মন্ত্রী সাধারণ মানুষের অবস্থা নিজ চোখে দেখতে শহরের সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজারে মাছ-মাংসের দোকানে উপস্থিত হলেন।

মন্ত্রী (মাংসের দোকানের কসাইকে): কেমন আছো? বেচাকেনা ভালো তো?

দোকানদার: বেচাকেনা এমনিতে ভালো। তবে আজ বিক্রি একদম বন্ধ।

মন্ত্রী (বিস্মিত কণ্ঠে): কেনো কেনো? আজ বিক্রি বন্ধ কেনো?

দোকানদার: আপনি পরিদর্শনে আসছেন বলে কোনো ক্রেতাকে আজ বাজারে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আপনি চলে যাওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

মন্ত্রী (সহানুভূতির সুরে): মন খারাপ করো না। আজ আমিই হবো তোমার প্রথম কাস্টমার। ওই রানটা থেকে পাঁচ কেজি মাংস কেটে দাও দেখি।

দোকানদার: দুঃখিত,স্যার! দিতে পারবো না।

মন্ত্রী (হতবাক হয়ে): পারবে না,মানে?

দোকানদার: আপনার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বাজারের সব ছোট বড় চাকু-ছোরা-বটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাই রান থেকে মাংস কাটার কিছু নেই।

মন্ত্রী- (কিছুটা সামলে নিয়ে): ঠিক আছে,কাটাকুটির ঝামেলায় গিয়ে লাভ নেই। আমাকে পুরো রানটাই দিয়ে দাও। তার আগে ওজনটা মাপো আর একটু পরিষ্কার করে দিয়ো।

দোকানদার: এসবের কিছুই আমি পারি না,স্যার!

মন্ত্রী: কেনো?

দোকানদার: কারণ,আমি কসাই নই।

মন্ত্রী (প্রচণ্ড রেগে গিয়ে): তুমি কসাই না,তবে মাংসের দোকানে বসে আছো কেনো?

দোকানদার: আপনার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বাজার থেকে সবাইকে বের করে দিয়ে প্রত্যেক দোকানে ইন্টেলিজেন্সের লোক বসানো হয়েছে,স্যার। আমি নিজেও তাদেরই একজন।

মন্ত্রী (রাগের সাথে): আমার সঙ্গে ফাজলামি হচ্ছে ? ডাকো তোমার কমান্ডারকে। এর কৈফিয়ত তাকে দিতে হবে।

দোকানদার: ওনাকে ডেকে লাভ নেই,স্যার। উনি নিজে মাছের দোকানদার সেজে আপনার জন্য বড় বড় রুই-চিতল নিয়ে অপেক্ষা করছেন। ?