Prithwy Zit changed his profile picture
6 yrs

image

গল্প :-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে""
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- ০৮~~~ ♥
.
.
আমরা ক্নিনিকে যাচ্ছি নাহ্! আমি তোর
মতো কোন দুশচরিএবান ছেলের সাথে ঘর
করতে পারবো না! তাই কোর্টে যাচ্ছি
ডির্ভোসের জন্য । (কথা)
.
-- তুমি কি ফার্ন করছো?
.
-- হা,হা,হা, ফার্ন কেন করবো? ( কথা)
.
-- কথার কাছে ডির্ভোসের কথা শুনে বুকটা
যেন ফেটে যাচ্ছে! কোন রকম চোখের জল
টা মুঁছে গাড়ি নিয়ে বের হলাম! রাস্তা
দিয়ে যাচ্ছি আর বারে, বারে কথার দিকে
তাকাচ্ছি কি মায়াবী চেহারা!
.
-- হঠাৎ জ্যামের মাঝে গাড়ি আঁকটে যায়।
গাড়িতেি বসে আছি।
.
-- ম্যাডাম ফুলটা নেন। মাএ দশ টাহা দেন
আজ দু'দিন ধরে কিছু খায়নি!( একটা সাত
বছরের মেয়ে)
.
-- যওোসব এদের জাল্বায় রাস্তায় বের হওয়া
যায়না! ( কথা)
.
-- কথার দিকে চশমা'টা নিচু করে একটু
তাকালাম! মনে, মনে ভাবছি মেয়েরা
নাকি মায়ের জাত তাহলে এই রকম কেনো?
.
-- মেয়েটা চলে গেলো! মেয়েটার চলে
যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছি! এদিকে
গাড়িতে কথাকে বসিয়ে রেখে, গাড়ি
থেকে নেমে পড়লাম! এই যে, আপু তোমার
নাম কী?
.
--আমার নাম রিয়া।( মেয়েটা)
.
-- ওহ্ সুন্দর নাম! তা তোর মা - বাবা নেই?
.
-- বাবা,কে জানিনা তবে একটা মা আছে।
মা নাকি আমাকে কুড়িয়ে পাইছে!
( মেয়েটা)
.
-- সাহেব আমি যাইগে,, আজ ফুল বিক্রি না
করতে পারলে মার জন্য ওষধ কিনতে পারুম
নাহ্!( মেয়েটা)
.
-- ওহ্ আচ্ছা!! কিছু খাইছিস?
.
-- নাহ্ সকালে ৫ টাহা দিয়ে একটা" বন
পাউরুটি" খাইছি। (মেয়েটা)
.
-- আচ্ছা তোর কাছে কতটাকার ফুল আছে?
.
-- স্যার, ১০০ টাকার।( মেয়েটা)
.
-- সবগুলো আজ আমি নিলাম! এই নে ৫০০
টাকা। ( আমি)
.
-- স্যার এওো টাকা, স্যার ভাংতি নেই।
( মেয়েটা)
.
-- ভাইয়া ডাকলি যে তাই আজ না হয় তোর
বড়- ভাই তার মায়ের ওষুধের কেনার টাকা
দিলো। এই নে, আমার কার্ড । কখনো কোন
প্রয়োজন হলে দেখা করিস.।কি হলো? তুই
কাঁদছিস কেনো? জানিস না ভাইয়ের
সামনে বোন কাঁদলে পায় কষ্ট পায়।
.
-- ভাইয়া, তুমি সত্যি আমার ভাইয়া।
ভাইয়া আমায় একটু বুকে নিবে? বলে জড়িয়ে
ধরলো নিজের অজান্তে চোখের কোণে
পানি এসে পড়লো!
.
-- এদিকে গোলাপ- আর বেলী ফুল গুলো
নিয়ে কথাকে দিলাম!
.
-- ফুল আমাকে দিলে কেন?( কথা)
.
-- তোমায় ভালবাসি! আর ফুলের মতো সুন্দর
তুমি তাই দিলাম তোমাকে।
.
-- আচ্ছা আমরা যেন কোথায় যাচ্ছি জানো
ডির্ভোস নিতে আর তোর মতো খারাপ
ছেলের হাতে ফুল শোভা পায়না বলে ফুল
গুলো ডাস্টবিনে ফেলে দিলো ( কথা)
.
-- মনে মনে ভাবছি আমি না হয় দোষ
করেছি ফুল গুলো তো কোন দোষ করেনি।
তাহলে কি কথার মনে একবিন্দু ও ভালবাসা
নেই আমার জন্য!
.
-- এদিকে কুর্টে এসে সব কিছু বলার পর কুর্ট ৬
মাস সময় দিলো তারপর ডির্ভোস হবে!
.
-- মনে,, মনে ভাবছি তাও কয়েকটা মাস
ভালবাসার মানুষের অবহেলা পাবো!
.
-- দিনগুলি ভালোই কাটছিল!
.
-- দেখতে দেখতে কথার আজ ৭ মাসে পূর্ণ
হলো এদিকে বাড়িতে খুশির আমেজ চলছে।
আল্টা- সনোগাফ্রী করছে আমার নাকি
মেয়ে হবে।
.
-- মা - বাবার দিকে তাকানো যায়না।
তাঁরা অনেক খুশি রিও তো সারাদিন
ভাবীর কাছেই পড়ে থাকে। কিন্তু দিন দিন
আমার প্রতি ঘৃণাটা কথার বেঁড়েই চলছে।
অফিস থেকে ফেরায় পর শার্টটা খুলে রুমে
যেতেই দেখি কথা নামায পড়ছে!
.
-- নামায শেষ করে মোনাজাতে দু'খানা
হাত তুলে বলকে লাগলো : হে পরম করুণাময়
আল্লাহ্ তায়ালা তুমি তো জানো আমি
সজিবের সর্তানকে গর্ভে ধারণ করে আমার
স্বামীর খুনির ঘরে ঘর করছি।আল্লাহ তুমি
তো জানো! আমি কতটা পবিএ, পরিস্হিতির
চাপে পড়ে খুনিকে বিয়ে করি। আল্লাহ
তোমার কাছে একটাই মনোবাসনা আমি
যেন আমার স্বামী হত্যার বিচার নিচ
হাতে করতে পারি। যেভাবে আমার
স্বামীকে আমার বুক থেকে সড়িয়েছে
সেভাবে যেন তাঁকে দুশ্চরিএটাকে খুন
করতে পারি। আল্লাহ কবুল করো রাজের
মৃত্যু যেন আমার হাতে হয়।আসার - স্বামীর
হত্যার প্রতিশোধ যেন আমি নিতে পারি।
এ বলে জায়- নামায এ বসে কাঁদতে লাগলো।
.
-- নিজের ভালবাসার মানুষের কাছে এমন
কথা শুনে মনে হচ্ছে কড়িজাটা ফেঁটে
যাচ্ছে। মনে হচ্ছে নিজেকে শেষ করে দেয়।
হ্যা আমি অপরাধী মানছি তাই বলে
সজিবের খুনির প্রতিশোধ আমারি স্ত্রী
নিজের কলিজার টুকরা সে আমাকে হত্যা
করে নিবে! মনে হচ্ছে নিজেকে শেষ করে
দিয়ে এ থেকে মুক্তি পায়। যাকে নিজের
জীবনের থেকে বেশি ভালবাসি। যাকে
পাওয়ার জন্য অন্তঃসন্তা মেয়েকে বিয়ে
করতেও একটুও ভাবিনি। আজ সেই কিনা
আমার মৃত্যু তার হাতে যেনন সে প্রার্থনা
করছে! এসব ভাবতে ভাবতে রুম থেকে বের
হয়ে গেলাম।
.
-- পরের দিন আমি , কথা এবং রিও বসে
আছি।
-- হঠাৎ মা,এসে বললো রাজ দেখ তো
আমাদের নাতনীর জন্য জামাগুলো কেমন
হলো!?
.
-- কথা, রিও অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।রিও
তো বলেই ফেললো " মা এখনো তো
ভাইয়ারা মেয়ে পৃথিবীতেই আসেনি তার
আগেই তোমরা কাপড়-;চোপড় কেনা ধরেছ"
.
-- যাহ্ কি বলিস আমাদের পাঁচটা নয় দশটা
নয় একটি মাএ নাতনী আসতেছে তার জন্য
এসব কিছুই নাহ্! তোর বাবা নাকি রাজের
মেয়েকে পটানোর জন্য জিমে যাচ্ছে, চুলে
কলপ করতেছে। (মা)
.
-- মা তোমরাও নাহ্ পারোও বটে!( রিও)
.
-- কথা মিটি- মিটি হাঁসছে! আমাদের
বিয়ের পাঁচ মাস পর আজ কথাকে হাঁসতে
দেখলাম। অনেক ভালো লাগলো কথার
ঠোঁঠের কোণের সেই হাসি।
.
-- এদিকে দুপুরে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে
শার্ট টা পড়ে বের হতেই দেখি " কথা আর
রিও কি নিয়ে কথা বলছে! কাছে যেতেই
দেখি সেই রুমটাতে যেটার চাবি আমি
ছাড়া আর কারো কাছে নেই!কিন্তু রুম
খোলা কে খুললো? ভেতর থেকে রিও আর
কথার কন্ঠ ভেঁসে আসছে!
.
-- দৌঁড়ে রুমের দরজাতে গেতেই যাহ্
শুনলাম তা শুনে নিজেকে ঠিক রাখতে
পারলাম নাহ্!
.
-- রিও রাজের সাথে যে মেয়েটা ওইটা কী
রাজের গফ ছিলো! মেয়েটা অনেক কিউট!
( কথা)
.
-- ভাবী তুমি পাগল হয়েছো কী বলছো এসব
জানো তুমি ওইটা কে? ( রিও)
-- জানো ওইটা রাজের ভালবাসা!( কথা)
.
-- ঠাস- ঠাস-ঠাস চুপ কর আর একটা বাজে
কথাও নয়! তোদের কে বলেছে এ রুম খুলতে?
.
-- কেন খুললে কু- কর্ম বের হয়ে যেতো?
( কথা)
.
-- আরো দু'টা থাপ্পর দিলাম! গালটা লাল
টুক- টুকে হয়ে গেছে কথার।আজ প্রথম কথার
গাঁয়ে হাত তুললাম! তবুও একটুও খারাপ
লাগছেনা। মন খারাপ লাগছে কথার মুখে
সে সব কথা শুনে! তাই বের হয়ে এসে ছাঁদে
চলে যায়।
.
--- ভাবী কান্না করোনা! ভাইয়ার
কলিজাতে আঘাত করেছো। তাই তোমার
ওপর হাত তুলেছে। ( রিও)
.
-- মানে?
.
-- ভাবী ভাইয়ার সাথে যে মেয়েটি ছবিতে
সেটা আর কেউ নয় আমার বড় আপু "কণা"।
কণা আপু আত্মহত্যা করার পর আপুর রুমে
ভাইয়া কাউকে আসতে দেয়নি।আজ তুমিই
প্রথম এলে! (রিও)
.
-- কথা চোখ মুছে রুমের দিকে তাকাতেই
মনে হচ্ছে ঘরটা'তে এখনও কেউ থাকে! রুমটা
কি সুন্দর পরি-পাটি! রুমের থেকে কি সুন্দর
সুভাষ ভেঁসে আসছে মনে হচ্ছে কেউ
সূর্যমুখী তেল খোলা কেশে দিয়ে দক্ষিলা
বাতায়নে চুল মেলে ধরেছে! এসব ভাবতে -
ভাবতে ছবিটার দিকে আবারো কথার চোখ
যায়। মনে হচ্ছে ছবিটা কথার দিকে রাগি-
ভাব নিয়ে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ কথার মনে
পড়লো কণা আত্মহত্যা তো করেছে তবে
এতো সুন্দর মেয়ে কেন আত্মহত্যা করেছে
কারণ কী? এসব ভাবতে ভাবতে রিওকে
বললো রিও তোমাকে একটা কথা বলি?
( কথা)
.
--- হুম ভাবী কি বলবে?
.
-- কণা কেন আত্মহত্যা করলো? (কথা)
.
-- ভাবী শুনবে তাহলে? ( রিও)
.
-- হুম বলো? ( কথা)
.
-- শুনো তাহলে, আমরা দুই- বোন এক- ভাই।
কণা আপু আমাদের সবাইকে আদর করতো!
কণা আপুকেও আমরা সবাই ভালবাসতাম
কণা আপুর ছোট বেলায় মা বাবা মারা
যায়! কণা আপু আমার আপন খালাতো বোন।
আপুর যখন দুই বছর তখন খালু আর খালা
দুর্ঘটনায় মারা যায়। তারপর থেকেই
আমাদের সাথে তাই কেউ জিজ্ঞেস করলে
আমরা বলতাম আমরা দুই - বোন এক ভাই!
আপুকে সব চেয়ে বেশি ভালবাসতো রাজ
ভাইয়া। আপু ঘরের সবার ভালোমন্দ দেখার
দায়িত্ব পালন করতেন। আপুকে রাজ ভাইয়া
কলিজার টুকরা, আরার কখনো রাজকুমারী
বলে ডাকতেন। তাদের দুজনের ভাই- বোনের
ভালবাসা দেখে অনেক হিংসে হলেও
ভালোই লাগতো। কারণ কনা আপু আমাকেও
অনেক ভালোবাসতো! জানো ভাবী
ভাইয়াকে কোন দিন দেখেনি নিজের
হাতে ভাত খেতে এবং আমিও খায়নি সব-
সময় আপু তুলে খাইয়ে দিতো! আমাদের
সংসারটা সুখে ভরপুর ছিলো।
.
-- কিন্তু একদিন আমাদের ঘরে দুঃখের ছায়া
নেমে আসে! সাজানো স্বপ্নগুলো সব
এলোমেলো হয়ে যায়! সেদিন অনেক রাত
পর্যন্ত টেলিভিশন দেখে ঘুমাই সকালে ঘুুম
ভাঙ্গে ভাইয়ার করুণ আত্মনার্দ শুনে "
কলিজার টুকরা বোন আমার তুই আমাকে
ছেড়ে অভিমান করে কেন চলে গেলি! বল
এখন আমাকে কে খাইয়ে দিবে! কে বলবে
ভাইয়া তোর প্লেট থেকে একটু মাংস দে!
কে বলবে ভাইয়া আজ যদি আইসক্রিম নিয়ে
না আসিস তা হলে ঘরে ঢুকতে দিবোনা!
ভাইয়া তুই একটা বিয়ে করবি! তোর মেয়েটা
তোর মতে হবে সারাদিন তার সাথে গল্প
করবো! বল না ওই রাজকিসারী " মহারাণী
বোন আমায় কথা বল! ভাইয়ার করুণ
আত্মনার্দ শুনে আপুর রুমে আসতেই দেখি
ভাইয়া কণা আপুর পা জাপটে ধরে আছে!
আপুটা ফ্যানের সাথে ঝুলছে! দেখা মাএই
ফ্লরে বসে পড়লাম তারপর আর কিছু মনে
নায়। পরে সেন্স ফিরলে জানতে পারি
আপুকে পুকুর পাঁড়ের কদম ফুল গাছের নিচে
কবর দিয়েছে। আর আপু নাকি ৫ মাসের
অন্তঃসন্তা ছিল।হয়তো আপু কাউকে
ভালবাসতো তার ভালবাসার ফসল তার
গর্ভে ছিল! এখনো ভাইয়া নিশি রাতে
আপুর কবরের পাশে বসে কান্না করে আর
বলে! আপু বলনা যে, " ভাইয়া ভাত খাবিনা!
আমার জন্য চকলেট নিয়ে আসবি নাহ্!
সেইদিনের পর থেকে আপুর রুমে ভাইয়া
ছাড়া মা- বাবা কেউ ডুকতে পারেনা!
কথাগুলো বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললো রিও!
.
-- রাতে শুয়ে শুয়ে ভাবছি কথাকে ওভাবে
চড় মারা উচিত হয়নি! নিজের কাছেই
খারাপ লাগছে! চোখ দিয়ে পানি
আসতেছে! এসব ভাবতে ভাবতে সুফাতে
ঘুমিয়ে যায়।
.
-- পরের দিন কথা শাওয়ার নিয়ে ভেজা চুল
আঁচড়াতেছে। হঠাৎ ফোনটা ক্রিং ক্রিং
করে ভেজে ওঠলো ' ফোনটা রিসিভ করতেই
'''
-- হ্যালো আপু আমাকে বাঁচাও! ( তোবা)
.
-- তোবার মুখে ফোন রিসিভ করার পরই এমন
কথা শুনে কথার বুকটা কেমন করে ওঠলো!
কি হয়েছে শরীর খারাপ করে নিতো?
.
--- আপু রাজ ভাইয়া আমাকে জোর করে
হোটেল এ নিয়ে "" এর পর আজ ডাক্তার
বললো আমি অন্তঃসন্তা! আপু আমাকে
বাঁচাও আমার সুসাইড করা ছাড়া উপায় নেই
( কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বললো তুবা)
.
-- তোবার মুখে অন্তঃসন্তা কথাটা শুনতেই
বুকের মাঝে এক অজানা চিন- চিনে ব্যথা
অনুভব করছে! হঠাৎ রিওের কথা মনে পড়ে
কণার সেই অন্তঃসন্তা হয়ে সুসাইড করার
কথা! মুহূর্তেরর মাঝে কথার পৃথিবীটা
অন্ধকারে ঢাকা পড়ে যেতে থাকে """" হঠাৎ
রাজ..........
.
.
♥-----"To be Continue"--♥ -
.

গল্প:-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে"" ♥
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- ০৭~~~ ♥
.
.
.
কথা মামনি! তোমার বাসা থেকে আসতে
কোন সমস্যা হয়নি ( অধ্যক্ষ)
.
-- কিরে, মামা কেমন দিলো?( সজিব)
.
-- রমজান গাল ধরে বসে আছে।
.
-- এদিকে কথাকে প্রথম দেখায় ভালো
লেগে যায়। কথাকে পরে আমাদের ক্ল্যাসে
দেখে মন লাফিয়ে ওঠে। ক্ল্যাসের
সারাটা সময় কথার দিকে ড্যাপ - ড্যাপ
করে তাকিয়ে থাকা। দিনগুলো ভালোই
কাটছিল।
.
--প্রতিদিন কথার পিছু - পিছু ভার্সিটি ছুটি
হলে যেতাম। অনেক দিন চেষ্টা করার পরও
কথাকে মনের কথা বলতে পারিনি।
.
-- এই আপনি প্রতিদিন আমার পিছু - পিছু
আসেন কেন?
.
--- আমি কই নাতো?
.
- তাহলে কে আসে?
.
-- আমি আসি!
.
-- কথা তোমাকে একটা কথা বলার ছিল!
( আমি)
.
-- ওহ্ তাই বুঝি! (কথা)
.
-- হুম তাই, আচ্ছা তোমায় যে কি ভাবে বলি
কথাটা!
.
-- যে ভাবে মন চায় সেভাবে বলো।(কথা)
.
-- কথা আমি তোমাকে যেদিন প্রথম দেখি
সেদিনই ভালোবেসে ফেলেছি।
.
--- এই নাও ভালবাসার প্রথম উপহার, কথাটা
বলে একটা গোলাপ এগিয়ে দিল। রাজ
আমিও তোমাকে ভালবাসি,বড্ড বেশি
ভালোবাসি! তবে একটা ছোট্ট কাজ করতে
পারবে আমার জন্য? (কথা)
.
-- হুম বলো কী এমন কাজন?
.
-- আমি চাই আমাদের ভালবাসার কথা
সারা ভার্সিটি জানুক। তুমি কলেজের
সবার সামনে হাঁটু গেড়ে প্রপোজ করবে
আমায়! পারবে তো? সবার সামনে আমাকে
আপন করে নিতে! (কথা)
.
-- হুম, অবশ্যই তোমার জন্য সবি পারবো!
.
-- সারা রাত আর ঘুম হয়নি। কখন সকাল হবে,
কখন কথাকে সবার সামনে আপন করে
নিবো।
.
--- ভাইয়া সকাল- সকাল কোথায় যাচ্ছিস।
তাও সেঁজে- গুজে, ভাইয়া কিছুই তো
খেলিনা।( কণা)
.
--- ভার্সিটি থেকে এসো খাবো। মাই
ডিয়ার বনু! এই বলে বাসা থেকে বের হয়ে
গেলাম।
.
-- ভার্সিটির সামনে থেকে, একগুচ্ছ লাল
গোলাপ নিলাম। ভার্সিটি গিয়ে দাঁড়িয়ে
আছি। কিছুক্ষণ পরে কথার আগমন মনের
মাঝে ঝড় তুলে। নীল শাড়ীতে কথাকে আজ
নীল পরীর মতো লাগছে। হাতে বেঙ্গুনি
রঙের কাঁচের চুরি, চোখে কাজল মনে হচ্ছে
আসমানি পরী। হা করে তাকিয়ে আছি
আমার নীল পরীটার দিকে!
.
... রাজ,এমন ভাবে কি দেখ?( কথা)
.
-- আমার নীল পরীটাকে দেখছি।
.
- শুধু দেখবেই! আজ না আমাকে প্রপোজ
করবে সবার সামনে?এই বলে সবাইকে ডাক
দিলো! ভার্সিটির সবাই আমাদের দুজনকে
ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। মনে মনে বলছি কথা
আমাকে কত ভালোবাসে।তার জন্য সবার
সামনে আপন করে নিতে বলছে!
.
কি হলো কি জানি বলবে তার জন্য সকালে
ডেকেছো!( কথা)
.
-- হুম আপনার সবাই শুনেন, যে দিন প্রথম
কথাকে দেখি, সেদিনই কথাকে ভালবেসে
ফেলি। যাকে বলে লাভ এট ফাস্ট সাইড।
তার পর যতবারই দেখেছি ততবারই তাঁর
কাজল কালো চোখের মায়াজালে
নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছি। আমার শয়নে
স্বপনে শুধু তুমি। কথা আমি তোমাকে
ভালবাসি! তুমি হবে কি আমার জোৎসনা
দেখার সাক্ষী।
.
-- ঠাস- ঠাস - ঠাস তোর কীভাবে সাহস
হলো আমাকে ভালবাসি বলার। আয়নাতে
নিজের চেহারা দেখেছিস, তুই কিভাবে
ভাবলি তোর মতো ক্যাবলাক্যান্ত'কে
হাসি পাইলো। তোর এতদিন অত্যাচার মুখ
বুজে সহ্য করেছি! কিন্তু কাল যখন ভার্সিটি
থেকে যাওয়ার পথে তুই যখন প্রপোজ
করছিলি তখন-ই মনে মনে ভাবছি তোর
একটা উচিত শিক্ষা দেয়া দরকার। তাই
তোকে বলেছি কলেজের সবার সামনে
প্রপোজ করতে। বাকিটা তো সবাই
দেখলো। আশা করি, ভবিষ্যতে আমাকে
ভালবাসা তো দূরের কথা আমার নামটাও
মুখে আনবিনা। এই বলে হাত থেকে ফুল গুলো
নিয়ে পায়ের নিঁচে ফেলে পিষে ফেললো।
.
-- কলেজের সবাই হাসতেছে, কেমন করে
যেন তাকাচ্ছে আমার দিকে! নিজের
অজান্তেই চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। যাকে
পাগলের মতো ভালবাসলাম সেই এমন
করলো!
.
-- তারপর দু'দিন কলেজ যায়নি! সজিব
গ্রামের বাড়ি থেকে এসেই আমাকে নিয়ে
ভার্সিটি গেল!
.
-- আজ একটি বারও কথার দিকে তাকায় নি!
.
-- কিন্তু মন মানছেনা কি করবো তাই একটা
চিরকুট লিখলাম,
��� অভিমানী কোনো সন্ধ্যায় ���
জানো মাঝে মাঝে যখন আমার মন খারাপ
হয় তোমার জন্য ,, তখন আমি একা একা
ভাবি কেন তোমাকে এত ভালবাসতে
গেলাম ,,আসলে তুমি যত দিন আমার জীবনে
ছিলে আমি ভাবতাম তুমি আমাকে ছেড়ে
গেলেও হয়তো ফিরে আসবে ,, ভাবতাম শত
কষ্ট এর পরও তুমি আমাকে ছেড়ে যাবে না ,,
কিন্তু আমার ভাবনা গুলো ভুল ,, তাই না ,,
তুমি ফিরে আসার জন্য চলে যাওনি ,,
জানো আমিও কেমন জানি তোমার মত
বদলে গেছি ,,তাই তো তোমাকে কাছে
পাওয়ার ইচ্ছাটা আমার আর করে না ,, সব
স্মৃতিগুলো শুধু ভুলতে চাচ্ছি ,, শুধু কষ্ট হয় এই
ভেবে আমার স্বপ্নগুলো কে কেন তোমার
স্বপ্নগুলোর সাথে মেলাতে গেলাম ,, আবার
মাঝে মাঝে ভাবি আর তুমিই বা কেন
তোমার সুখগুলো কে বিসর্জন দিবে আমার
জন্য ,, আজ অনেক দিন পর কেন জানি মনে
হচ্ছে আমি বলে কিছু ছিলাম তোমার
জীবনে ,,হয়তো ছিলাম না,, তাই তো স্বপ্ন
আর ভালোবাসার ফল ভোগ করছি ,, শুধু
বলবো আমাকে ভুলে যদি তুমি সুখে থাক,
তবেই ধরে নিব এটাই আমার প্রাপ্তি,,!! পূরণ
না হওয়া আমার স্বপ্নগুলো স্বপ্নই হয়ে থাক
ইতি, অতিথি পাখি"
..চিরকুট'টা লিখার পর টিফিন পিরিয়ড়ে,
কথার বইরের ভেতর রেখে দিলাম!
.
কথা বাসায় গিয়ে বই বের করতেই দেখে
একটা রঙিন চিরকুট, তার পর লেখা গুলো
পড়তেই এক অজানা ভালা লাগা কাজ করে!
.
-- কথা প্রতিদিন এমন একটা চিরকুট পায়!
কিন্তু কে দেয় চিঠির নিঁচে লেখা অতিথি
পাখি! কিভাবে বের করবে! কথা যে চিরকুট
পড়েই তার প্রেমে মশগুল হয়ে গেছে!
.
-- কথা, প্রতিদিনের মতো আজও ফেসবুকে
ডুকলো,। ফেসবুকে তার একটা প্রিয় লেখক
আছে! আইডির নাম স্বপ্নীল সন্ধ্যা!
প্রফাইলে গল্প পড়তে, পড়তেই একটা পোস্ট
দেখে! পোস্টের নিচে লেখা, 'অতিথি
পাখি'। কথা চমকে ওঠে, মনে মনে ভাবতে
লাগে তাহলে এই সেই লেখক যে তার হৃদয়টা
দখল করে নিয়েছে! কথা অনেক গুলো
মেসেজ দেয় আইডিতে । পরের দিন রিপ্লে
আসে! কথা এ কয়দিনে হাজার বারের বেশি
অতিথি পাখিটা'কে তাকে দেখতে
চেয়েছিল!
.
কিন্তু পিক দেয়ার সাহস পায়নি। সে যদি
আমাকে প্রতারক ভাবে।
.
-- দিন যাচ্ছে কথার পাগলামি বাড়ছে,
একদিন কথা প্রোপোজ করে বসে! আমি যদি
রাজি না হয় তাহলে সে সিপ্লিং পিল
খাবে! ইনবক্সে স্লিপিং পিল এর পিক
দিয়েছে!
.
.
-- সেদিন আর না করতে পারিনি! তার পর
পরের দিন বিকালে কথাকে পার্কে দেখা
করতে বলি!
.
-- কথা এখনো আমাকে দেখেনি! জানিনা
দেখলে কী রকম রিয়াক্ট করবে। এসব ভাবতে
ভাবতে বাসা থেকে পার্কের উদ্দেশ্যে
বের হতেই সজিব এর সাথে দেখা!
.
-- কিরে সজিব হাতে ফুল নিয়ে,পাগলের
মতো কোথায় যাস( আমি)
.
-- দোস্ত তোকে পেয়ে ভালোই হইছে চল
ওখানে বসে কথা বলি? (সজিব)
.
--- হুম কি বলবি বল! (আমি)
.
-- দোস্ত তোকে কীভাবে যে বলি! আমি
একটা মেয়েকে ভালোবেসে ফেলেছি!
তাঁকে ছাড়া বাঁচবোনা! দোস্ত তুই আমাকে
বাঁচা যে ভাবে হয় ওই মেয়েটার সাথে
প্রেম করিয়ে দে! আমাকে বাঁচা। ( সজিব)
.
--- আরে তোর জন্য আমার জীবনও দিতে
পারি! আর তোকে প্রেম করিয়ে দিবোনা!
আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করবো!
.
-- দোস্ত প্রমিজ কর আমাকে ওই মেয়ের
সাথে প্রেম করিয়ে দিবি?( সজিব)
.
-- আচ্ছা তোকে ছুঁয়ে বলছি প্রমিজ বল কোন
সে ভাগ্যবতী রাজকন্যা যে আমার
কলিজার টুকরা বন্ধুটার মন কেঁড়ে নিয়েছে?
.
--- দোস্ত মেয়েটা আর কেউ না! আমাদের
কলেজের সেরা সুন্দরী কথা! বল কীভাবে
কি করলে আমাকে ভালোবাসবে কথা।
( কথা)
.
--- সজিবের মুখে 'কথা'র কথাটা শুনতেই
কলিজাটা কেঁপে ওঠলো! সজিবের আড়ালে
চোখের পানি মুছলাম। দাঁতে দাঁত চেপে
কান্না আকটে রাখছি!
.
-- দোস্ত কিভাবে কীরবো প্লিজ বল!
কথাকে না পেলে দোস্ত আমি মরেই যাবো
হয়তো, সারাদিন তাকে ভেবেই পার করি!
.
-- দোস্ত শোন আমার ফেসবুক আইডি এই নে
পাস! যদি কথা কিছু বলে বলবি আইডি'টা
তোর! কথাকে বলবি তার অতিথি পাখিটাই
তুই! আমি আগেই জানতাম তুই কথাকে
ভালোবাসিস তাই ফেইক আইডি দিয়ে
তোর প্রেম করিয়ে দিলাম! আমার ট্রিটটা
যেন পায় ঠিক সময়ে! ( আমি)
.
-- দোস্ত তুই সত্যি মহান বলে সজিব আমাকে
জড়িয়ে ধরলো!
.
-- দোস্ত আর লেট করিস না পার্কে কথা
তোর জন্য অপেক্ষা করছে! ( আমি)
.
-- আচ্ছা দোস্ত চলিয়ে, এই বলে সজিব
পার্কে গিয়ে দেখে কথা বসে আছে!
কথাকে সব বলার পর কথা তার অতিথি
পাখি ভেবে, শক্ত করে জড়িয়ে ধরে!
.
-- এদিকে দূর থেকে নিজের ভালবাসার
মানুষটাকে অন্যের বুকে লেপ্টে যেতে
দেখি!
.
--- ভাইয়া আর কত ঘুমাবি? ( রিও)
.
-- রিওের ডাকে স্বপ্ন থেকে বাস্তবে
ফিরলাম!
.
-- ভাইয়া মা তোকে ভাবীকে নিয়ে
ক্লিনিকে যেতে বললো!
.
-- আচ্ছা তুই যাহ্ আমি যাচ্ছি! এই বলে কথা
কাছে গেতে'ই দেখি কথা রেডি হয়ে বসে
আছে! কলেজের প্রথম দিন যে কথাকে
দেখেছি আজও সেই কথাকেই দেখছি!
.
- তোমার কী শরীর খারাপ? মা বললো
ক্নিনিকে নিয়ে যেতে।(আমি)
.
-আমরা ক্নিনিকে যাচ্ছি নাহ্! আমি তোর
মতো কোন দুশচরিএবান ছেলের সাথে ঘর
করতে পারবো না! তাই কোর্টে যাচ্ছি
ডির্ভোসের জন্য......
.
.
♥-----"To be Continue"--♥-
.
.

.

গল্প:-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে"" ♥
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন.... :
.
★------পর্ব :- ০৬~~~ ♥
.
.
.
ঠাস- ঠাস, ছিঃ তোর লজ্জা করেনা মিথ্যা
বলতে, তুমি জানতে আমি মার্কেট এ
যাবো। এ সুযোগ এ আমার বোনটাকে
ভাবতে পারছিনা কিছু। মনে হচ্ছে হচ্ছে
সুসাইড করি তোর কাছ থেকে মুক্তি পায়।
আমার জীবনটাকে তো নষ্ট করেছিস এখন
আমার বোনের সর্বনাশ করার জন্য পিছনে
লেগে আছিস।খুব ইচ্ছা ছিল গর্ভের
সন্তানটাকে পৃথিবীর আলো দেখাবো
কিন্তু না তোকে মুক্তি দিয়ে যাচ্ছি,
কথাটা বলে ফল কাঁটা ছুড়ি পেঁটের মাঝে
চোখ বন্ধ করে চালিয়ে দিলো,.. ফিঁড়কি
দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে! কথা চোখ বন্ধ করে
ফেললো! কিন্তু না কথা কিছু ফিল করছে
না!
.
-- চোখ খুলতেই দেখে রাজ ছুড়িটা ধরে
রেখেছে। ফিঁড়কি দিয়ে রক্ত পরছে।
.
আমাকে তুমি কি মরতেও দিবে না। আমার
মরার পর যা ইচ্ছা করো।(কথা)
.
কথা বিশ্বাস করো, তোবা যা বলছে সব
মিথ্যা কথা। প্লিজ একটা বার বিশ্বাস
করো!
.
-- আপু, তুমি আঙ্কেল, আন্টি মার্কেটে চলে
গেলে রাজ ভাইয়া বাসায় আসে। ভাইয়া
বলে যে তুমি আমার ছোট বোনের মতো,
তোমার সাথে যা হয়েছে তার জন্য ক্ষমা
করে দাও। তোমার ভাই যদি এমন ভুল করতো
ক্ষমা করতে না?
.
--আপু আমি রাজ ভাইয়ার এমন কথা শুনে আর
রাগ করে থাকতে পারিনি। ভাইয়াকে
বলেছি, তুমি তো আমার আপুর স্বামী,
আমার ভাইয়ের মতোই, তোমার প্রতি
আমার কোন অভিযোগ নেই! তবে ভাইয়া
আমার একটা কথা রাখবে?
.
-- কী এমন কথা বলবে? (রাজ)
.
-- আগে বলো আমার কথা রাখবে?
.
-- আচ্ছা কি কথা বলবে? আমি রাখব বল
তুমি? (রাজ)
.
-- ভাইয়া আমার বোনটাকে কখনো কষ্ট
দিয়োনা! আমার বোনটা তোমাকে সত্যি
অনেক ভালবাসে। সেই জন্যই বিয়ের আগে
তোমার হাতে তার সতিত্ব তুলে দিয়েছে।
আমাকে প্রমিজ করো আমার বোনটাকে
কখনো দূরে সরিয়ে দিয়ো না।
.
-- ওহ্ এই কথা, আচ্ছা পাগলী আমি কখাকে
কখনো কষ্ট দিবো না। এই কথাটা বলে গান
টেলে দিয়ে বললো; আচ্ছা তোবা বোন
আমার, তোমার শর্ত রাখলাম। এখন আমার
একটা ছোট্ট শর্ত রাখবে? (রাজ)
.
-- ভাইয়া কী এমন শর্ত বলো আমি রাখবো!
.
-- তার পর সুকেজ থেকে কালো পাড়ের
জামদানিটা বের করে দিয়ে বলে, তোমার
জন্য কিনেছি। এট যদি পড় তাহলে বুঝবো
আমায় ক্ষমা করেছো। আমি ভাইয়ার কথা
ফেলতে পারিনি। আমি শাড়ি পড়ে আসলে,
ভাইয়া সেভেন - আপ খেতে দেয়।কিন্তু
ভাইয়া সেভেন আপের সাথে ঘুমের বড়ি
মিশিয়ে দিয়ে আপু আমার সব শেষ করে
দিয়েছে! আপু আমি এ মুখ এখন কাউকে
দেখাবো। কে বিয়ে করবে আমায়? আপু
আমার জীবনটা এভাবে নষ্ট হয়ে যাবে, ।
আপু আমি জন্ম- নিয়ন্ত্রণ পিল খেয়েছি।
তোমার মতো আমারো হলে বাবা সুই- সাইড
করবে। কথা গুলো বলে কথাকে জড়িয়ে ধরে
কান্না করতে লাগলো!
.
- মনে মনে বলছি, এ পরম করুণাময় আল্লাহ্
তুমি তো অন্তযামী সব জানো।, আমি
জানি, সজিবের সাথে অন্যায় হয়েছে। সেই
জন্য এতো বড় অপবাদ শুনতে হবে আমার।
আল্লাহ্ এতো বড় অপবাদ শুনার আগে
তোমার গোনাহ্- গার বান্দাকে তোমার
কাছে উঠিয়ে নাও।
.
-- রাজ, তোবা যা বললো তা কি সত্য? তুমি
এতটা নিঁচ। বোন বলার পরেও? ছিঃ, ছিঃ
আমার ঘৃর্ণা লাগছে তোমার মতো একটা
জানুয়ারের সংসার করছি। ( কথা)
.
-- কথা প্লিজ একটিবার বিশ্বাস করো!
আমার বোন রিওের কসম করে বলছি। তোবা
যা বলছে সব মিথ্যা কথা!
.
--- চুপ আর একটা কথা বলবে না, জানুয়ার।
তোর আবার বোনের কসম, যে বোনের কথা
বলে তোবাকে, ছিঃ তুই কোনদিন কারো
ভালোবাসা পাওয়া যোগ্য নাহ্! ( কথা)
.
-- কথা, তুমি আমাকে, জানুয়ার!
খারাপন,বদমাইশ, শয়তান যা ইচ্ছা তাই
বলো তবুও প্লিজ এতো বড় মিথ্যা অপবাদ
দিয়ো না! আমি আমার সন্তানের কসম করে
বলছি। তোমার গর্ভের সন্তানের কসম করে
বলছি, তোবা যা বলছে সব মিথ্যা!
.
.আপু, আমি জানতাম এমন কিছু বলবে,
আমাকে ব্ল্যাকমেল করার জন্য ফটো
তুলেছে।। যেন আবার ওইসব করতে পারে!
কথাগুলো বলে জোরে, জোরে কাঁদতে
লাগলো তোবা।
.
-- তোবা লজ্জা করে না কারো ভালোবাসা
পাওয়ার জন্য এমন মিথ্যা কথা বলতে?
( আমি)
-- ঠাস- ঠাস-ঠাস লজ্জা করেনা তোর মতো
পাপী মুখে আমার সন্তানের নাম নিতে!
আমার গর্ভের সন্তান তোর মতো পাপীকে
কখনো বাবা ডাকবেনা। বাবা ডাকার
আগে দরকার পড়ে গলা টিপে মেরে
ফেলবো! আমি তোর মতো জানুয়ারের ঘর
করতে চায় না। আমি তোর কাছ থেকে
ডির্ভোস চাচ্ছি। যদি ডির্ভোস না দিস
তাহলে, এই সন্তান নষ্ট করা পিল খেয়ে
গর্ভের সন্তানকে মেরে ফেলবো তার পর
নিজে মরে যাবো। ( কথা)
.
-- কথার মুখে, তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করার
কথা শুনে বুকটা ফেঁটে যাচ্ছে। কথা তো
বেশি কিছু চায়নি ডির্ভোস চেয়েছে। ওকে
যদি ভালবাসার জন্য অন্তঃসন্তা অবস্হায়
বিয়ে করতে পারি। তাহলে ওর ভালোই জন্য
না হয় ডির্ভোস টা দিয়েই দিবো।
.
-- তুমি চিন্তা করো না পাপিষ্ঠ- টা
আপনাকে মুক্ত করে দিবে চিন্তা করোনা।
বাবা মা, ভাগ্যিস রিও কে নিয়ে নানু
বাড়ি গেছে তা না হলে আজ বাবা হয়তো
স্টোক করতো। এতো কিছুর পরও আল্লাহ্ তুমি
যা করো মঙ্গলের জন্য করো।
.
-- আমার ডির্ভোসটা যতো তাড়াতাড়ি পার
দিয়ে মুক্তি করো আমায়। আমি এ নরকে
তোর সাথে থাকতে পারবো না। এই কথা
বলে তোবাকে নিয়ে চলে গেলো।
.
-এখনো রক্ত বের হচ্ছে কাঁটা স্হান থেকে।
হয়তো এ ক্ষত একসময় রক্ত পড়ে ভালো হয়ে
যাবে। কিন্তু হৃদয় থেকে যে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে
তা কিভাবে ভালো হবে।
.
-- আমি তোমাকে না চ্যালেন্জ
করেছিলাম, তোমাকে আমি না পেলে কেউ
পাবেনা।এখনো সময় আছে আমাকে
ভালোবাসো। আর শুনো আপুর সাথে
ডির্ভোস হলে, আমাদের দু'জনের আর কোন
সমস্যা থাকবেনা। তখন তো কোন অযুহাত
দিতে পারবে না! ( তোবা)
.
-- ঠাস- ঠাস- ঠাস, তোর লজ্জা করেনা
নিজের বোনের সংসার ভাঙ্গতে।অন্তঃসন
্তা একটা মেয়ের সংসারে আগুন লাগাতে।
একটা বারো তোর অন্তর কেঁপে ওঠে না
তোর বোনের গর্ভের নিঃশ্বাপ সন্তানের
কথা মনে করে!
.
-- নাহ্ আমি তোমাকে ভালবাসি। যে কোন
মূল্যে আমি তোমাকে চাই'রি চাই। পারলে
আরো দু'টো থাপ্পর দাও। জানো তোমার
হাতের স্পর্শটা আমার পরম পাওয়া। আর
হ্যাঁ সব গুলো পিক আছে আমার কাছে, এখন
যতো তাড়া-তাড়ি পারো আপুকে ডির্ভোস
দাও। কথাটা বলে চলে গেলো তুবা।
.
-- রুমের লাইট অফ করে শুয়ে আছি, চোখ
দিয়ে অনবরত পানি আসছে। আর মনে মনে
ভাবছি যাকে এতটা ভালবাসতাম, যে
অন্তঃসন্তা হওয়ার পরও তাকে বিয়ে
করলাম। যাকে এক নজর দেখার জন্য
প্রতিদিন ভার্সিটিতে যেতাম,
.
-আমি সজিব, নাজমুল,রমজান, ভার্সিটির
সজিব ঘাসের ওপর বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম।
রমজান ভার্সিটির মেয়েদের সাথে
রেগিং করছে, হঠাৎ একটা পরীর আগমন,
কালো পাড়ের নীল শাড়ি পড়ে শিশির
ভেজা ঘাস গুলোর ওপর দিয়ে হেঁটে আসছে।
ভার্সিটির সবাই মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে।
.
-- হঠাৎ, রমজান মেয়েটাকে ডাক দিলো;
এইযে মিস বড় ভাইদের দেখলে যে সালাম
দিতে হয় তা কি জানো না?
.
-- ওহ! সরি আঙ্কেল, আসসালামু আলাইকুম!
.
-- আমাকে আঙ্কেল মনে হয় কি?
.
-- আপনার মাথায় একটু চুলও নেই, বলতে
গেলে মিনি টুনামেন্ট। ভাবছিলাম
আপনাকে জেঠু ডাকবো। কিন্তু বিবেকে
কেন যেন বাধঁলো! তাই আঙ্কেল।
.
-- ওহ! তাই বুঝি, আচ্ছা এই গোলাপটা ওই যে
বসে আছে নাহিদ কাক্কু তাঁকে দিয়ে বলবে
তাকে প্রথম দেখাতেই ভালোবেসে
ফেলেছো। ( রমজান)
.
-- ঠাস- ঠাস- আজ দু'ইটা দিলাম এর পরে যদি
কাউকে রেগিং করতে দেখি। তাহলে
কলেজ থেকে রাজটিকিট করবো! .
-- রমজান গাল ধরে বসে আছে!
.
-- কলেজের সবাই বিস্ময়ের দৃষ্টিতে
তাকিয়ে আছে।
.
-- কথা মামনি! তোমার বাসা থেকে আসতে
কোন সমস্যা হয়নি ( অধ্যক্ষ)
....................♥
.
.
♥-----"To be Continue"---♥

গল্প:-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে"" ♥
.

লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- ০৫ ~~~ ♥
.
.
.
রাজ সজাগ পেয়ে যায়, রাজও
কথাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,। কথা
রাজের গলার নিচে, কিস করতে লাগলো।
রাজও কিস করতে লাগলো। কথার গরম
নিঃশ্বাস পড়ছে রাজের মুখের ওপর।
একপর্যারে দুজন - দুজনের ঠোঁটের সাথে ঠোঁট
মিলিয়ে দিলো। মনে হচ্ছে এক অজানা
ভালবাসার সাগরে হারিয়ে যাচ্ছে। রাজ
আজ অনেক খুশি, কথা তাকে স্বামী
হিসেবে মেনে নিয়েছে। হঠাৎ কথা ছুড়ি
রাজের বুকে চালিয়ে দিলো বুক ছিঁড়ে
ফেলকি দিয়ে রক্ত পরছে। কথা রাজের
মুখটা চেপে ধরেছে। রাজের রক্ত গড়িয়ে
বিছানা ভেসে যাচ্ছে। মৃত্যু যন্ত্রণায় ছট-
ফট করছে। হা, হা, হা, এই দিনটির জন্যই
আমি অপেক্ষায় ছিলাম। আজ আমি স্বামী
হত্যার প্রতিশোধ নিলাম। কি ভেবেছ
তুমাকে আমি নিজের ইচ্ছাতে বিয়ে
করেছি? নাহ্ আমি আমার স্বামী হত্যার
প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য-ই তোর মতো
খুনিকে বিয়ে করেছি।
.
--- হঠাৎ রাজের মা এসে বললো ' একি করলে
মা আমার বুক খালি করলে" কি অপরাধ
করেছিল আমার ছেলে? তুমি একটা খুনি!
নিজের স্বামীকে খুন করতে তোমার
হাত'টি একটি বারের জন্য- ও কাপঁলো না? "
.
-টেবিলের ওপরে থাকা পানির গ্ল্যাসটা
পড়তেই কথার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম ভাঙ্গতেই
বুঝতে বাকি হয়না কথা দুঃস্বপ্ন দেখছে।
.
-- গ্ল্যাস'টা বিড়াল-এ ফেলে দিয়ে দৌঁড়
দিয়েছে! গ্ল্যাস'টা টুকরা - টুকরা হয়ে
গেছে।ঠিক যেমনটা কথার হৃদয়টা রাজ
টুকরা - টুকরা করে দিয়েছে, তাঁর
ভালবাসার মানুষটা'কে তার স্বামীটাকে
নির্মম ভাবে খুন করে!
..
কথা চেয়ে দেখ রাজ সুফায় ঘুমাচ্ছে।
পূর্ণিমা চাঁদের আঁবছা আলো রাজের মুখে
এসে পড়ছে। ঘুমালে যে একটা খুনিকে-ও
এতটা মায়াবী, নিঃশ্বাপ লাগে তা হয়তো
রাজকে না দেখলে বিশ্বাস হতো না।
.
কথা মনে মনে ভাবছে যে ভাবেই হোক তার
স্বামী হত্যার প্রতিশোধ নিবে। তবে
স্বপ্নে যেভাবে দেখছে সেভাবে নয়।
যেমনভাবে রাজ তার স্বামীকে খুন করেছে
ঠিক সেভাবে-ই খুন করবে। এসব ভাবতে,
ভাবতে কথা ঘুমিয়ে যায়।
.
- সকাল হতে-ই ভাবী, ওই ভাবী কি করো?
( রিও)
.
-- কেন দেখতেই তো পারছো? (কথা)
.
-- ভাবী মা বললো তোমাকে রান্না না
করতে।
.
কেন? আমি রান্না করলে সমস্যা?
.
- ভাবী তুমি না অন্তঃসন্তা, তাই এসময়
কাজ করতে হয়না। জানো মা বাবা তো
বাচ্চা কী হবে কার মতো হবে তা ঠিক করা
নিয়ে মহাব্যস্ত!
.
-- ওহ্ তাই বুঝি?
.
--- হুম তাই! জানো ভাবী, ভাইয়া তোমাকে
কাজ করতে নিষেধ করেছে! ভাবী ' ভাইয়া '
অনেক খুশি আজ-কাল।
.
-তাই বুঝি তা কিসের জন্য?
.
-- ভাইয়া বাবা হচ্ছে তাই এতো খুশি।
জানে ভাবী ভাইয়া কি বলে?
.
কি বলে তোমার ভাইয়া?
.
-- ভাইয়া বলেছে তার যদি একটা মেয়ে হয়
ঠিক তোমার মতো তাহলে আমাকে ল্যাপটপ
গিফট করবে! আমি তো দিন গুনছি কথা
তোমার একটা মেয়ে হবে কবে আমি
ল্যাপটপ পাবো। ভাবী পাঁচ মাসে বাচ্চা
হয়না?
.
--যাহ্ পাগলী মেয়ে পাঁচ মাসে কি বেবী
হয়!
.
-- তবে ভাবী তুমি অনেক লাকী ভাইয়া
তোমাকে নিজের চেয়ে বেশি ভালবাসে!
তোমার জন্য কত চিঠি লিখেছে। যদিও তা
আমি লুকিয়ে - লুকিয়ে পড়েছি!
.
--- হঠাৎ, তোবাকে তার মা ডাক দিলে
তোবা চলে যায়। কথা মনে, মনে ভাবছে
আচ্ছা এ কেমন ভালবাসা? যা বন্ধুকে খুন
করে তার বউকে বিয়ে করা। এসব ভাবতে
ভাবতে কথা রান্না ঘরেই বসে পড়ে।
চোঁখের সামনে সজিবের সেই রক্ত মাখা
নির্থর চেহারাটা ভেসে ওঠছে। কথা এখনও
সজিবের সেই স্পর্শ গুলো ফিল করতে পারে।
.
--- এদিকে অফিস থেকে ফেরায় পথে, বকুল
ফুলের মালা দেখে ভালো লেগে যায়।ফুল
গুলো কথার খোপাতে খুব সুন্দর মানাবে।
রাতে ফুল- গুলো নিয়ে বাসায়
আসলাম,সাথে জামদানি শাড়ী ।
.
---কথা কোথায়' রে রিও? (আমি)
.
-- ভাইয়া ভাবী তো রুমে। (রিও)
.
-- এই'নে তোর চকলেট। কথাকে চকলেট গুলো
দিয়ে রুমে এসেই দেখি রুমের লাইট অফ
করা।
.
-- সন্ধ্যা রাতে লাইট অফ ব্যাপ্যার তো কিছু
বুঝতেছিনা। কথা কোথায় তুমি সন্ধ্যা
রাতের রুমের লাইট অফ, কথাটা সম্পূর্ণ শেষ
করার আগেই কে যেনো জড়িয়ে ধরে আমার
ঠোঁট টাকে তার দখলে নিয়ে নিয়েছে।
.
জোরে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে
দিয়ে রুমের লাইট টা অন করতে-ই মাথায়
আকাশ ভেঙ্গে পড়লো।
.
-- তু--------- তমি আর কি চাও আমার কাছে?
.
--বেশি কিছু না! সামান্য ভালবাসা। দিবে
কী আমায়?
.
তোবা ভুলে যেয়ো না, আমি তোমার আপন
বোনের স্বামী। তাই যাহ্ ভাবছো তা বলা
তো দূরের কথা মুখে আনাও পাপ।
.
-- আমার কোন বোন নেই, আমি তোমায়
ভালবাসি। আমি একটি রাতেও ঘুমাতে
পারিনি। প্রতিটা স্বপ্নে তুমি আমার।
তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচবোনা।(তোবা)
.
কি বলছো পাগল হয়ে গেলে। সামান্য
ভালবাসার জন্য নিজের আপন বোনকে
অস্বীকার করছো।
.
আমি কিছু জানিনা। শুধু জানি আমি
তোমাকে ভালবাসি। তোমাকে পাওয়ার
জন্য আমি আমার বোনকে খুনও করতে পারি।
(তোবা)
.
--ঠাস- ঠাস- ঠা!! কি বললে?তুমি কি ভাবছো
তোমার বোনকে খুন করলে আমাকে পাবে।
আরে যে মায়ের পেটের বোনকে
ভালবাসতে পারেনা, সে কেমন করে
আমাকে ভালবাসবে? লজ্জা করেনা
ভালবাসার কথা বলতে। কেমনে বল এসব
তোমার বোনের গর্ভে আরেকটি জীবন
তিলে - তিলে বড় হচ্ছে।
.
-- কি করবো তোমায় যে বড্ড বেশি
ভালবাসি!আরো থাপ্পর দাও না করবো না
তবু দূরে সরিয়ে দিয়োনা। ( কাঁদতে কাঁদতে
কথা গুলো বললো তোবা)
- তোবা, সবার ভালোবাসা পূর্ণতা পায় না!
জানো আকাশ মাটিকে ভালবাসে তবুও
কোনদিন তারা এক হতে পারে না। যদি
আমায় সত্যিকার অর্থে ভালবাসা তাহলে
অন্য কোন ভাল ছেলে দেখে বিয়ে
করেনাও।
.
-- রাজ তুমি হয়তো, মন একবার কাউকে
ভালোবাসলে অন্য কাউকে পরের বার
ভালবাসার ইচ্ছাটা-ই মরে যায়। আচ্ছা
আমি প্রতিজ্ঞা করলাম, তোমাকে আপন
করেই নিবো। কথাটা বলে তোবা চলে
গেলো।
.
-- এদিকে সুফাতে বসে আছি, কথা রুমে
আসতেই ফ্লরে পড়ে থাকে গ্লিসারিনের
ওপর পা পড়তেই স্লিপ কেটে পড়ে যাওয়ার
আগেই কথাকে ধরে ফেলে। নিজের অনিচ্ছা
সত্বেও হাত গিয়ে কথার নাভি স্পর্শ করে
কথা কেমন যানি কেঁপে ওঠে।মনে হচ্ছে
এভাবে যদি সারা-জীবন ধরে থাকতে
পারতাম।
.
-- ঠাস- ঠাস, তোর কীভাবে সাহস হয় আমার
ওই জায়গায় ধরতে?
.
-- তুমি ভুল বুঝছো। আমি ইচ্ছা করে করিনি।
.
-- যে নিজের বন্ধুকে খুন করে বন্ধুর
অন্তঃসন্তা মেয়েকে বিয়ে করে। আমি
কীভাবে তার কথা বিশ্বাস করবো? আর তুই
কি মনে করিস? তুই বকুল ফুল এনে দিবি তোর
প্রেমে পড়ে যাবো?ভালবাসতে বকুল ফুলের
প্রয়োজন হয়না হয় সুন্দর একটি মনের।যাহ্
তোর নেই! তোর ফুল কখনো খোপাতে
মানায় না। এই বলে ফুলগুলো পায়ের নিঁচে
ফেলে পিশে ফেললো।
.
---- কথার মুখে এমন কথা গুলো নিজের
অজান্তে চোঁখের জল এসে গেল। চোখের
পানি শার্টের হাতা দিয়ে মুছে বলেতে
লাগলাম; জানে কথা তোমাকে ওভাবে
ধরার কোন ইচ্ছাই ছিল না। কি করবো
তোমার মাঝে যে আমার সন্তানটা তিলে-
তিলে বড় হচ্ছে। যদি পড়ে গিয়ে তার কোন
ক্ষতি হতো! তাহলে মনকে কী বলে সান্তনা
দিতাম। ক্ষমা করে দিয়ো আমি জানি
তোমার ওই জায়গায় স্পর্শ করা ঠিক হয়নি।
.
-- হা, হা, হা, মায়ের চেয়ে মাসীর ধরদ
বেশি। আরে এতো ধরদ থাকলে আমার
সন্তানের বাবা'কে খুন করতে তোর হাত
কাঁপতো।আমার গর্ভে যে সন্তান আছে তার
বাবাও আমি মা- ও আমি। ভুল করেই
সন্তানের বাবা বলবি। আমি চাইনা আমার
সন্তান তাঁর বাবার খুনিকে বাবা ডাকুক।
.
--
-- একটা বালিশ নিয়ে চলে গেলাম সুফাতে।
রাতে শুয়ে শুয়ে ভাবতে লাগলাম কলেজের
সেই দিনগুলি। আজ সজিবকে অনেক মিস
করছি। কিন্তু কথা না থাকলে আজ হয়তো
সজিব বেঁচে থাকতো।এসব ভাবতে ভাবতে
কখন যে ঘুমিয়ে যায় মনেই নাই।
.
-- পরের দিন অফিসে বসে কাজ করছি! হঠাৎ
তোবার ফোন!
.
-- হ্যালো দুলাভাই, আপনি বাসায় আসবেন?
ধরকার ছিলো?
.
-- এদিকে তোবার মুখে দুলাভাই ডাকটা
শুনে নিজের অজান্তেই ভাললাগা কাজ
করছে।
.
- কেন শ্যালিকা কি এমন ধরকার?
.
-- ওহ্ দুলাভাই, আপু আসতে বললো। এখনই
আসো। ( তোবা)
.
--- সত্যি কি আসতে বলছে?
.
-- দুলা ভাই তোবা মিথ্যা বলেনা।
.
ওকে আমি আসতেছি বলে অফিস থেকে ছুটি
নিয়ে বাসায় দেখি, কথার আমার দেয়া
শাড়ীটা পড়ে আছে! আমার দেয়া শাড়ীটা
পড়াতে আজ অনেক খুশি লাগছে! হঠাৎ কথা
এক গ্লাস শরবত বাড়িয়ে দিলো। আমি
খেয়ে নিলাম হাজার হলেও কথা দিয়েছে।
.
-- মাথাটা কেমন জানি ঘুরতেছে? চোখে
রাজ্যের ঘুম চলে আসছে।চোখ তুলে
তাকাতে পারছিনা কথা তুমি আমাকে কি
খাওয়ালে?
.
-- আপু, আঙ্কেল আন্টির সাথে মার্কেট এ
গিয়েছে। কথাটা বলে ঘুমটা টা খুলতেই
দেখি তোবা।
.
- তোবা কি খাওয়ালে আমায়?
.
সুইট হার্ট কিছুই করিনি। শরবতে স্লিপিং
পিল মেশানো ছিলো,। চিন্তা করোনা ৩
ঘন্টা পরই সব ঠিক হয়ে যাবে। কথাটা বলে
ধাক্বা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিলো। তার
পর আর কিছু মনে নেই।
--
ঘুম ভাঙ্গতেই দেখি সন্ধ্যা ছয়টা। সব কিছু
মনে হচ্ছে স্বপ্ন তোবাকেও দেখছি না।
.
--তার পর ফ্রেশ হয়ে রাতে খেয়ে আগের
মতোই সুফাতে শুয়ে পড়লাম।
.
এদিকে দু'দিন পর দেখি কথা আর তোবা
বসে আছে,
.
-- কি শ্যালিকা দু"দিন তো তোমাকে
দেখাই যায়না!
.
-- ওহ্ দুইদিন মিস করছো তাই তো? ছিঃ তুই
এতোটা খারাপ কল্পনাতীত। কেন আমাকে
বিয়ে করেছিস! (কথা)
..
কি বলছো, কিছুই তো বুঝছি না।(আমি)
.
-- আমার জীবনটা নষ্ট করেও তোর স্বাধ
মিটে নাই। এখন আমার বোনের জীবন-টাকে
নষ্ট করার জন্য ওঠে পড়ে লেগেছিস। (কথা)
.
-- প্লিজ আমি কি করছি বলবে তো?
.
-- হুম দেখো তাহলে? এই জন্যই তো বলি
জামদানি শাড়ী কিসের জন্য এনেছো।এই
বলে কয়েকটা ফটো এগিয়ে দিলো!
.
-- পিকটাতে দেখা যাচ্ছে তোবার কাপড়
সম্পূর্ণ খোলা আমি তোবার বুকের ওপর শুয়ে
আছি।তোবা কাঁদছে ফটো টা দেখে বুঝতে
বাকি হলো না তোবা শরবত খাইয়ে এসব
করেছে।কথা প্লিজ বিশ্বাস করো আমি
এসবের কিছুই করিনি। তোবা আমাকে শরবত
খাইয়ে এসব করেছে।
.
ঠাস- ঠাস, ছিঃ তোর লজ্জা করেনা মিথ্যা
বলতে, তুমি জানতে আমি মার্কেট এ
যাবো। এ সুযোগ এ আমার বোনটাকে
ভাবতে পারছিনা কিছু। মনে হচ্ছে হচ্ছে
সুসাইড করি তোর কাছ থেকে মুক্তি পায়।
আমার জীবনটাকে তো নষ্ট করেছিস এখন
আমার বোনের সর্বনাশ করার জন্য পিছনে
লেগে আছিস।খুব ইচ্ছা ছিল গর্ভের
সন্তানটাকে পৃথিবীর আলো দেখাবো
কিন্তু না তোকে মুক্তি দিয়ে যাচ্ছি,
কথাটা বলে ফল কাঁটা ছুড়ি পেঁটের মাঝে
চোখ বন্ধ করে চালিয়ে দিলো.......
.
.
♥-----"To be Continue"---♥

গল্প:-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে"" ♥
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- ০৪ ~~~ ♥
.
.

ভেতর থেকে তোবার আতৎনাদ আপু বাচাও
আমাকে এই লুচ্চাটা আমার সর্বনাশ করে
ফেললো!!
!
---- প্লিজ আমাকে ছেড়ে দাও আমার ক্ষতি
করোনা! ( তোবা)
!
--- তোবা চুপ করবে! কি বলছো কেউ শুনলে
কী ভাববে। প্লিজ এসব করেনা তোমার আপু
কি ভাববে! ( আমি)
!
-- এদিকে তোবা তার জামা ছিড়ে
ফেলতেছে। বুকের ওড়না মাটিতে ফেলে
দিয়ে জড়িয়ে ধরলো!
!
--- তোবা কি করছো এইসব? (আমি)
!
----তোবা আমার কানের কাছে মুখ নিয়ে
বললো ; আমি যাহ্ করছি ঠিক করছি!
তোমাকে আমি ভালবাসি তুমি সেটা
জানতে। কিন্তু বিয়ে করলে আমার বড় -
বোনকে। আমার মাঝে কী নেই যে যা
অাপুর মাঝে আছে। শোন রাজ আমাকে
কাঁদিয়ে তুমি সুখের সংসার করবে তা কী
করে হয়।( তোবা)
!
--- ঠাস করে একটা চড় বসিয়ে দিয়ে বলতে
লাগলাম, তোমার লজ্জা করেনা বোনের
সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করতে। আর 'হ্যাঁ,
তুমি জানোনা ভালবাসা কখনো একতরফা
হয়না। দু'জনকে ভালবাসতে হয়!
!
--- আমি কিছু জানিনা আমি তোমাকে
ভালবাসি। যাকে আমি পাবোনা তাকে
অন্য কেউ পাবেনা!( তোবা)
!
--- ছিঃ লজ্জা করে না তোমার নিজের
বোনের স্বামীর সাথে এমন করতে? (আমি)
!
--- ভালবাসায় লজ্জা থাকতে নেই।
তোমাকে যেদিন প্রথম সজিব ভাইয়ার
সাথে দেখি সেদিনই ভালবেসে ফেলি।
তার পর তোমাকে কতবার ভালবাসার কথা
বলেছি তুমি নাহ্ করে দিয়েছে। আর বিয়ে
করলে শেষে আমার বোনকে। আমি কেমনে
মেনে নিবো বলতে পারো? (তোবা)
!
---- প্লিজ আমার সংসারটা ভেঙ্গে যাবে
প্লিজ ছেড়ে দাও আমাকে!
!
-- এদিকে তোবা দৌঁড়ে গিয়ে দরজা খুলেই
কথাকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগলো; আপু
আমাকে বাঁচাও তোমার বর আমার সাথে!
আপু আমি আর কিছু বলতে পারবো না!
!
-- তোবা কি বলছো এইসব আমি তোমার বড়
ভাইয়ের মতো। প্লিজ মিথ্যা অপবাদ
দিয়োনা আমায়!
!
--- কথা চেয়ে দেখে আমার পায়ের সামনে
তোবার উড়না পরে আছে। তোবার জামা
ছেঁড়া। রাজ তুমি এতটা দুশ্চরিএ তা
কোনদিনই ভাবতে পারিনি। (কথা)
!
--- কথা প্লিজ বিশ্বাস করো তুমি যা
ভাবছো, তা ভুল ভাবছো! তোবা আমাকে
ভালবাসে আমাকে পাওয়ার জন্য এমন
করছে। ( আমি)
!
-- আপু তুমি জানোনা, আমি প্রেম
ভালবাসা পছন্দ করিনা। আর আমি তো
তোমার সাথে সব শেয়ার করি। ( তোবা)
!
-- তোবা প্লিজ আল্লাহর দোহাই লাগে আর
একটি মিথ্যাও বলোনা। ( আমি)
!
-- আপু তোর বর আমাকে ভালবাসার কথা
বলে! জোর করে কিস করেছে! আপু আমাকে
বাঁচাও। অসভ্যটা আমাকে ওইসব করতে
চেয়েছিল।কথাগুলো বলে কথাকে জড়িয়ে
ধরে কাঁদতে লাগলো তোবা।
!
-- বোনটা না ভালো কাঁদিস না প্লিজ।
আমার সোনা বোন তোর কেউ কিছুই করতে
পারবেনা না তোর বোনটা কী মারা
গেছে! (কথা)
!
----- তোবা এমন কথা বলতে তোমার মুখে
আকটায় না। একটা মেয়ের সতীত্বটাই সব
আর তুমি নিজে ছিঃ কেন করছো এসব।
প্লিজ আর কোন অভিনয় করো না তোবা
( অনেকটা করুণার সুরে আমি)
!
--- ঠাস- ঠাস, চড় বসিয়ে দিয়ে বলতে
লাগলো, তোর লজ্জা করেনা। তুকে আমার
ভালো করে চেনা আছে। যে আমাকে
পাওয়ার জন্য নিজের বন্ধুকে এ পর্যন্ত বলে
থেমে গিয়ে আবারো বলতে লাগলো; তোর
শার্টে তো এখনো লিপিস্টিকের দাগ
লেগে আছে কেমনে মিথ্যা বলিস। (কথা)
!
-- কথার চড় খেয়ে মাথাটা নিচু করে আছি।
চোখ থেকে পানি টপ - টপ করে পড়ছে। মনে
মনে বলছি আল্লাহ তুমিতো জানো,
সত্যিটা।জানি পৃথিবীর সবাই বিশ্বাস
করবে আমি দুশ্চরিএ কিন্তু সবাই যা না
দেখে তা, 'তো, তুমি দেখো। আল্লাহ তুমি
তো জানো কথা অন্তঃসন্তা থাকার পরও
তার সন্তানের পৃথিবীতে মাথা উচু করে
বেঁচে থাকার জন্য তাকে বিয়ে করি সবই
তুমি জানো। আল্লাহ আমি পারছিনা, আর
তোমার কাছে নিয়ে নাও কাউকে এতো
ভালবাসার পরও কেও আমাকে একবিন্দু
বিশ্বাস করে না।
!
---- তোবা, মা- বাবা আসলে কিছু বলিস না।
আর তুই লুচ্চা ওখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেনো
বের হয়ে যা। তোর মুখটা দেখাও পাপ।
প্লিজ দয়া করে আমাদের বাসা থেকে বের
হয়ে যাহ্ দুশ্চরিএ লুচ্চা। (কথা)
!
--- কথা,, বিশ্বাস করো আমি তোমাকে
আমার নিজের থেকেই বেশি ভালবাসি।
প্লিজ আমায় ভুল বুঝনা! ( আমি)
!
--- চুপ আর একটি কথাও নাহ্। লজ্জা করেনা
ওই মুখে ভালবাসার কথা বলতে। আশা করি
চলে যাবি তুই! ( কথা)
!
--- নিজের স্ত্রীর মুখে এমন কথা শুনে
নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারলামনা।
কথাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে এসে
পড়লাম।
!
---- রাজ,তুই একা আসলি যে? বউমা আসলো
না! ? ( মা)
!
-- মা কথা তার বাবার সাথে আসতে
চাইলো আমি আর না করিনি!
!
---- মা ভাইয়া, পঁচা আমার কিউট
ভাবীটাকে ইচ্ছা করেই নিয়ে আসেনাই। ওর
মুখ দেখে তাই বুঝা যাচ্ছে। ভাইয়া তুমি
এতো কেয়ারলেস কেনো? নিজের
কেয়ারতো নাওরি না, ভাবীর ও না। তুমি
জানোনা ভাবী অন্তঃসন্তা, কিছুদিন পর
আমাদের ঘরে নতুন মেহমান আসবে। ( রিও)
!
--- নতুন মেহমানের কথা শুনে বুকটা কেমন
করে ওঠলো। কথার গর্ভে আমার সন্তান না
তার পরও মনে হচ্ছে আমি বাবা। মনে
পড়তেই মনটা ভরে যাচ্ছে। কিন্তু কথা তো
আমায় ভালবাসেনা,। এসব ভাবতে ভাবতে
কখন যে চোঁখটা ভেজে যাচ্ছে। আর কিছু
ভাবতে পারছিনা, তাই দরজা টা লাগিয়ে
শুয়ে পড়লাম।
!
-- রাজ চলে যাওয়া পর কথা ভাবছে ;রাজ
আমার জীবনটা তো নষ্টই করেছে এখন
আমার বোনের জীবনটাও নষ্ট করে দিতে
চাচ্ছে। আমার মৃত স্বামীর কসম আমি
আমার স্বামী হত্যার বিচার করবো। আমার
রাজের বাসাতে যাওয়া উচিত। এদিকে
কথা বাসা থেকে একা রওয়ানা দিলে,
কথার মা কথার সাথে তোবাকে পাছিয়ে
দেয়। যাতে করে কথার সুবিধা হয়। কারণ
কথার এখন একা একা চলা বিপদজ্জনক। কথা
তার মায়ের কথা আর ফেলতে পারেনা।
সন্ধ্যা বেলা কথা আর তোবাকে তাদের
বাবা পোঁছে দিয়ে যায়।
!
--তোবা মনে,মনে ভাবছে এই কতদিন তাও
রাজের কাছা- কাছি থাকা যাবে!
!
-- সন্ধ্যা বেলা দরজা নর্ক করা আওয়াজে,
দরজা খুলতেই দেখে কথা ব্যাগ নিয়ে
দাঁড়িয়ে আছে। পাশে তাকাতেই তোবা
চোখ মারে !
!
--- মনে মনে বলছি আল্লাহ এই বিপদটা
আবার এখানে কেনো? ( আমি)
!
-- দরজার দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি ভাবছো?
( কথা)
!
-- তুমি না বলেছিলে আসবে না?( আমি)
!
-- মেয়েরা স্বামীর বাড়ি আশে বউ সেজে
বের হয় লাশ হয়ে। তোমাকে চাইলেই ছেড়ে
যেতে পারবোনা। ( কথা)
!
--- সত্যি?
!
-- কথা মনে মনে, ভাবছে আমি এসেছি
আমার স্বামীর খুনির প্রতিশোধ নিতে।
আমার বোনের সত্বিত্বের দাম নিতে!
!
--- কি হলো কি ভাবছো? (আমি)
!
--- নাহ্ কিছুনা।
--- রাতের খাওয়ার পর, কথা রাজকে বললো ,
রাজ তোমাকে চড় দেওয়ার জন্য সরি। আর
হ্যাঁ তোবার সাথে ওমনটি করা তোমার
ঠিক হয়নি। আশা করি পরবর্তীতে এমন কিছু
আর দেখতে না হয়।তোমাকে একটু ভালো
মনে করতাম তাও আজ শেষ করে দিলে।
(কথা)
!
--- কথা বিশ্বাস করো তুমি এখনো আমাকে
ভুল বুঝছো! (আমি)
!
-- আচ্ছা ঘুমাও কথা বললেই কথা বাড়ে।
!
-- কথার মনে হচ্ছে রাজের রক্ত দিয়ে
গোসল করে। কিন্তু না এখন নাহ্। রাতে রাজ
ঘুমিয়ে গেলে কথা রাজের কপালে আলতো
করে চুমু দেয়। রাজ সজাগ পেয়ে যায়, রাজও
কথাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,। কথা
রাজের গলার নিচে, কিস করতে লাগলো।
রাজও কিস করতে লাগলো। কথার গরম
নিঃশ্বাস পড়ছে রাজের মুখের ওপর।
একপর্যারে দুজন - দুজনের ঠোঁটের সাথে ঠোঁট
মিলিয়ে দিলো। মনে হচ্ছে এক অজানা
ভালবাসার সাগরে হারিয়ে যাচ্ছে। রাজ
আজ অনেক খুশি, কথা তাকে স্বামী
হিসেবে মেনে নিয়েছে। হঠাৎ কথা ছুড়ি
রাজের বুকে চালিয়ে দিলো বুক ছিঁড়ে
ফেলকি দিয়ে রক্ত পরছে। কথা রাজের
মুখটা চেপে ধরেছে। রাজের রক্ত গড়িয়ে
বিছানা ভেসে যাচ্ছে। মৃত্যু যন্ত্রণায় ছট-
ফট করছে। হা, হা, হা, এই দিনটির জন্যই
আমি অপেক্ষায় ছিলাম। আজ আমি স্বামী
হত্যার প্রতিশোধ..........
.
.
♥-----"To be Continue"---♥

গল্প:-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে"" ♥
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- ০৩ ~~~ ♥
.
.
কি বলছিস নুসরাত তোর এখন এসব বলার
সময়! পিছন দিকে তাকাতেই দেখি কথা
রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে!
!
--- কেন কখন বলবো আমাকে ঠকিয়েছিস তুই।
তুই একটা প্রতারক। এইটা তোর কাছ থেকে
কখনো আসা করিনি। বাহ্ মেয়েটাও তো
আমার চেয়ে সুন্দর। ইচ্ছা করছে তোকে খুন
করে জেলে যাই এখন(নুসরাত)
!
--- নুসরাত একটিবার আমার কথাগুলো শুন।
তারপর তুই যা বলবি তাই মেনে নিবো
( আমি)
!
-- ছিঃ তোর সাথে তোর মতো বেঈমানের
সাথে আমার কোন কথা থাকতে পারেনা!
আমি এই বিয়ে মানিনা! ( নুসরাত)
!
----হঠাৎ কথা নুসরাতের মুখে এমন কথা শুনে
জোরে আমার গালে চড় বসিয়ে দিলো।
আমি ভাবতেও পারিনি কথা আমাকে চড়
দিবে। মাথাটা নিচু করে ফেললাম। এদিকে
কথার এমন ব্যবহারে নুসরাতও চুপ হয়ে
গেলো। নুমরাত এমনটি হবে আশা করেনি।
!
---- ভাবী একি করলেন? রাজকে চড় মারলেন।
আপনি রাজকে চড় মারতে পারলেন। চড়
মারতে আপনার একটুও হাত কাপলো না?
আপনারা না ভালবেসে বিয়ে করেছেন।
আমার তো ভাবতেও লজ্জা করছে এই
আপনাদের বিশ্বাস। ( নুসরাত)
!
--- আপনি চুপ করেন। আপনার সাথে সম্পর্ক
তাহলে আমার জীবনটা নষ্ট করলো কেন
বিয়ে করে। ছিঃ রাজ ভাবছিলাম তুমি
আমাকে ভালবেসে এসব করেছো। আসলে
তোমার মতো ছেলে কখনো কাউকে
ভালবাসতে পারেনা। লজ্জা করেনা সহজ -
সরল একটা মেয়ের সাথে ৮ বছর প্রেম করে
অন্য মেয়েকে ভালবাসার কথা বলে বিয়ে
করা। ( কথা)
!
--- কথার মুখে এমন কথা শুনে নিজের
অজান্তেই চোখে পানি এসে গেরো। যাকে
এতো ভালবাসলাম অন্তঃসন্তা থাকা
সন্তেও বিয়ে করলাম। কিন্তু কখনো সে
আমার ভালবাসাটা বুঝল না। শুধু ভুলটাই
বুঝে গেলো। এসব ভাবছি আর নুসরাতের
দিকে চেয়ে আছি। নুসরাত কেমন যানি
অসহায়রের মতো চেয়ে আছে আমার দিকে!
!
-- ভাবী আপনারর কোথাও কিছু ভুল হচ্ছে?
( নুসরাত)
!
--- নাহ্ আমার কোন ভুল হয়নি। ভিল হয়েছে
তখন না যেনে দুশ্চরিএটাকে বিয়ে করা!
( কথা)
!
-- ভাবী স্টপ অনেক হয়েছে আর না। কাকে
আপনি দুশ্চরিএ বলছেন রাজকে? শুনেন
তাহলে রাজ আর আমি সেই ছোট বেলা
থেকে বন্ধু। এমন কোন জিনিস নেই যে
আমরা শেয়ার করিনি। রাজ আমার সবচেয়ে
ভালো বন্ধু। ভেবেছিলাম তার বিয়েতে খুব
আনন্দ করবো। কিন্তু হারামিটা হুট- হাট
করেই বিয়ে করে নিয়েছে। একমাএ বন্ধু তো
তাই ওর বিয়ের কথা না জানতে পেরে খুব
কষ্ট পেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম
হারামিটার সাথে কোন দিন দেখাই করবো
না। কিন্তু পারলাম না তাই তোমাদের
দেখতে এসে পড়লাম। আমি আগে যদি
জানতাম পরিস্হিতি এমন হবে তাহলে
কখনোই আসতাম না! ভাবী আমার বিয়ে
ঠিক হয়ে গেছে। ৩ বছরের সম্পর্কের ইতি
শেষ হবে আগামী শুক্রবারে। আমার আর
জিহাদের বিয়ের দাওয়াত দিতেই
এসেছিলাম। (নুসরাত)
!
-- সরি রাজ তোমরা দুজন আমাকে ক্ষমা
করে দাও। নুসরাত আপু আমি না বুঝে ভুল
করে ফেলেছি ক্ষমা করে দিয়ো! ( কথা)
!
-- ক্ষমা চাওয়ার কিছু নেই আপু! তবে একটা
কথা ভালবাসার মানুষের ওপর সবসময়
বিশ্বাস রাখবেন।আর এই আমাদের বিয়ের
কার্ড তোমরা দুজন অবশ্যই আসবে নইলে
আমি বিয়ের করবো না। আর আঙ্কেল আন্টি
আর রিওকে বলে দিয়েছি তারাও যাবে।
( নুসরাত)
!
--- হুম আপু অবশ্যই যাবো।( কথা)
!
--- রাজ! দোস্ত তাহলে আসি! দেখা হবে
আবার।(নুসরাত)
!
---আচ্ছা দোস্ত ভালো থাকিস! ( আমি)
!
-- নুসরাত চলে গেলে সুফায় এসে বসে
পড়লাম!
!
-- রাজ! তোমাকে চড় দেয়া ঠিক হয়নি ক্ষমা
করে দিয়ো আমায়? ( কথা)
!
--- নাহ্ ঠিক আছে ।তোমার জায়গায় অন্য
কেউ হলেও তাই করতো! ( আমি)
!
--- ভাইয়া - ভাবী তোমরা কোথায়। ফ্রেশ
হয়ে নিচে আসো দেখো কে আসছে? ( রিও)
!
--- এদিকে অনিচ্ছা সন্তেও কথা আমার হাত
ধরে নিচে নামলো। কথায় ছোঁয়াতে মনে
হচ্ছে এক অজানা যাদু আছে। মনটা কেমন
কেমন করছে। মনে হচ্ছে মনে কেউ হাতুড়ি
পিটাচ্ছে!
!
-- নীচে নেমেই দেখি সব আত্মীয় স্বজনরা
বসে আছে। সবাই বলা- বলি করছে রাজ আর
কথাকে খুব সুন্দর মানিয়েছে!
!
-- সবার সাথে কথা বলছি হঠাৎ পাশ থেকে
এক আত্মীয় আরেক আত্মীয়কে বলছে!"
জানিস রাজের বউয়ের চরিএ ভালো না
বিয়ের আগেই পেট বাঁধিয়েছে। তাই
তাড়াহুড়া করেই বিয়ে করিয়ে নিছে।
পাশের আত্মীয় বলছে এই জন্যই মানুষ বলে
সুন্দরের মাঝেই গলদ থাকে। মহিলাদের
কথা শুনে রাগে শরীরটা গজ-গজ করছে। তাই
সয্য না করতে পেরে বলেই ফেললাম
আপনাদের কোন সমস্যা যান এখন বাড়ি
থেকে বেড়িয়ে যাবেন। আপনাদের
কান্ডজ্ঞান নেই! কথা আমার স্ত্রী আর যা
করেছি তা ভালবেসে আমরা কোন অন্যায়
করিনি। রুমের মাঝে পিন-পিনে নীরবতা
বিরাজ করছে। পিছন দিকে তাকাতেই
দেখি কথা দাঁড়িয়ে আছে! চোখ দিয়ে
অঝরে পানি পড়ছে।
!
-- " বাবা এসব লোক যেন আমাদের বাসায়
না আসে! এই বলে কথাকে হাতে ধরে
টানতে টানতে উপরে নিয়ে গেলাম। সবাই
বিস্ময়ের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমাদের
দিকে! কথা কেমন যানি করুণ দৃষ্টিতে
আমার দিকে তাকিয়ে আছে। চোখ দিয়ে
পানি পড়ছে। রুমে যেতেই ---
!
-- ঠাস- ঠাস করে চড় দিয়ে বলতে লাগলো "
আজ তোর মতো খুনির জন্য সবাই আমার
গর্ভের সন্তানকে নিয়ে আজে বাজে কথা
বলছে। তুই যদি আমার স্বামীকে খুন না
করতি তাহলে কেউ আমার গর্ভের সন্তান
নিয়ে কথা বলতে পারতো না। কি দোষ
করেছিলাম আমরা।আজ সবার সামনে
মহিলাগুলো আমার চরিএ নিয়ে কথা বলছে।
মনে হচ্ছে তোকে খুন করে নিজে মরে যাই!
কথাগুলো বলে বিছানায় শুয়ে বালিশে মুখ
লুকিয়ে কাদতে থাকলো!
!
--- এদিকে কথায় মুখে এমন কথা শুনে চোখের
পানি আর বাঁধা মানছে না। যাকে নিজের
জীবনের চেয়ে বেশি ভালবাসি সে কীনা
আর কিছু ভাবতে পারছিনা!
!
-- বিকেলে, কথার মা বাবা আমাকে নিতে
আসে, সাথে কথার ছোট বোন তুবাও আসে।
.
রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমি কথা
আর তোবা বসে আছি।হঠাৎ তোবা বলে
ওঠলো " আপু তোর জামাইরের চরিএ ভালো
না!
!
--তোবার এমন কথা শুনে মনে হচ্ছে আকাশ
থেকে পড়লাম! মেয়ে এটা কী বলছে! এই যে
শালীকা, তুমি জানোনা? শালী মানে
অর্ধেক বউ তবুও আমি তোমার সাথে কিছু
করিনি!
!
---- অর্ধেক বউ বললেই হলো। আপু তোমার
বরকে চুপ করতে বলবা লুচু একটা! (তোবা)
!
--- কথা তোবার মুখে এমন কথা শুনে কেমন
যানি রাগি লুক নিয়ে তাকালো।
!
--- মনে মনে বলছি আল্লাহ কী এমন মেয়েকে
বিয়ে করলাম। মেয়েও যেমন মেয়ের
বোনটাও তেমন devil এর হাড্ডি।
!
-- তোবা কী করেছে তোর দোলা ভাই?
( কথা)
!
--- আপু তোর বরটা আমাকে! নাহ্ আমার
লজ্জা করছে বলতে পারবোনা! ( তোবা)
!
---- কী এমন কথা বলা যাবেনা বল বলছি?
( কথা)
!
---- আপু তোর বরটা কেমন করে যেন তাকায়
আমার ভয় করে। জানিসনা আপু আমি ছোট
মানুষ! ( তোবা)
!
--হুমম আমার বোনটা ছোটই। ( কথা)
!
--- জানিস আপু তোর বরটা কেমন করে
তাকায়। আর আমাকে চোখ ইশারা দিয়ে,
ইয়ে দেখাইছে! (তোবা)
!
-- আমি তোমাকে যাই একটু ভালো ভাবতাম
কিন্তু তাও কিছু মনে করিনি। এখন আমার
ছোট বোনটার দিকে নজর দিয়েছে লুচুর
হাড্ডি বলে রাগে গজগজ করে চলে গেলো
বেড রুমে! ( কথা)
!
-- আল্লাহ এতো বড় অপবাদ শুনার আগে
উঠায় নিলে না কেন আমায়!
-- দোলাভাই কেমন দিলাম? এইটা আমার
পক্ষ থেকে আপনার জন্য ছোট্ট গিফট।
আমার সাথে কথা বলেন না আমি কি
দেখতে খারাপ। রাতে বুঝবেন কত ধানে কত
চাল। এই বলে তোবা চলে গেলো।.
.
-- রাজ তোমার পায়ে পড়ি আমার জীবনটা
নষ্ট করে দিয়েছো কিছু বলেনি। কিন্তু
আমার ছোট্ট বোনটার কোন ক্ষতি করো না।
( কথা)
!
-- কথার দিকে না তাকিয়ে বিছানা থেকে
বালিশটা নিয়ে সুফায় শুয়ে শুয়ে ভাবছি
আল্লাহ এ কোন খেলায় ফেললে আমাকে!
(আমি)
!
--দুপুরে ফ্রেশ হতে যাওয়ার জন্য বার্থরুমের
দরজা ধাক্কা দিতেই যা দেখলাম তাতে
আর চেয়ে থাকতে পারলাম না। চোখ টা
বন্ধ করার আগেই কথার চিল্লানিতে হাত
দিয়ে কান দুটি ধরে ফেললাম।
!
--- অ্যা -অ্যা লুচ্চা তুই আমার সব দেখে
নিয়েছিস। তুই এতো খারাপ, জানিস আমি
শাওয়ার নিচ্ছি! ( কথা)
!
---আমি কিছু দেখিনি। তুমি ভুল ভাবছো!
(আমি)
!
----ওহ! তাই বুঝি তখন কিছু দেখনি। আচ্ছা
এখন দেখো, এই কথা বলে টাওয়াল টা খুলে
দিতেই আমি পিছন দিকে ঘুরে গেলাম।
!
-- লুচ্চামি করস তখন মনে থাকেনা।এখন
অন্যদিকে তাকিয়ে আসিস কেন সব দেখ
খুলে দিয়েছি দেখ তাও তোর লুচ্চামি বন্ধ
কর। ( কথা)
!
---- মিস কথা আপনি আমার স্ত্রী আমি
ইচ্ছা করলেই আপনার প্রতিটা অঙ্গ প্রতঙ্গ
দেখতে পারি।। কিন্তু না আপনি মন থেকে
যে পর্যন্ত না চাইবেন ততদিন আপনার ওই
সব দেখা তো দূরের কথা ইচ্ছাকৃত ভাবে
আপনাকে ছুঁয়েও দেখবোনা। (আমি)
!
-- চুরের মুখে রাম নাম! ( কথা)
!
-- আর হ্যা টাওয়ালটা পড়ে নাও তোমার সব
দেখা যায়! এই বলে বের হয়ে এসে পড়লাম
( আমি)
!
-- রাজের কথা শুনে কথার হুশ ফিরে।
তাকিয়ে দেখে টাওয়াল নিচে পড়ে আছে।
তাড়াহুড়া করে টাওয়াল টা পড়ে বার্থরুমে
বসে পড়ে। মনে মনে ভাবতে লাগলো
আসলেই কী খুনিটা কী আমার সব দেখে
নিয়েছে। ( কথা)
!
--- এদিকে কথা ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আর
আমার দিকে তাকায়নি। ভেজা চুলে খুব
সুন্দর দেখাচ্ছে কথাকে।মনে হচ্ছে কথার
খোঁপায় একটা বকুল ফুল গুজে দেয়।
!
-- হঠাৎ দোলাভাই রেডি হোন। আপু রেডি
হও বাসায় যাবো মা রেডি হতে বললো
তোমাদের। ( তোবা)
!
--- এদিকে শুশ্বরবাড়ীতে দিনগুলি ভালোই
কাটছিল।
!
-- এভাবে কয়েকদিন চলে যায়।
-- কথা রান্না করছে। কথার মা বাবা তার
নানা বাড়ীতে গিয়েছে। হঠাৎ কথা তার
বেড রুম থেকে কারো চিল্লাচিল্লির
আওয়াজ শুনতে পায়। দৌঁড়ে রুমের কাছে
গেতেই দেখে রুমের দরজা বন্ধ।ভেতর থেকে
তোবা বলছে। ছেড়ে দেন আমাকে! প্লিজ
কাছে আসবেন নাহ্। প্লিজ আর এক পা
আমার সামনে আসবেন। কি করছেন আপনি।
আপু কোথায় তুমি। বাচাও এই লুচ্চা টা
আমাকে """""(তোবা)
!
-- এদিকে কথার বুঝতে বাকি রইলে রাজ
তার ছোট্ট বোন তোবাকে! ছিঃ ভাবতে
পারছেনা আর কিছু! কথা জুরে জুরে দরজা
ধাক্কা দিচ্ছে। আর বলছে রাজ প্লিজ
আমার বোনটাকে ছেগে দাও --- ( কথা)
!
-- ভেতর থেকে তোবার আতৎনাদ আপু বাচাও
আমাকে এই লুচ্চাটা আমার সর্বনাশ করে
ফেললো...!!!!
.
.
♥-----"To be Continue"---♥

গল্প:-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে"" ♥
.

লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- ০২ ~~~ ♥
.
.
রাজ প্লিজ চুপ করো। আমি আর এগুলো
শুনতে পারছিনা। ( কথা)
-- ওকে। তাহলে শুন অপশন নাম্বান
২.আমাকে যদি বিয়ে করো তাহলে তোমার
গর্ভের সন্তানটা পৃথিবীর আলো দেখবে
আর কেউ তাকে জারজ সন্তান বলবে নাহ্।
আর তোমার বাবা অপবাদের হাত থেকে
বেঁচে যাবে। এখন তোমার ইচ্ছা?
!
-- হুম! বাবা - মা, আর আমার নয়নের মনি
কলিজার টুকরা তোবার কথা এবং গর্ভের
সন্তানের জন্য নিজেকে কুরবাণী দিলাম।
তবে আমার কিছু শর্ত রয়েছে।(কথা)
-- আচ্ছা তোমার যেকোন শর্তে রাজি।
বলতে পারো কী এমন শর্ত সুইটহার্ট? ( আমি)
!
--আমার শর্ত হচ্ছে আমার উপর আমি না
চাইলে স্বামীর অধিকার দেখাতে পারবেন
না । আর কখনো আমার ইচ্ছা ব্যতীত
আমাকে ছুঁয়ে দেখতেও পারবেনা। বলেন
শর্তে রাজি? (কথা)
!
--- হুম তোমার সব শর্তে রাজি! কিন্তু
আমারো শর্ত আছে। ( আমি)
!
--- তোমার আবার কি শর্ত?
!
--- হা, হা, আমি তোমাকে অন্তঃসন্তা
থাকার পরও বিয়ে করছি শুধু কি ভালবাসি
বলে। নিশ্চয় কারণ আছে।( আমি)
!
--- মানে কি বলছো তুমি? তোমার অন্য কোন
ধান্দা নেই তো? আচ্ছা তোমার শর্ত বলো?
( কথা)
!
-- আমার একটাই শর্ত আমি যে খুন করেছি
সজিবকে তা তুমি জানো আর কেউ
জানেনা। আমি চাইছে তুমি ছাড়া পৃথিবীর
আর কেউ জেনে এ কথা না জানে, তোমার
গর্ভের সন্তানের কসম করে বলো? (আমি)
!
--- "রাজ তুমি কি আমার শরীলটাকেই
ভালোবাসতে যার জন্য নিজের ভাইয়ের
মতো বন্ধুটাকে খুন করলে। তোমার এতই
আমার শরীলের প্রতি লোভ তাহলে
সজিবকে না খুন করে আমাকে জোর করে
তো ধর্ষণই করতে পারতে"! কথাটা বলে কথা
কেঁদে দিলো
!
--- আমার শর্তে রাজি কিনা?
!
--- হুম! তোমার শর্তে রাজি। কথা মনে মনে
ভাবছে রাজ যেমন করে তার স্বামীকে
তার জীবন থেকে সরিয়ে ফেলেছে, তেমনি
রাজকেও কথা খুন করে তার স্বামী হত্যার
প্রতিশোধ নিবে। তাই গর্ভের সন্তানের
কসম করে বললো সজিবকে খুন করার কথা
কাউকে বলবে। কথা নিজের হাতে তার
স্বামী হত্যার প্রতিশোধ নিবে।
!
-- হুম! ধন্যবাদ। তবে আমার আর একটি ছোট্ট
শর্ত রয়েছে? ( আমি)
!
----হ্যা বলো তোমার ছোট্ট শর্ত হচ্ছে!
আমার সাথে শারীরীক সম্পর্ক করবে!
আমার শরীলের কোথায় কোথায় তিল আছে
কি রকম তা নিজ চোখে দেখবে
।শরীলটাই তো চাও। আচ্ছা বলো কখন
কোথায় করবে? কি চাও তুমি বিয়ে করতে
চাইলা তাও রাজি হয়ে গেলাম। আর কী
চাও বলো? ( কথা)
!
--- আপনি যতটা খারাপ ভাবছেন ততটা
খারাপ আমি না। আপনাকে ভালবাসি আর
ভালবাসার জন্য একটা নাহ্ হাজারটা খুন
করতে পারি!
!
-- ভালবাসা নামক পবিএ শব্দটি তোমার
মুখে মানায় না রাজ। আচ্ছা বাদ দাও
তোমার শর্ত বলো কী এমন শর্ত? তোমার সব
শর্তেই এখন আমার রাজি হতে হবে কেননা
তা নাহলে তুমি তো আমায় ব্লেকম্যাল
করবে। ( কথা)
!
-- তাহলে শুন, আমি জানি তুমি আমাকে মন
থেকে স্বামী হিসেবে মানবেনা বিয়ের
পর কিন্তু তবুও আমার কোন আফসোস নেই।
কিন্তু আমি চাইনা আমাদের জন্য মা বাবা
কষ্ট পাক! তুমি আমার, মা - বাবা সবার
সামনে স্ত্রীর অভিনয় করবে কেমন? (আমি)
!
--- হুম তোমার শর্তে রাজি! আমি এখন
আসি। ( কথা)
!
-- আচ্ছা যাও বাবাকে তোমাদের বাসায়
পাঠাবো বিয়ের কথা বলে! ( আমি)
!
-- কথা বাসায় আসতেই দেখে সবাই
ড্রয়িংরুমে বসে আছে। বাবাকে রাগি
রাগি দেখাচ্ছে!
!
--- কোথায় গিয়েছিলে? ( কথার বাবা)
!
-- ভয়ে ভয়ে বললো বান্ধবীর বাসায়! (কথা)
!
-- আচ্ছা বাদ দে! তোর বিছানায় নিচে
একটা ডাক্তারে পেসক্রিপশন পেলাম। তুই
নাকি অন্তঃসন্তা? কিভাবে পারলি
আমাদের মুখে চুনকালি দিতে! আমাদেরকে
তো বলতে পারতি তোর কাউকে পছন্দ!
কিংবা তোর ছোট বোনকে বলতে পারতি
বিয়ে দিয়ে দিতাম। তোবার মা নষ্টা
মেয়েকে বলো আমার বড় মেয়ে কথা মারা
গেছে। আর কোন দুশ্চরিএা মেয়ের জায়গা
হবে না আমার বাসাতে! এটা বলে বের হয়ে
গেলো ( কথার বাবা)
!
--- কথা তার বাবার মুখে এসব শুনে বাকরুদ্ধ
হয়ে গিয়েছে। কথা কেমনে বলবে কথা
নষ্টা না তাদের গর্ভে বৈধ সন্তান। কিন্তু
সজিব তো মারা গিয়েছে। কেমনে বিশ্বাস
করাবে সজিবকে ভালবেসে বিয়ে করে। আর
সজিবের সন্তানই কথার পেটে।
!
-- একবার ও আমাদের কথা ভাবলি না?
(কথার মা)
!
--- মা বিশ্বাস করো তোমরা যা ভাবছো
তা আমি না! ( কথা)
!
-- যাহ্ আমার চোখের সামনে থেকে দূর হয়ে
যাহ্! ( কথার মা)
!
---- কথা তার মায়ের কথা শুনে দৌড়ে গিয়ে
দরজা বন্ধ করে বালিশে মুখ লুকিয়ে কাঁদতে
লাগলো।আর মনে মনে বলতে লাগলো
আল্লাহ্ কি এমন অপরাধ করেছি আমি যার
কারণে আমাকে এমন শাস্তি দিচ্ছো।
আমি আর বাঁচতে চাইনা। আল্লাহ সুসাইড
করা পাপ তবুও এছাড়া আর কোন উপায় নেই!
একথা বলে ব্লেড দিয়ে হাতের শিরা
কাটতে যাবে তখনি! ক্রিং ক্রিং করে
মোবাইলটা বাজতে লাগলো। বিরক্তি
নিয়ে ফোনটা তুলতেই """
!
-- হাই সুইটহার্ট কেমন আছো?( রাজ)
!
----কথা কোন কথা বলছেনা। শুধু কাঁদছে।
আজকে এই রাজের জন্যই কথার এই
পরিস্হিতি। মনে হচ্ছে খুনিটাকে খুন করি
কথা!
!
--- আমার সুইটহার্ট কাঁদছে কেনো? ( রাজ)
!
--- বাবা যেনে গিয়েছে আমি অন্তঃসন্তা।
বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলছে। কি
করবো বলো? বাবাকে কি বলবো? (কথা)
!
-- তুমি কোন চিন্তা করোনা। আমি
বাবাকে সব বলবো। তুমি বিয়ের জন্য রেডি
হও বলে ফোন কেঁটে দিলো রাজ"
!
--- রিও মা কোথায় রে? ( রাজ)
!
-- রান্না ঘরে আছে। হঠাৎ মাকে কেন
ভাইয়া? (রিও)
!
--দরকার আছে। তুই যা এখন। মার কাছে
গিয়ে সব খুলে বললাম। মা বললো বাবা তুই
কিছু ভাবিস নি বলে আবারো রান্না ঘরে
চলে গেলো!
!
-- রাতে খাবার পর বাবার রুমে ডেকে
পাঠায় । খুব ভয় পাচ্ছি। কি যে বলবে
ভাবতে পাচ্ছিনা। ভয়ে ভয়ে বাবার সামনে
যেতেই ঠাস - ঠাস করে দুইটা থাপ্পর দিতেই
কলিজাটা কেঁপে ওঠলো। মনে হচ্ছে
আজকেই আমার শেষ দিন।
!
-- হঠাৎ, তুই এমন একটা কাজ করবি কখনো
ভাবতে পারিনা। তোর পছন্দ আগেই বলতে
পারতি। তাই বলে এই কাজ ছিঃ তোকে
নিজের ছেলে ভাবতে লজ্জা করছে।
( বাবা)
!
--- বাবা ক্ষমা করে দাও ভুল করে, করে
ফেলেছি।( আমি)
!
-- মেয়ের বাসার ঠিকানা দে হারামজাদা।
ভুল যেহেতু করছিস। আমাদের রক্ত এখন ওই
মেয়ের পেঁটে।( বাবা)
!
-- বাবা এতো সহজেই মেনে নিবে ভাবতে
পারিনি। বাবা কথার বাবার সাথে কথা
বললে কথার বাবা এসব ষুনে আর না করতে
পারেনি। ধুম- ধাম করে বিয়েটা হয়ে যায়।
!
-- বাসর রাতে শর্ত মতো একটা বালিশ আর
একটা কম্বল নিয়ে সোফাতে শুয়ে পড়ি।
মাঝরাতে কথার চিল্লানিতে ঘুম ভেঙে
যায়। আর বাকিটা তো আপনারা শুনলেন।
!
-- সরি, আমি স্বপ্নে ওইসব দেখে তোমাকে
থাপ্পর দিয়েছি।সে জন্য আমাকে ক্ষমা
করে দিয়ো। ( কথা)
!
--মনে মনে ভাবছি চড় মেরে আবার ঢং!
!
-- কি কিছু বলছোনা যে আর বিড় বিড় করে
কী বলো? ( কথা)
!
-- না ঠিকআছে কোন ব্যাপার না! (আমি)
!
-- ধন্যবাদ! যাও তিনটা বাজে ঘুমিয়ে পড়ো।
রাজ সুফায় চলে গেলে কথা শুয়ে শুয়ে
ভাবতে লাগলো যাক স্বপ্নের ঘুরে হলেও
খুনিটাকে থাপ্পর দিতে পেয়েছি। ( কথা)
!
-- এদিকে সুফায় শুয়ে শুয়ে ভাবছি বাসর
রাতে বউয়ের বুকে ঘুমাবো। পুড়া কপাল
আমার সুফাতে ঘুমাতে হচ্ছে এখন। হায়রে
ভালবাসা বানালে খুনি আমায়! এসব
ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে যায়। সকাল
হতেই দরজায় কে যেনো সমানে নর্ক করছে!
অনেক বিরক্তি নিয়ে দরজা খুলতেই দেখি
নুসরাত! এতোদিন পর নুসরাত কে দেখতে
পাবো কল্পনাতেও ভাবতে পারিনি।
!
- হঠাৎ নুসরাত আমাকে ধাক্কা দিয়ে
সুফাতে ফেলে দিয়ে বলতে লাগলো। তুই
আমাকে ঠকিয়ে বিয়ে করেছিস অন্য একটা
মেয়েকে। তোর সাথে ৮ বছরের সম্পর্ক কি
মিথ্যে ছিল। তুই না আমাকে প্রমিজ
করেছিস। এই তোর প্রমিজ, I hate you. i just
hate you raj ( নুসরাত)
!
-- কি বলছিস নুসরাত তোর এখন এসব বলার
সময়! পিছন দিকে তাকাতেই দেখি কথা
রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে......
.
.
♥-----"To be Continue"---♥

_গল্প:-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে""
.
.
#_100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- ০১/১৯ ~~~
.
.
#_______গাঁ থেকে কাপড়টা সরাতে গেলেই
মেয়েটা বলতে লাগলো " আপনি জানেন না
আমার গর্ভে দু'মাসের সন্তান? ( করুণার
সুরে)।তার পরও একি করছেন ছাড়েন বলছি,
ছাড়েন আমাকে! আমি জানি কলেজে সবার
সামনে আপনাকে চড় দেওয়া ঠিক হয়নি।
তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি । আমাকে
ক্ষমা করে দিন তবুও এখন আমার কোন ক্ষতি
করবেন না।আপনার পায়ে পড়ি প্লিজ
এমনটি করবেন না। আমার গর্ভে ২ মাসের
সন্তান!প্লিজ আমাকে ছেড়ে দেন।"কাকুতি
- মিনতি করেও সরাতে পারছেনা।
.
হাত দুটি শক্ত করে চেপে ধরেছে। আস্তে,
আস্তে চোখ দুটি বন্ধ হয়ে আসছে জোর করে
ঠোঁটের সাথে ঠোঁট দুটি মিলিয়ে দিলো।
দমঃ বন্ধ হয়ে আসছে। ঠোঁটে কামড় দিতেই
ওহ্ করে ওঠলো মেয়েটা । কিছু করার নেই
(কারিমাতুল জাহান কথার)চোখ দুটি বেয়ে
পানি পড়ছে। হাত পা গলা কাঁটা মুরগির
মতো নাড়াচ্ছে। অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট
করছে। তবুও ছাড়ছে না! হঠাৎ গায়ের ওপর
থেকে বিয়ের লাল শাড়ীটা টান দিতেই
বুকটা কেঁপে ওঠলো কথার।
!
-- তবুও ছাড়ছে না! হাত দিয়ে শাড়ী ধরে
রাখতে গেলে টান দিয়ে শাড়ি খুলে
ফেললো! কথার দু'চোখ বেয়ে পানি পড়ছে!
শাড়ীটা সম্পূর্ণ গা থেকে খুলে নিচে
ফেলে দিলো। প্লিজ আপনার আল্লাহর
দোহাই লাগে আমার গায়ে হাত দিবেন
না। আমার গর্ভের সন্তানের কথা ভেবেও
প্লিজ আমার সর্বনাশ করবেন না।
.
কিন্তু কথার কোনো কথায় শুনলো নাহ্
ছেলেটা কথাকে জোর করে কথার সারা
শরীল হিস্র পশুর মতো ভোগ করলো ।কথার
গায়ের কাপড় ছেঁড়ে ফেলছে। সারা শরীর
ব্যথা করছে কথার। বিছানার চাদর জড়িয়ে
কথা বিছানায় একপাশে গুটি-শুটি মেরে
কান্না করছে। কথার মনে হচ্ছে পুরুষ জাতির
মনে ভালবাসা বলতে কিছু নাই! একটা পশুও
হয়তো এমন করবে না। শুধু শরীরটাকেই
চিনে। বুকের বা পাশের দু আঙ্গুল নিচে যে
ছোট্ট একটা মন আছে তা যে জয় করতে হয়
একটা মেয়ের। কিন্তু তা না করে সরলতার
সুযোগ পেয়ে ছিঃ। কথা কিছু ভাবছে
পারছেনা! আবারো সে পশুটা আসছে! কথা
টেবিলে থাকা ফল কাঁটা ছুড়িটা নিয়ে
বলতে লাগলো" আর এক'পা যদি আমার
সামনে আসেন তাহলে নিজেকে শেষ করে
দিবো। বলে চিৎকার দিতেই!
!
-- রাজের ঘুম ভেঙ্গে যায়!রাজ ঘুম জড়ানো
কন্ঠে বললো কি হয়েছে কথা?
!
--- আপনি একটা পশু! আপনি আমার সামনে
আসবেন না।আপনাকে আমি স্বামী বলে
মানিনা।বলেই একটা থাপ্পর দিলো
রাজকে। ( কথা)
!
--রাজের বুঝতে বাকী হলোনা কথা কোন
দুঃস্বপ্ন দেখেছে! তাই কাছে গিয়ে বসলো।
কথা কেমন জানি ভয়ে জড়োসরো হয়ে
গেছে। এই কথা নাও পানি খাও। ( রাজ)
!
-- কথা পানি খাওয়ার পর চোখে মুখে পানি
দিয়ে বুঝতে পারলো কথা দুঃস্বপ্ন
দেখেছে। এখনো কথার গায়ে বিয়ের সে
শাড়ী। বাসর ঘরটা ফুলে -ফুলে সাজানো!
যেমনটা সাজানো ছিল দু'মাস আগে। আজ
কথার জীবনে দ্বিতীয় বাসর রাত । কথা
দু'মাস আগেই বিয়ে করেছে সবাইকে না
জানিয়ে। কথা জানে, কথার স্বামী
"সজিবকে" রাজ খুন করেছে কথাকে পাওয়ার
জন্য। এজন্য কথা রাজকে স্বামী হিসেবে
না মানলেও পরিস্হিতির স্বীকার হয়ে
বিয়ে করে !!
!
--- এজন্যই কথা রাজকে সহ্য করতে পারেনা!
রাজ কথাকে ভালোবাসতো সেই কলেজ
জীবন থেকেই! কিন্তু কথা কখনোই রাজকে
ভালোবাসেনি। কথা রাজতে সেফ বন্ধু
ভাবতো। কথা ভালোবাসতো সজিব কে!
তারা দুজন -দুজনকে ভালোবেসে সবাইকে
না জানিয়ে বিয়ে করে ! আর সজিবের
সন্তানই কথার গর্ভে বড় হচ্ছে । সজিব
রাজের হাতে খুন হলেও কোন প্রত্যক্ষদর্শী
সাক্ষী না থাকায় কথা কাউকে কিছু বলতে
পারেনা। কথা শুধু জানে রাজ কথাকে
পাওয়ার জন্য সজিবকে তার পথ থেকে
সড়িয়ে ফেলে!
!
---ওহ্ আপনাদের তো আমার পরিচয়টাই
দেওয়া হয়নি! আমি জিসান আহম্মেদ রাজ।
বাকিটা না হয় গল্প পড়তে পড়তে জেনে
নিবেন।
!
--- সজিব খুন হওয়ার পর কথা খুব কেঁদেছিল।
কথা কখনো ভাবতেই পারেনি রাজ তার
স্বামী সজিবকে খুন করবে। কারণ সজিব আর
রাজ বাল্যকাল থেকেই বন্ধু। মায়ের পেটের
ভাই। কথা কাউকে কিছু বলতে চেয়েও বলতে
পারেনি। শেষবারের মতো স্বামীর মুখটাও
দেখতে পারেনি।
.
দিন- দিন তাদের ভালবাসার ফসল
বাচ্চাটা কথার গর্ভে বড় হচ্ছে। যতই দিন
যাচ্ছে ততই কথা ভাবছে কী করবে গর্ভের
সন্তান নষ্ট করে ফেলবে! তা না হলে কি
করে সমাজে মুখ দেখাবে। সমাজ থেকে তো
বাবা- মাকে বের করে দিবে। সজিবকে
বিয়ে করার কথাও কেউ জানেনা। বাচ্চা
হলে সবাই জারজ সন্তান ডাকবে নাহ্ এটা
কী ভাবছি। কথার এখন সুসাইড করা ছাড়া
আর কোন উপায় নেই! সে মনে মনে
সিদ্ধান্ত নিল সে ব্রিজ থেকে লাফ দিয়ে
আত্মহত্যা করবে। বেলকুণিতে দাঁড়িয়ে
দাঁড়িয়ে এসব ভাবছে! হঠাৎ কিং কিং করে
ফোনটা বাজছে।
!
--- আননোন নাম্বার দেখে কাঁপা কাঁপা
হাতে ফোনটা তুলতেই ওপাশ থেকে """
-- হ্যালো, কথা আমি রাজ। তোমার সাথে
আমার কিছু কথা ছিলো।( আমি)
!
--- খুনি! তোর সাথে কোন কথা নেই! নিজের
ভালবাসাকে পাওয়ার জন্য যে নিজের
বন্ধুকে খুন করতে পারে তার সাথে আবার
আমি দেখা করবো। কখনোই না। ( কথা)
!
--ওহ! আচ্ছা আপনি যে অন্তঃসন্তা তা কী
কেউ জানে? ( আমি)
!
--- কি বলছো রাজ! তুমি কি করে জানো?
( কথা)
!
-- হা, হা, হা, আচ্ছা তোমার বাবা মাকে
কি বলতে হবে আপনারা নানা- নানী হতে
যাচ্ছেন। আপনাদের বড় মেয়ে কথা মা হতে
যাচ্ছে! (আমি)
!
--- রাজ! কোথায় দেখা করতে হবে বলো
আমি কাল তোমার সাথে দেখা করবো!
!
-- এইতো! কতো ভালো মেয়ে সবাইকে না
জানিয়ে বিয়েটা করার সময় এই বুদ্ধিটা
থাকলে আজকে এতো কিছু হতো না! আচ্ছা
কাল বিকেলে আলীশান হোটেলে আসবে।
( আমি)
!
--- ওকে! তবে তুমি ছাড়া কেউ যেনো না
জানে সজিবের সাথে আমার বিয়ে হয়েছে।
আর আমি অন্তঃসন্তা! ( কথা)
!
--- আচ্ছা!
!
--- বিকেলে খাবার অর্ডার করে বসে আছি।
হঠাৎ সেই চিরচেনা মাতাল করা চুলের গন্ধ
বাতাসে ভেসে আসছে! উপরের দিকে
তাকাতেই দেখি কথা! মনে হচ্ছে বাগানের
একটা তাজা গোলাপ! বাতাসে এলোমেলো
চুলগুলো উড়ছে। কাজল কালো হরিণীর মতো
চোখ জোড়া করুণ দৃষ্টিতে চেয়ে আছে
আমার দিকে! হঠাৎ কিসের জন্য ডেকেছো
আমাকে?
!
-- বসো বলছি( আমি)
!
-- হুম এবার বলো কী চাও আমার কাছে?
(কথা)
!
-- বেশি কিছু চায়না। তবে তোমাকে চাই!
!
-- সেটা কোনদিনই সম্ভব নয়।তুমি জানো
আমি বিবাহিত। আর আমি অন্তঃসন্তা।
তোমারই বন্ধু সজিবের সন্তান আমার গর্ভে
ওহ! কাকে বন্ধু বলছি তুমি তো আমার
স্বামীর খুনি। ( কথা)
!
-- ওহ! আমার কোনো সমস্যা নেই তোমার
হাজার বিয়ে হলেও সমস্যা নেই। আচ্ছা
শোনো! তোমার সামনে দুটো রাস্তা এক
তোমার আত্মহত্যা অন্যদিকে আমাকে
বিয়ে করা।
!
-- যদি আত্মহত্যা করো তাহলে তোমার
মাঝে জন্ম নেওয়া নিঃশ্বাপ সন্তানটা
মারা যাবে। লোকে তোমার বাবার দিকে
আঙ্গুল তুলবে বলবে নষ্টা মেয়ের বাবা।
পতিতা জন্ম দিয়েছিল তোমার বাবা। তুমি
মরে গেলেও এই অপবাদ থেকে রেহাই পাবে
না। আর তোমার ছোট বোন কী যেন নাম,
ওহ! সুমাইয়া ইসলাম (তোবা)। তুমার নামে
এমন কথা শুনে ভাবছো তার বিয়ে হবে।
কখনোই না। লোকে তোমাদের পরিবারকে
থুথু দিবে। দেখা যাবে তোমার বাবা
গাড়ির নীচে ঝাপ দিয়েছে। ( আমি)
!
--- রাজ প্লিজ চুপ করো। আমি আর এগুলো
শুনতে পারছিনা। ( কথা)
-- ওকে। তাহলে শুন অপশন নাম্বান
২.আমাকে যদি বিয়ে করো তাহলে তোমার
গর্ভের সন্তানটা পৃথিবীর আলো দেখবে
আর কেউ তাকে জারজ বলবে নাহ্। আর
তোমার বাবা অপবাদের হাত থেকে বেঁচে
যাবে এখন তোমার ইচ্ছা।
!
-- হুম! বাবা - মা, আর আমার নয়নের মনি
কলিজার টুকরা তোবার কথা এবং গর্ভের
সন্তানের জন্য নিজেকে কুরবাণী দিলাম।
তবে আমার কিছু শর্ত রয়েছে।(কথা)
.................. 
.
.
-----"To be Continue"---

image