গল্প :-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে""
লেখক:- #Nayem_Ahmed
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
★------পর্ব :- ১৫~~~ ♥
সজিবেরর দিকে এখন তাকিয়ে নিজেকে
ঠিক রাখতে পারলামনা। ফেলকি দিয়ে
রক্ত বের হচ্ছে একটা ছুড়ি সজিবের ঠিক
কলিজা বরাবর ডুকানো!
ভাবতেই পারিনি সজিব নিজের বুকে
নিজেই ছুড়ি চালিয়ে দিবে। আমি তো
সজিবকে ক্ষমা করে দিয়েছিলাম। আজ
মারতে এসেও মারতে পারিনি। কারণ
পারিনি বন্ধু হয়ে বেঈমান বন্ধুর বুকে ছুড়ি
চালিয়ে দিতে,। কারণ মহান আল্লাহ্
তায়ালা যে নিজ হাতে তাঁর বিচার
করেছে। মা- বাবাকে কেড়ে নিয়েছে
সজিবের। তাঁরপর আবার মরণ ব্যাধি
ক্যান্সার দিয়েছে আল্লাহ্। এর চেয়ে বড়
শাম্তি আর পৃধিবীতে কী হতে পারে। তাই
নিজের পকেটের ছুড়ি রেখেও বুকে টেনে
নিয়েছি। এখন সজিবের দিকে তাকাতেই
বুকটা কষ্টে ফেঁটে যাচ্ছে। অপরাধী হলেও
সে তো আমার বন্ধু ছিল। ছিল কলিজার
একটা অংশ। রক্তে ভেসে যাচ্ছে ফ্লো,
দোঁড়ে গিয়ে রুমাল দিয়ে বুক ধেকে ছুড়িটা
বের করতেই দেখি,ছুড়ির মাথায় সজিবের
কলিজার একটু অংশ লেগে রয়েছে। এই দৃশ্য
দেখে, নিজের অজান্তেই চোখের পানি
নিরবে ঝরছে। কলিজা টা ফেঁটে যাচ্ছে।
মনে হচ্ছে চিৎকার দিয়ে কাঁদি। এই দোস্ত
তুই কেনন এমন করলি? আমি তো তোকে
ক্ষমা করে দিয়েছি। দোস্ত চল তোকে
বাঁচতে হবে আবার বন্ধুকে বাঁচতে হবে।
.
দোস্ত প্লিজ আমাকে কিছু বলতে দে! আমি
জানি, আমার সময় শেষ হয়ে আসছে। দোস্ত
জানিস আমি যে বড় অন্যায় করে ফেলেছি।
যে পাপের শাস্তিতে, মা- বাবাকে কাছ
থেকে দূরে সরিয়ে দিলো আল্লাহ্। তবুও
আল্লাহ্ তায়ালার কাছে শুকরিয়া যে
আমার পাপের ছাঁয়াতল থেকে তাড়া মুক্তি
পেল। তারপর আমাকে ব্ল্যাড ক্যান্সারের
মতো একটা ছোট্ট রোগ দিলো, যা মৃত্যুর
অগ্রিম টিকেট। আমি যে ব্ল্যাড কান্সার
নিয়েও প্রতিনিয়ত অনুশোচনায় ভোগছি।
জানিস দোস্ত আমি মা- বাবা মরার পর
একটি রাতও ঘুমাতে পারিনি। প্রায় প্রতি
রাতেই ভয়ংকর কিছু স্বপ্ন দেখতাম।জানিস
দোস্ত, মা- বাবা স্বপ্নেও আমাকে ছেলে
বলে দাবী দেয়না। তারা বলে আমার মতো
পাপী নাকী দুনিয়াতে নেই। বল দোস্ত
আমি পৃথিবীতে বেঁচে থেকেও মৃত। দোস্ত
প্রতিরাতে কণা স্বপ্নে আমার মৃত্যু কামনা
করতো, বল তো দোস্ত আমি কীভাবে বেঁচে
থাকি। আমি সবাইকে বলে যায় কেউ কোন
মেয়ের জীবন নষ্ট করো না। কারণ তাঁরা
ভালবাসার মানুষটার ভালবাসা পাওয়ার
জন্য নিজের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান
সম্পর্দ সতিত্ব তাঁর ভালবাসার মানুষের
হাতে নিরবে তুলে দেয়। তারা চায় তাদের
ভালবাসার মানুষ যেনো তাঁদেরকেই
ভালোবাসে। তাই নিজের শেষ সম্বল,
নিজের সতিত্বটাও দিতে কাপণ্যবোধ করে
না। আমরা ছেলেরা একটু আনন্দ লাভের
জন্য, একটা জীবনকে ধ্বংস করে দেয়।কী
লাভ, এসব করে, একসময় দেখা যাবে আমার
মতো অবস্হা হবে তোমাদের সকলের। বেঁচে
থেকেও প্রতিনিয়ত মৃত্যুর অপেক্ষা করতে
হবে।আমি চাইনা আর কারো অবস্হা আমার
মতো হোক।
.
এই দোস্ত কী বলছিস চুপ করবি তুই। প্লিজ চুপ
কর,আমার বন্ধুনা তুই, তোকে ছাড়া আমি
কেমনে বাঁচবো।
.
দোস্ত,আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে।
আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। দোস্ত তোকে মরার
আগে একটা অনুরোধ করবো?
.
হুম কর, কি করবি?
.
দোস্ত আমার মাথা ছুঁয়ে প্রমিজ কর! আচ্ছা
এই যে তোর মাথা ছুঁয়ে প্রমিজ করলাম।
এবার বল।
.
দোস্ত, তুই তো কথাকে নিজের জীবনের
থেকে বেশি ভালোবাসতি?
.
আরে কে বলছি না'তো আমি কেন
ভালোবাসতে যাবো। যেদিন আমাকে
কলেজের সবার সামনে থাপ্পর দেয়, সেদিন
থেকেই কথাকে ভুলে যায়। কথা নামে কেউ
আমার জীবনে ছিল,সেটাও ভুলে যায়।
.
দোস্ত তাহলে,কেন অতিথি পাখি নাম
দিয়ে চিঠি লিখতে। কেন লুকিয়ে কাঁদতি।
কেন ওকে না দেখলে পাগল হয়ে যেতি।
দোস্ত আমি জানি তুই কথাকে বড্ড বেশি
ভালোবাসিস।
.
কি বলছিস সজিব কথা তোর বিয়ে করা বউ।
.
না'রে আর কত চোখের জল লুকাবি। এখনো
তোর চুখে কথার জন্য ভালোবাসা ঝলমল
করছে। তোর চোখ থেকে গড়িয়ে পড়া
প্রতিটি , অশ্রুকণা তে কথার অসিত্ব বুঝা
যাচ্ছে।
.
সজিব তুই থামবি, কথা তোর বিয়ে করা বউ,
আমার কাছে কথার পরিচয় কথা আমার বন্ধু
সজিবের বউ।
.
দোস্ত আর কত দিয়ে যাবি আমাকে, কোন
মাটি দিয়ে তৈরী করেছে তোকে মহান
আল্লাহ তায়ালা। আজও কি পৃথিবীতে
তোর মতো বন্ধু কেউ পেয়েছে। আমি
পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে বড় অভাগা যে তার
বন্ধুর ভালবাসার মূল্যটুকু দিতে পারেনি।
দোস্ত কাল কিয়ামতের দিন তুই আমাকে
বন্ধু বলে পরিচয় দিস,। মহান আল্লাহ্
তায়ালা জানিনা আমাকে ক্ষমা করবে
কিনা। আল্লাহ্ তায়ালা পেয়ারা হাবিব,
কাল কেয়ামতের দিন আমাকে উম্মত বলে
পরিচয় দিবে কিনা। আমি যে পাপী,
মহাপাপী আমি।
.
দোস্ত আল্লাহ্ তোকে ক্ষমা করবে তিনি
যে মহান।
.
আচ্ছা দোস্ত! তুই কথাকে এতো
ভালোবাসার পরও আমার করে দিলি। বুকে
এক বুক কষ্ট পাথর চাপা দিয়ে। জানিস
দোস্ত,কথাকে আমি সত্যি বিয়ে করিনি।
কাগজ পএ কাজী সবকিছু ফেইক ছিল। শুধু
কথার শরীরটা ভোগ করার জন্য এমন
নোংরা খেলায় নেমেছিলাম। জানিনা এ
অপরাদের ক্ষমা আছে কিনা। জানিস
দোস্ত কথা, আড়াই মাস এর অন্তঃসন্তা।
আমার অবৈধ সন্তান কথার গর্ভে বড় হচ্ছে।
দোস্ত কথা এসব জানলে আমাকে কবর
থেকে তুলে হলেও খুন করবে,তার সতীত্বের
ঝাঝ মেটাতে। দোস্ত আমি চাইনা সবার
মতো কথার জীবনটাও নষ্ট হয়ে যাক। কথাও
কণার মতো গলায় দঁড়ি দেখ। প্লিজ আমার
অনুরোধটা রাখ,কথাকে তুই যেভাবে পারিস
বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দে প্লিজ।
আমার একটা পাপের ভাগীদার হয়ে এই পাপ
টা আমার মোচন করার সুযোগ দে। দোস্ত না
করিস না প্লিজ। আমাকে ক্ষমা করে দে।
তোর পবিএ ভালবাসা কে নিয়ে আমি
নোংরা খেলায় মেতেছিলাম। ক্ষমা করে
দে। দোস্ত আমার মাথা ছুয়ে কসম কর যে
কথাকে বিয়ে করে, তাঁর গর্ভের সন্তানের
বাবা হবি তুই। সমাজে পরিচয় পাবে
আরেকটি অবৈধ সন্তানের। সবাই বলবে না
ঐটা জারজ সন্তান। সবাই বলবে ওই যে দেখ
রাজের সন্তানটা কত কিউট হয়েছে। প্লিজ
দোস্ত কসম কর মাথা ছুঁয়ে কথাকে বিয়ে
করবি। ( সজিব)
.
এদিকে সজিবের কথা ফেলতে পারলাম না।
কথাকে প্রথমত ভালোবাসি, আমার
ভালোবাসা পবিএটা দিয়ে কথাকে আর
তাঁর গর্ভের সন্তানকে পবিএ করে নিবো।
আজ কথায় জায়গায় অন্য কোন নিঃশ্বাপ
মেয়ে যদি বলি হতো তাহলেও তাকে হাসি
মুখে বিয়ে করে নিতাম। কারণ মানুষ
মানুষের জন্যে। দোস্ত তোর মাথা ছুঁয়ে
প্রমিজ করলাম। কথাকে বিয়ে করে তোর
সন্তানের পিতৃপরিচয় বহন করবো।
.

♥-----"To be Continue"---♥

গল্প :-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে""
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- ১৪ ~~~♥️
.
.
সজিবের ছবিটা, ছিঁড়ে ফেললো গ্যাসের
আগুনে দিয়ে ছবিটাকে জ্বালাচ্ছে। হঠাৎ
ফোনটা ক্রিং ক্রিং করে বাজছে ফোনটা
তুলতেই "
ভাবী ভাইয়াকে আর বাঁচানো গেলো না
হয়তো, ডাক্তার বলেছে ভাইয়া কুমুতে চলে
গেছে। ভাইয়ার লিভার ফ্রিফটি পারসেন্ট
ড্যামেজ হয়ে গেছে। ভাইয়া নাকি বাঁচবে
না ভাবী ( রিত্ত)
.
এদিকে রিত্তের কাছে এমন কথা শুনে মনে
হচ্ছে কেউ কথার কলিজাতে কেউ ছুঁড়ি
চালিয়ে দিচ্ছে। কষ্টে বুকটা তার ফেঁটে
যাচ্ছে।কথা ভাবছে, "আজ আমার জন্যই রাজ
মৃত্যুশর্য্যায়। এতটা ভালোবাসার পরও
তাকে শুধু অবহেলা করেছি। বিয়ের পর
একটি বার বুকে পর্যন্ত জড়িয়ে নেয়নি।"
এসব মনে করে কাঁদতে লাগলো।
.
মা'রে কাঁদিস না কেঁদে কি হবে? আল্লাহ্
তায়ালা কে ডাক। তিনি ছাড়া আর কেউ
বাঁচাতে পারকে না। ( কথার মা)
.
মা আমি কিভাবে বাঁচবো, ওর কিছু হয়ে
গেলে। আমার যে নিঃশ্বাসের সাথে
মিশে গেছে রাজ।( কাঁদতে কাঁদতে
কথাগুলো বললো কথা)
.
মা' তুই কাঁদলে কী রাজ ভালো হবে? ভালো
হবে না। তাই বলছি না কেঁদে আল্লাহর
দরবারে দোয়া কর। আর তুই ও তো
অন্তঃসন্তা রাতেও কিছু খাসনি, আর
এখনো যদি কিছু না খাস তাহলে বাচ্চার
ক্ষতি হবে। তাই ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নে।
( কথার মা)
.
আচ্ছা মা তুমি যাও আমি খেয়ে নিচ্ছি।
( কথা)
.
- আমি জানি, আমি চলে গেলে তুই
খাবিনা। একটু বস আসছি, বলে খাবার নিয়ে
এসে মুখে তুলে দিচ্ছে।
.
এদিকে মা খাবার তুলে দিচ্ছে আমি
খাবার দেখে নিজের অজান্তেই কেঁদে
দিলাম।
.
কথা তুই কাঁদছিস কেনো?
.
মা আমার স্বামী তো আজ ৩ দিন ধরে কিছু
খায়নাই। আমি কেমনে খাবো?
.
কি পাগলের মতো কথা বলছিস। প্লিজ তোর
জন্য না হলেও তোর গর্ভের সন্তানের জন্য
হলেও খেয়ে নে।আর রাজ তো তোর
সন্তানের নামও ঠিক করে রেখেছে"
রাইসা"। এখন যদি তুই না খাস তাহলে
বাচ্চার যদি কোন অঘটন ঘটে যায়। এদিকে
তোবাটাও কেমন যেন হয়ে গেছে। তুই ও যদি
এমন করিস, আমি আর তোর বাবা কীভাবে
বাঁচবো। তোর আর তোবার জন্যই তো বেঁচে
আছি।
.
মা তুমি কেঁদেনা আমি খাচ্ছি। খাবার
শেষ করে। ড্রাইভারকে বলে হসপিটালে
আসলাম। হসপিটালের দরজায় পা রাখতেই
বুকটা কেমন যেন কেঁপে ওঠলো। বুকটা কেমন
যেন শূন্য শূন্য লাগছে। হঠাৎ চোখ গেলে
রিত্তের দিকে রিত্ত গাল বেয়ে টপ-টপ করে
পানি পড়ছে।
.
"ভাবী তুমি আসছো" কথাটা বলে রিত্ত
জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো। আর বলতে
লাগলো" ভাবী ডাক্তার কি বলছে ভাইয়া
নাকি! এ পর্যন্ত বলে আবারো কেঁদে
দিলো।
.
আমি কি বলে সান্ত্বনা দিবো ভাবতে
পারছিনা। আমি নিজেকেই সান্ত্বনা
দিতে পারবোনা। আমার জন্যই রাজ আজ
এখানে। নিজের কান্না সামলে রেখে
রিত্তকে বললাম" রাজের কিছুই হবেনা "
প্লিজ কান্না করোনা। চলো তোমার
ভাইয়ার কাছে যাই।
.
এদিকে রিত্তকে নিয়ে রাজের বেডে
গেতে,, হৃদয়টা হুঁ, হুঁ করে কেঁদে ওঠলো।
রাজের মুুখে এখনো অক্সিজেন মাক্স
পড়ানো। চাঁদের মতো মুখটা, আধারে ডেকে
গেছে। নিজের চোখের জল আকটাতে
পারছিনা। রিত্ত বাইরে চলে গেলে ,
রাজের কপালে একটা ভালবাসার স্পর্শ
এঁকে দিলাম। তারপর,পা জড়িয়ে ধরে বলতে
লাগলাম, আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি
সত্যি হিরাকে কাচ, কাচকে হিরা ভেবে
ভুল করেছি। আমি তোমাকে ছাড়া
বাঁচবোনা।আমাকে ছেড়ে যেয়োনা
কোথাও সত্যি বাঁচবোনা। এখন তুমি আমার
প্রতিটি নিঃশ্বাসে। তুমি আমার হৃদপিন্ড।
আমার কিছু চাওয়ার নেই পৃথিবীতে,
আল্লাহ্ যেন তোমাকে আমার বুকে
ফিরিয়ে দেয়। আমি যে তোমাকে
ভালবাসি বড্ড বেশি ভালবাসি তোমাকে।
কথাগুলো বলে পা ধরে কাঁদতে লাগলাম।
চোখের পানিতে পা ভিজে যাচ্ছে। হঠাৎ
কারো হাতের স্পর্শ পেলাম মাথায়।
অশ্রুভেজা চোখে উপরের দিকে তাকাতেই
দেখি " (রাজের বাবা)।বাবাকে দেখে
আরো বেশি কান্না করে দিলাম। বাবা
ডাক্তার কি বলছে এসব। আমি বাঁচবোনা
ওকে ছাঁড়া।
.
মা'রে কান্না না করে আল্লাহকে ডাকো।
আর হ্যাঁ আমার ছেলের কিছুই হবেনা।
প্রার্থনা করো আল্লাহর কাছে।
.
হুম বাবা, আল্লাহ যেন ওকে ভালো করে
দেয়।
.
পরে, মা এসে বাসায় নিয়ে যায়। ঠিক মতো
হাঁটতেো পারিনা। আজ ৯ মাস হতে চললো।
বাসায় শুয়ে শুয়ে রাতে ভাবছি, রাজের
ডাইরি সম্পূর্ণ তো পরা হয়নি। তাই
বালিশের নিচে থেকে ডাইরিটা বের করে,
ডাইরিটা বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে, চোখের
জল ছেঁড়ে দিলাম। মাঝরাত ডিমলাইটের
আলোতে ডাইরিটা অদ্ভূত আর রহস্য ময়
লাগছে। কি আছে শেষের দিকে, ভাবতে
পারছেনা। সত্যিই কি রাজ " চরিএহীন,
জারজ টাকে খুন করেছে?
'এসব ভাবতে, ভাবতে ডাইরিটা খুললো,
ডাইরিটা খুলেই পড়তে লাগলো;
..
কণাকে আজ সাদা শাড়িতে কেমন যেন
লাগছে। তাই জিজ্ঞেস করলাম' কণা তুই না
সাদা শাড়ি পছন্দ করিস না তবে কেন এই
শাড়ি পড়েছিস? তোর জন্য তো বৈশাখেও
নীল শাড়ি কিনে দিলাম!
.
ভাইয়া, আমি চাইলেও আর নীল শাড়ি
কখনো পড়তে পারবোনা! ভাইয়া তুমি
আমার হত্যার বিচার করবেনা? আমার
আত্মা যে, সে বিশ্বাসঘাতকের মৃত্যু না
দেখে মুক্তি পাচ্ছেনা!
.
কণার কি সব বলছিস?।হঠাৎ কণার গলার
দিকে তাকাতেই দেখি গলায় দড়ির দাগ!
কণা বলে চিৎকার দিতেই ঘুম ভেঙ্গে যায়!
ঘুম ভাঙ্গতেই আর বুঝতে বাকি থাকেনা
এটা আমার দুঃস্বপ্ন ছিল।এখনো কণা'র
ভেঙ্গে যাওয়া ছবিটা বুকে।দরজার দিকে
তাকিয়ে দেখি দরজা লাগানো, ভয় ও হচ্ছে
আবার খুব কষ্ট হচ্ছে। মনে, মনে ভাবলাম
আমি আমার বোন হত্যার প্রতিশোধ ঠিকই
নিবো আর আমার বোনের চল্লিশ দিন
হওয়ার আগেই।
সেদিন রাতে আর ঘুম হলো না প্রতিশোধের
আগুন দাউ-দাউ করে জ্বলছে বুকে। বার বার
কণার কথাটা মনে পড়ছে, "ভাইয়া ওকে
ক্ষমা করোনা"।আমার সর্বনাশ করার
বিচার যে পর্যন্ত না করবে সে পর্যন্ত
আমার আত্মা মুক্তি পাবেনা।
.
পরেরদিন ভাবলাম যেভাবে হোক, আমার
বোন হত্যার বিচার করবো। তাই পরদিন খুব
ভোরে, ঘুম থেকে ওঠে, সজিবের বাসায়
যায়। টার্গেট হচ্ছে, সজিবকে খুন করবো।
যেই ভাবা সেই কাজ হাত পকেটে একটা
ছুঁড়ি লক্ষ গলা বরাবর চালিয়ে দেওয়া।
.
দোস্ত এত সকালে তুই আসলি যে? এখনো তো
কাজের মেয়েই আসেনি।দাঁড়া আমি চা
করে নিয়ে আসছি।
.
আমি শুধু মাথা নাড়ালাম!
.
এদিকে সজিব চা করে নিয়ে আসলো। আমি
চা খাচ্ছি এদিকে সজিবও চা খাচ্ছে। চা
খেতে কাশতে কাশতে লাগলো, সজিব।
হঠাৎ হাত দিয়ে মুখ ধরে ফেললো। সজিবের
হাতে স্পর্ষ্ট রক্ত দেখা যাচ্ছে। সজিব
আমার সামনে থেকে দ্রুত ওয়াশরুমে চলে
গেল।
.
কিছুক্ষণ পর ওয়াশরুম থেকে বের হতেই,ওর
দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলাম" তোর
কাশির সাথে রক্ত আসলো কেন কি
হয়েছে"?
.
নারে দোস্ত কিছু হয়নি? (সজিব)
.
প্লিজ দোস্ত আমার কসম বল তো কী
হয়েছে।
.
সজিব দৌঁড়ে এসে বুকে জাপটে ধরলো!মনে
মনে ভাবছি এখনই উপযুক্ত সময়। ছুঁড়িটা
পকেট থেকে বের করে গলায় চালিয়ে
দেওয়ার। নিজের বোনের মৃত্যুর প্রতিশোধ
নেওয়ার কিন্তু পারলাম না। কিন্তু না!
পারলামনা! হাতটা পকেটে না গিয়ে
সজিবের পিঠের ওপর গেলো।
সব রাগ অভিমান ভুলে শক্ত করে জড়িয়ে
ধরে বলতে লাগলাম- কাঁদছিস কেনো? কি
হয়েছে?
.
দোস্ত আমার ব্ল্যাড ক্যান্সার। আমি আর
বাঁচবোনা। আমার এতে কোন দুঃখ নেই।
দুঃখ তোর মনে কষ্ট দিয়েছি। জানিস
দোস্ত আমার মতো অপরাধী এই পৃথিবীতে
আর কেউ নেই হয়তো।
.
সজিব কী বলছিস তুই কী এমন অন্যায়
করছিস। আরে বন্ধুত্বের মাঝে ওমন অপরাধ
ক্ষমা করা যায়। আর তুই কাঁদছিস কেনো
কাঁদবিনা প্লিজ। মনে মনে ভাবছি খুন
করতে এসে নিজেই খুন হয়ে যাচ্ছি মনে হয়
বন্ধুত্বের কাছে।পাপী হলেও যে তাকে
নিজের ভাইয়ের মতো মনে করতাম।হঠাৎ
সজিব দু"পা জাপটে ধরে বলতে লাগলো"
দুস্ত তোর মতো বন্ধুর পায়ে ধরার যোগ্যতাও
আমার নেই তবুও বলছি আমাকে ক্ষমা করে
দে।"
.
কি করছিস, ওঠ বলছি তোর স্হান পায়ে নয়
বুকে। তুই যে অপরাধ বুঝতে পারছিস এতেই
আমি খুশি।
.
দোস্ত তুই সত্যি মহান" জানিস আমি
পৃথিবীর শেষ্ট পাপী। নিজের বন্ধুর সাথে
বিশ্বাসঘাতকতা করেছি। শুন তাহলে,মরার
আগে না জানা কিছু পাপের কথা তোকে
বলে যায়, পারলে ক্ষমা করে দিস।
.
সত্যি বলতে তোর সাথে ফ্রেন্ডশীপ করি,
তোর বোন কণাকে দেখে। তারপর তোদের
ফ্যামিলির একজন হয়ে যায়। আমার সবসময়
মেয়েদের দেহের উপর লোভ ছিল। আমার এ
বয়সে ৪৩ জন মেয়েকে নষ্ট করেছি। কণাকে
বিয়ের কথা বলে দিনের পর দিন ভোগ
করেছি।
.
কথাগুলো শুনে নিজের অজান্তে চোখ দিয়ে
পানি পড়ছে। বুকটা ফেঁটে যাচ্ছে। বারবার
কণার হাসিমাখা মুখটা ভেসে আসছে।
তারপরও মনকে কন্টোল করে বললাম,তারপর
কথার সাথে কীভাবে কী হলো?
.
দোস্ত কণার সাথে মজা করার পর আর
ভালো লাগেনি। তাই কণার পাশা- পাশি
আরেকটা খুঁজি এবং পেয়েও যায়। আমি
জানতাম তুই কথাকে জীবনের থেকে বেশি
ভালোবাসতি। আমি গ্রাম থেকে এসে
কথার সাথে, কী কী হয়েছে তোর সব
জেনেও না জানার ভান করেছি। এরপর তুই
প্রতিদিন কথাকে, নামছাড়া চিঠি দিতি,
ফেসবুকে তোর আইডির গল্প পড়ে, তোকে না
দেখেই কথা তোর প্রেমে হাবি-ডুবু খায়।
এবং তুই যদি ভালোনাবাসিস, আত্মহত্যা
করবে কথা। এসব জেনে, সময় মতো, তুই
যেদিন কথার সাথে মিট করতে যাস সেদিন,
চালাকি করে নিঁখুত অভিনয়টা করি।আমি
জানি তুই আমার জন্য তোর ভালবাসা
কুরবাণি দিবি তুই তাই করলি। কথার সাথে
রিলেশন হয়ে যায়। তারপর থেকে চুটিয়ে
প্রেম। কিন্তু কথা অনেক চালাক বিয়ের
আগে কিছু দিতে নারাজ। তাই কথাকে
ভুলানোর জন্য তাদের বাসার নিচে
দাঁড়িয়ে থাকতাম। আর হঠাৎ একদিন দেখি,
তোবা আমাকে ফলো করছে। আমিও তার
সঙ্গ দিলাম। তোবা আমাকে প্রপোজ করলে
আমি কথার কাছাকাছি যাবার জন্য রাজি
হয়ে যায়। আর ফ্রি জিনিস ছাড়া
ভালোনা। তোবাকে নিয়ে মন মত কয়দিন
ইনজয় করতেই, বোকা মেয়ে অন্তঃসন্তা
হয়ে যায়। যার দরুণ এবারশন করতে হয়।
ডাক্তার বলেছে এবারশনের পর থেকে ওই
মানসিক অসুস্থ। বাকি রইলো কথা, কথার
শরীরের প্রতি লোভ দিন দিন বাড়তে
লাগলো আমার। কিন্তু সালি অনেক চালাক
বিয়ের আগে কিছু দিতে নারাজ, তাই
মিথ্যা কাজি অফিসে নিয়ে গোপনে বিয়ে
করি।যা নামেমাএ তারপর কথার সে
কাক্ষিত দেহটাকে নিজের করে পায়।
কিন্তু এত পাপ যে আল্লাহও সয় না তাই মা
- বাবাকে কেড়ে নিলো। মরণব্যাধি
ক্যান্সার হয়েছে শরীরে, তাই আর
বাঁচবোনা ক্ষমা করে দেস।
.
সজিবেরর দিকে এখন তাকিয়ে নিজেকে
ঠিক রাখতে পারলামনা। ফেলকি দিয়ে
রক্ত বের হচ্ছে ছুড়িটা......
.
.
♥-----"To be Continue"---♥

#Nayeem

image

image

hi I am new here

Shariar Badhon changed his profile picture
6 yrs

image

#sumon240

image
ssssumon changed his profile picture
6 yrs

image

ঘরে ঢুকতে যাবে এমন সময় জানালা দিয়ে উঁকি
মেরে দেখে তার স্ত্রী আলিঙ্গনরত একজন পুরুষের
গালে চুমু খাচ্ছে ।
এক দরিদ্র লোক ও তার স্ত্রী পাহাড়ে বাস করে
। বেশিরভাগ সময় এই পরিবারের নুন আনতে
পান্তা ফুরায় ; মাঝেমধ্যে না খেয়েও
দিনাতিপাত করতে হয়। মোটকথা, বাঁচার
সংগ্রাম । একদিন লোকটি রুটি – রোজগারের
সন্ধানে পাহাড় ছেড়ে অন্য কোথাও বেরুবার
সিধান্ত নেয় । যাবার আগে স্ত্রীকে বলে, ‘ আমি
দীর্ঘ দিনের জন্য বাইরে যাচ্ছি । তোমার প্রতি
আমি সবসময় বিশ্বস্ত ছিলাম এবং থাকব;
প্রতিজ্ঞা করতে পারবে যে তুমিও আমার
অনুপস্থিতে আমার প্রতি বিশ্বস্ত থাকবে ‘? তার
স্ত্রী মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যাঁ সূচক সম্মতি জানায়

অনেক দিন পার করে পাহাড় বেয়ে নিচে নেমে লোকটি
শর্ত দিয়ে একটি দোকানে চাকরি নেয় । শর্তটি হচ্ছে
এই যে, পুরো উপার্জন বা মজুরি মালিকের কাছে
জমা থাকবে; কাজ ছেড়ে চলে যাবার সময় সমুদয়
অর্থ ফেরত নেয়া হবে। মালিক গরিব লোকটির কথায়
রাজি হলেন।বিশ বছর পর লোকটি আর কাজ করবেনা
বলে মালিকের কাছে তার প্রাপ্য সব টাকা
ফেরত চাইল ।
মালিক বললেন , তুমি টাকা নিবে নাও কিন্তু
টাকার পরিবর্তে আমার তিনটা উপদেশও গ্রহণ
করতে পারো । তুমি স্বাধীন । হয় আমার উপদেশ
মানবে নয়তো তোমার বিশ বছরের পারিশ্রমিক ফেরত
নেবে, কোনটা ? লোকটি দুদিনের সময় নিয়ে অনেক
ভেবেচিন্তে বলল, ‘আমি আপনার তিনটি উপদেশ
চাই, আমার প্রাপ্য অর্থ নয়’ ।
তা হলে বেশ মনোযোগ দিয়ে মাথায় নাও । উপদেশ
-১ঃ কখনও সংক্ষিপ্ত রাস্তা বা সর্টকাট বেছে
নেবেনা ; আপাতদৃষ্টে ভাল হলেও লম্বা সময়
নিয়ে করা কাজ অধিকতর উপকারী । উপদেশ-২ঃ
কোন কিছুতে হুট করে আগ্রহ দেখাবেনা । ধৈর্য ধরে
উপসংহারে উপনীত হবার চেষ্টা করবে । এবং
উপদেশ ৩ঃ কারো সম্পর্কে ধারণা নেবার আগে
পুঙ্খনাপুঙ্খ চিন্তাভাবনা করবে ।
এই বলে মালিক লোকটিকে তিনটা পাউরুটি দিয়ে
বললেন , এই দুটি খাবে রাস্তায় ভ্রমণকালে আর
এই বড় রুটিটা খাবে বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর সাথে
শেয়ার করে ।
মালিকের উপদেশ মনে গেঁথে লোকটি তার দীর্ঘ ও
ক্লান্তিময় সফর শুরু করে । পথিমধ্যে একজনের
সাক্ষাতে জানতে পারে যে এই পথে যেতে যা
সময় লাগবে, বিকল্প পথে লাগবে তার চেয়ে অনেক
কম সময় । আর যেহেতু বিশ বছর ধরে সে স্ত্রীকে
দেখেনা তাই এমনভাবে সময় নষ্ট করা ঠিক না ।
লোকটি প্রথমে রাজি হোল কিন্তু পরক্ষনে মালিকের
উপদেশ -১ স্মরণ করে দীর্ঘ পথই বেছে নিলো । পরে
জানতে পারে যে সংক্ষিপ্ত পথে একটা এম্বুস ছিল
যা তার প্রাণ নিয়ে নিতে পারতো ।
সফরের এক সময় রাত্রি যাপনের জন্য লোকটি
একজন মহানুভব মানুষের সাহায্য গ্রহণ করল।
অনেক রাতে একটা গোংরানির শব্দে তার ঘুম
ভেঙ্গে গেলে সে খুব আগ্রহ নিয়ে কি ঘটেছে দেখার
জন্য দরজা খুলতে যায় । হটাৎ তার মনে পড়ে
মালিকের উপদেশ -২ অর্থাৎ হুট করে আগ্রহ
দেখানো ভাল ফল নাও দিতে পারে । সত্যি তাই ।
সকালে আশ্রয়দাতা জানালো যে রাতে এই
বাড়িতে একটা বাঘ ঢুকেছিল ।
অবশেষে দীর্ঘ পথ পরিভ্রমণ শেষে একরাশ ক্লান্তি
ও হাতে একটা পাউরুটি নিয়ে লোকটা বাড়ি
পৌঁছায় । ঘরে ঢুকতে যাবে এমন সময় জানালা
দিয়ে উঁকি মেরে দেখে তার স্ত্রী আলিঙ্গনরত
একজন পুরুষের গালে চুমু খাচ্ছে। রাগে, ক্ষোভে আর
ক্লান্তিতে বিধ্বস্ত লোকটি তার স্ত্রীর প্রতি
চরম ঘৃণা ভরে চিরতরে বাড়ি ত্যাগ করার
সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বাড়ি ছাড়ার আগে সে
জানতে চায় কেন তার স্ত্রী তার প্রতি বিশ্বস্ত
থাকার প্রতিজ্ঞা করেও বিশ্বাসঘাতকতা করল
। অথচ সেতো সেই আগের মতই বউকে ভালবাসে।
দরজায় কড়া নাড়তেই সহাস্যে তার স্ত্রী
দরজা খুলে দিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরতে এগিয়ে আসে।
লোকটি তাকে কাছে ঘেঁষতে দেয় না -‘আমি শুধু
জানতে চাই তুমি আমাকে রেখে আমার
অনুপস্থিতে অন্য একজন পুরুষের গালে চুমু খেয়ে
বিশ্বাসঘাতকতা করলে কেন? কই আমি তো ওইরকম
নই বরং বিশটা বছর তোমার কথা ভেবে ভেবে
কাটিয়েছি ‘ – লোকটি বলল ।
‘ঘরে এসো সব খুলে বলছি’ – তার স্ত্রী
বিনীতভাবে আমন্ত্রন জানাল।‘না, তার আগে
আমার নিজ চোখে দেখা এই মাত্র ঘটে যাওয়া
অপকর্মের ব্যাখ্যা চাই’।
‘আচ্ছা ঠিক আছে, বলছি। তুমি যখন বাড়ি ছেড়ে চলে
গেলে তখন আমি সন্তানসম্ভবা। এখন আমাদের
বিশ বছর বয়সের একটা ছেলে আছে । দূরে পাহাড়ে
কাজে যাবে বলে দুইগালে চুমু খেয়ে আশীর্বাদ
করছিলাম’।
আনন্দাশ্রু নিয়ে উভয়ে পাউরুটিটা ভাগ করে খেতে
বসলো। রুটি চিড়তেই লোকটি দেখে তার মালিক তার
পাওনা সমুদয় অর্থ রুটির ভেতর গুঁজে দিয়েছিল ।

জিপি সিমে নিয়ে নিন ৩০ টাকায় ১ জিবি সর্বোচ্চ ৫ বার মেয়াদ ৩ দিন | #জিপি সিমে নিয়ে নিন ৩০ টাকায় ১ জিবি সর্বোচ্চ ৫ বার মেয়াদ ৩ দিন #জিপি সিমে নিয়ে নিন ৩০ টাকায় ১ জিবি

জিপি সিমে নিয়ে নিন ৩০ টাকায় ১ জিবি সর্বোচ্চ ৫ বার মেয়াদ ৩ দিন

জিপি সিমে নিয়ে নিন ৩০ টাকায় ১ জিবি সর্বোচ্চ ৫ বার মেয়াদ ৩ দিন

জিপি সিমে নিয়ে নিন ৩০ টাকায় ১ জিবি সর্বোচ্চ ৫ বার মেয়াদ ৩ দিন