Discover postsExplore captivating content and diverse perspectives on our Discover page. Uncover fresh ideas and engage in meaningful conversations
ফ্লেক্সিলোড_প্রেম
.
--হ্যালো,আসসালামু আলাইকুম।(একটি মেয়ে)
--ওয়ালাইকুম আসসলাম.(আমি)
--কে বলছেন?
--আসলে আপনি আমায় চিনবেন না,আপনার
ফোনে ৫০ টাকা ভুলে ফ্লেক্সিলোড
গেছে,যদি টাকাটা ফেরত দিতেন..
--কই! কোন টাকা আসেনিতো?
--ভালো করে ব্যালান্স চেক করে দেখুন
প্লিজ..
--আচ্ছা ঠিক আছে,দেখে আপনাকে
জানাচ্ছি।..{আমি অমি ,আর এতক্ষন যার
সাথে কথা বলছিলাম সে হলো আমদের
পাশের এলাকার আদিবা..মেয়েটাকে আমি
বেশ পছন্দ করি..কিন্তু সমস্যা হলো আমি
ওর সাথে সরাসরি কোনোদিন কথা
বলিনি,ফোনে কথা বললাম আজই
প্রথম..মেয়েটা আমাদের কলেজেই
পড়ে..তবে আমার এক ক্লাস সিনিয়র ।.এক
বন্ধুকে দিয়ে ওর নাম্বারটা যোগার
করছি..ঐ বন্ধুই এই বুদ্ধিটা দিছে,যে
আদিবার ফোনে কিছু টাকা দিবি,আর পরে
টাকাটা চেয়ে নিবি.এতেই ওর সাথে
কথা বলার চান্স পেয়ে যাবি..তাই এই
বুদ্ধিটা প্রয়োগ করছি..}.একটি পরে কল
ব্যাক আসলো,
--হ্যালো,(কন্যা)
--হ্যা বলুন,টাকা কি গেছে? (আমি)
--হ্যা টাকা এসেছে ঠিকই,কিন্তু টাকা
আজ ফেরত পাবেন না। ২ দিন দেরি হবে।
আমি ২ দিন পর কলেজ যাবো,তখন দিয়ে
দেবো।
--ঠিক আছে..আচ্ছা আপনি কোন কলেছে
পড়েন?«ভয়ে ভয়ে»
--আপনাকে বলবো কেনো? টাকা পাবেন
তা দিয়ে দেবো..বাড়তি কথা বলার সময়
নেই । «রাগ্বত ভাবে»
--আপনাকে তো রাগলে মানায় না..মিষ্টি
করে কথা বলুন,এতেই মানাবে।
--তার মানে! আমাকে রাগলে মানায়
না,আপনি কি আমায় চেনেন?
--আরেহ না না.আপনার কন্ঠ শুনে মনে
হলো..আপনার কন্ঠটা কিন্তু খুব মিষ্টি ।
--সেটা আমি জানি,আপনাকে বলতে
হবেনা।
--খারাপ কিছুতো বলিনিতো,ভালো
কথাও বলা যাবেনা!
--আজাইরা কথা রাখেন..টাকা পেয়ে
যাবেন চিন্তা কইরেন না..টু টু টু..
এইডা কি রকম মাইয়্যা,ভালো কথাও
শুনতে পারেনা!..
--হ্যলো দোস্ত কি খবর? ভাবির সাথে
কথা বলছিস? (যে দোস্ত নাম্বার যোগাড়
করে দিছে।)
--নারে দোস্ত..খুব রাগ দেখিয়ে কথা
বলে, আমারতো এর সাথে কথা বলতে ভয়
হয় ।
--তবুও কথা বলতে হবে,নয়তো ওরে
পাবিনা রে..
--দেখি,চেষ্টা করতেছি তো।
--আচ্চা দেখ তাহলে..বাই..
--হুম.বাই....
চিন্তা করলাম আরেকবার ফোন
করি,কিন্তু ফোন করে কি বলবো? আবার
ঝারি খাবো! নাহ,ভাবতে হবে।....রাতে
আবার কল দিলাম__.--ঐ আপনার প্রবলেমটা
কি হা? বলছিতো টাকা দিয়ে দেবো।
আবার কল দিছেন ক্যান?
--আসলে আমি আপনাকে মনে করিয়ে
দিতে চাচ্ছিলাম আরকি..(কাঁপা কাঁপা
গলায়)
--আমার মনে আছে এবং থাকবে।আর যদি
কল করেন টাকা ফেরত পাবেন না বলে
দিলাম।
--জ্বী..ঠিই__ক আআআছে।
--তোতলামি করছেন যে? আপনি মনে হয়
আমার কথায় ভয় পেয়ে গেলেন?
--না না ভয় পাবো কেনো?
--ভয় না পেলেই ভালো..আচ্ছা
রাখি,আমার সময় নেই.
--হুম।..দুদিন পর টাকা আসলো,সাথে সাথে
কলও আসলো.।.
--হ্যালো টাকা পাইছেন?
--হ্যা এইমাত্র পেলাম...
--তো ঠিক আছে।
--আচ্ছা আপনি কিসে পড়েন?
--কেনো? কি দরকার?
--না মানে,আমরা কি বন্ধু হতে পারি?
--নাহ আমার বন্ধুর অভাব নেই। আর আমি
অপরিচিত কারো সাথে বন্ধুত্ব করবো
কেনো?
--অপরিচিত তো কি হইছে? পরিচিত হই
এখন।
--নাহ দরকার নাই.
--এতো ভাব নেন কেনো,শুধু ফ্রেন্ড হতে
চাইছি,বয়ফ্রেন্ডতো হতে চাইনি
--হুম..দেখা যাক..তা আপনার বাসা
কোথায়?
--রাজশাহি..আর আমি যে উপজেলায়
থাকি ঐটার নাম না বলে অন্য উপজেলার
নাম বললাম.আপনার বাসা কই?
--সিরাজগন্ঞ্জ অমুক যায়গা..আপনার নাম
কি?
--অমি ...আপনার??
-আদিবা । পরে কথা হবে এখন কলেজে
যাচ্ছি..
--আচ্ছা ।··..আহ্ কয় বছড়ের সাধনার একটু
উন্নতি হইলো তাহলে......অতঃপর বন্ধুর
পেট ভারি করিলাম আর আমার পকেট
খালি করিলাম,বন্ধুর লাগিয়াই আজ
কন্যার সহিত কথা কইতে পারিলাম.আহা।
রাতে ফেসবুক ব্যবহার করছিলাম এমন সময়
আদিবার নাম্বার থেকে মিস কল
আসলো.আমি সাথে সাথে কল ব্যাক
দিলাম......
--হ্যালো..মিসড কল দিলেন কেনো?{আমি}
--ওহ ড্রিস্টার্ব করলাম? ঠিক আছে
রাখছি,আর কখনই কল দেবোনা ।
--আরেহ না না,আমি তা বলিনি,বললাম কল
না দি মিসড কল দিলেন.তাই বললাম..কলও
তো দিতে পারতেন..!
--ঐ দেখেন ফ্রেন্ড হবার জন্য আপনি অফার
করছিলেন,আমি না.,তাই আপনিই সবসময় কল
দিবেন। আমি দেবোনা বুঝলেন..
--হুম.ঠিক আছে..
--আচ্ছা আপনি কিসে পড়েন?
--অনার্স ২য় বর্ষে..(সে যে ক্লাসে পড়ে ঐ
ক্লাসের কথা বললাম)
--আমিও! তাহলে আমরা তুমি করেই
বলবো..কেমন?
--অকা·.
প্রতিদিন কয়েকবার করে কথা হতো এর
সাথে,তবে সবসময় আমাকেই আগে কল
দিতে হতো...আমরা একদম ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে
গেলাম...আজ হঠাৎ ঐ কল দিলো.কল
ধরলাম...
--হ্যালো,তা কি মনে করে কল দিলা?
তুমি তো মিসড কল ছারা কল কখনও
দাওনা,তা কি হলো আজ!
--এখন থেকে আমিও কল করবো,তোমার
সমস্যা আছে?
--হুম...দিও..সমস্যা নেই.
--আচ্ছা আমরা দেখা করছি কবে?.দেখা
করার কথা উঠলেই আমি বেপারটা
এড়িয়ে যাই..তাই বললাম
_দেখা হবে একদিন....এই কয়দিনে আরো
বেশি ভালোবেসে ফেলছি আআদিবাকে..ভাবছি এভাবে
আর থাকতে
পারছিনা..আদিবাকে মনের কথাগুলো বলবো
রাতে..ভয় করছে আমার,যদি এরপর ও আমার
সাথে ফোনে কথা না বলে!নাহ থাক
যেমন চলছে তেমনই চলতে থাকুক...একটুপর
আবারো আদিবার কল আসলো..
--হ্যালো..কিছু বলবা?
--হ্যা মানে না,আচ্চা তোমার কি
গার্লফ্রেন্ড আছে?
--না তো..তা হঠাৎ এইকথা কেনো?
--না,এমনি..কি করো?
--এইতো তোমার কথাই ভাবছিলাম..
--বাব্বাহ,সত্যি!!
--হুমম..
--খাইছো?
--হুম.তুমি?
--হ্যা...আচ্ছা পরে কথা হবে এতো কথা
একসাথে বললে প্রেমে পরে
যাবো..কথাটা বলেই কল কেটে দিলো
....ও খুব আমার কেয়ার করে
ইদানিং..আবার ফোন ধরতে দেরি করলে
রাগও করে..এভাবে চলছেনা..যেভাবেই
হোক বলতেই হবে...যাইহোক আজই
বলবো..সন্ধ্যা বেলা আদিবার নাম্বারে
একটা মেসেজ পাঠালাম,,মেসেজটা ঠিক
এইরকম:."খুব ভালোবাসি তোমায়..কিন্তু
ভয়ে বলতে পারিনা..অনেক আগের
থেকেই তোমাকে ভালোবাসি..অনেক
ভালোবাসি..আজকের পর থেকে তুমি
হয়তো ফ্রেন্ডশিপ রাখবেনা..তবুও দুর
থেকেই ভলোবাসবো....মেসেজটা সেন্ড
করেই মোবাইল থেকে সিমটা খুলে
পকেটে রাখলাম.কারন এরপর আদিবা ফোন
দিয়ে যা বলবে,তা যদি সহ্য করতে না
পারি?.সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে না
খেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম...তিন দিন ধরে
ফোন বন্ধ...বাইরেও যাইনা।.আজ ফোনটা
অন করলাম..অন করতে দিয়ে আমি ফ্রেস
হতে গেলাম....ফ্রেস হয়ে এসে যা
দেখলাম তাতে আমি অবাক না হয়ে
পারলাম না...381 Unread messege..মেসেজ
আসার উপরেই আছে...সবগুলা মেসেজ পড়ে
বুঝলাম আদিবাও আমাকে খুব
ভালোবাসে....লাস্ট মেসেজটাতে লেখা
ছিলো
_ প্লীজ ফোন অন করেই আমাকে কল
দিও..তাই আদিবার নাম্বারে কল
দিলাম..আর কল যাওয়া মাত্রই রিসিভ
করলো...আমি ভয়ে ভয়ে হ্যালো
বললাম..কিন্তু ঐপাশ থেকে শুধু চাপা
কান্নার আওয়াজ পাচ্ছিলাম..ওর কান্না
শুনে বুকের ভেতর ধুক্ করে উঠলো...আমি
আবারো হ্যালো বললাম..
--এমনটা না করলেও পারতে..(সে)
--কেমন?(আমি)
--জানিনা..শোনো আমিও তোমায় খুব
ভালোবাসি..তুমি যেই হওনা কেনো,আমি
দেখা করতে চাই..(কান্না মিশ্রিত
কন্ঠে).
--ঠিক আছে..কাল তোমার কলেজে এসে
কল দেবো আমি..
--হুম..এখন বাই....ভাবতে লাগলাম এই মেয়ে
আমাকে না দেখেই এতো ভালোবেসে
ফেললো কিভাবে!আচ্ছা এই বেপার না হয়
বাদ দিলাম..কাল যখন ও দেখবে ছেলেটা
আমি,তাও আবার জুনিয়র একটা ছেলে তখন
ও কি বলবে আমায়?......যা হবার
হবে..সারাদিন আদিবার সাথে আর কথা
হলোনা..এমনকি রাতেও না...পরদিন
সকালে ঘুম থেকে উঠলাম ৮ টার সময়..উফ্
হাতে আর বেশী সময় নেই..তাড়াতাড়ি
উঠে ফ্রেস হলাম..নাস্তা না করেই বের
হলাম..একটা ফুলের দোকানে
ঢুকলাম..অনেক গোলাপ আছে কিন্তু একটাও
পছন্দ হলোনা..একটা গোলাপের কলি
আমার খুব নজর কাড়লো..ঐটাই
নিলাম.....আদিবার কলেজে ঢুকলাম,,এই
কলেজের ক্যাম্পাসটা অনেক বড়..খোজার
থেকে ফোন করলেই ভালো হয়..তাই
আদিবাকে ফোন দিলাম...
--হ্যালো..কোথায় তুমি? (আমি)
--আমি কলেজে,তুমি এসেছো?
--হ্যা..তুমি এখন ঠিক কোন যায়গায় আছো
তাই বলো?.ঐ যায়গায় চলে
গেলাম..দেখলাম আদিবা একটা ব্রেন্ঞ্চে
বসে আছে..কাছে যেতে খুবই ভয়
লাগছিলো..তবুও গেলাম..ওর সামনে
গিয়ে বললাম
--আমিই অমি ..আর আমিই তোমাকে
ভালোবাসি..
--তুমি!!
--হ্যা আমি..জানিনা তুমি আমায় কি
ভাবছো এখন,আসলে তোমাকে অনেক
আগের থেকেই ভালোবাসি।
--তো?
--তুমি আমার সিনিয়র বলে বলার সাহস
পাইনি.
--তো?
--তো আমি তোমাকে
ভালবাসি..গোলাপের কলিটা এগিয়ে
দিয়ে এক নিস্বাসে বললাম..
--তুমি কি ভেবেছো? জুনিয়রকে আমি
ভালোবাসবো!!..কথাটার মানে ভালো
করেই বুঝলাম..তাই মাথা নিচু করে চলে
আসতে লাগলাম...হঠাৎ কেও পিছন থেকে
জরিয়ে ধরলো আমায়...পিছনে তাকিয়ে
দেখলাম আদিবা..সে রাগি লুক নিয়ে আমায়
বললো..
--কোথায় যাচ্ছিলে?
--অন্য একটা মেয়ের কাছে..তাকে এই
ফুলের কলিটা দিতে..
--কিইইই?আদিবা আমার হাত থেকে কলিটা
কেড়ে নিলো..আর বললো_
_আজকের পর থেকে অন্য কোনো মেয়ের
দিকে তাকালে চোখ একদম তুলে
ফেলবো..--ঠিকাচ্চে..তোমার হাতটা
ধরি?
--আমি কি মানা করেছি নাকি! কথাটা
বলেই আদিবা আমার হাত ধরে হাটতে
লাগলো....!!
কমেন্ট আর শেয়ার না করলে লেখার আগ্রহ থাকে না
.................সমাপ্ত..................
পড়লে ভালো লাগবে_,,,,
মাত্র ক্লাস থেকে বের হইছি।তার মধ্যেই
মিথিলার ফোন........
- স্যার, আপনি কোথায়?
- এইতো জাহান্নামের তিন নাম্বার রাস্তায়
হাওয়া খাই...
- তাই....??কীভাবে যাইতে হয়! আমিও যাব।
- বগুড়া সাতমাথা হয়ে, পশ্চিম দিকে চলে
আসো।তাহলেই,পেয়ে যাবে।
- ওইইই রাখো তোমার জাহান্নাম!! ফোনে তো
ভালই বক বক করো, সামনে আসলে তো লজ্জায়
আমার দিকে ঠিক ভাবে তাকাতেও পারো
না।
- কসসসস্ কী???
- এইটা কেমন ধরনের ভাষা!!! তুমি আমাকে তুই
করে বলল্লা?? যাও তোমার সাথে কোন কথা
নাই।
- আচ্ছা,সরি। হঠাৎ মুখ দিয়ে বের হয়ে গেছে।
এখন বলো ফোন দিছো কেন?
- তুমি এখন কোথায়??
- আমি তো কলেজে,,বসে বসে টানতেছি।
- তোমাকে না কত দিন নিষেধ করছি, আর
সিগারেট খাবা না। তারপরেও খাও কেনো?
- ভাল লাগে তাই। এই শোন না, আমাকে কিছু
টাকা দিবা?আমার কাছে টাকা নাই, এই দুই
দিন সিগারেট খাবো কী দিয়ে? আব্বু দুই দিন
পর টাকা দিতে চাইছে।
- দাঁড়াও তোমার জন্য বিষ কিনে রাখতেছি।
- আমি কখন বিষ কিনতে বললাম!! সিগারেট
খাবো বলে তোমার কাছে টাকা চাইলাম।
- না.... আমি সিগারেট খাওয়ার জন্য কাউকে
টাকা দিতে পারবো না।
- আচ্ছা, তোমার টাকা দিতে হবে না। দুই
প্যাক কিনে দিও!
- বললাম তো, দিব না। এতো কথা বলো কেনো
তুমি??দশ মিনিটের মধ্যে পৌর পার্কে চলে
আসো...
- কেনো?নতুন বফ এর সাথে আমার পরিচয় করিয়ে
দিবে?
- দেখো, সব সময় মজা করবা না। দশ মিনিটের
মধ্যে যেন তোমাকে পার্কে পাই!
- অকে....যাচ্ছি তো!
কলেজ থেকে বের হয়ে, সোজা পার্কে চলে
আসলাম।যদিও দশ মিনিটের মধ্যে উপস্থিত হতে
পারি নাই।তারপরেও,মিথিলাকে খুঁজতে
খুঁজতে দেখি পার্কের এক কোণায় চুপচাপ বসে
আছে।আমিও, চুপচাপ ওর পাশে গিয়ে বসলাম।
আর,পকেট থেকে সবে মাত্র একটা সিগারেট
নিয়ে মুখে দিয়েছি,এখও জ্বালাই নি।
তারমধ্যেই, মিথিলা আমার মুখ থেকে
সিগারেট টা নিয়ে ভেঙ্গে ফেলল......
- কী হল এটা???
- আমার ইচ্ছা হলো, তাই।
- ওকে,,,, একটা সিগারেট ভেঙ্গে ফেলছো
না?? এখন একটার পরির্বতে যাওয়ার সময় ৪ টা
কিনে দিবে!
- এহহহহহ্,,,,, আমার বয়েই গেছে!!
- থাপ্পর দিব একটা....
- আমার কী হাত নাই! আমিও দিব একটা থাপ্পর।
[ বলে কী!! মেয়ে না অন্য কিছু....!! ]
- ওহ,, আমি যা যা করবো, তুমিও সেগুলোই করবা??
- হুমম।
- আচ্ছা, আমি যদি তোমায় একটা চুমু খাই??
- তাহলে,আমিও একটা চুমু খাবো।
ইশ! মনে হচ্ছে আমার সাথে তাল মিলাচ্ছে,
কথাটা গভীর ভাবে চিন্তা করে নি,,এইটাই
সুযোগ। হাত ছাড়া করা যাবে না।
- আচ্ছা, চল, তাহলে চুমু দিয়েই শুরু করা যাক.......
- (একটু পর কথাটা বুঝতে পেরে...) ওইইই বদজ্জাদ!
আশে পাশে কত্তো মানুষ। কী বলো এইসব,হুম??
- আমার কী দোষ? তুমিই তো বলছো.....
- আচ্ছা শোন না??
- হুম বলো.....
- তুমি বিয়ে করবা কবে?
- আব্বু বলেছে, অর্নাস টা শেষ হলেই,ভাল একটা
মেয়ে দেখে বিয়ে করাবে।
- মানে?? তাহলে, আমি কী বসে বসে ঘোড়ার
ঘাস কাটবো???
- জানি না,,,ভাল একটা ছেলে দেখে বিয়ে
করে নিও।
- ওইইই,,,,এখন কিন্তু তুমি সত্ত্যি মার খাবে!! মজা
বাদ দিয়ে বলো তো,আমাকে কবে বিয়ে
করবা??
- তোমার কী মাথা খারাপ হইছে।এত বিয়ে
বিয়ে করতেছো কেনো?
- বলতে পারো একরকম মাথা খারাপই
হইছে,,তোমাকে ছাড়া রাতে একা একা
ঘুমাতে আর ভাল লাগে না।
( আল্লাহ্!! এ কোন মেয়ের ফাঁদে পড়লাম!!)
- আচ্ছা দাঁড়াও পাবনার একটা বন্ধুকে ফোন
করি।
- কেনো???
- ওকে বলি, যেন পাবনা মানসিক
হাসপাতেলে একটা বেড বুকিং দিয়ে রাখে।
- কার জন্য??
- কার জন্য আবার, তোমার জন্য।
- ওইইই.....
- হুম বলো?
- কী বলছো তুমি? আর একবার বলো তো??
- কই,কিছু বলি নি তো!!
- ন্যাকামি করো নাহ্??
- হুম। আব্বুকে তোমার কথা বলছিলাম
বুঝছো,,,,,আব্বু বলছে, সামনে দিনে আব্বুর সাথে
তোমার পরিচয় করে দিতে।
- তাই। সত্ত্যি বলছো তো??
- জ্বী, ম্যাডাম। আমার আব্বু, তোমার আব্বুর মত
নাকি!
- সব সময় তুমি আমার আব্বুর নামে বদনাম করো
কেনো?
- আমি তো সত্ত্যি কথাই বলছি...।
- কচু বলছো।
.
আজ তিন মাস পর,, আমি ছোট খাটো একটা
চাকরী করি। আমাদের দুই পরিবারের মতামতে
আমার আর মিথিলার বিয়েটাও ঠিক হয়ে গেল,
সামনে কিছু দিন পরই আমাদের বিয়ে।
মেয়েটা খুশিতে আত্নহারা। যে বিয়ে
পাগলী মেয়ে বাবা!!সারাদিন শুধু বিয়ে
নিয়ে ব্যস্ত।
*
দেখতে দেখতে বিয়ের দিন চলে আসল। আজ
বিয়ের প্রথম রাত। সারাদিন অনেক ব্যস্ত
ছিলাম কাজ নিয়ে। রুমের দরজাটা
খুলতেই,মিথিলা দৌড়ে এসে আমার পায়ে
সালাম করল......
- আরেহ্ কী করো! অনেক বড় হও...
- হুম।স্যার, এতক্ষণ কোথায় ছিলেন?
- এইতো বন্ধুদের সাথে বাহিরে আড্ডা
দিলাম।আমার অনেক ঘুম পাইছে ঘুমাতে হবে।
তুমিও ঘুমাও.....
- মানে??? আজকে সারারাত তোমার সাথে
বসে গল্প করবো।
- জ্বী না। ( এই বলে অলরেডি বিছানায় শুয়ে
পড়লাম)
- তোমার আজকে ঘুমানো নাই সারারাত।
( আমার হাত টা ধরে টেনে তুলল মিথিলা)
- উফফফ,,, কী যন্ত্রণা!! শান্তি মত একটু ঘুমাতেও
দিবে না নাকি??
- না,,, আজকে আমার পাগলটার সাথে
সারারাত ধরে মনের কথা গুলো বলবো।
- অকে,,,তুমি বলো। আমি ঘুমাই....
- কিসের ঘুম??
- ঘুম আবার কিসের হয়!
- আচ্ছা, শোন, আমার আগে কয়টা মেয়ের সাথে
প্রেম করছো তুমি??
- নয় টা।
- কিহহহ্?? তার মানে, আমি দশ নাম্বার।
- হুম,মনে হয়।
- তোমারর চোখ এত্তো খারাপ?
- নাহ্,,,আমি শুধু একটা মেয়েকেই
ভালবেসেছি,,সেটা হল আমার বিয়ে পাগলী
বউ মিথিলা।
- হুম।ন্যাকামি বাদ দাও,, এখন ঘুমাও।
- হুম,,,তুমিও
- আমিও কী??
- ঘুমাও....
- কচু
- কাল সকালে আম্মাুকে বলো,,রান্না করে
খাওয়াবে নি।
- চুপ করো। ঘুমাও... শুধু আজাইরা কথা...
অনেকটা ঘুম পাইছে, তাই আর কিছু না বলে,
ঘুমের দেশে চলে গেলাম।
আবারও,ঘুমের মাঝে মিথিলার ডাক....
- শোন না, আমাদের বাবু হবে কবে???
- কালকে....
- মানে???
(ঘুমের মধ্যে কী বলতে, কি বলে ফেলেছি,
আল্লাই জানে!)
- ওহ,,সরি।হবেই নি কিছু দিন পর।তোমার চিন্তা
করতে হবে না।এখন ঘুমাও তো...........
- হুম
.
হঠাৎ, মাঝরাতে কী যেন স্বপ্নে লাফ দিয়ে
উঠে বসলাম।মিথিলার দিকে তাকিয়ে
দেখলাম,মেয়েটা ঘুমাচ্ছে। অনেক ভালবাসে
আমায় মেয়েটা।সব সমময় আমাকে জোর দিয়ে
কথা বলে ভালবাসা আদায় করে নেয়,আহারে!
আমার কিছু হয়ে গেলে মেয়েটা সত্ত্যি
বাঁচবে না।
মিথিলাকে আজ অন্য দিনের তুলনায় অনেক
বেশি মায়াবী লাগতেছে। মনে হয়, আকাশের
চাঁদ যেন, আমার রুমে প্রবেশ করেছে। এই
রাতে,মিথিলাকে অালত করে স্পর্শ করতে খুব
ইচ্ছা করতেছে। তাই,মিথিলার কপালে, অালত
করে একটা চুমু
খেলাম। ইশ! মিথিলাকে স্পর্শ করার সাথে
সাথে ঘুম থেকে জাগা পেয়ে গেছে
মেয়েটা,,এইবার আমার খবর আছে....!!
- এই যে মিঃ লুকিয়ে লুকিয়ে বউকে চুমু খাওয়া
হচ্ছে,তাই না?
- উহুহুহু,,,আমার বউকে আমি হাজার বার চুমু
খাবো।
- সারাজীবন ঘুমের মধ্যে এইভাবে লুকিয়
লুকিয়ে চুমু খাবে তো? কখনও কোথাও হারিয়ে
যাবে না তো??
- আরেহ্ না। এইসব কী বলে আমার পাগলী টা!
তোমাকে একা রেখে কখনও কোথাও যাব না।
- হুম। আমাকে একা ফেলে কোথাও গেলে,
তোমাকে একদম খুন করে ফেলব.......
,,
( সেই মূহুর্তে মিথিলার চোখ থেকে কয়েক
ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ল........)
,,
___সমাপ্ত★
√√√√ভালোবাসার নীল সাগর