# পচা বউ #
.লেখক,,, RK Rasel
.
: এই যে শুনছেন,,,,,, এই
: হুম ডিস্টার্ব করিস নাতো রাব্বি আজ অফিস যাবো না।
: এই কি বললেন আপনি। আর রাব্বিকে? সকাল হতে না হতেই বউকে ভুলে গেলো
: ওহহ সরি,,,,, আপনি,,,,, না মানে হয়েছে কি,,,,
.
: কিছুই হয় নাই। আগে বলুন রাব্বি কে।
: ওহহ,,, রাব্বি আমার রুম মেট। যার সাথে একি মেসে থাকতাম। প্রতিদিন অফিস যাবার জন্য ওই আমাকে ডেকে দিতো তো। তাই আজো রাব্বিকেই ভেবে ছিলাম।
: বউ আর রুম মেট কি এক,,,,,
: না মানে অনেক দিন মেসে ছিলাম তো,,,,, সরি।
: হিহিহি। মেসে থাকা ছেলো গুলো বুঝি তার বউকে প্রথম প্রথম রুমমেট ভাবে।
: হতে পারে।
.
: নাস্তা করবেন না।
: হ্যা করবো। আপনি কি নাস্তা করেছেন।
: না,,,,, আমি রান্না করতে পারি না তাইতো আপনাকে ডাকলাম,,,,, খুব ক্ষুধা লাগছে।
: (কয় কিরে) তার মানে আমি নাস্তা বানাবো?
: জী। আপনি ছাড়াতো আর কেউ নাই বাসায়।
: রান্না শিক্ষতে পারেন না।
: ছিঃ এত কষ্ট করে রান্না শিক্ষতে যাবে কে।
: মেয়েদের রান্না শিক্ষতে হয়।
.
: এটা কোন হাদিসে লেখা আছে যে মেয়েদের রান্না শিক্ষতে হবে।
: না মানে কোন হাদিসে নাই। তবে এটাই নিয়ম। বউরা রান্না করবে বররা খেয়ে অফিসে যাবে। আপনি বাংলা সিনেমা দেখেন নি।
: আমি এসব আজগবি নিয়ম মানি না। আর এখন ঝগড়া করতে পারবো না। কিছু একটা বানান, আমার ক্ষুধাতে পেট চোচো করছে।
: চলুন আজকে আপনাকে নাস্তা বানানো শিক্ষাচ্ছি। কাল থেকে নিজেই বানিয়ে নিবেন।
.
: বয়েই গেছে আমার শিক্ষতে। প্রতিদিন আপনি নাস্তা বানিয়ে দিয়ে যাবেন। দুপুরে হোম ডেলিভারিতে খাবার পাঠাবেন, আর রাতে এসে রান্না করবেন।
: মারডালা।
: কি বললেন?
: না মানে বললাম রুটিন টা খুব ভালো।
: ভালো না খারাপ জানি না। ক্ষুধা লাগছে আমার। এমনিতেই রাতে শরীরের উপর দিয়ে সিডর গেছে। এখন বেশি কথা বললে একদম মাথা ফাটিয়ে দিবো।
.
: তার দরকার হবে না। যাচ্ছি।
.
.
সালার এ কোন মেয়েকে বিয়ে করলাম রে বাবা। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই রান্না ঘরে পাঠিয়ে দিলো। এত যাবত দেখে এসেছি বউরা রান্না করে বরের জন্য। কিন্তু আমার বউ দেখছি আমাকে দিয়েই রান্না করিয়ে নিচ্ছে।
.
চাকুরীজীবী মানুষ বিয়ে করে বউয়ের হাতের রান্না খাবার জন্য কিন্তু এই মেয়েকে নাকি আমারই রান্না করে খাওয়াতে হবে। এর থেকে তো মেসেই ভালো ছিলাম। কেন যে বিয়ে করতে গেলাম। আল্লাহ তুমি কেনো বিয়েটাকে ফরজ করে দিলা।
.
.
মনের দুঃখ মনে রেখে সারা জীবনের বউয়ের হাতের সুস্বাদু রান্না খাবার স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে নাস্তা করে, গেলাম অফিসে। দুপুর বেলা অনলাইনে অর্ডার দিলাম মহারানীর খাবার বাসায় পৌছে দেবার জন্য। অফিস শেষে বাসায় এসেছি,,,, একটু ফ্রেস হয়ে রেস্ট নিবো। কিন্তু তা আর হলো না।
.
আবার রান্না ঘরে যেতে হলো। কারন মহারানী না খেয়ে আছে। পিয়াজ কাটার ঝাঝ, ক্লান্তি আর মনের দুঃখে চোখের জল নাকের জল এক হয়ে গেলো। কোনটা দুঃখের জল সেটাই বুঝতে পারছি না।
.
এ কোন ডেন্জারাস মেয়ের পাল্লায় পরলাম রে বাবা। আগে কত মধুর স্বপ্ন দেখতাম। আমি অফিস থেকে ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরবো আর আমার বউটা আমার পছন্দের রান্না করে আমার জন্য বসে থাকবে। সারাদিনের ক্লান্তি ঝেরে ফেলে বউকে নিয়ে শান্তিতে খাবো। কিন্তু সব স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিনত হলো।
.
আমার মত একটা নিরীহ ছেলের পাল্লায় কেন যে আল্লাহ এমন ডেন্জারাস মেয়ে জুটালো।
.
.
সব ভাবনার ছেদন ঘটলো,,,, মহারানীর ডাকে,,,
.
: এই রান্না হয়নি। আমি ঘুমাবো। সারাদিন টিভি দেখছি। আমি অনেক ক্লান্ত।
: হচ্ছে একটু দারান
: দারাতে পারবো না। বসে বসে টিভি দেখছি। পা ব্যাথা করছে।
: পাও টিপে দিতে হবে নাকি।
: হুম। দিলে খুব ভালো হতো।
: ওকে রান্না টা শেষ করি।
.
.
সালার পোড়া কপাল। সারাদিন টিভি দেখে নাকি তিনি ক্লান্ত। আর আমি মহিষের মত কাজ করলাম অফিসে বসের গুতা খেয়ে। তাহলে আমার কি অবস্থা। আল্লাহ যে কোন পাপের শাস্তি আমায় দিচ্ছে তা জানি না। মনে হচ্ছে খাবারের সাথে বিষ ঢেলে দিয়ে মেরে দেই আপদ টাকে।
.
.
.
(৭ দিন পর,,,,,,)
অফিস থেকে বাসায় ফিরার জন্য বাসে বসে আছি। জীবনটা তেনা তেনা হয়ে গেছে এই ৭ দিনে। আমার অবস্থা এখন মাছের কাটা গলায় বিধার মত। না পারছি গিলতে না পারছি ওগলাতে।
.
বউ নামের এই আজব প্রানীটা আমার জীবন শেষ করে দিলো। বাথরুম পরিষ্কার থেকে শুরু করে কাপড় কাচানো প্রর্যন্ত সব কাজি আমার থেকে করে নিয়েছে। আমার এতই খারাপ অবস্থা যে বন্ধুদের সাথে শেয়ারো করতে পারছি না কিছু। শেয়ার করলে আমি হাসির পাত্র হয়ে দারাবো সবার কাছে।
.
মাঝে মাঝে মনে হয় বাড়ি ঘর ছেরে বনবাসে চলে যাই। সেখানে গিয়ে গাছের উপর বাড়ি বানিয়ে থাকবো। সাপ, ব্যাঙ, পোকামাকড় ধরে ধরে খাবো। গাছের পাতা পড়ে থাকবো। আর রাত হলে গাছে চড়ে ঘুমাবো। সেখানে না থাকবে বসের ঝারি, না থাকবে বউয়ের প্যারা। ইফফ জীবন টা পুরাই তেজপাতা হয়ে গেছে।
.
.
.
এসব বাসে বসে ভাবছিলাম। আর তাই বাস থেকে শ্যামলিতে নামার কথা থাকলেও তা পারকরে কখন যে যাত্রাবাড়ি পৌছে গেছি তা খেয়াল করিনি। বাস থেকে নেমে দেখলাম আমি যাত্রাবাড়িতে। তাই অগত্যায় লেগুনাতে চরে ফিরে আসলাম শ্যামলিতে। আজ এসব কারনে বাসায় আসতে ১ ঘন্টা লেট হইলো। না জানি কোন ঝর আজ আমার জন্য অপেক্ষা করছে।
.
নিজের বাড়ির কলিং বেলটাকে যেনো যমের দরজার কলিং বেল মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে টিপ দিলেই যম দরজা খুলে আমার যান কবজ করে নেবে।
.
.
সব ভয় কে পকেট বন্দি করে কলিং বেল চেপে একটা সাইক্লোনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। দরজাটা খুললো ঠিকি তবে প্রত্যাশার সেই ঝরটা হলো না। মহরানী হাসি মুখেই বললো।
.
: আজ এত দেরি হলো যে?
: না মানে জ্যাম ছিলো (মিথ্যা কথা)
: ওহহ। ভিতরে আসছো না কেনো।
: ওহহ,,, আসছি।
: শার্টটা খোলো গন্ধ লাগছে।
: ওহহ তাইতো।
: যাও ফ্রেশ হয়ে আসো।
.
: (এত ভালো ব্যবহার ) ও আপনি খাইছেন।
: না। আপনার অপেক্ষায় বসে ছিলাম।
: ওহহ। ওকে ফ্রেশ হয়ে খাবারের ব্যবস্থা করছি।
.
.
সালার কি বউ মাইরী। দেরি করে আসছি। আজকের দিনটা নিজে রান্না করলেই পারতো । তা না করে আমার মাথা খাবার জন্য বসে আছে। গোসল করলাম আর গালি দিয়ে বউয়ের গুস্টি উদ্ধার করলাম। গোসল শেষে রান্না ঘরে যাবো। কিন্তু মহারানীর ডাক পরলো।
.
: এই যে শুনেন। এদিকে আসেন।
: কি, কিছু বলবেন।
: বসেন আজ আপনার প্রিয় গরুর মাংস আর বিরয়ানী রান্না করছি।
: হ্যা
: রান্নারর বই দেখে দেখে আর আম্মুর হেল্প নিয়ে রান্না করছি। জীবনে প্রথম কারো জন্য রান্না করলাম। খারাপ হলে আমাকে বকবেন না কিন্তু।
: হ্যা।
.
: কি পাগলের মত হ্যা হ্যা করছেন। খাওয়া শুরু করুনতো। আমিও খাবো খুব ক্ষুধা লাগছে।
: (মুখে দিলাম ১ নলা) খুব সুন্দর হইছে।
: এখন থেকে রোজ আমি রান্না করবো। আসলে কখনো বাসার কোন কাজ আম্মু করতে দেয়নি তো। তাই কোন কিছুই পারিনা। আপনি আমাকে সব কাজ শিখাই দিয়েন কেমন। আর ভুল হলে বকবেন না কিন্তু।
: ঠিক আছে।
: আর এই কদিনের জন্য সরি। আসলে আমি বরের সাথে একটু দুষ্টামী করবো। এটা অনেক দিনের স্বপ্ন ছিলো। তাই এমন করছি । আজ থেকে আমি লক্ষী বউ হবো।
: আচ্ছা একটা কথা বলি।
.
: জী বলেন
: আমি স্বপ্ন দেখছি নাতো। কেন জানি মনে হচ্ছে আমি স্বপ্ন দেখছি। ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে জীবনটা আবার অসয্য হয়ে যাবে।
: পাগল স্বপ্ন দেখবেন কেনো।
: আমাকে একটা চিমটি দাওতো দেখি, স্বপ্ন না বাস্তব।
: উম্ম,,,, ওকে।
: অমাগো। এত জোরে কেউ চিমটি দেয় বরকে। পচা বউ।
: হিহিহি,,,,,, পচা হই আর যাই হই,,,,, আমিতো আপনারি....
:হুম,,,,আমারই.......

(((আর নাই শেষ)))

♥ভালোবাসার গল্প♥
#গল্পঃ "বউয়ের অভিমান"
#Writer→ ღRK Raselღ
বউ বাপের বাড়ি গেছে। এমনি এমনি যায় নাই, রাগ করে
গেছে। অবশ্য রাগ করার যথেষ্ট কারণ আছে। গত ৩ সপ্তাহ
হল তার বাইনা, তাকে নিয়ে বাইরে ডিনার করতে হবে।
আর আমি আজ নয় কাল বলতে বলতে ৩ সপ্তাহ কাটিয়ে
তার ধৈর্যের বাধ ভেঙ্গে ফেলেছি। বউটা রাগি, কিন্তু
এতটা রাগি না যে, আমার উপর রাগ করে বাপের বাড়ি যাবে!
ঘটনায় আসা যাক।
আজ সকালে অফিসের উদ্দেশ্য বের
হবার আগে যথারীতি বউয়ের কাছে প্রমিস করে গেলাম,
যেভাবেই হোক আজ দ্রুত অফিস থেকে ফিরেই তাকে
নিয়ে বাইরে খেতে যাবো। সবকিছু ঠিকঠাক ছিল,
মাঝখানে একটা ঘটনা ঘটে গেল। অফিসের কলিগ আলিম
সাহেবের মেয়ে সন্তান হয়েছে গতকাল। আর সেই সুবাদে
আজকে তিনি আমাকে সন্ধ্যায় খাওয়াবেন। তিনি
নাছোরবান্দা! ছাড়াছাড়ির কোন উপায় নেই। এছাড়া
অনেকদিন হল, তার কাছে খাওয়ার আবদার করছিলাম!
তিনি একরকম জোড় করেই নিয়ে গেলেন, অনিচ্ছা সত্বেও
যেতে হল। তারপরে বাসায় ফিরতে ফিরতে অনেক দেরি
হয়ে গেছে! যতক্ষণে ফিরলাম, দেখি ঘরে তালা ঝুলছে!
২য় চাবিটা দিয়ে ঘর খুলে দেখি, ঘরের ভিতর মোটামুটি
টর্নেডো বয়ে গেছে। সবকিছু এলোমেলো, বিছানা
উল্টাপাল্টা। ঘরের ভিতর কিছু দ্রব্যাদির ভাঙ্গা অংশ
ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। অ্যাকুরিয়ামের মাছটা মেঝেতে
মরে পরে আছে।
এসব দেখে আমি ঠিক কি করব? বুঝে উঠতে পারলাম না।
তাৎক্ষণিক কোন প্রতিক্রিয়াও কাজ করল না। সাতপাঁচ
না ভেবে কোনমতে বিছানা ঠিক করে ঘুমুতে গেলাম।
এপাশ-ওপাশ করছি, আর ঘুমানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু, ঘুম
যেন আমার সাথে আড়ি দিয়েছে! কিছুতেই দু-চোখের
পাতা এক হচ্ছে না। তবুও বৃথা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এভাবে কতক্ষণ কেটে গেছে জানিনা। হইত হালক ঘুম ঘুম
এসেছিল। ঠিক তখনই ফোনটা বেজে উঠে জানান দিল,
কেউ একজন আমাকে স্বরণ করেছে। ফোনের দিকে
তাকিয়ে দেখলাম নাম্বারটা "বউ" লেখা দিয়ে সেভ
করা। মোবাইল স্কিনে তখন রাত ১১ টা ৩৫। ফোনটা
রিসিভ করলাম……
----হ্যালো………
----হ্যালো দুলাভাই……
----ওহ, তুমি!
----আসবেন না আমাদের বাসায়?
----না……
----বুবু কিন্তু রাগ করে আছে। অনেকক্ষণ হল, পুকুরপাড়ে
দাড়িয়ে আছে। আমি ডাকতে গেলাম, আমার সাথে
রাগারাগী করে পাঠিয়ে দিল! মোবাইলটাও ওর রুমে পড়ে
আছে……
----আচ্ছা থাকুক, দেখি আমি আসছি……
শালিকা ফোন করেছিল। এর আগেও দু-একবার বউ রাগ
করে বাপের বাড়ি আসলেও যতই রাত হোক, আমি চলে
আসতাম। কেননা, বউকে নিয়ে ঘুমুতে ঘুমতে একটা অভ্যাস
হয়ে গেছে। প্রতিদিন রাতে ঘুমন্ত বউয়ের কপালে একটা
চুমু না খেলে এখন আর ঘুম আসেনা। বউ বাহুতে মাথা না
রাখলে ঘুম হয় না। আর আমি জানি, ওরও ঘুম হবে না।
প্রতিদিন রাতে ওই আগে ঘুমিয়ে যায়। আমার বাহুতে
মাথা রাখে, ওর চুলের ভিতরে আমি হাত বুলিয়ে দেই,
হঠাৎ করে দেখি ও ঘুমো ঘুমো চোখে আমার দিকে
তাকায়। তারপরে ঘুমন্ত অবস্থায়ই অদ্ভুতভাবে তাকিয়ে
ভেংচি কাটে, তারপরে আরেকটু কাছে এসে জড়িয়ে ধরে
ঘুমায়। আর এই দৃশ্যটা আমার কাছে পৃথিবীর যেকোন
জিনিসের থেকে মূল্যবান। খুব ভাললাগে, এটা না
দেখলে আমার ঘুম হয় না।
-
আমি রাজ । আর আমার বউয়ের নাম রিফা। আমাদের বিয়েটা পারিবারিকভাবেই
সম্পূর্ন হয়েছিল।বিয়েটা হয়েছে, ১ বছরেরও বেশি সময়
হল। মায়ের বান্ধবির মেয়ে, যদিও বিয়ের আগ পর্যন্তও এ
কথাটা জানতাম না। বউ পুরোপুরি ধার্মিক না হলেও,
মোটামুটি ধার্মিক বলা চলে। বিয়ের আগে কোন প্রেম
করেনি। অবশ্য আমি এমনটা না। প্রেম করেছিলাম দু-
তিনটা। কিন্তু, বিধিরাম একটাও টিকে নি। তবে, মেয়ে
মানুষ আমাকে ছেড়ে চলে যাবে বলেই, ভেঙ্গে পড়ার মত
ছেলে আমি ছিলাম না। নতুন উদ্যমে সবকিছু শুরু করতাম।
কে জানে, হয়তো তাদেরকে মন থেকে ভালবাসতে পারি
নি। তবে, বর্তমানে বউ যদি কোনকারণে আমাকে ছেড়ে
চলে যায়? জানিনা কি হবে, তবে সম্ভবত আমার বেচে
থাকাটা অনেক কঠিন হয়ে যাবে। কারণ, নিঃশ্বাষ
নেওয়া ছাড়া কেউ বাচতে পারেনা।
-
রিফাদের বাড়ি আমাদের বাসা থেকে প্রায় ৫-৬ মাইল।
এতরাতে রাস্তায় কিছু পাওয়ার আশা করা বোকামি,তবুও
একটা মিনিট্রাকে করে প্রায় ৫ মাইলের বেশি এসেছি,
আর বাকিটুকু হেটে যেতে হবে। সঙ্গি মোবাইল, আর
মোবাইলের টর্চ। প্রায় ১৫-২০ দ্রুত গতিতে হেটে যাওয়ার
পরে অবশেষে ওদের বাড়িতে গিয়ে পৌছালাম। ওদের
বাড়িটা গেট করা, কারণ এই দিকটা শহরও না আবার
গ্রামও না। আবার ফোন দিলাম, শালিকা উঠে বাইরের
গেট খুলে দিল। আমাকে দেখে মুচকি হাসল সে। আমি
বললাম,
----হাসির কি হল?
----আপনাদের দেখে! কি প্রেম মাইরি!
----আগে বিয়ে কর, তারপরে বুঝবা। তো সে এখন কোথায়?
----আমার রুমে!
----ঘুমিয়ে পড়েছে?
----না, আর আমাকেও ঘুমাতে দিচ্ছে না।
----তুমি একটা কাজ কর, এখন অন্য রুমে গিয়ে ঘুমাও, আমি
দেখি কি করা যায়..
----ওকে…
-
ধীরপায়ে ওর রুমের দিকে গেলাম। দড়জায় পা রাখতেই
রিফা বলে উঠল……
----আপনি এখানে এসেছেন কেন?
---- আমি কোন কথা না বলে কান ধরে মুখটা মলিন করে
ফেললাম। যেন তার মন গলে যায়। কিন্তু কাজ হল না, ও
হঠাৎ চিৎকার করার জন্য করল। আমি জ্বলদি গিয়ে ওর
মুখটা চেপে ধরলাম……
----ছাড়ুন বলছি……
----আমার ভুল হয়ে গেছে…
----প্রতিদিনই তো হয়……
----আর হবে না……
----প্রতিদিনই বলেন……
----এবার সত্যি বলছি……
----বলা লাগবে না, চলে যান……
----সত্যি যাবো তো?
----হুম সত্যি…
----তাহলে আর কি করার? দেখি নতুন কাউকে খুজতে হবে
বিয়ে করার জন্য, অনিমতি দিও, আমি আবার বউ ছাড়া
ঘুমোতে পারব না……
----আচ্ছা দিলাম……
----তাইলে থাক, আমি গেলাম……
----খুন করে ফেলব, হুম……
----কাকে?
----আপনাকে!
----আমি তো খুন হয়েই আছি।
রিফা নিঃশব্দে হেসে উঠল। এই হাসিটার দাম আমার
জানা নেই, পৃথিবীতে কিছু জিনিস আছে যা কখনো
কোন মূল্য দিয়ে কেনা যায় না, যেগুলো হয় অমূল্য। এই
হাসিটা হল, সেই অমূল্য সম্পদ। জীবন সুখের হত আর কি
দরকার। (কাল্পনিক)
--------------------------
---------------------------
#প্রিয়_পাঠক , গল্পটি কেমন লাগলো কমেন্টস করে জানাতে ভুলবেন না সবাই। ধন্যবাদ।

image

আব্বু, কাল সারারাত আমি কেঁদেছি। আমাদের সেলে গত সন্ধ্যায় এক নতুন কয়েদি এসেই বলে, ‘চার লম্বর (নম্বর) খুন করে আইলাম।’ রাতে ভয় দেখিয়ে আমাকে দিয়ে তার শরীর পা টিপিয়েছে। আমাকে শব্দ করে ...............
বিস্তারিত পড়ুন ......
http://www.somoyerkonthosor.co....m/2018/06/26/239696.

‘আব্বু আমি মরে গেলে জেলখানায় আমার মরদেহটি নিতে আসবে তো?’ – সময়ের কণ্ঠস্বর
www.somoyerkonthosor.com

‘আব্বু আমি মরে গেলে জেলখানায় আমার মরদেহটি নিতে আসবে তো?’ – সময়ের কণ্ঠস্বর

সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক- ‘জীবনকে ভালোবাসুন, মাদক থেকে দূরে থাকুন’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে লক্ষ্মীপুরে মাদকবিরোধী র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আন্তর্জাতিক মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার দিবস উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসন ও জেলা মাদক দ্রব্য

image

ওই গৃহবধূকে খুনের পর মেজর নিজের বান্ধবীকে নিজেই ফোন করে জানিয়েছিলেন ‘শৈলজাকে ফিনিশ করে দিয়েছি’
----------
http://www.somoyerkonthosor.co....m/2018/06/26/239635.

ফোনকল রেকর্ডে বেরিয়ে এলো মেজরের স্ত্রী হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য – সময়ের কণ্ঠস্বর
www.somoyerkonthosor.com

ফোনকল রেকর্ডে বেরিয়ে এলো মেজরের স্ত্রী হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য – সময়ের কণ্ঠস্বর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক- সহকর্মীর স্ত্রীকে খুন করার দায়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মেজর নিখিল হান্ডা। তার ফোনকল রেকর্ড ও জিজ্ঞাসাবাদের পরই বেরিয়ে আসে খুনের চাঞ্চল্যকর তথ্য। শৈলজা নামে ওই গৃহবধূকে খুনের পর মেজর নিজের বান্ধবীকে নিজেই ফোন করে জানিয়েছিলেন ‘

নাইজেরিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার প্রথম একাদশে থাকছেন না সের্জিও অ্যাগুয়েরো
--------------------
http://www.somoyerkonthosor.co....m/2018/06/26/239637.

নাইজেরিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার প্রথম একাদশে থাকছেন না সের্জিও অ্যাগুয়েরো – সময়ের কণ্ঠস্বর
www.somoyerkonthosor.com

নাইজেরিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার প্রথম একাদশে থাকছেন না সের্জিও অ্যাগুয়েরো – সময়ের কণ্ঠস্বর

স্পোর্টস ডেস্ক: আর্জেন্টিনা প্র্যাকটিসে সোমবার সকাল-সকাল গিয়ে যে দৃশ্যটা দেখা গেল, প্রেক্ষাপট-পরিস্থিতি বিচারে তা চমকপ্রদ তো বটেই। একই সঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণও। প্র্যাকটিসে তখন ফুটবলাররা নিজেদের মধ্যে বল পাসিং করছেন। আসল ট্রেনিং শুরু তারপর। গ্যালারিতে ব