Discover postsExplore captivating content and diverse perspectives on our Discover page. Uncover fresh ideas and engage in meaningful conversations
প্রানের মানুষের সাথে প্রিয় কিছু সময় কাটানো সত্যিই অন্য রকম সুন্দর,,,,,,,বৃষ্টি স্নাত পড়ন্ত বিকেলে বাসা থেকে বের হলাম,রুমঝুম বৃষ্টি ধুয়ে দিচ্ছে কালো পিচ ঢালা পথ,,,,,আকাশ কাঁদছে সখের কান্না,বাতাস ছড়াচ্ছে স্নিগ্ধতা,ভেজা আদরে প্রকৃতির মাতাল আবেশে হেঁটে চলছি প্রিয় মানুষটির হাত ধরে।মাথার উপরে থাকা ছাতায় বৃষ্টির আলিঙ্গন টিপ টিপ শব্দে মাদকতা ছড়াচ্ছে,,,,,,,,,,,,এমনি মোহময় সময়ে যেই নিজেকে বাংলা সিনামার ববিতা ভাবতে শুরু করেছি অমনি পেছন থেকে একটা অটো এসে হর্ন দিল,আর সাথে সাথেই আমার বর মশাই ধ্যান ভেঙ্গে অটো তে উঠে গেল।কি আর করা,,,,,,,,,,সপ্ন ছেড়ে বাস্তবে ফিরে আসলাম।একটু আক্ষেপ আর কিছুটা মন খারাপ নিয়ে ছুটতে শুরু করলাম মেডিকেলের দিকে,উদ্দেশ্য ডক্টর দেখানো।কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারলাম ডক্টর নেই।অবাক হয়ে দেখলাম,আমার খারাপ লাগার বদলে একটু একটু ভালো লাগছে।আর আমার সেই ভালো লাগার পালে হাওয়া দিল আমার বর।হাত ধরে রিক্সায় উঠিয়ে নিয়ে বললবল কোথায় যাবা?জানিনা,,,,,বল যেখানে যেতে চাও,আজ তোমার ইচ্ছা,,,তোমার ইচ্ছা,,,,,,,,,,তারপর চলে গেলাম অজস্র পাগল প্রেমি দের আদর্শ জায়গা পদ্মার পাড়ে,জোড়ায় জোড়ায় বসে থাকা কপোত কপোতিদের মাঝে খুঁজে চলছি সদ্য পরিনয়ের বাঁধনে বাঁধা প্রেমকে।অল্প খুনসুটি আর অনেকটা ভালোলাগা নিয়ে আসর জমিয়েছি মিষ্টি অভিযোগের,,,,,,,,,,,চোখে উষ্ণ প্রেম আর মুখের ভেতর থাকা আমড়া মাখানোর টক মিলে মহুর্তেই সৃষ্টি করলো এক অনন্য অনুভুতির,যা প্রকাশের ভাষা আমার নেই।পদ্মার পাড়ে কিছুটা রোমান্টিক সময় কাটিয়ে গেলাম "চিলিসে"বরের প্রিয় ফালুদা আর চিকেন রোল খেতে খেতে ঝালাই করলাম নিজেদের প্রেম।অবশেষে স্বপ্নের ফেরি করতে করতে রওনা দিলাম আমাদের ছোট্ট নিড়ে,সূর্য তখন পাট চুকিয়ে তলিয়ে গেছে দিগন্ত রেখার বুকে,,,,,,,,আর আমার মনে তখন ঘুরপাক খাচ্ছে একটি অনুভুতি,,,,,,,জীবন সত্যি সুন্দর,ভয়ংকর রকমের সুন্দর,,,,,,,,,
মোবাইলে ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সময় আপনার পার্শ্ববর্তী নেটওয়ার্ক-এর উপর নির্ভর করে G, E, 3G, H, H+, LTE উঠে থাকে।
এগুলো সবই নেটওয়ার্ক-এর সংস্করণ।
G অর্থ GPRS
আপনার মোবাইল স্ক্রিনে যদি ‘G’ লেখা উঠে থাকে তবে আপনি ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন কোয়ালিটি ইউজ করছেন।
অর্থাত এক্ষেত্রে আপনার নেট স্পিড থাকবে খুবই কম।
E অর্থ EDGE
যদি E লেখা থাকে তার মানে আপনি GPRS এর চেয়ে ভালো কোয়ালিটির ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন।
এটিই মূলত 2G ইন্টারনেট।
বাংলাদেশের প্রায় সব এলাকাই EDGE কাভারেজ সম্পন্ন।
3G হল GSM এবং EDGE এর চেয়ে দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংস্করণ।
3G = 3rd Generation
বাংলাদেশে 3G চালু হলেও মোবাইল অপারেটরগুলা এর চেয়ে উন্নত সংস্করণের ইন্টারনেট চালু করেছে।
যার কারণে 3G কাভারেজ এলাকায় নেট ব্রাউজ করলে মোবাইল স্ক্রিনে H অথবা H+ উঠে।
H = HSDPA / 3.5G
H+ = 3.9G
3G/3.G+ এর চেয়ে দ্রুত গতির ইন্টারনেট হল LTE বা 4G যা আমাদের দেশে বাণিজ্যিকভাবে এখনও চালু হয়নি।
LTE= Long Term Evolution
বাংলালায়নসহ অন্যান্য ওয়াইম্যাক্স কোম্পানিগুলো LTE চালু করতে চাচ্ছে কিন্তু নরমাল মোবাইল অপারেটর গুলোর কারনে তা সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানা গেছে।
সারা বাংলাদেশে 3G পৌঁছার এবং LTE চালু হওয়ার আশায়…..
মোবাইলটা দ্বিতীয় বারের মত বেজে চলেছে । রিসিভ করতে ইচ্ছা করছে না । আর পরিচিত কেউ না । ঘরির দিকে আবার তাকালাম । রাত প্রায় একটা । এতো রাতে কার আবার দরকার পড়ল আমাকে । মনটা আজ এমনিতেও ভাল নেই ।
কিন্তু ফোনটা বেজেই চলেছে । বিরক্তির যখন চরম সীমায় পৌছালাম তখন ফোন টা রিসিভ করলাম ।
“হ্যালো আবির” ? কন্ঠে খানিকটা সংকা ।
“আবির বলছো ? আমি বর্ণা” । আমি খানিকটা না বেশ খানিকটা অবাক হলাম ।
এতো রাতে বর্ণা আমাকে কেন ফোন করবে ?
সরি বলার জন্য ?
অন্তত আজ যা হল তার জন্য তো ওর সরি বলা উচিত্ ই ।
“আবির বলছ” ? ও আবার বলল ।
“ হু বলছি । কেন ফোন করেছ” ?
“বাব্বাহ এতো রাগ” ! ও হেসে উঠল ।
মনে হল যে ফোনটা রেখে দেই । কিন্তু রেখে দিতে পারলাম না । কিছু কিছু মানুষের ফোন ইচ্ছা করলেই রেখে দেওয়া যায় না ।
বর্ণা বলল “আচ্ছা আজ তুমি এমন একটা কাজ কেন করলা ? সবার সামনে এমন করে প্রপোজ করার দরকার ছিল কি ? ফোন করে বলা যেত , ফেইসবুক চ্যাটিং এ বলা যেত আর যদি সরাসরি বলতেই হত তাহলে আমাকে আড়ালে ডাকতে ! আমরা অন্য কোথাও দেখা করতাম । এরকম গাধার মত সবার সামনে প্রপোজ করার দরকার ছিল কি” ?
আমার কাছে কোন উত্তর নেই ।সত্যিই এরকম গাধামি করার দরকার ছিল কি ?
“আমি ...........”
আচ্ছা এক মিনিট ।
বর্ণা এসব কথা কেন বলছে ?
ও তো আমাকে রিফিউজ করেই দিয়েছে ।
তাহলে ওর এতো মাথা ব্যাথা কেন ?
আমি বললাম “আচ্ছা তোমার এতো মাথা ব্যাথা কেন ? আমার যা বলার আমি বলেছি তোমার যা বলার তুমি বলেছ । তাহলে আবার এসব কথা কেন আসছে” ?
“ আহা বলব না ! উনি বড় বীরত্বের কাজ করেছে ! গাধা কোথাকার” !
আরে এই মেয়েটা আমার সাথে এভাবে কেন কথা বলছে । মনে হচ্ছে যেন আমি তার বয়ফ্রেন্ড । যা বলবে তাই আমাকে মেনে নিতে হবে ।
আমি বললাম “আচ্ছা তুমি আমার সাথে এমন ভাবে কথা বলছো কেন” ?
“বলছি । কেন বলছি সেটা কাল বুঝতে পারবা” ।
“মানে ? মানে কাল সকাল ১০ টার সময় আমার সাথে দেখা করবা । বেইলী রোডের আলবেইকের সামনে” ।
“ না । কাল সকালে আমার কাজ আছে । আমি থাকতে পারব না” ।
আসলে আমার কোন কাজ নেই । কেন এতো সহজে রাজি হব ?
“ শোন কাজফাজ জাহান্নামে যাক । তোমাকে বলেছি থাকতে থাকবা । আর কিছু শুনতে চাই না” ।
আমি এবার সত্যি সত্যিই অবাক হলাম । এই মেয়েটা আমার উপর এতো অধিকার ফলাচ্ছে কিভাবে ? আর আমিই বা এটা মেনে নিচ্ছি কেন ? আশ্চর্য !
“আর শোন ! ফর গডসেক ! প্লিজ আমাদের মাঝে যা কথা বার্তা হল তোমার কোন ফ্রেন্ডকে বলবা না । মনে থাকবে” ?
“থাকবে” ।
“প্রমিজ কর” ।
“আচ্ছা বাবা থাকবে । কারলাম প্রমিজ” ।
“কাউকে বলবো না । আচ্ছা এবার তাহলে ঘুমাও । বেশি রাত জাগতে নেই । গুড নাইট” ।
আচ্ছা । বর্ণা ফোন রেখে দিলো । ও এমন কেন করল ঠিক বুঝলাম না । কাল কেন দেখা করতে বলল ।
কি বলবে ?
আর এভাবে আমার উপর জোরই বা খাটালো কেন ? এই মেয়ে গুলো এতো জটিল হয় । এদেরকে বোঝা আসলেই দায় !
বর্ণাকে সেই ফাস্ট ইয়ার থেকেই চিনি । অন্য সব মেয়ে গুলো থেকে আলাদা । চুপচাপ থাকে কথা বলে কম । প্রথম থেকেই ওকে ভাল লাগতো । সেই ভাললাগা কখন যে ভালবাসায় পরিণত হয়েছে টের ও পাই নি ।
একা একা আর কত দিন থাকবো তাই ঠিক করলাম বলেই দেবো । টুকটাক কথা বার্তা বলতাম ।
কালকে একদম সবার সামনে ওকে প্রপোজ করে বসলাম ।
কিন্তু হায় ও মুখের উপর না বলে দিল । এই মেয়ে গুলো এতো নির্দয় হতে পারে । তারপর রাতে এই ফোন । কিছুই বুঝলাম না । মেয়ে গুলো এমন জটিল কেন হয় !
ওর কথা ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে পড়লাম । সকালে উঠতে হবে ।
মুখে যাই বলি না কেন , ওকে তো পছন্দ করি খুব । ওর কথা কি ফেলা যায় ? কিছুতেই না । দেখা যাক কি বলে ও পরদিন ও আমার আগেই পৌছে গেল ।
আমার যেতে একটু দেরি হয়ে গেল । আমি গিয়ে দেখি ও দাড়িয়ে আছে আমার জন্য । আমি সামনে গিয়ে দাড়ালাম ।
ও কিছু বলতে গিয়েও বলল না । আমাকে নিয়ে রেস্টুরেন্টের ভিতরে নিয়ে গেল । আমি খানিকটা অস্বস্তিতে ছিলাম । সাথে সাথে ভালও লাগছে । ভাল লাগছে এই ভেবে যে এর আগে কথনও বর্ণার সাথে এমন ভাবে দেখা করি নি । বর্ণা আমার দিকে তাকিয়ে আছে ।
আমার চোখে চোখ রেখে বলল “কাল যেটা বললা সেটা কি তুমি সত্যি ফিল কর নাকি এমনি টাইম পাস” ।
“টাইমপাস কেন হবে” ?
বর্ণা খানিকক্ষন আমার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকলো । মনে হল বোঝার চেষ্টা করছে ।
“তাহলে তোমাকে আমার কিছু কথা শুনতে হবে । শুনবে” ?
“শুনবো” ।
“ বল” ।
“তুমি কি আমার উপর রাগ করেছ তোমাকে রিফিউজ করছি বলে” ?
“রাগ করিনি । তবে কষ্ট পেয়েছি” ।
বর্ণা আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিল । হাত ধরতে বলল । আমি টিপটিপ নিঃশ্বাসে ওর হাতে হাত রাখলাম । ওর নরম হাতটা শুধু যেন আমার হাত না আমার বুকের মধ্যে স্পর্শ করল ।
বর্ণা বলল “আই এম সরি টু হার্ট ইউ । কিন্তু কাজটা আমি ইচ্ছে করে করেছি” ।
“ কেন” ?
“কারন নিশ্চই আছে । জানো আবির আমাদের ফ্যামিলি টা খুব বেশি কন্জারভেটিভ । আমার বাবা এই সব প্রেম ভালবাসা এক দম পছন্দ করেন না । আমাকে সেই ভাবেই বড় করা হয়েছে । কিন্তু ...” ।
“কিন্তু কি” ?
“ আবির মন কি এসব মানে বল ? তুমি যেমন আমাকে পছন্দ কর আমিও ঠিক একই ভাবে পছন্দ করি । অনেক আগে থেকেই “।
আমি অবাক হলাম খুব । সত্যি কি তাই ।
“তুমি যখন সবার সামনে আমাকে প্রপোজ করলে আমি যে কি পরিমান খুশি হয়েছিলাম ! কিন্তু আমি যদি হ্যা বলতাম তাহলে কোন না কোন ভাবে কথাটা আমার বাসায় পৌছে যেত । আর বোঝই তো । আমার সব কিছু বন্ধ হয়ে যেত । তুমি নিশ্চই বুঝতে পারছো” ?
“হু”।
কিছুক্ষন আমরা কেউ কথা বলতে পারলাম না । কেবল একে অপরের দিকে তাকিয়ে রইলাম । কিছুক্ষন পর ওর লজ্জা পেল । “কি দেখছো ওমন করে” ?
“ইস আমি আমার গার্লফ্রেন্ড কে দেখছি । যত ইচ্ছা দেখবো” ।
ও আরো লজ্জা পেল ।