গল্প :-
--------""অহংকারী মেয়ে""?
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
★--------পর্ব :- ০৪ ~~~ ❤️
.
.
আমাকে বউ হিসাবে কেমন লাগবে?(জুই)
-লাল শাড়িতে হেব্বি মানাবে(শান্ত)
-ওহহহ শিট
-কি?
-ভালোবাসি
-কাকে
-আমি তোমাকে ভালোবাসি
-তেমার মাথা ঠিক আছে?
-হ্যা আমি ঠিক আছি
-ঠিক থাকলে এই কথা কিভাবে বলতে পারলা?
-শান্ত(রাগি চাহনি তে)
-হ্যা বলো
-সত্যিইইই অনেক ভালোবাসি
-এসব আবোলতাবোল না বলে বাসায় গিয়ে রেস্ট নাও
-তোমার সাথে ঘুরতে বের হয়ছি, আরো রাত হউক তারপর যাবো বলে শান্তর হাত ধরে ফেলে
-শান্ত তখন জুই এর দিকে চেয়ে দেখে জুই শান্তর দিকে চেয়ে আছে আর মুচকি হাসছে
-বলো নাহহহহহ
-কি বলবো?
-বলো জুই আমিও তোমাকে ভালোবাসি
-বললে কি হবে?
-আমাদের ছেলে মেয়ে হবে
-ভালোবাসি বললে ছেলে মেয়ে হয় এটা আজ প্রথম শুনলাম
-বলো না
-ভালোবাসি
তখন জুই হাটার মাঝে একটু উকি মেরে ঠোটে একটা কিছ করে লজ্জা পাওয়ার মতো করে নিচে চেয়ে থাকে
-এই এটা কি করলা?
-কি করছি?
-কিছ করার কথা আমি আর কিছ করছো তুমি
-তোমাকে করতে না করছে কে
-থাক এখন করবো না
-কেনো?
-এমনিতে
-না না এখন করতে হবে।
এভাবে সেদিনের মতো কথা বলে তারা তাদের বাসায় যায়।
বাসায় যাওয়ার পরে.......
-আজ এতক্ষণ কোথায় ছিলি?(এনি)
-বন্ধুর বাসায়(শান্ত)
-কোন বন্ধু?
-আমার যে কোনো বন্ধুই থাকতে পারে
-এটা-ই তো, সেটা ছেলে না মেয়ে
-অবশ্যই ছেলে
-ওকে যাহ
শান্ত রুমে গিয়ে ভাবতে থাকে.... জুইকে লাল শাড়ি পরলে আসলেই মানাবে। মেয়েটা অনেক ভালো,ওর চেহারায় মায়া আছে ঠিক তখনি জুই এর ফোন আসে।
-কি করো(জুই)
-শুয়ে শুয়ে কারো কথা ভাবছি(শান্ত)
-এই এই কার কথা
-কার আবার, এখন আমার সাথে যে কথা বলছে তার কথা ভাবছি
-সত্যিইইইই
-হুমম
-এই এই কি ভাবছো বলো না
-ভাবছি তোমাকে বিয়ে করবো
-কুত্তা না করলে তোর খবর আছে।
এভাবে আরো অনেক্ষন কথা বলে।
পরেরদিন শান্ত নীল পান্জাবি পরে ভার্সিটিতে যায়।
জুই ক্যাম্পাসে অনেকক্ষন হয় অপেক্ষা করছে।
শান্ত যাওয়ার সাথে হাসি দিয়ে চোখ টিপ মারে।
শান্ত তখন জুই এর দিকে চেয়ে শান্ত ও চোখ টিপ মারে
-ক্লাস শেষে আজকে একজায়গায় যাবো(জুই)
-কোথায়?
-ঐ পাশের এলাকায় একটা লেক আছে অনেক সুন্দর
-ওকে
ক্লাস শেষে দুজনে ওখানে গিয়ে বসে।
শান্ত বসার পর জুই শান্তর কাধে মাথা রেখে বসে পরে।
-তোমার সাথে কিছু কথা আছে(শান্ত)
-এখানে তো কথা বলার জন্যই আসছি, বলো(জুই)
-আমাকে কি তুমি সত্যি ভালোবাসো নাকি আমার সাথে খেলা করছো?
-শান্ত তুমি আমার জীবনের প্রথম ভালোবাসা,আমি তোমাকেই ভালোবাসি
-আমার জীবন সমন্ধে তুমি মনে হয় সব কিছুই জানো
-হ্যা না জেনে কি ভালোবাসছি নাকি?
-সব জেনে শুনেও ভালোবাসবা?
-হ্যা, সারাজীবন ভালোবাসতে চাই বলে জুই শান্তকে জড়িয়ে ধরে বুকে মাথা রাখে
-কেউ দেখবে তো
-দেখলে আরো ভালো হবে
-কেউ দেখলে ইচ্ছামতো মারবে
-মারলেও ভালো, মারার পরে দুজনের বিয়ে দিয়ে দিবে
-ওমাহহহ, এত বুদ্ধি?
-তখন জুই হেসে দেয়
-এই একটা ই দাও(জুই)
-কি?
-কিছ করো
-এই জায়গায়?
-হ্যা,ভয় পাও নাকি?
-কেউ দেখবে তো
-দেখবেনা
-দেখলে প্রবলেম হবে।
জুই তখন শান্তর মুখটা কাছে এনে কয়েক সেকেন্ডে কয়েকটা কিছ করে দেয়।
শান্ত আর জুই এভাবে কতক্ষণ থাকার পর বাসার উদ্দেশ্যে যায়।
শান্ত বাসায় যাওয়ার পরে......
-ক্লাস কখন শেষ হয়ছে?(এনি)
-সেটা তো তুমি ও জানো
-ক্লাস শেষ হয়ছে ৩ঘন্টা আগে, এতক্ষণ কোথায় ছিলি?
-যেখানেই যায় সেটা তোমার জানতে হবে না
-এই বাড়িতে তুই কি হিসাবে থাকিস?
-আংকেল আন্টির ছেলের মতো হয়ে
-হি হি হি
-হাসার কি আছে?
-এটা না বলে বল বিশ্বস্ত চাকর
-তুমি যেটা মনে করো সেটাই বলে শান্ত তার রুমে চলে যায়।
তার ১০-১৫ মিনিট পরে এনি শান্তর রুমে যায় কিছু বাজার আনানোর জন্য।
এনি রুমে যাওয়ার পরে শান্তর মোবাইল থেকে একসাথে দুইটা মেসেন্জারের নটিফিকেশনের সাউন্ড আসে।
এনি তখন শান্তর মোবাইল টা হাতে নিয়ে যা দেখলো তা দেখে তার মাথা নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো।
.এনি দেখে জুই এর আইডি থেকে কয়েকটা মেসেজ আসছে এরকরম,বাবু বাসায় গেছো? খেয়ে নিও কেমন।
আর হ্যা শুনো কালকে আমার ফেবারিট জায়গায় যাবো তোমাকে সাথে করে নিয়ে।
এসব দেখে এনির মাথায় রক্ত উঠে যায়।
তখন শান্ত ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে আসে।
-আজকে কোথায় গেছিলি?
-ফ্রেন্ডের বাসায়
-জুই তোর ফ্রেন্ড?
-মানে?
-কিছু বুঝিস না?
-কি বলছো?
-জুই এর সাথে কোথায় গেছিলি?
-কেনো?
-এই কুত্তার বাচ্চা তোরে না বলছি আমাকে প্রশ্ন করবি না
তা ও প্রশ্ন করিস কেন এই বলে শান্তর গলায় খামচি মারে।
শান্ত তখন ব্যাথায় কান্না করে দেয়।
-এই তোর নাটক কান্না বন্ধ কর,বল কোথায় গেছিলি?
-পার্কে
-কেনো?
-জুই নিয়ে গেছে
-নিয়ে কি বলছে?
-অনেক কিছু
-বল কি বলছে?
-শান্ত তখন চুপ হয়ে থাকে
-প্রেম হয়ে গেছে তাই না?
ভালোই ধান্দা বাইর করছিস।
-কি সব যা তা বলছো? আমি কেনো ধান্ধা করবো?
-বড় লোকের মেয়ের সাথে প্রেম করছিস, তারপর বিয়ে করতে পারলে লাইফ সেটেল তাই না?
-হ্যা বলে শান্ত বারান্দার দিকে চলে যায়।
হ্যা বলছে কারন শান্ত জানে ওর কাছে যতক্ষন না মাথা নত না করবে ততক্ষণ সে খোচাবে।
পরেরদিন শান্ত বের হয়ে
জুই যেখানে বলছে শান্ত সেখানে যায়।
জুই এর সাথে দেখা হওয়ার সাথে সাথে জুই শান্তর হাত ধরে...
-এই এত দেরি হলো কেনো?
-ঠিক সময় ই তো আসছি
-আমি অনেক্ষন হয় এসে বসে আছি বলে শান্তর হাতে জড়িয়ে ধরে কাধে মাথা রাখে।
কাধে মাথা রাখার পরে গলার দিকে নজর যায়।
-এইটা কিসের দাগ(জুই)
-কোথায়?
-গলায়
-এমনিতে ওগুলো কিছু না
-কিভাবে হয়ছে বলো
-আরে কিছু না
-মিথ্যা ও বলতে পারো
-আরে তা না
-কিভাবে হয়ছে বলো
-বাদ দাও না
-এটা খামচির দাগ,এনি তোমাকে খামচি দিছে
-হুম
-কেনো?
-কালকে যে তুমি টেক্সট করছো ওগুলো ও দেখে ফেলছে
-কিভাবে দেখছে?
-আমি মোবাইল চার্জে লাগিয়ে ওয়াশ রুমে গেছিলাম ঠিক তখন ই তোমার মেসেজ আসছিলো
-তুমি কি প্রতিবাদ করতে পারো না?
-সবাই প্রতিবাদ করতে পারে না
-কেনো পারবেনা?
-তোমাকে আগেই বলছিলাম যে যেই পজিশনে থাকে সে বুঝে তার জায়গাটা কেমন
-আমি ওকে দেখে নিবো
-এসব বলতে হবে না
-কেনো?
-আমাকে এমনিতেই সহ্য করতে পারে না এর মধ্যে এমন হলে তো আরো সহ্য করতে পারবে না।
শান্ত আর জুই আরো কতক্ষণ সময় কাটিয়ে ক্লাসের সময়ে ভার্সিটিতে গিয়ে উপস্থিত হয়।
শান্ত ভার্সিটিতে গিয়ে ফ্রেন্ডদের সাথে চলে যায়।
জুই ও তাদের বন্দুর সাথে মিশে যায়।
-কোথায় গেছিলি?(এনি)
-বয় ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে(জুই)
-বয় ফ্রেন্ড বানিয়ে নিছিস? কে রে সে (অন্যান্য বন্দু)
-আছে, আমাদের ক্লাসমেট ই
-নাম কি বল না রে(বন্দু)
-দোস্ত ট্রিট দে(আরেকজন)
-তোর মোবাইল টা দে একটু(এনি)
-দিচ্ছি বলে শান্ত আর জুইয়ের লিপ কিছের একটা ছবি ওয়াল পেপার দেয়।
-নে বলে জুই মোবাইল টা হাত বাড়িয়ে দেয়।
-এনি মোবাইলের ওয়ালপেপারে এসব ছবি দেখে রাগে নাক মুখ লাল হয়ে যায়। এনি সাথে ওয়ালপেপার টা দেখার সাথে সাথে মোবাইল টা আবার জুইকে ফিরিয়ে দেয়।
-কি রে নাম বলবিনা?(রাফি নামে একটা ছেলে)
-জুই তখন সবার সামনেই শান্তকে ফোন দিয়ে আসতে বলে।
শান্ত তাদের কাছাকাছি এসে দেখে এনি ও সেখানে উপস্থিত।
শান্ত এনিকে দেখে একটু একটু ভয় ও পাচ্ছে।
শান্ত আসার পরে জুই সবার সামনে হাত ধরে বলে...
-এই ভার্সিটির টপ স্টুডেন্ট আমার অনেক দিনের ক্রাশ। সেমিস্টার শেষের দিকে তাই আর দেরি না করে ওকে সব কথা বলে দিলাম। শান্ত ই আমার স্বপ্ন বলে সবার সামনেই তার কাধে মাথা ফেলে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।
তাদের মধ্যে সবাই অভিনন্দন জানাচ্ছে শুধু এনি ছাড়া।
-কি এনি কথা বলছিস না যে?(জুই)
-এনি মনে হয় তোর জামাইরে পছন্দ করতো বলে সবাই হেসে দেয়।
-মালিক কখনো চাকরেরর কাছে বিয়ে বসে?
-মানে?(সবাই অবাক হয়ে)
-মিস শান্ত ওপপপস স্যরি মি.শান্ত আমাদের বাড়ির বিশ্বস্ত চাকর। সে ১২ বছরের উপরে হয় আমাদের বাড়ির চাকরের মতো করে কাজ করে যাচ্ছে।
জুই তখন.......... ♥
.
.
♥----"To be Continue"---♥