Discover postsExplore captivating content and diverse perspectives on our Discover page. Uncover fresh ideas and engage in meaningful conversations
বল্টু গেলো তার ছাত্রীকে প্রাইভিট পড়াতে...
বল্টু গনিত পড়াচ্ছে..
......
বল্টু: মনে করো আমার কাছে ৫টি গোলাপ...
আর ৫টি তুমি দিলে মোট ১০টি..এটা হলো যোগ বুঝেছো...অনেক মজা না..?
ছাত্রী: জ্বি, স্যার..
......
বল্টু: মনে করো আমার কাছে ১০টি চকলেট... সেখান থেকে তোমাকে ৮টি দিয়ে দিলাম...
আমার কাছে থাকলো ২টি এটা হলো বিয়োগ বুঝেছো..
অনেক মজা তাই না..?
ছাত্রী: জ্বি, হ্যাঁ স্যার...
বল্টু: তুমি আমাকে ৩টি চুমু দিলে..আমি তোমাকে ১২টি চুমু দিলাম...
৪গুন হয়ে গেলো এটা হলো গুন...
....
দরজার পাশ থেকে ছাত্রীর বাবা সবকিছু শুনছিলো...
তারপর ভিতরে এসে বল্টুর ঘার ধরে দরজার সামনে নিয়ে গিয়ে..
বল্টুকে একটা লাথিঁ দিয়ে বলল...
এটা হলো ভাগ... :P
#পেত্নির_বর?
মদন
স্কুলে যাওয়ার পথে
দুটি
ছেলেকে মারামারি
করতে দেখল॥
তাদের একটা বলে
কুত্তার
বাচ্ছা ত অপরটা
বলে সুয়োরের
বাচ্ছা॥ মদন
ভদ্রঘরের
ছেলে কখন এ সব
গালাগালি শেখাত
দূরে থাক
শোনেনী॥তাই সে
বাসায়
গিয়ে মাকে প্রশ্ন
করে 'মা কুত্তার
বাচ্ছা মানে কি?'মা
ত
শুনে অবাক তার
ছেলেকে এ
গালাগালী শেখাল
কে। খুব ই
চিন্তার বিষয়।তার
ছেলে গালাগালি
শিখে যাবে এই
ভয়ে মা বলে'বাবা
কুত্তার
বাচ্ছা মানে বাবা-
মা' এপর
ছেলে আবার প্রশ্ন
করে 'মা শুয়রের
বাচ্ছা মানে কি ?'মা
হতবাক,
হতভম্ব কী বলবে,
ছেলে যেন
গালাগালী না শিখে
ফেলে এই
ভয়ে মা বলল'বাবা
শুয়রের
বাচ্ছা মানে
অতিথি' ॥,মদন
দুটি নতুন শব্দ
শিখে নিল
একটি হল "কুত্তার
বাচ্ছা মানে বাবা-
মা"
অপরটি হল "শুয়রের
বাচ্ছা মানে
অতিথি" বিকাল
গড়িয়ে সন্ধা হল,
যথারীতি মা-
বাবা মদনকে পড়তে
বসিয়ে সিনেমা
হলে
সিনেমা দেখতে চলে
গেল;
যাওয়ার পূর্বে
মদনকে বলে গেল
বাসায় যদি কোন
অতিথি আসে
তাহলে যেন
সে বসতে বলে॥
ওকে নো প্রবলেম ॥
কিছু সময়
পর কলিং বেল
বেজে উঠল,দরজা
খুলতেই
সে দেখল তার বাবার
বিসনেস
পার্টানারা সহ
কয়েক জন
মন্ত্রিসভার
সদস্য,তখন
সে
আনান্দে,উচ্চস্ব
রে বলে উঠল"অরে,
শুয়োরের
বাচ্ছারা যে,আসুন
বসুন, কুত্তার
বাচ্ছারা সিনেমা
দেখতে গেছে
"সবাই
বাকরুদ্ধ, ম্লান
এরি মধ্যে আবার
মদন বলে উঠল
"আরে, শুয়োরের
বাচ্ছারা চুপ
কেন, কুত্তার
বাচ্ছারা খুব
শিঘ্রই চলে
আসবে,তা শূয়রের
বাচ্ছারা কি খাবেন
বলুন"।।।।
এই তুমি এই রুমে কেন? (আমি)
- কেন কে থাকার কথা? (হবু শালি)
- তোমার আপু কই?
- খুজে দেখেন....
- এহহহহ!!!! আমার কি ঠেকা লাগছে?
- আপনার ঠেকা না তো কি আমার ঠেকা?
- তা নয়ত কি? তোমার বোনরে বিয়ে না করলে কি
এমন হবে আমার?
- ওমা!!!! তাই?? তা কাকে বিয়ে করবেন শুনি?
- কেন তুমি তো আছই...
- যান!!! এভাবে বলবেন না। লজ্জা লাগেনা বুঝি....
- না সিরিয়াসলি তুমি অনেক কিউট। তোমার আপু থেকে
কিন্তু আমার তোমাকে বেশি ভাল লাগে। (ডাহা মিথ্যা!!!!
শুধুই পাম মারতেছি)
- আগে বলবেন না। তাহলে তো আমিই আপনাকে
বিয়ে করতাম। আপসুস!!! এখনতো দেরি হয়ে
গেছে। চলুন পালিয়ে যাই....
- কি বল?? তোমার আপু শুনলে মেরে ফেলবে।
- আরে জানবেই না। আর পালিয়ে গেলে আমাদের
কই পাবে। ( হায়রে!!! খাইছে!!! মাইয়া তো সিরিয়াস
হইয়া গেল। এখন কি করি)
- না না আপু। তুমি মাত্র ফাইভে পড়। আরেকটু বড় হও।
তারপর দুজনে পালাব।
- আম্মুউউউউউউউ..... (এইরে!!!! কেদে দিছে।
প্রিয়াসরে তুই শেষ)
- কি হলো? কাদছ কেন?
- আপনি আমাকে আপু বললেন কেন? আপনি না
আমাকে ভালবাসেন?
- এইইইইই!!!! ভালবাসি কখন বললাম?
- ঐযে বললেন ভাল লাগে।
- ওটা তো এমনিই বলছি।
- কি এমনি? আম্মুউউউউউউ....
- আরে না না। ভালবাসিতো। অনেক ভালবাসি। (কোন
চিপায় পড়লাম)
- গুড বয়!!!! আমরা কালই পালাচ্ছি।
- কাল না। কিছুদিন যাক...
- আম্মুউউউউউউ....
- না না কালই পালাব।
- হুম!!! আমি কাপড় গুছাচ্ছি। আপনিও রেডি হন।
- আচ্ছা.....
.
নিজের কপালে নিজে জুতা দিয়া মারতে মন
চাইতেছে। এত্ত পাম না মারলে কি হইত। বেশি পাকনামি
করতে গেলে এমনি হয়। প্রিয়াস!! সময় থাকতে কিছু
কর। নইলে ইজ্জত বা সম্মান কোনটাই থাকবে না।
.
আসছিলাম মেঘাকে একটু দেখব বলে। মেঘা আমার
হবু বউ। মেঘা আমার এক্স জিএফও। ওর সাথে
ব্রেকাপ হয়ে গেলেও দুর্ভাগ্যবশত ওর সাথেই
বিয়ে ঠিক হলো। তাই আবার প্রেম করার চেষ্টা
করছি ওর সাথে। নইলে তো বিয়ের পর প্রতিদিন
ফাসিতে ঝুলাবে। এমনিতেই রেগে আছে আমার
উপর। আর এখন যদি জানতে পারে যে আমি ওর
ফাইভে পড়ুয়া ছোট বোন রিশার সাথে লাইন মারছি
তবে তো আজ এই ছয়তলা থেকে নিচে ফেলে
দিবে। হইছে আর ভাবতে পারতেছি না। রুম থেকে
বেরোনো দরকার। পিছনে ঘুরতেই.....
.
- ওমাগ!!! কে আপনি??? প্লিজ আমাকে মারবেন না
প্লিজ। আমি কোন কিছু করি নাই। রিশার সাথে একটু মজা
করছিলাম। এই ছোট বিষয়ের জন্য আমাকে মারবেন
না প্লিজ। প্লিজ.... (আমি)
- প্রিয়াস মজা ছাড়। আমি মেঘা। (মেঘা)
- ওহহহহহ!!! তুমি??? সরি মজা করছিলাম। (জি না!!!! অনেক
ভয় পাইছি। প্রেসটিজ বাচানোর জন্য মজা করার ভাব
নিলাম। মুখে কালা কি জানি লাগাই রাখছে। পুরা পেত্নীর
মত লাগতাছে)
- আমি জানি সেটা।
- মুখে এসব গোবরের মত কি লাগাইছ?
- হুয়াট ডু ইউ মিন বাই গোবর? এসবকে ফেস ক্লিনার
বলে....
- ওহহহহ!!!! এগুলা ফেচ কিলিনার..... আগে বলবা
তো।
- ফেচ কিলিনার না ফেস ক্লিনার।
- হ বুঝছি। যেটা দিয়া কালা মানুষ সাদা হয় আরকি। এই আমার
না একটা নাইজেরিয়ান ফ্রেন্ড আছে। ওরে দিলে
সাদা হবে তো?
- ইইইইইই!!! তোমারে কিন্তু আমি....
- থাক ভয় পাইছি।
- ঐ তুমি রিশারে কি বলছিলা?
- কবে? কখন? কিভাবে?
- রিশা ফেসবুক চালায় না যে ফেসবুকে বলবা। একটু
আগে কি বলছিলা?
- কি জানি!!!!! ওহহহহ হ্যা!!! মনে পড়ছে। দুপুরে কি
দিয়ে খাইছে সেটা জিজ্ঞেস করছি।
- এখন সকাল। দুপুর এখনো হয় নাই।
- মানে গতকাল দুপুরে কি খাইছে সেটা জিজ্ঞেস
করছিলাম।
- ওহহহহ তাই? আমি কি যেন পালানোর কথা শুনছিলাম....
- ওহহহহ হ্যা!!! মানে ও জানি কোন মুভিতে দেখছে
নায়ক নায়িকা পালিয়ে বিয়ে করছে।
- আবার কাকে যেন বিয়ে না করার কথা শুনছিলাম।
- হ্যা। ঐ মুভিতে নাকি নায়িকার বাবা মা বিয়ে করে নাই।
- কি!!!!! তাহলে নায়িকা কেমনে....
- তাইতো..... ভাবার বিষয়...
- আর কত্ত মিথ্যা বলবা?
- কই মিথ্যা বললাম?
- আমি সব শুনেছি।
- ছিঃ!!!! পঁচা মেয়ে। চুপিচুপি অন্যের কথা শুনে।
- আমি পঁচা মেয়ে!!!!! যাও পঁচা মেয়েকে তোমার
বিয়ে করতে হবে না।
- আমি কি সাধে বিয়ে করতেছি নাকি। বাপ মায় জোর
করতেছে তাই। (আস্তে করে)
- কি বললা?
- না মানে তাইলে আর কি? রিশাকে নিয়ে পালাতেই
হবে।
- তোমার পা ভেঙ্গে ফেলব।
- পা কি দোষ করল?
- তাহলেই আর পালাতে পারবেনা।
- তুমি পারবা?
- অবশ্যই ।
- নিষ্ঠুর....
- তোমার থেকে কম।
- হুম জানি।
- আচ্ছা তোমার জিএফের কি খবর?
- জিএফের আর খবর। বিয়ে হয়ে যাচ্ছে এখন
জিএফ দিয়ে কি হবে।
- আহারে....
- মজা নিও না। আচ্ছা আমি আরেকটা বিয়ে করলে
কেমন হয়?
- কি বললা?
- মানে তোমার একটা সতীন হলে কেমন হয়?
- লাস্ট কবে মাইর খাইছিলা মনে আছে?
- হুম। স্নেহার হাতে গতকাল। তবে মিষ্টি মাইর।
(স্নেহা আমার বর্তমান জিএফ)
- তুমি ঠিক হবা না। এ বিয়ে হবে না।
- সত্যি?
- তুমি খুশি?
- অবশ্যই। অনেক। আমি স্নেহাকে খুশির সংবাদটা দিচ্ছি
দাড়াও।
- হুম। যাও।
- দেখ। ডিসিশন পাল্টাবা না কিন্তু।
- মোটেও না। তুমি জান আমি কতটা সিরিয়াস।
- ওকে গেলাম।
- হুম। আর এসো না।
- বাই।
.
মেঘার কথাগুলোতে কেমন জানি লাগল। ও কি সত্যিই
না করে দিবে। একটুও ভালবাসেনা আমাকে।
আমিতো ভাবছিলাম ও এখনো ভালবাসে আমাকে।
আমিতো ওকে ভালবেসে ফেলছি। আর ঠিকই
তো করেছে। একসময় আমিও ওর ইমোশনের
দাম দেই নি। ও কেন দিবে।
.
মনটা এখন খুব খারাপ। মেঘাকে দেখতে প্রতিদিন ওর
বাসায় যাওয়া হয় না। কারণ ও না করেছে ওর বাসায়
যেতে। আগে বাসার সামনে দাড়াতাম। এখন সেটাও
করিনা। আজ স্নেহার সাথে দেখা করার কথা। যথারীতি
গেলাম। কিন্তু অন্যদিনের মত প্রাণবন্ত নই আমি।
ভেতরটা কেন জানি দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। বারবার
মনে একটা কথাই আসছে "মেঘা আমাকে ভালবাসে
না"। স্নেহার কাছে যেতেই স্নেহা বলে উঠল...
.
- একদম বসবেনা। (স্নেহা)
- কেন কি করলাম আবার? (আমি)
- কি করছ? দেখাচ্ছি কি করছ....
.
স্নেহা ওর ফোনে কি যেন খুঁজছে। এবার আমার
সামনে কিছু ছবি ধরল। এসব কি!!! কেমনে সম্ভব!!!
আমার সাথে মেঘার সেলফি। এসব স্নেহার ফোনে
কিভাবে আসল। কে দিছে ওরে এসব।
.
- এসব তুমি কিভাবে পেলে? (আমি)
- সেটা তোমার জেনে কি লাভ? আগে বল এটা
কে? (স্নেহা)
- আগে বল কে দিয়েছে?
- এই মেয়েটাই দিয়েছে।
- কি!!!! সত্যি? কখন?
- আজ। দিয়ে বলল ও নাকি তোমার হবু বউ। আমি যেন
তোমার সাথে আর না মিশি।
- সত্যি?
- হুম। কিন্তু তুমি এত্ত খুশি হচ্ছ কেন? ও কে?
- ও আমার হবু বউ।
- কি? তুমি আমার সাথে চিট করলে? লুচু, লম্পট,
বদমাইশ........ ব্রেকাপ তোর সাথে...
- থ্যাংকস।
- জীবনেও সুখ পাবিনা।
- তোর মত শকুনের দোয়ায় আমি গরু মরমু না।
- দেইখা নিমু তোরে।
- ছবি তুইলা দিমু? সারাদিন দেখবি।
- লুচ্চা একটা.....
- হেহেহে!!! সেম টু ইউ....
.
স্নেহা আমাকে এত্ত গালি দিল। কিন্তু আমার মোটেও
খারাপ লাগছে না। কেন জানি মনে হচ্ছে আমি
মেঘাকে ফিরে পেয়েছি। মেঘাও আমাকে
ভালবাসে। নইলে মেঘা কেন স্নেহাকে এসব ছবি
পাঠাবে আর এসব বলবে।
.
তিন ঘন্টা যাবত মেঘাদের বাসার সামনে দাড়িয়ে আছি।
কেউ বাইরে আসছে না এমনকি বারান্দায়ও না। অন্যদিন
দাড়ালে এত্তক্ষনে দশবার মেঘাকে দেখা যায়।
আজ আসছে না। হঠাৎ মনে হলো গেট দিয়ে কে
যেন বেরোচ্ছে। মেঘা..... সোজা আমার
সামনে এসে দাড়াল। জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে
আছে। তবে চোখ দেখে বোঝা যাচ্ছে
অনেক খুশি।
.
- এটা কি হলো? (আমি)
- কোথায় কি হলো? (মেঘা)
- স্নেহাকে এসব পাঠানোর মানে কি?
- কি পাঠাইছে? আর কে?
- তুমি স্নেহাকে আমাদের দুজনের সেলফি পাঠাইছ
কেন?
- পাঠাইছি কে বলল? পাশে বসে শেয়ারইটের
মাধ্যমে দিয়ে আসছি।
- সেটা কেন?
- মন চাইছে তাই।
- মন চাইলেই হবে না। স্নেহা আমার জিএফ।
- আমার হঠাৎ মনে হলো যে আমার হবু বরের অন্য
কোন জিএফ থাকতে পারবে না। একমাত্র জিএফ হব
আমি। তাই দিয়ে আসছি।
- হবু বরটা কে?
- যার জিএফের সাথে ব্রেকাপ ঘটাইছি।
- কিভাবে হলাম। সেদিন না বললেন বিয়ে ক্যান্সেল।
- তো কি হইছে? এখন বলতেছি বিয়ে হবে।
- সরাসরি বললেই পারেন যে " প্রিয়াস তোমাকে
ছাড়া আমার চলবে না। ভালবাসি তোমাকে"।
- বুঝেন যখন বলেন কেন?
- তাও তোমার মুখ থেকে শুনতে চাই। অনেকদিন
তোমার মুখ থেকে ভালবাসি শুনিনা।
- না বলব না।
- প্লিজ....
- না
- তাহলে আর কি। দেখি স্নেহাকে বুঝিয়ে....
- বলছি তো। এমন করছ কেন...
- হুম বল।
- ভালবাসি, ভালবাসি, ভালবাসি..... হইছে?
- হুম।
- এবার তোমার উত্তরটা....
- ভালবাসিনা, বাসবও না, বাসার চেষ্টাও করব না।
- বিয়ে ক্যান্সেল।
- এই না না।
- ভালবাসিতো। অনেক অনেক।
- হুম গুড বয়। চল বাসায় চল।
- না। তুমি না করেছিলে।
- এহহহ!!! সাহেব সব মনে রেখেছে।
- হুম সব মনে থাকে।
- বিয়ের পরও স্মৃতিশক্তিটা যেন এমনি থাকে।
- থাকবে। কিন্তু তোমাকে মনে রাখতে পারব না।
- কি???
- হ্যা!!! কারণ আমি তো তোমাকে ভুলবই না।
- স্টুপিড একটা।
- পেত্নী একটা।
- হুম!!! বিয়েটা হোক। কে পেত্নী বুঝাব নে।
- থ্রেড দিচ্ছ??? প্রিয়াসকে থ্রেড??? হুহ..
- হুম দিচ্ছি। কি করবা?
- ভালবাসব না।
- মেরে ফেলব।
- বিধবা হবা।
- না। হবনা।
- গুড।
- হু।
- আচ্ছা শোননা রিশার কি খবর?পালানোর জন্য রেডি
তো?
- রেডি হলে কি করবা? পালাবা?
- অবশ্যই।
- তুমি মানুষ হবা না। ব্রেকাপ....
- বিয়ে ক্যান্সেল নাকি?
- না। তোমাকে ঠিক করতে হবে তো.....
.
যাক তাহলে মেঘা আমাকে ঠিক করার দায়িত্বটা
নিচ্ছেই। বিয়ে হব্বে।।। হুহ।।।। কেউ আসবেন না
কিন্তু।।।। সবাইর.
.
খাওয়ানোর মত টাকা নাই।।।...
ভালোবাসার...গল্প
স্বামী আগেই
ঘুমিয়ে পড়েছিল।
স্ত্রী ঘুমানোর জন্য চুল
বাঁধছিল।
জানালার ওপাশে রাত
এগারোটার
অন্ধকার।
খুলনাগামি মেইলটা একটু
আগে হুইসেল
বাজিয়ে চলে গেছে।
বাইরে তুমুল বৃষ্টি। এমন সময়
কলিংবেল বাজল।
শিউ অবাক অবাক
হয়ে দরজার
দিকে তাকাল। পোড়াদহ
জেলা বা থানা শহর নয়।
নিতান্ত
বাজার এলাকা।
এখানে বৃষ্টির
দিনে রাত এগারোটায়
কারো অতিথি আসে না।
দ্বিতীয়বার
বেল বাজলে শিউ স্বামীর
মুখের
দিকে তাকাল।
সারাদিন অফিসে কলম
পিষে বেচারা এখন
ঘুমে কাদা। একটু
আগে শুয়েছে। মুখের উপর
দুধের সরের
মত পাতলা একটা ঘুমের
পর্দা।
স্বামীকে জাগাতে মন
চাইল
না শিউয়ের। আবার এত
রাতে দরজা খুলতেও ভয় ভয়
লাগছে।
যদি চোর বা ডাকাত হয়?
পরক্ষণে ভাবল এই এলাকায়
অমন
ঘটনা খুব একটা ঘটে না।
ডাকাত পড়ার
মত অভিজাত বাড়ি নয়
তাদের।
শিউয়ের স্বামী রেলের
মধ্যম সারির
কর্মচারী। দুই রুমের ছোট
বাসা।
একটা কিচেন। একটা কমন
বাথরুম।
ডাইনিং নেই। কিচেনের
ফ্লোরে পাটি পেড়ে খাওয়া দাওয়া চলে।
বাচ্চা কাচ্চার
হাঙ্গামা এখনো হয়নি।
তৃতীয়বার বেল
বাজতে বেশ
খানিকটা সময় নিল। বাইরের
আগন্তুক
বোধহয় এলেবেলে টাইপের
ভদ্রলোক।
নিজে বৃষ্টিতে ভিজে শিউদের
সময়
নিয়ে দরজা খোলার সুযোগ
দিচ্ছে।
শেষবারের মত একটু
ভেবে দরজার
দিকে এগিয়ে গেল শিউ।
বাইরে তখনো বাজ পড়ার
শব্দ হচ্ছে।
দরজা খোলার
সাথে সাথে বিদ্যুৎ
চমকাল। বিদ্যুতের আলোয়
শিউ দেখল
অপরিসীম
রূপবতী একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
পটলচেরা চোখ। ধারাল
নাক।
আপেলের মত মসৃণ গাল।
হাসলে বোধহয়
টোল পড়ে। গায়ের
জামাটা আধভেজা।
একগোছা অবাধ্য চুল
কপালের উপর
এসে মেয়েটির সৌন্দর্য
আরো বাড়িয়েছে।
মেয়েটাকে শিউ
চেনে না।
তবে সঙ্গের
ভারি ট্রলি দেখে বুঝল
মেয়েটা বেশ দূর
থেকে এসেছে।
কি করবে শিউ
বুঝতে পারছে না।
অচেনা মানুষকে হুট
করে রাতের
বেলা বাড়ি তোলা যায়
না আবার
মেয়েটার চেহারায় এমন
আভিজাত্য
আছে একে বাইরে দাঁড়
করিয়েও
রাখা যায় না। একটু
ভেবে শিউ বলল,
আসুন, ভেতরে আসুন। শিউ
দরজা থেকে সরে দাঁড়াল।
মেয়েটা ট্রলি ঠেলে ভেতরে ঢুকল।
শিউ ওকে দ্বিতীয়
ঘরে বসতে দিয়ে বলল,
আপনাকে ঠিক
চিনতে পারিনি।
মেয়েটা বলল,
আমাকে চেনার কথা না।
আমি নিমকি।
বিপদে পড়ে আপনাদের
বিরক্ত
করতে এসেছি।
- বিপদটা কেমন?
- আমি যাব ছুটিপুরে।
ওখানকার এক
প্রাইমারি ইস্কুলে আগামীকাল
জয়েন করার কথা। সন্ধের
ভেতর
পৌঁছে যাবার আশা ছিল।
কিন্তু
আজকের ট্রেন খুব লেট
করেছে। তবু
একটা রিকশা হয়ত
রাজি করাতে পারতাম।
কিন্তু গোল
বাঁধাল বৃষ্টি। আপনাদের
বুঝি খুব
অসুবিধায় ফেললাম? শেষের
দিকে নিমকির
গলা নুয়ে পড়ল।
শিউ বলল, মাত্র
তো একটা রাত, কোন
অসুবিধা হবে না।
- আপনাকে ধন্যবাদ।
- আপনার বাসা?
- রাজশাহী।
- এখন
রাজশাহী থেকে এলেন
বুঝি?
- হু। আপনি নিশ্চয়
একা থাকেন না?
- আমি আর আমার
স্বামী থাকি। ও
ঘুমুচ্ছে। কাল সকালে পরিচয়
হবে।
ওম্মা আপনার
জামা তো ভেজা।
শাড়ি দিব, পরবেন?
- না না ট্রলিতে আমার
কাপড় আছে।
- ঠিক আছে আপনি কাপড়
পাল্টে নিন। আমি জল
খাবারের
ব্যবস্থা করি।
নিমকি শিউয়ের হাত
চেপে ধরে বলল, ওসব
লাগবে না ভাই।
দয়া করে থাকতে দিয়েছেন
এই
অনেক। খুব
ভোরে আমি চলে যাব।
শিউ বলল, ফরমালিটি একটু
বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে না?
আমি আপনার বাসায়
গেলে কি খালি পেটে রাখতেন?
এর উপর আর কথা নেই।
নিমকিকে চুপ
করতে হল।
স্বামী -স্ত্রী খাওয়ার পর
কিছু ভাত
বেচে ছিল। রাইচ
কুকারে গরম
করে শিউ ডিম ভাজতে বসল।
ততক্ষণে নিমকি কাপড়
বদলে রান্নাঘরে চলে এসেছে।
— খুব
ভয়
পাচ্ছিলাম,
না জানি বাসার
মানুষগুলো কেমন
হয়।
শিউ হাসি টেনে বলল,
কেমন হল, খুব
খারাপ?
- খারাপ হলে আপনার
রান্নাঘরে ঢুকতে পারতাম?
দুজন একসাথে হেসে উঠল।
হাসি থামিয়ে শিউ বলল,
বিয়ে করেছেন?
নিমকি একটু লজ্জা পেল।
কুমারী মেয়ের
সামনে হঠাৎ বিয়ের
কথা পাড়লে যেমন
লজ্জা পায় তেমন।
নিমকি
মুখটা পাকা করমচার মত লাল
করে বলল,
উহু।
- পছন্দের কেউ নেই?
- উহু।
- আমার কিন্তু বিশ্বাস
হচ্ছে না।
-কেন ভাই?
-আপনার যা আগুন চেহারা!
এমন
মেয়ে একা থাকবে বিশ্বাস
করা মুশকিল।
নিমকি এই বিষয়ে আর
কথা বলল না।
বিছানায় শুয়ে আকাশ
পাতাল
ভাবতে লাগল নিমকি।
সকালেও
সে বাবা-মার কাছে ছিল।
এখন
কোথায়? কাল সকালে যোগ
দিতে হবে চাকরিতে।
সেখানকার
পরিবেশ কেমন
হবে কে জানে।
দুশ্চিন্তায় সে চোখের
পাতা এক
করতে পারছে না। হঠাৎ
তানজির
কথা মনে পড়ল। এমন হয়। খুব
দুশ্চিন্তার সময়
কিভাবে যেন
তানজি হাজির
হয়ে যায়। ছেলেটা এখন
কোথায়
আছে নিমকির জানা নেই।
তবে এতটুকু
জানে তানজি কুষ্টিয়ার
এই।অঞ্চলটায়
কি এক চাকরি নিয়ে আছে।
কলেজ জীবনের প্রথম
দিকে তানজি আর
নিমকি সেরেফ বন্ধু ছিল। খুব
ভাল
বন্ধু। কলেজের অসংখ্য
ছেলের
মাঝে তানজি আলাদাভাবে সবার।
নজর কাড়ত। ওর উচ্চতা ছিল
ছ'ফুটের।
কাছাকাছি।
মাথাভর্তি ঘন চুল। নীল
টি-শার্ট
অথবা গেঞ্জি পরত। নীল
ছিল
ওর প্রিয়। কলেজের
সাংস্কৃতিক
জোটের নেতৃত্ব দিত। আর
পড়াশোনার
ফাঁকে ফাঁকে কবিতা লিখত।
আজিজ
সুপার মার্কেট
থেকে প্রকাশিত
লিটলম্যাগে ওর
কবিতা ছাপা হত।
মাঝে মাাঝে দৈনিকের
সাহিত্যসাময়িকীত ে।
তানজির সব
কবিতার
প্রথম পাঠক ছিল নিমকি।
ছাপা হওয়ার আগে।
কখনো তানজি আবৃত্তি করে শোনাত।
কখনো নিমকি নিজে পড়ত।
হঠাৎ
একদিন কি এক ভূত চাপল
তানজির
মাথায়।।
নিমকিকে নিয়ে একটা রোমান্টিক
কবিতা লিখে ফেলল। সেই
কবিতা ছাপা হওয়ার
সাথে সাথে হইচই
পড়ে গেল কলেজে।
বন্ধুরা ক্ষ্যাপাতে শুরু করল।
ভাললাগা যা-ই থাক
বন্ধুদের
উস্কানি পেয়ে দুজন দুজনের
প্রেমে পড়ে গেল।
তানজির
কথা ভাবতে ভাবতে নিমকি কখন
ঘুমিয়ে পড়ল। লাইট
জ্বালা রইল।
শেষরাতে বাথরুম করতে উঠল
শিউয়ের
স্বামী।
দ্বিতীয়
ঘরে আলো জ্বলছে দেখে সে অবাক।
হল।
বাসায় তারা দুজন মানুষ।
ওঘরে আলো জ্বলার
কথা না।
অতিথি এলে ভিন্ন কথা।
তাদের
তো কোন অতিথি আসেনি।
সে ভেজানো দরজা ঠেলে ভেতরে
ঢুকল। একই সাথে বিব্রত
এবং বিস্মিত
হল।।
রূপবতী একটা মেয়ে জিঞ্জাসা চিহ্ন
হয়ে শুয়ে আছে বিছানায়।
মেয়েটাকে কেমন
চেনা চেনা মনে হচ্ছে কিন্তু
চেনা যাচ্ছে না।
ঘুমালে মেয়েদের
মুখের আদল
খানিকটা বদলে যায়।
বদলে যাওয়া আদল
সরিয়ে পুরনো ছবি সহজে ধরা পড়ে না।
সে আরেকটু
এগিয়ে মেয়েটার মুুখের
উপর ঝুকল। ঠিক সেই মুহূর্তে ঘুম
ভেঙে গেল নিমকির। ঘুম
ভেঙেই
যদি দেখা যায় মুখের উপর
ঝুকে আছে সুগঠিত
পুরুষালি মুখ—কেমন
লাগে? নিমকির তেমন
লাগল।
কোনকিছু না ভেবেই
সে চিৎকার
করে উঠল।
বেচারা স্বামী এর
থেকে বেশি বিব্রত বোধহয়
আর
কোনদিন হয়নি।
সে তাড়িতাড়ি দুই
পা পিছিয়ে এল।
নিমকি ততক্ষণে সামলে নিয়েছে।
এবার শিউয়ের স্বামীর
দিকে তাকিযে সে আর্তনাদ
করে উঠল
—তানজি তুমি!
তানজিও বিস্ময় নিয়ে বলল,
নিমকি তুমি এখানে!
কিভাবে?
ধাক্কা সামলে নিয়ে নিমকি ফুপিয়ে কাঁদতে লাগল।
তানজির অত ধৈর্য নেই।
হাজারটা প্রশ্ন
তাকে ক্রমাগত দংশন
করছে। সে একই রকম
বিস্মিত গলায় বলল,
তুমি এখানে কিভাবে এলে?
নিমকি কান্না থামাল।
ওড়নায় চোখ
মুছে এখানে আসার কারণ
বলল। মিনিট
পাঁচেক পর উত্তেজনা কমল।
তানজি নিমকির হাত
ধরতে গেল।
নিমকি সরিয়ে নিল।
তানজি ব্যাকুল গলায় বলল,
কেন
তুমি হারিয়ে গেলে নিমকি?
নিমকি হেরে যাওয়া সৈনিকের
মত
মাথা নিচু
করল। আজ তানজির প্রশ্ন করার
দিন।
তানজি আরো বেপরোয়া হয়ে বলল,
কত
খুঁজেছি তোমাকে। ঢাকার
সব কলেজে।
শেষে নিরুপায়
হয়ে কলেজের
রেজিস্টার খাতায়
তোমার
ঠিকানা বের
করে ছুটে গেছি রাজশাহী।
কিন্তু.....।
-
তানজি এটা ছেলেমানুষির
সময় নয়।
পাশের ঘরে তোমার বউ
ঘুমাচ্ছে।
- এটা ছেলেমানুষি নয়। শুধু
একটা প্রশ্নের
উত্তর খুঁজতে সাত বছর
তোমাকে খুঁজেছি। কেন
তুমি ওভাবে হারিয়ে গেলে?
- আজ তোমাকে বলব।
তোমাকে বলবার
জন্য আমিও তোমাকে অনেক
খুঁজেছি।
খুঁজতে খুঁজতে এখানে এসেছি।
কলেজের ইয়ার ফাইনাল
পরীক্ষা শেষে তুমি আমাকে রাজশাহীর
ট্রেনে তুলে দিলে। এক
মাাসের ছুটি।
আমার খুব মন খারাপ। এতদিন
তোমাকে না দেখে কিভাবে থাকব?
ওদিকে বাড়িতে তখন
আমার জন্য এক
নতুন
বিস্ময় অপেক্ষা করছিল।
জন্মের পর
থেকে যাদেরকে আমি বাবা-
মা ডেকে
এসেছি তারা আমার আসল
বাবা-মা নন।
স্টেশনে তারা আমাকে কুড়িয়ে
পেয়েছিলেন। নিঃসন্তান
ছিলেন
বলে আমাকে পেলেছিলেন।
এটা শোনার পর
মরে যেতে ইচ্ছা করছিল।
বার বার
মনে হচ্ছিল আমি কোন
পাপের ফসল।
আমি জানতাম এসব শোনার
পরও
তুমি আমাকে ফেরাতে না।
কিন্ত
পরিচয়হীন এই জীবন
নিয়ে তোমার
সামনে দাঁড়াবার
রুচি হয়নি তানজি।
সবশুনে কিছুক্ষণ গুম হয়ে রইল
তানজি।
তারপর থমথমে মুখে বলল,
সেদিন আমার
উপর
তুমি ভরসা করতে পারনি তাই
না?
নিমকি প্রতিবাদ করে বলল,
ওভাবে বল
না।
আমি জানতাম সব
শুনে তুমি আমাকে আগের
মতোই
ভালবাসবে। কিন্তু আমিই এই
ক্লেদাক্ত
জীবনের
সাথে তোমাকে জড়াতে চাইনি।
আমাকে তুুমি ভুল বুুঝো না,
প্লিজ। একটু
থেমে নিমকি বলল, তুমি আর
কবিতা লেখ না?
- কলেজ জীবনেই বাদ
দিয়ে দিয়েছি।
স্বপ্ন
ছিল কবি হওয়ার হলাম
রেলের
কর্মচারী।
- তোমার কবিতার
লোভে রাজশাহীতে অনেক
লিটলম্যাগ
সংগ্রহ করেছি। কিন্তু
পাইনি।
- কিইবা এমন লিখতাম।
- বিয়ে করেছ কতদিন?
- তিন বছর।
- তোমার বউটা খুব ভাল।
অচেনা একটা মেয়েকে কেমন
আপন
করে নিয়েছে।
- তুমি বিয়ে করনি?
প্রশ্নটা করতে গিয়ে তানজির
গলা একটু
কাঁপল।
- সেটা আর হল কই?
রাত ফুরিয়ে যাচ্ছিল। শিউ
টের
পেয়ে যায়
সেই ভয়ে তানজি বিদায়
নিল।
খুব সকালে গুছিয়ে নিল
নিমকি। এখনই
বেরুতে হবে।
রাতে কথাগুলো বলতে পারায়
বেশ হালকা লাগছে। এরপর
আর
এখানে থাকা যায় না।
ওদের
অশান্তি হবে।
গোছানো দেখে শিউ বলল,
এত
তাড়া কিসের?
না খেয়ে যেতে দিচ্ছিনে।
নিমকি হাসতে হাসতে বলল,
আচছা ভাই
খেয়েই যাব।
খাওয়ার পর নিমকি বিদায়
নিল। শিউ
বলল,
পাশেই তো থাকবেন।
মাঝে মাঝে আসবেন।
আর
তানজি তুমি ওকে রিকশায়
তুলে দিয়ে এসো।
রাস্তায়
নেমে তানজি রিকশা ঠিক
করছিল।
নিমকি বাঁধা দিল। —
আমাকে রাজশাহীর
ট্রেনে তুলে দাও।
তানজি অবাক হয়ে বলল,
তুমি না ছুটিপুরে যাবে?
ওখানে তোমার চাকরি!
নিমকি করুণ
চোখে তাকিয়ে বলল, যাব
না।
- যাবে না!
- ইস্কুলের
চাকরিটা নিয়েছিলাম
তোমাকে খুঁজতে।
আমি জানতাম
তুমি এদিকে কোথাও থাক।
কিন্তু
নির্দিষ্টভাবে জানতাম
না কোথায়
থাক।
এখানে থাকলে কোন
না কোনভাবে তোমার
সাথে দেখা হবেই এই
আশায়
চাকরিটা নিয়েছিলাম।
তানজি বিধ্বস্ত গলায় বলল,
এতদিন পর
জীবন যখন
বয়ে গেছে দুই মোহনায়, তখন
তোমার
সাথে দেখা না হওয়াই
কি ভাল ছিল
না!
নিমকি চোখের
কোণা মুছে বলল, আমার
কথাগুলো জানানোর জন্য
দেখা হওয়ার
দরকার ছিল।
নইলে সারা জীবন
তুমি আমাকে দোষী করে রাখতে।
নিমকি ট্রেনে উঠল।
সিটে বসে জানালায় মুখ
বের করে বলল,
শিউকে নিয়ে রাজশাহী যেও।
কলেজে থাকতে যে ঠিকানায়
গিয়েছিলে সেখানেই
আছি।
- কিন্তু সেই ঠিকানায়
তোমাকে পাইনি যে সেদিন।
- আমি সবাইকে নিষেধ
করেছিলাম।
ট্রেন
নড়ে উঠলে তানজি নিমকির
হাত
ধরল। বলল, ভাল থেকো।
নিমকি বলল, তুমিও।
ধীরে ধীরে যান্ত্রিক
সরিসৃপটা ওদের
হাতের
বন্ধন
খসিয়ে দিয়ে হারিয়ে গেল।
ফাঁকা প্লাটফর্মের
দিকে তাকিয়ে তানজির
মনে হল সে কলেজের
দুর্দান্ত ছাত্র।
কমলাপুর
স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে।
নিমকিকে রাজশাহীর
ট্রেনে তুলে দিতে এসেছিল।
ছুটি ফুরোলে এক মাস পর
ফিরে আসবে নিমকি।
পত্রিকা আফিসে কবিতা জমা দেয়ার
পথে নিমকিকে রিসিভ
করে নিয়ে যাবে। এই
স্টেশন থেকে।
সমাপ্ত...
গল্পটা কেমন লাগলো...কমেন্টে জানাবেন...
বহু সাহস লইয়া,এক বুক ভর্তি অক্সিজেন লইয়া, লজ্জা ফিক্কা ফালায়া দিয়া ক্রাশরে মেসেজ দিলাম...
"আমি আপনাকে ভালবাসি। আপনার লাগিয়া আমি সব করতে রাজি। " :/
.
অত:পর তিনি লেখিলেন....
.
.
.
.
.
.
.
.
.
"ki likhso??amr mbl e bangla sprt kore na"
?#খোকা_বাবু?
..........হারানো কিছু অতীত........
কলেজে আজ প্রথম দিন ৷ কিন্তু সকালে উঠতেই দেরি হয়ে গেল ৷ কোনরকমে ফ্রেস হয়ে কলেজের উদ্দ্যেশে ছুটলাম ৷ এক বড়ভাইকে জিজ্ঞাসা করে ক্লাস রুমে গেলাম ৷ দেখি আসলেই দেরি হয়ে গেছে ৷ ছাত্র-ছাত্রীরা সবাই বসে আছে, কয়েকজন শিক্ষক দাড়িয়ে আছে ৷ পরিচয় পর্ব চলছে মনেহলো ৷
- স্যার, আসতে পারি?
- নিউ ফাস্ট ইয়ার?
- জি স্যার ৷
- আসো ৷
ভেতরের ঢুকে দেখি ছেলেদের সারিতে কোন ছিট খালি নাই ৷ তাই কয়েকটা ছেলে মেয়েদের সারিতে গিয়ে বসেছে ৷ আমিও তাদের পাশে গিয়ে বসলাম ৷ ভালই হলো প্রথম দিনের কলেজ ৷ তবে তেমন কারো সাথে বন্ধুত্ব হলো না ৷ কারন আমি একটু একা থাকতে ভালবাসি, কারো সাথে প্রয়োজন ছাড়া কথা বলতে ইচ্ছা হয় না ৷ কলেজ শেষ করে রিকসার জন্য দাড়ি আছি ৷ হটাৎ একটা মেয়ে এসে,
- এই চলো ঘুরে আসি?
- কে আপনি? কথা নেই বার্তা নেই ঘুরে আসি মানে?
- আমি তোমার ক্লাস মেট ৷ তোমার সামনেই তো বসা ছিলাম, দেখোনি?
- খেয়াল করিনি, কিন্তু আমি আপনার সাথে ঘুরতে যাবো কেন?
- ওই কলম দিয়ে চোখ গেলে দেবো, আপনি করে বলছো কেন? আর এখন আমার সাথে না গেলে আমি চিৎকার করে লোক জড়ো করবো ৷
- তাতে আমার কি?
- আমি বলবো তুমি আমায় বাজে কথা বলেছ ৷ তাহলে গণধোলাইয়ের জন্য রেডি হও ৷
- আ..আমি যাবো তো, আপনার সাথে ঘুরতে যাবো, চলেন...
- আবার আপনি?
- না না, তোমার সাথে ঘুরতে যাবো, চ.. চলো..
- গুড বয়, আর এতো ভয় পওয়া লাগবে না ৷ একটা রিকসা ডাকো ৷
- Ok
নিরবে অন্যদিকে ফিরে বসে আছি রিকসায় ৷
- ওই এভাবে বসেছ কেন, সোজা হয়ে বসো ৷ আগে কখনো কোন মেয়ের সাথে রিকসায় বসোনি?
আমি সোজা হয়ে বসলাম ৷ রিকসাটা একটা বড় হোটেলের সামনে এসে থামলো ৷ মনে মনে একটু ভয় পেলাম ৷ আজ মনেহয় মানিব্যাগের বরোটা বাজবে ৷ মেয়েটা আমার হাত ধরে হোটেলের ভিতরে নিয়ে গেল ৷ বসে একটা ওয়েটারকে ডাকলো মেয়েটা
- ওয়েটার...
- জি মেডাম ৷
- মেনুটা দেখি ৷
- এই যে মেডাম ৷
- নুডলস নেই?
- জি না, মেডাম ৷
মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে বলল,
- চলো, তাহলে অন্য হোটেলে যাই ৷
- যা আছে, তার মধ্যে থেকে কিছু অডার করো ৷ অন্য হোটেলে কেন?
মেয়েটা এমনভাবে চোখ বড় বড় করে তাকালো আর কিছু বলার সাহস পেলাম না ৷
যাই হোক আরো দুইটা হোটেল ঘুরে নুডলস পেলাম ৷ কিন্তু মেয়েটা একপ্লেট অডার করলো কেন বুঝলাম না ৷ কিন্তু সেদিকে আমার মন নাই, আমি চলে গেছি অতিতে...
:
মাধ্যমিক শেষ হওয়ার কিছু আগে মিমের সাথে রিলেশান হয় আমার ৷ প্রায় ক্লাস ফাকি দিয়ে ঘুরে বেড়াতাম আমরা ৷ ও নুডলস খেতে খুব ভালবাসতো, তার চেয়ে বেশি ভালবাসতো আমাকে খাইয়ে দিতে ৷ একপ্লেট নুডলস অডার দিয়ে দুইটা চামচ দিয়ে ও আমাকে আর আমি ওকে খাইয়ে দিতাম ৷ মাঝে মাঝে নদীর ধার দিয়ে হাটতাম ৷ এটা ছিল আমার প্রিয় ৷
:
- নাও হা করো
মেয়েটার কথায় বাস্তবে ফিরে এলাম ৷ একটা চামচে নুডলস নিয়ে আমার মুখের কাছে ধরে আছে ৷ এবার আমার অবাক হওয়ার পালা ৷
- কি হলো, এভাবে তাকিয়ে আছো কেন? হা করো ৷
আমি আর কিছু বলতে পারলাম না ৷ গলাটা ধরে আসছে ৷ আমি নিজে খেতে চাইলাম, কিন্তু মেয়েটা না করলো ৷ খাওয়া শেষে মেয়েটা বলল,
- মানিব্যাগটা দাওতো
মিমও ঠিক এরকম ভাবেই বলতো ৷ টাকা দিয়ে বাইরে আসলাম ৷ আমি অবাক দৃষ্টিতে দেখছি মেয়েটাকে ৷ ও মনেহয় একটু লজ্জা পেল,
- কি দেখো?
- কিছু না ৷ (চোখ সরিয়ে নিলাম)
মেয়েটা আমার হাতটা ধরে বলল,
- পাশে একটা নদী আছে, নদীর ধারে হাটবা?
এবার আরো অবাক হলাম আমি ৷ কে এই মেয়ে? কিন্তু মেয়েটা আমার উত্তরের অপেক্ষা না করে হাটতে শুরু করলো ৷ আমি আবার অতিতে চলে গেলাম ৷
:
শেষ কবে নদীর ধারে হেটেছি মনে নেই ৷ মিম চলে যাওয়ার সাথে সব বন্ধ হয়ে গেছিলো ৷ ব্রেন্টে টিউমার ছিলো ওর ৷ অপারেশন করতে গিয়েই...
আমার জীবনটাও ওলোট পালোট হয়ে যায় ৷ সেই চঞ্চল, হাসি-খুশি, সব সময় আড্ডাবাজিতে সিহাবের ও মৃত্যু হয়, হয়ে যাই শান্ত নিরব সিহাব ৷ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরেও বের হতাম না ৷ আজ এই মেয়েটার জন্য অনেকদিন পর আবার জীবনটা কিছুটা অতীতের মত চলছে ৷ কিন্তু মেয়েটা কে, আগে তো কখনো দেখিনি ৷
:
- আর হাটতে পারছি না, চলো বসি...
- চলো ৷
বসে পাল তুলে চলে যাওয়া নৌকার দিকে তাকিয়ে আছি,
- ওই রিয়াদ, কি ভাবছো?
আমি যেন শক খেলাম, কারন এই নামে আমাকে শুধু মিমই ডাকতো ৷ আর কৌতহল চাপতে না পেরে বললাম,
- কে তুমি?
মেয়েটা একটা ডায়রী বের করে আমার হাতে দিল ৷ যেটা আমি মিমকে দিয়েছিলাম ৷ আমাদের প্রতিদিনের ঘটনা এতে লিখতো মিম ৷ মেয়েটা বলতে শুরু করলো,
- আমার নাম মেঘা, মিম আমার কাজিন ৷ মিম মারা যাওয়ার আগে এটা আমায় দিয়ে কিছু বলতে চেয়েছিল, কিন্তু পারিনি ৷ ডায়রীটা পড়ে আমি তোমায় ফলো করা শুরু করি এবং ধীরে ধীরে তোমাকে কখন ভালবেসে ফেলি বুঝতে পারিনি ৷ একটা সুযোগ দেবে আমায়, মিমকে আমার মধ্যে বাচিয়ে রাখার?
বলে মাথা নিচু কাঁদতে কাঁদতে দুহাতে আমার হাতটা চেপে ধরলো মেয়েটা ৷ আমা-র চোখের কোন বেয়ে দুফোটা অশ্রু পড়লো ডায়রীটার উপর ৷ মেঘা আমার চোখের জলটা মুছে আমার বুকে মাথা রাখলো ৷ বাধা দিতে গিয়েও দিলাম না ৷
হয়তো এতটাই শেষ চাওয়া ছিল মিমের...
:
:
(ক্ষুদ্র লেখক, ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)
.......✍