Back To Blogs | My Blogs | Create Blogs

জুমার দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াতের গুরুত্ব

সুরা কাহফ পবিত্র কোরআনের একটি ফজিলতপূর্ণ আলোচিত সুরা। বিশেষ তাৎপর্যের কারণে জুমার দিন এই সুরা পড়তে হয়। এই সুরায় সূক্ষ্ম চারটি ফিতনার কথাও বর্ণিত হয়ছে।

ফিতনা চারটি হলোএক. দ্বিনের ফিতনা অর্থাৎ কাহফ বা গুহাবাসীর ঘটনা। দুই. সম্পদের ফিতনা। এটি হলো, দুই উদ্যানের মালিকের ঘটনা। তিন. ইলম বা জ্ঞানকেন্দ্রিক ফিতনা, অর্থাৎ খিজিরের সঙ্গে মুসা (আ.)-এর ঘটনা। চার. রাজত্বের ফিতনা। এর দ্বারা জুলকারনাইনের ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। এই চার ফিতনাই দাজ্জালের মধ্যে পাওয়া যাবে। যে ব্যক্তি পবিত্র জুমার দিন সুরা কাহফ তিলাওয়াত করবে, মহান আল্লাহ তাকে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা করবেন।


সুরা কাহফ তিলাওয়াতে হাদিস শরিফে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ফজিলত বর্ণিত আছেএক. রহমত ও প্রশান্তি বর্ষণ। জনৈক সাহাবি নিজ ঘরে বসে পবিত্র কোরআনে কারিম তিলাওয়াত করছিলেন, এদিকে ঘরের মধ্যে তাঁর একটি পোষা প্রাণী লাফালাফি করছিল। তখন তিনি আল্লাহর দিকে মনোযোগী হয়ে প্রাণীটির থেকে স্বস্তি পাওয়ার দোয়া করলেন। হঠাৎ আকাশ থেকে বৃষ্টি শুরু হলো। লোকটি ঘটনাটি আল্লাহর রাসুলের কাছে বর্ণনা করলেন। রাসুল (সা.) তাঁকে বললেন, কোরআন পাঠ রহমত বর্ষণের কারণ। অর্থাৎ হঠাৎ মেঘ থেকে বৃষ্টি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত ও প্রশান্তি। এ সময় আসমান থেকে ফেরেশতারা নেমে আসেন। এটি দেখেই প্রাণীটি ছোটাছুটি করছিল। ইমাম মুসলিম (রহ.) এই ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে তাঁর সহিহ মুসলিম শরিফে স্বতন্ত্র বর্ণনা উল্লেখ করেছেন।
দুই. কিয়ামতের দিন নূর (জ্যোতি) প্রাপ্ত হওয়া। মহানবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহফ তিলাওয়াত করবে, কিয়ামতের দিন তা তার জন্য নূর হবে।

তিন. দাজ্জাল থেকে মুক্তি। দাজ্জালের ফিতনা সবচেয়ে বড়। প্রত্যেক নবীই নিজ নিজ উম্মতকে দাজ্জাল থেকে সতর্ক করেছেন।

এই ফজিলত অর্জন করতে সম্পূর্ণ সুরা কাহফ তিলাওয়াত করা জরুরি কি না, এ বিষয়ে একাধিক বর্ণনা এসেছে। এ বিষয়ে মূলকথা হলো, সম্ভব হলে জুমার দিন পুরো সুরা কাহফ তিলাওয়াত করবে; অন্যথায় সুরা কাহফের প্রথম ১০ আয়াত তিলাওয়াত করবে।


Akash Ahmed  

124 مدونة المشاركات

التعليقات
Scarlett Angel 45 ث

?