গল্প:-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে"" ♥
.

লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- ০৫ ~~~ ♥
.
.
.
রাজ সজাগ পেয়ে যায়, রাজও
কথাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,। কথা
রাজের গলার নিচে, কিস করতে লাগলো।
রাজও কিস করতে লাগলো। কথার গরম
নিঃশ্বাস পড়ছে রাজের মুখের ওপর।
একপর্যারে দুজন - দুজনের ঠোঁটের সাথে ঠোঁট
মিলিয়ে দিলো। মনে হচ্ছে এক অজানা
ভালবাসার সাগরে হারিয়ে যাচ্ছে। রাজ
আজ অনেক খুশি, কথা তাকে স্বামী
হিসেবে মেনে নিয়েছে। হঠাৎ কথা ছুড়ি
রাজের বুকে চালিয়ে দিলো বুক ছিঁড়ে
ফেলকি দিয়ে রক্ত পরছে। কথা রাজের
মুখটা চেপে ধরেছে। রাজের রক্ত গড়িয়ে
বিছানা ভেসে যাচ্ছে। মৃত্যু যন্ত্রণায় ছট-
ফট করছে। হা, হা, হা, এই দিনটির জন্যই
আমি অপেক্ষায় ছিলাম। আজ আমি স্বামী
হত্যার প্রতিশোধ নিলাম। কি ভেবেছ
তুমাকে আমি নিজের ইচ্ছাতে বিয়ে
করেছি? নাহ্ আমি আমার স্বামী হত্যার
প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য-ই তোর মতো
খুনিকে বিয়ে করেছি।
.
--- হঠাৎ রাজের মা এসে বললো ' একি করলে
মা আমার বুক খালি করলে" কি অপরাধ
করেছিল আমার ছেলে? তুমি একটা খুনি!
নিজের স্বামীকে খুন করতে তোমার
হাত'টি একটি বারের জন্য- ও কাপঁলো না? "
.
-টেবিলের ওপরে থাকা পানির গ্ল্যাসটা
পড়তেই কথার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম ভাঙ্গতেই
বুঝতে বাকি হয়না কথা দুঃস্বপ্ন দেখছে।
.
-- গ্ল্যাস'টা বিড়াল-এ ফেলে দিয়ে দৌঁড়
দিয়েছে! গ্ল্যাস'টা টুকরা - টুকরা হয়ে
গেছে।ঠিক যেমনটা কথার হৃদয়টা রাজ
টুকরা - টুকরা করে দিয়েছে, তাঁর
ভালবাসার মানুষটা'কে তার স্বামীটাকে
নির্মম ভাবে খুন করে!
..
কথা চেয়ে দেখ রাজ সুফায় ঘুমাচ্ছে।
পূর্ণিমা চাঁদের আঁবছা আলো রাজের মুখে
এসে পড়ছে। ঘুমালে যে একটা খুনিকে-ও
এতটা মায়াবী, নিঃশ্বাপ লাগে তা হয়তো
রাজকে না দেখলে বিশ্বাস হতো না।
.
কথা মনে মনে ভাবছে যে ভাবেই হোক তার
স্বামী হত্যার প্রতিশোধ নিবে। তবে
স্বপ্নে যেভাবে দেখছে সেভাবে নয়।
যেমনভাবে রাজ তার স্বামীকে খুন করেছে
ঠিক সেভাবে-ই খুন করবে। এসব ভাবতে,
ভাবতে কথা ঘুমিয়ে যায়।
.
- সকাল হতে-ই ভাবী, ওই ভাবী কি করো?
( রিও)
.
-- কেন দেখতেই তো পারছো? (কথা)
.
-- ভাবী মা বললো তোমাকে রান্না না
করতে।
.
কেন? আমি রান্না করলে সমস্যা?
.
- ভাবী তুমি না অন্তঃসন্তা, তাই এসময়
কাজ করতে হয়না। জানো মা বাবা তো
বাচ্চা কী হবে কার মতো হবে তা ঠিক করা
নিয়ে মহাব্যস্ত!
.
-- ওহ্ তাই বুঝি?
.
--- হুম তাই! জানো ভাবী, ভাইয়া তোমাকে
কাজ করতে নিষেধ করেছে! ভাবী ' ভাইয়া '
অনেক খুশি আজ-কাল।
.
-তাই বুঝি তা কিসের জন্য?
.
-- ভাইয়া বাবা হচ্ছে তাই এতো খুশি।
জানে ভাবী ভাইয়া কি বলে?
.
কি বলে তোমার ভাইয়া?
.
-- ভাইয়া বলেছে তার যদি একটা মেয়ে হয়
ঠিক তোমার মতো তাহলে আমাকে ল্যাপটপ
গিফট করবে! আমি তো দিন গুনছি কথা
তোমার একটা মেয়ে হবে কবে আমি
ল্যাপটপ পাবো। ভাবী পাঁচ মাসে বাচ্চা
হয়না?
.
--যাহ্ পাগলী মেয়ে পাঁচ মাসে কি বেবী
হয়!
.
-- তবে ভাবী তুমি অনেক লাকী ভাইয়া
তোমাকে নিজের চেয়ে বেশি ভালবাসে!
তোমার জন্য কত চিঠি লিখেছে। যদিও তা
আমি লুকিয়ে - লুকিয়ে পড়েছি!
.
--- হঠাৎ, তোবাকে তার মা ডাক দিলে
তোবা চলে যায়। কথা মনে, মনে ভাবছে
আচ্ছা এ কেমন ভালবাসা? যা বন্ধুকে খুন
করে তার বউকে বিয়ে করা। এসব ভাবতে
ভাবতে কথা রান্না ঘরেই বসে পড়ে।
চোঁখের সামনে সজিবের সেই রক্ত মাখা
নির্থর চেহারাটা ভেসে ওঠছে। কথা এখনও
সজিবের সেই স্পর্শ গুলো ফিল করতে পারে।
.
--- এদিকে অফিস থেকে ফেরায় পথে, বকুল
ফুলের মালা দেখে ভালো লেগে যায়।ফুল
গুলো কথার খোপাতে খুব সুন্দর মানাবে।
রাতে ফুল- গুলো নিয়ে বাসায়
আসলাম,সাথে জামদানি শাড়ী ।
.
---কথা কোথায়' রে রিও? (আমি)
.
-- ভাইয়া ভাবী তো রুমে। (রিও)
.
-- এই'নে তোর চকলেট। কথাকে চকলেট গুলো
দিয়ে রুমে এসেই দেখি রুমের লাইট অফ
করা।
.
-- সন্ধ্যা রাতে লাইট অফ ব্যাপ্যার তো কিছু
বুঝতেছিনা। কথা কোথায় তুমি সন্ধ্যা
রাতের রুমের লাইট অফ, কথাটা সম্পূর্ণ শেষ
করার আগেই কে যেনো জড়িয়ে ধরে আমার
ঠোঁট টাকে তার দখলে নিয়ে নিয়েছে।
.
জোরে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে
দিয়ে রুমের লাইট টা অন করতে-ই মাথায়
আকাশ ভেঙ্গে পড়লো।
.
-- তু--------- তমি আর কি চাও আমার কাছে?
.
--বেশি কিছু না! সামান্য ভালবাসা। দিবে
কী আমায়?
.
তোবা ভুলে যেয়ো না, আমি তোমার আপন
বোনের স্বামী। তাই যাহ্ ভাবছো তা বলা
তো দূরের কথা মুখে আনাও পাপ।
.
-- আমার কোন বোন নেই, আমি তোমায়
ভালবাসি। আমি একটি রাতেও ঘুমাতে
পারিনি। প্রতিটা স্বপ্নে তুমি আমার।
তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচবোনা।(তোবা)
.
কি বলছো পাগল হয়ে গেলে। সামান্য
ভালবাসার জন্য নিজের আপন বোনকে
অস্বীকার করছো।
.
আমি কিছু জানিনা। শুধু জানি আমি
তোমাকে ভালবাসি। তোমাকে পাওয়ার
জন্য আমি আমার বোনকে খুনও করতে পারি।
(তোবা)
.
--ঠাস- ঠাস- ঠা!! কি বললে?তুমি কি ভাবছো
তোমার বোনকে খুন করলে আমাকে পাবে।
আরে যে মায়ের পেটের বোনকে
ভালবাসতে পারেনা, সে কেমন করে
আমাকে ভালবাসবে? লজ্জা করেনা
ভালবাসার কথা বলতে। কেমনে বল এসব
তোমার বোনের গর্ভে আরেকটি জীবন
তিলে - তিলে বড় হচ্ছে।
.
-- কি করবো তোমায় যে বড্ড বেশি
ভালবাসি!আরো থাপ্পর দাও না করবো না
তবু দূরে সরিয়ে দিয়োনা। ( কাঁদতে কাঁদতে
কথা গুলো বললো তোবা)
- তোবা, সবার ভালোবাসা পূর্ণতা পায় না!
জানো আকাশ মাটিকে ভালবাসে তবুও
কোনদিন তারা এক হতে পারে না। যদি
আমায় সত্যিকার অর্থে ভালবাসা তাহলে
অন্য কোন ভাল ছেলে দেখে বিয়ে
করেনাও।
.
-- রাজ তুমি হয়তো, মন একবার কাউকে
ভালোবাসলে অন্য কাউকে পরের বার
ভালবাসার ইচ্ছাটা-ই মরে যায়। আচ্ছা
আমি প্রতিজ্ঞা করলাম, তোমাকে আপন
করেই নিবো। কথাটা বলে তোবা চলে
গেলো।
.
-- এদিকে সুফাতে বসে আছি, কথা রুমে
আসতেই ফ্লরে পড়ে থাকে গ্লিসারিনের
ওপর পা পড়তেই স্লিপ কেটে পড়ে যাওয়ার
আগেই কথাকে ধরে ফেলে। নিজের অনিচ্ছা
সত্বেও হাত গিয়ে কথার নাভি স্পর্শ করে
কথা কেমন যানি কেঁপে ওঠে।মনে হচ্ছে
এভাবে যদি সারা-জীবন ধরে থাকতে
পারতাম।
.
-- ঠাস- ঠাস, তোর কীভাবে সাহস হয় আমার
ওই জায়গায় ধরতে?
.
-- তুমি ভুল বুঝছো। আমি ইচ্ছা করে করিনি।
.
-- যে নিজের বন্ধুকে খুন করে বন্ধুর
অন্তঃসন্তা মেয়েকে বিয়ে করে। আমি
কীভাবে তার কথা বিশ্বাস করবো? আর তুই
কি মনে করিস? তুই বকুল ফুল এনে দিবি তোর
প্রেমে পড়ে যাবো?ভালবাসতে বকুল ফুলের
প্রয়োজন হয়না হয় সুন্দর একটি মনের।যাহ্
তোর নেই! তোর ফুল কখনো খোপাতে
মানায় না। এই বলে ফুলগুলো পায়ের নিঁচে
ফেলে পিশে ফেললো।
.
---- কথার মুখে এমন কথা গুলো নিজের
অজান্তে চোঁখের জল এসে গেল। চোখের
পানি শার্টের হাতা দিয়ে মুছে বলেতে
লাগলাম; জানে কথা তোমাকে ওভাবে
ধরার কোন ইচ্ছাই ছিল না। কি করবো
তোমার মাঝে যে আমার সন্তানটা তিলে-
তিলে বড় হচ্ছে। যদি পড়ে গিয়ে তার কোন
ক্ষতি হতো! তাহলে মনকে কী বলে সান্তনা
দিতাম। ক্ষমা করে দিয়ো আমি জানি
তোমার ওই জায়গায় স্পর্শ করা ঠিক হয়নি।
.
-- হা, হা, হা, মায়ের চেয়ে মাসীর ধরদ
বেশি। আরে এতো ধরদ থাকলে আমার
সন্তানের বাবা'কে খুন করতে তোর হাত
কাঁপতো।আমার গর্ভে যে সন্তান আছে তার
বাবাও আমি মা- ও আমি। ভুল করেই
সন্তানের বাবা বলবি। আমি চাইনা আমার
সন্তান তাঁর বাবার খুনিকে বাবা ডাকুক।
.
--
-- একটা বালিশ নিয়ে চলে গেলাম সুফাতে।
রাতে শুয়ে শুয়ে ভাবতে লাগলাম কলেজের
সেই দিনগুলি। আজ সজিবকে অনেক মিস
করছি। কিন্তু কথা না থাকলে আজ হয়তো
সজিব বেঁচে থাকতো।এসব ভাবতে ভাবতে
কখন যে ঘুমিয়ে যায় মনেই নাই।
.
-- পরের দিন অফিসে বসে কাজ করছি! হঠাৎ
তোবার ফোন!
.
-- হ্যালো দুলাভাই, আপনি বাসায় আসবেন?
ধরকার ছিলো?
.
-- এদিকে তোবার মুখে দুলাভাই ডাকটা
শুনে নিজের অজান্তেই ভাললাগা কাজ
করছে।
.
- কেন শ্যালিকা কি এমন ধরকার?
.
-- ওহ্ দুলাভাই, আপু আসতে বললো। এখনই
আসো। ( তোবা)
.
--- সত্যি কি আসতে বলছে?
.
-- দুলা ভাই তোবা মিথ্যা বলেনা।
.
ওকে আমি আসতেছি বলে অফিস থেকে ছুটি
নিয়ে বাসায় দেখি, কথার আমার দেয়া
শাড়ীটা পড়ে আছে! আমার দেয়া শাড়ীটা
পড়াতে আজ অনেক খুশি লাগছে! হঠাৎ কথা
এক গ্লাস শরবত বাড়িয়ে দিলো। আমি
খেয়ে নিলাম হাজার হলেও কথা দিয়েছে।
.
-- মাথাটা কেমন জানি ঘুরতেছে? চোখে
রাজ্যের ঘুম চলে আসছে।চোখ তুলে
তাকাতে পারছিনা কথা তুমি আমাকে কি
খাওয়ালে?
.
-- আপু, আঙ্কেল আন্টির সাথে মার্কেট এ
গিয়েছে। কথাটা বলে ঘুমটা টা খুলতেই
দেখি তোবা।
.
- তোবা কি খাওয়ালে আমায়?
.
সুইট হার্ট কিছুই করিনি। শরবতে স্লিপিং
পিল মেশানো ছিলো,। চিন্তা করোনা ৩
ঘন্টা পরই সব ঠিক হয়ে যাবে। কথাটা বলে
ধাক্বা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিলো। তার
পর আর কিছু মনে নেই।
--
ঘুম ভাঙ্গতেই দেখি সন্ধ্যা ছয়টা। সব কিছু
মনে হচ্ছে স্বপ্ন তোবাকেও দেখছি না।
.
--তার পর ফ্রেশ হয়ে রাতে খেয়ে আগের
মতোই সুফাতে শুয়ে পড়লাম।
.
এদিকে দু'দিন পর দেখি কথা আর তোবা
বসে আছে,
.
-- কি শ্যালিকা দু"দিন তো তোমাকে
দেখাই যায়না!
.
-- ওহ্ দুইদিন মিস করছো তাই তো? ছিঃ তুই
এতোটা খারাপ কল্পনাতীত। কেন আমাকে
বিয়ে করেছিস! (কথা)
..
কি বলছো, কিছুই তো বুঝছি না।(আমি)
.
-- আমার জীবনটা নষ্ট করেও তোর স্বাধ
মিটে নাই। এখন আমার বোনের জীবন-টাকে
নষ্ট করার জন্য ওঠে পড়ে লেগেছিস। (কথা)
.
-- প্লিজ আমি কি করছি বলবে তো?
.
-- হুম দেখো তাহলে? এই জন্যই তো বলি
জামদানি শাড়ী কিসের জন্য এনেছো।এই
বলে কয়েকটা ফটো এগিয়ে দিলো!
.
-- পিকটাতে দেখা যাচ্ছে তোবার কাপড়
সম্পূর্ণ খোলা আমি তোবার বুকের ওপর শুয়ে
আছি।তোবা কাঁদছে ফটো টা দেখে বুঝতে
বাকি হলো না তোবা শরবত খাইয়ে এসব
করেছে।কথা প্লিজ বিশ্বাস করো আমি
এসবের কিছুই করিনি। তোবা আমাকে শরবত
খাইয়ে এসব করেছে।
.
ঠাস- ঠাস, ছিঃ তোর লজ্জা করেনা মিথ্যা
বলতে, তুমি জানতে আমি মার্কেট এ
যাবো। এ সুযোগ এ আমার বোনটাকে
ভাবতে পারছিনা কিছু। মনে হচ্ছে হচ্ছে
সুসাইড করি তোর কাছ থেকে মুক্তি পায়।
আমার জীবনটাকে তো নষ্ট করেছিস এখন
আমার বোনের সর্বনাশ করার জন্য পিছনে
লেগে আছিস।খুব ইচ্ছা ছিল গর্ভের
সন্তানটাকে পৃথিবীর আলো দেখাবো
কিন্তু না তোকে মুক্তি দিয়ে যাচ্ছি,
কথাটা বলে ফল কাঁটা ছুড়ি পেঁটের মাঝে
চোখ বন্ধ করে চালিয়ে দিলো.......
.
.
♥-----"To be Continue"---♥