Back To Blogs | My Blogs | Create Blogs

‘কষ্ট লাগছে ফিরোজ ভাইকে আর ইত্যাদিতে পাবো না’

জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত অভিনেতা কে এস ফিরোজ। তার মৃত্যুতে ইত্যাদির উপস্থাপক হানিফ সংকেত গভীর শোক প্রকাশ করলেন।জানালেন, ফিরোজ ভাইকে আর ইত্যাদিতে পাবোনা এটা মানতেই কষ্ট হচ্ছে।

ইত্যাদি প্রচারের শুরুর দিক থেকেই অভিনয় করেছিলেন কে এস ফিরোজ। ইত্যাদির প্রতি পর্বেই দেখা যেতো তাখে। শুধু তাই নয়, হানিফ সংকেত পরিচালিত প্রায় সব নাটকেই দেখা গেছে কে এস ফিরোজকে।

বরেণ্য এ অভিনেতার মৃত্যুর খবরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়ে হানিফ সংকেত বলেন, হঠাৎ করেই চলে গেলেন ফিরোজ ভাই। তিনি যে অসুস্থ ছিলেন সেটা জেনেছি কাল। অথস সকাল হতে না হতেই শুনলাম তিনি আর আমাদের মাঝে নেই। ফিরোজ ভাই সেই আশির দশক থেকেই আমাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।যখন তাকে ডেকেছি তখনই তাকে পেয়েছি। অমায়িক লোক ছিলেন।তার মৃত্যুতে পুরো ইত্যাদি পরিবার শোকাহত।

বুধবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কে এস ফিরোজ। তিনিকরোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানান তার মেয়ে।নিউমোনিয়ায় তার ফুসফুসে ইনফেকশন হয়েছিল।

হানিফ সংকেত বলেন, ফিরোজ ভাইয়ের দায়িত্বজ্ঞান আমাকে মুগ্ধ করতো সবসময়। সবসময় শুটিংয়ে দশ মিনিট আগেই এসে পৌছাতেন।কখনও যাওয়ার জন্য তাড়া দিতেন না। দেখা গেছে তার মাত্র একটি সিক্যুয়েন্সের শুটিং বাকি। সময় লাগবে মাত্র ২ মিনিট।সেটার সময় দিতেও তিনি ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতেও রাজি ছিলেন। বলতেন, আমার তাড়া নেই; যখন সুবিধা হয় আমার অংশের শুট করবেন।

আজ জোহরের নামাজের পর বনানী কবরস্থানে কে এস ফিরোজকে দাফন করা হবে।

১৯৬৭ সালে বাংলাদেশে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন কে এস ফিরোজ। মেজর হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে ১৯৭৭ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন। তার পুরো নাম খন্দকার শহীদ উদ্দিন ফিরোজ। তিনি ১৯৪৬ সালের ৭ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। তাদের আদি নিবাস বরিশালের উজিরপুরের মশাং গ্রামে।

কে এস ফিরোজের বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। স্ত্রী ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি


md Nayan  

54 ब्लॉग पदों

टिप्पणियाँ