Tamjid Ahmed changed his profile picture
6 yrs

#tamjidahmed

image

#tamjidahmed

image

image
অছিন পাখি changed his profile cover
6 yrs

image
অছিন পাখি changed his profile picture
6 yrs

image

গল্প:-- "হেডমাষ্টারের princes"
.
লেখক:- #RJ_Nayem_Ahmed
.
পর্ব:--০২~~~♥
.
.
আমি: ইয়ে মানে আপনি তো বল্লেন যে আপনি নাকি আমাকে খেলা দেখাবেন তাই লজ্জা করছে আসলে এই প্রথম মেয়ে সামনে খেলা দেখাবে |
মেয়ে: ওরে কচি খোকা আসো তোমাকে খেলা দেখাচ্ছি |
আমি: সত্যি আগে কথা থেকে শুরু করবেন ?
মেয়ে: আচ্ছা বাবু মাথাটা নিচু করো |
অতঃপর তাদের কথা মতো মাথা নিচু করলাম ভাবলাম এটা নতুন রুল যে মাথা নিচু করলাম সেই দুম দাম পিঠের উপর ঘুশি আর থাপ্পর শুরু তখন সে বল্লো----->
মেয়ে: কেমন খেলা দেখলা ?
আমি: এই প্রথম মেয়েরা মাইর দিলো আহারে কত যে মজা |
মেয়ে: কি বল্লি ?এই দোষ্ট চল আবার দেই ওরে দলাই |
আমি: এই না না প্লিজ আমাকে ছেরে দিন আমি এখানে নতুন তার উপর আমি নিষ্পাপ একটা শিশু প্লিজ ছেরে দিন |
মেয়ে: ওরে আমার শিশু তখন মনে ছিলো না এটা ?
আমি: আসলে তখন বুঝতে পারি নি যে আপনারা গুন্ডা থুক্কু গুন্ডি|
মেয়ে: হ্যা আমরা গুন্ডির দল কিন্তু তোকে তো ছারবো না তুই কার সাথে বেয়াদবি করছিস |
আমি: আচ্ছা এখন কি আপনার পা ধরতে হবে আচ্ছা ধরছি ?
মেয়ে: এই কি করছিস ছার বলছি ?
আমি: কেনো আমি তো অপরাধ করেছি তার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি |
মেয়ে: হইছে থাক আর অপরাধী সাজতে হবে না কখন না আবার অপরাধী গান শুরু করে দিবি |
আমি: ওহ ঠিক বলছেন খারান বলতেছি------> ও গুন্ডি ও গুন্ডি রে তুই অপরাধীরে আমার মতো নিষ্পাপ শিশুকে দে ছাইরা দে|
অতঃপর গান তারা শুনার পর সবাই হাসছে আর সে দেখি রাগে ফুলতেছি তখন আমি বল্লাম---->
আমি: আচ্ছা গানটা কি খারাপ হয়েছে আচ্ছা নতুন একটা বলবো?
মেয়ে: হারামজাদা তোর গানের গুষ্টি কিলাই তোকে আজকেই মেরেই ফেলবো তুই আমাকে চিনিস না |
আমি: এই প্লিজ এভাবে থ্রেড দিবেন না আর না হলে আমি আবার হিশু মানে প্যান্টে মুতে দেই |
কথাটা শুনার পর সে ও তার ফ্রেন্ডরা সবাই হাসতেছে অতঃপর সে বল্লো----->
মেয়ে: হাহাহা তোর কথা শুনে আমার এখনো পেটে ব্যাথা করছে তুই দেখি অনেক ভিতু |
আমি: হ্যা আমি অনেক ভিতু আবার মাজে মাজে অনেক রাগি তাই তখন রাগে কথাগুলো বলছি |
মেয়ে: আর এখন সেই রাগ কথায় ?
আমি: ঐযে বল্লাম খুব ভিতু |
মেয়ে: শালার আগে জানতাম পরুষ রা নাকি বীর পরুষ হয় আর তুই দেখি ভিতুর ডিম |
আমি: কি করবো বলেন আপনাদের মতো ইয়া বড় হাতি যদি আক্রমন চালান তাহলে আমি শেষ |
মেয়ে: কি আমরা হাতি দোষ্ট আমাদের হাতি বলছে এই মালটাকে আবার দলাই দিতে হবে |
তার এক বান্ধুবি বল্লো------>
বান্ধুবি: হ রে দোষ্ট মালটা সেই চালাক এইটাকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না |
আমি: এই আপনারা এত মাল মাল করছেন কেনো আমি একজন সাধারন নিষ্পাপ মানুষ প্লিজ আমাকে যেতে দিন দেরি হলে আবার আমার ভাইয়া আক্রমন চালাবে |
মেয়ে: হাহাহা এত বড় দামরা ছেলে এখনো মাইর খায় |
আমি: আচ্ছা বায় কাল দেখা হবে টাটা |
যেই যেতে লাগলাম সেই আমার কলারটা টান দিলো আর বল্লো---->
মেয়ে: এই হারামজাদা কথায় যাস তোর তো এখনো সাস্তিই হয়নি|
আমি: হায়রে আমার কপাল এ আমি কার কপালে পরলাম |
মেয়ে: এখনো তো কিছুই করি নি যখন কলেজ থেকে বের করে দিবো তখন বুজবি যানিস আমার আব্বু পুরা স্কুল আর কলেজ দেখা শুনা করে |
আমি: ওহ তার মানে আপনার আব্বু আমাদের নাইট র্গাড না দারোয়ান আচ্ছা রাতে দেখাশুনা করে নাকি দিনে ?
মেয়ে: হারামজাদা তুই কি বল্লি আমার আব্বু নাইট র্গাড আর কি দারোয়ান তোকে তো মেরেই ফলবো ঐ দোষ্ট তোরা রট টা নিয়ে আয় |
আমি: এই না না প্লিজ ছেরে দিন আমি মরে যাবো আর আপনারা কি মানুষ একটা নিষ্পাপ শিশুকে রট দিয়ে পিটাবেন |
মেয়ে: রাখ তোর শিশু এর আগে কত পিটাইছি কিন্তু আজকে তোকে সত্যি সত্যি মেরে ফেলবো লাগলে জেলে যাবো তুই আমার আব্বুকে কি বল্লি ?
আমি: এই না আমাকে মারবেন না আর আমি চাই না আপনার মতো সুন্দর একটা মেয়ে জেলে যাক |
মেয়ে: পাম মারিস আমাকে কিছু বুজি না ?
আমি: আচ্ছা আপনি বলুন আপনি বল্লেন যে আপনার আব্বু স্কুল ও কলেজ দেখা শুনা করে তাই আমি ভাবলাম যে নাইট র্গাড বা দারোয়ান ও হতে পারে তাই না বলুন ?
মেয়ে: দেখ তোর কথা শুনে কিন্তু আমার শরিরে রাগের আগুন জলতেছি |
আমি: আচ্ছা তাহলে ঠান্ডা পানি নিয়ে আসি |
মেয়ে: উফফ তোকে কালকেই কলেজ থেকে বের করে দিবো |
আমি: কেনো আপনি কি আমাদের কলেজের প্রিন্সিপাল ?
মেয়ে: হায়রে হারামজাদা আমি না আমার আব্বু আর আব্বু শুনতে পারলে যে কি করবে ?
আমি: ও আচ্ছা তাহলে আপনি কি হেড মাষ্টারের মেয়ে ?
মেয়ে: এই আমি হেড মাষ্টারের মেয়ে হতে যাবো কেনো ?
আপনারা বুঝলেন নাতো আসলে তার আব্বু স্কুলের হেড স্যার আর কলেজের প্রিন্সিপাল পরুটা তার দায়িত্বে তাই তাকে রাগানোর জন্য বল্লাম তাই এটা হেড মাষ্টারের শয়তান মেয়ে এখন গল্পে আসি------>
আমি: আপনি তো বল্লেন যে আপনার আব্বু স্কুল আর কলেজ দেখা শুনা করে তাই তো বল্লাম হেড মাষ্টার |
মেয়ে: আরে হারামজাদা আমার আব্বু প্রিন্সিপাল |
আমি: ঐ একি হলো |
মেয়ে: অনেক বক বক করছিস এখন তোর মাইরের পালা আর কাল কলেজ থেকে বিদায় দিবো |
একটু আবেগ দেখিয়ে বল্লাম----->
আমি: আজ আমি গরিব বলে কোনো রকম কলেজে র্ভতি হইছি অনেক কষ্ট পরাশুনা করি কি আর করার অন্য কলেজে দেখি আবার র্ভতি হতে পারি কিনা[ চাপা ]
মেয়ে: আহারে আমি বুজতে পারি নি আচ্ছা সরি |
যাক চাপাটা কাজে লাগলো পরে আমি বল্লাম----- ♥
.
.
"To be Continue"

গল্প:-- "হেডমাষ্টারের Princes"
.
লেখক:- #RJ_Nayem_Ahmed
.
_____পর্ব:- ০১~~~~♥
.
.
.
এস এস সি পাশ করে আজ নতুন একটা কলেজে ভর্তি হলাম অবশ্য আগে বাবা মার সাথে থাকতাম এখন ভাইয়ার কাছে আসলাম কারন কলেজ টা কাছে তাই |
তো আজ প্রথম কলেজে গেলাম ক্লাসে ডুকবো তখনি দেখি কে যানো আমাকে লেং মেরে ফালিয়ে দিছে তখন থাপ্পর দিতে যাবো তখনি দিখি এটা আর কেও না একটা মেয়ে দেখছি হাসছে আর মেয়ে টাও অপূরুপ সুন্দর মনে হলে এক পরি দূর এই সব চিন্তা করে লাব নাই তো দেখি মেয়েটা বলতেছে----->
মেয়ে: এই বেটা চোখে দেখিস না ?
আমি অবাক হয়ে গেলাম কার প্রশ্ন কাকে বলার কথা সে আমাকে বলতেছে তখন আমি বল্লাম---->
আমি: আজব তো আপনি তো আমাকে লেং মেরে ফালিয়ে দিছেন ?
মেয়ে: এই তুই দেখছিস আমি তোকে ফালিয়ে দিছি ?
আমি: না আল্লাহ তো আমাকে কানা বানিয়ে দুনিয়া পাঠাইছে কিছু তো দেখি না |
দেখি আমার কথা শুন হাসতেছে পরে বল্লো---->
মেয়ে: এই তোর সাহস তো কম না বড়দের সাথে এইভাবে কথা বলস ?
আমি: বড় মানে আর আপনি এইভাবে তুই তোকারি ভাবে কথা বলতেছেন কেনো?
মেয়ে: কি তোর কত্ত বড় সাহস আমার সাথে এরকম ভাবে কথা বলিস তুই আমাকে চিনিস আমি কে ?
আমি: কেনো আপনি কি প্রধানমন্তির মেয়ে নাকি যে ভালোভাবে কথা বলতে হবে আর হলেই বা কি আমার তাতে যায় আসে না |
তো এরকম জোগরা করতে করতে দেখি স্যার এসে পরলো আর বল্লো---->
স্যার: এই ছেলে তুমি ওকে চিনো ?
আমি: দেখুন না স্যার আজ আমি নতুন ক্লাসে আসলাম আর তখন এই মেয়েটা লেং মেরে ফেলে দিছে |
স্যার: চুপ বেয়াদব মেয়েদের সাথে জোগরা করো যাও ক্লাসে |
এটা কি হলো দোষ করলো মেয়েটা আর দোষ হলো আমার দূর তখন দেখি স্যার মেয়েটাকে বলতেছে----->
স্যার: যাও মা ক্লাসে যাও |
মেয়ে: ধন্যবাদ স্যার |
দেখি মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে দূর আজ প্রথম দিন এসেই এই অবস্থা কি যানি বাকি দিন কি হয় |
[তো ক্লাসে যাওয়ার আগে আমার পরিচয়টা দিয়ে দেই আর না হলে পরে আবার আমাকে ভুলে যাবেন যাইহোক আমি জাহিদ বাবা মার তিন নম্বর সন্তান খুব দুষ্টু আর খুব ভিতু এবার ইন্টার ফাষ্ট ইয়ারে ভর্তি হলাম আর এতখুন যার সাথে জোগরা হলো একটা গুন্ডি মেয়ে চিনি না এইরে আপনাদের পরিচয় দিতে গিয়ে আমার ক্লাস শুরু হয়ে গেলো ]
তো আজ প্রথম দিন ক্লাস করলাম কিছু নতুন নতুন ফ্রেন্ড ও হলো তো নতুন এক বন্ধু বল্লো---->
বন্ধু: কিরে তুই কি ঐ মেয়ে টাকে চিনিস?
আমি: কেনো মেয়েটা কি কোনো রাজার মেয়ে নাকি যে চিনবো ?
বন্ধু: আরে শালা জানিস ঐটা কার মেয়ে ?
আমি: কার মেয়ে ?
বন্ধু: ঐটা হেড স্যারের মেয়ে এর আগে ঐ মেয়ের জন্য অনেক ছেলে কলেজ থেকে পালাইছে আর অনেক ছেলেকে টিসি ও দিছে|
আমি: দোষ্ট তুই এই কথা আগে বলিস নি কেনো এখন আমার কি হবে তখন তো মেয়েটাকে অনেক কিছু বলে ফেলছি |
বন্ধু: জানি না দোষ্ট যা হবার উপর আল্লাহ জানে |
অতঃপর খুব চিন্তায় পরলাম নতুন কলেজে ভর্তি হলাম এখন যদি বের হয়ে যেতে হয় তাহলে তো ভাইয়ার হাতে মার খেতে হবে তার উপর মেয়েটা নাকি আমার এক ইয়ারের বড় দূর এই চিন্তা করতে করতে কখন যে ছুটি হলো |
তো বাসায় যাচ্ছি দেখি কে যানো ডাকছে---->
মেয়ে: এই হারামজাদা এদিকে আয় |
তখন পিছনে ঘুরতেই দেখি সেই হ্যাড মাষ্টারের গুন্ডি মেয়ে তাও একটা সাথে লেডি গেং তো আমি ভয়ে বল্লাম---->
আমি: জী আমাকে ডাকছেন ?
মেয়ে: ঐ দোষ্ট মালটা নতুন কি করা যায় ?
আমি শুনে হাত পা কাপা শুরু করতেছে তার উপর লেডি গেং তখন আমি ভয়ে বল্লাম---->
আমি: প্লিজ আমাকে ছেরে দিন আমি তখন যা করেছি তার জন্য সরি |
মেয়ে: না না তোকে তো ছারা যাবে না আজ পর্যন্ত কেও ঐরকম ভাবে কথা বলার সাহস হয়নি আর তুই খারা আজ তোকে খেলা দেখাবো |
আমি: ছি ছি কি বলছেন আমি মেয়েদের খেলা দেখতে লজ্জা পাই|
মেয়ে: ওরে হারামি কি বল্লি....!!!!
.
.
-----""To be Continue""------

গল্প :- অবৈধ ~~~♥
.
লেখক:- #RJ_Nayem_Ahmed
.
পর্ব:-০৮~~[শেষ পর্ব]
.
.
.
তনয়ার বাবা এতোক্ষন চুপ ছিলো কিন্তু এখন আর চুপ থাকতে পারলো না। তিনি বললেন,,,,,,
তনয়ার বাবা: ও তোর নিজের মা না।
কথাটা শুনে সবাই অনেক অবাক হলো।
তনয়া: কি???(অনেক অবাক হয়ে)
তনয়ার বাবা: হ্যা রে মা। তোর জম্মের পর তোর মা মারা যায়। আর তারপর আমি ওকে বিয়ে করি।
আমি তোকে তোর মায়ের কথা জানাই নি কারণ আমি চাই নি তুই ওকে সৎ মা ভাবিস। আমাকে ক্ষমা করে দে মা।
তনয়া: না বাবা তুমি কোনো ভুল করো নি। কিন্তু মা আমি তো তোমাকে ছোট বেলা থেকে মা জেনেছি
মেনেছি তোমার ভালোবাসা পেয়েছি। কিন্তু কি এমন হলো যে তুমি আমার সাথে এমনটা করলে???
তনয়ার মা: কারণ আমি তোকে ঘৃণা করি প্রচন্ড ঘৃণা।
তনয়া: কেন মা?? আমি কি এমন করেছি যে তুমি আমায় ঘৃণা করো???
তনয়ার মা: আমাকে একদম মা বলবি না। তোর কারণে আমি আজ মা হওয়ার সুখ থেকে বচ্ঞিত।
তনয়া: কি বলছো এসব মা?? আমি কি করেছি???
তনয়ার মা: বিয়ের পর তোকে আমি নিজের মেয়ের মতোই দেখতাম। কিন্তু তোর যখন তিন বছর বয়স তখন আমি পাচ মাসের প্রগনেন্ট। তখন তুই খেলতে গিয়ে ম্যান হোলের পাশে চলে যাস।
তখন দৌড়ে তোকে বাচাতে গিয়ে আমি পরে যাই।
তখন আমার বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে যায় আর সাথে সাথে আমি মা হবার ক্ষমতাও হারাই।
তখন থেকেই ভেবে নিয়েছি তুই আমাকে ঠিক যে পরিমাণ কষ্ট দিছোস তার তিনগুন তোকে আমি ফিরিয়ে দিবো। তোকে আমি একেবারে মারতে মারতাম। কিন্তু তোকে আমি রোজ রোজ কষ্ট দিয়ে তিলে তিলে মারতে চেয়েছিলাম। যেমনটা এতোটা বছর ধরে আমি পাচ্ছি।
আর তার সুযোগটা তুই আয়াত সামান্য একটা ভুল করে দিয়ে দিলো। ভেবেছিলাম আয়াত হয়তো তোকে কাছে পাবার পর ছেড়ে দিবে কিন্তু ও তোকে পাগলের মতো ভালোবাসে। তাই আমি আয়াতকে অপহরন করাই।
এলাকায় তোর প্রেগন্সির খবরটা আমিই ছড়িয়েছিলাম। যাতে সবাই তোকে নষ্টা বলে। আমি তোর বাচ্চাটাকে কখনো মারতে চাই না।
সবসময় চেয়েছি বাচ্চাটা পৃথিবীতে আসুক আর সবাই তাকে অবৈধ বলুক। অবৈধ।
যখন লোকজন তোকে নষ্টা আর তোর বাচ্চাকে অবৈধ বলে তখন আমার খুব শান্তি লাগে। বিশ্বাস কর মনে হয় ২২বছর অপেক্ষার ফল পাচ্ছি।
প্রথমে আয়াতকে মারতে চাই নি পরে ভাবলাম ওকে মেরে ফেললে সারাজীবন তোকে অবৈধ নামক বোঝাটা বয়ে বেড়াতে হবে। আর আমি এটাই চায়েছিলাম।
তনয়া ওর মায়ের কথা শুনে যেনো বোবা হয়ে গেলো। পাথরের মতো দাড়িয়ে আছে।
কি বা বলার থাকে তখন, যখন সব থেকে কাছের মানুষ নিজের মা ধোকা দেয়। তখন কথা বলার অনুভুতিগুলো ভোতা হয়ে যায়। হারিয়ে যায় বলার মতো শব্দগুলো। তখন চোখ থেকে নিঃশব্দে ঝরতে থাকে কিছু নোনা তরল।
অফিসার তনয়ার মাকে এরেস্ট করতে চাইলে আয়াত বাধা দেয়।
আয়াত: অফিসার উনার প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই।
সবাই অবাক দৃষ্টিতে আয়াতের দিকে তাকালো।
আয়াত: হ্যা আমি জানি উনি অন্যায় করেছে কিন্তু তবুও উনি তনয়ার মা। আর উনার উপর আমার কোনো রাগ নেই।
তনয়ার বাবা: কিন্তু আমার আছে,,,,তুমি হয়তো ওকে মাফ করতে পারো কিন্তু আমি না। কারণ আমি আমার মেয়েকে এতোগুলো দিন অসহ্য যন্ত্রনার মধ্য দিয়ে কাটাতে দেখেছি। তা তোমরা ভুললেও আমি ভুলবো না।
তনয়া: কিন্তু বাবা????
তনয়ার বাবা: কোনো কিন্তু নাই। আজকে আমি তোর কোনো কথাই শুনবো না। ওকে তোর জীবনে ভালোবাসার পরস দিতে এনেছিলাম। কিন্তু ও তো
তোর জীবনটাকে বিষের থেকে বিষময় করে দিয়েছে।
অফিসার ওকে নিয়ে যেতে পারেন।
পুলিশ তনয়ার মাকে নিয়ে চলে গেলো। সারাদিন সবাই অস্থির মধ্যে ছিলো। কারণ সবাই ভাবছে এটা হয়তো কোনো দুঃস্বপ্ন। যেটা ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে ভেঙ্গে যাবে। কিন্তু আফসোস তা হবার নয়।
রাতে তনয়া জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে ছিলো। আয়াত রুমে ডুকে পিছন থেকে তনয়াকে
জড়িয়ে ধরে।
আয়াত: হেই বিউটিফুল। সব ভুলে যাও। চলো সব নতুন করে শুরু করি আমরা।
তনয়া: পারবো কি???
আয়াত: পারবে না কেন?? আমি আছি না তোমার কাছে, তোমার পাশে, তোমার হৃদয়ে, তোমার অনুভুতিতে, তোমার সারাটা জুড়ে। যেমনটা তুমি আছো আমার সাড়াটা জুড়ে তাহলে কেন পারবে না???
তনয়া: হুম ঠিক বলেছো। তুমি থাকলে সব পারবো।
আয়াত: তনয়া!!!
তনয়া: হুম।
আয়াত: আই লাভ ইউ,,লাইক এ ম্যাড
তনয়া: আই নো। এখন ভালোবাসা অনেক হয়েছে যাও ঘুমাও। রাত কম হয় নি। আমি অনুর কাছে যাচ্ছি।
আয়াত: অনুর কাছে কেন???
তনয়া: ঘুমাতে,,,
আয়াত: কেন?? আমার খাটে কি জায়গা নাই???
তনয়া: বেহায়া!!! বেশরম!!!
আয়াত: যাহ এমন কি বললাম???
তনয়া: কি বলেছিলে মনে নাই?? যতোদিন না পারিবারিকভাবে বিয়ে হবে ততোদিন একদম ভুল করবে না।
আয়াত: তো আমি কি ভুল করতে বলেছি নাকি??? (দুষ্টুমি করে)
তনয়া: অসভ্য,,,যাও ঘুমাও।
আয়াত: উওরটা দিয়ে যাও।
তনয়া: আই ডোন্ট লাভ ইউ।
আয়াত: বাট আই লাভ ইউ টু বিউটিফুল।
পরেরদিন সকালে তনয়ার বাবা বলছে,,,,
আজ তনয়াকে তার বাড়ি নিয়ে যাবে।
আয়াত: কেন???
আয়াতের বাবা: ওরে গাধা। বাড়ি না নিলে বৌমাকে বিয়ে করে ঘরে নিয়ে আসবি কি করে??
আয়াত: ও হ্যা। তা কবে নিয়ে আসবো??
আয়াতের বাবা: বেহায়া। পরশু শুত্রবার। আমি চাই আমার নাতী পৃথিবীতে আসার আগে ওর মাথা থেকে অবৈধ নামক কলঙ্কটা মুছে যাক।
আয়াত: হ্যা বাবা। একদম ঠিক বলছো।
তারপর মুটামুটি ঘরোয়া আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়ে গেলো। তনয়া অসুস্থ বলে বেশি জাকজমক করে নি।
অনু তনয়াকে আয়াতের রুমে নিয়ে আসলো। রুমটা খুব সুন্দরভাবে সাজানো।
আয়াত: তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে বিউটিফুল।
তনয়া লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ফেললো।
আয়াত: লজ্জা পেলে কাজ হবে না আমার উওরটা চাই হুমমম।
তনয়া: দিবো না।
আয়াত: তাহলে কিন্তু আবার চলে যাবো।
তনয়া আয়াতের মুখটা চেপে ধরে,,,,,
তনয়া: ঠেং ভেঙ্গে খোড়া করে ঘরে রেখে দিবো।
আয়াতকে জড়িয়ে ধরে আই লাভ ইউ টু।
তারপর সারারাত মিলে দুজনে গল্প করলো। দুজনের মনে যে হাজারো কথা জমে আছে। জমে আছে অনেক ঝগড়া,,ভালোবাসা,
,খুনসুটি।
তার কয়েকদিন পর ওদের কোল জুড়ে আসলো ছোট একটা পরী।
পরীটাকে এখন কেউ অবৈধ বলতে পারবে না। কারণ পরীটা আয়াত আর তনয়ার ভালোবাসাকে মনের ডোরে বেধে দিয়েছে। পরীটার উপর থেকে মুছে গিয়েছে অবৈধ নামক কলঙ্ক।

গল্প :-অবৈধ -----♥
.
লেখক:- #RJ_Nayem_Ahmed
.
পর্ব :-০৭ ~~~~
.
.
.
আয়াত: সে আর কেউ না।
তোমার নিজের "মা"
তনয়া "মা" কথাটি শুনে ঠিক বিশ্বাস করতে পারলো না। তাই আবার জিজ্ঞেস করলো,,,,
কার নাম বললা আয়াত???
আয়াত: জানি আমার কথাটা তুমি ঠিক হজম করতে পারছো না বা বিশ্বাস করতেও তোমার কষ্ট হবে। কিন্তু এটাই সত্যি যে আমাকে কিডনাপ তোমার মা ই করিয়েছে।
তনয়া: আয়াত!! তুমি কি বলছো এসব??? তোমার মাথা ঠিক আছে তো???
আয়াত: তনয়া আমি জানি আমার কথা তোমার বিশ্বাস হচ্ছে না। হবার কথাও না। কারণ আমি জানি পৃথিবীতে তুমি তোমার মাকে সব থেকে বেশি ভরসা করো। কিন্তু আমি যেটাই বলছি সেটাই সত্যি। আমাদের অনাগত সন্তানকে ছুয়ে বলছি,,,,
(তনয়ার পেটে হাত রেখে) আমি সত্যিই বলছি।
তনয়া: দেখো আয়াত আমি জানি তুমি সত্যি বলছো। কিন্তু আমার মনে হয় তুমি হয়তো ভুল দেখেছো বা জেনেছো। দেখো অনেক সময় চোখ যেটা দেখা সেটা তো ভুলও হয়। মা তোমার সাথে এমনটা কেন করবে???
আয়াত: সে প্রশ্নতো আমার মনেও???
তনয়া: কিন্তু তুমি কি করে বুঝলা যে তোমাকে মা কিডনাপ করেছে???
আয়াত: দেখো তনয়া এর আগেও মানে তিন চারমাস আগে আমি একবার পালাতে সক্ষম হয়েছিলাম। পালিয়ে সোজা মেইন রোডে আসলাম। ভাবলাম কোনো গাড়িতে লিফট নিয়ে শহরে চলে আসবো। আমাকে দেখে একটা গাড়ি থামলো। গাড়ি থেকে তোমার মা বেরোলেন। আমি ভাবলাম হয়তো আল্লাহ আমার উপর রহমত করেছেন।
তিনি প্রথমে আমার সাথে খুব ভালো করে কথা বলছিলেন। গাড়িতে উঠে কিছুদুর আসার পর আমার মাথায় কেউ ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত করলো। আমি আবার বেহুস হয়ে গেলাম।
জ্ঞার সিজেকে আবার বন্ধ ঘরে বাধা অবস্থায় আবিষ্কার করলাম। কিন্তু চোখ খুলতেই দেখি আন্টি আমার সামনে এতটা চেয়ারে বসে আছে। আর আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। আমি আন্টির এমন রুপ দেখে হতভম্ব হয়ে গেলাম। আর তাকে জিজ্ঞেস করলাম,,,,,
আন্টি আপনি এমন কেন করছেন?? আর আমাকে কেন এখানে বেধে রেখেছেন???
আন্টি: আয়াত তুমি খুব বোকা। এখোনো বুঝতে পারো নি???
আয়াত: কিন্তু আন্টি আপনি আমার সাথে এমন কেন করছেন??? কি ক্ষতি করেছি আমি আপনার???
আন্টি: তুমি আমার কোনো ক্ষতি করো নি। কিন্তু তোমার তনয়া করেছে।
আয়াত: মানে?? ও তো আপনার মেয়ে??
আন্টি: মানে টা না পরে একদিন জানলে।
আয়াত: প্লীজ আমাকে ছেড়ে দিন আন্টি। এখন আমার তনয়ার পাশে থাকা দরকার।
আন্টি: সেজন্যই তো তোমাকে কিডনাপ করলাম।
দেখো আয়াত তোমার সাথে আমার কোনো শত্রুতা নেই। কিন্তু তনয়াকে আমি ঘৃণা করি। প্রচন্ড ঘৃণা। তনয়াকে কষ্ট দেওয়ার জন্যই তোমাকে আটকে রেখেছি। কাজ শেষ হলে তোমাকে ছেড়ে দিবো। তার আগে চালাকি করলে বেচে ফিরতে পারবে না।
আয়াতের কথা শুনে তনয়া যেনো নিজেকে সামলাতে পারলো না। মাথাটা ঘুরছে। আয়াত তনয়ার হাত ধরে। নিজেকে প্লীজ সামলাও তনয়া।
এই জন্যই তোমাকে আমি বলতে চাই নি।
তনয়া: কিন্তু আয়াত মা কেন আমাকে ঘৃণা করে??? আর তুমি কেন পুলিশকে এ ব্যাপারে বললে না???
আয়াত: আমি চাই নি আমাদের পরিবারের মধ্যে পুলিশ আসুক।
তনয়া: কিন্তু মা এমনটা কেন করলো??? তনয়া খুব কান্না করতে ছিলো। তনয়া শত চেষ্টা করেও যেনো নিজেকে সামলাতে পারছে না।
আয়াত তনয়াকে ঠিক কি দিয়ে সান্ততনা দিবে তা ভেবে পাচ্ছে না।
তনয়া: আমি এখনই মাকে সবটা জিজ্ঞেস করবো?? কেন সে এসনটা করলো??
আয়াত: প্লীজ তনয়া এমনটা করো না। আর হাসপাতালে বসে নিজেদের ঘরের কথা বলা ঠিক না। হ্যা জিজ্ঞেস কইরো কিন্তু এখন না কিছুদিন পর।
তনয়া: কিন্তু আয়াত যতোক্ষন না জানতে পারছি আমি শান্তি পাবো না।
আয়াত: তোমাকে শান্তিু দেওয়ার উপায় আমার কাছে আছে।
তনয়া: কি উপায়??
আয়াত: আমার কাছে আসো,,,
তনয়া: আসলাম তো।
আয়াত তনয়াকে নিজের বুকের মাঝে চেপে ধরলো। খুব শক্ত করে।
আয়াত: এখন শান্তু খুজে পেয়েছো???
তনয়া: পৃথিবীর সব থেকে বেশি খুশি তো এখানেই লুকিয়ে থাকে। জানো একটা মেয়ের জন্য পৃথিবীতে সব থেকে শান্তির আর সুরক্ষিত জায়গা হলো তার স্বামীর বুক।
প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেলো,,,,,,
আয়াত এখন একটু সুস্থ। কিন্তু শরীর খুব ক্লান্ত। পুরো পুরী সুস্থ হতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। এ কয়দিন আয়াতকে পুরো সিকিউরিটির মধ্যে রাখা হয়েছে।
এই কয়দিন তনয়া তার মায়ের সাথে একটা কথাও বলে নি। তাকে আয়াতের কাছে যেতে দেই নি। আর তাকে সব সময় চোখে চোখে রেখেছে। তনয়া সবসময় আয়াতের পাশে থেকেছে।
আজ আয়াতকে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে। তনয়া আয়াতকে বলেছে বাড়ি যাবার সাথে সাথে সব কিছু ফয়সালা করবে। আয়াতকে নিয়ো সবাই আয়াতদের বাড়ি গেলো। তনয়ার বাবা মাও ওদের সাথে গিয়েছে। বাড়ি গিয়ে বসার সাথে সাথে আয়াতদের বাড়ি পুলিশ আসলো।
আয়াতের বাবা: কি খবর অফিসার???
অফিসার: মি. আয়াত যে ছেলেটার কথা বলেছিলো তাকে আমরা খুজে পেয়েছি। আর সেই ছেলে সেই লোকের নাম বলেছে যে আয়াতকে এতোদিন আটকে রেখেছিলো।
আয়াতের মা: কে সেই পাপি শয়তান???
অফিসার: মিসেস তনয়ার মা।
পুলিশের মুখ থেকে এ কথা শুনার পর সবার পায়ের নিচের মাটি যেনো কেপে উঠলো।
আয়াতের বাবা: কি বলছেন এসব??? বেয়ান এসব কাজ কেন করবে??? আপনাদের কোথাও ভুল হচ্ছে।
অফিসার: জ্বি না। আমরা সব কিছু জেনে শুনেই তদন্ত করেই এসেছি। আর আমরা সাদাফকে এরেস্ট করেছি। সেই আমাদের আমাদের সব বলেছে।
আয়াতের বাবা: কিন্তু???
তনয়া: বাবা ওনারা সত্যি কথা বলেছেন?? এসব কিছু আমার মা ই বলেছে।
আয়াতের বাবা: তনয়া তুমি এসব কি বলছো???
তার মানে তুমি সব জানতে তনয়া??
তনয়া: হ্যা বাবা জানতাম। আয়াত হাসপাতালে বসে আমাকে সব বলেছে। কিন্তু আয়াতের অনুরোধে আমি চুপ ছিলাম। কিন্তু আর না।
এবার তনয়ার মা মুখ খুললেন,,,,,
তনয়ার মা: কি বলছিস এসব??? আমি কেন এমনটা করবো???
তনয়া: সে প্রশ্নতো আমার মনেও মা?? কেন???
তনয়ার মা: আয়াত মিথ্যা বলছে,,,,
তনয়া: একদম চুপ মা। তোমাকে মা বলতেও আমার লজ্জা লাগে। মা তো সে যে নিজের সন্তানের জন্য জীবন পর্যন্ত দিয়ে দেয়। কিন্তু তুমি মা নিজজের সন্তানের জীবন নষ্ট করতে চাইছো?? কেন?? মা?? বলো???
তনয়ার বাবা এতোক্ষণ চুপ ছিলো কিন্তু এখন আর চুপ থাকতে পারলো না। এবার বললেন------?????
.
.
♥-----"To be Continue"----♥

গল্প :-অবৈধ ~~~~♥
.
লেখক:- #RJ_Nayem_Ahmed
.
পর্ব :-০৬ ~~~~
.
.
পুলিশ: আচ্ছা আপনি কি ওই লোকগুলোকে চিনেন??
আয়াত: একজনকে চিনি।
পুলিশ: কে???
আয়াত: তনয়াকে কিছু ছেলে বিরক্ত করতো বলে
যেসব ছেলেদের আমি পুলিশে দিয়েছিলাম তাদের লিডার।
তনয়া:কে সাদাফ???
আয়াত: হুম। কিন্তু ও নিজেও এসব করতো না। ওদেরকে কেউ ফেনে এসব করতে বলতো।
পুলিশ: আপনি কি জানেন সে কে??
আয়াত: কিছুটা চুপ থেকে না।
পুলিশ আয়াতের কাছ থেকে আরো কিছু জিজ্ঞেস করে চলে গেলো।
রাফি: দেখুন আয়াতের এখন বিশ্রাম করা দরকার। আপনারা যেকোনো একজন এখানে থাকুন। বাকি সবাই বাইরে চলে যান।
অনু: তনয়া থাকুক।
তনয়ার দিকে তাকিয়ে দুষ্টুমি একটা হাসি দিয়ে অনু চলে গেলো।
সবাই চলে যাওয়ার পর তনয়া আয়াতের পাশে থেকে উঠে যেতে চাইলে আয়াত তনয়ার হাত ধরে ফেলে।
এতোদিন পর দুইজনের দেখা হলো। মনের ভিতর জমে আছে হাজারো কথা। কিন্তু কারো মুখে কোনো কথা নেই। কথাগুলো যেনো কোথাও হারিয়ে গেছে??? এতোদিনের দুরুত্ব দুইজনের মনের মাঝে দুরুত্ব তৈরী করতে না পারলেও দুইজনের কথার মাঝে একটা জিনিস কিন্তু দাড় করিয়ে দিয়েছে। দাড় করিয়ে দিয়েছে হাজারো দ্বিধা। লজ্জা,,ভয় আর ভালোবাসার শিহরন মিলে একাকার।
আয়াত: তনয়া,,,,একটা কথা বলবো???
তনয়া: হ্যা বলো।
আয়াত: Can i touch your womb??
তনয়া মৃদু হাসি দিয়ে আয়াতের হাতটা ধরে নিজের পেটের উপর রাখলো।
আয়াত: জানো তনয়া আমি ভেবেছিলাম লোকের কথায় তুমি হয়তো ওকে পৃথিবীতে আসতে দিবে না। তখন আমি নিজেও চাইতাম যে তুমি আমাকে ভুলে সামনের দিকে আগাও। কারণ আমি যে বেচে ফিরবো তার আশা ছিলো না আমার।
আর তাছাড়া যখন একটা মেয়ে বিয়ের আগে প্রেগন্যান্ট হয় তখন আমাদের সমাজ তার কি অবস্থা করে তা ভেবেই কষ্ট হচ্ছিলো। আর আমাদের বিয়ের কথাতো কেউ জানতই না।
আই এ্যাম সরি,,,,
তনয়া :আয়াতের হাতটা ধরে,, প্লীজ আয়াত এভাবে বলো না। তুমি কি করে ভাবলা আমি আমার আয়াতের ভালোবাসাটাকে মেরে ফেলবো??? আমার মনে দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো তুমি কখনো আমাকে ধোকা দিতে পারো না। আজ সারা পৃথিবীর লোক ওকে অবৈধ ভাবলেও আমি জানি তুমি জানো ও আমাদের ভালোবাসার পবিএ চিহু।
সরি বলে তুমি আমাকে আর দোষী করো না। এই সাত মাস তুমি যে কষ্ট পেয়েছে তার তুলনায় আমার কষ্ট নগন্য।
আয়াত: হ্যা তুমি ঠিক বলেছো ও আমাদের ভালোবাসার পবিএ চিহৃ। কষ্ট আমরা দুজনেই সমান পেয়েছি কারণ আমাদের শরীর দুটো হলেও
আত্নাতো একটাই। তাই না বিউটিফুল??
তনয়া: (চোখ বন্ধ করে) কতোদিন পর তোমার মুখ থেকে এই ডাকটা শুনলাম।
আয়াত: জানো তনয়া খুব ইচ্ছে ছিলো আমাদের বেবি তোমার ভিতরে কিভাবে বেড়ে উঠে তা তোমার পাশে থেকে অনুভব করবো। অনুভব করবো ওর একটু একটু করে বেড়ে উঠা।
কিন্তু নিয়তির সাথে কে বা পেরে উঠে বলো??? যে সময় আমার তোমার কাছে থাকা সবচেয়ে বেশি দরকার ছিলো সেই সময়টাই........
তনয়া: যা হয়েছে তা ভুলে যাও।
আয়াত আবার তনয়ার পেটে হাত রেখে বলল,,,
কতোদিন টরে আসবে প্রিন্সেস???
তনয়া: এক মাস নেই।
আয়াত: ওয়েটিং ফর ইউ বেবি।
তনয়া: আয়াত???
আয়াত: হুম।
তনয়া: একটা কথা বলবো?? সঠিক উওর দিবা।
আয়াত: তোমার সাথে কখনো মিথ্যা বলেছি???
তনয়া: আয়াত কে তোমাকে এতোদিন আটকে রেখেছিলো?? এমন কে যে তোমাকে এতোটা ঘৃণা করে??? যে তোমাকে সাত মাস এভাবে আটকে রেখেছে??
আয়াত: (কিছুটা তুতলিয়ে) আমি তো বললাম যে জানি না।
তনয়া: আয়াত তোমার মুখ আমার থেকে কথা লুকালেও তোমার চোখদুটো তা পারবে না।
আয়াত চুপ করে আছে,,,,,
তনয়া আয়াতের হাতটা নিজের পেটের উপর চেপে ধরে বলল,,,,,
এখন বলো তুমি তাদের কে চিনো না???
আয়াত: হাতটা সরিয়ে নিয়ে,,,
তাদের উদ্দেশ্য আমাকে না তোমাকে কষ্ট দেওয়া ছিলো। আর তারা তাতে সফল হয়েছে।
তনয়া: কে?? কলেজের ছেলেগুলো???
আয়াত: নাহ বাইরের কেউ নয়। আমাদের ঘরেরও কেউ নয়। তোমার খুব কাছের সে।
তনয়া :কে সে???
আয়াত: --------?????
.
.
♥------To be Continue-----♥