গল্প : শালি যখন ঝগরাটে বউ ♥♥
.
.
<<<< ১ম পর্ব >>>>
.
♣ এই যে ভাই উঠেন গাড়ি চলে আসছে,,,এবার নামুন।।।
আজ অনেক দিন পর গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি,,,অনেক দিন বাবা মাকে আর ছোট বোন টাকে দেখিনা তাই হঠাৎ বাড়ি যাচ্ছি,,,তাই কাউকে না জানিয়ে বাড়ি যাচ্ছি,,,চাকরিতে ডুকার পর থেকে আর বাড়ি যাওয়া হয়নি।।।
গাড়িতে উঠেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
তাই কখন যে পৌঁছে গেছি মনে নেই।
কন্টাক্টার এর ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো।।।
.
ওহ সরি আমার পরিচয়টাই তো দেয়া হয় নি,,,
চলেন রিক্সায় উঠে বাড়ি যেতে যেতে পরিচিত হই......
আমি - নোবেল ।।
বাবা মায়ের বড় ছেলে,,,বড় ছেলে বলাতে আবার ভাইবেন না যে আমার আর একটা ছোট ভাই আছে।।।
আমি বাবা মার একটা মাত্র ছেলে,,,আর আমার একটা ছোট কিউট বোন আছে।।।
আর এ চারজন নিয়েই আমাদের সুখের পরিবার।।
.
আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ন থেকে অনার্স,,মাস্টার্স শেষ করে।।।
একটা সরকারী অফিসে চাকরি করতেছি।।।
চাকরিতে ডুকেছি বেশি দিন হয়নি মাত্র ৬ মাস হলো,,,বেতনটাও খারাপ না।।।
.
বাড়িতে আসার পিছনে আর একটা উদ্দেশ্য আছে,,,বাবা মাকে শহরে নিয়ে আসবো,,,আর বোনকেও শহরে একটা বড় কলেজে ভর্তি করানোর জন্য।।
আমার কিউট বোনটা এবার SSC পরীক্ষা দিয়ে Golden A+ পেয়েছে।।
তাই ওকে একটা বড় কলেজে ভর্তি করাবো।।
.
♠ কথা বলতে বলতে বাড়ির গেইটে এসে গেছি,,,,রিক্সা বাড়া মিটিয়ে,,, বাড়ির কলিংবেল চাপ দিলাম।।।
আমার কিউট বোন টা দরজা খুলেই অবাক হয়ে গেছে আমাকে দেখে।।।
আরে ভাইয়া তুই বলেই,,,খুশিতে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।।
.
আমি: আমার কিউট বোনটা কেমন আছে।।
বোন: হুম অনেক ভালো আছি।। তুই আমাদের কাউকে জানিয়ে আসিস নি কেন???
আমি : জানিয়ে আসলে কি এমন সারপ্রাইজ দিতে পারতাম পাগলী।।।
বোন : ভালো করছো,,,এখন আমার চকলেট দাও।।।
আমি : কিরে বুড়ি তুই,,, এখনো চকলেট খাও,,,তুই না অনেক বড় হয়েছিস।।
বোন : তার মানে তুই আমার জন্য চকলেট আনিস নি তাই তো,,,যাও তোর সাথে কথা নেই।
আমি : আরে আরে আমার কিউট বোনটা দেখি রাগ করছে,,,এই নে চকলেট অনেক গুলো এনেছি।।
আমার একটা মাত্র বোন তার জন্য চকলেট কি করে না আনি।।।
বোন : আমার থেকে চকলেট গুলো নিয়ে,,খুশিতে লাভ ইউ ভাইয়া বলে গালে একটা পাপ্পি দিল।।
.
♦ এর মাজে আম্মু বোন কে ডাক দিল....
কিরে মেঘলা কে আসলো,,,কার সাথে এতো কথা বলিস?? ( মেঘলা আমার বোনের নাম)
.
বোন: মা ভাইয়য়য়য়য়য়য়য়য়া,,,, বলার আগেই আম্মু আমাদের সামনে এসে হাজির।।
আমাকে দেখেতো পুরাই অবাক।।
কিরে তুই কখন আসলি,,,আর আমাদের তো একবারও বলিস নি তুই বাড়ি আসতাছিস।।
একবার ফোন করেতো বলতে পারতি।
আমি: আম্মু আসলে আমি তোমাদের সারপ্রাইজ দিব ভাবলাম তাই আগে জানাইনি।। তোমাদের খুব মিস করছিলাম তাই চলে আসলাম।
আম্মু: খুব ভালো করছিস। এখন যা ফ্রেস হয়েনে।। আমি খাওয়া রেডি করে তোকে ডাকদিব।।।
.
মেঘলা তুই তোর বাবাকে ফোন দিয়ে বল যে তোর ভাই আসছে,,,বাজার থেকে ভালো কিছু যেন নিয়ে আসে।।।
.
আমি ফ্রেস হয়ে শুয়ে রেষ্ট নিচ্ছিলাম,,,কিছু সময় পর দেখলাম আব্বু আমার রুমে আসলো।।
আমি আব্বুকে সালাম দিয়ে বসতে বললাম।।।
জিঙ্গাসা করলাম - কেমন আছো আব্বু,,,শরীর ভালো তো। ডায়বেটিস এর ঔষধ ঠিক মতো খাওতো।।।
আব্বু: হুম সব কিছু সময় মতই খাই,,,তোর কি অবস্থা কেমন আছিস।
.
আমি : হুম আব্বু ভালো আছি।।।
.
♣ এর মাঝে ছোট বোন খাওয়ার জন্য ডাকতে আসলো আমাদের,,,
বাবা বললো- চলো খাইতে চলো। ওখানে বসে বসে আরো কথা হবে।।
.
তারপর আমি আর বাবা খাওয়ার টেবিলে আসলাম। আম্মু আর ছোট বোন মিলে সব কিছু রেডি করে রেখেছে।।।
আমরা বাবা আসা মাত্র আমাদের খাওয়ার দিলেন।।
খাওয়া শুরু করলাম।।খাওয়ার মাঝে বাবা বলতে শুরু করলেন.....
.
আব্বু: তোর মা অনেক দিন ধরে তোর বিয়ে কথা বলছিল,,,আমাদের ইচ্ছে তোরে বিয়ে দিয়ে নাতি নাতনির মুখ দেখবো।।। এ অবসর সময়টা নাতি নাতনীর সাথে কাটাবো ভাবলাম তাই।।
আমি আর রফিক আগে থেকে তোর বিয়ে ঠিক করে রেখেছি,,, আমার বন্ধু তোর রফিক আন্কেল এর বড় মেয়ের সাথে।।
রফিক কে তো চিনস আমার সাথে চাকরি করতো।।।
.
আমি: হুম চিনতে পেরেছি,,,কিন্তু বাবা এখনি বিয়ে কেন,,,মাত্রই তো জব শুরু করলাম,,, আর আমার বিয়ে ঠিক করেছো কিন্তু আমি জানি না ।।
এটা কি ঠিক হলো বাবা।।।
.
আব্বু: ঠিক বেঠিক বুঝি,,, আমাদের বন্ধুতের সম্পর্ক সারা জীবন ধরে রাখার জন্য আমরা আগে থেকে এই বিয়ে ঠিক করে রেখেছি।। শুরু তোর পড়া লেখা শেষ হওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম।।
আমি: কিন্তু আব্বু আমিতো বাড়িতে এসেছি শুধু তোমাদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য।।
.
আব্বু : রফিকরা তো ঢাকায় থাকে,,, আমরা ওখানে গেলেই তোকে নিয়ে ওদের বাসায় যাবো।। মেয়ে দেখেই বিয়ের তারিখ ঠিক করবো।।।
.
আমি: ওকে।
.
♠ তারপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম। পরের দিন ঘুম থেকে উঠে খাওয়া দাওয়া করে ছোট বোনকে নিয়ে সারা দিন ঘুরলাম।
বাড়িতে এসে বাবা মাকে বললাম...
আমরা আগামীকাল ঢাকায় যাবো সবকিছু রেডি করে নীতে।
.
যদিও বাবা মার সাথে কথা হয়েছিল মেঘলার পরীক্ষার পরে সবাই ঢাকায় সিপ্ট হবো।।
তাই সব কিছু আগে থেকে ঠিক করা ছিল। এখন শুধু কিছু জিনিস রেডি করে ঢাকায় যাওয়া বাকি।।
.
পরের দিন সকালে সবাইকে নিয়ে গাড়ি তে উঠলাম।।
ঠিক সময়ে ঢাকায় এসে পৌছে গেলাম।
.
সবাইকে নিয়ে আমাদের নতুন বাসায় উঠলাম।
সব কিছু ঘুছিয়ে নিতে কয়েকদিন লেগে গেলো।।। এর মাঝে ছোট বোনকে ঢাকার একটা কলেজে ভর্তি করালাম।
.
আমি ও অফিসে কাজে একটু ব্যস্ত হয়ে গেলাম।
.
♦ হঠাৎ একদিন খাওয়ার টেবিলে বাবা বললো---
আগামী শুক্রবার ফ্রি থাকিস।
আমি : কেন বাবা,,কোন কাজ আছে??
আব্বু: হুম, আমরা রফিকদের বাসায় যাবো,,,ওর সাথে আমার কথা হয়েছে। তারপর তোদের বিয়ে ঠিক করবো।।
আমি: ওকে।
আমি বাবাকে সম্মান করি তাই আর কিছু বলিনি,, বাবা মার কথা সব সময় মেনে চলি।।
.
শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠার পর থেকে দেখলাম বাসার মধ্যে একটা হই চই শুরু হয়ে গেছে।
মনে হচ্ছে মেয়ে দেখতে যাচ্ছি না আজ কেই আমার বিয়ে।।।
.
দুপুরের খাওয়ার পর সবাইকে নিয়ে রফিক আন্কেল এরর বাসায় উদ্দেশ্যে বের হলাম।।
৩০ মিনিট পর ওনাদের বাসায় পৌঁছালাম।
.
ওনারা আমাদের ওয়েলকাম জানিয়ে ভিতরে নিয়ে গেলেন,,,বাসাটা দেখে ভালোই লাগলো।।
একদম সুন্দর করে গোছানো।।।
বাহিরে একটা সুন্দর ফুলের বাগানও আছে।।।
.
আমাদের সোফায় নিয়ে বসানো হলো।
বাবা আন্কেলের সাথে কথা বলতাছে।।
আমি শুধু বসেই আছি,,,যাকে দেখতে আসলাম তার আসার কোন নামই নেই।।।
.
কিছুক্ষন পর দেখলাম...........
.
<<<<<চলবে>>>>>
.
আজ এ পর্যন্ত।। আগামী পর্বে বিয়ে সম্পর্কে লেখবো।।
.
♦বি.দ্র: গল্পের নাম দেখে কেউ খারাপ মন্তব্য করবেন না। আগামী পর্ব পড়লে বুঝতে পারবেন কেন গল্পের নাম এটা দিয়েছি।।
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।