কবির জন্মস্থান অবিভক্ত বাংলার বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া থেকে শুরু করে ঢাকায় কবির মৃত্যুর শেষ পর্যন্ত সব ঘটনা প্রবাহ তুলে আনা হয়েছে এই প্রামাণ্যচিত্রে।
ঢাকার নজরুল সেন্টারের ব্যানারে প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন ফেরদৌস খান। এক ঘণ্টা ৩৪ মিনিট ১২ সেকেন্ডের প্রামাণ্যচিত্রটি প্রযোজনা করেছেন আল আমীন খান।
উদ্বোধনী বক্তব্যে স্পিকার বলেন, “বিদ্রোহী কবি নজরুলের আদর্শ ও দর্শনকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে এই ডকুফিল্মটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
এ ধরনের একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরির জন্য নজরুল সেন্টার ও তার সঙ্গে জড়িতদের প্রশংসা করেন তিনি।
প্রিমিয়ার শোতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জেবুন্নেসা করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কবি নজরুল ইসলাম আমাদের দর্শন, আমাদের প্রেরণা, আমাদের গর্ব। সেজন্য এই বৃষ্টি-বাদলের মধ্যে দেখতে এসেছি প্রিয় কবিকে। খুব আনন্দ লাগছে বড় পর্দায় কবিকে দেখে, তার পুরো জীবন ইতিহাসের বিভিন্ন এপিসোড দেখে। আমরা যারা বাঙালি তাদের সবার এটা দেখা উচিত।”
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কবির সৈনিক জীবন, জেল জীবন, সাহির্ত্য চর্চাসহ সব কিছুই নিখুঁতভাবে প্রামাণ্যচিত্রে এসেছে। কবির প্রেম, কবির বেদনা, কবির কষ্টের জীবন- এক সংগ্রামী মানুষ ছিলেন তিনি।
“দেখে ভালো লেগেছে প্রামাণ্যচিত্রটি। আমার স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে এই প্রিমিয়ার শো দেখতে এসেছি। কারণ আমি ও আমার স্ত্রী দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পড়েছি।”
‘বায়োগ্রাফি অব নজরুল’ প্রামাণ্যচিত্র সম্পর্কে পরিচালক ফেরদৌস খান বলেন, “সম্পূর্ণ প্রামাণ্যচিত্রটি বাস্তব বর্ণনা ও প্রাসঙ্গিক ফুটেজ নির্ভর। ফিকশন বা কল্পিত কথন এখানে একদম নেই।”
পরিচালক ফেরদৌস খানের সভাপতিত্বে ও প্রযোজক আল আমিন খানের সঞ্চালনায় প্রিমিয়ার শোর অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমান বক্তব্য রাখেন