২০১৯ বিশ্বকাপের সম্পূর্ণ সূচি | #২০১৯ বিশ্বকাপের সম্পূর্ণ সূচি

২০১৯ বিশ্বকাপের সম্পূর্ণ সূচি

২০১৯ বিশ্বকাপের সম্পূর্ণ সূচি

২০১৯ বিশ্বকাপের সম্পূর্ণ সূচি

সচেতন Youtuber দের জন্য নতুন আপডেট ইউটিউবের। এক্ষুনি দেখে সচেতন হোন। | #সচেতন Youtuber দের জন্য নতুন আপডেট ইউটিউবের।

সচেতন Youtuber দের জন্য নতুন আপডেট ইউটিউবের। এক্ষুনি দেখে সচেতন হোন।

সচেতন Youtuber দের জন্য নতুন আপডেট ইউটিউবের। এক্ষুনি দেখে সচেতন হোন।

সচেতন Youtuber দের জন্য নতুন আপডেট ইউটিউবের। এক্ষুনি দেখে সচেতন হোন।

Android ফোন এ স্ক্রিন লক থাকা অবস্থায় যে কাউকে কল দিন | #Android ফোন এ স্ক্রিন লক থাকা অবস্থায় যে কাউকে কল দিন

Android ফোন এ স্ক্রিন লক থাকা অবস্থায় যে কাউকে কল দিন

Android ফোন এ স্ক্রিন লক থাকা অবস্থায় যে কাউকে কল দিন

Android ফোন এ স্ক্রিন লক থাকা অবস্থায় যে কাউকে কল দিন

Play store এর যেকোন paid app download করুন সম্পূর্ণ ফ্রিতে | #paid app download

Play store এর যেকোন paid app download করুন সম্পূর্ণ ফ্রিতে

Play store এর যেকোন paid app download করুন সম্পূর্ণ ফ্রিতে

Play store এর যেকোন paid app download করুন সম্পূর্ণ ফ্রিতে
Faruk mia changed his profile picture
6 yrs

image

গল্প :-
--------""অহংকারী মেয়ে""" ♥
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.

★-------পর্ব :- ০৩ ~~~
.
.
তখন কি আমাকে মারবি?(এনি)
-আমি কি এসব বলছি?(শান্ত)
-তোর কথায় বুঝা যায় তুই আমাকে ভয় দেখাচ্ছিস
-তোমার মাইন্ড ঠিক করো বলে শান্ত রুমে চলে যায়।
সন্ধ্যার দিকে এনির বন্ধু বান্ধবী ১০-১২জন তাদের বাসায় আসে।
কখনো এতগুলো বন্ধু একসাথে আসে নাই, আজকে আন্টি আর আংকেল নাই তাই হয়তো তাদের নিয়ে আসছে।
বন্ধুরা আসার পরে এনি শান্তকে ডাক দেয়।
-কেমন আছো সবাই(শান্ত সবাইকে উদ্দেশ্য করে)
-ভালো তুমি কেমন আছো?(সবার আগে জুই)
-হ্যা ভালো
-তোকে ডাক দিছি ওদের সাথে কথা বলতে না
-ওহহ স্যরি , কিসের জন্য ডাকছো?
-ঐ রুমটা পরিষ্কার কর
-অন্য সব রুম ই তো খালি আছে,ঐ রুম কেনো?
-বারবিকিউ পার্টি হবে, সেখানে হালকা নাচানাচি হবে, তাই পরিষ্কার করতে হবে
-ওহহ
-হ্যা, যা কাজে লাগ
শান্ত তখন সবার দিকে চেয়ে একটা মুচকি হেসে রুমে ডুকে কাজে লেগে যায়।
শান্ত কাজ করার সময় লজ্জা পায় না কিন্তু আজকে কেমন জানি আনইজি লাগছে।তখন জুই রুমে ডুকে
-কিছু লাগবে?(শান্ত)
-এনি কি তোমাকে সারাক্ষণ এভাবে জ্বালা দেয়?
-না তো
-হয়ছে আমার কাছে লোকাতে হবে না,ঝাড়ু টা আমার কাছে দাও
-আরে এসব কি বলছো?
-হ্যা দাও
-না না তুমি ওখানে গিয়ে বসো আর ৫-৬ মিনিট লাগবে সবকিছু গুছিয়ে ঠিক করে নিবো
-ঝাড়ু টা দিতে বলছি
-তুমি কি আমাকে বকা আর থাপ্পর খাওয়াতে চাও?
-মানে?
-হুমম
-ও কি তোমাকে মারে ও?
-ওসব কিছু না
-তুমি কি প্রতিবাদ করতে পারো না?
-গরীব তো তাই কেউ শুনবে না
-কে বলছে শুনবে না
-এই যে তুমি এসব বলছো না? এটা যদি এনি জানে তাহলে তোমার ও খবর করে ছেড়ে দিবে
-তোমাকে গ্রাম বাংলার একটা প্রবাদ বলি সেটা হলো, "মেয়েরা রাগলে হয় বেশ্যা আর ছেলেরা রাগলে হয় বাদশা"
এই কথাটা তুমি চারদিকে মিলিয়ে নিও
তুমি নিজের মন মানুষিকতা কাজে লাগাও
-এটা বাংলাদেশ, বলা সহজ, করে দেখিয়ে দেওয়া অনেক কঠিন
-হুম জানি, তাও ট্রাই করো
-করতাছি তো, অনার্স টা শেষ হউক তারপর কিছু একটা হবে
-হুমম বেস্ট অফ লাক।বলে চলে যাবে এমন সময় এনি রুমে ডুকে....
-ভালোই আড্ডা দিচ্ছিস(এনি)
-দেখতে আসলাম কি কাজ করছে(জুই)
-ওহহ তুই হেল্প করছিস নাকি?
-চাইছিলাম কিন্তু দেয় নাই
-যা বাহিরে যাহ
জুই বাহিরে যাওয়ার পরে এনি শান্তর দিকে অগ্নি চোখে চেয়ে বাহিরে চলে যায়।
রুম পরিষ্কার শেষে ৪টা সাউন্ড বক্স রুমে নিয়ে যায়।
সবকিছু ঠিকঠাক করে ওরা ওদের কাজ শুরু করে।
বাসায় কোনো রান্না না হওয়ায় শান্ত ফ্রিজ খুলে দেখে কতোগুলো বিয়ার আর মদের বোতল। এসব দেখে শান্তর চোখ কপালে উঠে যায়।
শান্ত ফ্রিজটা তারাতারি আটকিয়ে ছাদে চলে যায়।
ছাদে গিয়ে মোবাইলে লো বলিউমে গান লাগিয়ে আনমনে আকাশের দিকে চেয়ে আছে,এমন সময় জুই পিছন দিয়ে এসে
-যেভাবে চেয়ে আছ যেনো তারা গুনছো
-আজ আকাশটা অনেক সুন্দর লাগতাছে
-সুন্দর তো লাগবেই কারন সুন্দর মনের মানুষ আকাশের দিকে চেয়ে আছে(জুই)
-মানে?
-হুমম তোমার মন মানুষিকতা আসলেই অনেক ভালো
-তুমি যে এখানে আসছো এটা কি এনি জানে?
-না, ওরা নাচানাচি করছে
-ওহহ
-হ্যা
-তোমার নাম্বার টা কি দেওয়া যাবে?
-ছোটলোকের নাম্বার নিয়ে কি করবা?
-কথায় কথায় এটা বলো কেনো?
-কি করবো, আমি তো ছোট লোকই
-তোমার হাত পা সবই তো ঠিক আছে, সো হাত পা থাকতে কেউ ছোট লোক হতে পারে না।
-আচ্ছা এসব বাদ দাও
-কিছু খায়ছো?
-নাহ আজ রান্না হয় নাই
-নাও এটা খেয়ে নাও(জুই হাত বাড়িয়ে)
-আমার জন্য এসব করতে গেলা কেনো?
-কি করছি?
-এই যে এটা সবার চোখ ফাকি দিয়ে আনছো
-এটা আমার ভাগের খাবার, খেয়ে নাও
-তুমি ও খাও
তখন দুজন ভাগ করে খেয়ে নেয়।
খাওয়া শেষে...
-একটা কথা বলি?(শান্ত)
-লেডিসদের মতো কথা বলো কেনো? কি বলবা বলে ফেলো(জুই)
-পার্সোনাল তো তাই
-ওকে বলো
-তুমি কি ড্রিংকস করো?
-তাল মিলিয়ে চলতে হয়
-এসব না খাওয়া ই ব্যাটার
-জানি
-তাহলে খাও কেনো
-ওকে আর খাবো না বলে দুজনে ছাদের দোলনায় বসে গল্প করতে থাকে।
একসময় জুই শান্তকে প্রশ্ন করে....
-কাউকে পছন্দ করো? (জুই)
-এনির মা-বাবাকে(শান্ত)
জুই এই কথা শুনে ফিক করে হেসে দেয়।
-হাসো কেনো?
-তোমার কথা শুনে
-কি এমন বলছি যে হাসতে হবে?
-আমি বলছি কাউকে ঐভাবে পছন্দ করো কি না?
-না, গরীবের আবার পছন্দ
-আবার(রাগি মুখে)
-স্যরি
-আর বলবানা এসব বলে দিলাম
-ওকে
-তোমার ফেবারিট কোন কালার?
-নীল
-শুধু নীল?
-হুমম নীল রংটা আমাকে অনেক আকর্ষণ করে
-ওহহ
-হ্যা, তোমরা কি এসব জিন্স ছাড়া শাড়ি পরতে পারো না?
-পারি না
-তোমার মা তো মনে হয় পারে
-হুমম পারে
-তাহলে শাড়ি পইরো
-ওকে
-তোমাকে শাড়িতে অনেক মানাবে
-তাই নাকি?
-হুমম
-তোমার কি শাড়ি ভাল্লাগে?
-হুমম
-ওকে কালকে কলেজে শাড়ি যাবো
-ওকে
- এই তোনার ইচ্ছা হয় না কারো হাত ধরে হাটতে?
-এসবের ইচ্ছা হলে কল্পনায় ডুব দেয় তখন সব ইচ্ছা মিটে যায়।
-হি হি হি
-কি?
-কল্পনায় কার হাত ধরো?ইমমমমমম
-ফেইস টা নিয়ে ভাবিনায়
-হুমম ইচ্ছা হলে ভাবতে পারো
-মানে?
-বলতাছি ইচ্ছা হলে এই হাত ধরে হাটতে পারো(জুই হাতটা বাড়িয়ে)
ভালোই তো রোমান্স হচ্ছে(পিছন থেকে এনি)
-ত ত ত তুই.......?(জুই)
-ডিস্টার্ব করলাম নাকি?
-কে বলল?(জুই)
-তাহলে এত অবাক হচ্ছিস যে
-কিসের জন্য আসছিস বল
-তুই আমার বান্ধবী সেটা আমার ভাবতেও কেমন জানি লাগছে
-কেনো?
-তুই এমন সস্তা মনের জানা ছিলো না
-আরে আমি কি করলাম?
-তুই আমার বাড়ির কাজের ছেলের সাথে প্রেম করতে চাচ্ছিস সেটা দেখে বমি বমি ভাব হচ্ছে
-কেনো রে? ও কিভাবে কাজের লোক?
-হি হি হি ও কাজের লোক না?
ঐ ছ্যাচরা যা তো নিচ থেকে কিছু খাবার নিয়ে আয়।
শান্ত তখন দাড়িয়ে থাকে।
-ঐ তোরে কি বলছি?
তারাতারি যা বলছি না হলে খারাপ হবে
-যাচ্ছি
শান্ত তখন নিচে যায়।
-জুই তুই এসব করবি আমি ভাবতেই পারছিনা
-ও কি দেখতে সুন্দর না?
-হ্যা সুন্দর বাট তার চেয়েও সুন্দর ছেলে আছে
-তার চেয়ে সুন্দর কয়টা ছেলে আছে? আমাদের ফ্রেন্ডসিপের মধ্যে ও তারমতো একটা ছেলে নেয়
-ছি তোর নজর এমন নিচ জানতাম না বলে এনি নিচে নেমে যায়।
তারকতক্ষন পরে জুই ও নিচে নেমে যায়।
জুই নিচে গিয়ে দেখে এনি সোফায় বসে আছে আর বাকি সবাই নাচানাচি করছে।
এমন সময় শান্ত নিচ থেকে এনির কথা মতো সবকিছু নিয়ে তাদের রুমে প্রবেশ করে।
রুমে প্রবেশ করার সাথে সাথে..
কয়েকটা থাপ্পর দিয়ে
-তুই এই রুমে আসার সাহস পেলি কিভাবে?(এনি)
-স্যরি
-এই ছোটলোকের বাচ্চা এখানে যাদের দেখতে পাচ্ছিস তাদের জুতোটার মতো ও হতে পারোস নাই
-হুমম জানি বলে শান্ত চোখ দিয়ে দু ফোটা পানি ফেলে তার রুমে চলে যায়।
-জুই এটা দেখেও কোনো প্রতিবাদ করতে পারে নাই,জুই জানে এনি বদমেজাজি। কোন সময় কি করে বলা যায় না।
পার্টি শেষ হওয়ার পরে রুম থেকে শান্তকে ডেকে এনে সবকিছু গুছাতে বলে,শান্ত ও তখন সবকিছু ঠিকঠাক করে শান্ত নিজের রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে থাকে।
২দিন পরে ভার্সিটিতে যাওয়ার পরে জুই শান্তকে দেখে শান্তর কাছে আসে।
-কেমন আছো?(জুই)
-আলহামদুলিল্লাহ, তুমি?
-আমিও ভালো,এনি আর কিছু বলছে?
-ও প্রতিদিন ই আমার সাথে এমন করে
-আর তুমি সব সহ্য করে নাও
-এছাড়া আর কি করা যাবে?
আমার মতো লোক তো আর কারোর অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারবে না
-আমি স্যরি
-কেনো?
-আমার জন্যই তো ঐদিনের ঘটনা টা হলো
-আরে এটা কি বলছো? আল্লাহ কপালে রাখছে তাই হয়ছে
-নাহহহ
-একটা প্রবাদ আছে"যদি থাকে নসিবে আপনাআপনি আসিবে "
-এই প্রবাদটা কি পুরোপুরি সত্যি?
-হ্যা(শান্ত)
-নাহ একদম পুরো সত্যি না
-কিভাবে?
-মনে করো একটা চোর কোনো বাসায় চুরি করতে গেলো।বাসা থেকে সবকিছু বের করে যদি চোর টা বাড়ির কাছে বসে থাকে,সকালে কিন্তু চোরকে ধরে ফেলবে এবং মারবে। চোর যদি তখন বলে এটা আমার ভাগ্যে ছিলো তখন কি সেটা ঠিক হবে? আল্লাহতালা বলছে তুমি চেষ্টা করো,তুমি যদি একটা জিনিসের জন্য মন দিয়ে চেষ্টা করো তাহলে ইনশাল্লাহ কাজটা সাক্সেস হবেই। হ্যা আমি আবার পুরোপুরি কাজের কথা ও বলবো না।সব কিছুর ক্ষেত্রে কর্ম আর ভাগ্য দুইটা দুইটার উপর নির্ভরশীল।
আল্লাহ বলছে তুমি চেষ্টা করো আমি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।
-হ্যা তোমার কথায় যুক্তি আছে
-তুমি চেষ্টা করো, ইনশাল্লাহ পারবেই
-ওকে, এখন ক্লাসে যাবা না?
-হুমম যাবো, তুমি আলাদা যাও না হলে এনি আবার উল্টাপাল্টা ভাববে
-ওকে
শান্ত ক্লাস শেষ করে বাসায় ফিরে।
-ক্লাস কেমন চলছে?(এনির বাবা)
-জি আংকেল ভালো
-রেজাল্ট টা ভালো কইরো বাবা
-আংকেল দোয়া করবেন
-বাবা তোদের জন্য দোয়া না করলে কার জন্য করবো রে?
সামনে ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা, পূর্বের মতো আবারো সবাইকে পিছনে ফেলে তুই এগিয়ে যাবি
-জি আংকেল
-ফ্রেশ হয়ে খেতে আয়।
শান্ত সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ পরে ছাদে বসে আছে এমন সময় জুই ফোন দেয়।
-কি করো?(জুই)
-এইতো ছাদে বসো আছি,তুমি?
-রুমে বসে আছি
-ওহহ
-হ্যা,এনি কোথায়?
-বাসায় ই
-ওহহ
-হ্যা
-কালকে ফ্রি আছো?(জুই)
-হ্যা, কেনো?
-আমার সাথে একজায়গায় যেতে পারবে?
-কোথায়?
-নদীর পাড়ে হাটবো
-কোন সময়?
-বিকালে
-ওকে
পরেরদিন বিকালে জুই এর সাথে ঘুরতে বের হয়।
নদীর পারে দুজন একসাথে হাটছে আর কথা বলছে এমন সময় জুই হঠাৎ শান্তকে প্রশ্ন করে
-আমাকে তোমার কেমন লাগে?
-ভালো-ই লাগে
-ই হিসাবে কেমন লাগে
-কি হিসাবে?
-বুঝনায়?
-বুঝলে কি আবার প্রশ্ন করতাম?
-আমাকে বউ হিসাবে কেমন লাগবে?
-লাল শাড়িতে হেব্বি মানাবে
-ওহহহ শিট
-কি?
-ভালোবাসি
-কাকে.....?.
.
.
♥-----"To be Continue"----♥
.

গল্প :-
----------""অহংকারী মেয়ে"" ♥
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
★-------- পর্ব :--- 2 ~~~
.
.
শান্তর আশে পাশের চেয়ারে এনি আর এনির কিছু বন্ধু বসে আছে।হঠাৎ একটি মেয়ে এসে শান্তর সাথে বসে।
-হাই(মেয়েটি)
-হাই
-কেমন আছো?
-ভালো
-চলো
-কোথায়
-নিরিবিলি জায়গায়।
-কেনো?
-কথা বলবো
-না আমি যাবো না
-ভয় পাও নাকি?
-আমার ভালো লাগে না তাই যাবোনা,এখানে ভয়ের কি হলো?
তখন মেয়েটি শান্তর কাধে হাত রাখে
-ছাড়ুন বলছি
-না ছাড়লে কি করবা?
শান্ত তখন পিছনের দিকে চেয়ে দেখে এনির বন্ধুরা এসব দেখে হাসাহাসি করছে, শান্তর তখন বুঝার বাকি থাকলো না যে মেয়েটা কিসের জন্য তার সাথে এমন করছে।
-আমাকে এসব করে কি মজা পাও? একটু হাসাহাসি করো তাই না? আমার জায়গায় যদি তুমি থাকতে তাহলে কি করতা? আমি গরিব বলে এসব করো তাই তো?
-আসলে.....
-হয়ছে আর বলতে হবে না, এনি আমাকে সহ্য করতে পারে না।কিন্তু আমাকে সাথে করে নিয়ে আবার এখানেও আসছে।আমি আগেই জানতাম এনি আমাকে নিশ্চয় অপমান করার জন্য নিয়ে আসছে।
বলো তোমার সাথে কোথায় যেতে? আড়ালে নিয়া কিছু মার খাওয়াবা তাই তো? আড়ালে দরকার নেই আমার মতো ছ্যাচরা, ছোটলোক কে সবার সামনেই থাপ্পর মারা যায়। যেমন টা প্রায় সব ধনি লোকরা ই করে। আমাকে এখানেই থাপ্পর মারো, কিচ্ছু বলবো না বলে শান্ত চোখের পানি ছেরে দেয়।
মেয়েটি এসব শুনে তার হাসি মুখটা যেনো নিমিষেই খারাপ হয়ে যায়।
-স্যরি
-ছোট লোককে স্যরি বলা দরকার হয় না বলে শান্ত চেয়ার ছেরে উঠে গাড়িতে গিয়ে বসে থাকে।
রাত ৩বাজে তখন এনির মা শান্তর মোবাইলে ফোন করে।
-হ্যা আন্টি বলেন
-বাবা অনুষ্টান কি এখনো শেষ হয় নাই?
-প্রায় শেষ
-ওকে, তারাতারি এসে পর
-ওকে
শান্ত ফোন রেখে বাহিরে গিয়ে দেখে এনি সহ তার বন্ধু বান্ধবীরা নাচানাচি করছে।
শান্ত তখন নিজে নিজেই একটা হাসি দেয় আর বলে এটা-ই বুঝি বড়লোকদের নাচ।
শান্ত এনিকে ডাক দিয়ে মোবাইল দেখিয়ে ইশারা করে তখন এনি মোবাইল বের করে। দেখে তার মা তাকে অনেকগুলো কল দিয়ে রাখছে।এনি তখন সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে এসে পরে।
গাড়িতে উঠার পরে.....
-এই তারাতারি চালা(এনি)
-মদ পান করছো?
-বিয়ার খাইছি
-ওহহহ
-হ্যা
শান্ত বুঝতে পারে এটা হয়তো তাদের নিত্যদিনের অভ্যাস। না হলে একটু হলেও মাতাল হতো কিন্তু তাকে দেখে মনে হয় না সে মাতাল।
কয়েকদিন পরে শান্ত ভার্সিটিতে যায়।
ভার্সিটিতে যাওয়ার পরে
নিধির সাথে দেখা হয়।
নিধির সাথে একই টেবিলে ক্লাস করে বাসায় ফিরে।
শান্ত প্রায় সময় ই বিকালে সময় টা কাটায় ছাদে।
শান্ত ছাদে বসে বসে আর ভাবে আজ যদি আমার মা-বাবা থাকতো কতো ভালো হতো।
ক্লাস করে ডিরেক্ট মায়ের বুকে ফিরতে পারতাম।মা তুমি কেনো আমাকে ছেড়ে চলে গেলা? আমার কিছু ভালো লাগে না রে মা।মা তুমি যাওয়ার সাথে আমাকে কেনো নিয়ে গেলা না?
আমার সামনে যখন বন্ধুদের মেবাইলে মা নামে সেইভ করা নাম্বারে ফোন আসে তখন অনেক খারাপ লাগে রে মা।
সবার মোবাইলে মায়ের কল আসলেও আমার মোবাইলে আসে না।হ্যা আল্লাহ্ আমার মা-বাবাকে নিয়ে আমাকে কেনো একা রেখে তাদের নিয়ে গেছো?
এসব বলতে বলতে শান্ত একটু শব্দ করে কান্না করে দেয়।
কতক্ষণ পরে এনি আসে।
-ভালোই প্রেম করছিস(এনি)
-কে?
-তুই
-কার সাথে
-ওমাহহহহহ এত ভাব নিচ্ছিস কেনো?
-কে ভাব নিচ্ছে
-নিধির সাথে যেভাবে কথা বলিস, মনে হয় অনেক আপন কেউ
- আমার ভালো লাগছেনা প্লিইজজ আমাকে এখন কোনো পেইন দিও না
-কিহহহ আমি তোরে পেইন দেই?
-মাফ চাই এখন যাও
-এটা আমার বাসা, আমার যেখানে মন চায় আমি সেখানেই থাকবো, আমাকে তুই নামার কথা বলার সাহস পেলি কোথায়?
-স্যরি বলে নিচে নেমে যায়।
রাতের খাবার খাওয়ার সময়............
-তুই এখানে বসলি কেনো?(এনি)
-তো কোথায় বসবো?
-কুকুর যেমন মাটি থেকে কুড়িয়ে কুড়িয়ে খায় তুই ও তেমনি খাবি কারন তুই তো আমাদের বাসার কুকুর
-ওহহ আচ্ছা তুমি খাও আমি গেলাম
-যাহহহ
আজকে এনির বাবা ও এনির মা দুজনে বেড়াতে গেছে।এনির মা-বাবা সামনে থাকলে হয়তো এসব বলতে পারতো না।
শান্ত খেতে বসেও না খেয়ে চলো আসছে এনির কথার জন্য।
রাত শেষ হয়ে সকাল হয়।
এনি সকাল সকাল উঠে বের হয়ে যায়।
কতক্ষণ পরে শান্তর মোবাইলে একটা ফোন আসে।
-শান্ত কোথায় তুমি? (নিধি)
-এইতো বাসায়
-বাইরে বের হবা?
-হুমম কেনো কোনো কাজ আছে?
-পার্কের দিকে আসো
-ওকে
শান্ত বের হয় নিধির সাথে দেখা করার উদ্দ্যেশে। নিধি ই শান্তর রিয়েল ফ্রেন্ড কারন সবসময় শান্তর খবর নেয় শান্তর সাথে ক্লাস করে।
পার্কে যাওয়ার পরে নিধির সাথে আড্ডা দিয়ে রেস্টুরেন্টে ডুকলো তখন খেয়াল করে দেখে পাশের টেবিলে এনি আর ঐ ছেলেটা বসে বসে কথা বলছে আর হাসাহাসি করতাছে।
একসময় তারা বের হয়ে যায়।
৩০-৩৫ মিনিট পরে শান্ত ও নিধি ও বের হয়ে যার যার বাসার উদ্দ্যেশে চলে যায়।
শান্ত বাসায় যাওয়ার ৫-১০ মিনিট পরে এনির মোবাইল থেকে ফোন আসে।
-শান্ত ২৭ নাম্বার রোডের ৫নম্বর বাসায় তারাতারি আয় প্লিইজ
-কি হয়ছে
-তারাতারি আয় বলে ফোন কেটে দেয়।
শান্ত তখন গাড়ি নিজে ড্রাইভ করে জায়গা মতো গিয়ে দেখে ভিতর দিয়ে দরজা বন্ধ।
শান্ত কয়েকটা ধাক্কা দেওয়ার পরে দরজা খুলে।
দরজা খোলার সাথে সাথে ২টা মেয়ে এসে শান্তকে জড়িয়ে ধরে বলে কাকে পছন্দ হয়? নাকি দুজনের সাথেই করবা?
শান্ত মোটেও এসবের জন্য প্রস্তুত ছিলো না । শান্ত জোর করে তাদের হাত থেকে ছুটে এসে পরে।
বাসায় যাওয়ার পরে শান্ত এগুলো ভাবছে আর বলছে এনি আামকে এসব জায়গার ঠিকানা কেনো দিলো।
ওর ফোনের সময় তো মনে হয়ছিলো বড় কোনো বিপদে পরছে।
এনি বাসায় আসার পরে দেখে শান্ত তার দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে চেয়ে আছে।
-কিছু বলবি?
-আমার সাথে এসব করার মানে কি?
-কি করছি
-ফোন করে কোন জায়গার ঠিকানা দিছো?
-ওহ সেই ব্যাপার
-এসব করলা কেনো?
-হি হি হি
-এখানে হাসার কি আছে?
-আমি তো মনে করছিলাম তুই যাবি না,কিন্তু তুই তো গেলি
-মানুষের বিপদে মানুষ এগিয়ে যেতে হয় আর হ্যা এসব নিয়ে মজা করলে যেদিন সত্যিই বিপদে পরবা তখন কেউ যাবে না
-আমাকে তোর জ্ঞান দিতে হবে না
বলে এনি তার রুমে চলে গেলো।

-দোস্ত(এনির বান্ধবী জুই)
-হুম বল(এনি)
-শান্ত কি তোদের বাসায় থাকে?
-এটা কি তুই নতুন জানিস?
-তোদের বাসায় থেকে ও কিভাবে ক্লাসের টপ ছাত্র হয়?
-জানিনা, এত্তো প্যারা দেয় তা ও পড়ালেখা ঠিকঠাক চালিয়ে যায়।
-ওরে আর এভাবে জ্বালা দিস না
-কেনো?
-ভাগ্যের কথা তো বলা যায় না, একদিন তোর ভাগ্যে ও জুটতে পারে
-জুইইই (রাগি সুরে)
-দেখতে কিন্তু সেই লেভেলের কিউট
-তোর ফকিন্নি মার্কা নজরে এমন ই লাগবে বলে এনি জুইকে ছেড়ে ক্লাসে চলে যায়।
ক্লাস শেষে এনি সামনে চেয়ে দেখে শান্ত আর নিধি একসাথে হেসে হেসে কথা বলছে আর হাটছে।
এটা দেখে এনির রাগ আরো বেড়ে যায়।
এনি বাসায় গিয়ে দেখে শান্ত তখন ও বাসায় যায় নাই।
এনি বাসায় যাওয়ার ৩০-৩৫ মিনিট পরে শান্ত বাসায় যায়।
-এতক্ষণ কোথায় ছিলি?(এনি)
-তোমার কাছে বলতে হবে?
-এই ছোটলোকের বাচ্ছা , তোরে বলছি না আমাকে কখনো প্রশ্ন করবি না
-ওহহ
-বল কোথায় গেছিলি?
-নিধির সাথে তাদের বাসায় গেছি
-ওখানে গেলি কেনো? তাদের বাসায় কুকুর নাই? কুকুরের অভাব হয়ছে?
-তুমি তো ভালোই পড়ালেখা করো।
মানুষকে কুকুরের সাথে তুলনা করো।
-তুই মানুষ? আমার মনে নাই তো
-এনি একটা কথা মন দিয়ে শুনো,এখন আমি যেই পজিশনে আল্লাহ্ এর রহমতে একবছরের মধ্যে পজিশন টা চেইন্জ হয়ে যাবে।
-তখন কি আমাকে মারবি?
-আমি কি এসব বলছি?
-তোর কথায় বুঝা যায় তুই আমাকে ভয় দেখাচ্ছিস
-তোমার মাইন্ড ঠিক করো বলে.................
.
.
♥-----"To Be Continue"---♥

গল্প :--
-------""অহংকারী মেয়ে"" ♥
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
.
★------ পর্ব :- ০১ ~~~~
.
এনি :- এই ছোট লোকের বাচ্চা, ছ্যাচরা তুই আমার রুমে ডুকার সাহস কিভাবে পেলি?(এনি)
-তোমাকে চাচি আম্মা ডাকে(শান্ত)
-আমার রুমে ডুকলি কেনো?
-স্যরি
-এই ছোট লোক তোর কি কখনো আক্কেল জ্ঞান হবে না? কারো রুমে প্রবেশ করতে হলে অনুমতি লাগে। তুই কি অনুমতি নিছিস?
-না
-তাহলে প্রবেশ করলি কেনো?
-আর এমন হবে না
-আমার সামনে থেকে যাহহ।
এই হচ্ছে এনি। মা-বাবার একমাত্র মেয়ে। এনি মেয়ে হিসাবে বদমেজাজি। বাকিটা কেমন সেটা আপনারা গল্পে গল্পে দেখতে পারবেন।
আর শান্ত তার নামানুযায়ী খুবই শান্ত। শান্ত এতিমখানা তে বড় হয়। এতিমখানা থেকে এনির বাবা শান্তকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে।
এনি আর শান্ত একই বয়সের। দুজন একই ক্লাসে পড়ালেখা করে।এনি শান্তকে সহ্য করতে পারে না। শান্ত যেনো এনির চোখের কাটা।
-মা আমাকে ডাকছো?(এনি)
-হ্যা(এনির মা)
-তুমি ডাকলে শান্তকে কেনো আমার রুমে পাঠাতে হবে?
-কি হয়ছে?
-কি না হয়ছে বলো?
-কি হয়ছে সেটা তো বলবি
-জানো যে ওরে দেখলেই আমার গা জ্বলে তা ও কেনো এই ছোট লোকের বাচ্চাকে পাঠাও
-এই চুপ কর।তুই কি সারাজীবন এমন ই থাকবি?
-হ্যা আমি এমন ই থাকবো।ওরে আমার সামনে আসতে না করবা বলে দিলাম।
-আচ্ছা শোন যেটার জন্য ডাকলাম
-হুম বলো
-আজকে আমরা সবাই তোর বাবার বন্ধুর মেয়ের বিয়েতে যেতে হবে
-আমরা সবাই মানে?
-হুমম সবাই
-কে কে?
-তোর বাবা আমি তুই আর শান্ত
-তাহলে আমি যাবো না
-কেনো?
-শান্ত গেলে আমি যেতে পারবোনা
-গাড়ির ড্রাইভার আজকে আসবেনা
-গাড়ির ড্রাইভার হিসাবে যাবে?
-হুম, গোসল করে রেডি হ
-ওকে।
বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পরে শান্ত মনে মনে ভাবতে থাকে এখানকার সবাই কত দামি দামি পোশাক পরে আছে আর আমি? আমাদের মতো মানুষকে এই পৃথিবীতে পাঠানো হয়ছে মনে হয় এনিদের মতো মানুষের গোলামি করার জন্য।
এসব ভাবতে ভাবতে মন খারাপ করে ক্রিস্টিয়ানা পেরির সেড সং লাগিয়ে গাড়িতে বসে থাকে।
কতক্ষণ পরে এনির বাবা গাড়ির কাছে এসে শান্তকে ডাক দেয়।
-জি আংকেল কিছু বলবেন?
-তুমি গাড়িতে বসে আছো কেনো?
-এমনি
-চলো
-কোথায়?
-বিয়ের অনুষ্টানে
-না আমি যাবো না
-কেনো?
-এমনি
-এনির ভয়ে?
-না আংকেল
-তোমার আন্টি আমাকে সবকিছু বলছে।বাবা সবকিছুতে একটু কষ্ট করতে হয়। তোমার কষ্ট না হয় একটু বেশি হলো,আর আমি আর তোমার আন্টি কিন্তু তোমাকে আমাদের সন্তানের মতো দেখি।
-জানি আংকেল
-তাহলে চলো
তখন শান্ত এনির বাবার সাথে ভিতরে যায়।
শান্ত সেখানে তার ক্লাসমেট কে দেখে কথা বলতাছে তখন এনি তাকে দেখে ফেলে।
এনি দোখার সাথে সাথে রাগে তার নাক মুখ লাল হয়ে যায়।এনি তখন মনে মনে ভাবে তাকে সবার সামনে লজ্জা দিতে হবে এই বলে শান্তর সামনে যায়।
শান্ত এনিকে দেখে তার ভিতর তখন হালকা ভয় কাজ করে।
-শান্ত এদিকে আসো(এনি)
-কিছু বলবা?(শান্ত)
-হুমম এই বলে তাকে আড়ালে নিয়ে যায়। কতক্ষণ পরে সেখান থেকে বের হয়ে আসে।
এনি শান্তকে সবার সামনে এনে ঠাস ঠাস করে গালে কয়েকটা থাপ্পর বসিয়ে দেয়।
সবাই তখন সব কিছু বাদ দিয়ে তাদের দিকে চেয়ে থাকে।
বাংলাদেশের শাস্ত্র মতো একটি মেয়ের কিছু হলে তার পক্ষ ধরে যেমন ছেলেরা ছুটে আসে ঠিক তেমনি তার সময় ও এমন হলো।
কয়েকটা ছেলে শান্তকে ধাক্কা দিতে দিতে বাহির করে দেয়।
শান্ত তখন একটু শব্দ করে কান্না করে দেয়। শান্ত সে নিজকে নিজে প্রশ্ন করতে থাকে, আমি কি কোনো দোষ করেছিলাম? আমি তো দোষ করিনি তাহলে কেনো আমাকে সবার সামনে এমন করলো।
আমি কি এনির কোনো রকম ক্ষতি করছি?
ওরে দেখলে তো আমার ভয় হয় । তাও ও কেনো আমার সাথে এমনটা করলো। মা-বাবা নাই বলে হয়তো আজ এমন টা করলো।
এসব ভাবতে ভাবতে গাড়ির ব
ভিতর ডুকে গ্লাসগুলো আটকিয়ে কান্না করতে থাকে।
প্রায় ৩০-৩৫ মিনিট পরে এনির বাবা শান্তর কাছে ছুটে আসে।
শান্ত কি হয়ছে(এনির বাবা)
-চোখ মুখ হাত দিয়ে মুছে, কিছু না আংকেল
-এনি নাকি তোমাকে থাপ্পর দিছে?
-তা কিছু না আংকেল। আমাদের জন্মই তো মার খাওয়ার জন্য , কারন আমরা তো এতিম
-বাবা এভাবে বলিস না , বাড়িতে যাওয়ার এর শেষটুকু দেখবো।
সন্ধ্যার দিকে সবাইকে নিয়ে শান্ত গাড়ির ড্রাইভিং করে বাসায় ফিরে।
বাসায় আসার পরে শান্ত কান্না করতে করতে শান্তর রুমে চলে যায়।
শান্ত রুমে গিয়ে দরজা আটকিয়ে কান্না করতে থাকে।
কতক্ষণ পরে এনির রুম থেকে চিল্লাচিল্লির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। এমন আওয়াজ শুনে শান্ত রুম থেকে বের হয়ে যেটা দেখলো তাতে সে বিশ্বাস করতে পারলো না...........
.
এমন আওয়াজ শুনে শান্ত রুম থেকে বের হয়ে দেখে আংকেল এনির সাথে চড়া কন্ঠে কথা বলতাছে। তর্ক হতে হতে এক সময় এনিকে থাপ্পর মারে।
এনিকে থাপ্পর দেওয়ার পর এনি হঠাৎ চুপ হয়ে যায়।
-আংকেল ওকে মারছেন কেনো?(শান্ত)
-ও আস্তে আস্তে বেয়াদব হয়ে যাচ্ছে।ও যে আমার মেয়ে সেটা ভাবলে আমার কষ্ট হয়, আল্লাহ জানে কোন পাপের কারনে এমন মেয়ে আমাদের ঘরে জন্ম নিছে।
-থাক আপনি এসে পড়ুন বলে এনির বাবাকে শান্ত অন্য রুমে নিয়ে যায়।
কয়েকদিন পরে শপিং করার জন্য এনির বাবা এনির সাথে শান্তকে পাঠায়।
শান্ত যখন গাড়ি স্টার্ট করলো তখন........
-ঐদিকে পার্কের কাছে নিয়া যা(এনি)
-কেনো?(শান্ত)
-এই কুত্তারবাচ্চা এটা কি তোকে বলা লাগবে? তোকে আমার সাথে পাঠায়ছে আমি যা বলি তা করবি
-আমাকে বকলেও আমার মা-বাবাকে বকা দিবানা
-ওরে মাহহ রে,তুই কোন হাজী সাহেবের পোলা?
-আমার বাবার কথা মনে নাই কিন্তু আমার স্পষ্ট মনে আছে আমার মা আমাকে অনেক আদর করতো, ছোট বলের মধ্যে পানি নিয়ে আমাকে গোসল করিয়ে দিতো।
-হয়ছে তোর বকবকানি বন্ধ করে পার্কের কাছে নিয়া যা।
পার্কে নিয়া যাওয়ার পরে একটা ছেলে এসে এনিকে হালকা ভাবে জড়িয়ে ধরে।
শান্ত ভাবে হয়তো এটা ওর বয়ফ্রেন্ড।
-তোমার কাজিন নাকি?(ছেলেটা)
-না, এটা আমার সার্ভেন্ট(চাকর)(এনি)
-ওহহহ
-হুম চলো বলে হাত ধরে একটা দোলনাতে বসে।
কতক্ষণ কথা বলার পরে আসার সময় আরেকবার হাগ দিয়ে গাড়িতে উঠে পরে।
-তোমার বয়ফ্রেন্ড?
-এটা তোর না জানলেও চলবে
-ওহহ তা ও কথা
-শপিংমলে যা
-ওকে।
শপিং করে ফেরার পরে দুজন রেস্টুরেন্টে ডুকে।
এনি টেবিলে বসার পরে শান্ত যখন বসে।
-এখানে বসলি কেনো?(এনি)
-তুমি বসছো তাই
-জানোছ না তোর ফেইস দেখলে আমার গাঁয়ে জ্বর উঠে
-ওহহ স্যরি বলে শান্ত অন্য টেবিলে গিয়ে বসে।
শান্ত সব দিক দিয়েই স্মার্ট। শান্ত এনির সাথে এক ভার্সিটিতে কেমেস্ট্রি সাবজেক্টে অনার্স ৪র্থ বর্ষে পড়ালেখা করে।
শান্ত এত অবহেলার মাঝেও সে তার পড়ালেখা ঠিকভাবে চালিয়ে নেয়।
ভার্সিটিতে ক্লাস করে কম। আর কি কারনে কম করে সেটা তাদের ভিসি ও জানে। সবসময় ভালো রেজাল্ট করার কারনে ভিসি ও শান্তর সবকিছু ভেবে সেক্রিফাইস করে।
সামনে তাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা তাই পড়ালেখার একটু বেশিই চাপ।
শান্ত ৭-৮ দিন পরে ভার্সিটিতে আসে।ক্যাম্পাসে এসে দেখে এনি একটা গাছের নিচে বসে আড্ডা দিচ্ছে।
শান্ত সিড়িতে বসে বসে একটা বই হাতাহাতি করছে এমন সময় একটা মেয়ে এসে শান্তর পাশে বসে।
-হাই শান্ত
-হাই
-কেমন আছো?(মেয়েটি শান্তর ক্লাসমেট, নাম নিধি)
-আলহামদুলিল্লাহ, তুমি কেমন আছো?
-হুমম ভালো, তোমার উপস্থিতি কম কেনো?
-পার্সোনাল প্রবলেম
-ডোন্ট মাইন্ড একটা কথা বলি?
-হুম শিওর
-টাকার প্রবলেম নাকি?
-আরে না
-তাহলে?
-বললাম না পার্সোনাল প্রবলেম
-ওহ
-হুম
-ওকে, ক্লাসে যাবানা?
-হুমম চলো
ক্লাসে গিয়ে দুজন এক টেবিলে বসে।
শান্ত খেয়াল করে দেখে এনি তাদের দিকে চেয়ে আছে।
ক্লাস শেষ হওয়ার পরে বাসায় যায়।
বিকালের দিকে শান্ত ছাদের এক কোনে দাড়িয়ে থাকে তখন এনি পিছন দিয়ে এসে.......
-ভালোই তো প্রেম করছিস(এনি)
-প্রেম না
-কি?
-যাস্ট হাই হ্যালো
-হাই হ্যালো করতে কারো ২ঘন্টা লাগে জানা ছিলো না
-ফ্রেন্ড হিসাবে কথা তো বলতেই পারে
-হুম তা অবশ্য ঠিক। আর তোর মতো ছোটলোকের সাথে কে প্রেম করবে?
-এই কথা শুনে শান্ত তখন মুচকি হাসে
-তোর এই হাসিটা দেখলে আমার গায়ে ১০৫ ডিগ্রির জ্বর উঠে
-বায়
-এই শোন
-কি
-কাল আমার বান্ধবীর হলুদ সন্ধ্যা, সেখানে আমার সাথে যেতে হবে
-অপমান করার জন্য নিবা?
-নাহ
-তো
-এত প্রশ্ন করিস কেনো?
-হুম ছোট লোকদের প্রশ্ন করতে নেয়
-হুম এইতো ভালো বুঝতে পারছিস
-বায়
বলে শান্ত ছাদ থেকে নেমে যায়।
পরের দিন এনি শান্তকে সাথে করে নিয়ে যায়।
সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরে দেখে একেকবার একেকজন নাচানাচি করছে।
-দোস্ত আসতে এত দেরি করলি কেনো?(এনির বান্ববী ফারিহা)
-রাস্তায় জ্যাম ছিলো রে
-ওহহহ, শান্ত সেখানে গিয়ে বসো(ফারিহা)
-ওকে(শান্ত)
শান্তর আশে পাশের চেয়ারে এনি আর এনির কিছু বন্ধু বসে আছে।
হঠাৎ একটা মেয়ে এসে শান্তকে....................
.
♥-----"To Be Continue"---♥

গল্প :-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে""
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- শেষ পর্ব (১৯)~~2 ♥
বাসা থেকে বের হয়ে দূরে একজায়গায় বসে থাকি! পরে বাসায় এসে শুনি কথার মেয়ে হয়েছে। আর কোন জানি লোক কথাকে রক্ত দিয়ে বাঁচিয়েছে।
.
.
আমার কেমন জানি লাগতেছে। হঠাৎ ঠাস করে গালে চড় বসিয়ে দিল। চড় বসিয়ে দিয়ে বলতে লাগল" আমার আজ লজ্জা করছে, জানু মেয়েটা অপরাধ করেছে। তাই বলে মেয়েটাকে বাঁচানোর জন্য রক্তের প্রয়োজন ছিল কিন্তু তুই দিলিনা! জানিস তোর মতো সবাই না একলোক কথাকে রক্ত দিয়ে বাঁচিয়েছে।
.
বাবার কথা শুনি মুঁচকি হাসি দিলাম" আচ্ছা বাবা যে মেয়ে আমাকে মারতে চায় তাকে তুমি কীভাবে বাঁচাতে বলো! "কথাটা বলে রুমে চলে এসেছি।
.
দেখতে দেখতে একবছর চরে যায়। কথাকে অনেক অপমান করেছি তবুও মেয়েটা কান্নাকাটি করে। আর পারছিনা নিজের কাছেই খারাপ লাগে এসব দেখতে!
.
একদিন কথা শুয়ে আছে মেয়েকে নিয়ে, আর মেয়েকে আমার ফটো দেখিয়ে বলছে, মামনি এই যে তোমার আব্বু। মেয়েটাও কথা বলতে পারে অনেক।
.
হঠাৎ রিত্তের ফোন " কথা আপু রাজ ভাইয়ার বিয়ে তুমি এসে ফিরাও! কথাটা বলে রিত্ত ফোন রেখে দেয়"।
.
এদিকে রিত্তের মুখে আমার বিয়ের কথা শুনে মনে হচ্ছে কথার প্রাণটা কেউ বের করে নিচ্ছে। নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। পায়ের নিচে মাটি সরে যাচ্ছে। রাইসাকে নিয়ে গাড়িতে ওঠে চলে আসে আমাদের বাসায়। বাসাটা নীল-লাল বাতিতে সাজানো! কথার আজ সবচেয়ে কষ্টের দিন কারণ আজ এই দিনেই মেয়েটা জন্মগ্রহণ করে আর মেয়েটার জন্মদিনেই তার বাবাটাকে হারাচ্ছে।
.
কথা দৌঁড়ে রুমে গিয়ে চমকে যায়! রুমটা হরেক রকম বেলুন দিয়ে সাজানো।রুমের প্রতিটা জায়গায় রাইসার ছবি। লেখা প্রথম জন্মবার্ষিকী কথা নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেনা। দৌঁড়ে গিয়ে রাজকে সবার সামনে জড়িয়ে ধরেঁ। কাঁদতে কাঁদতে রাজের শার্ট ভিজিয়ে ফেলে। মামনি বাবাইকে ওভাবে ধরে রাখছো কেন?
.
রাইসার কথা শুনো সবাই হেসে দেয়!রাজ কথাকে ছাঁড়িয়ে নিয়ে কেক কেটে রাইসার জন্মদিন পালন করে!
.
আর সবাই প্ল্যান করেই রাজের বিয়ের কথা বলে, কথাকে ডেকে নিয়ে আসে!
.
রাত বারোটা কথা রাইসাকে নিয়ে বাসর ঘরে বসে আছে! কিছুক্ষণ পর বাসর ঘরে ঢুকলাম। বিছানায় বসার আগে কথা আমাকে ছালাম করে নিলো!
.
কথার কপালে আলতো করে চুমু একেঁ দিলাম। বিছানার একপাশে দেখি রাইসা ঘুমাচ্ছে, রাইসার কপালে পাপ্পি দিয়ে। কথাকে ঠোঁটে যখনি ঠোঁট মিলাতে যাবো। কথা তখনি বলল" দাড়াও আগে বল রিয়া মেয়েটার সাথে কতদিনের সম্পর্ক তোমার? রিত্ত বলেছে তুমি নাকী ভালবাস রিয়াকে?কথাগুলো বলে কেঁদে দিলো কথা!
.
আমি হাসতে হাসতে বললাম! হ্যাঁ রিয়াকে ভালোবাসি খুব বোন হিসাবে, মেয়েটা কথা বলতে পারেনা তবে সব বুঝে! আর আমার বোন রিত্তের মতো রিয়াও আমার আরেক বোন। আর হ্যাঁ হসপিটালে যে লোকটা রক্ত দিয়েছিল সেটাও আমি! কু বুঝলা তুমি আমাকে অনেক কষ্ট দিছো তাই শোধ নিলাম!আমি আর কথা বলতে পারছিনা কারণ আমার ঠোঁট দুটিকে কথা তাঁর দখলে নিয়ে নিছে! মনে হচ্ছে অজানা কোন রহস্যে হারিয়ে যাচ্ছি!
.
আরে বাহ্ আপনারা এমন কেন রোমান্সটাও করতে দিবেন না! দাঁড়ান লাইট অফ করে দিচ্ছি!
# সমাপ্ত।
বিঃদ্রঃ জানিনা গল্পটা কেমন হয়েছে সেটা জানিনা! সবাে কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আমি হয়তো আপনাদের মনের মতো গল্পটা উপস্হাপন করতে পারিনি।তবে আমি চেষ্টা করেছি আমার সেরাটা দিতে। গল্পটির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যারা অনুপ্ররণা উৎসাহ যুগিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ দিবো না।তাঁদের জন্য অন্তরের অন্তর স্থল থেকে "ভালবাসা"....... ♥♥♥♥
.
ভালো থাকবেন সবাই।
.
পুরো গল্পটা সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ.....
.
.
♥-------""""""সমাপ্ত"""""-----♥

গল্প :-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে""
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- শেষ পর্ব (১৯)~ ♥
.
.
রিয়া মেয়েটা এসব শুনে আরো বেশি কাঁদতে লাগল পাশ থেকে।
বুঝতে বাকি রইলো না মেয়েটা রাজকে ভালোবাসে! এখন রাজ তো আমাকে কোনদিন গ্রহণ করবে না, সে তো আমাকে ডির্ভোস দিয়েছে! ভাবতেই আবারো চোখটা ছলছল করে ওঠলো।
মনে মনে ভাবলাম রাজ যার বুকেই থাকুক সো জন সুখে থাকে আর বেঁচে থাকে তাঁর সুখটা না হয় দূর থেকেই দেখবো।
এসব ভাবছি অার কাঁদছি। রিয়া মেয়েটার দিকেই চেয়ো থাকতে বড্ড মায়া লাগছে। মেয়েটা চোখ লাল করে ফেলছে।
.
হঠাৎ ডাক্তার রাজের রুম থেকে বের হয়ে আসলো! ডাক্তারের চোখ দিয়ে পানি বের হচ্ছে!
.
আঙ্কেল কী হয়েছ ভাইয়ার?
.
মামনী, পেশেন্ট স্যালাইন একদম নেওয়া বাদ দিয়েছে।এখন অক্সিজেন নেওয়া ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। মামনি এতিম বাচ্চাদের স্বান্ত্বনা দেওয়ার বাসা হারিয়ে ফেললাম। কী বলে স্বান্ত্বনা দিবো রাজ যে আর বাঁচবে না মনে হচ্ছে। তোমরা আল্লাহকে ডাকো প্লিজ তিনি চাইলে সব করতে পারেন।
.
ডাক্তারের মুখে এমন কথা শুনে বুকটা ছ্যাঁত করে উঠলো। রিত্ত মনে হচ্ছে পাথরের মূর্তির মত হয়ে গেছে।
.
বাবা আমি কি নিয়ে বাঁচবো বলো আমার জীবনটাকেই যে আল্লাহ্ নিয়ে নিচ্ছে।
.
মা'রে আল্লাহর উপর ভরসা রাখই আল্লাহ্ সব ঠিক করে দিবে। এতোগুলো এতিম বাচ্চার চোখের জল কখনো বৃথা যাবে না।
.
এতিম বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকানো যায় না। তাঁরা খুব করে কাঁদছে। মুখ দিয়ে তাঁদের কোন কথা বের হচ্ছে না।
.
হঠাৎ রিয়া মেয়েটা দৌঁড়ে রাজের পায়ের কাছে বসে অঝরে কাঁদতে লাগল। রিত্ত দৌঁড়ে গিয়ে বলতে লাগল " রিয়া আপু আমি জানি তুমি ভাইয়াকে অনেক ভালবাসো " ভাইয়াও তোমাকে ভালোবাসে জানি খুব। কিন্তু কি করবে আল্লাহর উপর কোন হাত নেই দোয়া কর ভাইয়া যেন আবারো আগের মতো সুস্হ হয়ে যায়। রিয়া মেয়েটা রিত্তকে জড়িয়ে ধরে কাদছে। চোখ থেকে টপ টপ করে পানি পড়ছে কিন্তু কোন শব্দ করছে না।
.
এদিকে রিত্তের মুখে " ভাইয়াকে তুমি অনেক ভালোবাস, আর ভাইয়াও তোমাকে অনেক ভালোবাসে " এমন কথাটা শুনে পায়ের নিচের মাটি সরে গেল মনে হচ্ছে। চোখের জল বাঁধা মানছে না। আমি কিছু ভাবতে পারছি না। রাজ শুধু আমার অন্য কেউ রাজের বুকে যাওয়ার আগে আমি নিজেকে শেষ করে দিবো। খুব কষ্ট হচ্ছে প্রাণটা বের হয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ মনে পড়ল আজ আমার জন্যই আমার স্বামীর এই অবস্হা। আমার অবহেলা, ঘৃণা মিথ্যা প্রতিশোধের আগুন রাজকে প্রতিনিয়ত পুড়িয়েছে। খুব কষ্ট হচ্ছে এসব ভাবতে। মনে মনে স্হির করে নিলাম রাজের মেয়ে রাজতে দিয়ে, যেদিন রাজ বিয়ে করবে সেদিন গলায় দঁড়ি দিয়ে মরবো তবুও বেঁচে থাকতে রাজ অন্যের হবে তা দেখতে তো দূরের কথা শুনতেও পারবো না!আমি মরে যায় আমার জীবনটা যেন বেঁচে যায়।
.
বাসায় এসে শুনলাম রাজের অবস্হা সিরিয়াস। সবাই কান্না -কাটি করছে। মা-বাবা আমার আড়ালে কাঁদছে আমি কষ্ট পাব বলে মা-বাবা কাঁদিনি। মা শুধু বললো" মা'রে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা কর রাজ বাবাটা যেন বেঁচে যায়"!
.
মা কথাটা বলে রুম থেকে চলে গেল! আমার মনে হচ্ছে রাজ হারিয়ে যাচ্ছে আমার জীবন থেকে কষ্টে বুকটা ফেঁটে যাচ্ছে
পাথর চাঁপা দিয়ে রেখেছি! পাশের রুমে মা'রের কান্নার আওয়াজ ক্রমশ তিব্র হচ্ছে। মনের মাঝে অজানা ভয় কাজ করছে। না জানি আমার রাজের কী জানি কি হয়ে গেল!
.
মা'কে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম" মা কি হয়েছে কাঁদছো কেন?"
মা'রে আল্লাহকে ডাক রাজের অবস্হা আরো বেশি খারাপ তোর বাবা কিছুক্ষণ আগে বাসা থেকে বের হয়ে হসসপিটালে গিয়ে ফোনে সব বলল!
.
আম্মুর কথা শুনে মনে হচ্ছে কেউ কলিজাতে ছুরি চালিয়ে দিচ্ছে! আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না। অযু করে পবিএ কুরআনুল কারীম তেলাওয়াত করে, কুরআনের উপর চুমু খেয়ে বুকের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলাম! কিছুক্ষণ এভাবে বুকের সাথে কুরআন শরীফটা জড়িয়ে রাখলাম।তারপর কুরআনটা রেখে মাঝরাতে নামাযে দাঁড়িয়ে গেলাম।শুনেছি মাঝরাতে নামাযে দাঁড়িয়ে কাঁদলে আল্লাহ্ দোয়া কবুল করেন। তাই নামায শেষ করে আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে কান্না করে করে বলতে লাগলাম" হে রহমান- রাহীম এই মাঝরাতে সময় যখন ঘুমিয়ে তখন তোমার দরবারে দু'টি হাত তুলে ধরেছি! আল্লাহ্ তুমিতো অন্তযামী , তোমার বান্দার মনের খবর জান। আল্লাহ্ আমার স্বামী মৃত্যুশর্য্যার আল্লাহ্ আমার জীবন নিয়ে হলেও আমার স্বামীর সুস্হতা দান করো!! হে আল্লাহ্ তোমার কাছে এক অভাগী হাত তুলে ধরেছে মিসকিনের বেসে তুমি কবুল কর আল্লাহ্ কবুল কর আমার দোয়া। আমার সন্তানটাকে তাঁর বাবার স্নেহ থেকে বঞ্চিত কর না। আল্লাহ আমার স্বামীকে ভালো করে দাও! এদিকে দেখ সকাল হয়ে গেছে। প্রতিদিনের চেয়ে আজকের সকালটা আলাদা। কথা সকালেই হাসপাতালের দিকে রওয়ানা দিলো!
.
এতিম বাচ্চারা কাঁদছে এখনো।একটা মেয়ের নাম আদিবা! যার বাবা জন্মের আগে মারা যায়। আর মা'টা আদিবাকে জন্ম দেওয়ার সময় মারা যায়। মেয়েটার বয়স ৭ রাজ মেয়েটাকে সব চেয়ে বেশি আদর করতো সব চেয়ে বেশি সেই মেয়েটা কাঁদছে। চোখ দুটি রক্তের মতো লাল হয়ে গেছে।
আদিবা অযু করে সবার সাথে কাঁদতে কাদঁতে আল্লাহর কাছে দু'হাত তুলে বলতে লাগল" হে আল্লাহ্ তুমি সবাইকে মা দিয়েছ।বাবা দিয়েছ। আর আমাকে কিছুই দেওনি। শুনেছি মানুষের কাছে আমি যখন মায়ের গর্ভে তখন বাবা মারা যায়। যখন হাসপাতালে জন্ম নেয়! জন্ম নিয়ে মায়ের মুখটাও দেখতে পারিনি। হয়তো মুখটা সাদা কাফনে ঢেকে দিয়েছে। হে আল্লাহ্ আমি কি এমন অন্যায় করেছি, কিসের জন্য আমাকে বাবার আদর মায়ের স্নেহ থেকে বঞ্চিত করলে? জন্মের পর শুধু এতিম অনাথ নামটাই শুনেছি মানুষের কাছে তবুও তোমাকে বলিনি কেন আমার বাবা-মাকে কেঁড়ে নিলে। তবে আজ বলব কারণ বাবা- মাকে হারিয়ে একটা বাবার মতো বাবা পেয়েছিলাম যে বাবার আদর দিয়েছে। মায়ের মত মা পেয়েছিলাম যে মায়ের স্নেহ দিয়েছে। ভাইয়ের মতো ভাই পেয়েছিলাম যার সাথে খুনশুটি করেছি, বন্ধুর মতো বন্ধু পেয়েছি যার সাথে সব শেয়ার করতাম। হে আল্লাহ্ সেই মানুষটা আজ হসপিটালে শুয়ে আছে। আল্লাহ্ কোনদিন তোমার কাছে কিছু চায়নি! বলেনি মাকে দেখবো কখনো তোমাকে বলিনি বাবাকে এনে দাও তবে আজ চাইবো যে মানুষটা আমাদের মুখে খাবার তুলে দিত! আমাদের কান্নায় কান্না করতো তাকে তুমি নিয়ো না। ছোটরা নাকি মাসুম হয়, এতিমদের দোয়া নাকি কবুল হয়, আমার দোয়া কবুল করবে না তুমি? আমি ছোট্ট যে তোমাকে ঠিকমতো ডাকতে পারি না যে, কী করবো তুমি কী আমার ডাক শুনতে পাও দূর আকাশ থেকে।আমার রাজ ভাইয়াকে সুস্হ করে দাও নইলে আমি খুব কাঁদবো। তুমি নি বাচ্চাদের কান্না সহ্য করতে পারো না! হে আল্লাহ্ মায়ের দুধটাও আমি খেতে পারিনি তাতেও তোমাকে কখনো বলিনি আমার মাকে এনে দাও, কিন্তু আজ আমি তোমার কাছে দুইহাত তুলে কাঁদছি রাজ ভাইয়াকে সুস্হ করে দাও।আল্লাহ্ আমরা এতিম, এতোগুলো এতিম বাচ্চার কান্না তুমি শুনতে পাওনা। তুমি না মনের কথা বুঝতে পারো তবে কেন আমাদের রাজ ভাইয়াকে সুস্হ করে দিচ্ছ না। ওহ্ আল্লাহ্ আমরা এতিম বলে আমাদের কথা রাখবে না? জানো আল্লাহ্ এতিমদের কথা কেউ শুনতো না রাজ ভাইয়া ছাড়া, রাজ ভাইয়া মারা গেলে কে শুনবে? আমাদের রাজ ভাইয়াকে ভালো করে দাও! আদিবার কথা শুনে হাসপাতালের নার্সরা পর্যন্ত কেঁদে ফেলেছে। এতিম বাচ্চারা কাঁদছে। সাথে আমার হৃদয়ে মনে হচ্ছে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।চোখের পানি থামছেনা মনে মনে আল্লাহকে ডেকে যাচ্ছি।
.
হঠাৎ নার্স দৌঁড়ে ডাক্তার কে গিয়ে বললো এটা কি ভাবে সম্ভব কোমায় চলে যাওয়া রোগির জ্ঞান ফিরেছে। হার্ট বলছে সম্পূর্ণ সুস্হ, অবাক করা ঘটনা ঘটে গেছে।
.
ডাক্তার শুনে বিশ্বাস করতে পারছেনা। মৃত্যু যার নিশ্চিত ছিল তাঁর হার্টবির্ট স্বাভাবিকের চেয়ে ভালো চলছে। এতিম বাচ্চাদের ডাক্তার গিয়ে বললো" সোনামণিরা তোমাদের আর কাঁদতে হবে না! তোমাদের ডাক আল্লাহ্ শুনেছে, তোমাদের অনুরোধ অবজ্ঞা করতে পারেনি। আল্লাহ্ স্বয়ং তার গায়েবি মদদ দ্বারা রাজকে সুস্হ করে দিয়েছে। "
.
এতিম বাচ্চারা কথাটি শুনার সাথে সাথে তাঁদের মুখে ফুলের কলির মতো হাসি ফুটে ওঠলো! সবাই রাজের কাছে দৌঁড়ে গেল।
.
রাজের সুস্থ হওয়ার কথা শুনে নিজের অজান্তে চোখের কোণে আনন্দের অশ্রু জমা হয়েছে। রিত্ত দৌঁড়ে এসে আমাকে নিয়ে গেল! রিয়া মেয়েটাকে দেখলাম রাজের মাথার কাছে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে! আদিবা রাজকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে। সবার মুখে হাসি! কিন্তু রাজের মাথার কাছে রিয়াকে দেখে প্রাণ বের হয়ে আসছে। রাজকে বাসায় নিলে, আমিও সাথে যায়।
.
বিকেল বেলা রাজ রুমে বসে আছে! আমি দৌঁড়ে গিয়ে পায়ে ধরে বললাম" আমাকে ক্ষমা করে দাও, আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না '।
.
কি করছেন পা ছাড়েন, ক্ষমা কেন চাচ্ছেন খুনীর চরিএহীনটার শাস্তি দিয়েছেন!
.
রাজের কথা শুনে এখন কথার আর বেশি কান্না করছে। শক্ত করে পা ধরে কথা বলতে লাগল" আমু সব জেনেছি, প্লিজ তোমার পায়ের নিচে একটু জায়গা দাও,কখনো বলবো না তোমার বুকে জায়গা দাও! আমাকে দূরে সরিয়ে দিয়োনা আমি বাঁচবো না"।
কথার মুখে এমন কথা শুনে কষ্ট হলেও কি করবো কিছু ভাবতে পারছিলাম নাহ্! তাই বললাম' ক্ষমা আপনাকে তখনি করে দিয়েছি,আর হ্যাঁ আপনাকে ডির্ভোস দিয়ে দিছি! আপনি আর এই বাড়ির বউ না বা আমার কেউ না।আমি চাইনা কোন বেগানা মেয়ে আমাদের বাসায় থাকুক! ওই রিয়া কোথায় গেলে। রিয়াকে ডাকদেই দৌঁড়ে এলো।
.
এদিকে আমার মুখে এমন কথা শুনে কাঁদতে লাগল।খুব কষ্ট হচ্ছে কথার চোখে জল দেখে। কিন্তু যে আমার কিছুই করার নেই!
.
কি হলো কাঁদছেন কেন? আমি অন্তঃসত্ত্বা না হলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতাম! আশা করি বুঝতে পেয়েছেন। জানেন আপনার ছায়াটা দেখলেও রাগে শরীর জ্বলে। বের হোন প্লিজ আমার বাসা থেকে!
.
কথা এমন কথা শুনে অারো বেশি কাঁদতে লাগল।
.
ভাইয়া ভাবীকো কি বলছো এসব?( রিত্ত)
.
চুপ করবি তুই! আর হ্যাঁ আপনি যাবেন কি? আমার কথাটা শুনে কথা বের হয়ে চলে গেল। কথা চলে যাওয়ার পর খুব কান্না পাচ্ছে আমি কীভাবে বলতে পারলাম নিজের ভালোবাসার মানুষকে এমন কথা বলতে?
.
ভাইয়া কাজটা কী ঠিক করলে?( রিত্ত)
কেন ঠিক করেনি কি আমি?
নাহ্! ঠিক করনি! তারপর রিত্ত হসপিটালের সব ঘটনা খুলে বলল। এর পর আর কথাকে ১৫ দিন দেখিনি!
.
এদিকে কথা বাড়িতে আসার পর সবসময় কাঁদতো! নামায পড়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতো! হঠাৎ একদিন প্রসব ব্যাথা ওঠে কথাকে হাসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়!
.
প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হলে, কোথাও রক্ত পাওয়া যাচ্ছিল না। কথার সাথে আমার রক্তের ম্যাচ ছিল! মা-বাবা বললেও কথাকে রক্ত দিতে যায়নি। বাসা থেকে বের হয়ে দূরে একজায়গায় বসে থাকি! পরে বাসায় এসে শুনি কথার মেয়ে হয়েছে। আর কোন জানি লোক কথাকে রক্ত দিয়ে বাঁচিয়েছে।
.