গল্প :-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে""
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- ১১ ~~~ ♥
.
.
ডাক্তার তোবার ডিএন এ টেস্ট করে
অবাক হয়ে গেলেন। যে সব রির্পোট ছিল সব
ভূয়া। ডাক্তার কথা, এবং তার মা বাবাকর
যা বললো তা শুনে সবাই অবাক হয়ে গেল!
ডাক্তার বললো, প্রকৃত পক্ষে তোবা
অন্তঃসন্তা নয়, তার ডি.এন. এ রির্পোট
তাই বলছে। ( ডাক্তার)
.
----what. how possible..? সব রিপোর্ট ভূয়া।
( কথা)
.
-- হ্যাঁ আমিও ভাবতে পারিনি, তাই একই
টেস্ট তিনবার করেছি!( ডাক্তার)
.
---ডাক্তার কি বলছেন এইসব, কিসের ভূয়া
আপনি আবার টেস্ট করান। আর হ্যাঁ
রির্পোট গুলো আপনাদের হসপিটালের
সবচেয়ে বড় ডাক্তার' সিনহা স্যারের'! তাঁর
রির্পোট মিথ্যা হতে পারেনা "( কথা)
..
-- শুনেন মিস কথা,ডাক্তার সিনহার
রির্পোট এর জন্যই আমি একই টেস্ট তিনবার
করেছি, । কিন্তু রির্পোট গুলো পড়ে সিনহা
স্যারের প্রেসক্রিপশন ফর্ম এর সাথে
মিলাতে গিয়েই, শকর্ড খেয়েছি। কারণ
স্যারের প্রেসক্রিপশন হুবহু কপি এটা। আর
এটা বানানো রির্পোট( ডাক্তার)
.
--- ঠাস- ঠাস করে চড় বসিয়ে দিলেন কথার
বাবা তেবার মুখে। চড় দিয়ে বলতে
লাগলো; আজ তোর মতো মিথ্যাবাদী
মেয়ের জন্য 'রাজ ' হসপিটালে,মৃত্যুর সাথে
পান্জা লডছে!"
.
-- প্লিজ স্টপ, পেশেন্ট কে মারবেন না। সে
সৎ জ্ঞানে এমনি করে নি! " তোবা একজন
মানসিক রোগী ' ডিসপ্রেশন গত সমস্যা
এটা তার"। সম্ভবত কারো কাছ থেকে প্রচন্ড
মানসিক আঘাত পেয়ে 'অন্যকে দোষারোপ
করা, গুছিয়ে মিথ্যা কথা বলা, যেন সবাই
বিশ্বাস করে,আর সবচেয়ে বড় কথা তার
জেদটা মস্তিষ্কে মিশে গেছে।আর
সবচেয়ে বড় কথা তোবার এর আগে একবার
এবারশন হয়েছিল।এই জন্য এই মিথ্যা
খেলাটা করছে,। তাই বলছি ওকে উন্নত
চিকিৎসার জন্য " বিদেশে পাঠাতে হতে
পারে" নইলে বড্ড পাগল হয়ে যাবে।
( ডাক্তার)
.
-- এদিকে ডাক্তারের কথা শুনে কথার
কলিজাটা ফেঁটে যাচ্ছে! চোখ দিয়ে পানি
গড়িয়ে পড়ছে, আর মনেমনে ভাবছে, সেদিন
রাজের কথাগুলোই সত্য ছিল। আচ্ছা! রাজ
কেন অপরাধ না করেও, আমার হাতের দুধের
গ্লাসে ঘুমের ওষধ থাকার পরও কেন খেয়ে
নিলো। নিজেকে কোন কারণে মৃত্যু মুখে
ধাবিত করলো! আজ কথার চোখে ভেঁসে
ওঠছে, রাজের সেই ভালবাসা, যত্ম,
অবহেলার পরও ভালবাসা পাওয়ার
পাগলামি।
.
-- আপু আমার বাবুকে কিন্তু কাউকে
দিবোনা, আর তোমাদের ডির্ভোস কবে
হবে আপু( তোবা)
.
-- এদিকে তোবার কাছে বাচ্চার কথা শুনে
কথা ভাবতে লাগলো, তোবা এর আগে
এবারশন করেছে! তাঁর মানে তাঁর সাথে
কারো সম্পর্ক ছিল। কে সেই জন এইসব
অবশ্যই আমাকে জানতে হবে। আচ্ছা
রাজের বোনও তো অন্তঃসন্তা ছিল, এবং
ফাসিতে ঝুলে মারা যায়। সব কিছুর পিঁছনে
কে? ( এসব ভাবতে ভাবতে কথার রাজের
ডাইরির কথা মনে পড়ে"
.
- কথা তাঁর বাবাকে বলে, চলে যায় রাজের
বাসায়। আলমারি খুলে একটা ডাইরি
দেখতে পায়। যে ডাইরিতে রাজ রাতে বসে
বসে কি যেন লেখতো। কখনো পড়া তো
দূরের কথা ' ডাইরিটা কথা ছুঁয়েও দেখেনি।
কিন্তু আজ দেখতেই হবে। এইভেবে
ডাইরিটা খুলতেই দেখলো ' আমি তুমি আর
সজিব ' লেখাটা দেখেই খটকা লাগলো
কথার। 'তুমি"টা কে
.
--- এদিকে ডাইরির পাতা উল্টাতেই চোখে
পড়লো' জীবনে একটা বন্ধু পেয়েছি যে শুধু
আমার বন্ধু নয় কলিজার টুকরা' সজিবকে মা-
বাবাও অনেক পছন্দ করে! নিজের ছেলের
মতো মনে করে! মনে করার কারণও আছে,
সজিবের মতো ছেলে হয়না আমাদের
ফ্যামিলিকে নিজের ফ্যামিলি মনে করে!
মা অনেকদিন সজিবকে মুখে তুলে খাইয়ে
দিয়েছে। সজিব মাকে মা বলেই ডাকতো।
আমার সবসময় মনে হতো আমি একটা ভাই
পেয়েছি।
.
-- দিনগুলি ভালোই কাটছিল। যেখানে
যেতাম দুজন মিলে যেতাম। যাইহোক
একদিন ভার্সিটিতে বসে আছি। হঠাৎ নীল
পাড়ের কালো শাড়ীতে একমেয়ে কলেজের
গের্ট দিয়ে প্রবেশ করতেই বুকের মাঝে এক
অজানা শিহরণ বয়তে থাকে। প্রথম দেখায়
মেয়ে'টা হৃদয়ে জায়গা করে নেয়। তাঁর পর
সজিবের অজান্তেই মেয়েটার পিছন, পিছন
ঘুরা- ঘুরি করি। মেয়েটা আর কেউ নয় ' সে
হচ্ছে আমার মায়াপরী কথা'। তাই
ডাইরি'টার নাম দিলাম "আমি,, তুমি,ও
সজিব"।
.
-- ভাবছিলাম সজিবকে, সারপ্রাইজ দিবো
কথার সাথে রিলেশন করে। তাই প্রথম
প্রপোজ করাতেই কথা রাজি হয়ে যায় এবং
শর্ত দেয়, কলেজের সবার সামনে তাকে
প্রপোজ করতে। সেদিন আমি সবচেয়ে বেশি
খুশি হয়েছিলাম। সারাটা রাত নির্ঘুম
কাটে। সকাল হতেই একগুচ্ছ কদম নিয়ে
ভার্সিটির সবার নিজের মায়াপরী,
কল্পনার রাজকুমারী' টাকে প্রপোজ করি।
তাঁর পর ভার্সিটির সবার সামনে আমার
পবিএ ভালবাসার প্রতিদান, তিনটি থাপ্পর
দেয়। সেদিন বাসায় এসে মেয়েদের মতো
দরজা লাগিয়ে কেঁদেছি, আমার কানে শুধু
তখন সে কথাগুলো শুনা যাচ্ছিল, তোর কি
করে সাহস হয়, আমাকে প্রপোজ করার।
নিজের চেহারা কখনো আয়নার দেখেছিস।
একটা ক্ষ্যাত মার্কা ছেলে,দেখে মনে হয়
ঝুকার। আর হ্যাঁ তুই যে গত ছয়মাস আমার
পিছনে ঘুরে যে যন্ত্রণা দিয়েছিস তাঁর
শোধ নিলাম।তাই তোই যখন কাল আমাকে
প্রপোজ করিস, আমার মাথায় রক্ত ওঠে
যায়, তাঁর পরেও আমি মাথা ঠান্ডা
রেখেছিলাম তোর টিজ করার সাজা দিবো
বলে। " রাজের কানে কথার এমন কথা বারি
খাচ্ছে আর নিরবে বালিশ ভেঁজতেছে।
.
-- তারপর ভার্সিটি যাওয়া বন্ধ করে দেয়!
কিন্তু বিভ্রাট ঘটে তখন যখন সজিব আমার
কলিজার ' ভাই টা শহরে আসে, সে এসে
ভার্সিটিতে নিয়ে যায় আমাকে।
♥-----"To be Continue"--♥ -