?
তুমি কাঁদলে আমার খুব কষ্ট হয় জানো না।
প্লিজ তুমি আর কেঁদোনা সোনামনা!
( সজিব)
.
-- তুতুতু"""মি কথাটা বলতে কথার গলাটা
ধরে এলো!
.
-- হ্যাঁ তোমার ভালবাসায় আমাকে ফিরে
নিয়ে এসেছে! কি করবো আর থাকতে
পারলাম না তোমাকে যে বড্ড বেশি
ভালোবাসি!( সজিব)
.
--- আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি তাই
তোমার খুনিটাকে স্বামীর অধিকার
দেয়নি! ( কথা)
.
-কথা তুমি আমার খুনের প্রতিশোধ নিবে
ছাড়বেনা রাজকে, ছাড়বেনা ওই খুনিটাকে
যে তোমার গর্ভের সন্তানটাকে তাঁর
বাবার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
আমাকে তোমার কাছ থেকে তোমাকে
কেঁড়ে নিয়েছে! বলো প্রতিশোধ নিবে?
( সজিব)
.
--- হুমম আমি তোমার সন্তানের কসম করছি
তোমার খুনের প্রতিশোধ আমি নিবো- ই! ওই
তোমার ব্লেডিং হচ্ছে, তোমার বুকে ছুঁড়ি
ডুকানো কেন?
.
--এ ছুঁড়ি দিয়েই রাজ আমাকে খুন করেছে!
( সজিব)
.
-- খুননননননননন কথাটা কাঁপা -কাঁপা গলায়
বলতে গেলেই কথার ঘুম ভেঙ্গে যায়। কথার
ঘুম ভাঙ্গতেই পানি পিপাসারে জীবন বের
হয়ে যাচ্ছে, কথা টেবিলে গ্ল্যাসে রাখা
পানি খেয়ে ফ্লরে বসে ভাবতে থাকে কি
দেখলো সে, ! রাজ এভাবে তার স্বামীকে
খুন করেছে! এসব ভাবতে ভাবতে রাতে আর
ঘুম হলোনা!
.
--- সকাল এ ফ্রেশ হয়ে অফিস এ না গিয়ে
কুর্ট থেকে ডির্ভোস পেপার টা নিয়ে
বাসায় আসতেই বিকেল হয়ে যায়! বাসায়
এসে ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশ রুমে ডুকতেই
একটা শর্ক খেলাম। কথা ওয়াশরুমের দরজা
লর্ক না করেই শাওয়ার নিচ্ছে!চোখ দুটি
দু'হাত দিয়ে বন্ধ করে ফেললাম!
.
-- হইছে আর লজ্জাবতীর মতো লজ্জা পেতে
হবে না! আমার সব জিনিস তোমার দেখার
অধিকার রয়েছে! আচ্ছা চোখটা খুলো কেমন
লজ্জা পেতে হবেনা দেখ কি দেখতে চাও!
( কথা
.
-- ওরে! আল্লাহ্ চোরের মুখে রামনাম! যাহ্
বলছো তাতেই অনেক। আচ্ছা তুমি শাওয়ার
নিয়ে এসো!( আমি)
.
-- যাহ্ দুষ্ট! এতো দুষ্ট কেন তুমি! কথাটা বলে
ওয়াশরুম থেকে দরজাটা লাগিয়ে দিলো!
.
-- রুমে এসে বসে পড়লাম! এসির মাঝেও
শরীরটা ঘামছে! আজ নিজেকে অনেক খুশি
- খুশি লাগছে!কথা আমাকে স্বামী
হিসেবে মেনে নিয়েছে!
.
--- হঠাৎ কথা টাওয়াল পড়ে রুমে আসতেই
আমি সেন্সলেন্স হয়ে গেলাস মনে হচ্ছে!
বিছানায় উপুড় হয়ে ষুয়ে পড়লাম!
.
-- মিনিট ৩০ মিনিট পর ডেস্রিং টেবিলের
দিকে তাকাতেই দেখি একটা নীল পরি
আকাশ থেকে নেমে এসেছে! কি সুন্দর
মায়াবী চোখের চাহনী! এলোকেশ থেকে
সূর্যমুখী তেলের সুবাস আসছে! মনে হয়
মাতাল করা চুলের সে গন্ধে নিজেকে
হারিয়ে ফেলি! বিয়ের পর আজ প্রথম
কথাকে নীল শাড়ি, নীল চুড়ি,আমার
পছন্দের পিংক কালারের লিপিস্টিক,
কপালে মাঝে কালো টিপ সবকিছু মিলিয়ে
স্বর্গের অপর্সীর মতো লাগছে! বিস্ময়ের
দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি! খুব ইচ্ছে করছে
গোলাপের পাপড়ীর মতো ঠোঁঠে নিজের
ঠোঁট টা মিলিয়ে দিতে!
.
--- কি দেখছে দুষ্টটা এমন করে!? ( কথা)
.
-- আমার নী পরীকে! ( আমি)
.
-- ওহ্ তাই! রাজ কাল রাতে তোমার কথা
অনেক ভেবেছি! তুমি আমাকে ক্ষমা করে
দাও! আমি বুঝতে পারিনি তুমি আমাকে
এতো ভালবাসো! তাই তোমাকে আজ রাতে
আপন করে নিবো! আমার বুকে আজকের পর
আর কোন কষ্ট থাকবে না! তোমাকে আমার
ভালবাসার সাগরে ডুবিয়ে দিবো! আমার
ডেবিলটাকে! ( কথা)
.
-- এদিকে রাত হতেই মনের মাঝে এক
অজানা ভালো - লাগা কাজ করছে!
কিছুক্ষণ পর কথা আসলো! এসেই বললো এই
দুষ্ট এখন ঘুমালে চলবে নাহ্! আচ্ছা তোমার
জন্য দুধ টা গরম করে নিয়ে আসলাম! খেয়ে
নাও শরীরে রাতে শক্তি পাবে! কথাটা
বলেই গ্লাসটা মুখে ধরলো! সম্পূর্ণ দুধটা টা
খেয়ে ফেললাম!
.
-- কথা আমার এমন লাগছে কেনো? চোখ বন্ধ
হয়ে আসছে! (আসি)
.
-- যাহ্ দুষ্ট আমাকে আপন করে নিতে যাচ্ছো
যে তার জন্য এমন লাগছে! ( কথা)
.
-- হি,হি,হি আমি জানতামনই না আমার
কলিজার টুকরা টা আমাকে এতো
ভালবাসে!
.
-- যাহ্ দুষ্ট আজ কোন কথা না বলে কথার
ঠোঁঠের ঊষ্ণ ছোঁয়া পেতেই শরীরটা কেঁপে
ওঠলো!
-- কথাকে ছাঁড়িয়ে বলতে লাগলাম, কথা
আমার খুব কষ্ট হচ্ছে! আমার নিঃশ্বাস বন্ধ
হৃযে আসছে!
.
--- হা,হা,হা, খুনির আবার কষ্ট কিসের, তুই
কিভাবে ভাবলি আমার স্বামীকে খুন
করার পরও তোকে স্বামী হিসেবে মেনে
নিবো! আজ দুধের সাথে ২৭ টা ঘুমের পিল
মিশিয়ে দিয়েছি! তুই নিশ্চিত মৃত্যু বরণ
করবি! অনেক কষ্ট দিয়েছিস আমাকে, আমার
বোনটাকে অন্তঃসন্তা করেছিস! তাই তোে
হাতের লেখার মতো সুসাইড নোট লিখেছি!
আর তুই মারা গেলে সুসাইড বলে চালিয়ে
দিবো.........
.
.
----"To be Continue"--

গল্প :-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে""
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed

.100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- ০৯~~~
.
.তোবার মুখে অন্তঃসন্তা কথাটা শুনতেই
বুকের মাঝে এক অজানা চিন- চিনে ব্যথা
অনুভব করছে! হঠাৎ রিওের কথা মনে পড়ে
কণার সেই অন্তঃসন্তা হয়ে সুসাইড করার
কথা! মুহূর্তেরর মাঝে কথার পৃথিবীটা
অন্ধকারে ঢাকা পড়ে যেতে থাকে ""।
চোখের সামনে তোবার মুখটা ভেঁসে ওঠছে !
শেষ পর্যন্ত রাজ তোবার সাথে এমনটা
করলো? নাহ্ অনেক হয়েছে, আর না!। তোবা
বোন আমার কাঁদিস না প্লিজ। তোর
কান্না যে আমার কাছে মৃত্যুর চেয়ে
বেদনাদায়ক!
.
-- আপু আমি কি করবো গর্ভের সন্তানের কি
পরিচয় দিবো? সমাজ কি বলবে। আপু বাবা-
মাকে কি বলবো! আপু আমার আত্মহত্যা
করা ছাড়া কোন উপায় নেই! ( তোবা)
.
-- তোবা কাঁদিস নাহ্ তোকে নিয়ে
হসপিটাল থেকে এবারশন করে নিয়ে
আসবো! প্লিজ তুই কোন চিন্তা করিস না!
( কথাটা বলতে কষ্ট হলেও দাঁতে দাঁত চেপে
কষ্টের পাহাড় বুকে রেখে কথা গুলো বললো
কথা)
.
-- বাহ্! আপু, বাহ! তুমি কিভাবে বললে
এবারশন করতে।আমার ভিতরে থাকা ছোট্ট
জীবনটাকে মেরে ফেলতে। তোমার বরের
পাপ কেনো আমি মোচন করবো! আচ্ছা আপু
তোমার গর্ভের সন্তানকে এবারশন করতে
পারবে? দুজন একসাথে করলে কেমন হয়!
( তোবা)
.
--- তোবার কাছে নিজের সন্তানের এবারশন
করার কথাটা শুনতেই কলিজার মাঝে কেউ
যেন ছুঁড়ি চালিয়ে দিচ্ছে! কলিজা ফেঁটে
কান্না আসছে। কি বলে তোবাকে
সান্ত্বনা দিবে ভেবে পাচ্ছেনা কথা!
.
-- আপু তুমি কাঁদছো কেন? আমি জানি তুমি
তোমার সন্তানের এবারশন করতে পারবে
না! তাহলে আমি কেমনে পারব। তাই ভেবে
নিয়েছি সুসাইড করবো! ( তোবা)
.
-- প্লিজ বোন আমায় পাগলামি করিস নাহ্!
সব ঠিক হয়ে যাবে! (কথা)
.
--আপু কেমনে সব ঠিক হবে! আমার সন্তান
যখন হবে কি পরিচয় দিবো তার? আচ্ছা আপু
তোর কাছে আমার সন্তানের পিতৃ- পরিচয়
চায় দিতে পারবি, দিতে পারবি নিজের
স্বামীর ভাগ আমাকে দিতে? ( তোবা)
.
-- তুই, আমার কলিজার একটা অংশ তোকে
বাঁচাতে স্বামীর কেনো তাঁর চেয়ে বড়
ভাগও দিতে রাজি।( কথা)
.
-- তাহলে তুমি রাজকে ডির্ভোস দিবে! আর
রাজ আমাকে বিয়ে করবে! যেন সবাই বুঝতে
পারে আমার গর্ভের সন্তান কোন অবৈধ
সন্তান নয়! এছাড়া সমাজে মুখ দেখানোর
কোন রাস্তা নেয়! রাজ যদি আমাকে বিয়ে
না করে তাহলে আমার মৃত্যু ছাড়া কোন
উপায় নেই। ( তোবা)
.

গল্প:পাওয়া মেয়ে

ঢাকা থেকে খুলনা আসতে ছিলাম বাসে ।
আমার ঠিক সামনের সিট থেকে কান্নার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি।
কান্নার আওয়াজ শুনে মনে হল একটা মেয়ে কান্না করতেছে।
পাশের সিটে একজন মধ্য বয়স্কো লোক বসা ।
আমার মনে একটু সন্দেহ হলো কেননা টিভি নিউজ এ মাঝে মাঝে দেখি মেয়ে মানুষ কে পাচার করে,রেপ করে ,বিক্রি করে....ইত্যাদি ।

আমি একটু ভালো করে কান পেতে শুনতে ছিলাম লোক টি মেয়ে টাকে বলতাছে চুপ কর ছেমরি চুপ চাপ বইসা থাক ,তরে আমার আনাই ভুল হয়ছে
হালা রে কত কইরা বললাম এই ছেমরি আমার লাগবো না তাও তরে আমারে দিয়া দিলো.এখন চুপ চাপ বইসা থাক নাইলে কিন্তু তরে আবার দিয়ামো।
তার পর মেয়েটা আস্তে আস্তে কান্না করতে লাগলো ।
একটু পর লোক টি আবার মেয়েটাকে বলতাছে
অইনে যাইআ ভালো মত কাম করবি নইলে কিন্তু তরে ওরা মাইরা লাবে,আর এই বালের কান্না কাটি বন্ধ কর নইলে কিন্তু......

এইবার আমি কনফার্ম হলাম এই মেয়ে টা কোন খারাপ লোকের পাল্লায় পরছে।
বাস চলেছে আর আমি সময়ের অপেক্ষায় কখন মেয়েটার সাথে কথা বলা যাবে ।
বাস যখন মাওয়া ঘাটে পোছালো তখন মাওয়া ঘাটে প্রচুর জাম ।
কমপক্ষে ৪/৫ ঘন্টা লাগবে আর ঘাটে যে ফেরি আছে ওই টা ১ ঘন্টা পর ছারবে ।তার মানে আমরা পরে যে ফেরি আসবে সেই ফেরি তে যাওয়া লাগবে জামের কারনে।
বাসের ভিতর গরমের কারনে অনেক যাত্রী বাইরে বের হচ্ছে ।
কিছুখন পর ওই লোকটা বাইরে বের হলো।
আমি এই রকমই একটা সময়ের অপেক্ষা করতে ছিলাম।
আমি মেয়েটার পাসের সিটে বসলাম ।
মেয়েটার দিকে তাকালাম মেয়েটা বোরকা পরা শুধু তার চোখ টা দেখা যাচ্ছে ।
চোখ টা রক্তর মত লাল অনেক কেদেছে মেয়েটা।
আমি মেয়েটা কে বললাম কোন সমস্যা ।

মেয়েটা মাথা নারিয়ে না বললো।
আমি বললাম যদি কোন সমস্যা থাকে বলতে পারেন ।
মেয়েটা কিছুখন চুপ থেকে বললো
সমস্যা বলে কি হবে যেই সমস্যার কোন সমাধান নাই।
আগে বলবেন তো দেখি সমাধান করা যায় কি না ।
আমাকে বিক্রি করে দেছে খারাপ জায়গায়
সেখানে আমাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ।

আপনাকে কে বিক্রি করে দিয়েছে,
আর আপনার পরিবার কোথায় থাকে।
মেয়েটা বললো আমার পরিবার বলতে কেউই নেই আমি একটা এতিম মেয়ে,
আর যারা আমাকে বিক্রি করছে তাদের আমি কাউকে চিনি না কিন্তু তাদের মধ্য একজন পুলিশ ছিল ।
এর মধ্যে এই মধ্যে বয়স্ক লোক চলে আসলো
আমি আস্তে করে আমার সিটে বসে পরলাম।

আমি ভাবতে লাগলাম
আমি কি মেয়েটাকে বাঁচাতে পারবো নাকি পারবোনা।
আমি যদি কোন আবার কোন সমস্যার ভিতর পরি।

লোক টি মেয়েটাকে বলতাছে আসে পাশে খাবার হোটেলে নাই।
সামনে হোটেল আমি যাইআ খাবার লইআ আই
তুই এইনে বইআ থাক আমি আইতাছি।
এই কথা বলে লোকটি চলে গেলো।
আমি আবার মেয়েটার পাশে গিয়ে বসলাম।

আর বললাম এখন কি করবেন ।
মেয়েটা বললো যানিনা।
আমি বললাম বাচতে হলে একটা উপায় আছে।
মেয়েটা বললো কি উপায় ?
এখান থেকে পালাতে হবে।
কিন্তু আমি পালিয়ে কোথায় যাবো।আমার তো আপন বলতে কেউ নেই এই দুনিয়াতে।
সেটা এখন ভাবার বিষয় না।
কিন্তু আপনি আমাকে নিয়ে কোথায় যাবেন?
সেটা পরে ভাবা যাবে।
কিন্তু?
কিন্তু কি? এই লোকটা চলে আসবে।যদি বাঁচতে চান তাহলে এখান থেকে এখনই পালাতে হবে।

মেয়েটাকে দেখে মনে হচ্ছে ভয় পাচ্ছে ।

দেখেন আপনি আমাকে বিশ্বাস করতে পারেন
আমি আপনার কোন ক্ষতি করবোনা ।

মেয়েটা আমার চোখের দিকে কিছুখন তাকিয়ে থেকে বললো চলুন ।

আমি মেয়েটাকে নিয়ে সোজা বাস থেকে নেমে ফেরিঘাটের দিক হাটা শুরু করলাম।

ফেরিঘাটে যেয়ে দেখি ফেরি চলে গেছে
এখন কি করবো কিছু বুঝতাছিনা।
এখন স্টিমার বোটে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় নাই ।

মেয়েটা বললো কোথায় যাবো আমরা এখন
ভয়ে ভয়ে বললো কথা টা।

আমি বল্লাম আমার দাদা বাড়ি ।

তার পর

স্টিমার বোটে উঠলাম
অনেক গতিতে চলছে
কিছু খন পর মেয়েটা অন্যদিকে ফিরে মুখের উপর থাকা মুখোস টা মাথার উপরে উঠেয়ে হাতটা মেলে আকাসের দিক তাকিয়ে রইলো ।

তারপর মেয়েটা মুখোসটা ঠিক করে আমার পাশে এসে বসলো ।
জানেন আমি এই প্রথম নদী দেখলাম।(মেয়েটা)
মানে, আপনি আগে পরে কখনও নদী দেখেন নাই।(আমি)
না , আমি সব সময় এতিমখানার ভিতরই থাকতাম।(মেয়েটা)
আপনার আপন বলতে কেউ কি নেই(আমি)
জানিনা আছে কিনা। বলেই মেয়েটা কান্না করতে লাগলো।
কান্না বন্ধ করুন মানুষজন খারাপ ভাববে ।

বোট থেকে নামার পর আমার চাচাতো ভাইরে ফোন দিলাম।
হ্যাঁলো সাকিল।(আমি)
কেমন আছো ভাইয়া।(সাকিল)
ভালো, আমি আসতাছি বাড়ি ।
সত্যি ।
হুম।
এর কে কে আসবে।(সাকিল)
একটা মেয়ে আছে আমার সাথে ও আসবে।(আমি)
কে ভাইয়া মেয়েটা।(সাকিল)
আমি আসি তারপর বলবানি।(আমি)
থাক আর বলা লাগবে না আমি বুঝছি ।(সাকিল)
কি বুঝ....বলার আগেই ফোনটা কেটে দিলো।

তারপর
মেয়েটাকে বললাম কিছু খাবেন
মেয়েটা মাথা নারিয়ে না বললো।

তারপর আমি জোর করে হোটেলে নিয়ে গেলাম
মহিলা ওয়াশ রুম দেখিয়ে দিয়ে বললমা হাত মুখ ধুয়ে টেবিলে আসুন।
আমিও হাত মুখ ধুয়ে খাবার টেবিলে আসলাম

ওয়েটার টেবিলে খাবার দিতাছে এর ভিতর
মেয়েটা আমাকে বললো
আমি কি এখানে বসে খাবো।
তো কোথায় বসে খাবেন।(আমি)
না আমি এখানে বসে খাবো না।(মেয়েটা)
কেন?
এখানে অনেক লোকজন আর পুরুষ আছে তাই।
আমি আর কোন কথা বললাম না।
ওয়েটার বললাম
ভাই এখানো কোন আলাদা খাওয়ার জাগা আছে ।
হুম এইখানে।
আপনি ওনাকে এইখানে নিয়ে যান আর ওনার খাবারটা এইখানে দিয়ে আসেন।(আমি)
ওকে।
তার মেয়েটাকে বললাম
আপনি এইখানে যেয়ে খেয়ে আসুন
মেয়েটা কিছুখন তাকিয়ে থেকে চলে গেল।
খাওয়া দাওয়া শেষে বাসে উঠলাম দাদা বাড়ি যাওয়ার জন্য ।
রাত ৮টার সময় দাদা বাড়ি পৌছালাম ।
বাড়ির ভিতর ঢুকে আমি একটু অবাক হলাম ।
আমার দাদা দাদি ৪ চাচা চাচি ২ফুফু ভাই বোনে পুরা ঘর ভরা।
সাকিল আমার পাশে এসে বললো চলো ভাইয়া।
বলে একটা রুমে নিয়ে যাচ্ছে ছিলো আমি মেয়েটাকে দেখিয়ে শাকিল কে বললাম ও
সাকিল আপু ডাক দিয়ে বললো
আপু তুই ভাবি কে নিয়ে যা।(সাকিল)
ভাবি মানে।(আমি)
সাকিল মুচকি মুচকি হাসতাছে।

আমি মেয়েটাকে বললাম
এনাদের সামনে একটুও কান্না করবেন না
মেয়েটা মাথা নারিয়ে ঠিক আছে জানালো।
আপু আমার সামনে এসে বলতাছে
অনেক বড় হয়ে গেছিস
মানে(আমি)
মেয়েটাকে দেখিয়ে এ যে বলে আপু মেয়েটাকে নিয়ে অন্য রুমে চলে গেল।
আমি রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে বের হওয়ার সাকিল আমার হাতে একটা পান্জাবি দিয়ে বললো পরো এটা ।
আমি বললাম না আমার জামা কাপুর ব্যাগে আছে।।
তারপর ও পরো দাদা পরতে বলছে।(সাকিল)
আমি পরে বের হলাম।

তারপর দাদার পাশে বসলাম
দাদাকে বললাম কেমন আছো ।
তারপর দাদা আমাকে জড়িয়ে দরে কান্না করতে লাগলো
আর বললো তোর মা বাপ এখন ও আমার উপর অভিমান করে আছে
আমি ফোন করছিলাম তোর আব্বু আম্মু
কে তারা সকালে আসতাছে
আমি অবাক হয়ে গেলাম এই ২১ বছর পর দাদা আমার আব্বু আম্মুর সাথে কথা বললো
আমার মা বাবা প্রেম করে বিয়ে করছিলো বলে মেনে নেই নি ।
আমার দাদা তার ভাইয়ের মেয়ের সাথে আব্বুর বিয়ে ঠিক করছিলো।
কিন্তু আমার আব্বু বিয়ের তিন দিন আগে পালিয়ে বিয়ে করে ।
তারপর দাদার কাছে আসছিলো দাদা মেনে নেই নি।(আরো অনেক কথা অন্য একদিন বলবো)

তারপরে সবার সাথে কথা বললাম
মেঝো চাচিকে জিগ্যাসা করলাম চাচা কই
বললো অফিসে।
(আমার মেঝো চাচা কাজি)
এতো রাতে অফিসে।(আমি)
এখনি চলে আসবে(চাচি)
তারপর দাদি আমাকে বললো।
মেয়েটার নাম কি?

আপু চিল্লায়া বললো মিষ্টি
দাদি বললো দেখতে যেমন মিষ্টি নাম ও মিষ্টি

সবাই মেয়েটার মানে মিষ্টির প্রশংসা করতে লাগলো।
আমি একটু রুমের বাইরে এসে মুসকান কে ফোন দিলাম।

চলবে.....................................

------- # _যদি_একটু_সময়_হয়_গল্পটা_পড়বেন ------
ক্যান্সার আক্রান্ত ‘মেয়েটি’ তার
প্রেমিককে বলেছিলো”—– “আমিতো ‘মরে’
যাবো”!!!"
“কিন্তু, তোমাকে “ভালবাসবে কে,,???"
“কে দেখে রাখবে,,???"
“কে তোমায় “শাসন করবে,,???"
“ঝগড়া করবে কার সাথে,,???"
“তোমার তো রাত জাগার স্বভাব”!!!"
“না খেয়ে থাকার বদ অভ্যাস”!!!"
“কে তোমাকে বকা দিয়ে খাওয়াবে,,???"
“কে ‘গান শুনিয়ে ঘুম’ পাড়াবে,???"
“তুমি বরং একটা ‘বিয়ে’ করে নাও”!!!"
“আমার মৃত্যুর আগেই প্লিজ”!!!"
“আমি অন্তত দেখে যেতে চাই”—- “তুমি
ভালো থাকবে”, “আমি না থাকলেও” !!!"
“ছেলেটি ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে,
“মেয়েটিকে বুকে ‘জড়িয়ে’ ধরে
বলেছিলো”—– “চুপ একদম চুপ”!!!"
“তোমার কিচ্ছু হবেনা”!!!"
“তুমি ছাড়া আমি আর কারও হতে
পারিনা”!!!"
” হবোনা কোনদিন”!!!"
“আমি তোমাকেই “ভালবাসি”!!!"
” তুমিই আমার “পাগলী”!!!"
“তুমি ‘মরবে না”!!!"
“মরতে পারোনা”!!!"
“স্রষ্টা এমন করতে পারেনা”!!!"
“মেয়েটির চোখ বেয়ে “অশ্রু গড়িয়ে
পড়ছে”!!!"
“বুকের কষ্ট গুলো ছাঁইচাপা আগুনের মত ফুঁসে
উঠেছে”!!!"
“এমন “ভালবাসার মানুষকে ছেড়ে যেতে
হবে,,???"
‘“মেয়েটি বললো জানো”—- “আমার
অন্ধকারে খুব ‘ভয় লাগে”!!!"
“অথচ দেখো কদিন পর চিরস্থায়ী অন্ধকারে
থাকতে হবে”!!!"
“বলোনা কি করে থাকবো,,???"
“খুব ইচ্ছে করছে তোমার বুকে মাথা রেখে,
“সারাজীবন আলোয় থাকতে”!!!"
“ছেলেটির চোখে মুখে ‘অশ্রুজলে’
মাখামাখি”!!!"
“দুইজন দুজনকে বুকের মাঝে ‘জড়িয়ে কেদে
যাচ্ছে নিরবে”!!!"
“এই ঘটনার কিছুদিন পর”—– “মেয়েটির মৃতু্য
হয়”!!!"
“ছেলেটি প্রতি রাতে, “মেয়েটির কবরের
পাশে বসে থাকে”!!!"
“একের পর এক ‘মোমবাতি জ্বালিয়ে,“মেয়
েটির কবর আলোকিত করে”!!!"
“রাতে ঘুমায়না এইভেবে যে”—— “মেয়েটি
অন্ধকার সহ্য করতে পারেনা”!!!"
‘ “ইদানীং ছেলেটিরও ‘ক্যান্সার’ ধরা
পরেছে”!!!"
‘খুব টেনশনে আছে ছেলেটি”!!!"
” মৃত্যুর চিন্তা না”!!!"
“ছেলেটি ভাবছে সে চলে গেলে, “কবরে
‘মোমের আলোজ্বালাবে কে,,???"
“মেয়েটি যে অন্ধকারে খুব ভয় পায়”!!!"
“ভালো থাকুক ‘পবিত্র ভালবাসা’
ওপারেও”!!!"
“হৃদয়ের বন্ধনে আন্তরিকতার টানে”!!!"
# কেমন_লাগলো_কমেন্টে_জানাতে_ভূলব
েন_না ...
------------------------------------------------------------
--------------
“““লেখার মধ্যে ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার
দৃষ্টিতে দেখবেন„„„

Money is motivation ♥♥

image