গল্প:--"""""""--শেষ কান্না--"""""
.
লেখক:- #RJ_Nayem_Ahmed
.
গল্পটা_পড়ে 100% আপনাদের চোখে পানি চলে আসতে বাধ্য....Challenge
.
.
পর্ব:- ০১~~~~ ♥
.
.
আজ পিয়ালের বিয়ে, সবাই খুশী হলেও পিয়াল হতে পারে নি। তবুও মুখে মিথ্যা হাসি নিয়ে তিনবার কবুল বলেছে।অনেক বন্ধুরাই উপস্থিত সেখানে, তাদের জন্য আলাদা বাজেট রাখার কথা ছিলো পিয়ালের,যেমনটা বলা চেয়েছিলো মিলা। কিন্তু বাজেট রাখা সত্যেও তার বন্ধুরা উপভোগ করতে পারে নি ব্যাপারটা।পিয়াল
ের পরিবারের কেউ কেউ মিলাকে নিয়ে ব্যস্ত, আবার কেউ অন্যান্য কাজে মন দিয়েছে। মিলা,মিলা পিয়ালের কিছুক্ষন আগে বিবাহ করা স্ত্রী।চারদিকে একটা বিয়ে বিয়ে ভাব।আসলেই কি পিয়াল বিয়ে করেছে? সবার মুখেই হাসি,কিন্তু তা কি আদৌ সুখের হাসি? পিয়াল একটা ঘোরের মধ্যে আছে,কিছুটা নেশা করার পরে যা হয়।সবার কথা-বার্তা শুনছে, দেখছে কিন্তু কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না। পিয়ালের বন্ধু রাসেদ এসে ওর কানে কানে বলে গেলো - দোস্ত, মন খারাপ করে থাকিস না, মিলাকে কিছু বুঝতে দিস না।
কথাটা শুনে পিয়াল রাসেদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলো। রাসেদ মুচকি একটা হাসি দিয়ে চলে গেলো। হঠাতই মিলার কন্ঠে পিয়াল নিজেকে নিজের মধ্যে আবিস্কার করলো। মিলা সবার সাথে কতো হাসি খুশী কথা বলছে। হয়তো আর কিছুক্ষন পরে এই হাসিটাকেই সবাই সব থেকে বেশি মিস করবে।
তারিখটা ছিলো ১৫ই জুন ২০১৫,
পিয়াল ভার্সিটির সামনে ওর বন্ধুদের সাথে দাঁড়িয়ে,নতুন ছাত্রীদের দেখে পছন্দ করে তাদেরকে প্রেম নিবেদনের আশায়।পিয়াল এবং ওর বন্ধুদের বড়-ভাই হিসেবে এটা ওদের কর্তব্য (ওরা মনে করে)।পিয়াল ভার্সিটির মধ্যকার মেয়েদের কাছে সব থেকে ঘৃণিত ব্যক্তি।আর ছেলেদের কাছে রোমিও।তার জুলিয়েট কোনটা বা কে? তা বুঝে ওঠা কঠিন। সকালে এক জুলিয়েটের সাথে,বিকালে আরেক জুলিয়েটের সাথে।
যাই-হোক,ভার্সিটির গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে পিয়াল আর ওর বন্ধুরা নতুন ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে ইয়ার্কি -ফাইজলামি করছিলো।হঠাৎ করেই শাড়ী পরা একটা মেয়ের আগমন ভার্সিটির সামনে।মেয়েটাকে আগে কখনই দেখে নি পিয়াল।ওর ভার্সিটি লাইফে কাউকে শাড়ী পরে আসতে দেখে নি, তাও আবার প্রথম দিনে। হ্যা পিয়ালের চোখ ওখানেই আটকে যায়। শুধু পিয়াল না, তার সহচরদেরও।ওদের সামনে থেকে একটা লাল পরী চলে গেলো। বাংলা সিনেমা একদম।
পিয়াল ক্লাসে চলে যায়।পিয়ালের ভাবনা চিন্তা এখনো অই মেয়ের প্রতি যায় নি যদিও। তার ভাবনাটা একটু দেখে নেয়া যাক। পিয়ালের ভাবনাটা একটু অন্য টাইপের, সে চিন্তা করছিলো তার অন্য গার্লফ্রেন্ডদেরকেও শাড়ী পরালেও অই একই রকম লাগবে। পিয়ালের মনে এতোটুকুও জায়গা করে নিতে পারে নি মেয়েটি যদিও। যখন দেখছিলো শুধু অই সময়টুকুই।
ক্লাস শেষে পিয়াল আর ওর বন্ধু রুমি ক্যাম্পাসে হাটছে। রুমি তার গার্লফ্রেন্ডের সাথে ফোনে কথা বলছে।রুমিও কিছুটা পিয়ালের মতই। সে তার গার্লফ্রেন্ডের সাথে ব্রেকাপ করতেছে।হয়তো রুমিকে ছাড়তে চাচ্ছে না ওর প্রেমিকা। যদিও পিয়ালের সাথে এমন কোনো ঘটনাই ঘটে নি। ব্রেকাপের কথা বলার পর হয় আরেকটা সুযোগ চেয়েছে, নয়তো তারাও ব্রেকাপ বলে ব্রেকাপ করে দিয়েছে।রুমী বেশ কিছুক্ষন আজেবাজে ভাষায় কথা বললো ওর গার্লফ্রেন্ডের সাথে। পিয়াল ওর সাথে হাটছে আর শুনছে।
প্রায় একঘন্টা পর রুমী ফোনটা কান থেকে নামালো।
রুমি- উফফ, কি জ্বালা এই মাইয়া তো এক্কেবারেই নাছোড়বান্দা। অনেক কষ্টে ছাড়াইলাম।
পিয়াল - অনেক ভালোবাসে মনে হয় তোরে।
-আরেহ ধুরো,বাদ দে তো। তা বাবা তুমি হঠাৎ ভালোবাসা নিয়া পরলা ক্যান? বাংলা নাটক কি বেশি দেখো?
-আরেহনা না, এমনিই বললাম। মজা করলাম আর কি।
-দেখ আবার কল দিতেছে, খারা ব্লাকলিষ্টে হান্দাইয়া লই।
-হুম, হান্দা।
-শেষ, চল একখান বিড়ি খাইয়া মাথাডা ঠান্ডা করি।
-চল।
পিয়াল রুমির সাথে কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে একটা রিক্সা নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।হঠাৎ একটা অচেনা নাম্বার থেকে কল আসলো পিয়ালের ফোনে। পিয়াল রিসিভ করলো-
ফোনের ওপাশ থেকে- হ্যালো! (নাড়ী কন্ঠ)
পিয়াল- জ্বি! বলুন।
-পিয়াল ভাইয়া বলছেন?
-হ্যা বলছি। আপনি কে?
-আমি...আমি....।
-হ্যা বলুন।
-একটা কাজ করতে পারবেন?
-কি কাজ?
- আপনি বিকালে একটু রমনায় আসতে পারবেন?
-পারবো, কিন্তু আপনি কে বলছেন?
-সেটা আসলেই দেখতে পারবেন।প্লিজ ভাইয়া, মাত্র ১০ মিনিটের জন্য হলেও আসতে হবে।আপনার সাথে আমার কিছু কথা আছে।
-হ্যা বুঝলাম, কিন্তু আপনি কে? আমি তো আর আপনাকে চিনি না। অচেনা কেউ একজন বললেই তো আর আশা যায় না। তাই না? আর হ্যা! এই আজাইরা সময় নষ্ট করার কোনো ইচ্ছাই আমার নাই।রাখলাম।
পিয়াল ফোনটা কেটে দিয়ে মনে মনে আবল তাবল গালি দিতে থাকে।কিন্তু কিছুক্ষন পরেই আবার ফোনটা বেজে ওঠে। আগের অচেনা নাম্বার। পিয়াল এবার ফোনটা কেটে দেয়। রিক্সা পিয়ালের বাসার সামনে এসে পরেছে।ভাড়াটা মিটিয়ে পিয়াল বাসায় চলে যায়।
পিয়াল গোসল সেরে,দুপুরের খাবারটা খেয়ে নিলো। একটু ঘুম ঘুম পাচ্ছে, নিজের রুমে গিয়ে দরজাটা আটকে দিলো। ঝুলানো প্যান্টের পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকটটা বের করে,বারান্দায় চলে যায়।বারান্দায় রাখা চেয়ারে বসে পরে।
ফোনে পিয়ালের বন্ধু আদনানের কল-
আদনান - হোয়াটস আপ? ডুড।
পিয়াল- এইতো, তোর?
-এইতো বস!
-তারপর কি রকম চলছে সব?
-চলে কোনো রকম আর কি! আজকে ভার্সিটিতে আসিস নাই ক্যান?
-আর বলিস না, কাজিনের বান্ধবির বিয়েতে গেছিলাম।
-কাজিনের বান্ধবির বিয়েতে কেনো? দাওয়াত তো তোর কাজিনের পাওয়ার কথা।তুই পেলি কোথা দিয়া?
-আরে বোকা**! কাজিনের বান্ধবির একটা বোন আছে। সে আমাকে ইনভাইট করছে।
-যাক তোর কাজিনের বান্ধবির মা তরে ইনভাইট করে নাই।
-মানে?
-ও কিছু না, আচ্ছা তুই কি কাউকে আমার নাম্বার দিছিলি?
-কই না তো! ক্যান বল তো?
-না এমনি। আমাকে একটা নাম্বার থেকে কল দিয়ে দেখা করতে বলে। কিন্তু পরিচয় দিতেছে না।
-তোমার তো ভাই প্রেমীকার অভাব নাই। দেখো মাঝ রাস্তায় যাদের ছেড়ে দিছো তাদের কেউ হয়তো।
-তুই থামবি?
-আচ্ছা থামলাম।
-আমার খুব ঘুম পাচ্ছে। ঘুমাবো, কিছু বলার থাকলে বল।
-নাহ কিছুই বলার নাই। ঘুমা যাহ।
-আচ্ছা, বায়।
ফোনটা কেটে দিয়ে প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে ধরায় পিয়াল।দুই টান দেয়ার পর আর ভাল্লাগছে না। খুব ঘুম পাচ্ছে। সিগারেটটা ফেলে দিয়ে চেয়ার থেকে উঠে বারান্দা থেকে রুমে গিয়ে বিছানার উপরে শরীরটাকে এলিয়ে দেয়।ফোনটা হাতে নিয়ে সময়টা দেখে নেয়। ৩টা বাজে, ঘুম থেকে ৫টায় উঠে আড্ডা মারতে চলে যাবে। এই ভাবতে ভাবতে ফোনের স্ক্রিন অফ করে।কিছুক্ষনের মধ্যেই ঘুমের দেশে পা বাড়ায় পিয়াল।
ঘুমিয়ে পরতে না পরতেই ফোনে কল আসে। হাতরে হাতরে বালিশের পাশ থেকে ফোনটা হাতে নেয়। কলটা রিসিভ করে কানের উপরে ধরে ঘুম জড়ানো কন্ঠে-
পিয়াল-হ্যালো!
ফোনের ওপাশ থেকে - হ্যালো, পিয়াল ভাইয়া।
-হুম।পিয়াল বলছি। আপনি কে?
-অই যে দুপুরবেলা কল দিয়েছিলাম।
-আপনি কে বলবেন একটু? (উঠে বসে পিয়াল)
-আমাকে চিনবেন না, আপনি একটু রমনায় আসতে পারবেন?
-কেনো? আপনার নাম কি?
-আমাকে চিনবেন না বললাম তো! প্লিজ একটু সময়ের জন্য আসুন।
-আচ্ছা আমার নাম্বার আপনাকে কে দিছে?
-সব বলবো, কে দিছে, আমি কে, আমি আপনাকে কেনো ডেকেছি। সব, সব বলবো, কিন্তু প্লিজ একটু সময়ের জন্য রমনায় আসুন।
-আচ্ছা আমি দেখতেছি, আসতে পারলে জানাবো। এখন রাখি।
-ধন্যবাদ ভাইয়া।
-আচ্ছা, আচ্ছা।
ফোনটা কেটে দিয়ে আবার শুয়ে পরে, হঠাৎ আবার ফোন বেজে ওঠে।স্ক্রিনে জেরিন নামটা জ্বলে ওঠে।জেরিন, জেরিন পিয়ালের গার্লফ্রেন্ড। কয় নাম্বার তা পিয়াল নিজেও জানে না হয়তো।
জেরিন - হ্যালো বাবুউউ!
পিয়াল- হ্যা! বলো।
-কি করো গো?
-ঘুমাচ্ছিলাম।
-আমাকে তো একটুও সময় দাও না। এখন ভার্সিটিতেও আমাকে ইগনোর করো। কি হইছে তোমার?
-কিছু না, একটু ঘুমাইতে দিবা? ঘুম থেকে উঠে ফোন দিচ্ছি।
-তুমি দিবা না আমি জানি। তুমি কেমন যেনো হয়ে গেছো।
-মাফ চাই! দিবো কল বললাম তো।এখন দয়া করে একটু ঘুমাইতে দাও।
-কতদিন দেখা করি না। একসাথে সময় কাটাই না। একটু দেখাও তো করতে আসতে পারো।
-সব করবো, এখন একটু ঘুমাই?
-তোমার খালি ঘুম -ঘুম। যখনই কল দেই তখনই ঘুমাও। তাই না?
-আরে বাপ! আমি সব সময় ঘুমাই না, বরং আমি যখন যখন ঘুমাই তখনই তুমি কল দাও।
-বুচ্ছি।
-আচ্ছা ঘুমাই এখন? বায়।
-শুনো না!
-আবার কি?
-আমার না একটা ড্রেস পছন্দ হইছে। অনেক কিউট একটা ড্রেস।
-আচ্ছা, খুব ভালো। ড্রেসটা কিনে পইরা পিক পাঠাইও।কেমন? রাখি এখন?
-তুমি মোটেও রোম্যান্টিক না। ভাবছিলাম তুমি আমাকে নিয়ে কিনতে যাবা।
-ধুরো, রাখি তো। বায়।
ফোনটা কেটে দেয় পিয়াল।সুইচ অফ করে আবারো শুয়ে পরে পিয়াল।ঘুমানোর জন্য কিছুক্ষন চেষ্টা চালায়। কিন্তু ঘুমটা যেনো নিমিষেই কেটে গেছে।মনে মনে জেরিনের গুষ্টি উদ্ধার করছে পিয়াল।ঘুম সম্পূর্ণ না হওয়ার ফলে খুবই খারাপ লাগতে থাকে পিয়ালের। বিছানা ত্যাগ করে ফ্রেস হওয়ার জন্য ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়ায় পিয়াল।চোখে মুখে পানি দিয়ে বের হয় পিয়াল। এখন একটু ভালো লাগছে তার। ফোনটা হাতে নিয়ে সুইচ অন করে সময়টা দেখে। ৩:৫৫ বাজে,পিয়াল তার বন্ধু রাফিকে কল দিতে কন্ট্রাক্ট লিষ্টে ঢুকতেই অচেনা নাম্বারটা সামনে এসে পরে। একটু কৌতূহল জাগে নাম্বার এবং নাম্বারের ওপাশে থাকার মানুষটার ব্যাপারে।নাম্বারটায় কল দেয় পিয়াল -
ফোনের ওপাশ থেকে -হ্যালো! পিয়াল ভাইয়া।
পিয়াল- হ্যা! কোথায় এবং কয়টায় দেখা করতে হবে?
-আপনি আসবেন?
-আমি মজা করছি বলে মনে হয়?
- না না!! কি যে বলেন। আচ্ছা আপনি রমনার সামনে আসুন আমি বলে দিচ্ছি কোথায় আসতে হবে।
- সময়টা?
-এখন তো প্রায় ৪টা বেজে গেছে। ৫টার ভিতরেই আসুন।
-৫টায় রমনা বন্ধ হয়ে যায়।
-ও হ্যা! তাও তো। আচ্ছা আপনি রমনার সামনে আসুন, আমি আপনার সাথে ওখানেই দেখা করবো। এরপর কোথায় যাওয়ার হলে যাবো।
-আচ্ছা রাখি।
পিয়াল কল কেটে শার্ট -প্যান্ট পরে নেয়। হাল্কা বডি স্প্রে দিয়ে বের হয়ে পরে রমনার উদ্দেশ্যে।বাসা থেকে রমনায় যেতে ৩০-৪৫ মিনিট সময় লাগবে তাই একটা রিক্সায় উঠে পরে পিয়াল........♥
.
.
♥............""চলবেই""...........♥

গল্প :- "হেডমাষ্টারের princes"
.
লেখক:- #RJ_Nayem_Ahmed
.
পর্ব:-০৮ ( শেষ )
.
.
.
মেয়ে: ওরে বাবা কত জ্ঞানি হয়ে গেছে?
আমি: যেটা বলছি সেটা শুনো ?
মেয়ে: রাখ তোর জ্ঞান দাওয়া চল দোকান থেকে পাঞ্জাবি কিনে নিবো ||
আমি: সরি আমি পারবো না ||
অতঃপর তখন আমার হাত ধরে নিয়ে যাইতে চাইলো তখন আমি থেমে রাগের মাথায় জোরে দিলাম একটা থাপ্পর তখন বল্লাম----->
আমি: নিজেকে কি পাইছো তুমি হ্যা যা করবা তা সহ্য করবো অনেক হইছে আর না তুমি তোমার আব্বুকে বলে দিও আমাকে কলেজ থেকে বের করে দিতে ঠিক আছে আর না হলে আমাকে মেরে ফেলতে বইলো একটা জিনিস মনে রাখবা কখনো জোর করে ভালোবাসা পাওয়া যায় না ||
এটা বলার পর দেখলাম ওর চোখ দিয়ে পানি পরছে দূর তখন বাসায় চলে গেলাম ||
আচ্ছা আপনারাই বলুন এইভাবে পাগলামি করলে কি সহ্য করা যায় তার থেকে তো মরে যাওয়াই ভালো ||
যাইহোক একটু পর ভাবলাম যে থাপ্পর টা দেওয়া কি ঠিক হইছে তার উপর সে আমার বড় দূর রাগের মাথায়ে যে কি করে ফেল্লাম যাইহোক কাল সরি বলে দিতে হবে কি যানি কাল আবার ওর আব্বুকে দিয়ে মাইর খাওয়া কিনা দূর এই সব চিন্তা করতে করতে রাতে ঘুমই আসলো না ||
অতঃপর আজ কলেজে গেলাম খুব ভয়ে ভয়ে তাকে খুচ্ছি কিন্তু তাকে পেলাম না এটা কি হলো প্রতিদিনি তো লেডি গেং এর সাথে বসে থাকে কিন্তু আজ দেখা পেলাম না ||
যাইহোক দ্বিতীয় দিন গেলাম তাও দেখা পেলাম না কি হলো মেয়েটার আবার মরে টরে গেছে নাকি মরলে ও মরতে পারে যেভাবে থাপ্পর টা দিছি দূর এসব কি চিন্তা করি ||
তো তৃতীয় দিন কলেজে গেলাম তাও দেখি নাই এখন নিজেরই খারাপ লাগছে যে মেয়েটা প্রতিদিন আমার সাথে থাকতো ভয় দেখাতো আজ তাকে আর দেখি না দূর কাজটা আমার ঠিক হয়নি ||
অতঃপর এরকম প্রতিদিন তাকে খুজি কিন্তু তাকে আর পাই না একটা পর্যায় তাকেই আমি ভালোবেসে ফেলি এইরে এদেখি আমি গুন্ডির প্রেমে পরে গেলাম ||
যাইহোক দির্ঘ দশ দিন পর কলেজে একা একা বসে আছি দেখি কোনো এক সুন্দরি কি সুন্দর কলেজ ড্রেস পরে আমার সামনে দিয়ে যাচ্ছে আমি ভাবলাম এটা নতুন র্ভতি হইছে কিন্তু না এটা দেখি আমার গুন্ডি প্রেমিকা ||
অতঃপর তার কাছে গেলাম গিয়ে বল্লাম---->
আমি: এই যে মহারানী এত দিন কথায় ছিলেন যানো আমি তোমাকে কতটা মিস করছি প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও ??
মেয়ে: এথান থেকে সরুন আমার ক্লাস শুরু হয়ে যাচ্ছে ||
আমি: এই তুমি আমাকে আপনি করে বলছো কেনো আচ্ছা খুব রাগ করেছো প্লিজ সরি বল্লাম তো আর হ্যা আমি ও না এই কয়দিনে তোমাকে ভালোবেসে ফেলছি ||
মেয়ে: দেখুন আমাকে যেতে দিন আমার ক্লাস শুরু হয়ে যাচ্ছে ||
আমি তখন তার পা ধরে বসলাম আর বল্লাম---->
আমি: প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও |
দূর কোনো কথাই শুনলো না চলে গেলো খুব রাগ করছে আমার উপর এরকম প্রাই অনেক দিন সরি বল্লাম কিন্তু ক্ষমা করলো না |
তো আজ তার সামনে গিয়ে বল্লাম----->
আমি: তুমি কি সত্যি আমাকে ক্ষমা করবা না ?
মেয়ে: আপনি আবার এসেছেন ??
আমি: আচ্ছা সরি ক্ষমা করে দিও কি আর করার যাকে ভালোবাসলাম সে তো আর আমাকে ক্ষমা করছে না তাহলে একা থেকে কি লাব তার থেকে মরে যাওয়াই ভালো আচ্ছা ভালো থেকো ||
এটা বলেই ছাদে চলে গেলাম ছাদ থেকে লাপ দাওয়ার জন্য কিন্তু কি আর করার বলুন ছাদ থেকে নিচে তাকাতেই আমার মাথা ঘুরাচ্ছে এখান থেকে লাপ দিবো তাছারা এই প্রথম একটা মেয়ের জন্য খুব ভয় করছে দূর এইসব চিন্তা করতে করতে দেখি আমার পিছেন আমার গুন্ডি প্রেমিকা তখন আমি বল্লাম----->
আমি: দেখো সত্যি সত্যি এখান থেকে লাপ দিবো ??
মেয়ে: আমি তো তোর মরা দেখার জন্য এসেছি তারাতারি লাপ দে ||
আমি: প্লিজ সরি বল্লাম তো তাছারা আমার না খুব ভয় করছে ||
মেয়ে: হারামজাদা তুই লাপ দিবি নাকি আমি তোকে দাক্কা দিয়ে ফেলে দিবো??
আমি: কি আর করার আচ্ছা ভালো থেকো.... ||
চোখ টা বন্ধ করে যেই লাপ দিতে যাবো তখনি আমার হাত ধরে দিলো টান তখন চোখ খুলে বল্লাম----->
আমি: যাক বেচে গেলাম ||
অতঃপর জোরে একটা থাপ্পর দিলো আর কান্না করে বল্লো------>
মেয়ে: হারামজাদা জানিস আমি তোকে কতটা মিস করছি জানিস আমি তোকে কতটা ভালোবাসি সেই প্রথম থেকে তোর সাথে থাকতে থাকতে তোকে ভালোবেসে ফেলি হারামজাদা কথা বলবি না আমার সাথে ||
আমি: এই সরি বল্লাম তো যানো আমি না তখন বুঝতে পারি না ভালোবাসা কি কিন্তু পরে আস্তে আস্তে তোমাকে দেখে বুঝলাম সত্যি আমি ও তোমাকে খুব ভালোবেসে ফেলছি তুমি আমাকে মারো বা যা করো তোমাকে ছারা বাচবো না যেই বল্লাম আর একটা থাপ্পর মারলো তখন আমি বল্লাম----->
আমি: এটা কিসের জন্য ?
মেয়ে: সেদিন আমাকে ঐভাবে থাপ্পর মারছিলি কেন ?
আমি: আচ্ছা সরি এইবার তো ক্ষমা করে দাও ??
মেয়ে: না করবো না ||
আমি: কি আর করার যাই গিয়ে লাপ দেই ছাদ থেকে ||
তখন সে আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো আর বল্লো---->
মেয়ে: আমাকে রেখে মরে যাবি??
আমি: আহারে এই না হলো আমার বউ ||
অতঃপর সে আমাকে কিছুক্ষন জরিয়ে ধরলো তো একটু পর আমি বল্লাম---->
আমি: আচ্ছা আমি কি তোমাকে একটা চুমু দিতে পারি ?
মেয়ে: সয়তান নিজের বউকে চুমু দিবি এটা আবার বলা লাগে ??
পরে আমি তার গালে একটা চুমু দিলাম আর বল্লাম----->
আমি: ইশশ কি গন্ধ বাসা থেকে কয়কেজি আটা ময়দা মেখে আসছো ওয়াক থু .......||
মেয়ে: কি বল্লি হারামজাদা খারা আজকে তোকে বাশ দিয়ে পিটাবো||
অতঃপর কে কাকে দেখে দিলাম দৌর |
এইভাবেই আমাদের ভালোবাসা চলতে থাকে ||
.
♥.....♥......♥......♥.......♥
.
.
--------""The End""----------

গল্প :- "হেডমাষ্টারের princes"
.
লেখক:- #RJ_Nayem_Ahmed
.
পর্ব:-০৭~~~

.
.
এই বেটা তেরামি করিস কেন যা কইছি তা শুনবি!!
.
আমি: কথায় তেরামি করলাম ভাইয়া আমি তো শুধু বল্লাম যে কোনো প্রবলেম??
---->তোর সাহস তো কম না বড় ভাইগো লগে এমনে কতা কস ক্যান??
আমি: ভাইয়া আমি তো অপরাধ করি নি!!
অতঃপর কি আর করার কথা কাটা কাটি হলো আর তারা সবাই মিলে আমাকে মাইর দিলো আর আমি বা কি করতাম একা মানুষ তাছা কখনো মারা মারি ও করি নি যাইহোক পরে বল্লো---->
--->তরে জানো আর আমগো সামনে না দেহি!!
আমি: ঠিক আছে!!
দূর মাইর খেয়ে চুপ চাপ ক্লাসে বসে হঠাৎ সেই মহারানি হাজির মানে গুন্ডি মেয়েটা আর এসেই আমার কলার টা টেনে বাহিরে নিয়ে গেলো আর বল্লো--->
মেয়ে: কি হইছে তখন??
আমি তো অবাক তখন কি সে দেখছিলো নাকি আমাকে যে মাইর দিছে আর নাহলে কেও বলে দিছে যাইহোক তখন মিথ্যা বল্লাম---->
আমিঃ আরে কিছু হয় নি!!
মেয়েঃ দেখ জাহিদ আমার রাগ উঠাইস না সত্যি করে বল বলছি??
আমিঃ ঐ একটু বড় ভাইদের হাতে মাইর খাইছি!!
যেই বল্লাম সেই আমার হাত টা ধরে সেই বড় ভাইদের সামনে নিয়ে গেলো আর হাতের কাছে একটা বাশ ছিলো সেটা ও নিলো আমার হাতটা ছেরে গিয়ে দেখি বাশ দিয়ে একাই সবগুলারে বারি মারতেছে আমি তো পুরাই থ এটা আমি কি দেখছি যেখানে আমার মাইর দাওয়ার কথা সেখানে সে দুম দাম মাইর দিতেছে
তাও আমার জন্য পরে এই চিন্তা করতে দেখি তাদের মেরেই ফেলবে আমি ভয়ে শেষ এটা কি আসলে মেয়ে যেমনে মাইর দিতেছে পরে আমি গিয়ে তাকে থামালাম আর তখন বল্লাম---->
আমিঃ এই কি করতেছে মেরে ফেলবা নাকি??
মেয়েঃ ওদের মেরেই ফেলবো ওরা কার গায়ে হাত দিছে!!
আমি কথাটা শুনে তো অবাক কি বলে এগুলো তখন আমি বল্লাম---->
আমিঃ আমাকে মারলে তাতে তোমার কি??
পরে সে বড় ভাইদের বল্লো----->
মেয়েঃ আজকের পর থেকে যদি দেখি ওর গায়ে হাত দিছিস একে বারে হাত কেটে ফেলবো শুনে রাখ ও হলো আমার বি এফ মানে জামাই!!
আমি তো কথা শুনেই বেহুস এই গুন্ডি মেয়ে এগুলা কি বলে তাছারা এই মেয়ে হবে আমার বউ আমি এই কথা চিন্তা করতেই অজ্ঞান হয়ে গেছি তো কিছু ক্ষন পর দেখি মুখে পানি ছিটা মারছে চোখ খুলে দেখি তার কলে আমার মাথা আর তখন বল্লো---->
মেয়েঃ কিরে কি হইছে তোর ঠিক আছিস তো??
পরে তার কলে থেকে উঠে বল্লাম---->
আমিঃ তখন তুমি কি বল্লা??
মেয়েঃ যা সত্যি তাই বলছি!!
আমিঃ না এটা হতে পারে না তাছারা তুমি আমার বউ এটা কখনো সম্ভব না!!
মেয়েঃ এই সম্ভব না মানে আমি কি দেখতে শুনতে খারাপ তাছারা আমি কি সুন্দর না এতকিছু জানি না আমি তোকে ভালোবেসে ফেলছি আর তোকেই বিয়ে করবো!!
আমিঃ না আমি পারবো না!!
মেয়েঃ কি বল্লি তুই পারবি না তোর বাব পারবে!!
আমিঃ তা গিয়ে করতে পারো নতুন একটা মা আসবে!!
এটা বলেই দিলাম দৌর!!
এখন কি করবো দূর এই মেয়ে টা নাকি এখন আমার প্রেমে পরছে এখন কি যে করি দূর আর ভালো লাগে না!!
তো কলেজে গেলাম দেখি আমার জন্যই অপেক্ষা করছে আর বলছে---->
মেয়েঃ চল.......!!
আমিঃ কথায়??
মেয়েঃ আজকে তোকে নিয়ে র্পাকে যাবো!!
আমিঃ আমি যাবো না!!
মেয়েঃ কি বল্লি যাবি না মানে তুই আমার বি এফ আর আমি যেটা বলবো সেটা শুনবি!!
আমিঃ প্লিজ আমাকে ছেরে দাও তুমি আমার থেকে আরো ভালো ছেলে পাবা তবুও আমাকে ছেরে দাও!!
মেয়েঃ দেখ তোকে আমার ভালো লাগছে তাই তোকেই ভালোবাসবো এখন বেশি কথা বল্লা আব্বুকে বলে দিবো তখন বকা খাবি!!
আমিঃ হায়রে কেও আমাকে মেরে ফেলে!!
অতঃপর তার সাথে র্পাকে অনেক ক্ষন ঘুরলাম তারপর বাসায় চলে গেলাম এরকমি প্রতিদিন বিভিন্ন জাগায়ে আমাকে নিয়ে যেতো আর না গেলে হয়তো মাইর আর না হলে তার বাবার হুমকি দূর আর ভালো লাগে না এরকম আর চলতে দেওয়া যাবে না কখন না আবার বিয়েই করেই ফেলে!!
অতঃপর কলেজে গেলাম দেখি আজ ও আমার জন্য অপেক্ষা করছে আমার কাছে আসলো আর বল্লো---->
মেয়েঃ এখনি গিয়ে একটা পাঞ্জাবি পরে আয় যা!!
আমিঃ কেনো??
মেয়েঃ আজ আমরা বিয়ে করবো তাই!!
যেটা শুনার বাকি ছিলো যাইহোক পরে বল্লাম----->
আমিঃ দেখো এটা কখনো হয়না তুমি কথায় আর আমি কথায় তাছারা আমি তোমার ছোট আর আমার এখনো পরালেখা শেষ হয়নি যাইহোক পাগলামি বাদ দাও!!
মেয়েঃ ওরে বাবা কত জ্ঞানি হয়ে গেছে......

গল্প :- "হেডমাষ্টারের princes"
.

পর্ব :-- ০৬ ~~~
.
লেখক:- #RJ_Nayem_Ahmed
.
.
মেয়ে : এই ভিতুর বাচ্চা এইদিকে আয় |
আমি তখন গিয়ে বল্লাম---->
আমি: দেখো আমার আম্মু ভিতু না খুব সাহসি তুমি ও তার সাথে পারবা না |
মেয়ে: ঐ আমি কি তোর আম্মুকে বলছি তোকে বল্লাম |
আমি: তার মানে আমার আম্মু কি দুইটা |
মেয়ে: হায়রে এ কোন পাগল বুঝলাম না যাইহোক শুন |
আমি: হুম বলো ?
মেয়ে: ঐযে দোকান দেখছিস ঐ খান থেকে এক পেকেট বেন্চ্ঞন সিগারেট নিয়ে আসবি যা |
আমি অতঃপর যাচ্ছি হঠাৎ থমকে গেলাম এটা কি হলো সে তো মেয়ে আর সে কিনা সিগারেট খায় অতঃপর আবার তার কাছে গিয়ে বল্লাম----->
আমি: এই তুমি সিগারেট খাও ছি ছি
মেয়ে: তোরা খেতে পারলে আমরা খেতে পারবো না কেনো ?
আমি: সবাই খেলে ও আমি খাই না কিন্তু শেষ পর্যন্তু তুমি সিগারেট ও খাও ?
মেয়ে: ওরে কচি খোকা মনে হয় আকাশ থেকে পরছিস যেটা বলছি সেটা গিয়ে আন যা |
আমি: এটা আমি পারবো না |
মেয়ে: তুই পারবি না তোর চৌদ্দ গুষ্টি পারবে যাবি নাকি আব্বুকে বলে দিবো যে তুই আমাকে সিগারেট আনতে পাঠাইছিস ?
আমি: এই না প্লিজ এভাবে থ্রেড দিও না |
মেয়ে :তাহলে যা তারাতারি নিয়ে আয় |
আমি: কিন্তু টাকা ?
মেয়ে: ছি তোর লজ্জা করে না মেয়েদের থেকে টাকা চাস ?
অতঃপর গেলাম সিগারেট আনতে যে ছেলে জীবনে সিগারেট দরলো না আর আমি কিনা আমার টাকা দিয়ে সিগারেট আনছি
তাও একটা মেয়ের জন্য কোন পাগলে বলছিলো যে এই কলেজে ভর্তি হতে দূর জীবনটাই তেজ পাতা অতঃপর সিগারেট নিয়ে তাদের কাছে গেলাম আর বল্লাম---->
আমি: এই নাও সিগারেট আমি গেলাম |
মেয়ে: এই তুই কথায়ে যাস ?
আমি: কেনো ক্লাসে যাবো |
মেয়ে: আজ যাওয়া লাগবে না আমাদের সাথে থাক |
আমি: সরি আমি গুন্ডি থুক্কু গুন্ডা না |
মেয়ে: কি বল্লি খারা এই সিগারেট দরা এটা |
আমি: কি আমি সিগারেট দরাবো এই না প্লিজ এটা আমি পারবো না |
মেয়ে: তুই পারবি না তোর বাব পারবে ?
আমি: হ্যা আমার আব্বুর কাছে যাও সে খুব ভালো সিগারেট খেতে পারে |
মেয়ে: এই তোকে বলছি না দরাতে |
আমি: প্লিজ আমাকে ছেরে দাও |
মেয়ে: দরাবি নাকি আব্বুর কাছে যাবো ?
আমি: এই না দরাচ্ছি |
এ কার কপালে আমি পরলাম না পারি কইতে না সইতে অতঃপর মেছ দিয়ে সিগারেট দরালাম যেই মুখের ভিতরে দুমা গেলো আমি কাশতে কাশতে শেষ পরে সে বল্লো----->
মেয়ে: হাহাহা সামান্ন একটা সিগারেট খেতে পারিস না দে এদিকে?
অতঃপর দিলাম আমি তার খাওয়া দেখে তো পুরাই থ এটা কি মেয়ে না ছেলে পুরাই গুন্ডি মাস্তান পরে বল্লাম---->
আমি: আচ্ছা তুমি এরকম র্শাট প্যান্ট পরো কেনো পরে সিগারেট খাও কেনো তোমার আব্বু আম্মু কিছু বলে না ?
মেয়ে: শুন আমি আমার বাবার এক মাত্র মেয়ে আর মেয়ে হয়েছি বলে কি এগুলা করতে পারবো না তাছারা এরকম থাকতে আমার খুব ভালো লাগে বুঝলি ?
আমি: তাই বলে এরকম পরে তো তোমাকে কেও বিয়ে করবে না ?
মেয়ে: যাকে বিয়ে করার তাকে আমি জোর করেই বিয়ে করবো |
আমি: কেনো তোমার বি এফ নাই ?
মেয়ে: আমার অবস্থা দেখে কেও প্রেম করতে আসে না |
আমি: তা তো কখনো আসবেই না যে আসবে তার জীবন তেজ পাতা |
মেয়ে: কেনো তেজ পাতা আমি কি কম সুন্দর তাছারা আমার থেকে ভালো মেয়ে আছে বল ?
আমি: তুমি ভালো ?
মেয়ে: কি বল্লি আমি ভালো না ?
আমি: না না ভালো তো তুমি তো দুধে দয়া তুলসি পাতা |
মেয়ে: কি বল্লি খারা ?
আমি আর নাই গেলাম চলে বাসায় দূর এরকম বজ্জাত মেয়ে কথা থেকে যে আসে দূর আমার জাগায় কেও হলে মরে যেতো এরকমি প্রতিদিন চলতো কলেজে আমার সাথে তো একদিন কলেজে গেলাম মানে আজ একটা নতুন একটা র্গালফ্রেন্ড মানে জি এফ জুটাইছি তাও অনেক রিকয়েষ্ট করার পর |
তো কলেজে গেলাম একটা গোলাপ ফুল নিয়ে নতুন মেয়েটিকে দিবো অতঃপর একটা খোলা জাগায় ডাক দিলাম অতঃপর ফুল টা বের করে যেই আই লাভ ইউ বলতে যাবো তখনি গুন্ডি মেয়েটা মানে ওরনি আপু হাজির তখন সে বল্লো----->
মেয়ে: এইখানে কি হচ্ছে ?
আমি তখন বল্লাম---->
আমি: প্লিজ তুমি চলে যাও জীবনের প্রথম একটা জি এফ পাইছি কিছু কইরো না |
মেয়ে: রাখ তোর জি এফ এই মেয়ে ভালো ভাবে এখান থেকে চলে যাও আর না হলে তো আমাকে চিনো কি করবো তোমাকে?
এই মুহূর্তে নতুন মেয়েটা ভয় পেয়ে চলে গেছে তখন আমি বল্লাম------>
আমি: এটা কি করলে জীবনে প্রথম একটা জী এফ পাইছিলাম আর তুমি এসে দিলো তাকে উরিয়ে দূর |
মেয়ে: হাহাহা আহারে কি কষ্ট হয় ?
আমি: কথা বলবা না যাও |
মেয়ে: শুন তোকে যানো কোনো মেয়ের সাথে না দেখি আর দেখলে মনে কর আগে মেয়েটাকে পিটাবো তারপর তোকে পিটাবো |
আমি: তুমি এক কাজ করো আমাকে মরে ফেলো তাহলেই ভালো হয় |
মেয়ে: হাহাহা থাকা পরে মরিস এখন তোর হাতের ফুলটা দে|
অতঃপর ফুলটা নিয়েই গেলো মনে হয় এ জীবনে আর জী এফ হবে না এরকমি যখনি মেয়েদের সাথে কথা বলতাম তখনি এসে বকা দিতো আর থ্রেড দিতো দূর ইচ্ছা হচ্ছে মরে যেতে কিন্তু আমার বউ এর জন্য তো বেচে থাকতে হবে তাই না|
তো আজ কলেজে গেলাম দেখি কিছু বড় ভাইরা কলেজের ভিতরে বসে আছে পরে আমি তাদের সামনে দিয়ে যেতে লাগলাম তখন তারা ডাক দিলো--->
--->এই এদিকে আয় ?
তখন আমি গিয়ে বল্লাম--->
আমি: জী ভাইয়া কিছু বলবেন ?
--->তুই নাকি ওরনির সাথে সারদিন থাকস ?
আমি: জী ভাইয়া কোনো প্রবলেম?

গল্প :- "হেডমাষ্টারের princes"
. লেখক:- #RJ_Nayem_Ahmed
.
পর্ব :- ০৫ ~~~
.
.
মেয়ে: এই এইদিকে আয় |
তখন একটু না দেখার বান করে চলে যাচ্ছি পরে আবার ডাকদিলো এইবার ডাক দিলো না ইয়া বড় একট ইট মারলো কোনো রকম বেচে গেলাম আর না হলে তো মাথা টা ফেটে যেতো পরে আমি তার কাছে গিয়ে বল্লাম----->
আমি: কি তোমার সমস্যাটা কি এখনি তো মাথাটা ফেটে যেতো?
মেয়ে: প্রথমে তোকে ডাক দিছি না শুনিস নি কেন ?
আমি: কই কখন ডাক দিলা ?
যেই বল্লাম তখন শক্ত করে কানটা দরলো আর বল্লো---->
মেয়ে: তোর কানে সমস্যা আছে বুঝেছি |
আমি: এই ছারো ব্যাথা লাগছে |
মেয়ে: আগে বল আমাকে ফেসবুকে একসেপ্ট করিস নি কেন?
আমি: আরে আগে কান টা ছারো তারপর বলতেছি |
মেয়ে: ছারলাম এখন বল |
আমি: আসলে আমি তো ফেসবুকেই ডুকি না |
মেয়ে: কেনো কি হইছে ?
আমি: ডুকবো কার জন্য আমার কি কেও আছে ফেসবুকে তাছারা একটা জি এফ ও নাই তাই ভালো লাগে না |
মেয়ে: ওরে বাবা জি এফ নেই বলে কি চালানো যাবে না যাইহোক আজ কলেজ ছুটি হলে বাসায় গিয়ে আমাকে একসেপ্ট করবি |
আমি: আমার বয়েই গেছে তোমার জন্য আমি ফেসবুক চালাবো|
মেয়ে: কি বল্লি ?
আমি: এইরে ক্লাস শুরু হয়ে গেছে দূর তোমার জন্য দেরি হয়ে গেছে|
অতঃপর ক্লাসে চলে গেলাম দেখি স্যার ক্লাস করাচ্ছে অতঃপর বল্লাম---->
আমি: স্যার আসতে পারি ?
স্যার: বাসায় কি বউ বাচ্চা রেখে আসছো নাকি?
আমি: কি বলেন স্যার আমি তো বিয়েই করি নি |
স্যার: বেয়াদব ছেলে তাহলে প্রতিদিন দেরি হয় কেনো হুম ?
আমি: সরি স্যার আর হবে না |
স্যার: আসো |
অতঃপর ক্লাস করলাম দূর আজ গুন্ডি মেয়েটার জন্য দেরি হলো একটু পর দেখি পিয়ন এসে বলছে---->
পিয়ন: এখানে জাহিদ কে ?
তখন আমি বল্লাম----> জী আমি |
পিয়ন: তোমাকে প্রিন্সিপাল স্যার ডাকছে |
আমি তো অবাক হলাম হঠাৎ আমাকে ডাক দিবে পরে গেলাম প্রিন্সিপাল স্যারের রুমে পরে বল্লাম--->
আমি: স্যার আসতে পারি ?
স্যার: আসো |
আমি: স্যার আপনি নাকি আমাকে ডেকেছেন ?
স্যার: তাহলে তুমি জাহিদ ?
আমি: জী স্যার ?
স্যার: এই তোমার তো সাহস কম নয় তুমি নাকি আমার মেয়েকে ফেসবুকে ডিস্টাব করো ?
আমি তো পুরাই থ যাকে এখনো একসেপ্ট করলাম না তাকে নাকি আমি ডিস্টাব করি বুঝেছি ঐ গুন্ডি মেয়েকে একসেপ্ট করি নি দেখে মিথ্যা বলছে পরে আমি বল্লাম----->
আমি: স্যার আপনার মেয়ে আছে ?
স্যার: এই বেয়াদব ছেলে আমার সাথে ফাইজলামি করো একে বারে বের করে দিবো কলেজ থেকে |
আমি: সরি স্যার |
স্যার: যাও ক্লাসে আর জানো কখনো না দেখি এরকম |
আমি: ওকে স্যার |
দূর আজ যে কার মুখ দেখলাম কলেজে এসেও শান্তি নেই এদিকে গুন্ডি মেয়ে আর প্রিন্সিপাল স্যার দূর আর ভালো লাগে না |
অতঃপর টিফিন দিলো ক্যান্টিনে যাবো তখন দেখি ওরনি আপু বসে আছে আর তার লেডি গেং পরে আমি বল্লাম---->
আমি: এটা কিন্তু ঠিক হলো না |
মেয়ে: কেনো কি করলাম ?
আমি: তুমি তোমার আব্বুকে বলছো আমি নাকি তোমাকে ডিস্টাব করি ?
মেয়ে: তাহলে তখন বল্লি কেনো যে একসেপ্ট করবি না ?
আমি: তাই বলে এরকম বড় মিথ্যা ?
মেয়ে: আহারে আব্বু কি বেশি বকা দিছে ?
আমি: কথা বলবা না যাও |
মেয়ে: যাই গিয়ে আবার বলি যে আমাকে কথা বলতে হুমকি দিছে?
আমি: এই না প্লিজ তুমি এরকম কেনো কিছু করলাম না তাও অপরাধ ?
মেয়ে: হাহাহা আমি এরকমি |
আমি: বাবটা যেমন মেয়ে টাও তেমন |
মেয়ে: এই কি বল্লি আমার বাবা কেমন ?
আমি: না না খুব সুন্দর তোমার আব্বু যে কেও ক্রাশ খাবে |
মেয়ে: হারামজাদা আমার আব্বুকে নিয়ে ফাইজলামি খারা |
অতঃপর সে একটা এক লিটার কোকাকোলা কিনে আমার শরির টাকে বিজিয়ে দিছে তখন আমি বল্লাম---->
আমি: হায়রে আজ এখানেই গসল হয়ে গেছে |
মেয়ে: আমার রাগের বেপারে জানস না|
আমি: আহারে খুব মজা লাগতেছে|
মেয়ে: কেনো তোর গায়ে আরো কোকাকোলা এক লিটার ঢেলে দিলাম তাহলে মজা আসলে কথা থেকে ?
আমি: আসলে তুমি চিন্তা করো এখন আমি আর তুমি যদি গসল খানায় থাকতাম আর তুমি আমাকে কোকাকোলা ঢেলে দিচ্ছ আহারে কি মজাই হতো থাক বাকিটা বল্লাম না লজ্জা করতেছে|
মেয়ে: জাহিদের বাচ্চা ঐ তোরা ওরে ধর |
চাচা আপন প্রান বাচা দিলাম দৌর উফফ বেচে গেলাম যে মেয়েরা বাবা বাপের জন্মে ও দেখি নি ও থুক্কু আমি তো আমার আব্বুর পরে হইছি |
অতঃপর সেদিন কলেজ করে বাসায় গেলাম খাওয়া দাওয়া করে একটু ফেসবুকে ডুকলাম কারন ঐ গুন্ডি মেয়ের জন্য অতঃপর তাকে একসেপ্ট করলাম তার কিছু ক্ষন পরই দেখি আমাকে মেসেজ দিলো---->
মেয়ে: আচ্ছা সাদা কাপরের দাম কত জানিস ?
আমি: আহারে শেষ পর্যন্ত তুমি বিদবা হইয়া গেলা এই আচ্ছা তোমার স্বামীর ৪০শা কবে অনেক দিন ধরে খাই না |
মেয়ে: হারামজাদা কালকে তোকে মাডার করবো তাই আগে থেকে সাদা কাপরের দাম জিগ্গাসা করলাম |
আমি: ওহ আচ্ছা.... এই কি বল্লা তুমি মাডার করবা তাও আমাকে প্লিজ এরকম করো কেনো আমি তো নিষ্পাপ প্লিজ আমাকে ছেরে দাও আমি বিয়ে করে মরতে চাই |
মেয়ে: হাহাহা শখ কত |
আমি: প্লিজ আমাকে মাইরো না তুমি যা বলবা তাই করবো |
মেয়ে: সত্যি বলসিস ?
আমি: চৌদ্দ সত্যি |
মেয়ে: চৌদ্দ সত্যি কেনো বল্লি?
আমি: সবাই তো বলে চৌদ্দ গুষ্টি আমি বলি চৌদ্দ সত্যি |
মেয়ে: হাহাহা আচ্ছা একটা গান শুনা |
আমি: কিভাবে শুনাবো তুমি তো অনলাইনে তা ছারা আমি গান টান পারি না |
মেয়ে: কেনো লিখে শুনাবি আর না পারলে ও বলতে হবে তুই বলসিস আমার কথা শুনবি ?
আমি: আচ্ছা বলছি |
মেয়ে: হুম বল |
আমি: তুমি দিও নাগো বাসর ঘরের বাত্তি লিবাইয়া আমি অন্ধ ঘরে বদ্ধ হয়ে যাবো মরিয়া |
মেয়ে: হারামজাদা আর কোনো গান পাশ নাই ?
আমি: কেনো খারাপ হইছে আচ্ছা আর একটা বলছি |
মেয়ে: হুম বল |
আমি: তুমি মোর জীবনের ভাবনা হৃদয়ের শুখের দোলা তোমাকে আমি ভুলতে পারি....... [বাকিটা আর পারি না]
মেয়ে: কেও আমাকে মেরে ফেল তুই কি এগুলো গান শুনিস ?
আমি: কেনো এগুলো তো খুব ভালো গান আচ্ছা রোমান্টিক গান বলবো ?
মেয়ে: দেখি বল |
আমি: ঐ জাকা নাকা জাকা নাকা দেহো দলা না মন বলে মন বলে দেহো দিবা না |
মেয়ে: হাহাহা এই তোর আর গান বলা লাগবে না গিয়া বিষ খা তাও দেখ শান্তি পাবি|
আমি: তাই খাওয়া লাগবে যে পরিমানে র্নিযাতন হচ্ছি মনে হয় আর বেশি দিন বাচবো না |
মেয়ে: হাহাহা তোকে আবার কে র্নিযাতন করছে ?
আমি: তুমি ছারা আর কে করবে ?
মেয়ে: কি বল্লি তুই ??কালকেই তুই শেষ ||
আমি: প্লিজ ছেরে দাও আমি তো মজা করলাম |
মেয়ে: হাহাহা তুই এত ভিতু কেনো ?
আমি: গরিব মানুষ তো তাই |
মেয়ে: হইছে আর ডায়লগ দিতে হবে না |
অতঃপর এরকম কথা চলতো আর সে শুধু খালি আমাকে ভয় দেখাতো দূর কেনো যে এই গুন্ডি মেয়েটা আমার কপালে আসলো জীবনটা তেজ পাতা তো আজ কলেজে গেলাম দেখি বসে আছে পরে আমাকে ডাক দিলো-----

গল্প:- "হেডমাষ্টারের princes"
.
লেখক:- #RJ_Nayem_Ahmed
.
পর্ব:- ০৪ ~~~
.
.
.
মেয়ে: আচ্ছা তোর নাম কি?
আমি: নাম দিয়া কাম কি বরিশাইল্লা খা.........| [থাক আর বল্লাম না]
মেয়ে: কিরে চুপ হয়ে গেলি কেনো ?
আমি: না মানে আপনি বরিশালের খা..খাবার খেয়েছেন ?
মেয়ে: হারামজাদা এইটা তোর নাম আমি কিছু বুজি না তুই কি বলতে চাইসিস বুঝছি ?
আমি: আরে আমি তো কিছু বলি নি বল্লাম যে বরিশালের খাবার খেয়েছেন নাকি ?
মেয়ে: কেনো তোর বাড়ি বরিশাল নাকি ?
আমি: ক্যান আরে দেখি আন্নের কিত্তে বরিশাল মনো ঐলো ?
মেয়ে: হাহাহা তার মানে নোয়াখালি ?
আমি: সাবধান মরে নোয়াখাইল্লা কইবেন না হেইয়া কইলে মোর ভিতোরে ছার খার ঐয়া যায় |
মেয়ে: হাহাহা এই তুই থাম সত্যি করে বল তই কন জাগার ?
আমি: আপনি কিতা কইতাচেন আমারে কি বরিছাল আর নোয়াখালি মনে ঐতাচে নাকি ?
মেয়ে: বুঝছি তোকে এখন একটু দলাই দিতে হবে |
আমি: এই না না বলছি |
মেয়ে: হুম বল ?
আমি: আসলে আমার গ্রামের বাড়ি বরগুনা সেখানে আব্বু আম্মু থাকে আর এখানে ঢাকায় পরাশুনার জন্য ভাইয়ার বাসায় আসছি|
মেয়ে: ওহ আচ্ছা আর জানিস আমি এইখানের স্থানিও |
আমি: তাই তো বলি এত কলিজা আসে কথা থেকে আমাদের ওখানের হলে কি যে করতাম ?
মেয়ে: কি বল্লি কি করতি বল ?
আমি: এই না না কিছু না আপনাকে নিয়ে ঘুরতে যেতাম সেনেমা দেখতে যেতাম এক সাথে পাশা পাশি বসে থাকতাম আরো যে কত কি ........|
যেই বল্লাম সেই জোরে একটা থাপ্পর মারলো আমি তখন বল্লাম----->
আমি: কি হলো থাপ্পর মারলেন কেনো কি অপরাধ করলাম ?
মেয়ে: থাপ্পর টা না মারলে তুই স্বপ্নের জগৎতেই থাকতি |
আমি: দূর আজ যে কার মুখ দেখেছিলাম তখন থাপ্পর খেলাম আর এখন একটা আমার গালটা তো সরকারি |
মেয়ে: বেয়াদবি করলে রট দিয়ে পিটাবো |
আমি: এই না এটা করবেন না |
মেয়ে: আচ্ছা ঠিক আছে এখন বল তোর নাম কি ?
আমি: আমার নাম জানু |
মেয়ে: দেখি তো তোর গালটা একটু এদিকে আন ?
আমি: এই না না বলছি আমার নাম জাহিদ |
মেয়ে: হুম খুব সুন্দর |
আমি: পছন্দ হয়েছে ?
মেয়ে: মানে ?
আমি: আসলে নাম পছন্দ হলে তো তাকেও পছন্দ করা তাই না আহারে কি লজ্জা |
মেয়ে: তোর লজ্জার গুষ্টি কিলাই এই মামা ছুরিটা দাও তো |
আমি: এই না প্লিজ আমাকে ছুরির ভয় দেখাবেন না আর না হলে কিন্তু সত্যি সত্যি প্যান্টে হিসু করে দিবো |
মেয়ে: হাহাহা তাহলে খারা তোর সব আজ কেটে ফেলবো |
আমি: প্লিজ একটা জাগা বাদে কাইটেন সেটা ছারা আমি বাবা ডাক শুনতে পারবো না |
তখন সে লজ্জায় বল্লো---->
মেয়ে: ছি কি বলিস এগুলো ?
আমি: আসলে আমি বলতে চাইলাম যে আমার কান দুটো কাইটেন না সেটা ছারা আমি বাবা ডাক শুনতে পারবো না |
মেয়ে: হাহাহা ওহ আচ্ছা |
আমি: কেনো আপনি কথায় ভাবছিলেন ?
মেয়ে: দেখ এখন কিন্তু কেটে ফেলবো |
আমি: এই না সরি ক্ষমা করে দিন|
মেয়ে: হাহাহা তুই দেখি আসলোই অনেক ভিতু |
আমি: হ্যা খুব ভিতু | আমি মাঝে মাঝে রাতে ভয় পেলে আম্মুর কলে গিয়ে উঠি |
মেয়ে: কি তোর আম্মুর কলে হাহাহা |
আমি: এইযে এখানে হাসার কি হলে মাঝে মাঝে তো আমার আম্মু আমাকে লুঙ্গি পরিয়ে দিতো |
মেয়ে: এই তুই আর কথা বলিস না তোর কথা শুনে হাসতে হাসতে মরে যাবো |
আমি: আহারে কি হাসি আপনার পুরাই ঘোরার হাসির মতো |
যেই বল্লাম সেই আমার কলার ধরে বল্লো----->
মেয়ে: কার হাসির মতো আবার বল ?
আমি: এই না মানে আসলে পূর্নিমার চাদের মতো হাসি |
মেয়ে: হুম এটা আগে বল্লে কি তোর কলারটা ধরতাম জা ছেরে দিলাম |
উফফ খুব জোর বেচে গেলাম আর না হলে ক্যান্টিনেই মাইর খেতাম অতঃপর আমি বল্লাম----->
আমি: আচ্ছা আপনার নামটাই তো জানা হলো না |
মেয়ে: ওরনি আপু বলে ডাকবি |
আমি: ওহহ আচ্ছা সাতচুন্নি আপু বলে ডাকবো ?
মেয়ে: এই মামা ছুরিটা দাও তো |
আমি: এই না আমি তো মজা করলাম ওরনি আফু |
মেয়ে: ঠিক আছে মনে থাকে জানো |
আমি: আচ্ছা মনের ভিতরে লিখে রাখবো তোমারি নাম সরি আপনার নাম |
মেয়ে: প্রবলেম নেই তুই আমাকে তুমি করে বলতে পারিস তাছারা আমি তো তোর এক ইয়ারের বড় ততটা বড় না |
আমি: তুমি করে বল্লে যদি আমাকে মার দেন তাহলে ?
মেয়ে: হাহাহা আরে গাধা মারবো কেনো মারবো না |
আমি: সত্যি ?
মেয়ে: হুম
আমি: কিন্তু তুমি করে না বলতে আমার লজ্জা করে |
মেয়ে: তাহলে এক কাজ করি তোর লজ্জা কে ছুরি দিয়ে কেটে ফেলি ?
আমি: এই না আপনি এরকম কেনো শুধু শুধু খালি ভয় দেখান?
মেয়ে: হাহাহা তাহলে এত লজ্জা পাওয়ার কি আছে যেটা বলছি সেটা বলবি |
আমি: আইচ্ছা |
মেয়ে: এই তুই ক্লাস করবি না ?
আমি: আসলেই তো কিন্তু আপনি থুক্কু তুমি তো আমাকে ক্লাস থেকে টেনে নিয়ে আসছো |
মেয়ে: আচ্ছা এখন যা আর ক্লাস কর |
আমি: যাচ্ছি কিন্তু আজ খেতে খেতে পেট ভরে গেছে সকালে ও খেলাম এখন তুমি আবার ক্যান্টিনে খাওয়ালে |
মেয়ে: মানে তুই না বল্লি যে সকালে কিছু খেয়ে আসিস নি |
আমি: ইয়ে মানে কখন বল্লাম ?
মেয়ে: এই মামা ছুরিটা দাও তো ওর পেট ফুটা করে দিবো |
কে কে দেখে দিলাম দৌর
এই গুন্ডি মেয়ের সাথে থাকলে আমার উপরের টিকিট তারাতারি কাটা হয়ে যাবে যাই হোক ক্লাস করে বাসায় গেলাম ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে একটু রেষ্ট নিলাম ভাবলাম যে আজ একটু ফেসবকে ডুকবো আসলে মেয়ে ফ্রেন্ড ছারা ফেসবুক চালাতে ভালো লাগে না তাছারা কোনো জি এফ ও নেই তাই বরিং লাগে |
তো ফেসবুকে ঢুকলাম ঢুকেই দেখি ওরনি জাহান নামে রিকয়েষ্ট আসছে পরে প্রফাইলে ঢুকে দেখি এটা আর কেও না প্রিন্সিপাল স্যারের গুন্ডি মেয়ে টা ভাবলাম যে একসেপ্ট করলে ও সমস্যা কখন না আবার ফেসবুকে মাইর দেওয়া শুরু করে তাই জুলিয়ে রাখলাম|
অতঃপর কাল কলেজে গেলাম গিয়েই দেখি লেডি গেং আর তাদের বস সাতচুন্নি থুক্কু ওরনি আপু বসে আছে আর দেখছি আমাকে ডাকছে ------

গল্প:- "হেডমাষ্টারের princes"
.
লেখক:- #RJ_Nayem_Ahmed
.
পর্ব :- ০৩ ~~~♥
.
.
আমি: আচ্ছা এখন তাহলে আমি যাই ?
মেয়ে: আচ্ছা যা আর ঠিক মতো পরাশুনা করিস কেমন ?
আমি: যাওয়ার আগে একটা কথা বলে দিতে চাই ?
মেয়ে: কি কথা বল ?
আমি: আসুন কানে কানে বলি আর নাহ হলে সবাই শুনবে |
মেয়ে: হুম এখন বল ?
আমি: ইশশ কি গন্ধ আপনার কানে পরিষ্কার করেন না ?
মেয়ে: এই তুই কি বল্লি ?
আমি: না না কিছু না |
মেয়ে: কি বলবি তারাতারি বল ?
আমি: আসলে আমি না খুব চাপা মারতে পারি |
যেই বল্লাম সেই দিলাম দৌর তখন সে বল্লো----->
মেয়ে: তার মানে তখন তুই আবেগ দেখিয়ে মিথ্যা বল্লি এই হারামজাদাটাকে ধর |
কে কাকে দেখে দিলাম দৌর উফফ বেচে গেলাম কি মেয়েরা বাবা আজকে চাপা না মারলে মেরেই ফেলতো তাও আবার হেড থুক্কু প্রিন্সপাল স্যারের মেয়ে কি যানি কি করে খুব ভয় করছে মেয়েটা পুরা গুন্ডি এই ভয় বাসায় গেলাম তখন দেখি ভাবি বলতেছে----->
ভাবি: কি বেপার জাহিদ আজ প্রথম দিন গিয়েই এত দেরি হলো নতুন কাওকে পেয়েছো নাকি ?
আমি: আর বইলো না ভাবি আজ তো আমি শেষ হয়েই যেতাম |
ভাবি: কেনো কি হয়েছে ?
আমি: আগে এক গ্লাস ঠান্ঠা পানি দাও বলতেছি |
ভাবি: আচ্ছা বসো আনছি |
অতঃপর পানিটা খেয়ে বল্লাম---->
আমি: আহ কি শান্তি |
ভাবি: এখন বলো কি হয়েছে ?
আমি: আরে ভাবি বইলো না আজ কলেজে গেলাম হঠাৎ এক গুন্ডি মেয়ের সাথে জোগরা হলো|
ভাবি: কি বলো তার পর কি হলো ?
তারপর সব খুলে বল্লাম তখন ভাবি কথা শুনে বলতেছে----->
ভাবি: হাহাহা তুমি না আসলেই দুষ্টু |
আমি: হুম খুব জোর বেচে গেলাম |
ভাবি: আচ্ছা যাও ফ্রেশ হয়ে খেতে আসো |
অতঃপর খাওয়া দাওয়া করে একটু পরাশুনা করে দিলাম এক ঘুম হারিয়ে গেলাম স্বপ্নের পৃথিবীতে কি মজার এক স্বপ্ন দেখছি তখনি দেখি কে যানো ডাকছে চোখ খুলে দেখলাম ভাবি পরে বলতেছে----->
ভাবি: এই উঠো আর কত ঘুমাবা তুমি আর তোমার ভাইয়া দেখি একই অবস্থা |
আমি: উফফ আর একটু ঘুমাই |
ভাবি: আরে ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখো কয়টা বাজে কলেজে যাবা না ?
আমি: হায়রে আর একটু আগে ডাক দিবা না দূর আজ দেরি হয়ে গেলো |
অতঃপর সকালের নাস্তা করে কলেজে গেলাম তো দেখি ক্লাসে স্যার তো বল্লাম---->
আমি: স্যার আসতে পারি ?
স্যার: এই আচ্ছা তোমরা কি ওকে কেও চিনো ?
সবাই দেখি হাসছে পরে বল্লাম----->
আমি: স্যার গত কালকেই তো ভর্তি হলাম |
স্যার: তা তোমাকে তো মনে হয়ে না তুমি স্টুডেন্ট ?
আমি: কেনো স্যার ?
স্যার: তোমার নিচে তাকাও |
অতঃপর নিচে তাকিয়ে দেখলাম আর তখনি আমি লজ্জায় মুখ ডেকে ফেলি আসলে তারাহুরার ভিতরে প্যান্টের বদলে কলেজে লুঙ্গি পরে আসছি এই দেখে সবাই হাসছে তখন স্যার বল্লো----->
স্যার: বেয়াদব ছেলে এটা কলেজ তোমার বাসা না যাও চেন্জ করে আসো |
আমি: সরি স্যার আমি এখনি চেন্জ করে আসছি |
অতঃপর আবার বাসায় গেলাম লুঙ্গিটা রেখে পেন্ট পরে আসলাম দূর আজ যে কার মুখ দেখলাম অতঃপর ক্লাসে ডুকলাম বন্ধুরা বল্লো----->
বন্ধু: মামা তুই তো শেষ ?
আমি: কেনো মামা কি হইছে ?
বন্ধু: ঐ যে প্রিন্সিপাল স্যারের মেয়ে তোরে কুত্তার লাহান খুজতেছে?
আমি: ওহ আচ্ছা ,এই কি বল্লি ??আমাকে খুজতেছে ??
বন্ধু: হ্যা তোকেই খুজতাছে |
আমি: বন্ধু কাল আমার যানাজা টা পরতে আসিস আর ভুল টুল করে থাকলে মাফ করে দিস |
বন্ধু: কেন তুই কি মরে যাবি ?
আমি: আমাকে যখন খুজতেছে তাহলে তো মেরেই ফেলবে|
অতঃপর ভয়ে ভয়ে ক্লাস করলাম একটু পর দেখি সেই গুন্ডা থুক্কু গুন্ডি মেয়ে ডায়রেক্ট স্যারে সামনে ক্লাসে ডুকে আমার কলার ধরে নিয়ে গেলে আসলে মেয়েটাকে নাকি সবাই ভয় পায় তাই কিছু বলে না অতঃপর সে মাঠের একটা জাগায়ে আমাকে আনলো আর বল্লো----->
মেয়ে: বল কথা থেকে আগে তোকে শুরু করবো ?
আমি: ছি কি বলছেন এসব লোকে দেখলে কি বলবে তাছারা এই মাঠে এই আমার না লজ্জা করছে |
মেয়ে: [ঠাসসস] কি বল্লি আবার বল ?
আমি: উফফ এত আস্তে কেও চর মারে ?
মেয়ে: [ঠাসসস]
আমি: এই প্লিজ আমাকে ছেরেদিন এবার চরটা একটু জোরে লেগেছে |
মেয়ে: এগুলা তো কিছুই না তোকে তো আজ রট দিয়ে পিটাবো খুব ফাইজলামি করিস |
একটু আবেগ দেখিয়ে বল্লাম----->
আমি: হ্যা আমাকে মেরে ফেলুন আমি বাচতে চাই না আর পৃথিবীতে |
মেয়ে: ওরে বাবা এখন মরার ইচ্ছা হলো কি ভাবে ?
আমি: জানেন সকাল থেকে এখনো পর্যন্ত কিছু খাই নি [চাপা]
তাও আবার আজ কলেজে প্রথমে লুঙ্গি পরে আসছি পরে আবার বাসায়ে গিয়ে চেন্জ করে আসছি তাহলে এই পৃথিবীতে বেচে কি লাব বলুন ?
যেই বল্লাম কথা গুলো তখন সেই পরিমানে হাসতেছে যাক আমার আবার চাপা কাজে লাগে তো তখন সে বল্লো---->
মেয়ে: হাহাহাহাহা উফফ তোর কথা শুনে আমি শেষ তুই এত ফানি কেনো রে ?
আমি: কেনো আপনার ভালো লেগেছে আবার প্রেমে পইরেন না কিন্তু ?
মেয়ে: এই কি বল্লি তুই ?
আমি: না না কিছু না প্লিজ এই গরিব ছেলেটাকে কিছু খাওয়াবেন খুব ক্ষিদা লেখেছে ?
মেয়ে: হাহাহা চুপ বেয়াদব চল |
আমি: কথায় ?
মেয়ে: চল ক্যান্টিনে |
অতঃপর তার সাথে ক্যান্টিনে গেলাম গিয়ে দেখি দুম দাম খাবাবের অডার দিচ্ছে তখন আমি বল্লাম---->
আমি: এই আমি কিন্তু কোনো টাকা আনি নি |
মেয়ে: তুই খাবি নাকি মাইর খাবি বল ?
আমি: এই না না খাবো কিন্তু এত টাকা আপনি পাবেন কথা থেকে ?
মেয়ে: সব টাকা আমার আব্বু দিবে আর এর থেকে বেশি প্রতিদিন খাই আর টাকা আব্বু দেয় |
আমি: পৃথিবীতে হইছে এক রাক্ষশ রানি |
মেয়ে: কিরে কিছু বল্লি ?
আমি: না না কিছু বলি নি কত দিন ধরে যে খাই না |
মেয়ে: আচ্ছা তোর নাম কি?

আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের উন্নতি। | #আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে তামিম ইকবাল # সৌম্য সরকার ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের উন্নতি।

আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের উন্নতি।

আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের উন্নতি।

আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের উন্নতি।

অনলাইন বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে আয়ের ১৫% ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে | #অনলাইন বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে আয়ের ১৫% ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে

অনলাইন বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে আয়ের ১৫% ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে

অনলাইন বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে আয়ের ১৫% ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে

অনলাইন বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে আয়ের ১৫% ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে

নিয়ে নিন শুধু 9399 টাকায় Walton এর 3GB Ram এর 4G Mobile | #নিয়ে নিন শুধু 9399 টাকায় Walton এর 3GB Ram এর 4G Mobile

নিয়ে নিন শুধু 9399 টাকায় Walton এর 3GB Ram এর 4G Mobile

নিয়ে নিন শুধু 9399 টাকায় Walton এর 3GB Ram এর 4G Mobile

নিয়ে নিন শুধু 9399 টাকায় Walton এর 3GB Ram এর 4G Mobile