Discover postsExplore captivating content and diverse perspectives on our Discover page. Uncover fresh ideas and engage in meaningful conversations
.রাত ১২:৪৫ এ facebook এ এক অচেনা ছেলে knock করলো।.....
..
.
:-হ্যালো নিরব ভইয়া কেমন আছেন?
.
:-জ্বি ভালো। আপনি?
.
:-ভালো নেই।
.
:-কেনো কি হয়েছে?
.
:-আচ্ছা আপনার ফোন নাম্বারটা একটু দিবেন?
.
:-কি করবেন?
.
:-একটু কথা বলতাম।
.
:-0170★★★★★★★
.
১২:৫০ এ কল আসলো। প্রথম রিসিভ করতে চাইনি।কিন্তু বার বার কল দেওয়াতে রিসিভ করলাম।
.
:-ভাই আমি সাজিদ একটু আগে যাকে নাম্বার দিলেন।
.
:-হুম বুঝতে পারছি।
.
:-ভাইয়া একটা কথা রাখবেন।
.
:-রাখার মতো হলে রাখবো।
.
:- ভাইয়া আপনি তো ভালো গল্প লেখেন।
.
:-কে বললো?
.
:-আমি আপনার সব গল্পগুলো পড়ি।সত্যি অসাধারন।
.
:-আপনাকে ধন্যবাদ।
.
:-ধন্যবাদ দেওয়ার দরকার নেই।
একটা help করলেই চলবে।
.
:-হুম কি help বলেন চেষ্টা করবো।
.
:-আমার জীবনের একটা গল্প লেখবেন।
.
.
.
আমি ভাবলাম ভালোই হলো। অনেক দিন রোমান্টিক গল্প লেখিনা।
.
:-কি গল্প?
.
:-আচ্ছা
.
আচ্ছা বলে ভাইটা যেনো তার অতীতে ডুব দিল।.....
.
.
আমার একটা পাগলী ছিলো......
পাগলিটা আমাকে ধরে খুব কান্না করছিল আর বলছিল..
.
:-আমার কিছু চাই না শুধু একটু ভালোবাসবা তাহলেই চলবে।
.
আচ্ছা অনেক ভালোবাসবো তোমায়। এখন বাসায় যাও, রাত হয়ে এলো।
.
:-তাহলে একবার ভালোবাসি বলো।
.
:-হ্যা ভালোবাসি।
.
:-তাহলে আমার কপালে একটা চুমু দেও।
.
----আমি ওর কপালে ছোট্ট একটা চুমু দিলাম।----
.
:-হইছে এবার যাও।
.
:-আচ্ছা যাচ্ছি।
.
:-আর আমার ফোনটা আজ রাতের জন্য নিয়ে যাও।
কালকে তোমাকে একটা নতুন ফোন কিনে দিব।
যাও কোথাও দেরি করবে না সোজা বাসায় চলে যাবে। বেশি রাত জাগবে না।
.
:-আচ্ছা
.
....বাসায় চলে আসলাম।.....
.
.
.
পরেরদিন অনেক মানা করার পরও আমাকে একটা ফোন কিনে দিলো,সাথে অনেক জায়গায় ঘুরালো।
.
.
পাগলীটা যখম আমার সাথে পার্কে বসে আইসক্রিম খাচ্ছিল,তখন ওকে খুব খুশি দেখাচ্ছিলো।
.
.
আসলেই মেয়েটা অন্য রকম আমার প্রতি ওর তেমন চাওয়া পাওয়া নেই। একটাই চাওয়া অনেক ভালোবাসতে হবে।
.
(হ্যা আমি আমার জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাসি ওকে।)
.
.
রাত ১২:১৫ মিনিট হঠাৎ পাগলীটার ফোন।..
রিসিভ করলাম।
.
:-খেয়েছ?
.
:-হ্যা খেয়েছি।তুমি?
.
:-খেয়েছি, আজ একটু আমার বাড়ির নিচে আসবে তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে।
.
:-আচ্ছা wait করো যাচ্ছি।
.
.
(মহারানীর হুকুম কি আর করবো)
গিয়ে দেখি পাগলীটা বেলকুনিতে দাড়িয়ে আছে,আমাকে দেখে মুচকি হাসি দিলো।
.
:-রাগ করেছো? কি করবো বলো তোমাকে দেখতে খুব ইচ্ছে করলে আমি কি করবো?
আমার তো ঘুমই আসছিল না। তোমাকে দেখলাম এখন ঘুম আসবে,ঠিক আছে সোনা এখন যাও।
আর হ্যা গিয়েই ঘুমিয়ে পড়বে বেশি রাত করবে না।
.
:-আচ্ছা ঠিক আছে শুভ রাত্রি।
.
.
.
.
(এভাবেই কেটে যাচ্ছিল আমাদের ভালোবাসার দিন গুলো।অনেক সুখী ছিলাম আমরা।)
.
.
.
হঠাৎ একদিন পাগলিটা অসুস্থ হয়ে পড়লো।
.
আজ ২দিন হলো ওর সাথে দেখা হয়নি কথাও না। যার সাথে ২ঘন্টা কথা না বলে থাকতে পরতাম না। তার সাথে ২দিন কথা হয় নি।
.
.
ফোন দিলে রিসিভ করে ওর মা।আমাদের সম্পর্কের কথা ওর মা বাবা কেউ জানতো না।
.
.
ও এক হাসপাতালে ছিল, ওর এক বান্ধবির সহযোগিতায় ২দিন পর ওকে দেখার সৌভাগ্য হলো।
.
কিন্তু কথা বলার ভাগ্যটুকু হয়নি।ও তখন ঘুমিয়ে ছিল।জানালার বাইরে থেকে দেখছিলাম।
.
পাগলীটাকে দেখার পর বুকের ভিতর কেমন জানি মোচড় দিয়ে উঠলো।
.
চোখ মুখ কালো হয়ে গেছে। অনেক শুকিয়ে গেছে মেয়েটা। খুব কষ্ট লাগছিল ওকে দেখে।
.
.
ইচ্ছে করছিল ওর কপালে আলতো করে একটা চুমু দিতে।খুব ইচ্ছে করছিল ওকে জড়িয়ে ধরে আদর করে শান্তনা দিতে।
সব ঠিক হয়ে যাবে,,.........
.
.
কিন্তু ভিতরে জাওয়ার সাহস পাইনি ওর মা ছিল। ( কি পরিচয়ে ওকে দেখেতে যাবো। তাছাড়া পাগলীটা আমায় দেখলেই পাগলামি শুরু করে দিবে)
.
.
এক নজর দেখে বাসায় চলে আসলাম।ওকে দেখার পর থেকে কেমন যেন অস্থির অস্থির লাগছিল।
.
মনে হচ্ছিল কি যেন হারিয়ে ফেলছি আমি।রাতে গলা দিয়ে কিছু নামলো না।
.
শুয়ে পড়লাম অনেক রাত পার হয়েগেল দুচোখের পাতা এক করতে পারছিনা।
.
খুব টেনশন হচ্ছে ওর জন্য সারা রাত আল্লাহ্ কে ডাকলাম।
.
আল্লাহ্ ওকে সুস্থ করে দাও। ওকে পাওয়া আমার শত জনমের ভাগ্য ওর মতো করে আমাকে আর কেউ ভালোবাসবে না।
.
ও আমার কাছ থেকে হারিয়ে গেলে আমিও নিজেকে হারিয়ে ফেলবো।
.
.
প্লিজ আল্লাহ্ আমার জীবনের সব ভালো কাজের জন্য ওকে সুস্থ করে দাও।
.
ভোর বেলার দিগে চোখের পাতা গুলো ভারি হয়ে আসলো। সকাল ৭টায় ঘুম থেকে উঠলাম তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিলাম।
.
না খেয়েই হাসপাতালের দিক রওনা হলাম।
গিয়ে আবার সেই জানালার পাশে দাড়ালাম। কিন্তু পাগলী টাকে দেখতে পেলাম না। বুকটা ধক ধক করে উঠলো।সারা হাসপাতাল খুজলাম পেলাম না।
.
.
.
পরে এক ডাক্তারের কাছে জানতে পারলাম।আজ ভোরবেলা আমার পাগলীটা আমাকে চির একা করে স্বার্থপরের মতো তার আসল ঠিকানায় চলে গেছে। তার নাকি ক্যান্সার ছিল।
.
.
সারাদিন কিভাবে ছিলাম আমার মনে নেই। পাগলের মতো কেদেছি সারাদিন।
.
.
.
ভেবে ছিলাম সব কিছুর বিনিময়ে আমি ওকে পেয়েছিলাম।আমি আর কিছু চাই না।
.
কিন্তু আল্লাহ যে এভাবে নিঃস্ব করে ওকেও কেড়ে নিয়ে যাবে সেটা কখনই ভাবিনি।
.
.
বিকেলে ওর জানায়ার হলো।জানাযায় গেলাম।কিন্তু ওকে শেষ বারের মতো দুচোখ ভরে দেখার সুযোক টাও আল্লাহ আমাকে করে দিলো না।
.
ওর কবরে তিন মুঠো মাটি দিয়ে সেই পরিচিত দিঘির পারে গেলাম।
.
এখানে বসে গত শুক্র বারেও আমরা সময় কাটিয়েছি।
বাদামের খোসাগুলো এখনো পরে আছে প্রতিটা খোসাতে ছিল ওর হাতের স্পর্শ।
.
সেখানেই কান্ন করে দিলাম হাতে কয়েকটা খোসা নিয়ে।
.
.
বাসার পথে রওনা হলাম। কেমন জানি চেনা পথ গুলো আজ অচেনা মনে হচ্ছে।
.
.
কিছুক্ষন হাটার আর ধাপ ফেলতে পারছি না। খুব কষ্ট করে হেটে চলেছি।
.
.
হাটছি আর পাগলিটার কথা মনে করে কাদছি। বুকের বাম পাশে অজানা এক তীব্র ব্যাথা।
সন্ধার পর বাসার ছাদে উঠে আকাশের দিকে মুখ করে মৃত মানুষের মত নিজেকে এলিয়ে দিলাম।
.
.
আজকের পর থেকে আর কেউ আমাকে মাঝরাতে ফোন দিয়ে বলবে না।একটু বাসার নিচে আসবে?
.
তেমাকে দেখার খুব ইচ্ছা করে,সারা রাত জেগে থাকলেও কেউ বলবে না।
তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ো কিন্তু।
.
আর কেউ বলবে না আমার কপালে একটা চুমু দেবে।
.
কোনোদিন হয়তো আর কারো মুখে শুনতে পারবো না আমাকে একটু জরিয়ে ধরবে?
.
মিটি মিটি চোখে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি আকাশ ভরা তারার মেলা।
.
কোথায় জানি শুনেছি মানুষ মরার পর তারা হয়ে আকাশে থাকে।
.
আমি সেই লক্ষ কোটি তারার মাজে আমার সেই পাগলীটাকে খুজতে থাকি।
.
.
কিন্তু আপসোস এমন করে কে ভালোবাসবে আমাকে।.....
.
.
.
.
কথা গুলো বলতে বলতে সাজিদ কান্না করে দিলো.....
.
আমি কি করবো বুঝতে পারছিনা। আমার অজানতেই চোখ দেখে পানি পরছে। মুখ দেখে কোনো কথাই বেরচ্ছে না। কোনো রকম সাজিদরে বল্লাম ফোনটা রাখো কিছুক্ষন পর আমি ফোন দিতেছি।
ফোনটা কাটার পর আমিই কান্না করে দিলাম।
.
.
কেউ যদি অবহেলা করে চলে যায় সেটা মানা যায়। কিন্তু এভাবে চলে গেলে সেটা কি মানা যায় বলুন?
১ঃ ইন্টারভিউ টেবিলের স্যার কিছুক্ষণ চুপ করে রইল! তারপর গম্ভীর গলায় বললো- "আরেহ বাহ! তোমার সার্টিফিকেট তো মাশাল্লাহ খুব ভালো। তোমাকে আর প্রশ্ন করতে চাচ্ছি না, ধরে নাও তুমি চাকরিটা পেয়ে গেছো। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বড় স্যারকে হাদিয়া সরুপ ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। সপ্তাহ খানিকের মধ্যে টাকাটা জমা করে দাও, তারপর তোমার জয়েন... ছেলেটি ইন্টারভিউ রুম থেকে বেড়িয়ে বাড়িতে এসে তার বাবাকে জানালো, ৫ লাখ টাকা না হলে চাকরিটা হবে না! গ্রামের সহজ সরল বাবা নিজের ছেলের চাকরির জন্য ভিটা বাড়ি বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা যোগাড় করলো। তারপর বড় স্যারকে হাদিয়া সরুপ ৫ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেটি চাকরিটা পেয়ে গেল... ঘটনা ২ঃ আজ সোমবার। বড় স্যারের ছেলের জন্মদিন। বড় স্যারের বাড়িতে আজ বিশাল পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। বড় স্যার বাসায় ঢুকেই তার ছেলের নাম ধরে ডাকতে শুরু করলো। ছেলে কাছে আসতেই বড় স্যার "হ্যাপি বার্থডে মাই সান" বলতে বলতে ছেলের হাতে ৫ লাখ টাকার বাইকের চাবি তুলে দিলো। বাইক পেয়ে ছেলেটি খুশিতে তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার দিয়ে বললো- "আমার বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা!" ঘটনা ৩ঃ বড় স্যারের ছেলে আজ বাইক নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছে। ৮০ স্পিডে রাজপথে ছুটে চলছে বাইক। হঠাৎ ট্রাকের সাথে ধাক্কা। সবকিছু যেন থেমে গেল। বড় স্যারের ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হল। হাসপাতালের বড় ডাক্তার সাহেব জানালো- "আপনার ছেলের কন্ডিশন ভালো না, খুব ক্রিটিকাল অপারেশন করাতে হবে, কাউন্টারে ১০ লাখ টাকা জমা করে দিন!" বড় স্যার কোনো উপায় না দেখে মেয়ের বিয়ের জন্য ব্যাংকে জমিয়ে রাখা টাকাটা কাউন্টারে জমা করে দিলো। ঘটনা ৪ঃ বড় ডাক্তার সাহেব আজ খুব খুশি। ৫-৭ লাখ টাকার অপারেশনের জন্য ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন। পুরোটাই লাভ। বড় ডাক্তার সাহেব খুশিতে তার মেয়ের জন্য স্বর্ণের নেকলেস কিনে বাসায় ফিরলো... বড় ডাক্তার সাহেব বাসায় ঢুকেই তার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে মামুনি মামুনি বলে ডাকতে শুরু করলো। বড় ডাক্তার সাহেবের বউ কাঁদতে কাঁদতে বললো, তাদের মেয়ে এখনও বাসায় ফেরেনি। বড় ডাক্তার সাহেব তার মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করলো... কোথাও কোনো খোঁজ না পেয়ে বড় ডাক্তার সাহেব যখন দিশেহারা হয়ে পড়লো, ঠিক তখনই অপরিচিত এক নাম্বার থেকে ফোন এলো। ফোনের ঐ প্রান্ত থেকে জানালো, আপনার মেয়ে আমাদের কাছে, মেয়েকে ফেরত পেতে হলে মুক্তিপন হিসেবে ২০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। কথাটা শুনে বড় ডাক্তার সাহেবের বউ স্টোক করে মারা গেল... moral of the story: "তুমি অতীতে যা করেছো, তুমি বর্তমানে যা করছো, ভবিষ্যত তার চেয়েও ভয়ংকর হয়ে তোমার কাছে ফিরে আসবে, আসবেই এটাই বাস্তবতা
টানা ছ'বছর ঊর্মির পিছে পিছে ঘোরলাম !
বজ্জাত মেয়ে "হ্যাঁ"ও বলেনা, "না"ও বলেনা! খালি ঘোরায়!
ক্লাস থ্রিয়ে থাকতে প্রপোজ করেছি, এইটে উঠেও ক্লিয়ার করে কিছু বলে না! বিশ্ব প্রেমিকা হইছে সে!!!
বেহায়ার মতো ঊর্মিরে কতোবার বলছি,
- একটু ভালবাসলে কি হয় ?
ঊর্মি বলে,
- আগে বড় হ !
- আর কতো বড় হবো রে! জানসনা আমি সংসারের বড় ছেলে! আম্মা আমার বিবাহের জন্য বউ দেখতাছে!
শুনে ঊর্মি হাসে আর বলে আমার নাকি মাথা খারাপ, ব্রেনডিফেক্ট!
একদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে ঊর্মিরে দিলাম কঠিন থ্রেট!
- দাঁড়া ঊর্মি! তোর সাথে আমার কথা আছে!
- কি কইবি আমি জানি!
- আজকেই শেষ, আর কোন দিন বলবো না !
- তাড়াতাড়ি বল !
- আমারে যদি ভাল না বাসস তাইলে আমি এক লিটার পেট্রোল খাইয়া মইরা যামু!
- পেট্রোল পাবি কই! কেরোসিন খা গিয়া! তোদের ঘরে না থাকলে আমার কাছ থাইকা নিয়া যাইস! আর দেখিস কেরোসিন খাইয়া আবার আগুনের উপ্রে মুতিস না! তোর তো স্বভাব খারাপ!
- যেখানে মন চায় সেখানে মুতব। তোর কি হারামজাদি!
আঁড়ি আঁড়ি কুত্তার দাড়ি,
একশো জুতার বাড়ি!!!!
থু..... থু.....থু......!
তোর মুখে থু......!!!
ঊর্মির সাথে কথা বলা বন্ধ ঘোষণা করলাম!
ঊর্মির চেয়ে উত্তর পাড়ার রুবি বেশি সুন্দর! আজ থাইকা ঊর্মি বাদ! এখন থেকে রুবিরে ভালবাসবো!
রুবি ফিটফাট সুন্দরী! দুধে আলতা গায়ের রং! মাথা ভর্তি স্প্রিংয়ের মতো কুকড়া চুল! কি যে সুন্দর লাগে দেখতে! হাসলে দুই গালে টোল পড়ে!
ঠোঁটে লাল লিপস্টিক লাগায়! নাকে নাকফুুল, কানে দুল! ডান কানের উপর চুলের গোড়ায় লাল রক্তজবা গুজে রাখে! গলায় মুক্তার মালা পড়ে!
রুবির কাছে অনেক যত্ন নিয়া চিঠি লেখলাম! আকাশের মতো বিশাল হৃদয়ের উতাল পাতাল ভালবাসা খাতার ছোট্ট পাতায় ধরে না! তারপরও রক্ত দিয়ে লেখা চিঠিখানি বাবলুরে দিয়া রুবির হাতে পৌঁছালাম!
চিঠি পড়ে রুবি মুগ্ধ! তবে কিঞ্চিৎ সন্দিহান!
- অনি, রক্ত দিয়া এই চিঠি তুই লেখছস ?
- হ আমি লেখছি !
- এইটা কিসের রক্ত ?
- আমার নিজের শরীরের রক্ত ! হাত কেটে লেখছি!
- কোন হাত কেটে লেখছস, দেখাতো একটু!
আমি চুপ! কেমনে দেখাবো! রক্ত তো আমার না! পুঁইশাকের বীচি দিয়া লেখছি! ধরা খাইলাম মনে হইতাসে!
- কই দেখা ???? কোন হাতটা কাটছস ? ভন্ড কোথাকার ! ভন্ডামী ছেড়ে মানুষ হ!!!!
আমার বলার কিছু ছিল না!
চুরি হয়ে যাওয়া মোবাইল নিজেই জানাবে চোরের মোবাইল নম্বর ও অবস্থান!!
শখের মোবাইলটি হারিয়ে গেছে , খুব কষ্টে আছেন? হঠাৎ করেই চোরের নাম্বারটি তার অবস্থান সহ আপনার হাতে এসে পড়ল। বীর দর্পে সেই নাম্বারে ফোন করে ভাব জমিয়ে চোরকে চায়ের দাওয়াত দিয়ে এলাকায় এনে ফেললেন।
অথবা প্রথমেই নাম্বার পুলিশকে দিয়ে দিলেন , আইনী সহায়তায় ফিরে পেলেন হারিয়ে যাওয়া স্মৃতিবহুল আদরের সেই ফোনটি । কেমন হবে বলুন তো ব্যাপারটা ।
হয়ত কথা গুলো শুনে কেও খুব খুশি আবার কেও খুবই রেগে গেছেন।
নো চিন্তা ডু ফুর্তি , এখনই বলব এন্ড্রয়েডের সেই উপকারী এপস এর কথা। যেটি আপনার মোবাইলে কোন সিম ব্যাবহার হচ্ছে তা আপনাকে জানিয়ে দিবে।
এপসটির নাম হচ্ছে Sim Card Change notifier . প্লে স্টোর থেকে ফ্রীতেই ডাউনলোড করতে পারবেন গেমটি।
এপস টি ইন্সটল করার পর এপসটি দেখবেন আর খুজে পাচ্ছেন না। এটি ইন্সটলের সাথে সাথেই হাইড হয়ে যায়। ডিফল্ট এপ হিসেবে সেট করলে চোর সাহেব নিজেও এপস রিমোভ করতে পারবে না।
ইন্সটলের পর প্লে স্টোরে আবার এপসটির নাম লিখে সার্চ করুন সেখান থেকে ওপেন করতে পারবেন। অথবা মোবাইলের কী প্যাডে ##7777 ডায়াল করুন।
এপসের একটি স্ক্রীন আসবে । সেখানে Owner name এর জায়গায় নিজের নাম লেখুন এবং Trusted Number এ সেই নাম্বারটি দিবেন, যেখানে আপনি ম্যাসেজ পেতে চান । অর্থাৎ ট্রাস্টেড নাম্বারেই আপনার ম্যাসেজ চলে যাবে ।
এবার সেটিংস এ যান , ২ নং অপশনের Number to show the app সিলেক্ট করুন । পছন্দমত ৬ ডিজিট এর নাম্বার দিন , যদিও এপস এ আগে থেকেই ##7777 নাম্বারটি সেট করা থাকে। তাই এটিও রাখতে পারেন।
এবার তার নীচের লোকেশন সেন্ডিং টাইম ইন্টারভ্যাল সেট করে ফেলুন।
ব্যাস আপনাদের এপস কাজ করার জন্য রেডি।
এখন থেকে যখন ই কোন নতুন সীম প্রবেশ করানো হবে, সাথে সাথে তার বর্তমান অবস্থান এবং মোবাইল নাম্বার সহ চলে আসবে আপনার কাছে।
? আপনি হতে পারেন একজন হ্যাকার / দক্ষ সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ। বিস্তারিতঃ https://goo.gl/vDEPhM
পরবর্তী পোষ্টে থাকছে "যেভাবে হারিয়ে যাওয়া মোবাইলের কল লিস্ট এবং মেসেজ জেনে নিবেন।"
এপসটির সুবিধাঃ
১। এপসটি Default App হিসেবে থাকায় চোর মোবাইল রিসেট মারার চেষ্টা করলেও data cache ডিলেট হবে না।
২। আপনি ছাড়া কেউ জানতেও পারবে না যে, মোবাইলে এই ফিচার চালু করা আছে। এমনকি পাসওয়ার্ড না জানলে লগিন করেও নাম্বার পরিবর্তন করতে পারবে না।
এপসটির অসুবিধাঃ
১। প্রতিবার নিজেই সিম চেঞ্জ করার সময় নোটিফিকেশন চলে আসবে। তাই নিজেও কোন সিম চেঞ্জ করার আগে অবশ্যই পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করে সাময়িক ভাবে ডিজেবল করে নিতে হবে এপটি।
সুখবরঃ "সাইবার ৭১" থেকে আমরা কিছু অসাধারণ ফিচার সম্বলিত এপস নিয়ে আসছি দ্রুত, যাতে খুব সহজেই আপনি মোবাইল চোরের ব্যাপারে তথ্য পেয়ে যাবেন। ^_^
? আপনি হতে পারেন একজন হ্যাকার / দক্ষ সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ। বিস্তারিতঃ https://goo.gl/vDEPhM
?ব্যাংকে এসে এক বুড়ি মহিলা ব্যাংক
ম্যানেজারকে বলল,,আমি কিছু টাকা
ব্যাংকে রাখতে চাই.?
ম্যানেজার জিজ্ঞেস করলঃ কত আছে...??
বুড়ি বললঃ হবে ১০ লাখের মত....?
ম্যানেজার বললঃ বাহ! আপনার কাছে বেশ
ভালোই টাকা আছে। আপনি করেন কি?
বুড়ি বললঃ তেমন কিছু না খোকা ।
ক্রিকেটসহ বিভিন্ন খেলায় বাজি লাগাই।
আর বাকি সময় সবার সাথে যেকোনো
ব্যাপারে বাজি খেলি।
ম্যানেজার বললঃ শুধু বাজি লাগিয়েই এত
টাকা জমিয়েছো? তাজ্জব ব্যাপার !
বুড়ি বললঃ তাজ্জবের কিছু নেই খোকা।
আমি এখুনি এক লাখ টাকা বাজি ধরতে
পারি যে, তোমার মাথায় ফলস চুল
লাগানো...
ম্যানেজার হাসতে হাসতে বললঃ না
দিদা। আমি এখনো যথেষ্ট যুবক ।আর মাথায়
ফলস চুল লাগানো নেই।
বুড়িঃ তাহলে লাগাবে কি বাজি?
ম্যানেজার মনে মনে ভাবল, এই বুড়ি পাগল
মনে হচ্ছে। যাই হোক ১ লাখ টাকা ফ্রিতে
কামানো যাচ্ছে, তো অত ভেবে লাভ কি...?
ম্যানেজার রাজি হয়ে গেলো...
বুড়ি বললঃ যেহেতু এক লাখ টাকার ব্যাপার
তাই আমি কাল সকাল ১১ টায় আমার উকিল
নিয়ে এই কেবিনে আসব। আর ওর সামনেই
প্রমান করা হবে। আপনি কি রাজি ?
ম্যানেজার বললঃ ঠিক আছে। আমি রাজি।
ম্যানেজারের রাতে ঘুম আসলো না, সারা
রাত ঐ বুড়ি আর ১ লাখ টাকার কথা ভাবতে
থাকে...
পরের দিন সকালে ঐ বুড়ি উকিল নিয়ে ঠিক
?১১ টায় ম্যনেজারের কেবিনে এসে
উপস্থিত।
বুড়ি ম্যানেজার কে বললঃ আপনি কি
রেডি?
ম্যানেজার বললঃ একদম রেডি।
বুড়ি বললঃ যেহেতু প্রমানের দরকার তাই
আমি আমার উকিলের সামনে আপনার চুল
টেনে প্রমান করতে চাই যে চুল আসল না
নকল।
ম্যনেজার ভাবল, এক লাখ টাকার ব্যাপার...
একটু চুলই তো টানবে! তাই সে রাজি হয়ে
গেলো....
বুড়ি ম্যানেজার এর পাশে গেলো আর চুল
ধরে টানতে শুরু করল। আর ঠিক ঐ সময়ই বুড়ি'র
সাথে আসা উকিলটা দেওয়ালে মাথা
ঠুকতে শুরু করে দিলো...!
ম্যানেজার বলে উঠেঃ আরে আরে উকিল
বাবু কি হলো ???
বুড়ি হাসতে হাসতে বললঃ কিছু না। শক
খেয়েছে। আসলে ওর সাথে ৫ লাখ টাকার
বাজি ধরেছিলাম যে আজ সকাল ঠিক ১১
টায়, শহরের সবথেকে বড় ব্যাংকের,,,,
ম্যানেজারের চুলের মুঠি ধরে টানবো?????