Discover postsExplore captivating content and diverse perspectives on our Discover page. Uncover fresh ideas and engage in meaningful conversations
All friend friends ???
?চোখে পানি চলে আসার মত, পড়ে দেখুন......??
"কিছুদিন আগে নখ কাটছিলাম। ?
নখগুলো টেবিলের উপর ছিল। ?
নখ কাটা শেষ হতে না হতেই দেখি তিন-চারটা পিঁপড়া এসে একটা নখ নিয়ে যাবার জন্য টানা হেঁচড়া করছে।
তখন হঠৎ।
করে মনে এ ভাবনার উদয় হলো- যতক্ষন এ
নখগুলো আমার দেহের সাথে সংযুক্ত ছিল ?
তখন
কোন পিঁপড়ে এসে তা নিয়ে যাওয়ার জন্য
চেষ্টা করেনি, ?
কিন্তু যেই না তা আমার দেহ
থেকে বিচ্ছিন্ন হলো তখনি তা পিঁপড়ের
খাবারে পরিণত হলো।?
ঠিক তেমনি যখন আমার দেহ থেকে আমার প্রাণ
বের হয়ে যাবে, ?
আমার শত যত্নে গড়া এ সাঁধের দেহ মাটির ঘরে রেখে আসা হবে ??
তখন এ দেহের কোন দাম থাকবে না, ?
হোক না তা যতই সুন্দর কিংবা কুৎসিত, সাদা কিংবা কালো, চিকন কিংবা মোটা, ঢিলে-ঢালা শরীর?
কিংবা ব্যায়ামের মাধ্যমে গড়া শরীর;?
অবশেষে তা হবে পোকা-মাকড়ের আর পিঁপড়ের
খাবার, ?পরিণত হবে তাদের বসত বাড়ীতে।
মাটির
দেহ অবশেষে মাটির সাথেই মিশে যাবে?
শুধু
বেঁচে থাকবে আমার আমল আর আমার কর্ম।
হে আল্লাহ্! আমি তো মাটি দিয়ে গড়া এক আদম
সন্তান, যার দেহ পঁচে যাবে আর পরিণত
হবে পোকা-মাকড়ের খাবারে; তবুও
এই
অস্থায়ী দেহ দ্বারা তোমার যে ইবাদত করা হয়
তুমি তা কবুল করে নাও?
এবং আরো বেশী নেক আমল করার তৌফিক দান করো।??
~~~~~~~~♦কালো মেয়ে♦~~~~~~~~
{গল্পটা কাল্পনিক}
♠আমি সেই অপদার্থ, যে ক্লাস নাইনে একটা প্রেম কইরা ছ্যাকা খাই ছিলাম, তারপর এবার এইচ. এস. সি.পাস করে অনার্স ১ম বর্ষে ভর্তি হলাম। But আজ অবদি কোন মেয়ের সাথে আর রিলেশন করি নাই।
So আমার মনের এখন একটা ইচ্ছা অনার্স এ বইসা একটা প্রেম করমো, তাও ক্লাসের সব চেয়ে কালো চেহারার একটা মেয়ের সাথে।
জানি আপনারা এখন ভাবতেছেন সবাই সুন্দর সুন্দর মেয়ে খুজে প্রেম করে, আর সেখানে আমি এইরকম কালো মেয়ে খুজি কেন।
Please wait.... একটু পরেই বলি কেন এইসব এর কাররন.....
প্রথম দিন ক্লাস এ গিয়ে, ক্লাসের সব চেয়ে কালো মেয়ে খুঁজতে লাগলাম। খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে একটা মেয়ে দেখলাম, যার চেহারা রং কলমের কালির মতই কালো।
মনে মনে ভাবলাম আমার সপ্নের রাণী পেয়ে গেছি।
ক্লাসে অনেক সুন্দর সুন্দর মেয়ে আসছে, আর সব ছেলেরা দেখি ঐ মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব করার জন্য একপ্রকারে ভিড় জমে গেছে। কিন্তু ঐ কালো মেয়ে টার সাথে কেউ মিশে না, এবং কথাও বলেনা, আর মেয়েটি ক্লাসের এক কর্নারে চুপচাপ মন খারাপ করে বসে আছে। আমি মেয়েটির দিকে এগিয়ে গেলাম,,,
তারপর বললাম হাই...আমি {শুভ}
মেয়েটি তখন বলল আমি {সকাল।}
আমি মেয়ে টিকে বললাম ভালই মিলে গেলো
{শুভ সকাল} আচ্ছা আমি কী তোমার ফ্রেন্ড হতে পারি? সকাল বলল অবস্যই।
আমি সকাল এর চোখে মুখে অবিশ্বাসের ছাপ দেখতে পেলাম, যেনো ও নিজেকে বিশ্বাস ই করতে পারতেছে
না যে আমি ওর ফ্রেন্ড হতে চাইছি, কারন কেউ সকাল এর সাথে ভালো করে কথাই বলে না।
আমি বললাম চল সকাল আমরা ঐ দিকে মাঠে গিয়ে বসি, সকাল বলল চলেন। আমরা মাঠে গিয়ে বসলাম,
তারপর আমি সকাল কে বললাম তুমি আগে কোন কলেজে ছিলা, সকাল বলল তিতুমীর কলেজে, ও খুব ভালো। এভাবেই আমাদের দুজনের বন্ধুত্ব হল,, কলেজে আসলে প্রথমে আমি সকাল কে খুজি আর সকাল ও আমাকে খুজে,,,,
এরকম দেখতে দেখতে ৩/৪ মাস কেটে গেল, আমি এখন সকাল কে ছাড়া এক মুহূর্ত ও থাকতে পারি
না, আর সকাল ও আমাকে ছাড়া থাকতে পারে না।
এবার আমি সকাল কে প্রপোজ করব ভাবছি।
তারপর ১৪ফেব্রুয়ারি কলেজে এসে সবার সামনে সকাল কে বললাম তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে, সকাল জি বলেন কি কথা বলবেন, তারপর আমি সকাল কে লাল টুকটুকে একটা গোলাপ ফুল দিয়ে সবার সামনে প্রপোজ করলাম..
বললাম.....{আই♥ইউ} সকাল
সকালের চোখ দিয়ে পানি জড়তে লাগল, এবং বলতে লাগল এ হয়না না শুভ, আমি বললাম কেনো হয় না?
সকাল বলল আমি কালো, আর আমার চেহারা খারাপ তাই, তারপর আমি বললাম তুমি কালো তো কি হয়েছে, তোমার ও তো ভালোবাসার অধিকার আছে তাই না। সকাল তখন বলল কিন্তু তোমার পরিবার, তোমার বন্ধু বান্ধব, কেউ আমাকে মেনে নিবে না শুভ।
আমি সকাল কে বললাম, সেটা তোমাকে ভাবতে হবে না। আমি সব সামলে নিব। আম্তে আস্তে সকাল এর কাছে গেলাম, আর ওর চোখের পানি মুছে দিলাম।
তারপর সকাল আমাকে জরিয়ে ধরে বলল তুমি আমাকে কোনদিন ভূলে যাবে নাতো শুভ। আমি বললাম কোনদিন ও ভুলব না তোমায়। তারপর আমার আর সকাল এর প্রেম হয়ে গেল।
এরপর থেকে আমার বন্ধুরা আর আমার সাথে ভালো করে মিশে না, এবং কথাও বলেনা, কারন আমি সকাল এর সাথে প্রেম করি তাই।
একদিন আমার বন্ধু সাব্বির আর রাছেল বলল, তোর রুচিটা এত খারাপ শুভ, তুই সকাল এর মতো একটা কালো মেযের সাথে প্রেম করস। তুই আমাদের সাথে আর মিশবি না.. তারপর থেকে আমি একা একা থাকি।
তারপর আমি লেখা পড়া ছেড়ে দিলাম, আর এখন একটা কম্পানিতে Job করি, তাই ভাবলাম বাবা মাকে সকাল এর কথা জানাবো। যেই ভাবা সেই কাজ বাবা-মাকে জানালাম।
But বাবা মা কিছুতেই ঐ কালো মেয়েকে আমাকে বিয়ে করাবে না। তাই আমি মাকে বললাম আচ্ছা মা তুমি আর সকাল দুজন ই মেয়ে, তাহলে সকাল এর সমস্যা কি? তোমার দুটা হাত আছে ওর ও দুটা হাত আছে?তোমার নাক, কান, মুখ আছে সকাল এর সাথে ও আছে, আর সবচেয়ে বড় কথা হল ও একটা মানুষ।
আর আমরা যদি সবাই সুন্দরি মেয়ে খুজি, তাহলে এসব কলো মেয়েদের কে বিয়ে করবে এইরকম একটা মেয়ে যদি তোমারও থাকত, তাহলে তুমি কি করতে মা। তারপর মা- চুপ হয়ে গেল।
এইবার বাবা আমাকে বলল, আমি সমাজের সবাইকে কি বলবো? তারপর আমি বাবাকে বললাম রাখও তোমার সমাজ। সমাজের আট দশটা মানুষের মতো সকাল ও একটা মানুষ। তারপর মা আর বাবা দুজনে চুপ হয়ে গেল।
তারপর মা আর বাবা রাজী হয়ে গেল ধুমধাম করে আমাদের বিয়ে হলো। আমাদের এখন দুই বছর একটা মেয়ে আছে, আর তাকে নিয়ে আমরা খুব সুখে আছি।
{আসলে কালো বা ফর্সা কোনো বিষয় না, আসল বিষয় হলো সুখে থাকাটা, আপনি যদি একটা কালো মেয়েকে বিয়ে করে সুখে থাকেন আর সেটাই হল প্রকৃত সুখ।}
এইরকম হাজারও সকাল আছে আমাদের দেশে, যাদের কষ্টের কোন শেষ নেই। রাস্তাঘাটে চলার পথে তাদের শুনতে হয় হাজারও বাঝে কমেন্ট, আর বন্ধু বান্ধেবের কাছ থেকে অপমান আর কষ্ট, আর সমাজের কাছে তাদের তো কোন মূল্য নেই।
বন্ধুরা একটা কথা চিন্তা করে দেখ, আল্লাহতালা আমাদের যদি এমন কালো করে বানাতেন তাহলে সমাজের লোক আমাদের ও এমন চোখে দেখতো।
So কালো আর সুন্দর সব আল্লাহর তৈরি, কলো বলে মানুষ কে ঘিনা করা যাবেনা, এতে আল্লাহতালা বেরাজ হন।
{এখন বলি কেনো আমি কালো মেয়ে খুজছিলাম কারন কালো মেয়েরা খুব ভালোবাসতে জানে, কারন এদের কাছে সব সময় হারানোর ভয় থাকে, এরা একটু ভালোবাসার জন্য সব করতে পারে নিজের জীবন পর্যন্ত আপনার জন্য দিয়ে দিতে পারে, কারন এরা ভালোবাসা খুব কম লোকের কাছ থেকেই পায়, তাই ভালোবাসে যেন কষ্ট পেতে না হয়, তাই কলো মেয়ে খুজছিলাম।
............গল্পটা পড়ে অনেক হাসবেন..............
>>>>>>>>>>অপদার্থের প্রেম>>>>>>>>>
আমি সে অপদার্থ যে, পড়ালেখা শেষ করে এখন দিনরাত শুধু বাপ মায়ের বকা খাচ্ছি। এখনকার জমানাতে বেকার থাকার যত্ননা আমার থেকে আপনারা ভালো জানেন।
সরকারী কোন চাকরি পেতে হলে, আমাগো সোনার দেশের মানুষ গুলো, ঠিক সোনার দামের মতো টাকা চায়। আর আমার বাপ ও টাকা দিতে রাজি। কিন্তুু আমার ছোট থেকে ওই সব চাকরির কোন শখ নাই ।
আজাইরা কোন মানুষ এর কথা শুনতে আমি মোটেও রাজি না। আর যেখানে কাজ টাই আমার পছন্দ না, আমি আমার বাপরে কত করে বললাম যে, আব্বা আমারে যেই টাকা দিয়া চাকরি দিবা, সেই টাকা গুলা আমারে দাও, তারপর দেখ কেমন ফটাফট করে বড়লোক হয়ে যাই। কিন্তুু কে শুনে কার কথা।
ভাই আমার কোন gf নাই , আর বিয়ে করার ও কোন প্লান নাই যে, চাকরির জন্য এত্ত টেনসন করমু, তাইতো এখন খালি সারাদিন টো টো কইরা ঘুরে বেড়াই, ঐ যে কথায় আছে না বাঁদর যেমন সারাদিন এখান থেকে ওখানে আবার ওখান থেকে এখানে, ঠিক তেমন করে আমিও। আর আমর চুল, দাঁড়ি গুলো ও হয়েছে ঠিক বাঁদর এর মতো।
আমার বাপরে কইলাম যে আব্বা ১০০ টা টাকা দাও চুল কাটমু। কে শুনে কার কথা, আমারে কি কইলো
জানেন। না থাক ওইটা আপনারা সবাই জানেন আমারে আর কইতে হবে না। আরে ভাই এটা কমন ডাইলগ ইবার বুচ্ছেন তো... না বুঝলে নাই কইয়া আর আমার শরম পাওনের কোন দরকার নাই....
কিন্তুু আর যাই হোক আমরে দেখতে কিন্তুু মোটেও খারাপ লাগতেছে না। পুরাই শালমান খান ... না না তার থেকেও আরো ভালো হি হি হি ।
কী আর করার প্রতিদিনের মতো। সেই স্কুল লাইফ এর সাইকেল টা নিয়ে বিকেলবেলা ঘুরতে বের হচ্ছি। এমন সময়...
- আব্বা বলল, তো অপদার্থ রাজা মশাই কোথায় যাওয়া হচ্ছে।
- কেন জানো না রাজ্য শাসন এ যাচ্ছি।
- হুমমমমমম , যান যান আপনার তো আবার মেলা কাজ...
- সেটা তো জানোই, নতুন করে বলার কী আছে।
- আচ্ছা ওই অপদার্থ তোর কী কোন প্রেমিকাও নাই হ্যা, তোর বয়স এর ছেলেদের কম করে হলেও ২ থেকে ৩টা কর প্রেমিকা আছে, আর তুই কেমন অপদার্থ ছেলে বলতো, আরে ভালোবাসার মানুষটার জন্য সবাই কী না কী করছে। দেখ তোর অনেক ছোট সজীব, ও একটা চাকরির জন্য কত ছোটাছুটি করতেছে। আর তুই.....
- আচ্ছা আব্বা যার হিসি চাপে সেই তো হিসি করার
জন্য ছোটাছুটি করে তাই না, এর মধ্যে আমাকে টানার কী আছে হুমমমম...
- আচ্ছা তার মানে তুই প্রেম বিয়ে কিচ্ছু করবি না, আর চাকরিও করবি না, তুই অপদার্থ সারাজীবন অপদার্থ-ই থাকবি।
-আচ্ছা আব্বা আমারে কী তুমি পাগল পাইছো যে আমি বিয়ে করমু, আচ্ছা এসব বাদ দাও আগে বড়লোক হইয়া নেই, তারপর ওই সব চিন্তা করমু।
তারপর আমি সাইকেলটা নিয়ে বের হয়ে পরলাম।
- নদীর পার ধরে সাইকেল চালাইতাছি আর গান গাইতাছি।.....
......তোর মন খারাফের দেশে যবো প্রেমের খেয়ায় বেশে...
আর নিজেকেও কেমন জানি রাজা রাজা মনে হচ্ছে।
এমন সময় হঠাৎ কই থেকে একটা মেয়ে এসে আমার সাইকেলের আগারে পরে গেল, আর আমি জোরে ব্রেক করার ফলে ধপ করে সইকেল থেকে পরে গেলাম। তারপর বললাম।......
- ওই ওই মাইয়া Cute পোলা দেখলে মাথা ঠিক থাকে না. তাই না... আর যারা, এই ডাইলগটা মারে তাদেরকেই এই ডাইগ দিলাম..... হি হি হি।
- এই যে মি: আপনার সাহস তো কম না। আপনি আমার উপরে সাইকেল তুলে দিয়ে আপনি নিজে আবার ভাব নেন, নিজের ভালো চান তো তারাতারি এখান থেকে কেটে পরেন।
- ওলে বাবা কি বলে। এই যে এসব হুমকিতে আমি ভয় পাই না। আর ভালোই ভালোই বলছি আমার সাইকেল আর আমার পা ঠিক করে দেন। তা না হলে কানের গোরাই দিমু একটা।
- ওই পোলা তোমার সাহস তো কম না।
- সাহসের কি দেখছেন আরো দেখামু হু হা হা হা...
- দাড়া তোর দাঁত বের করে হাঁসা আমি বন্ধ করছি।
- ওই.... মাইয়া ফাঁকা রাস্তাই নিজেই এতো বড় একটা অপরাধ করে, আবার আমাকেই তুই তুকারি করা হচ্ছে
সাহস তো কম না আপনার। নেহাত আমি ভালো ছেলে বলে .. তা না হলে।.....
- ওই তা না হলে কী হুমমম দারান, তারপর ফোন করে বলল রফিক সাহেব তারাতারি একটু রাস্তাই আসেন।
- বাবা রে বাবা আমি তো ভয় পেয়ে গেছি। মেয়েটার দিকে তাকাই দেখি রাগে খালি ফুলতিছে আর ফুলতেছে।
তারপর হঠাৎ একটা পুলিশ আসলো।
- জ্বী .... ম্যাডাম বলেন।
- আমি তো হা করে আছি, বিনা কারণে ফেঁসে গেলাম না তো আবার ।
- রফিক সাহেব এই বেয়াদপ আর ওর সাইকেলটাকে
থানাই নিয়ে চলেন।
- তারপর আমি বললাম.. ম্যাডম ও ম্যাডাম এই শিশুর মতো ছেলেটাকে কী, না নিয়ে গেলে হয় না বলেন। আমি বাচ্চা মানুষ ২ একটা ভুল তো হতেই পারে তাইনা বলেন....
- আরে তুমি বাচ্চা বলেই তো গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছি।
কী আর করার, একটা কথা আছে না... মেয়ে আর পুলিশ এর খপ্পরে পরেছ তো মরেছ। আজ তার হারে হারে প্রমাণ পেলাম।
- আমার কপাল তো দিগুণ রাপ তাই... মেয়ে + আবার পুলিশ, আজ কপালে কী আছে একমাত্র আল্লাহ্ ভালো যানে।.. আর যাই হোক মেয়েটা কিন্তুু ঝাক্কাস।
আমার সাইকেল টা কে একটা রুমে, আর আমি মেয়েটা সামনা সামনি একটা লকাপের মধ্যে আছি। মেয়েটা একটা টেবিলে মধ্যে বসে কী যেনো করছে। আর আমার আবার একটা problem কথা না বলতে পারলে পেট ব্যাথা করে......
দূর লকাপেই তো যা হবার তা তো হইছেই বরং মেয়েটার সাথেই একটু কথা বলি।
- ও ম্যাডাম হ্যালো ...
- কেমন রাগী ভাবে তাকালো, এই জন্যই মনে হয় পুলিশ এর চাকরিটা পাইছে।
- আচ্ছা ম্যাডাম আপনার নাম কী গো?
- পাপ্তি ......।
- বাহ আমার নামের সাথে তো আপনার নামের বেশ মিল আছে। কে শুনে কার কথা কী, যেনো লিখছেই তো লিখছেই। আমি যে একটা মানুষ কথা বলছি ওনার কোন কেয়ার নাই। না হওয়ারই কথা, একে তো সুন্দরী তাঁর ওপরে আবার থানার হেড। সুন্দরী হলেই তো মাটিতে পা পরে না।
আর কী যে ঝামেলাই পরলামরে ভাই।
- ও ম্যাডাম আমাকে ছেঁড়ে দেন না, আপনাকে আমি প্রথম চিনলে কী আর অমন করতাম বলেন। আর আপনি বলেন দোষ কী আমার একা।
- ওই আপনে এত্ত কথা বলেন কেন হুমমমম।
- ম্যাডাম কথা না বলে আমি থাকতে পারি না। কথাটা
বাচ্চা বাচ্চা ভাবে বল্লাম। এবার কী ভেবে যেন একটু হাসলো।
- হাবিলদার বাচ্চাটাকে এখানে নিয়ে আসেন তো
- ওকে ম্যাডাম ...
বলে বাইরে নিয়ে আসলো ।
- নাম কী আপনার
- অপদার্থ
- বাবার নাম ?
- পদার্থ
- মায়ের নাম ?
- মনে নাই
-ওই মজা করা হচ্ছে আমার সাথে না
না ম্যাডাম যা সত্যি তা বললাম মজা করমু কেন
- আচ্ছা তোমার বাবার ফোন নাম্বারটা দাও ।
- ম্যাডাম আমার আব্বা জীবনেও এখানে আমাকে নিতে আসবে না। so ফোন করে কোন লাভ নাই। হি হি,
- ওই এবার মুখ বন্ধ করে, নাম্বার দাও
~ওকে নাম্বার তুলেন... ০১৭৭৯০৭৭৪৭৫
- হ্যালো- আঙ্কেল আমি থানার সিনিয়র পুলিশ অফিসার, আর আপনার ছেলে আমার সাথে বেয়াদবি করার জন্য থানাই নিয়ে আসা হইছে ... আর আপনি থানায় এসে এনটি করে ওকে নিয়ে যান।
- ওই অপদার্থ কে তো আমি কোন দিন নিয়ে আসব না,
তারচেয়ে বরং ভালো ওখানেই ওকে রেখে দিন। তাও যাতে একটু মানুষ হয়ে ফিরে।
- আচ্ছা ঠিক আছে , এই যে অপদার্থ তোমার বাবা কী বলল শুনলে তো।
- হুমমমমম ।
- এখানেই রাখব নাকি বাড়ি যাবে ।
- আমি বাড়ি যাবো ।
- এবারের মতো ছেরে দিলাম নেক্সট আর এমন বেয়াদবি করবা না কেমন। তা হলে কিন্তু আর ছাড়া
পাবা না বুঝলে।
- হুমমমমমমমমমম ওকে ।
- তাহলে যাও এবার।
- এক দৌড়ে চলে আসলাম, আর কে যেন বলল ঠিক অপদার্থ পোলা একটা। যাক বাবা আজকের মতো বাঁচলাম।
আর বাসাই এসে ভাতের সাথে বকা খেয়ে শুয়ে পরলাম।
- পরেরদিন সকাল সকালে রাস্তাই ব্রাশ করতে করতে
ক্রিকেট খেলছি পিচ্চি গুলার সাথে।
- শুভ ভাই এইবার কিন্তুু জোরে মারলে তুমি আউট ।
- ওকে ওকে বল কর, বল মারলাম আর বলটা গিয়ে পাপ্তির গায়ে লাগলো, মানে কালকের ওই পুলিশ মেয়েটার। বলটা নিয়ে আমার দিকে কেমন রেগ আসলো, আর কেমন ওকে Cute ও লাগছিল হি হি হি।
- এটা কী হল শুনি ।
- না মানে আমার কনো দোষ নাই , বলটা তোমার গায়ে লাগছে so তোমার যা কিছু বলার আছে এ বল টাকে বলো। আর এই বলেই ব্যাট টা কে নিয়ে দৌড়ে পালালাম। পরে একটা পিচ্চির কাছে থেকে শুনলাম। ও নাকি গতকাল রাতে আমাদের পাশের বাসাই ভাঁড়া নিছে।
- দূর মেজাজ টা কেমন লাগে দেখে দেখে এই মেয়েকেই
এখানে আসতে হল।
- বিকেলে ছাঁদে বসে বসে গিটার বাজাইতেছি আর গান গাইতেছি ।
- বাহ তুমি অপদার্থ হলেও, ভালো গান গাও তো
- পিছনে তাকাই দেখি পাপ্তি। এই মেয়েকে দেখলেই আমার কেমন জানি ভয় লাগে। কখন জানি জেলে পাঠাইয়া দেয় আমাকে ।
- আচ্ছা সকালের ওই ঘটনার জন্যও কী থানাই নিয়ে যাবেন
- হা হা হা... আরে না না ।
এর পরে থেকে টুকটাক কথা, আর অনেক দুষ্টুমি এখন আর দুষ্টুমি করলেও কিছু বলে না। এখন আমি আর পাপ্তি অনেক ফ্রী ।
- ওই অপদার্থ কাল আমাকে ঘুরতে নিয়ে যাবা কি ঠিক আছে তো ।
- আচ্ছা ওকে ।
আমি আর পাপ্তি ঘুরতেছি, হঠাৎ কয়েকটা ছেলে পাপ্তি কে উদ্দেশ্য করে বাজে কথা বলছে।
- আর পাপ্তির আমার সাথে থাকাই আমার কেমন জানি সাহস বেরে গেছে, তাই বললাম পাপ্তি তুমি এখানে থাকো আমি দেখতেছি।
- গিয়ে ওই ছেলে কে ঠাসসসসসসসসস করে একটা
থাপ্পড় দিলাম, আমার জীবনের ফাস্ট কাউকে এমন করে থাপ্পড় মারলাম। এবার সব পোলাপান আমার দিকে আসতিছে। আমি তো ভয় এ শেষ। পাপ্তি ও আমার সামনে আসলো।
- ওদের মধ্যে একজন বলল ভাই মেয়ে টা থানার এস আই। পোলা গুলো শুনে কেমন দৌড়ে পালাই গেল,
- আরে তুমি আসতে গেলে কেন আমি একাই সব গুলারে...
- তুমি কী করতে সেটা ভালো করেই বুচ্ছি প্রথম দিন।
সেদিন অনেক ঘোরাঘুরি করে সন্ধাই বাসাই আসতেছি
- পাপ্তিুর বাসার সামনে এসে বল্লাম আমাকে আমাদের বাসার গেট অব্দি দিয়ে আসবে।
- ওই কেন ।
- না মানে আমার ভুতের জন্য ভয় করে।
- এত্ত বড় একটা ছেলে তুবুও ভয় করো ঠিক আছে চলো।
- এই তো এসে গেছি ।
- ওকে এবার যাও কেমন পিচ্চি বাবু ।
- আচ্ছা টাটা কেমন ।
- বলে বাসাই চলে গেলাম। যাবার পর থেকেই মশার জ্বালা শুরু। তাই মশার ভয়ে কয়েল নিতে গেলাম ।
- কয়েল নিয়ে আসতেছি, কই থেকে জানি একটা কুকুর চিল্লাইতেছে, আমি তো ভয়ে দিছি একটা দৌড়। জোরে দৌড়ে আসার ফলে একটা মাইক্রোর সাথে ফটাস করে ধাক্কা খাইলাম। ধাক্কা খাওয়ার পর মাথাটা কেমন জানি ঝিম ঝিম করল, তার পরে আমার আর কিচ্ছু মনে নাই।...
- যখন জ্ঞান ফিরল দেখলাম পাপ্তি আমার পাশে বসে আছে, আর কেমন ফুফাই ফুফাই ক্যানতেছে। আর বাহিরেও অনেক বৃষ্টি হচ্ছে।
- আমি উঠে বসার চেষ্টা করতেই পাপ্তি আমাকে আবার শুইয়ে দিলো। আর বকা দিতে সুরু করল।
-আর বলল নিজের দিকে তো কোন খেয়াল থাকে না।
আর ভালো ভাবে একটু চলতে পারো না হুমমমমম...
মানুষ অপদার্থ হলে কি এতটা অপদার্থ হয়।
- আচ্ছা তুমি কেমনে জানলা ।
- আঙ্কেল আমাকে সব বলছে ।
- আচ্ছা আমি কয়দিন ধরে এখানে আছি ।
- তিন দিন ধরে বেয়াদব., আচ্ছা কেমনে এক্সিডেন্ট করলা শুনি ।
- আরে আমার কোন দোষ নাই জানো ওই হারামি কুত্তা গুলো চিল্লানি দিছে, আর আমি ভয়ে দৌড় দিয়ে তো আজ এখানে।
- এমনি হবে তোমার শয়তান একটা। আচ্ছা তুমি চাকরি করবা না ক্যান বলো তো...
- ওই সব চাকরী টাকরী আমার ভালো লাগে না।
- আচ্ছা বিয়ে করলে তখন কী করবা শুনি..
- হা হা হা দূর আমি তো বিয়েই করব না।
- ওকে আমি এবার গেলাম আমার কিছু কাজ আছে।
- কেমন জানি পাপ্তির চোখে পানি টলমল করছে, আমি অনুভব করতে পারলাম পাপ্তি আমাকে ভালোবেসে
ফেলেছে। আমি পাপ্তির হাত ধরে বললাম আচ্ছা তুমি আমার gf হবা।
- দূর শয়তান।
আচ্ছা আরেও একটা কথা বলব তুমি আবার ধরে থানা
নিয়ে যাবা না তো ।
- না থানায় নিমু না বলো।
- আচ্ছা আমাকে একটু জরাই ধরবা প্লিজ। কথাটা বলার সাথে সাথে জরাই ধরল। আহা কী শান্তি চাকরিটা মনে হয় আর করা লাগবে না ।
- ওই কী বল্লা ।
- না মানে সবসময় তোমার সাথে থাকার কোন চাকরি থাকলে করব।
- ঠিকআছে আমার গাড়ির ড্রাইভার এর পদ টা দিবো কেমন।
-ওক্কে ... ওই ছারলা কেন জরাই ধরো।
এই যে গল্প পাগলা পাগলীদের বলছি তোমরা চুপ চাপ গল্প পইড়া চলে যাও ।.. নো ডিস্টার্ব.. আর ডিস্টার্ব করলে কিন্তু থানাই ধইরা নিয়া যামু... হি হি হি হি হি হি.....
>>>>>>>>>>>>The End>>>>>>>>>>>
>>>>>>>>>♦রবিউল-রনি♦>>>>>>>>>
গল্প: ♥#পর্দাশীল_বউ♥
লেখক: ♥RK Rasel♥
.
পড়াশুনা শেষ করে এখন জব করছি।ভালো স্যালারি পাই।অফিসের কাজ শেষ করে বাড়িতে যাচ্ছি।কলিং বেল চাপতেই মা দরজা খুলে দিল।ঘরে গিয়ে দেখি মা টেবিলে খাবার রেখেছে সাজিয়ে।
মা:কখন থেকে বসে আছি তোর সাথে একসাথে খাবার খাব বলে।
আমি:তুমি এখনো খাও নি মা?
মা:না একা একা খেতে ভালো লাগে না।তাই তোর জন্য খাবার নিয়ে বসে আছি।মা আমার প্লেটে খাবার বেড়ে দিল৷
মা:কালকে তোর জন্য মেয়ে দেখতে যাব।কালকে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে নিস।
আমি:মা কি বলছ এসব?আমি এখনই বিয়ে করব না।সবে তো মাত্র জব করছি।আর কয়েকটা বছর যাক না?
মা:কিইই?আরো কয়েক বছর?অসম্ভব আমার বাড়িতে একা থাকতে ভালো লাগে না।সময় কাটে না।তুই সারা দিন অফিসেই থাকিস।তো কালকেই মেয়ে দেখতে যেতে হবে।
আমি:কিন্তু মা?
মা:কোন কিন্তু নয়।কালকে মেয়ে দেখতে যাব কথা ফাইনাল।এখন যা ঘুমিয়ে পড়
আমি:কি আর করা?মার কথা তো মানতেই হবে।তাই রাতে বসকে ফোন দিয়ে ছুটি নিয়ে নিলাম।
{ওও আপনাদের কাছে আমার পরিচয়টাই দেয়া হয় নি।আমার নাম রাসেল(আপনারা সবাই আমায় ভালো করেই চেনেন না চিনলেও বলি আমি RK Rasel)
।আমার বাবা আমার জন্মের আগেই মারা গেছেন।এখন শুধু আমি আর আমার মা বাড়িতে থাকি।আমি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি।আমার অনেক স্বপ্ন পর্দাশীল মেয়ে বিয়ে করব।তাই এখনো কোনো বেগানা নারীর দিকে ভালোভাবে চোখ তুলে তাকাই নি।আর কোনো বেগানা মেয়ের সাথে প্রেম তো দূরে থাক।আমার সব ভালোবাসা তার জন্য জমিয়ে রেখেছি। তার জন্য মানে আমার হবু স্ত্রীর জন্য।এসব কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি।
মা: ( রাসেল এই ওঠ।অনেক বেলা হয়েছে পাত্রী দেখতে যেতে হবে সে কথা মাথায় আছে তোর?ওঠে চালু রেডি হ
তারপর ওঠে ফ্রেস হয়ে মার কাছে গেলাম।
মা:কিরে এখনো রেডি হস নি?
আমি:হচ্ছি তো।
তারপর রেডি হয়ে বাসার গাড়িটা নিয়ে বের হলাম।আমি ড্রাইভিং করছি আর পাশে মা বসে আছে।উদ্দেশ্য পাত্রিদের বাসা৷৷অতপর আমরা পাত্রীদের বাসায় পৌছে গেছি৷পাত্রীদের বাসায় গিয়ে সবাইকে সালাম দিয়ে সোফাতে বসলাম৷কথা বার্তা বলার পর পাত্রীকে আনা হলো৷৷কিন্তু পাত্রীর পা থেকে মাথা পর্যন্ত ডাকা৷এতে আমি অবাক হই নি৷কারন আমার স্বপ্ন আমি পর্দাশীল মেয়ে বিয়ে করব৷আমার মাও জানে এ কথা৷
পাত্রী:আসসালামু আলাইকুম
আমি:সালাম ফিরিয়ে মনে মনে চিন্তা করতেছি কি সুন্দর কন্ঠ মেয়েটার৷তাকে দেখতে না জানি কত সূন্দর হবে৷আমি চুপ করে বসে আছি৷আমি তো মেয়ের কন্ঠ শূনেই মুগ্ধ হয়ে গেছি৷মনে মনে এসব কথা ভাবছি
এমন সময় পাত্রী আর আমাকে আলাদা কক্ষে পাঠানো হলো৷
আমি:কক্ষে প্রবেশ করে আমি কাশি দিলাম।
আমি:আপনার নাম জানতে পারি??
পাত্রী :হুমমম।আমার নাম মুনিয়া জান্নাত।
আমি:বাহহ সূন্দর নাম তো?
পাত্রী:ধন্যবাদ৷
আমি:তা আপনার মুখটি দেখতে পারি??শুধু তো কথাই বলে যাচ্চি৷
পাত্রী:ওইই কি বল্লেন৷এখন পর্যন্ত আমার মুখ কোন বেগানা পুরুষ দেখে নি৷তো আপনিও দেখতে পারবেন না৷বিয়ের পর বাসর ঘরে ভালো করে দেইখেন৷কিন্তু এখন দেখাতে পারব না৷যদি এই শর্তে বিয়ে করেন তো এই বিয়ে হবে৷না হলে হবে না৷
আমি:ও ও ও আল্লাহ এ তো দেখি পুরাই Dengarus মেয়ে৷(মনে মনে)
জান্নাত:অই কি ভাবছেন মনে মনে??
আমি:কি আর ভাববো৷মুখ না দেখালে তো আর কিছু করার নাই৷একেবারে বাসর ঘরেই দেখবো৷তো এখন আসেন নিচে যাই সবাই অপেক্ষা করতেছে৷
জান্নাত:ঠিক আছে চলেন৷তবে আমি যে আপনাকে মুখ দেখাই নি এটা যেন কেউ জানতে না পারে৷জানলে আপনার খবর আছে বলে দিলাম৷
আমি:ঠিক আছে কাউকে বলব না৷এবার চলেন৷
নিচে গিয়ে আমাদের পছন্দের কথা জানিয়ে দিলাম৷অতঃপর আমাদের বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করা হলো৷সাতদিন পর আমাদের বিয়ে৷
মিষ্টি মুখ করে তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে মাকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম৷
মা:মেয়ে কেমন দেখলি??
আমি:দেখতে হবে না পছন্দটা কার?আমার মায়ের অবশ্যই পছন্দ হয়েছে৷
(মনে মনে বললাম মেয়ে তো মুখই দেখালো না যেই ডেন্জারাস মেয়ে)
মা:হুমম আমারও মেয়েটাকে অনেক ভালো লেগেছে৷
আমি:হুমম৷
আমার এক বন্ধু আছে মোজাম্মেল৷ওকে ফোন দিয়ে একটা জায়গায় আসতে বললাম৷
আমি:কিরে দোস্ত কেমন আছিস?
মোজাম্মেল:আলহামদুলিল্লাহ দোস্ত ভালো আছি৷তুই কেমন আছিস?
আমি:আলহামদুলিল্লাহ ভালো৷দোস্ত তোর সাথে অনেক দিন পর দেখা হলো৷তোকে এখন আর আগের মতো সময় দিতে পারি না৷চাকরির ব্যস্ততার জন্য৷
মোজাম্মেল:আমাকে তো ভুলেই গেছিস৷
আমি:দুর বন্ধুকে কখনো ভুলা যায়??দোস্ত আজকে মেয়ে দেখতে গিয়েছিলাম৷
মোজাম্মেল:কি বলিস?তা মেয়ে পছন্দ হয়েছে?
আমি:হুমম সাত দিন পর আমাদের বিয়ে৷তাই তোকে জানাতে আসলাম৷বিয়ের এক দিন আগেই চলে যাবি আমাদের বাড়ি৷৷
মোজাম্মেল:আমার একমাত্র বন্ধূর বিয়ে আর আমি যাব না?অবশ্যই যাব৷
অতঃপর দেখতে দেখতে সাত দিন চলে গেল৷
এখন বিয়ের পিড়িতে বসে আছি৷
আমার পাশে জান্নাতকে বসানো হলো
এ কি মেয়েতো বিয়েরর দিন ও বোরকা পড়ে আছে৷
যাক বউ কিন্তু আমার অনেক পর্দাশীল৷
অতঃপর আমাদের বিয়েটা হয়ে গেল৷
জান্নাত অনেক কাদতেছে ওর বাবা মাকে জড়িয়ে ধরে৷
আমি ওকে সান্তনা দিয়ে গাড়িতে নিয়ে গেলাম৷
অতপর আমরা বাড়িতে চলে আসলাম৷
ওকে বাসর ঘরে নিয়ে গেল সকলে মিলে৷
আমার বন্ধূ মোজাম্মেল আমার বউয়ের মুখ দেখতে চাচ্ছে৷
কিন্তূ কি করা আমার বউ অন্য কোন বেগানা পুরুষকে মুখ দেখাবে না৷তো কী আর করা আমার দোস্ত আমার বউকে আর দেখতে পারল না৷
অতপর আমাকে বাসর ঘরে পাঠানো হলো৷গিয়ে দরজাটা আটকিয়ে ভিতরে গেলাম৷
আমি:এ কি আমি এটা কি দেখতেছি?এটা মানূষ না আকাশ থেকে নামা হূর পরী৷আমি তো মুগ্ধ হয়ে চেয়ে আছি৷
জান্নাত:এই যে মিষ্টার কি দেখেন এমন করে?আমার বুঝি লজ্জা করে না৷
আমি:ওর কথায় ধ্যান ভাংলো৷তুমি দেখতে এতো সূন্দর??
জান্নাত:হইছে আর পাম দিতে হবে না৷আমি দেখতে খুব পচা৷
আমি:তোমার চেয়ে সূন্দরি মেয়ে পৃথিবীতে আছে কি না সন্দেহ৷যেন আকাশের চাঁদ আমার ঘরে৷
জান্নাত:হইছে আর পাম দিতে হবে না৷আসেন আমাদের জন্য দুই রাকত নফল নামাজ আদায় করি৷
অতপর অযূ করে নামাযে দাড়িয়ে গেলাম৷নামায শেষে আল্লাহর কাছে আমাদের সূখের জন্য দুয়া করলাম৷
অতপর আমরা মোনাজাত শেষ করে বিছানায় বসলাম৷
আমি:আচ্ছা আমাকে তোমার কেমন লাগছে?
জান্নাত:আপনি এখন আমার স্বামী৷আপনি যেমনই হোন আপনিই আমার সব৷কারন একজন মেয়ের কাছে তার স্বামীই সব৷আর আপনাকে আমার অনেক ভালো লাগছে৷
আমি:হুমমম৷অনেক ভাগ্য করে তোমার মতো বউ পেয়েছি৷
অতপর আমরা সুখের সাগরে ভাসতে লাগলাম(এই যে পাঠকগন এত কিছু পড়তে হয় না)
অতপর সকালে আমার বউয়ের ডাকে ঘুম ভাংলো৷
জান্নাত:এই যে এখন উঠেন৷উঠে নামাজে যান৷
আমি:বউয়ের দিকে চেয়ে তো আমি পুরাই ক্রাসিত৷তাই মনে দুস্টূমি চাপলো৷বউকে ধরলাম জড়িয়ে৷
জান্নাত: এই এই কি করতেছ৷সারারাত অনেক দুস্টুমি করছো৷এখন গোসল করে তারাতারী নামাজে যাও৷দেরি হয়ে যাচ্ছে৷
আমি:প্লিজ একটা ইয়ে দেই আগে৷
জান্নাত:দরজা খোলা কেউ দেখে ফেলবে৷
আমি:আমার বউ আমি যা খুশি করব৷তাতে কার কি৷বলেই একটা ইয়ে দিলাম ইয়ে মানে পাপ্পি৷
অতপর গোসল করে নামাজে গেলাম৷
নামাজ শেষ করে বাড়ি এসে দেখি মাকে রান্নার কাজে হেল্প করছে জান্নাত৷
আমি:জান্নাততত এক গ্লাস পানি দিয়ে যাও তো৷
জান্নাত:আসতেছি গো৷
আসতেই পাপ্পি দেওয়ার জন্য জন্য এগিয়ে যাচ্ছি আর ও পিছিয়ে যাচ্ছে৷দেয়ালে ওর পিঠটা ঠেকে গেল আমি কাছে যেতেই চোখটা বন্ধ করে ফেললো ও৷
মা:জান্নাততত এই দিকে আসো তো মা৷
আমি::ওফফ ডাক দেওয়ার আর সময় পেল না৷
জান্নাত পানির গ্লাসটা রেখেই মুখ ভেংচিয়ে চলে গেল৷৷
(সমাপ্ত)
৷
৷
৷ভুল ত্রুতি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আর গল্পটা কেমন লেগেছে অবশ্যই জানাবেন৷
ঢাকা থেকে ইন্সপেক্টর এসেছে গ্রামের একটা স্কুল পরিদর্শনে।
তিনি প্রথমে অষ্টম শ্রেণীর কক্ষে ঢুকলেন।
এক ছাত্রকে প্রশ্ন করলেনঃ
পরিদর্শকঃ আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি কে?
ছাত্রঃ শেখ হাসিনা।
পরিদর্শকঃ আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করছি, প্রেসিডেন্ট কে?
ছাত্রঃ খালেদা জিয়া।
পরিদর্শকঃ তুমি ক্লাস এইটে উঠেছো কিভাবে, আমি তোমার নাম কেটে
দিব।
ছাত্রঃ আমারতো স্কুলের খাতায় নামই নেই,আপনি কাটবেন কেমনে ?
পরিদর্শকঃ নাম নেই মানে?
ছাত্রঃ আমি স্কুলের মাঠে গরু নিয়া আইছিলাম,স্যারে কইলো তোরে দশ
টাকা দিমু তুই ক্লাসে আইসা বইসা থাক।
পরিদর্শকঃ ছিঃ মাষ্টার সাহেব আপনার লজ্জা করে না,শিক্ষা নিয়া
ব্যবসা করতেছেন ? আমি আপনাকে বরখাস্ত করবো।
ক্লাস শিক্ষকঃ আরে আপনি আমাই বরখাস্ত করতে পারবেন না,আমি
মাস্টার না।সামনে যে মুদি দোকানটা দেখছেন ঐটা আমার।মাস্টার সাবে আমারে কইলো শহর থেকে এক বেটা আইবো আমি হাঁটে গেলাম তুই
একটু ক্লাস ঘড়ে যাইয়া বইসা থাকবি।
পরিদর্শকঃ(রেগে হেড স্যারের রুমে গিয়ে) আপনি হেড স্যার ?
হেড স্যারঃ হ্যা,কোনো সমস্যা ?
পরিদর্শকঃকি করছেন আপনারা,এইসব নকল ছাত্র-শিক্ষক দিয়া স্কুল
চালান?
হেড স্যারঃআমি না,আমার মামা এই স্কুলের হেড স্যার।উনি জমি
কেনা-বেচার দালালি করেন।কাস্টমার নিয়া অন্য গ্রামে গেছেন।
আমারে কইলো ইন্সপেক্টর আইলে এক হাজার টাকার এই বান্ডিল টা
দিয়া দিছ।
পরিদর্শকঃ এই যাত্রায় আপনারা বেঁচে গেলেন।আসলে আমিও ইন্সপেক্টর
না,আমার দাদা ইন্সপেক্টর। উনি ঠিকাদারির কাজ ও করেন।টেন্ডার
জমা দিতে সিটি কর্পোরেশনে গেছেন। আমাকে বললেন তুই আমার হয়ে
পরিদর্শন করে আয়,,,,,,,,,,,,!!!!
#পুলিশ এক মাতালকে ধরছে....?
পুলিশঃ এত রাতে কই যাস.....??
মাতালঃ মদ খাওয়া যে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর সে সম্পর্কে ওয়াজ শুনতে যাচ্ছি....?
পুলিশঃ এত রাতে কোন পাগল তকে ওয়াজ শুনাবে......?
মাতালঃ ক্যান!!!!!!! আমার বউ.......??