Dm Habib changed his profile picture
6 yrs

image

কথা টা বাস্তব?

image

গল্প : কথা দাও পাশে রবে।
.
অফিসের কাজ করতে করতে অনেক রাত হয়ে গেল।
রিক্সা পাচ্ছি না। তবুও একটা রিক্সা পেলাম। রিক্সা করে বাসার কাছে আসতেই দেখি একটা মেয়ে আমার রিক্সার দিকে ছুটে আসল। আমার কাছে এসেই বলল "
আমাকে একটু সাহায্য করবেন ? "
আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম মেয়েটা ডাকাত নয় তো। এ রকম অনেক মেয়ে দেখছি রাতকে ডাকাতি করে।
আমি বললাম " কি করতে পারি আপনার জন্য ? " মেয়েটা কান্না করে বলল " আমি এই ঢাকা শহর টা ভালো করে চিনি না। এখানে এসেছিলাম আন্টির বাসায়। আন্টির বাসার এড্রেস ব্যাগে রেখেছিলাম । কিন্তু একদল
ছেলে আমার মোবাইল আর ব্যাগ টা চুরি করে নিয়ে গেছে। এখন আমি কোথায় যাব কোথায় তাকব কিছু বুঝতে পারছি না । "
আমার খুব ভয় করতাছে। আমি তো ভাবলাম আমাকে নরম নরম কথা বলে বোকা বানানো হচ্ছে। তাই বললাম " এই নেন আমার মোবাইল বাসায় ফোন দেন। "
মেয়েটা আমার মোবাইল নিয়ে বাসায় ফোন দিল। তবুও আমি বিশ্বাস করলাম না। আমি বললাম " এখন আমি যাই।
আপনার বাসায় ফোন দিয়েছেন এখন আপনাকে তারা নিয়ে যাবে। "
এই কথা বলতেই মেয়েটা ভ্যা করে কান্না করে দিল।
মেয়েটা কান্না করে বলল " আপনি এতো খারাপ। একটা মেয়ে কে এভাবে একা রেখে চলে যাচ্ছেন ?
আমি মিনমিন করে বললাম " তাইলে কি আমি আপনাকে আমার সাথে করে বাসায় নিয়ে যাব। "এই কথা বলতে না বলতেই মেয়েটা বলল " আপনি আমাকে আপনার বাসায় নিয়ে যান সকাল হলে চলে যাব। "
আমি সাথে সাথে বললাম " না না তা হবে না। আমি একা বাসায় থাকি। কখনও না জীবনেও না। "
মেয়েটা আবার কান্না করে দিল। আমি মেয়েটার
কান্না দেখে বললাম " শুনেন মেয়ে মানুষের কান্না আমি সহ্য করতে পারি না একটু নিরব হয়ে আমার রিক্সায় উঠেন। "
মেয়েটা রিক্সায় উঠল। আমিও সাথে সাথে বললাম "
কিছু জায়গা ফাক থকবে আমাদের মাঝে বলে দিলাম।
"
মেয়েটা একটা দীর্ঘশ্বাস নিল। হয়তো এ কথা বলার জন্য। মেয়েটা চুপ হয়ে সামনের দিকে চেয়ে আছে। চোখ থেকে পানি পড়ছে। আমি বললাম " কান্না করেন কেন ? "
মেয়েটা বলল " আমার ব্যাগ আর মোবাইলের জন্য। "
আমি বললাম " আপনার বাসা কোথায় ?
মেয়েটা কান্না থামিয়ে বলে " সিলেট। "
তারপর আর কিছু বলে নি।
.
বাসার কাছে আসতেই মেয়েটাকে বললাম " শুনেন এখানে অনেক পরিবার থাকে। আমাকে বিপদে ফেলবেন না। আমি আপনার কাছে একটা অনুরোধ করলাম। "
মেয়েটা বলল " সত্যি আপনাকে বিপদে ফেলব না। "
আমি তো রাতে রান্না করি। বাসায় খাবার নেই। আমি মেয়েটাকে বললাম " আপনি ফ্রেশ হতে চাইলে ওয়াশরুমে যেতে পারেন। আমি আপনার জন্য খাবার তৈরি করছি। "
তারপর মেয়েটা বলল " আপনি যান আমি আপনার জন্য খাবার তৈরি করছি। রান্নাঘর টা দেখিয়ে দেন। আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম মেয়েটা কে সুযোগ দেওয়া
যাবে না যদি খাবারে বিষ মাখিয়ে দেয় তাইলে আমি একাবারে শেষ তাই বললাম " না আপনি যান। আমি করতাছি। "
রাতের বেলা ঘুমানো যাবে না । আমি বললাম দেখেন আমার অফিসের কাজ আছে কাজ করতে হবে । আপনি ঘুমিয়ে যান। মেয়েটা আমার কথা শুনে ঘুমিয়ে গেল।
আমি ২ টার পর সোফায় ঘুমিয়ে থাকলাম । তারপর সকাল ৮ টায় উঠলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি সজাগ।
মেয়েটা কে দেখলাম ঘুমিয়ে আছে। আমি কফি করে মেয়েটার জন্য আনলাম। মেয়েটা কে ঘুম থেকে তুলে
হাতে কফি দিয়ে আমার কাজ করতে লাগলাম।
রান্নাবান্না করলাম। আমি অফিস যাব আর মেয়েটা কেও সাথে করে নিলাম। বাসের টিকেট কাটলাম। মেয়ে টা আমাকে অনেক ধন্যবাদ দিল। মেয়েটা আমার নাম্বার নিল। মেয়েটা কে ২ হাজার টাকা দিলাম।
উপকার যেমন করেছি ভালো করে উপকার করলাম।
বিদায় দিয়ে চলে আসলাম। মেয়ে টা বাসায় গেল কিনা তা জানতে পারলাম না। মেয়েটা কলও দেয় নি । তারপর আমার মনে হল মেয়েটা তো আমার মোবাইল দিয়ে কল
দিয়েছিল তাই মোবাইল টা বের করলাম কিন্তু নাম্বার পাই নি।
.
৬ মাস পর আমার অফিসের কাজের জন্য সিলেট গেলাম।
সিলেটে গিয়ে একটা দোকান খুঁজতে লাগলাম। দোকান টা অনেক বড়। অফিসের বস আমাকে পাঠিয়েছেন কাগজ টা দিতে। কিছু সময় খুজার পর দোকান টা পেলাম।
কাগজ দিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হতে যাব এমন সময় পেটে অনেক খিদা লাগল। তাই খাওয়ার জন্য একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম। রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেতে লাগলাম
একটা মেয়ে আমাকে পিছনের দিক দিয়ে ডাকতে ডাকতে আমার সামনে আসল। মেয়েটা কে আমি চিনে ফেললাম সেই মেয়ে টা। আমি বললাম " আপনি ? "
মেয়েটা আমার কথা শুনে বলে " আমি অনেক সরি।
সেদিন আপনার নাম্বার টা হারিয়ে ফেলেছিলাম।
কিন্তু আমি দুই মাস পর আপনার খুঁজে ঢাকা যাইতে
ছিলাম। আপনি এখানে কি কারণে এসেছেন ? "
আমি খেতে খেতে বললাম " অফিসের কাজে। "
মেয়েটা বলল " চলেন আমার মায়ের সাথে আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেই। "
আমি বললাম " আগে খাই তারপর যাব। আপনি খাবেন কি? "
এই কথা বলতে মেয়ে টা না করল। খাওয়াদাওয়া শেষ
করার পর মেয়েটার মায়ের সাথে পরিচয় হলাম। আমাকে
দেখে খুব খুশি হলেন। এমন ভাবে কথা বললেন যেন আমি
তাদের নিজের আপন লোক। আমারও খুব ভালো লাগল।
আমি এক সময় বললাম " আমার যেতে হবে নইলে বাস মিস করে ফেলবো। "
তারপর মেয়েটা কিছু পথ এগিয়ে দিতে আসতে চাইল।
আমি না করলাম। মেয়েটা কে আমি বললাম আপনার নাম কি ? "
মেয়ে টা বলল " রূপা। "
রূপা আবার আমার নাম্বার চাইল। আমি নাম্বার দিলাম।
তারপর বাসে উঠলাম।
বাসে উঠে বাসায় আসতে লাগলাম।
রূপা রাতে কল দিয়ে জানতে চাইল কি করি আমি
বললাম " এইতো অফিসের কাজ করি। "
দু'জনের মধ্যে অনেক কথা হলো।
কয়েক দিন পর রূপা ঢাকা গেল। তার আন্টির বাসায়
এবার ঠিকানা ভুল করে নি। আমাকে কল দিয়ে দেখা
করতে বলল। আমিও রূপার সাথে দেখা করলাম। রূপা কিছু
শপিং করল। রূপা অনেক কেনাকাটা করল। একসময়
আমাকে বলল " এক কাজ করেন। আমার ভাইয়ের জন্য
একটা টিশার্ট কিনব। এক কাজ করেন আপনার মাপ টা
দেন। আমিও একদম মাপ টা দিয়ে দিলাম। আমি দেখতে
পেলাম শার্ট অনেক দাম। ১৫০০ টাকা। আমি একটা
কাশি দিলাম। এতো দাম দিয়ে জীবনেও শার্ট পড়ে নি।
সব কাজ শেষ করার পর রূপা চলে গেল। রূপা খুব ভোরে কল
দিল। বলল দেখা করতে। আমি তৈরি হয়ে দেখা করলাম।
হাতে দেখতে পেলাম কিছু খাবার। আমাকে বলল " নেন
আপনার জন্য। আপনি খান। "
আমি বললাম বাসায় গিয়ে খাব। আমি চলে আসতে যাব
রূপা ডাক দিয়ে বলল " এই শার্ট টা রাখেন আপনার জন্য
কিনেছিলাম। "
আমি বোকা হয়ে বললাম " এইটা আপনার ভাইয়ের জন্য ? "
রূপা এমনিতেই সুন্দর। তাই হাসি দিয়ে বলে " জ্বী না এই
টা আপনার জন্য কিনেছিলাম। "
আমি বললাম " তাই। "
রুপা যাওয়ার সময় বলল " আমি আজ চলে যাব। ভালো থাকবেন। "
.
দুই মাস যাওয়ার পর রূপা আমাকে বলল " আপনি কি
আমাদের বাসায় আসতে পারবেন কিছু কথা ছিল। "
আমি বললাম " এমন কি কথা ফোনে বলা যায় না ? "
রূপা অনেক অনুরোধ করল তারপর একদিন সময় বুঝে
রূপাদের বাসায় গেলাম। রূপাদের বাসা টা খুব সুন্দর।
অনেক ফুল গাছ। আমি ভিতরে যেতেই বৃদ্ধ একজন মানুষ
দেখলাম। আমি প্রথম উনাকে সালাম করলাম। তিনি সালামের উত্তর দিলেন। আমাকে বসতে বললেন। তারপর
তিনি একটা খবরের কাগজ নিলেন। আমাকে বললেন "
কি করো ? " আমি বললাম চাকরী করি।
আমি দেখতে পেলাম রূপা আসছে। অন্য দিন থেকে রূপা
কে আজ খুব সুন্দর লাগছে। রূপা চুপ করে বসে আছে। এখন
আমি বুঝতে পারলাম এই বৃদ্ধলোক রূপার বাবা। আমাকে
বললেন " বাসায় কে কে ? "
আমি বললাম " মা বাবা ভাই বোন। "
রূপার বাবা বললেন " আমার মেয়েকে পছন্দ করো। "
রূপা দাঁত মুখ কেমন অসহায় ভাব নিয়ে আমার দিকে
চেয়ে আমাকে বলতাছে " হ্যা বলতে। "
আমি কেমন যেন অনুভূতি অনুভব করলাম। তারপর বললাম "
হ্যা। "
রূপার বাবা আবার জিজ্ঞাস করলেন " আমার মেয়ে কে
কয় বছর ধরে ভালবাসো ? "
রূপা হাত দিয়ে ৫ বছর বলতে বলল । আমি মনে ভাবতে
লাগলাম এই মেয়ে কি পাগল। এক বছর হলো না পরিচয়
হয়েছে আর বলছে ৫ বছর এইটা কি করে সম্ভাব। আমিও
বলে দিলাম ৫ বছর। রূপার বাবা হাসি দিয়ে বললেন "
আমার মেয়ে কে সুখে রাখতে পারবে ? "
রূপা আমার দিকে চেয়ে হাসি দিয়ে বলে " হ্যা বলতে। "
আমিও হ্যা বলে দিলাম। তারপর রূপার বাবা উঠে
গেলেন। আমি তো কিছুই বুঝতে পারে নি। রূপাকে বললাম " এগুলা কি ? "
রূপা মিটমিট হাসি দিয়ে বলে " আপনার সাথে আমার
বিয়ে ? কেন আপনার কি কোনো গফ আছে নাকি ? আর
যদিও থাকে সে বাদ আজ থেকে আমি তাকব আপনার
স্বপ্নের দেশে। কেন আমাকে বিয়ে করবেন না ? "
আমি রূপার দিকে চেয়ে বললাম " ভাবতে হবে ? "
রূপা মন খারাপ করে বলল " ভাবতে হবে না আমি খুব
ভালো মেয়ে। আমি ছোট বেলা থেকে ভালো মেয়ে।
দরকার হলে মাকে জিজ্ঞাস করেন যান। "
আমি বললাম " আচ্ছা আমাকে কেন বিয়ে করতে চাও ? "
রূপা এবার হাসি দিয়ে বলে " আপনি খুব ভালো ছেলে। "
আমিও মাথা টা নিচু করে বললাম " বিয়েতে রাজি আমি। "

গল্প :-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে""
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- ১৩ ~~২~ ♥
বাসায় আমি আর আপু। সজিবকে
ফোন দিয়ে বলেছি মা - বাবা আজ
আসবেনা। তুমি প্রাইভেট পড়াতে এসো না।
....
কিন্তু প্রায় সন্ধ্যা লেগে গিয়েছে। আমি
আর আপু তখন বসে " তামিলের রামচরণ "
মুভিটা দেখতে ছিলাম। হঠাৎ দরজা নর্ক
করার আওয়াজ। দরজা খুলতই বেশ হবাক
হলাম। কারণ দরজার বাহিরে সজিব
দাঁড়িয়ে আছে,হাতে বিয়িরানির প্যাকেট
আর একহাতে সেভেন আপের বোতল।
.
সজিব ঘরে আসতেই আপু বললো " আপনার
আবার এসব নিয়ে আসতে কে বললো?"
.
নাহ্ আঙ্কেল - আন্টি নাকি নানী বাড়ি
গেছে। তাই ভাবলাম যদি খাবার রান্না
করে না রেখে যায়!
.
সজিবের কথা শুনে আপু মুঁচকি হাসলো।
প্লেটে বিয়িরানি বেড়ে আপু খেতে বসতে
বললো। আমাদের সাথে আপুও বসলো।
খাওয়া- দাওয়া শেষ হতেই সেভেন আপ
গ্লাস এ ঢেলেই আপুকে বললো সজিব" কথা
আমি একটা ভুল করে ফেলেছি, বাহিরে
বাইকের সাথে চাবিটা রেখে
এসেছি,নিয়ে আসবে"।
.
আপু মুঁচকি হেসে চাবি নিয়ে আসতে
গেলো।এ সুযোগে সজিব আপুর গ্লাসে
কিসের যেন গুড়া মিশিয়ে দেয়। এদিকে
খাওয়া শেষ করে আপু আমি আর সজিব
মুভিটার শেষ দৃশ্য দেখছি। তখন সজিব বলে
ওঠলো" তোমরা তাহলে থাকে, আমি আজ
আসি"।
.
আচ্ছা যাবেই তো, তবে সিনেমাটা শেষ
করে যাও।( আপু)
.
এদিকে বসে সিনেমা দেখছি হঠাৎ আপুর
দিকে তাঁকাতেই দেখি আপু ঘুমিয়ে
গিয়েছে। আমি অনেকটা অবাক হলাম,কারণ
রাত ৮ টা বাজে এখনই আপু ঘুমিয়ে গেল।
আপু তো রাত ১২ টার আগে কখনো ঘুমায় না।
.
পাশে বসে সজিব মুঁচকি মুঁচকি হাসছে। এই
তুমি হাসো কেন?
.
কথা ঘুমিয়ে গিয়েছে, এই জন্য তুমি মনে
মনে কি যেন ভাবছো। তাই তোমার দিকে
চেয়ে হাসছি। আচ্ছা কথাকে নিয়ে শুইয়ে
দাও। এদিকে আপুকে নিয়ে আপুর বেডে
শুইয়ে দিয়ে বের হতেই দেখি সজিব আমার
দিকে কেমন যেন, কামুক দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে
আছে।
.
এভাবে তাঁকিয়ে আছো কেন?
.
আমার সোনা- ময়নাটাকে দেখি।
.
"তাই বুঝি"কথাটা বলতেই দেখি বাহিরের
বৃষ্টি পড়ছে। হঠাৎ জোরে বজ্র পড়ার শব্দে
আমি ভয়ে সজিবের বুকে লেপ্টে পড়ি।
সজিব আমাকে কুলে তুলে নেয়। আস্তে
আস্তে আমার রুমে নিয়ে এসে দরজাটা লক
করে দেয়।
.
এই তুমি কি করছো! আমি জানতে পেলে
কেলেঙ্কংকারি হয়ে যাবে।
.
হা,হা,হা' তিনটা স্লিপিং পিল এর
এ্যাকশন ৯ ঘন্টার বেশি থাকবে চিন্তা
করোনা। কথার সেভেন- আপের গ্লাসে
ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দিয়েছি। আজকের
রাতটা আমরা দুজন- দুজনকে শুধু
ভালোবাসবো! ( সজিব)
.
কি বলছো? এসব করতে পারবোনা!
.
তুমি কি আমায় ভালবাসো?( সজিব)
.
নিজের থেকেও বেশি!
.
"ভালোই যখন বাসো তবে, কেন বিশ্বাস
করছোনা! আমি তোমাকেই বিয়ে করবো।
তাই তোমাকে আজ আপন করে নিতে
চায়"কথাগুলো বলে আমাকে বিছানায়
শুইয়ে দিলো। দুই - হাত দিয়ে দুই হাত চেপে
ধরলো ঠোঁটের সাথে ঠোঁট দুটি মিলিয়ে
দিলো। শরীরটা ক্রমশ অবশ হয়ে আসছে।
আমি চোখ বন্ধ করে আছি! মনে হচ্ছে সজিব
আমার বুক থেকে কাপড় সড়াচ্ছে আমি বাঁধা
দিতে গিয়েও দিতে পারলাম না। শরীলের
প্রতিটি অঙ্গে আমার স্বপ্নের রাজকুমার
তাঁ ঊষ্ণ ঠোঁটের জ্বালাময়ী ভালবাসার
স্পর্শ এঁকে দিচ্ছে। একসময় নাভিতে হাত
দিতেই নিজেকে কন্টোল করতে পারলাম না
হাতটা ধরতে গিয়েও কেঁপে - কেঁপে ফিরে
আসলো। তারপর হারিয়ে গেলাম অন্য এক
জগতে। সকাল বেলা ঘুম ভাঙ্গতেই দেখি
আমার শরীরে কোন কাপড় নেই। সজিব
আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে। আমার
কাছে মনে হচ্ছে একটা মেয়েকে সব চেয়ে
কুৎসিত লাগে, বিবস্ত্র অবস্হায়। রাতের
কথা মনে পড়তেই চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে
পড়তে লাগলো। কারণ,নিজের মহামূল্যবান
সম্পদ টা কাল হারালাম। সজিবকে
ছাড়িয়ে কাপড়টা পড়ে নিলাম। সজিব ঘুম
থেকে ওঠে কাপড় পরে দেখে আমি কাঁদছি।
.
" এই পাগলী কাঁদো কেন" কথাটা বলে চোখ
মুছে দিয়ে কপালে চুমু দিয়ে জড়িয়ে ধরে
বললো" আমি আসি সোনা- ময়না "। বলেই
চলে গেলো।
.
এর পর থেকে প্রায় সময়ই সজিব সুযোগ
পেলেই বিয়ের কথা বলে,আমাকে ভোগ
করতো। আমিও কিছু বলতাম নাহ্কি। কারণ
ভালবাসার মানুষই তো এসব করছে। আর
সজিব আমাকে বিয়ে ককরবে। তাই কখনো
বাঁধা দেয়নি।কিন্তু বিপত্তি'টা হলো
তখনি যখনি আমার বমি আসতে শুরু করলো।
শরীর ক্রমশ দুর্বল হতে লাগলো। সজিবকে
বললে সজিব বলে" তুমি এতো বোকা কেন
একটা ট্যাবলেট খেয়ে নিলেই পারতে! আমি
কান্না করে দিয় বললাম" তুমি না আমায়
বিয়ে করবে?
.
আরে কি বলো বিয় তোমাকে যে মেয়ে
বিয়ের আগে আমার সাথে এমন করতে
পারে! তাঁকে আমি কেন কেউ বিয়ে
করবেনা। আর হ্যাঁ মা- বাবার মানসম্মান
বাঁচাতে চাইলে আমি যে এমন করছি কাকে
বলোনা। আর হসপিটালে সব ব্যবস্থা করে
রেখেছি গিয়ে এবারশনটা করে নিয়ে।মা-
বাবার গলায় যদি দঁড়ি না দেখতে চাও।
.
- সজিবের কথাগুলো শুনে মায়ের নিচের
মাটি সরে গেলে।। সাজানো স্বপ্নগুলো
মুহূর্তের মাঝে এলোমেলো হয়ে গেলো।
কলিজাটা কষ্টে ফেঁটে যাচ্ছে।। ইচ্ছে
করছে নিজেকে শেষ করে দেয়। কিন্তু
আত্মহত্যা যে মহাপাপ। আমি কি এমন
অপরাধ করেছিলাম সজিব তুই আমার জীবন
টা এভাবে নষ্ট করলি?সজিবের উওর ছিলো"
ময়না পাখি তুমি ও মজা পেয়েছ আমিও
পেয়েছি এতে আমার অপরাধ কি। সেদিন
রাতে তো আমার ঘাম বের করে
ফেলেছিলে, সত্যি তোমার সাথে রাত
কাটানোর মজাই আলাদা!"
ঠাস- ঠাস-ঠাস লজ্জা করে না তোর এভাবে
বলতে, তুই আমাকে বিয়ে করবি বলে আমার
জীবনটাকে নষ্ট করে এসব বলছিস। তুই
জীবনেও সুখী হবিনা, অভিশাপ দিলাম।
চোখ দিয়ে পানি পড়ে গাল বেয়ে মাটিতে
পড়ছে।( কাঁদতে কাঁদতে কথা গুলো বললো)
' তারপর বুকে হাজারো কষ্ট চাঁপা দিয়ে।
পাহাড়সম কষ্ট নিয়ে নিজের পেটে হাত
দিয়ে বললো" ক্ষমা করে দিস
আমাকে,পাপিষ্ঠ'টা তোকে পৃথিবীর মুখ
দেখতে দিলোনা! আমি যে তোর মা
কলঙ্কিনী মা বড্ড অসহায়। ক্ষমা করে দিস,
কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বললো তোবা।
.
আজ আমি নিজের গর্ভের সন্তানটাকে
হত্যা করে আসলাম।পারছিনা আর এত কষ্ট
সইতে, আমার ভালবাসার অপমান সজিব
নামে জারজ সন্তানের হাতে " তার খুনটা
যদি আমি করতে পারতাম তাহলে পাপের
বুঝাটা কিছুটা লাঘব হতো! তারপর
ডাইরিতে কিছু লিখা নেই।
.
ডাইরিটা সম্পূণ পড়ে কথার আর বুঝতে
বাকি থাকে না" সজিব নামে জারজ
সন্তানটার জন্যই আজ তাঁর এ অবস্হা, তার
বোন তোবা পাগলপ্রায়। আর কণা আপু
কবরে! আর আমার জীবনের জীবন স্বামীটা
হাসপাতালে।
.
সজিবের ছবিটা, ছিঁড়ে ফেললো গ্যাসের
আগুনে দিয়ে ছবিটাকে জ্বালাচ্ছে। হঠাৎ
ফোনটা ক্রিং ক্রিং করে বাজছে ফোনটা
তুলতেই "
ভাবী ভাইয়াকে আর বাঁচানো গেলো না........
.
.
.
♥-----"To be Continue"---♥
.

গল্প :-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে""
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- ১৩~~~ ♥
.
.
পরের পাতা উল্টটাতেই কথা একটা শর্ক
খায় দেখে একটা কবিতা লেখা কবিতাটি
রাজের লেখা তাহলে রাজ কী তোবার
সাথে সত্যি এমনটি করেছে?
.
কথা কিছু ভাবতে পারছেনা সেই কবিতা
যাহ্ রাজের ফেসবুক আইডি'তে পায়। কথা
পড়তে লাগলো কবিতাটিঃ
.
আমার হৃদয়ে রংতুলি দিয়ে এঁকেছি তোমায়
ছবি!
.
আমি হারিয়েছি আমায়!
তোমারি চোখের মায়াজালে,
মুগ্ধ নয়নে তাকিয়েছি তোমার দিকে,
যখনি তুমি শাড়ি পড়ে এসেছিলে কলেজের
সেই কদমফুল গাছটির তলে।
.
আমি মাতাল হয়েছি,যে তোমার,
এলোকেশের আঁকা-বাকা বাজে।
ভালোবেসেছি তোমায়,
হয়তো পাবোনা জেনেও।
ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করিয়াছি,
তোমায় হৃদয়ের গহীন কোণে।
তুমি কী বুঝেছ কভু?
আমার ছোট্ট হৃদয়ের ভালবাসাটুকু।
যদিও না পাই তোমায়,
তবুও ভালোবেসে যাবো অন্ততকাল।
"" ইতি '
" অতিথি পাখি"
.
কথা বিশ্বাসে আবারো আঁচ লাগলো।
তাহলে রাজ এজন্যই সুসাইড করলো, প্রথমেই
তোবাকে সে নষ্ট করেছিল। আর এই জন্যই
তোবা রাজকে পাওয়ার জন্য এতো কিছু
করেছে। কথা রাজকে অনেকটা ভালোবেসে
ফেলেছে, তার প্রতি রাজের ভালবাসা
দেখে। কিন্তু এসব পড়ে কথার নিজের ওপর
ঘৃণা হচ্ছে।
.
কথা চোখটা মুছে আবারো ডাইরিটা পড়তে
লাগলো।
.
সেদিন তোমার লেখা তোমার লেখা
কবিতা পড়েই তোমার প্রেমে পড়ে যাই।
.
তোমাকে নিয়ে দেখতে থাকি আমার
হাজারো স্বপ্ন। প্রতিরাত তোমার
অজান্তে লুকিয়ে তোলা তোমার ছবিটা
ফোনের ওয়েল পেপারে সেভ করে রেখে চুমু
খেতাম। হারিয়ে যেতাম আমার কল্পনার
রাজকুমারের মাঝে। স্কুল শেষে প্রতিদিন
তোমাকে একনজর দেখার জন্য লেট করে
বাড়ি আসতাম। আর মা বলতো' পাশের
বাড়ির জান্নাত তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে,
তোর ফিরতে এতো লেট হয় কেন"। আমি
কিছু বলতাম না, কারণ তোমাকে একনজর
দেখতে পেলেই আমার সব কষ্ট দূর হয়ে
যেতো। জানো আমার স্বপ্নের রাজকুমার
তোমাকে নীল শার্টে অনেক সুন্দর
দেখাতো। সত্যি বলতে তোমাকে প্রথম
যেদিন কলেজের পাশে নীল শার্ট গায়ে
দিয়ে ভার্সিটির পাশে বাইক নিয়ে
দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি সেদিনই তোমার
প্রেমে পড়ে যায়। পরে জানতে পেয়েছি
তোমার পছন্দের কালার নীল। তাই অনেক
সময় নীল ড্রেস পড়ো!
.
কথা এ পর্যন্ত পড়ে, আর পরতে পারছেনা।
মনে মনে ভাবছে রাজের ও তো নীল
কালার পছন্দ! ডাইরিতে রাজের লেখা
কবিতাটিও তোবা লেখে রেখেছে! তোবা
তো রাজকে অনেক ভালোবাসতো। তা
তোবার লেখা ডাইরির প্রতিটি অক্ষর
সাক্ষী দিচ্ছে!রাজ তো আমাকে
ভালোবাসতো, তাহলে তোবার সাথে কেন
এমন করলো! সত্যি যদি রাজ তোবার সরল মন
নিয়ে খেলে থাকে, তাহলে আমি কার
ভালবাসা নিয়ে বাঁচবো। সজিব আর রাজের
মাঝে তাহলে ফাঁরাক টা কোথায়?
ডাইরিটার ওপর চোখের পানি পড়ার শব্দ
হচ্ছে টপ - টপ করে! ঝাপসা চোখটা বাম
হাতে মুছে আবারো পড়তে লাগলো,
ডাইরিটা।
.
তারপর একদিন আমার স্বপ্নের রাজকুমার
তোমাকে রাস্তায় একা বাইক নিয়ে
দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি। রাস্তাততে কেউ
ছিল না। ভয়ে, ভয়ে তোমাকে দাড়াঁতে
বলি। তুমি বলেছিলে" কিছু বলবেন? "।
.
বিশ্বাস করো সেদিন আমি বোবা হয়ে
গিয়েছিলাম।
আমার সব ভাষা হারিয়ে গেয়েছিল
সেদিন। তুমি আবার বলবে " কি হলো
দাঁড়াতে বললেন, দাঁড়ালাম এখন কিছু না
বলে ফ্যাল-ফ্যাল করে তাকিয়ে আছেন
কেন?"।
.
আমি তোমাকে কিছু বলবো!
.
আচ্ছা বলেন কি বলবেন?
.
আমি তোমাকে ভালবাসি! কথাটা বলতে
গলাটা কেমন ধরে এলো। সারা শরীর দিয়ে
গরম ঝাঝ বের হচ্ছিল। কথাটা বলে যখনি
দৌঁড় দিতে যাবো ঠিক তখনি তুমি আমার
হাতটা ধরে ফেলো। আমার সারা- শরীর
কেঁপে ওঠে, তোমায় ছোঁয়াতে, আজও ভুলতে
পারিনা সেই প্রথম ছোঁয়া।
.
তারপর তুমি বলেছিলে" এ পাগলী আমি
জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো "।
কথাটা বলে জড়িয়ে ধরো আমাকে, আমার
সারা - শরীরে তখন বিদ্যুৎ বয়ে যাচ্ছিল।
তারপর রাস্তার মাঝে,, আকাশ ডাক দিয়ে
বৃষ্টি নামে। তুমি আমাকে শক্ত করে
জড়িয়ে রেখেছিলে। আকাশ থেকে ভয়ংকর
শব্দ করে বজ্র পড়েছিল। আমি ভয়ে
তোমাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে
ধরেছিলাম। তারপর বৃষ্টিকে সাক্ষী রেখে
আমার ঠোঁটের সাথে তোমার উষ্ণ ঠোঁট টা
মিলিয়ে দিয়েছিলে। কেমন যে লেগেছিল
আমার তা তোমাকে বলে বুঝাতো
পারবোনা।
.
জানো এরপর প্রায় প্রতিদিনই তোমার
সাথে দেখা হতো। জানো আজও তোমার
ছবিটা ডাইরির ভাজে রেখেছি! আমার
স্বপ্নের রাজকুমার।
.
কথা এ পর্যন্ত পড়ে ডাইরির পরের পাতা
উল্টাতেই, কথার দুনিয়া যেন উলট- পালট
হয়ে যেতে লাগলো। কী দেখছে এসব।
কোনদিন কল্পনাও করতে পারেনাই, তোবার
জীবনটা এই নষ্ট করবে। কত বিশ্বাস
করেছিল মা- বাবা।আমি নিজেও বিশ্বাস
করেছিলাম। কথা চোখে যেন অন্ধকার
দেখছে। কেন এমন করলো, একটা মানুষ এতটা
মুখোশধারী হয় কেমনে? পৃথিবীতে এত
খারাপ মানুষও হয় নাকি, বিশ্বাস করা খুব
কষ্ট হচ্ছে।
কারণ ছবিটা যে আর কারো নয় " ছবিটা
হচ্ছে, কালপির্ড সজিবের"। সজিব কে মনে
হচ্ছে কবর থেকে তুলে নিজে খুন করি। নাহ্
তাকে হাজার বার খুন করলেও তার
অপরাধের বিন্দুমাএ শাস্তি হবেনা যে
অপরাধ করেছে। আমার নিঃশ্বাপ ফুলের
মতো বোনটার কোমল জীবন নষ্ট করেছে।
বোনটা পাগলপ্রায় হয়ে গেছে। রাজের
বোন কণাকে নষ্ট করে আত্মহত্যা করতে
বাধ্য করেছে। আমার ভালবাসার সাথে
প্রতারণা করেছে সরল মনে বিশ্বাস
করেছিলাম কালর্পিড টাকে। ওর জন্য
রাজের ফুলের মতো পবিএ ভালবাসাকে
বুঝতে পারিনা। অবহেলা করেছি আমার
স্বামীকে। যে মানুষটা শত কষ্ট বুকে নিয়ে
একটু ভালবাসা চেয়েছিল তাকে ঘৃণা ছাড়া
কিছু দিতে পারিনি। আমি সত্যিই অনেক
অপরাধী। কেমনে কষ্ট দিলাম, আমি সারা
পৃথিবীর ভালবাসাকে অপমান করেছি,
রাজের ভালবাসাকে অপমান করে! কারণ
যে মানুষটা বন্ধুর মুখের হাসির জন্য নিজের
ভালবাসাকে কুরবাণী দিতে পারে! তাঁর
ভালবাসা কতটা পবিএ। যে মানুষটা
ভালবাসার মানুষ অন্তঃসন্তা হওয়া সত্বেও,
তাঁর ভালবাসার মানুষকে বাঁচাতে বিয়ে
করে স্ত্রীর অধিকার দেয়। নিজের বোনের
খুনির সন্তানকে নিজের পরিচয় দেয়, কতটা
ভালবাসলে এতটা ত্যাগ করতে পারে একটা
মানুষ। আর আমি এতই হতভাগী আমার
স্বামীকে খুন করার জন্য দুধে ঘুমের ঔষধ
মিশিয়ে দেয়! আল্লাহ্ আমাকে ক্ষমা করো,
আমার নিজের জীবনের বিনিময়ে আমার
স্বামীর জীবন ভিক্ষা দাও। আল্লাহ
স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা পবিএ তুমি
বলেছে। তুমি কবুল ককরে ননাও আমাদেরকে!
চোখ জোড়া আজ কোন বাঁধা মানছেনা
অঝরো আষারো শ্রাবণ ঝরছে। নিজেকে
কীভাবে সান্ত্বনা দিবে সে! চোখ দিয়ে
মনে হয় রক্ত বের হবে এতটা কষ্ট কেন হচ্ছে।
চোখ মুছে ঝাপসা চোখে ছবিটা সরিয়ে
আবার ডাইরিটা পড়তে লাগলো কথা-
.
আজ আমি অনেক হ্যাপি,কারণ আজ স্বপ্নের
রাজকুমার সজিবকে প্রাইভেট টিউটর
হিসেবে বাসায় নিয়ে এসেছি। মা- বাবা
সজিবের সাথে কথা বলে নিজের ছেলেদের
মতো করে নিয়েছে। এখন পড়ার টেবিলে
বসে হা করে তাঁকিয়ে দেখি আমার
স্বপ্নের রাজকুমারটাকে। তবে কথা আপুকে
অনেক ধন্যবাদ, আপুর সাথে সজিবের অনেক
আগে থেকেই পরিচয়। আপু ও বলেছে সজিব
ভালো ছেলে তাই যখন তখন আসতে পারতো
সজিব আমাদের বাসায়।
.
দিনগুলি ভালোই কাটতেছিল। লুকিয়ে পড়া
ফাঁকি দিয়ে সিনেমা দেখা।পার্কে
বেড়ানো কত ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত কাটিয়েছি। তবে
সজিবের সাথে ফ্যাজিক্যালি কোন
রিলেশন হয়নি। সজিব অনেক বলেছে, কিন্তু
আমি না করেছি। একদিন সজিব আমাকে
প্রমিজ করে আমাকে সজিব বিয়ে করবে।
আর আমি সেদিন থেকে সজিবকে নিজের
স্বামী মনে করি। কিন্তু ফ্যাজিক্যাল
রিলেশন হয়নি তখনো। একদিন নানা- নানী
অসুস্থ হয়ে পড়লে,মা- বাবা নানা বাড়ি
চলে যায়। বাসায় আমি আর আপু। সজিবকে
ফোন দিয়ে বলেছি মা - বাবা আজ
আসবেনা। তুমি প্রাইভেট পড়াতে এসো না।

♥-----"To be Continue"---♥
.

গল্প :-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে""
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- ১২ ~~২~ ♥
বুকটা মনে হচ্ছে কষ্টের সাগর হয়ে গেছে।
চোখ দিয়ে অবিরাম বিষাদ সিন্ধুর জল
গড়িয়ে পড়ছে।
- বোনের ছবিটা বুকে নিয়ে বিছানায়
বসতেই, শরীর টা কেমন যেন কেঁপে ওঠে!
তাই বিছানায় গাঁ টা এলিয়ে দিতেই কখন
যে ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে যায় তা আর মনে
নাই।
.
'ভাইয়া, ভাইয়া, তুমি কাঁদছো কেনো? তুমি
জানোনা তুমি কাঁদলে আমারো যে খুব কষ্ট
হয়। আর কেঁদোনা প্লিজ।
.
- হঠাৎ চিরচেনা সে 'ভাইয়া, ডাক শুনে
দরজায় দিকে তাঁকাতেই দেখি দরজা খুলা।
কিন্তু একি দরজায় ধব-ধবে সাদা একখানা
শাড়ি পড়ে দাঁড়িয়ে আছে কণা। আর বলছে
'ভাইয়া তুমি কেঁদোনা তুমি কাঁদলে
আমারো খুব কষ্ট হয়"।
.
কণাকে সাদা শাড়িতে কেমন যেন লাগছে।
তাই জিজ্ঞেস করলাম' কণা তুই না সাদা
শাড়ি পছন্দ করিস না তবে কেন এই শাড়ি
পড়েছিস? তোর জন্য তো বৈশাখেও নীল
শাড়ি কিনে দিলাম!
.
ভাইয়া, আমি চাইলেও আর নীল শাড়ি
কখনো পড়তে পারবোনা! ভাইয়া তুমি
আমার হত্যার বিচার করবেনা? আমার
আত্মা যে, সে বিশ্বাসঘাতকের মৃত্যু না
দেখে মুক্তি পাচ্ছেনা!
.
কণার কি সব বলছিস?।হঠাৎ কণার গলার
দিকে তাকাতেই দেখি গলায় দড়ির দাগ!
কণা বলে চিৎকার দিতেই ঘুম ভেঙ্গে যায়!
ঘুম ভাঙ্গতেই আর বুঝতে বাকি থাকেনা
এটা আমার দুঃস্বপ্ন ছিল।এখনো কণা'র
ভেঙ্গে যাওয়া ছবিটা বুকে।দরজার দিকে
তাকিয়ে দেখি দরজা লাগানো, ভয় ও হচ্ছে
আবার খুব কষ্ট হচ্ছে। মনে, মনে ভাবলাম
আমি আমার বোন হত্যার প্রতিশোধ ঠিকই
নিবো আর আমার বোনের চল্লিশ দিন
হওয়ার আগেই।
.
কথা ডাইরির পরের পাতা উল্টানোর
আগেই, ফোনটা ক্রিং ক্রিং করে বেজে
ওঠে!
.
ফোনটা ধরতেই ওই পাশ থেকে রিত্ত বলছে '
ভাবী, তুমি কোথায় ভাইয়া নাকি
বাঁচবেনা! প্লিজ তুমি শেষ বারের জন্য
হলেও ভাইয়া'কে দেখে যাও"।
.
এদিকে রিত্তের কাছে এমন কথা শুনে,
কথার মনে হচ্ছে তার হৃদপিন্ডে কেউ ছুঁড়ি
চালিয়ে দিয়েছে! রাজ না বাঁচলে যে
কথাও বাঁচবেনা। ডাইরিটা আলমারীতে যে
জায়গায় ছিল সেখানে রেখে হসপিটালে
রওনা দেয়!
.
হসপিটালে আসার পর দেখে সবাই কান্না
করছে! কথা সবার সামনে ডির্ভোস
পেপার'টা ছিঁড়ে ফেলে। সবাই কথায় দিকে
চেয়ে আছে!
.
কথা দৌঁড়ে রাজের পায়ের কাছে গিয়ে
কাঁদতে, কাঁদতে বলতে লাগলো, তুমি
আমাকে ক্ষমা করে দাও! আমি যে
তোমাকে ছাঁড়া বাঁচবোনা!আমাকে কেন
এতো ভালোবাসলে। এতো ভালবাসার পর
কেন ছেঁড়ে যাচ্ছো আমায়? তুমি চলে গেলে
কে আমাকে ভালোবাসবে!
.
এদিকে নার্স এসে কথাকে কান্না করতে
না করে এতে করে! পেশেন্টের ক্ষতি হবে।
কথা রাজের মুখের দিকে তাঁকাতেই বুকটা
হুঁ-হুঁ করে কেঁদে ওঠে। আজ কথার জন্যই তার
স্বামী মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ছে! মনে
হচ্ছে নিজেকে শেষ করে দেয়। কিন্তু
রাজের স্বপ্ন রাইসার জন্য বেঁচে থাকতে
হবে। কি সুন্দর মায়াবী মুখখানা'কোন অশুভ
ছাঁয়া গ্রাস করে ফেলছে! চোখ থেকে জল
বের হয়ে গাল বেয়ে পড়ছে! রাজের কপালে
একটা চুমু একে দিলাম। মনে মনে বলছি' রাজ
কী আমায় ক্ষমা করবে?আমি যে স্ত্রী হয়ে,
স্বামীকে মারার জন্য ঘুমের ওষধ
খাওয়েছি! আল্লাহও আমায় ক্ষমা করবেনা।
নিজেকে পৃথিবীর শেষ্ঠ অভাগী মনে হচ্ছে
' যে এতটা ভালবাসার পরও নিজের
স্বামীকে খুন করার জন্য এমন ইতিহাসের
জঘন্যতম খারাপ কাজ করছি! নিজের কাছে
নিজেই আজ বড্ড অপরাধী! চোখ থেকে মনে
হচ্ছে রক্ত বের হবে! কলিজাটা ফেটে
যাচ্ছে রাজের ওভাবে নিশ্চুপ শুয়ে থাকা
দেখে!
.
এদিকে বাবা আমাকে কাঁদতে দেখে,
বাসায় নিয়ে এসে পড়ে।
.
এদিকে এশার নামায পড়ে; মহান আল্লাহ্
তায়ালার দরবারে দু'খানা হাত তুলো বলতে
লাগলাম'হে পরওয়ার দেগার কখনো তোমার
কাছে হাত তুলিনি। কিন্তু আজ তোমার এই
অভাগী বান্দী তোমার কাছে দু'টি হাত
তুলেছে। হে রহিম- রহমান, তুমি আমার
স্বামীকে সুস্থ করে দাও, আমার স্বামীর
বুকে যেন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে
পারি! আমি যে বড্ড অপরাধী গুনাহ্গার তবুও
তোমার দরবারে হাত তুলেছি তুমি ছাঁড়া
আর কেউ যে নেই আমার! তুমি যে মহান,
দয়ার সাগর,তুমি রাজা-ধিরাজ! তুমি
হায়াত-মউতের মালিক। তুমি নাহ্ বলেছে
যখন কোন সন্তান কান্না করে দেয়, মা তাঁর
সন্তানের কান্না শুনে দৌঁড়ে আসে, আর
তুমি তো আমাদেরকে দুনিয়ার মায়ের
চেয়ে লক্ষ-কোটি গুণ বেশি ভালবাসো! যখন
তোমার কোন বান্দা রহিম-রহমান বলে
কান্না করে দেয়! তখন তোমার রহমতের
সাগরে টান লাগে। আমি তোমার রহিম-
রহমানের রহমতের দিকে চেয়ে রয়েছি
মাবুদ আমার স্বামীকে তুমি ভালো করে
দাও,সুস্থ করে দাও। নেক হায়াত দান করো!
আমিন।
.
নামায শেষ করে জায়নামায টা তুলে
রেখে রুম থেকে বের হতেই দেখি তোবা
পুতুল 'কে বলছে কাঁদে না শুনা! তোমার
বাবা তোমার জন্য এওোগুলো চকলেট নিয়ে
আসবে,তাই আর কেঁদোনা! কাঁদলে বাবাই
রাগ করবে! আমার সোনা-মণি ঘুমায়!
ইদানিং তোবার পাগলামি বেড়ে
গিয়েছে! কাল নাকি তোবাকে
সাইকিয়াটিস্ট দেখানে নিয়ে যাবে!
.
পরদিন তোবাকে ডাক্তার দেখানে নিয়ে
যাওয়ার পর হঠাৎ, মনে পড়লো তোবার কার
সাথে সম্পর্ক ছিল। যার সাথে অবৈধ
সম্পর্ক করার জন্য এবারশন করতে হয়
তোবার। কে সে যে তোবাকে মারসিক
আঘাত দেয় । কার সাথে তোবার সম্পর্ক
ছিল। এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ মনে পড়ে
তোবার রুমে খুজলে নিশ্চয়ই কোন তথ্য
পাওয়া যাবে।
যে ভাবা সেই কাজ অনেক খুজা-খুজির পর
কিছু না পেয়ে হতাশ হয়ে যায় কথা।
.
অনেক্ষণ পর কথার ড্রেসিং টেবিলের
লর্কার খুলে দেখে যে একটা লর্ক ডাইরি!"
.
কথা ডাইরির লক খুলতে না পেয়ো তালাটা
ভেঙ্গে ফেলে।
.
ডাইরিটি নীল কালিতে লেখা!
" ডাইরির প্রথম পাতা'টি উল্টাতেই কথা
শর্ক খায়! ডাইরির প্রথম পাতায় বড় করে
লেখা" আমার অনুভূতির ক্যানভাসে তোমার
নাম শুধু"
কথা পরের পাতা উল্টাতেই দেখে, নীল
কালিতে লেখা ' ছেলেটাকে প্রথম
দেখাতেই ভালবেসে ফেলি! নীল শার্টে
ঠিক রাজপুএের মতো লাগছে! আমার হৃদয়ের
রাজপুএ।
পরের পাতা উল্টটাতেই কথা একটা শর্ক
খায় দেখে একটা কবিতা লেখা কবিতাটা
রাজের লেখা তাহলে রাজ কী তোবার
সাথে........

.
♥-----"To be Continue"--♥ -

গল্প :-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে""
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- ১২~~~ ♥
.
.
এদিকে কণার চিঠিটা পড়ে নিজের
অজান্তেই চোখের পানিতে ভেসে যাচ্ছে
বুক, টপ- টপ করে চোখের পানি পড়ে চিঠিটা
ভেঁজে যাচ্ছে। কণাকে দাফন করে, রওনা
দিলাম ' সজিবের কাছে বোনের মৃত্যুর
প্রতিশোধ নিতে। কিন্তু গিয়ে যা দেখলাম
তা দেখায় একেবারে প্রস্তুত ছিলাম না
আল্লাহ এতো বড় শাস্তি দিয়েছে
সজিবকে। সজিব তাঁর মা বাবার লাশের
কাছে বসে কাঁদছে। আঙ্কেল আন্টি রোড
একসিডেন্টে কাল রাতেই মারা যায়।
নিজের অজান্তেই চোখ থেকে দু'ফোটা
অশ্রু গড়িয়ে পড়তে লাগলো। শত্রু হলে কী
হবে, তাঁর মা- বাবাকে সবসময় নিজের মা
বাবা মনে করতাম। আজ তাঁরা দুজন নিশ্চুপ
হয়ে শুয়ে আছে। আঙ্কেল আন্টির লাশের
পাশে বসে পড়লাম। একটা হাত সজিবের
কাঁধে রাখতেই, সজিব চোখের পানি ছেঁড়ে
দিয়ে জড়িয়ে ধরলো। বুকের মাঝে বোন
হারানোর পাহাড়সম কষ্ট চাঁপা রেখে যে
হাতে নিজের কলিজার টুকরা বোনটাকে
মাটি দিয়েছি, সে হাতেই পাপিষ্ঠ'টাকে
জড়িয়ে ধরলাম! বুকটা ধুঁমড়ে-মুচড়ে যাচ্ছে।
বুকের মাঝে বোন হত্যার প্রতিশোধের আগুন
দাউ-দাউ করে জ্বলছে! এদিকে দেখি সজিব
ছোট বাচ্চার মতো বুকে মুখ লুকিয়ে কান্না
করছে।
.
এই সজিব, মা- বাবা কারো চিরকাল বেঁচে
থাকেনা।যে পাঠিয়েছে আঙ্কেল - আন্টি
তাঁরই ডাকে সাড়া দিয়েছে। এতে আমাদের
কারো কিছু করার নেই! এখন যদি এভাবে
কান্না করিস তাহলে আঙ্কেল -আন্টির
আত্মা কষ্ট পাবে। প্লিজ আর কাঁদিস না।
.
দোস্ত আমার আর আপন বলতে কেউ রইলো
নাহ্!
.
সজিব তুই কি আমাকেও ভুলে গেলি, আমি
কি মারা গেছি। আমার মা-বাবা তোর মা-
বাবার মতোই তো।
.
আমার কথাগুলো শুনে, কেমন যানি অপরাধী
দৃষ্টি নিয়ে তাকালো।এদিকে আঙ্কেল-
আন্টিকে দাফন করার পর বাসায় এসে
পড়লাম।
.
রাতে শুয়ে শুয়ে, ভাবছি আল্লাহর বিচার
সবচেয়ে সুন্দর ও নিখুত বিচার। সজিব এর
জন্য আমার বোনটাকে হারালাম। আর
আল্লাহ্ তায়ালা তাঁর মা- বাবাকে তাঁর
থেকে দূরে সরিয়ে দিলেন।
.
পরদিন সকালে সজিবের বাসা থেকে ফোন
আসে, সজিব নাকি কিছুই খায়নি।
.
কথাটা শুনে নিজের অজান্তেই কেমন
যানি লাগছে। খুব কষ্ট লাগছে
বিশ্বাসঘাতক'টার জন্য। তাই, আর দেরি না
করে চলে গেলাম সজিবের বাসায় গিয়ে
দেখি এখনো বসে বসে কাঁদছে। কাজের
মেয়েকে খাবার এনে দিতে বললাম।দোস্ত
হা কর।
.
রাজ ভাই আমি খাবোনা।
.
পাগল হয়ে গেলি। কাল থেকে কিছু
খাইসনি, এভাবে না খেয়ে থাকলে অসুখ
করবে হা কর বলছি। এদিকে সজিব'কে
খাইয়ে দিচ্ছি, আর অন্যদিকে কে যেন
কলিজাতে ছুঁড়ি চালিয়ে দিচ্ছে! যে হাতে
আমার কলিজার টুকরা বোনটাকে খাইয়ে
দিতাম,আজ সে হাতে তাঁর খুনিকে খাইয়ে
দিচ্ছি। হাতটা কেমন যেন কাপঁছে। চোখ
দিয়ে বোন হারানো ব্যথায় বিষাদ সিন্ধুর
জল গড়িয়ে পড়ছে। খাওয়া শেষ হলে সজিব
আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো।
.
রাজ, দোস্ত তুই আমাকে ক্ষমা করে দে, তুই
সত্যি অনেক মহান।
.
কি হলো কাঁদছিস কেনো। আর ক্ষমা কেন
চাচ্ছিস?
.
দোস্ত আমি না """ এ পর্যন্ত বলতেই পকেটে
থাকা ফোনটা বেজে ওঠলো! স্ক্রীনের
দিকে তাকিয়ে দেখি মা ফোন করেছে।
ফোন ধরতেই মা বাসায় যেতে বলে। সজিব
কি যেন বলতে চেয়েও বলতে পারলো না।
আচ্ছা দোস্ত পরে আবার আসবো মা কেন
যানি জরুরী ফোন করেছে বাসা থেকে।
.
গাড়িতে বসে বসে ভাবতে লাগলাম সজিব
তোকে কীভাবে ক্ষমা করি। তুই যে আমার
কলিজার ভেতর ছুঁড়ি চালিয়ে দিয়েছিস।
যে হাতে বোনকে খাইয়ে দিতাম সসে
হাতে বোনকে কবরে দাফন করেছি। তোকে
ক্ষমা করলে যে আমার বোনটার আত্মা
শান্তি পাবেনা। তুই আমার হৃদপিন্ডে
আগেই ছুঁড়ি ডুকিয়ে দিয়েছিস। তোর
বন্ধুত্বের জন্য নিজের ভালবাসাকে
বন্ধুত্বের কাছে কুরবানী দিয়েছি। কথাকে
নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালবাসতাম।
প্রতিটি রাত কথাকে নিয়ে হাজারো
স্বপ্নের জাল বুনেছিলাম। কিন্তু যেদিন, তুই
আমার কাছে বলেছিলি, তুই কথাকে
ভালবাসিস। সেদিন পৃথিবীটা এক মুর্হুর্তের
জন্য আমার চারপাশটা অন্ধকার হয়ে যায়।
কিন্তু তুই যখন বলেছিলি তুই কথাকে ছাঁড়া
বাঁচবিনা তখন আমার পৃথিবীটাই অন্ধকারে
ঢাকা পড়ে যায়। কারণ তুই শুধু আমার বন্ধু
ছিলিনা ছিলি, আমার ভাই। সেদিন তোর
ঠোঁটের কুণে হাসি ফুটানোর জন্য নিজের
হৃদপিন্ডে ছুঁড়ি ডুকাতেও একবিন্দু
কাপর্ণ্যতা বোধ করিনি । কিন্তু বিনিময়ে
আমার বোনটার সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে
আত্মহত্যা করতে বাধ্য করলি । কথা তো
আমার প্রতিটি নিঃশ্বাসে ছিল।আর কণা
ছিল আমার কলিজার টুকরা দুইজনকে তোর
জন্য আজ হারিয়েছি।
.
কথা ডাইরির এই পর্যন্ত পড়ার পর, আর কিছু
দেখতে পারছেনা। চোখ'দুটি ঝাপসা হয়ে
যাচ্ছে। একটা মানুষ এতোটা মহান হয়
কীভাবে, এতটা ভালবাসার পরও নিজের
বন্ধুর মুখের হাসির জন্য নিজের
ভালোবাসাকে কুরবাণী দেয়। আমি তো
রাজকে কখনো ভালো তো দূরের কথা
স্বামী হিসেবেও মানতে পারিনি। শুধু
কষ্টই দিয়েছি।রাজ কী আমাকে ক্ষমা
করবে? চোখ থেকে টপ-টপ করে জল পড়ছে।
ডাইরির পাতা গুলো ঝট লেগে গেছে।
চোখ'টা মুছে আবার পড়তে লাগলো কথা;
মায়ের ফোনে বাসায় এসে শুনতে পারলাম
আজ কণার মৃত্যুর সাতদিন! তাঁই
দোয়া,কালাম পড়বে। ফকির-মিসকিন
খাওয়াবে তাই মা বাজারে যেতে বললো।
.
সারাদিন ক্লান্তি শেষে রাতে, কণার রুমে
গিয়ে বসলাম। হঠাৎ কণার ছবির দিকে চোখ
যেতেই অবাক হলাম। মনে হচ্ছে, কলিজার
টুকরা বোনটা আমায় 'ভাইয়া,ভাইয়া বলে
ডাকছে, মনে হচ্ছে আমার দিকে চেয়ে সে
মুক্তা ঝরা হাসি আবার হাসছে'।এক'পা
দু'পা করে কণা'র ছবিটার কাছে গিয়ে
পলকহীন নয়ন জোড়া নিয়ে চেয়ে রয়েছি।
বোন'টা আমার মিটি-মিটি নয়নে তাঁকিয়ে
মুচকি-মুচকি হাসছে। নিজের অজান্তে
কণা'র ছবিটাতে কাঁপা, কাঁপা হাতে, হাত
ভুলাতে গেলেই। বুকটা কেমন যেন ছ্যাঁত
করে ওঠে।নিঁচের দিকে তাঁকাতেই দেখি,
কণা'র কাঁচের ফ্রেমে বাঁধাই করা ছবিটা
টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে আমার
কলিজা টুকরা, টুকরা হয়ে গেছে। নিঁচ থেকে
কনার ছবি'টা তুলে বুকে জড়িয়ে নিলাম!
বুকটা মনে হচ্ছে কষ্টের সাগর হয়ে গেছে।
চোখ দিয়ে অবিরাম বিষাদ সিন্ধুর জল
গড়িয়ে পড়ছে।
♥-----"To be Continue"--♥ -

গল্প :-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে""
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- ১১ ~২~~ ♥
-- তারপর ভার্সিটি যাওয়া বন্ধ করে দেয়!
কিন্তু বিভ্রাট ঘটে তখন যখন সজিব আমার
কলিজার ' ভাই টা শহরে আসে, সে এসে
ভার্সিটিতে নিয়ে যায় আমাকে।
-- দিনগুলি কথার প্রাণে তাকিয়েই পার
করছিলাম,কিন্তু কথাকে ভুলে যায়নি!
লুকিয়ে নামছাড়া চিরকুট দিতাম, আর আমি
বরাবরের মতোই ফেসবুকে লিখা-লিখি
করতাম, তা সজিব ছাড়া কেউ জানতো না "
কিন্তু কথাও আমার ফ্রেন্ডলিস্টে ছিল এবং
সে তাঁর আইডি দিয়ে লেখাগুলো পড়তো।
তেমনি একদিন কথা গল্প পড়তে পড়তে
তাকে দেওয়া একটা স্ক্রীপ পোস্ট করা পায়
নীচে লেখা' অতিথি পাখি" কথার বুঝতে
বাকি থাকেনা, তার অতিথি পাখিটিই,
তাঁর প্রিয় লেখক নিজের অজান্তেই
ভালবেসে ফেলে নিজের থেকে বেশি।
এদিকে তাঁর চিরকুটের অতিথি পাখিটিকে
দেখার জন্য পাগল প্রায়। কথা
ম্যাসেন্জারে ভয়েস রেকর্ডে কান্না করে
অডিও ক্রীপ দেয়। একটা সময় কথার
পাগলামি গুলি সহ্য না করতে পেরে তার
পর পরের দিন বিকালে কথাকে পার্কে
দেখা করতে বলি!
.
-- কথা এখনো আমাকে দেখেনি! জানিনা
দেখলে কী রকম রিয়াক্ট করবে। এসব ভাবতে
ভাবতে বাসা থেকে পার্কের উদ্দেশ্যে
বের হতেই সজিব এর সাথে দেখা!
.
-- কিরে সজিব হাতে ফুল নিয়ে,পাগলের
মতো কোথায় যাস( আমি)
.
-- দোস্ত তোকে পেয়ে ভালোই হইছে চল
ওখানে বসে কথা বলি? (সজিব)
.
--- হুম কি বলবি বল! (আমি)
.
-- দোস্ত তোকে কীভাবে যে বলি! আমি
একটা মেয়েকে ভালোবেসে ফেলেছি!
তাঁকে ছাড়া বাঁচবোনা! দোস্ত তুই আমাকে
বাঁচা যে ভাবে হয় ওই মেয়েটার সাথে
প্রেম করিয়ে দে! আমাকে বাঁচা। ( সজিব)
.
--- আরে তোর জন্য আমার জীবনও দিতে
পারি! আর তোকে প্রেম করিয়ে দিবোনা!
আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করবো!
.
-- দোস্ত প্রমিজ কর আমাকে ওই মেয়ের
সাথে প্রেম করিয়ে দিবি?( সজিব)
.
-- আচ্ছা তোকে ছুঁয়ে বলছি প্রমিজ বল কোন
সে ভাগ্যবতী রাজকন্যা যে আমার
কলিজার টুকরা বন্ধুটার মন কেঁড়ে নিয়েছে?
.
--- দোস্ত মেয়েটা আর কেউ না! আমাদের
কলেজের সেরা সুন্দরী কথা! বল কীভাবে
কি করলে আমাকে ভালোবাসবে কথা।
( কথা)
.
--- সজিবের মুখে 'কথা'র নামটা শুনতেই
কলিজাটা কেঁপে ওঠলো! সজিবের আড়ালে
চোখের পানি মুছলাম। দাঁতে দাঁত- চেপে
কান্না আকটে রাখছি!
.
-- দোস্ত কিভাবে কীরবো প্লিজ বল!
কথাকে না পেলে দোস্ত আমি মরেই যাবো
হয়তো, সারাদিন তাঁকে ভেবেই পার করি!
.
-- দোস্ত শোন আমার ফেসবুক আইডি এই নে
পাস! যদি কথা কিছু বলে বলবি আইডি'টা
তোর! কথাকে বলবি তার অতিথি পাখিটাই
তুই! আমি আগেই জানতাম তুই কথাকে
ভালোবাসিস তাই ফেইক আইডি দিয়ে
তোর প্রেম করিয়ে দিলাম! আমার ট্রিটটা
যেন পায় ঠিক সময়ে! ( আমি)
.
-- দোস্ত তুই সত্যি মহান বলে, সজিব
আমাকে জড়িয়ে ধরলো!
.
-- দোস্ত আর লেট করিস না পার্কে কথা
তোর জন্য অপেক্ষা করছে! ( আমি)
.
-- আচ্ছা দোস্ত চলিয়ে, এই বলে সজিব
পার্কে গিয়ে দেখে কথা বসে আছে!
কথাকে সব বলার পর কথা তার অতিথি
পাখি ভেবে, শক্ত করে জড়িয়ে ধরে!
.
-- এদিকে দূর থেকে নিজের ভালবাসার
মানুষটাকে অন্যের বুকে লেপ্টে যেতে
দেখি!বুকের মাঝে চিন-চিনো ব্যাথা
করছে,এ হয়তো ভালবাসা হারানোর
ব্যাথা।আজ নিজের বন্ধুত্বের কাছে
নিজের ভালবাসাকে কুরবানি দিলাম।
.
-- কথার বুক ফেঁটে কান্না আসতেছে!
চোখের পানি ডাইরির পাতায় টুপ- টুপ করে
পড়ছে! ডাইরির পাতাগুলো ঝটলা বেঁধে
যাচ্ছে! বামহাতে চোখের পানি মুছে
আবারো, ডাইরির পাতা উল্টাতে লাগলো।
.
-- দিনগুলি ভালোই কাটতেছিল, এখন কথাও
আমার খুব ভালো ফ্রেন্ড এতেই আমার
শান্তি কারণ ভালবাসার মানুষটাকে কাছ
থেকে দেখতে পারবো।আর সবচেয়ে বড় কথা
হলো, আমার কলিজার টুকরা বন্ধুটার কাছে
আমার ভালবাসার মানুষটি আছে!
.
-- সবকিছু ঠিক-ঠাক চলছে, হঠাৎ এমন একদিন
আসে সুখের সংসারটা কালবৈশাখী ঝড়ে
লন্ডবন্ড হয়ে যায়। সেদিন সকাল টা যদি
আর কোনদিন না আসতো তাহলেই ভালো
হতো, প্রতিদিন সকাল বেলা চোখ বন্ধ করে,
কাঁনার মতো হাতিয়ে, হাতিয়ে কলিজার
টুকরা বোনটার রুমে গিয়ে সবার প্রথম '
কণা'র মুখটা দেখতাম। তারপর দিন শুরু
করতাম প্রতিদিনের মতো সেদিনও চোখ
বন্ধ করে ' ছোট্ট রাজকুমারী বোনটির রুমে
গিয়ে চোখ বন্ধ করে বললাম, মহারাণী
আপনার প্রজা কি চোখ খুলিতে পারে,?
এভাবে কয়েকবার বলার পরও কোন সাড়া না
পেয়ে চোখ খুলতেই মনে হচ্ছে আমি অন্ধ
হলেই ভালো হতাম। কারণ আমার কলিজার
টুকরা বোনটা যে ফ্যানের সাথে ঝুলছে!
বুকের মাঝে কে যেন ছুঁড়ি চালিয়ে
দিয়েছে। হৃদয় থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
এদিকে কণা'কে জড়িয়ে ধরে কান্না করছি
হঠাৎ এমন সময় কণা'র হাতে একটা চিরকুট
পায়। চিরকুট'টাতে লিখা ;
.
-- প্রিয়,
আমার নয়নের মণি ' ভাইয়া'
.
এ অপবিএ নষ্টা মেয়ে হয়ে তোমার পবিএ
নাম কীভাবে নিবো ভেবে পাচ্ছিনা! তবুও
নিলাম কী করবো আর হয়তো ডাকতে
পারবোনা! এই ডাকটাই আমার শেষ ডাক!
ভাইয়া আমি বাঁচতে পারলামনা।
প্রতারকটা আমাকে আর আমার মাঝে
বেড়ে ওঠা, অবৈধ ভালবাসার ফসলের
স্বকৃতি দেয়নি ভাইয়া তাই মরার পথ বেঁছে
নিলাম। জানো ভাইয়া' বিশ্বাস ঘাতক
সজিব আমার সাথে মিথ্যা প্রেমের নাটক
করে। আমাকে বিয়ের কথা বলে দিনের পর
দিন ভোগ করে, তারই ফসল আমার গর্ভে। '
ভাইয়া জানো সজিবকে যেদিন বলেছি, যে
ভাইয়াকে বলো আমি অন্তঃসন্তা আমাকে
তুমি বিয়ে করবে! প্রতিত্তরে সজিব বলেছে
আমার গর্ভে নাকি তাঁর সন্তান না,আমি
নাকি নষ্টা। আমাকে নিয়ে রাত কাটানো
যায় তবে নাকি বিয়ে করা যায়না। আর সে
আমাকে কোনদিনই বিয়ে করবে না।হাতে
বাচ্চা নষ্ট করার ওষধ দিয়ে আমাকে বাসা
থেকে বের করে দেয়। সজিবের হাতে
আমার ভালবাসার এতো বড় অপবাদ সইতে
পারিনি।কীভাবে মুখ দেখাবো, কেউ যদি
বলে এ বাচ্চার বাবা কে কি বলবো,
বাচ্চাকে তো আর একা মারতে পারিনা
তাই মা- সন্তান একসাথে পাড়ি জমালাম
না ফেরার দেশে। ' ভাইয়া আজকের পর
থেকে তোমাকে আর খাইয়ে দিতে পারবো
না কারণ আমি যে নষ্টা, ভাইয়া বিশ্বাস
করো আমি নষ্টা না, বিশ্বাস করেছিলাম
ওকে' ওই 'আমাকে বিয়ের কথা বলে সর্বনাশ
করেছে। ক্ষমা করোনা তাঁকে কোনদিনই।
ভাইয়া কাঁদছো কেনো, একদম কাঁদবেনা
তুমি কাঁদলে যে আমি কষ্ট পায়। যদি
তোমার নষ্টা বোনটির জন্য কষ্ট হয় তাহলে,
তোমাকে দেওয়া জোঁড়া পুতুলটার সাথে
গল্প করবে। তাহলে আমার সাথে গল্প করা
হবে। ভাইয়া খুব ইচ্ছা করছে তোমার কুলে
মাথা রেখে ঘুমাতে ' কিন্তু আমি আর
কোনদিন ভাইয়ার কুলে ঘুমাতে পারবোনা,
পারবোনা তোমার প্লেট থেকে মাংস চুরি
করতে, চুরি করে বলবোনা আর কোনদিন '
ভাইয়া ছোট্ট বিড়ালে তোমার মাংস
খেয়েছে! কথাটা শুনার পর তোমার মুখের
সেই হাসিটটা আর দেখতে পারবোনা। আর
কোনদিন আইনক্রিম এর জন্য বাইনা ধরতে
পারবোনা,, যে ভাইয়া আইসক্রিম না
আনলে গেট বন্ধ। ভাইয়া' জানি শুনতে
পারবোনা তবুও বলছি একবার ' মহারানী
বলে ডাকবে আমায়?
.
-- ইতি, তোমার নষ্টা বোন।
.
-- এদিকে কণার চিঠিটা পড়ে নিজের
অজান্তেই চোখের পানিতে ভেসে যাচ্ছে
বুক, টপ- টপ করে চোখের পানি পড়ে চিঠিটা
ভেঁজে যাচ্ছে। কণাকে দাফন করে, রওনা
দিলাম ' সজিবের কাছে বোনের মৃত্যুর
প্রতিশোধ নিতে। কিন্তু গিয়ে যা দেখলাম
তা দেখায় একেবারে প্রস্তুত ছিলাম না
আল্লাহ এতো বড় শাস্তি......
.
.
♥-----"To be Continue"--♥ -

গল্প :-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে""
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- ১১ ~~~ ♥
.
.
ডাক্তার তোবার ডিএন এ টেস্ট করে
অবাক হয়ে গেলেন। যে সব রির্পোট ছিল সব
ভূয়া। ডাক্তার কথা, এবং তার মা বাবাকর
যা বললো তা শুনে সবাই অবাক হয়ে গেল!
ডাক্তার বললো, প্রকৃত পক্ষে তোবা
অন্তঃসন্তা নয়, তার ডি.এন. এ রির্পোট
তাই বলছে। ( ডাক্তার)
.
----what. how possible..? সব রিপোর্ট ভূয়া।
( কথা)
.
-- হ্যাঁ আমিও ভাবতে পারিনি, তাই একই
টেস্ট তিনবার করেছি!( ডাক্তার)
.
---ডাক্তার কি বলছেন এইসব, কিসের ভূয়া
আপনি আবার টেস্ট করান। আর হ্যাঁ
রির্পোট গুলো আপনাদের হসপিটালের
সবচেয়ে বড় ডাক্তার' সিনহা স্যারের'! তাঁর
রির্পোট মিথ্যা হতে পারেনা "( কথা)
..
-- শুনেন মিস কথা,ডাক্তার সিনহার
রির্পোট এর জন্যই আমি একই টেস্ট তিনবার
করেছি, । কিন্তু রির্পোট গুলো পড়ে সিনহা
স্যারের প্রেসক্রিপশন ফর্ম এর সাথে
মিলাতে গিয়েই, শকর্ড খেয়েছি। কারণ
স্যারের প্রেসক্রিপশন হুবহু কপি এটা। আর
এটা বানানো রির্পোট( ডাক্তার)
.
--- ঠাস- ঠাস করে চড় বসিয়ে দিলেন কথার
বাবা তেবার মুখে। চড় দিয়ে বলতে
লাগলো; আজ তোর মতো মিথ্যাবাদী
মেয়ের জন্য 'রাজ ' হসপিটালে,মৃত্যুর সাথে
পান্জা লডছে!"
.
-- প্লিজ স্টপ, পেশেন্ট কে মারবেন না। সে
সৎ জ্ঞানে এমনি করে নি! " তোবা একজন
মানসিক রোগী ' ডিসপ্রেশন গত সমস্যা
এটা তার"। সম্ভবত কারো কাছ থেকে প্রচন্ড
মানসিক আঘাত পেয়ে 'অন্যকে দোষারোপ
করা, গুছিয়ে মিথ্যা কথা বলা, যেন সবাই
বিশ্বাস করে,আর সবচেয়ে বড় কথা তার
জেদটা মস্তিষ্কে মিশে গেছে।আর
সবচেয়ে বড় কথা তোবার এর আগে একবার
এবারশন হয়েছিল।এই জন্য এই মিথ্যা
খেলাটা করছে,। তাই বলছি ওকে উন্নত
চিকিৎসার জন্য " বিদেশে পাঠাতে হতে
পারে" নইলে বড্ড পাগল হয়ে যাবে।
( ডাক্তার)
.
-- এদিকে ডাক্তারের কথা শুনে কথার
কলিজাটা ফেঁটে যাচ্ছে! চোখ দিয়ে পানি
গড়িয়ে পড়ছে, আর মনেমনে ভাবছে, সেদিন
রাজের কথাগুলোই সত্য ছিল। আচ্ছা! রাজ
কেন অপরাধ না করেও, আমার হাতের দুধের
গ্লাসে ঘুমের ওষধ থাকার পরও কেন খেয়ে
নিলো। নিজেকে কোন কারণে মৃত্যু মুখে
ধাবিত করলো! আজ কথার চোখে ভেঁসে
ওঠছে, রাজের সেই ভালবাসা, যত্ম,
অবহেলার পরও ভালবাসা পাওয়ার
পাগলামি।
.
-- আপু আমার বাবুকে কিন্তু কাউকে
দিবোনা, আর তোমাদের ডির্ভোস কবে
হবে আপু( তোবা)
.
-- এদিকে তোবার কাছে বাচ্চার কথা শুনে
কথা ভাবতে লাগলো, তোবা এর আগে
এবারশন করেছে! তাঁর মানে তাঁর সাথে
কারো সম্পর্ক ছিল। কে সেই জন এইসব
অবশ্যই আমাকে জানতে হবে। আচ্ছা
রাজের বোনও তো অন্তঃসন্তা ছিল, এবং
ফাসিতে ঝুলে মারা যায়। সব কিছুর পিঁছনে
কে? ( এসব ভাবতে ভাবতে কথার রাজের
ডাইরির কথা মনে পড়ে"
.
- কথা তাঁর বাবাকে বলে, চলে যায় রাজের
বাসায়। আলমারি খুলে একটা ডাইরি
দেখতে পায়। যে ডাইরিতে রাজ রাতে বসে
বসে কি যেন লেখতো। কখনো পড়া তো
দূরের কথা ' ডাইরিটা কথা ছুঁয়েও দেখেনি।
কিন্তু আজ দেখতেই হবে। এইভেবে
ডাইরিটা খুলতেই দেখলো ' আমি তুমি আর
সজিব ' লেখাটা দেখেই খটকা লাগলো
কথার। 'তুমি"টা কে
.
--- এদিকে ডাইরির পাতা উল্টাতেই চোখে
পড়লো' জীবনে একটা বন্ধু পেয়েছি যে শুধু
আমার বন্ধু নয় কলিজার টুকরা' সজিবকে মা-
বাবাও অনেক পছন্দ করে! নিজের ছেলের
মতো মনে করে! মনে করার কারণও আছে,
সজিবের মতো ছেলে হয়না আমাদের
ফ্যামিলিকে নিজের ফ্যামিলি মনে করে!
মা অনেকদিন সজিবকে মুখে তুলে খাইয়ে
দিয়েছে। সজিব মাকে মা বলেই ডাকতো।
আমার সবসময় মনে হতো আমি একটা ভাই
পেয়েছি।
.
-- দিনগুলি ভালোই কাটছিল। যেখানে
যেতাম দুজন মিলে যেতাম। যাইহোক
একদিন ভার্সিটিতে বসে আছি। হঠাৎ নীল
পাড়ের কালো শাড়ীতে একমেয়ে কলেজের
গের্ট দিয়ে প্রবেশ করতেই বুকের মাঝে এক
অজানা শিহরণ বয়তে থাকে। প্রথম দেখায়
মেয়ে'টা হৃদয়ে জায়গা করে নেয়। তাঁর পর
সজিবের অজান্তেই মেয়েটার পিছন, পিছন
ঘুরা- ঘুরি করি। মেয়েটা আর কেউ নয় ' সে
হচ্ছে আমার মায়াপরী কথা'। তাই
ডাইরি'টার নাম দিলাম "আমি,, তুমি,ও
সজিব"।
.
-- ভাবছিলাম সজিবকে, সারপ্রাইজ দিবো
কথার সাথে রিলেশন করে। তাই প্রথম
প্রপোজ করাতেই কথা রাজি হয়ে যায় এবং
শর্ত দেয়, কলেজের সবার সামনে তাকে
প্রপোজ করতে। সেদিন আমি সবচেয়ে বেশি
খুশি হয়েছিলাম। সারাটা রাত নির্ঘুম
কাটে। সকাল হতেই একগুচ্ছ কদম নিয়ে
ভার্সিটির সবার নিজের মায়াপরী,
কল্পনার রাজকুমারী' টাকে প্রপোজ করি।
তাঁর পর ভার্সিটির সবার সামনে আমার
পবিএ ভালবাসার প্রতিদান, তিনটি থাপ্পর
দেয়। সেদিন বাসায় এসে মেয়েদের মতো
দরজা লাগিয়ে কেঁদেছি, আমার কানে শুধু
তখন সে কথাগুলো শুনা যাচ্ছিল, তোর কি
করে সাহস হয়, আমাকে প্রপোজ করার।
নিজের চেহারা কখনো আয়নার দেখেছিস।
একটা ক্ষ্যাত মার্কা ছেলে,দেখে মনে হয়
ঝুকার। আর হ্যাঁ তুই যে গত ছয়মাস আমার
পিছনে ঘুরে যে যন্ত্রণা দিয়েছিস তাঁর
শোধ নিলাম।তাই তোই যখন কাল আমাকে
প্রপোজ করিস, আমার মাথায় রক্ত ওঠে
যায়, তাঁর পরেও আমি মাথা ঠান্ডা
রেখেছিলাম তোর টিজ করার সাজা দিবো
বলে। " রাজের কানে কথার এমন কথা বারি
খাচ্ছে আর নিরবে বালিশ ভেঁজতেছে।
.
-- তারপর ভার্সিটি যাওয়া বন্ধ করে দেয়!
কিন্তু বিভ্রাট ঘটে তখন যখন সজিব আমার
কলিজার ' ভাই টা শহরে আসে, সে এসে
ভার্সিটিতে নিয়ে যায় আমাকে।
♥-----"To be Continue"--♥ -

বিয়ের পর আমাদের প্রথম হানিমুন হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমার শ্বশুর আমার আর বউয়ের সাথে যেতে চাচ্ছেন। শাশুড়ি বারবার করে বলছেন, “ওদের মাঝে আপনি গিয়ে কি করবেন?”
“গেলে কি সমস্যা? সেন্টমার্টিন যাচ্ছে, আমার দেখার খুব শখ। আর তাছাড়া ওরা একা একা যাচ্ছে, একটা সেফটি আরকি!” বলেই বিতর্কে বিজয়ী হয়েছেন এমন একটা ভাব করলেন। এদিকে আমার রাগে পিত্তি জ্বলে যাচ্ছে।

বিয়ের পর থেকেই শশুর আমার আর আমার বউয়ের মাঝে ‘কাবাব মে হাড্ডি’ হয়ে বসে আছেন। তাঁর উৎপাতে বিয়েতে তোলা ছবির এলবামে আমি আর নীরা একসাথে একটি ছবিতেও নেই। যেগুলোতে আমরা একসাথে আছি, সেখানে তিনি আছেন। কোনটায় স্বেচ্ছায় পোজ দিচ্ছেন, কোনটায় হুট করে এসে পড়েছেন, কোনটায় ব্যাকগ্রাউন্ডে। এটুকুই শেষ নয়, বিয়ের রাতে প্রায় একটার দিকে আমাকে ফোন দিয়ে বলেছিলেন, “জামাই, কয়েলটা দেয়া হয়নি, দরজাটা একটু খুলবে?” সেরাতে মোট তিনবার ফোন করে একবার কয়েল, আরেকবার পানির জগ-গ্লাস আর শেষবার একটা কাঁথা দিয়ে গেছেন।

বিয়ের পর থেকে উনার উৎপাত বহুগুণ বেড়েছে। শশুরবাড়ি আসলে সারাক্ষণ উনার রেডিও শুনতে হয়। কি নেই এই রেডিওতে! রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, সব ধরণের বকবক এই রেডিওতে ফ্রি পাওয়া যায়। মডার্ণ প্রব্লেমের মডার্ণ সলিউশন প্রয়োজন, আমিও এই রেডিও বন্ধ করার সলিউশন বের করেছি। যখনি তিনি বকবক করা শুরু করেন, আমি বাবাকে টেক্সট করি উনাকে কল দিতে। এরপর বাবা কল দেন, রেডিও অন্যদিকে কনভার্ট হয়ে যায়। বেশ ক’দিন এই রেডিও শুনে শুনে বাবাও বিরক্ত হয়েছেন। তাই এখন তিনিও একটি মডার্ন সলিউশন বের করেছেন। তিনি এখন, “তো রাজনীতির কি হাল অবস্থা বেয়াই সাহেব?” বলে ফোন পাশে রেখে দেন। কাজকর্ম শেষ করে এসে আবার ফোন ধরে, “হুম। আচ্ছা। তো অর্থনীতির কি অবস্থা?” ব্যস! রেডিও চলে, বাবাও ফোন পাশে রেখে নিজের কাজ করেন। এভাবে আমি, বাবা দুজনেই বেঁচে যাই। বিজ্ঞানে জিনতত্ত্ব নামে একটি বিষয় আছে, অর্থাৎ পিতার আচার-আচরণ সন্তানের মধ্যে থাকে। তবে মাঝেমাঝে কিছু ব্যতিক্রম হয়, আর সেই ব্যতিক্রমের জন্যই আমি বেঁচে আছি। নয়ত, আমার ঘরে যদি ননস্টপ মিনি রেডিও চলত, তবে এতদিনে আমাকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হত।

শ্বশুর আমাদের সাথে যাওয়ার ব্যাপারে বেশ সিরিয়াস দেখলাম। যাওয়ার আগের রাতেই সব গুছিয়ে রাখলেন। কার থেকে যেন একটা ক্যামেরাও ধার করে আনলেন। নিজের গোছগাছ শেষ করে তিনি আমাদের গোছগাছ দেখতে চলে এলেন। তারপর জ্ঞানীর মত পরামর্শ দিতে লাগলেন, “জামাই ক্যাডস নিও কিন্তু!”
“বাবা, আমরা সমুদ্রে যাচ্ছি, পাহাড়ে না”
“তাই তো!”
বলেই তড়িঘড়ি করে রুমে গিয়ে ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখা ক্যাডস জোড়া বের করে রেখে দিলেন। তারপর আবার এসে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, “সুইমস্যুট কি নিব?”
হানিমুনে যাচ্ছি আমরা, অথচ উত্তেজনা তাঁর মধ্যে বেশি। “বাবা, ব্যস্ত হওয়ার দরকার নেই। আপনার ইচ্ছে করলে নিতে পারেন সুইমস্যুট”। তিনি কি বুঝলেন কে জানে, কিছু না বলে চলে গেলেন।

রাত বারোটার দিকে আমরা বাসে উঠলাম টেকনাফের উদ্দেশ্যে। আমার আর নীরার পাশাপাশি সিট। শ্বশুরের সিট টা আমাদের সিটের ডান সারিতে জানালার পাশে। বাস চলছে, মৃদু দুলুনি আছে, হাল্কা বাতাস বইছে, সেই বাতাসে নীরার চুল উড়ছে। আমি নীরার কাঁধে মাথা এলিয়ে শুয়ে আছি আর ফিসফিস করে কথা বলছি দুজন। হঠাৎ করেই আমার পিঠে কারো স্পর্শ পেয়ে ঘাড় ফিরিয়ে দেখি শ্বশুরমশাই। আমি তড়িঘড়ি করে সোজা হয়ে বসতেই তিনি কাচুমাচু হয়ে বললেন, “ইয়ে! আমার পাশের লোকটা খুব নাক ডাকছে, তার নাক ডাকার জন্য ঘুমুতে পারছিনা। তুমি ঐ সিটে গিয়ে বসবে একটু?” বেচারার চেহারায় কেমন একটা অসহায়ত্ব, দেখে আমার মায়া হল। আমি গিয়ে তাঁর সিটে বসলাম, তিনি বসলেন আমার সিটে। তারপর সারা রাত আমার শ্বশুর এমন নাক ডাকলেন, আশেপাশের কয়েক সিটের মানুষ সারারাত ঘুমুতে পারলো না।

আমরা টেকনাফ পৌঁছাই সকাল সাতটায়। টেকনাফ নেমেই আমাকে দৌড়াতে হল শ্বশুরের জন্য। তার প্রচণ্ড টয়লেট পেয়েছে। পাশে একটা পাবলিক টয়লেটে নিয়ে গেলাম। ছোট টয়লেট পাঁচ টাকা, বড় টয়লেট দশ টাকা। শ্বশুর ঢোকার আধঘণ্টা পর বেরিয়ে এলেন। দশটাকা বিল দিতেই কাউন্টারের মহিলা রেগে গেল। “আধা ঘন্টায় আমার কয়টা কাস্টমার হয় যানেন? চল্লিশ টাকা দেন”। শ্বশুর মশাই ঝগড়া লেগে গেলেন, “তোমরা তো টাইমের ভিত্তিতে ভাড়া দাওনা, ভাড়া দাও বড়-ছোট এই ভিত্তিতে, আমি যতক্ষণ থাকি- তোমার কি? কোয়ান্টিটি ম্যাটার করে এটা তো বলোনি!” আমি শ্বশুর কে থামালাম, শেষমেশ ঐ মহিলাকে ত্রিশ টাকা দিয়ে একটা হোটেলে ঢুকে হালকা নাস্তা করলাম। নাস্তার টেবিলেও শ্বশুরের অসুবিধা। টেবিল অপরিষ্কার কেন এটা নিয়ে ওয়েটারকে ডেকে দশ মিনিট পরিচ্ছ্বন্নতা বিষয়ক জ্ঞান দিলেন। তারপর সেখান থেকে কোনমতে খেয়েদেয়ে লঞ্চে উঠলাম।

ভিআইপি কেবিনে শ্বশুরকে বসিয়ে আমি আর নীরা ডেকের দিকে যেতেই শ্বশুর আটকালো। “আমি দাবা নিয়ে এসেছি সঙ্গে করে, একা খেলবো নাকি?” অগত্যা বসতে হল। আমি একটু তাড়াতাড়ি চাল দিচ্ছিলাম, খেলা শেষ করার জন্য। শ্বশুর রেগে গেলেন, “এইযে তুমি বিশ সেকেন্ড না হতেই চাল দিয়ে দিচ্ছ, এটা কি প্রমাণ করছে না যে তুমি পরিকল্পনাহীন চাল দিচ্ছ?” তারপর খেলা বন্ধ রেখে ত্রিশ মিনিট পরিকল্পনা বিষয়ক বক্তব্য দিলেন।

নীরা অনেকক্ষণ পর মুখ খুললো, “বাবা, চলো না সমুদ্র দেখে আসি”
“সে তো দেখবোই। সমুদ্র দেখবো বলেই তো যাচ্ছি সেন্ট-মার্টিন”
“কিন্তু বাবা, লঞ্চ কিভাবে যাচ্ছে সমুদ্রের বুক চিরে, সেটা দেখাটা ইন্টেরেস্টিং হবে না? চলো দেখি!”
“এই, একটা ভুল কথা বললি। সমুদ্রের বুক চিরে মানে কি? সমুদ্রের বুক কি চেরা যায়? পানি তো আকার নেই, চিরবে কি করে!”
“বাবা, এটা একটা উপমা কেবল!”
“শোন, আকাশকুসুম উপমা দিলে বাক্য যোগ্যতা হারায়, জানিস?”
“জ্বি জানি। আচ্ছা আর উপমা দেব না। এবার চলো, সমুদ্র দেখে আসি”
“তুই যা, আমাদের খেলাটা শেষ হোক”

তাঁর শেষ বাক্যে আমার হৃদয় ভেঙে গেল। নীরাও উপায়ন্তর না দেখে বসে রইল। খেলা চলতে থাকলো, তিনি বেশ অনেকক্ষণ ভেবে ভেবে চাল দিতে লাগলেন। এভাবে যখন সেন্টমার্টিন এসে পৌঁছেছি, তখন সবার হৈ হৈ এ খেলা ভাঙলো। খেলা কিন্তু শেষ হয়নি, তখনো শ্বশুরেরই চাল ছিল।

সেন্টমার্টিন নামার আগেই শ্বশুর চোখে চশমা পরে নিলেন। তারপর দ্বীপে নেমে আমরা হোটেলের দিকে চললাম। বেশ বিলাসবহুল একটা হোটেলে আমরা দুটো রুম নিলাম। একটা ডাবল বেড, একটা সিঙ্গেল বেড। শ্বশুরকে রুমে পাঠিয়ে দিয়ে আমরাও রুমে ঢুকলাম। কিছুক্ষণ পর দরজায় নক শুনে দরজা খুলে দেখি শ্বশুর এসেছেন, “তোমাদের এখানে কি বারান্দা আছে? আমি একটু কাপড় শুকাবো”।
“কাপড় ধুয়েছেন নাকি?”
“হ্যাঁ। এইযে হেঁটে আসলাম, শার্টে বালিতে ভরে গেছে”

আমি মনে মনে ভাবলাম, সেন্টমার্টিনে যে পরিমাণ বালি, শ্বশুরের খুব আসা-যাওয়া পড়বে মনে হচ্ছে রুমে বারান্দায় কাপড় শুকানোর জন্য। দুপুরে খেয়েদেয়ে বিকেলে বের হলাম বীচে ঘুরতে। সমুদ্রের গর্জন, পানির ভিজিয়ে দেয়া, সূর্যকে সাগরের গিলে খাওয়া, সব মিলিয়ে অসাধারণ এক আবহ সেখানে। আমার ইচ্ছে হল ক’টি ছবি তুলি বউয়ের সাথে, আবার শ্বশুর ক্যামেরাও নিয়ে এসেছেন। কিন্তু আমার স্বপ্নকে ধুলিস্যাৎ করে দিয়ে শ্বশুর আমাকে দিয়ে নিজের শ’খানেক ফটো তোলালেন। কতশত পোজের ছবি, এদিক বেঁকে-ওদিক বেঁকে, বসে, হাত ছড়িয়ে এমনকি ভি সাইন দিয়েও ছবি তুলেছেন। আমি মনে মনে বললাম, “শালার বুড়ো! আমার হানিমুন ধ্বংস করার আনন্দেই মনে হয় ভি সাইন দেখাচ্ছিস!” আর এই বুড়ো বয়সে এত ছবি তুলে করবেটা কি বুড়ো! বাবার মত তো তার ফেসবুক আইডিও নেই।

আমার এ ভাবনা কাল হল, রাতে দেখি আমার ফেসবুকে রিকোয়েস্ট এসেছে শ্বশুরের আইডি থেকে। প্রোফাইল পিকচারে আমার তোলা ছবি। আইডিতে গিয়ে দেখলাম, গত একঘণ্টার মধ্যেই ত্রিশবারের মতন তিনি প্রোফাইল পিকচার চেঞ্জ করেছেন।

রাতে খাওয়াদাওয়া করার বেলায় আমরা টুনা মাছ অর্ডার করলাম। খাবার টেবিলে আমাদের সার্ভ করার জন্য একটা ওয়েটার বেশ বিনয়ী ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে রইলো। শ্বশুর কথা বলা শুরু করলেন, “এ টুনা মাছ কি তুমি ধরেছো?”
“জ্বি না স্যার। আমরা এগুলো কিনে এনেছি”
“কার থেকে কিনেছো?”
“জ্বি, মাঝিদের থেকে”
“মাঝিরা সাগর থেকে ধরেছে?”
শ্বশুরের অদ্ভুত সব প্রশ্নে আমার গা জ্বলে গেল। ওয়েটার বেচারাও সম্মানার্থে উত্তর দিচ্ছে।
“জ্বি স্যার। সাগর থেকেই ধরেছে”
“এই মাছের কোন ইন্টেরেস্টিং স্টোরি আছে?”
“একচুয়ালি স্যার, প্রকৃত টুনা মাছ বাংলাদেশে পাওয়া যায়না। এখানে টুনা বলতে বড় সুরমাগুলোকেই বোঝানো হয়”
“মানে? এ টুনা নয়?”
“জ্বি টুনা। বড় সুরমাকে টুনা বলা হয় আরকি!”
“তার মানে এটা সুরমা মাছ?”
“জ্বি, বড়গুলো। প্রকৃত টুনামাছ শ্রীলংকায় পাওয়া যায়”
“কিন্তু তুমি তো বললে এগুলো জেলেরা এই সমুদ্র থেকে ধরেছে!”
“স্যার! এগুলো জেলেরা সমুদ্র থেকে ধরেছে। এগুলো বড় সুরমা, বড় সুরমাকে বাংলাদেশে টুনা বলা হয়”
“মানে তোমরা টুনা বলে সুরমা খাওয়াচ্ছ?”

একথা বলেই শ্বশুর উত্তেজিত হয়ে গেলেন। ম্যানেজারকে ডেকে গালাগাল দিতে লাগলেন আর তৎক্ষণাত ৯৯৯ এ ফোন দিতে গেলে আমি বাঁধা দিলাম। অনেক চেষ্টার পর তাঁকে শান্ত করে, বড় সুরমা দিয়ে ভাত খাইয়ে হোটেলে নিয়ে এলাম। সারাদিনের ক্লান্তির পর রাতে মাত্র চোখ লেগে এসেছে এমন সময় শ্বশুর ফোন দিলেন, “জামাই! তোমাদের টয়লেটে পানি আছে? আমার টয়লেটে পানি নেই, বড় সুরমা তো পেটে যাওয়ার পর এদিক ওদিক নড়েচড়ে বোধহয় টুনা হয়ে গেছে,,,,