গল্প:-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে"" ♥
.

লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- ০২ ~~~ ♥
.
.
রাজ প্লিজ চুপ করো। আমি আর এগুলো
শুনতে পারছিনা। ( কথা)
-- ওকে। তাহলে শুন অপশন নাম্বান
২.আমাকে যদি বিয়ে করো তাহলে তোমার
গর্ভের সন্তানটা পৃথিবীর আলো দেখবে
আর কেউ তাকে জারজ সন্তান বলবে নাহ্।
আর তোমার বাবা অপবাদের হাত থেকে
বেঁচে যাবে। এখন তোমার ইচ্ছা?
!
-- হুম! বাবা - মা, আর আমার নয়নের মনি
কলিজার টুকরা তোবার কথা এবং গর্ভের
সন্তানের জন্য নিজেকে কুরবাণী দিলাম।
তবে আমার কিছু শর্ত রয়েছে।(কথা)
-- আচ্ছা তোমার যেকোন শর্তে রাজি।
বলতে পারো কী এমন শর্ত সুইটহার্ট? ( আমি)
!
--আমার শর্ত হচ্ছে আমার উপর আমি না
চাইলে স্বামীর অধিকার দেখাতে পারবেন
না । আর কখনো আমার ইচ্ছা ব্যতীত
আমাকে ছুঁয়ে দেখতেও পারবেনা। বলেন
শর্তে রাজি? (কথা)
!
--- হুম তোমার সব শর্তে রাজি! কিন্তু
আমারো শর্ত আছে। ( আমি)
!
--- তোমার আবার কি শর্ত?
!
--- হা, হা, আমি তোমাকে অন্তঃসন্তা
থাকার পরও বিয়ে করছি শুধু কি ভালবাসি
বলে। নিশ্চয় কারণ আছে।( আমি)
!
--- মানে কি বলছো তুমি? তোমার অন্য কোন
ধান্দা নেই তো? আচ্ছা তোমার শর্ত বলো?
( কথা)
!
-- আমার একটাই শর্ত আমি যে খুন করেছি
সজিবকে তা তুমি জানো আর কেউ
জানেনা। আমি চাইছে তুমি ছাড়া পৃথিবীর
আর কেউ জেনে এ কথা না জানে, তোমার
গর্ভের সন্তানের কসম করে বলো? (আমি)
!
--- "রাজ তুমি কি আমার শরীলটাকেই
ভালোবাসতে যার জন্য নিজের ভাইয়ের
মতো বন্ধুটাকে খুন করলে। তোমার এতই
আমার শরীলের প্রতি লোভ তাহলে
সজিবকে না খুন করে আমাকে জোর করে
তো ধর্ষণই করতে পারতে"! কথাটা বলে কথা
কেঁদে দিলো
!
--- আমার শর্তে রাজি কিনা?
!
--- হুম! তোমার শর্তে রাজি। কথা মনে মনে
ভাবছে রাজ যেমন করে তার স্বামীকে
তার জীবন থেকে সরিয়ে ফেলেছে, তেমনি
রাজকেও কথা খুন করে তার স্বামী হত্যার
প্রতিশোধ নিবে। তাই গর্ভের সন্তানের
কসম করে বললো সজিবকে খুন করার কথা
কাউকে বলবে। কথা নিজের হাতে তার
স্বামী হত্যার প্রতিশোধ নিবে।
!
-- হুম! ধন্যবাদ। তবে আমার আর একটি ছোট্ট
শর্ত রয়েছে? ( আমি)
!
----হ্যা বলো তোমার ছোট্ট শর্ত হচ্ছে!
আমার সাথে শারীরীক সম্পর্ক করবে!
আমার শরীলের কোথায় কোথায় তিল আছে
কি রকম তা নিজ চোখে দেখবে
।শরীলটাই তো চাও। আচ্ছা বলো কখন
কোথায় করবে? কি চাও তুমি বিয়ে করতে
চাইলা তাও রাজি হয়ে গেলাম। আর কী
চাও বলো? ( কথা)
!
--- আপনি যতটা খারাপ ভাবছেন ততটা
খারাপ আমি না। আপনাকে ভালবাসি আর
ভালবাসার জন্য একটা নাহ্ হাজারটা খুন
করতে পারি!
!
-- ভালবাসা নামক পবিএ শব্দটি তোমার
মুখে মানায় না রাজ। আচ্ছা বাদ দাও
তোমার শর্ত বলো কী এমন শর্ত? তোমার সব
শর্তেই এখন আমার রাজি হতে হবে কেননা
তা নাহলে তুমি তো আমায় ব্লেকম্যাল
করবে। ( কথা)
!
-- তাহলে শুন, আমি জানি তুমি আমাকে মন
থেকে স্বামী হিসেবে মানবেনা বিয়ের
পর কিন্তু তবুও আমার কোন আফসোস নেই।
কিন্তু আমি চাইনা আমাদের জন্য মা বাবা
কষ্ট পাক! তুমি আমার, মা - বাবা সবার
সামনে স্ত্রীর অভিনয় করবে কেমন? (আমি)
!
--- হুম তোমার শর্তে রাজি! আমি এখন
আসি। ( কথা)
!
-- আচ্ছা যাও বাবাকে তোমাদের বাসায়
পাঠাবো বিয়ের কথা বলে! ( আমি)
!
-- কথা বাসায় আসতেই দেখে সবাই
ড্রয়িংরুমে বসে আছে। বাবাকে রাগি
রাগি দেখাচ্ছে!
!
--- কোথায় গিয়েছিলে? ( কথার বাবা)
!
-- ভয়ে ভয়ে বললো বান্ধবীর বাসায়! (কথা)
!
-- আচ্ছা বাদ দে! তোর বিছানায় নিচে
একটা ডাক্তারে পেসক্রিপশন পেলাম। তুই
নাকি অন্তঃসন্তা? কিভাবে পারলি
আমাদের মুখে চুনকালি দিতে! আমাদেরকে
তো বলতে পারতি তোর কাউকে পছন্দ!
কিংবা তোর ছোট বোনকে বলতে পারতি
বিয়ে দিয়ে দিতাম। তোবার মা নষ্টা
মেয়েকে বলো আমার বড় মেয়ে কথা মারা
গেছে। আর কোন দুশ্চরিএা মেয়ের জায়গা
হবে না আমার বাসাতে! এটা বলে বের হয়ে
গেলো ( কথার বাবা)
!
--- কথা তার বাবার মুখে এসব শুনে বাকরুদ্ধ
হয়ে গিয়েছে। কথা কেমনে বলবে কথা
নষ্টা না তাদের গর্ভে বৈধ সন্তান। কিন্তু
সজিব তো মারা গিয়েছে। কেমনে বিশ্বাস
করাবে সজিবকে ভালবেসে বিয়ে করে। আর
সজিবের সন্তানই কথার পেটে।
!
-- একবার ও আমাদের কথা ভাবলি না?
(কথার মা)
!
--- মা বিশ্বাস করো তোমরা যা ভাবছো
তা আমি না! ( কথা)
!
-- যাহ্ আমার চোখের সামনে থেকে দূর হয়ে
যাহ্! ( কথার মা)
!
---- কথা তার মায়ের কথা শুনে দৌড়ে গিয়ে
দরজা বন্ধ করে বালিশে মুখ লুকিয়ে কাঁদতে
লাগলো।আর মনে মনে বলতে লাগলো
আল্লাহ্ কি এমন অপরাধ করেছি আমি যার
কারণে আমাকে এমন শাস্তি দিচ্ছো।
আমি আর বাঁচতে চাইনা। আল্লাহ সুসাইড
করা পাপ তবুও এছাড়া আর কোন উপায় নেই!
একথা বলে ব্লেড দিয়ে হাতের শিরা
কাটতে যাবে তখনি! ক্রিং ক্রিং করে
মোবাইলটা বাজতে লাগলো। বিরক্তি
নিয়ে ফোনটা তুলতেই """
!
-- হাই সুইটহার্ট কেমন আছো?( রাজ)
!
----কথা কোন কথা বলছেনা। শুধু কাঁদছে।
আজকে এই রাজের জন্যই কথার এই
পরিস্হিতি। মনে হচ্ছে খুনিটাকে খুন করি
কথা!
!
--- আমার সুইটহার্ট কাঁদছে কেনো? ( রাজ)
!
--- বাবা যেনে গিয়েছে আমি অন্তঃসন্তা।
বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলছে। কি
করবো বলো? বাবাকে কি বলবো? (কথা)
!
-- তুমি কোন চিন্তা করোনা। আমি
বাবাকে সব বলবো। তুমি বিয়ের জন্য রেডি
হও বলে ফোন কেঁটে দিলো রাজ"
!
--- রিও মা কোথায় রে? ( রাজ)
!
-- রান্না ঘরে আছে। হঠাৎ মাকে কেন
ভাইয়া? (রিও)
!
--দরকার আছে। তুই যা এখন। মার কাছে
গিয়ে সব খুলে বললাম। মা বললো বাবা তুই
কিছু ভাবিস নি বলে আবারো রান্না ঘরে
চলে গেলো!
!
-- রাতে খাবার পর বাবার রুমে ডেকে
পাঠায় । খুব ভয় পাচ্ছি। কি যে বলবে
ভাবতে পাচ্ছিনা। ভয়ে ভয়ে বাবার সামনে
যেতেই ঠাস - ঠাস করে দুইটা থাপ্পর দিতেই
কলিজাটা কেঁপে ওঠলো। মনে হচ্ছে
আজকেই আমার শেষ দিন।
!
-- হঠাৎ, তুই এমন একটা কাজ করবি কখনো
ভাবতে পারিনা। তোর পছন্দ আগেই বলতে
পারতি। তাই বলে এই কাজ ছিঃ তোকে
নিজের ছেলে ভাবতে লজ্জা করছে।
( বাবা)
!
--- বাবা ক্ষমা করে দাও ভুল করে, করে
ফেলেছি।( আমি)
!
-- মেয়ের বাসার ঠিকানা দে হারামজাদা।
ভুল যেহেতু করছিস। আমাদের রক্ত এখন ওই
মেয়ের পেঁটে।( বাবা)
!
-- বাবা এতো সহজেই মেনে নিবে ভাবতে
পারিনি। বাবা কথার বাবার সাথে কথা
বললে কথার বাবা এসব ষুনে আর না করতে
পারেনি। ধুম- ধাম করে বিয়েটা হয়ে যায়।
!
-- বাসর রাতে শর্ত মতো একটা বালিশ আর
একটা কম্বল নিয়ে সোফাতে শুয়ে পড়ি।
মাঝরাতে কথার চিল্লানিতে ঘুম ভেঙে
যায়। আর বাকিটা তো আপনারা শুনলেন।
!
-- সরি, আমি স্বপ্নে ওইসব দেখে তোমাকে
থাপ্পর দিয়েছি।সে জন্য আমাকে ক্ষমা
করে দিয়ো। ( কথা)
!
--মনে মনে ভাবছি চড় মেরে আবার ঢং!
!
-- কি কিছু বলছোনা যে আর বিড় বিড় করে
কী বলো? ( কথা)
!
-- না ঠিকআছে কোন ব্যাপার না! (আমি)
!
-- ধন্যবাদ! যাও তিনটা বাজে ঘুমিয়ে পড়ো।
রাজ সুফায় চলে গেলে কথা শুয়ে শুয়ে
ভাবতে লাগলো যাক স্বপ্নের ঘুরে হলেও
খুনিটাকে থাপ্পর দিতে পেয়েছি। ( কথা)
!
-- এদিকে সুফায় শুয়ে শুয়ে ভাবছি বাসর
রাতে বউয়ের বুকে ঘুমাবো। পুড়া কপাল
আমার সুফাতে ঘুমাতে হচ্ছে এখন। হায়রে
ভালবাসা বানালে খুনি আমায়! এসব
ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে যায়। সকাল
হতেই দরজায় কে যেনো সমানে নর্ক করছে!
অনেক বিরক্তি নিয়ে দরজা খুলতেই দেখি
নুসরাত! এতোদিন পর নুসরাত কে দেখতে
পাবো কল্পনাতেও ভাবতে পারিনি।
!
- হঠাৎ নুসরাত আমাকে ধাক্কা দিয়ে
সুফাতে ফেলে দিয়ে বলতে লাগলো। তুই
আমাকে ঠকিয়ে বিয়ে করেছিস অন্য একটা
মেয়েকে। তোর সাথে ৮ বছরের সম্পর্ক কি
মিথ্যে ছিল। তুই না আমাকে প্রমিজ
করেছিস। এই তোর প্রমিজ, I hate you. i just
hate you raj ( নুসরাত)
!
-- কি বলছিস নুসরাত তোর এখন এসব বলার
সময়! পিছন দিকে তাকাতেই দেখি কথা
রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে......
.
.
♥-----"To be Continue"---♥

_গল্প:-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে""
.
.
#_100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- ০১/১৯ ~~~
.
.
#_______গাঁ থেকে কাপড়টা সরাতে গেলেই
মেয়েটা বলতে লাগলো " আপনি জানেন না
আমার গর্ভে দু'মাসের সন্তান? ( করুণার
সুরে)।তার পরও একি করছেন ছাড়েন বলছি,
ছাড়েন আমাকে! আমি জানি কলেজে সবার
সামনে আপনাকে চড় দেওয়া ঠিক হয়নি।
তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি । আমাকে
ক্ষমা করে দিন তবুও এখন আমার কোন ক্ষতি
করবেন না।আপনার পায়ে পড়ি প্লিজ
এমনটি করবেন না। আমার গর্ভে ২ মাসের
সন্তান!প্লিজ আমাকে ছেড়ে দেন।"কাকুতি
- মিনতি করেও সরাতে পারছেনা।
.
হাত দুটি শক্ত করে চেপে ধরেছে। আস্তে,
আস্তে চোখ দুটি বন্ধ হয়ে আসছে জোর করে
ঠোঁটের সাথে ঠোঁট দুটি মিলিয়ে দিলো।
দমঃ বন্ধ হয়ে আসছে। ঠোঁটে কামড় দিতেই
ওহ্ করে ওঠলো মেয়েটা । কিছু করার নেই
(কারিমাতুল জাহান কথার)চোখ দুটি বেয়ে
পানি পড়ছে। হাত পা গলা কাঁটা মুরগির
মতো নাড়াচ্ছে। অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট
করছে। তবুও ছাড়ছে না! হঠাৎ গায়ের ওপর
থেকে বিয়ের লাল শাড়ীটা টান দিতেই
বুকটা কেঁপে ওঠলো কথার।
!
-- তবুও ছাড়ছে না! হাত দিয়ে শাড়ী ধরে
রাখতে গেলে টান দিয়ে শাড়ি খুলে
ফেললো! কথার দু'চোখ বেয়ে পানি পড়ছে!
শাড়ীটা সম্পূর্ণ গা থেকে খুলে নিচে
ফেলে দিলো। প্লিজ আপনার আল্লাহর
দোহাই লাগে আমার গায়ে হাত দিবেন
না। আমার গর্ভের সন্তানের কথা ভেবেও
প্লিজ আমার সর্বনাশ করবেন না।
.
কিন্তু কথার কোনো কথায় শুনলো নাহ্
ছেলেটা কথাকে জোর করে কথার সারা
শরীল হিস্র পশুর মতো ভোগ করলো ।কথার
গায়ের কাপড় ছেঁড়ে ফেলছে। সারা শরীর
ব্যথা করছে কথার। বিছানার চাদর জড়িয়ে
কথা বিছানায় একপাশে গুটি-শুটি মেরে
কান্না করছে। কথার মনে হচ্ছে পুরুষ জাতির
মনে ভালবাসা বলতে কিছু নাই! একটা পশুও
হয়তো এমন করবে না। শুধু শরীরটাকেই
চিনে। বুকের বা পাশের দু আঙ্গুল নিচে যে
ছোট্ট একটা মন আছে তা যে জয় করতে হয়
একটা মেয়ের। কিন্তু তা না করে সরলতার
সুযোগ পেয়ে ছিঃ। কথা কিছু ভাবছে
পারছেনা! আবারো সে পশুটা আসছে! কথা
টেবিলে থাকা ফল কাঁটা ছুড়িটা নিয়ে
বলতে লাগলো" আর এক'পা যদি আমার
সামনে আসেন তাহলে নিজেকে শেষ করে
দিবো। বলে চিৎকার দিতেই!
!
-- রাজের ঘুম ভেঙ্গে যায়!রাজ ঘুম জড়ানো
কন্ঠে বললো কি হয়েছে কথা?
!
--- আপনি একটা পশু! আপনি আমার সামনে
আসবেন না।আপনাকে আমি স্বামী বলে
মানিনা।বলেই একটা থাপ্পর দিলো
রাজকে। ( কথা)
!
--রাজের বুঝতে বাকী হলোনা কথা কোন
দুঃস্বপ্ন দেখেছে! তাই কাছে গিয়ে বসলো।
কথা কেমন জানি ভয়ে জড়োসরো হয়ে
গেছে। এই কথা নাও পানি খাও। ( রাজ)
!
-- কথা পানি খাওয়ার পর চোখে মুখে পানি
দিয়ে বুঝতে পারলো কথা দুঃস্বপ্ন
দেখেছে। এখনো কথার গায়ে বিয়ের সে
শাড়ী। বাসর ঘরটা ফুলে -ফুলে সাজানো!
যেমনটা সাজানো ছিল দু'মাস আগে। আজ
কথার জীবনে দ্বিতীয় বাসর রাত । কথা
দু'মাস আগেই বিয়ে করেছে সবাইকে না
জানিয়ে। কথা জানে, কথার স্বামী
"সজিবকে" রাজ খুন করেছে কথাকে পাওয়ার
জন্য। এজন্য কথা রাজকে স্বামী হিসেবে
না মানলেও পরিস্হিতির স্বীকার হয়ে
বিয়ে করে !!
!
--- এজন্যই কথা রাজকে সহ্য করতে পারেনা!
রাজ কথাকে ভালোবাসতো সেই কলেজ
জীবন থেকেই! কিন্তু কথা কখনোই রাজকে
ভালোবাসেনি। কথা রাজতে সেফ বন্ধু
ভাবতো। কথা ভালোবাসতো সজিব কে!
তারা দুজন -দুজনকে ভালোবেসে সবাইকে
না জানিয়ে বিয়ে করে ! আর সজিবের
সন্তানই কথার গর্ভে বড় হচ্ছে । সজিব
রাজের হাতে খুন হলেও কোন প্রত্যক্ষদর্শী
সাক্ষী না থাকায় কথা কাউকে কিছু বলতে
পারেনা। কথা শুধু জানে রাজ কথাকে
পাওয়ার জন্য সজিবকে তার পথ থেকে
সড়িয়ে ফেলে!
!
---ওহ্ আপনাদের তো আমার পরিচয়টাই
দেওয়া হয়নি! আমি জিসান আহম্মেদ রাজ।
বাকিটা না হয় গল্প পড়তে পড়তে জেনে
নিবেন।
!
--- সজিব খুন হওয়ার পর কথা খুব কেঁদেছিল।
কথা কখনো ভাবতেই পারেনি রাজ তার
স্বামী সজিবকে খুন করবে। কারণ সজিব আর
রাজ বাল্যকাল থেকেই বন্ধু। মায়ের পেটের
ভাই। কথা কাউকে কিছু বলতে চেয়েও বলতে
পারেনি। শেষবারের মতো স্বামীর মুখটাও
দেখতে পারেনি।
.
দিন- দিন তাদের ভালবাসার ফসল
বাচ্চাটা কথার গর্ভে বড় হচ্ছে। যতই দিন
যাচ্ছে ততই কথা ভাবছে কী করবে গর্ভের
সন্তান নষ্ট করে ফেলবে! তা না হলে কি
করে সমাজে মুখ দেখাবে। সমাজ থেকে তো
বাবা- মাকে বের করে দিবে। সজিবকে
বিয়ে করার কথাও কেউ জানেনা। বাচ্চা
হলে সবাই জারজ সন্তান ডাকবে নাহ্ এটা
কী ভাবছি। কথার এখন সুসাইড করা ছাড়া
আর কোন উপায় নেই! সে মনে মনে
সিদ্ধান্ত নিল সে ব্রিজ থেকে লাফ দিয়ে
আত্মহত্যা করবে। বেলকুণিতে দাঁড়িয়ে
দাঁড়িয়ে এসব ভাবছে! হঠাৎ কিং কিং করে
ফোনটা বাজছে।
!
--- আননোন নাম্বার দেখে কাঁপা কাঁপা
হাতে ফোনটা তুলতেই ওপাশ থেকে """
-- হ্যালো, কথা আমি রাজ। তোমার সাথে
আমার কিছু কথা ছিলো।( আমি)
!
--- খুনি! তোর সাথে কোন কথা নেই! নিজের
ভালবাসাকে পাওয়ার জন্য যে নিজের
বন্ধুকে খুন করতে পারে তার সাথে আবার
আমি দেখা করবো। কখনোই না। ( কথা)
!
--ওহ! আচ্ছা আপনি যে অন্তঃসন্তা তা কী
কেউ জানে? ( আমি)
!
--- কি বলছো রাজ! তুমি কি করে জানো?
( কথা)
!
-- হা, হা, হা, আচ্ছা তোমার বাবা মাকে
কি বলতে হবে আপনারা নানা- নানী হতে
যাচ্ছেন। আপনাদের বড় মেয়ে কথা মা হতে
যাচ্ছে! (আমি)
!
--- রাজ! কোথায় দেখা করতে হবে বলো
আমি কাল তোমার সাথে দেখা করবো!
!
-- এইতো! কতো ভালো মেয়ে সবাইকে না
জানিয়ে বিয়েটা করার সময় এই বুদ্ধিটা
থাকলে আজকে এতো কিছু হতো না! আচ্ছা
কাল বিকেলে আলীশান হোটেলে আসবে।
( আমি)
!
--- ওকে! তবে তুমি ছাড়া কেউ যেনো না
জানে সজিবের সাথে আমার বিয়ে হয়েছে।
আর আমি অন্তঃসন্তা! ( কথা)
!
--- আচ্ছা!
!
--- বিকেলে খাবার অর্ডার করে বসে আছি।
হঠাৎ সেই চিরচেনা মাতাল করা চুলের গন্ধ
বাতাসে ভেসে আসছে! উপরের দিকে
তাকাতেই দেখি কথা! মনে হচ্ছে বাগানের
একটা তাজা গোলাপ! বাতাসে এলোমেলো
চুলগুলো উড়ছে। কাজল কালো হরিণীর মতো
চোখ জোড়া করুণ দৃষ্টিতে চেয়ে আছে
আমার দিকে! হঠাৎ কিসের জন্য ডেকেছো
আমাকে?
!
-- বসো বলছি( আমি)
!
-- হুম এবার বলো কী চাও আমার কাছে?
(কথা)
!
-- বেশি কিছু চায়না। তবে তোমাকে চাই!
!
-- সেটা কোনদিনই সম্ভব নয়।তুমি জানো
আমি বিবাহিত। আর আমি অন্তঃসন্তা।
তোমারই বন্ধু সজিবের সন্তান আমার গর্ভে
ওহ! কাকে বন্ধু বলছি তুমি তো আমার
স্বামীর খুনি। ( কথা)
!
-- ওহ! আমার কোনো সমস্যা নেই তোমার
হাজার বিয়ে হলেও সমস্যা নেই। আচ্ছা
শোনো! তোমার সামনে দুটো রাস্তা এক
তোমার আত্মহত্যা অন্যদিকে আমাকে
বিয়ে করা।
!
-- যদি আত্মহত্যা করো তাহলে তোমার
মাঝে জন্ম নেওয়া নিঃশ্বাপ সন্তানটা
মারা যাবে। লোকে তোমার বাবার দিকে
আঙ্গুল তুলবে বলবে নষ্টা মেয়ের বাবা।
পতিতা জন্ম দিয়েছিল তোমার বাবা। তুমি
মরে গেলেও এই অপবাদ থেকে রেহাই পাবে
না। আর তোমার ছোট বোন কী যেন নাম,
ওহ! সুমাইয়া ইসলাম (তোবা)। তুমার নামে
এমন কথা শুনে ভাবছো তার বিয়ে হবে।
কখনোই না। লোকে তোমাদের পরিবারকে
থুথু দিবে। দেখা যাবে তোমার বাবা
গাড়ির নীচে ঝাপ দিয়েছে। ( আমি)
!
--- রাজ প্লিজ চুপ করো। আমি আর এগুলো
শুনতে পারছিনা। ( কথা)
-- ওকে। তাহলে শুন অপশন নাম্বান
২.আমাকে যদি বিয়ে করো তাহলে তোমার
গর্ভের সন্তানটা পৃথিবীর আলো দেখবে
আর কেউ তাকে জারজ বলবে নাহ্। আর
তোমার বাবা অপবাদের হাত থেকে বেঁচে
যাবে এখন তোমার ইচ্ছা।
!
-- হুম! বাবা - মা, আর আমার নয়নের মনি
কলিজার টুকরা তোবার কথা এবং গর্ভের
সন্তানের জন্য নিজেকে কুরবাণী দিলাম।
তবে আমার কিছু শর্ত রয়েছে।(কথা)
.................. 
.
.
-----"To be Continue"---

image
gonesh22 changed his profile picture
6 yrs

image

#SB_Bulbul_ahamed
@SBbulbul

image
Tanoy Bhuiyan changed his profile picture
6 yrs

image

#SB_bulbul_Ahamed@

image
Azizul Hoque changed his profile cover
6 yrs

image

image
Azizul Hoque changed his profile picture
6 yrs

image