Discover postsExplore captivating content and diverse perspectives on our Discover page. Uncover fresh ideas and engage in meaningful conversations
বাবার দেয়া টাকাগুলো রাগ করে বাবার দিকেই ছুড়ে মেরেছি।ইদের কেনাকাটার জন্য মাত্র চার হাজার টাকা দিয়েছে।
আমার পরিবারটা মধ্যবিত্ত।একেবারে পিওর মধ্যবিত্ত যাকে বলে।সব সময় হিসেব করে চলতে হবে।একটুও বাড়তি খরচ করলে মাসের শেষে না খেয়ে থাকতে হবে!
বাবা একটা চাকরী করে, বেতন পায় ১৫ হাজার।আজকালকার যুগে পনেরো হাজার টাকায় তো এক সপ্তাহও চলা কঠিন।অথচ আমাদের চলতে হয় সারা মাস।
মা মূলত বাড়ির কাজই করে।তবে মায়ের কন্ঠটা খুব সুন্দর।ইসলামিক সংগীত প্রতিযোগিতায় ক'বার পুরষ্কারও জিতেছে!
তা যাই হোক,আমি আমার জীবনটাকে কখনোই ভালোবাসি না।কারন এই হিসেব করে চলা জীবন আমার কখনই পছন্দ না।ইদের সময় ভেবেছিলাম একটা দামী জুতো কিনবো।অথচ বাবা দিয়েছে মাত্র ৪ হাজার।এতে তো শুধু জুতোটাই হবে,জামা প্যান্ট কিনবো কি দিয়ে।
বাবা পরে আরো ৫০০ টাকা বাড়িয়ে পুরো টাকাটা আমার টেবিলের উপর রেখে যায়।আমি টাকাগুলো নিয়ে কতগুলো কথা শুনিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যাই!
প্রচন্ড রাগ হচ্ছে! ফ্রেন্ড সার্কেলে কিভাবে মুখ দেখাবো ভেবে পাচ্ছি না।ওদের বলেছিলাম দামী জুতোটা কিনবো,তা হলো না।
পাড়ার দোকানটায় গিয়ে একটা গোল্ডলিফ ধরাই! কিছু ভালো লাগছে না।দু'টান দিয়ে সেটাও ছুড়ে ফেলি।
রিক্সা ডাক দিয়ে বাজারের দিকে যেতে বলি! ওখানে একটা ফ্রেন্ডের দোকান আছে।শুধু শার্ট বিক্রি করে!দেখি ওর কাছে ভালো কোনো শার্ট আছে কি না!
যেতে যেতে রিক্সাটা জ্যামে আটকে যায়।এমনিতেই মেজাজ খারাপ তার উপর পচন্ড গরম।
তারমধ্যে দেখি ৮ বছরের মতো হবে এমন একটা মেয়ে আমার হাত ধরে টানছে! হাতে কতগুলো গোলাপ!
.
-ভাইয়া,ভাইয়া একটা ফুল নিবেন? মাত্র ১০ টাকা!
-না...রে!
-নেন না ভাইয়া! একটা গোলাপই তো।নেন,খুব ভালো ঘ্রাণ!
-আহা! লাগবে না তো।যাচ্ছি মার্কেট,তোর গোলাপ নিয়ে কি করবো?
-ভাইয়া,একটা জামা কিনবো ইদের জন্য! নেন না ভাইয়া!
বেশ মায়া লাগলো।তারপর ২টা গোলাপ ২০ টাকা দিয়ে নিয়ে, রিক্সাওয়ালা মামাকে বললাম তাড়াতাড়ি চালাতে!গরমে মেজাজটা আরো গরম হয়ে যাচ্ছে!
দোকানে গিয়ে দেখি,ফ্রেন্ড নেই।ওয়েট করতে হবে! বসে পড়লাম,ফোনটা বের করে ফেসবুকে ঠুকলাম।দেখি আমার অন্য ফ্রেন্ডরা বড় বড় শপিং মলের চেক-ইন দিচ্ছে! এগুলো দেখে মেজাজটা আরো গরম হয়ে গেলো!
ফোনটা পকেটে রেখে চুপচাপ বসে আছি।একটু পর ফ্রেন্ড আসে!
ওর কাছে শার্ট দেখতে চাইলাম! নতুন কিছু শার্ট এসেছে।সেগুলো দেখছিলাম!
হঠাৎ ঘাড়টা ঘোরাতে গিয়ে দেখি সেই মেয়েটা দোকানের বাইরে দাড়িয়ে আছে!
গ্লাসের বাইরে থেকে ভিতরে ঝুলিয়ে রাখা শার্টগুলো দেখছে।কিন্তু আমি অবাক হচ্ছিলাম এটা ভেবে যে,মেয়েটা এই দোকানে কি করছে।এখানে তো শুধু ছেলেদের শার্ট!
হয়তো ভুলে চলে এসেছে,বুঝতে পারেনি।আমি আবার শার্ট দেখতে শুরু করি।একটু পর দেখি দোকানের এক কর্মচারী ওকে রাগ করছে!
আমি শার্টগুলো রেখে বাইরে বের হই।দেখি মেয়েটাকে খুব করে রাগারাগি করছে!
-এই ছেমরি,প্রত্যেকদিন তুই এই জায়গা আইসা দাড়ায় থাকো ক্যান? যেদিন টাকা নিয়ে আসতে পারবি সেদিন আসবি!
-কিন্তু, ততদিনে যদি ওই জামাটা বিক্রি হয়ে যায়? আমার তো ওটাই পছন্দ হইছে!
-হলে হইবো,এখন যা ভাগ।তোরে যেনো আর না দেখি এখানে!
কর্মচারীর কথায় কষ্ট পেয়ে মেয়েটা চলে যাচ্ছিলো।আমি ডাক দিয়ে জানতে চাইলাম,
-তুমি না বললে জামা কিনবে,এখানে তো সব শার্ট।শার্ট দিয়ে তুমি কি করবে?
-আমি একটা শার্টই কিনবো।ওই যে দেখতেছেননা ঝুলানো আছে,ওই শার্টটা কিনবো।
-কার জন্য?
-আমার বাবার জন্য!
-বাবার জন্য? তুমি এতটুকু একটা মেয়ে, বাবার জন্য শার্ট কিনবে?
-আসলে ৬ মাস আগে আব্বা রিক্সা চালাতে গিয়ে ট্রাকের সাথে এক্সিডেন্ট করে পায়ে আঘাত পায়! কাজে যাইতে পারে না।মা মানুষের বাসায় কাজ করে সংসার চালায়!
প্রতিবছর আব্বা আমার জন্য নতুন জামা কিনে আনতো।কত খাবার কিনে আনতো।কিন্তু এবার আব্বা ঘর থেকেই বের হতে পারে নাই।তাই ভাবছি এবার আমি ফুল বেঁচে বেঁচে আব্বারে এই শার্টটা কিনে দিবো।আব্বার হাসিমুখ দেখলে আমারও খুব ভালো লাগে!
মেয়েটার কথাগুলো শুনে আমার চোখের কি হলো জানি না,শুধু ভিজেই যাচ্ছে।এতটা কান্না বোধহয় আমার আগে কখনো আসেনি।কি বলবো বা করবো কিছুই ভেবে পাচ্ছি না।স্তম্ভিত হয়ে বসে আছি! মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরলাম।এত ছোট বাচ্চা একটা মেয়ে এত কিছু বোঝে অথচ আমি এত বড় হয়েও ইচ্ছামতো টাকা না দেবার জন্য বাবার মুখের উপর টাকা গুলো ছুড়ে মেরেছি!
খুব অমানুষ মনে হচ্ছে নিজেকে।নিজের জন্য,নিজের স্টাটাস বজায় রাখার জন্য দামী দামী জিনিস কিনেছি সব সময়।অথচ কখনো ভেবেই দেখিনি একটা মানুষ ১৫ বছর ধরে একই পাঞ্জাবী পরে ইদ কাটিয়ে দিচ্ছে!
ইদের আগের দিন মা ধুয়ে দিতো বাবা সেটা আয়রন করে পরতো!
ইদ উপলক্ষে বাবা-মাকে কখনো কিছু কিনতে দেখিনি।সব সময় আমাকেই কিনে দিতো।
এসব ভাবতে ভাবতে আরো বেশি কান্না আসছিলো!
চোখ মুছে মেয়েটাকে দোকানের ভিতর নিয়ে গেলাম।ফ্রেন্ডকে বললাম,শার্টটা দিতে।তারপর ওকে নিয়ে পাশের মার্কেটে গিয়ে ওর জন্য একটা জামা আর ওর মায়ের জন্য একটা শাড়ি কিনলাম।তারপর আমার বাবার জন্য একটা পাঞ্জাবী আর মায়ের জন্য একটা শাড়ী!
এগুলো নিয়ে হোটেল থেকে কিছু খাবার কিনে ওর বাড়ির দিকে যাই! যেমনটা ভেবেছিলাম,ছোট্ট একটা ঘর,বাবা শুয়ে আছে! ইফতারীর বেশী বাকী নেই।একটু পর ওর মা'ও আসে।তাদেরকে পুরো ঘটনাটা বলি।তারা তো তাদের মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেই যাচ্ছিলো।
আমি বিদায় নিয়ে চলে আসি,আসার সময় ইদের দিন মিতুকে আমাদের বাসায় আসার জন্য বলি! (মিতু মানে ওই মেয়েটা)
বাসায় ফিরে দেখি বাবা-মা বসে আছে ইফতারী নিয়ে।মা এগিয়ে এসে বলছে,
-বাবা,কেনাকাটা করেছো?
একটু পর বাবা একটা প্যাকেট নিয়ে আসে।আমাকে দিয়ে বলে "খুলে দেখ!"
খুলে দেখি,সেই জুতোটা।যেটা আমি কিনতে চেয়েছিলাম।কিন্তু এত টাকা বাবা কোথায় পেলো।মাকে জিজ্ঞেস করলাম,মা কিছু বলতে চাচ্ছে না।বাবাকে জিজ্ঞেস করলাম,বাবা বললো "তোর মায়ের যে কানের দুলটা ছিলো না? যেটা তোর দাদী তোর মাকে দিয়েছিলো,ওটা তোর মা বিক্রি করে দিয়েছে তোর জুতো কেনার জন্য"!
.
কি বলবো ভেবে পাচ্ছি না।মাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিয়েছি।তারপর বাবার পা ধরে সকালের ব্যাপারটার জন্য ক্ষমা চাই।তারপর আমার ব্যাগ থেকে তাদের জন্য কেনা পাঞ্জাবী আর শাড়ীটা দেই।
তারা তো মহাখুশি! সাথে প্রচন্ড অবাক।এবার খুশিতে তারা আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিয়েছে!
আজ মিতু আমাকে শিখিয়ে দিয়েছে সুখে থাকার জন্য অনেক বেশী টাকার প্রয়োজন হয় না।যেটা আছে,যেভাবে আছে সেটাকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকলেই সুখে থাকা যায়! এবং প্রত্যাশা যতো কম হবে,না পাওয়ার বেদনাও তত কম হবে।
একটু স্যাক্রিফাইজ করে সুখটাকে শেয়ার করলে দেখা যাবে আমরা সবাই সুখী....
(সংগৃহীত)
আমার বউ আমাকে ছাড়া রাতে ঘুমাতেই পারে না।
নিশি আমার উপর রাগ করেছে । রাগ করে কথা বলছে না ।
বিকেল বেলা অল্প একটা বিষয় নিয়ে রাগ করে আছে । আমি মনে মনে হাসছি । আমি খুব ভাল করেই জানি নিশি আমার উপর খুব বেশিক্ষন রাগ করে থাকতে পারবে না । খুব বেশি হলে কয়েক ঘন্টা । এর বেশি ওকে রাগ করে থাকতে দেখি নি ।
একবার কি হয়েছে দুপুর বেলা আমার সাথে ঝগড়া করে বাড়ির বাইরে চলে গেল । বলে গেল আর ফিরবো না ।
আমি আটকানোর চেষ্টা করলাম না । মোল্লার দৌড় যেমন মসজিদ পর্যন্ত নিশির দৌড় আমার শ্বশুর বাড়ি পর্যন্ত মানে ওর বাবার বাড়ি পর্যন্ত । এই কয়েকটা গলি পরেই আমার শ্বশুর বাড়ি । আমি ধরেই নিলাম যে ও ঐ বাড়িতেই যাবে ।
আধা ঘন্টা পর ওর ফোন এল
-কি খবর সোনা পাখি ?
-কোথায় তুমি?
-বাসায় আবার কোথায় !! তুমি বাসা ছেড়ে চলে গেছ কাউকে না কাউ কে বাসায় তো থাকতে হবে !
-হুম বুঝলাম । একটু নিউমারকেটের দিকে আসো !!
-কেন ??
-আমি টাকা আনতে ভুলে গেছি । সিএনজির ভাড়া দিতে পারছি না ।
আমি হেসে ফেললাম । বললাম
-সিএনজি নিয়ে আবার চলে আসো । বাসার সামনে আসো ।
-না । আমি আসবো না । তুমি আসবে । আমি রাগ করেছি । আমার রাগ ভাঙ্গাবে তারপর আমি যাবো !
আমি সত্যি খুব মজা পেলাম নিশির ছেলেমানষী দেখে !
যখন নিউ মার্কেটে গেলাম দেখলাম নিশি ফুটপাতের উপর বসে আছে । আমি সিএনজি য়ালা কে ভাড়া দিয়ে দিলাম । তারপর গিয়ে বসলাম নিশির পাশে । ওর রাগ ভাঙ্গাতে হবে । হাসি আসছিল । হাসি চাপাতে চাপাতে বললাম
-কি করলে তোমার রাগ ভাঙ্গবে বল?
-গান গাও একটা ।
নিশি কেমন যেন গাল ফোলাল । নিশির এই গাল ফোলানো টা আমার খুব পছন্দ । কেমন একটা মিষ্টি মিষ্টি কিউট বাবুর মত লাগে । এই সময় ওর লাগে একটা চুম দিতে খুব মজা !! :!> :!> :!> :!> আর আিমি জানি চুম খেলেই ওর রাগ পরে যাবে । কিন্তু পাবলিক প্লেসে কাজটা করি কিভাবে ?
বললাম
-চল সোনাপাখি । এখন কত লোক রয়েছে । মানুষ জন কি বলবে ? বাসায় চল । যা করতে বলবা তাই করবো !
- না এখনই !
-পাখি একটু বিঝার চেষ্টা কর । এতো মনুষ জন রয়েছে । কি বলবে বল ? বলবে ছেলে মেয়ে দুটো কি করছে রাস্তার মধ্যে !! তখন শুনতে কি ভাল লাগবে বল ?
আমাদের কথা ডেশ কয়েক জন শুনছিল পাশে দাড়িয়ে । মজা দেখছিল । দেখলাম এক বৃদ্ধা এগিয়ে এল । নিশি কে বলল
-স্বামীর উপর রাগ করে থাকতে নেই । বাসায় চলে যাও মা ! !
এই কথায় কাজ হল । নিশি বাসায় চলে এল । তারপর কি হল নাই বা শুনলেন।
রাতে খাওয়ার সময়ও কথা বলল না । কিন্তু ওর মুখ দেখে মনে হচ্ছিল যে ও খনিকটা অস্থির হয়র গেছে কথা বলার জন্য । আমি সুযোগ দিচ্ছি না বলে ও কথা বলতে পারছে না । আমি মনে মনে হাসলাম । খুব ভাল করে জানি আর বেশিক্ষন ও থাকতে ই পারবে না ।
সব থেকে বড় কথা হল ঘুমানোর সময় আসছে । যত রাগই হোক ঘুমানোর সময় ও আমার সাথে রাগ করে থাকতে পারে না । আমাকে জড়িয়ে না ধরলে ওর ঘুমই আসে না । কথাটা আমার জন্যও সত্য । কেন জানি যতক্ষন নিশিকে জড়িয়ে ধরি ঘুম কিছুতেই আসে না ।
একবার ও শ্বশুর বাড়ি গেছে । আমি যাই নি । অফিসের কাজ নিয়ে খানিকটা ব্যস্ত ছিলাম । রাতে যখন ঘুমাতে গেলাম, দেখি কেবল এপাস ওপাস করি । ঘুম আর কিছুতেই আসে না । একবার মনে হল নিশিকে ফোন দেই । তারপর মনে হল থাক ও হয়তো ঘুমাচ্ছে । ঠিক তখনই নিশির ফোন এসে হাজির । ফোন করেই বলল
-তুমি এখনই আসো আমাদের বাসায় !
-এতো রাতে ?
-হুম !! এখনই । এখনই !
-কোন সমস্যা হয়েছে নাকি ?
-জানি না । আসো । আসতে বলছি আসো !
মনটা খুশিই হল । রাত তখন প্রায় দুইটা । স্বশুর বাড়ি গিয়ে হাজির হলাম ।
নিশির বোন দরজা খুলে দিল । বললাম
-কি হয়েছে ?
-আপনাদের প্রেম দেখলে আর বাঁচি না । একজন কে ছাড়া আরেক জনের ঘুম ই আসে না । যান আপনার বউকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে আসেন ।
দুজন দুদিকে শুয়ে আছি । এমন একটা ভাব যেন ঘুমাচ্ছি । একটু পর লক্ষ্য করলাম ও নড়াচড়া করছে । তারমানে ওর অসস্তি লাগা শুরু করেছে । আমি আসতে করে ওর হাত ধরলাম । ভেবেছিলাম হাত সরিয়ে দিবে !! দিল না । বললাম
-এখনকার মত রাগটা মুলতবি রাখ । কাল সকাল থেকে না হয় আবার রাগ কর । এখন একটু ঘুমাও !
নিশি এবার আমার দিকে পাশ ফিরল। দেকলাম আামর সোনা বউটার চোখে পানি । আমি পৃথিবীর সব কিছু দেখে হজম করে নিতে পারি কেবল কেন জানি নিশির চিখে পানি কিছুতেই সহ্য হয় না ।
সোনা বউয়ের চোখে পানি মুছিয়ে দিয়ে ওকে বুকের মধ্য জড়িয়ে ধরলাম । নিশি যেন আরো একটু ফুপিয়ে উঠল ।
এতোক্ষন কথা বলে নি । কষ্ট টুকু বাইরে বের তো হতে হবে !
আামর কথাঃ টিয়াপাখির সাথে সেদিন কথা বলছিলাম । ওকে বললাম
-দেখো যখন আমাদের ঝগড়া হবে আমরা কথা বলবো না তখ কিন্তু একটা কথা মনে রাখবে ।
- কি কথা ?
- দিনের বেলা যত যাই হোক না কেন রাতের বেলা আমাদের আমাদের মধ্যে কোন কোন মনমালিন্য থাকবে না । যেমন যুদ্ধ বিরতি হয় না আমরা তেমনি রাতের বেল ঝগরা বিরতি হবে । ঠিক আছে !
-আহা!!
-আহা বললে হবে না । শুনতে হবে ।
-কেন ??
-কারন রাতের বেলা তোমাকে জড়িয়ে না ধরলে আমার ঘুম আসবে না ।
টিয়াপাখি হাসল কিছুক্ষন । বলল
-এখন কিভাবে আসে?
-আসে আর কই ?? তোমাকে ছাড়া কি ঘুম আসে ? কবে যে আমার বউ হবা ?? আর কবে যে..........
ড্রাফটে দুটো গল্প লিখে রেখেছি । কিন্তু কেন জানি এই লেখাটা পোষ্ট করতে ইচ্ছা হল । মুলত এটা কোন গল্প না । টিয়াপাখি কে নিয়ে আমার সুন্দর একটা কল্পনা । না জানি কল্পনাটা বাস্তবে রুপান্তরিত হবে কি না !!!