প্রধানমন্ত্রীর হাতে জমির দলিল দিয়ে মরতে চান রসুল
প্রধানমন্ত্রীর হাতে জমির দলিল দিয়ে মরতে চান রসুল
মৃধা মোঃ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ
| ২৯ আগস্ট ২০১৭, ২০:৪২ | আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০১৭, ১৩:০৭

বরগুনা পাথরঘাটায় সাগরপাড়ের দরিদ্রপল্লীতে বাস করেন গোলাম রসুল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করাটাই তার জীবনের শেষ ইচ্ছা। বঙ্গবন্ধুপ্রেমী এই মানুষটি আগস্টের শোককে লালন করে আছেন আজও। বঙ্গবন্ধু পরিবারকে ভালবেসে ছেলে-মেয়েদের নাম রেখেছেন হাসিনা, রেহানা, জামাল, কামাল ও রাসেল।
৭০ বছরের বৃদ্ধ গোলাম রসুলের মনের আসা, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য যে জমিটুকু রেখেছেন, সাক্ষাৎ করে সেই জমির দলিল দেবেন। ওই জমিতে একটি ভবন নির্মাণ করার ইচ্ছা তার দীর্ঘদিনের। যেখানে দুর্যোগে মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।


বঙ্গোপসাগরে মোহনা বিষখালী নদীরপাঁড়ে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দরিদ্রপল্লীতে এই বঙ্গবন্ধুপ্রেমীর বাড়ি। ছেষট্টির ৬ দফা এবং আটষট্টির আগরতলা মামলার সময় থেকেই বঙ্গবন্ধুর ভক্ত তিনি। জাতির জনককে ভালবাসেন অন্তর থেকে।
১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু পাথরঘাটা আসলে তার সাথে দেখা হয় গোলাম রসুলের। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনীর বামনার বুকাবুনিয়া ৯ নম্বর সাব সেক্টরের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন তিনি।
পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমানে বৃদ্ধ অবস্থায় পৌরসভা নিজ ওয়ার্ড ৫ নম্বর এলাকার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাড়ির সামনে নিজ ওয়ার্ডে দলীয় কার্যালয় করেছেন তিনি, যা অর্থের অভাবে থেমে আছে।
জানা গেছে, বিএনপির আমলে একাধিক মিথ্যা মামলার শিকার হন তিনি। সেসময় মামলা চালাতে গিয়ে আর্থিক ক্ষতির স্বীকার হতে হয় গোলাম রসুলকে।
বৃদ্ধ অবস্থায় এখন বাড়িতে বসে ফলের গাছ লাগান এবং তার পরিচর্যায় দিন কাটান তিনি। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া মানুষটি এখন আর যেতে পারছেন না বাজার ঘাটে। তার নিজের নামে রেকর্ড করা জমির একটি অংশ রেখেছেন শেখ হাসিনার নামে, যেখানে তার ইচ্ছা একটা ভবন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে।
উপকূলীয় দরিদ্র মানুষেরা যাতে সেখানে প্রাকৃতিক দূর্যোগে আশ্রয় নিতে পারে। গোলাম রসুলের শেষ ইচ্ছা মৃত্যুর আগে হলে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে সেই জমির দলিল তার হাতে দিয়ে আসা।
রসুল জানান, সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল তার। তবে সেসময় এ ইচ্ছার কথা বলা