Discover postsExplore captivating content and diverse perspectives on our Discover page. Uncover fresh ideas and engage in meaningful conversations
এক ছেলে তার বাবাকে বলছে,
সামনের মাসে আমার পরীক্ষার ফলা ফল দিবে।
আমি A+ পেলে আমাকে একটা মটর বাইক কিনে দিতে হবে।
পরীক্ষার ফলাফল যে দিন বের হয় তখন ছেলে খুব খুশী হয়ে
বাবার কাছে এসে বলছে বাবা আমি A+ পেয়েছি।
এইবার কিন্তু আমাকে বাইক একটা কিনে দিতেই হবে।
বাবার চোখে গোপনে কান্না আসলো, ভাবতে লাগলেন কিভাবে ছেলেকে খুশী করা যায়।
এরপর বাবা বললেন,আমি তোমার উপহার
তোমার পড়ার টেবিলের উপর রেখে এসেছি।
ছেলে গিয়ে দেখল একটা বাক্স,
ছেলে ভাবতে লাগল এইটাতে চাবি আছে।
কিন্তু খুলে দেখে এর ভেতরে একটা কোরআন শরীফ।
ছেলে রাগ করে বাবার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিল।
এবং কয়েকদিন পরেই বিদেশে চলে গেল
পড়ালেখা করার জন্য।
বিদেশে যাওয়ার পর বাবার সাথে
কোন যোগাযোগ করে নাই ছেলেটা।
কয়েক বছর পর একদিন কল আসল ছেলেটির কাছে।
জানতে পারল বাবা খুব অসুস্থ, বাবা তার জন্য কান্নাকাটি করে সবসময় ।
কিন্তু ছেলেটি বাবাকে দেখতে যায়নি
কয়েক দিন পর ছেলেটির কাছে আরেকটি কল আসে।
জানতে পারল তার বাবা মারা গেছেন।
বাবা,র মারা যাবার পর ছেলেটি দেশে আসে
কারণ ঘরবাড়ি সব তার নামে করে দিয়ে গেছেন তার বাবা।
এবং এই -সবকিছু তাকেই দেখাশোনা করতে হবে।
তার পর একদিন ছেলেটির তার বাবার কথা মনে পড়ল এবং বাবার ঘরে গিয়ে কাঁদতে লাগল।
হঠাৎ দেখল তার বাবার পড়ার টেবিলে উপরে সেই বাক্স,
যে বাক্স তার বাবা তাকে দিয়েছিলেন উপহার হিসেবে।
ছেলে উজু করে এসে কোরআন শরীফটা
খুলে পড়তে লাগল।হঠাৎ করেই কোরান শরোফের ভেতর থেকে একটা চাবি পড়ল।
প্রথম দিনের চাবি।
এবং একটা চিঠি পেল।
যেখানে লিখা ছিল,
বাবা আমি অনেক খুশি যে তুমি A+পেয়েছ।
আমি চাইব তুমি আল্লাহর পরীক্ষাতেও এই ভাবে A+ পাও।
আর এই চাবিটা হচ্ছে তোমার নতুন মটর বাইকের চাবি,
আমাদের গ্যারেজে রাখা আছে তোমার নতুন বাইক।
ছেলেটির চোখে জল চলে আসলো।
ভাবতে লাগলো আমার বাবা আমার জন্য তখনি বাইক কিনে চাবিটা
কোরআন শরীফে রেখে দিয়েছিলো।
ছেলেটি গ্যারেজে গেল এবং দেখতে পেল
তার সবচেয়ে পছন্দের বাইক সেখানে রাখা।
দেখে কান্না আর ধরে রাখতে পারলোনা।
#১.. মেয়েটা বাস ভাড়া দিতে ব্যাগ খোলার সাথে সাথে ব্যাগ থেকে সিগারেটের প্যাকেট টা টুক করে পড়ে গেলো।
আশে পাশের মানুষের ভ্রু কুচকে তাকালো। এক জন বলেই বসল "কি যুগ পড়ল মেয়েরাও ব্যাগে সিগারেট নিয়ে ঘোরে।"
কেউ জানেনা বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় মেয়েটা ছোট ভাইকে সিগারেট খাওয়ার জন্য থাপ্পড় মেরে সিগারেটের প্যাকেটটা নিজের ব্যাগে রেখেছিলো। রাস্তায় ফেলে দেবে ভেবেছিল কিন্তু বাস এসে যাওয়ায় ভুলে গেছে।
#২.. 40 বছর বয়সী একটি লোক নাইটে ক্লাশ করতে কলেজে এসেছে....
আশে পাশে সবাই যুবক।
একজন মন্তব্য করেই বসলো
"আঙ্কেলদের সঙ্গে আজকাল ক্লাশও করতে হয়!!"
কেউ জানেনা লোকটির বাবা অনেক আগে মারা গিয়েছে। সংসারের হাল ধরার জন্য বড় ছেলে হিসেবে তাকে তখন পড়াশোনা ছাড়তে হয়েছিলো।
এখন এই বয়সে সে আবার লেখাপড়া করার জন্য আর্থিক দিক দিয়ে সক্ষম, তাই আবার পড়াশোনা শুরু করেছে।
কারণ তার পড়তে ভালো লাগে।
#৩.. মহিলাটি লিপস্টিক লাগিয়ে পার্টিতে এসেছে। গতবছরই জোয়ান ছেলে রোড এক্সিডেন্টে মারা গিয়েছে।
চেনা একজন মন্তব্য করে বসলো
"শখ কি রে বাবা। ছেলেটা মারা গেছে…এসেছে লিপস্টিক ঠোঁটে লাগিয়ে !"
কেউ জানেনা। আজকের দিনেই মহিলা তার ছেলের জন্ম দিয়ে ছিলেন॥ পার্টিতে আসার আগে মা ছেলের ডায়েরি বুকে জড়িয়ে অঝোরে কেঁদে এসেছেন। ডায়রিতে যেখানে লেখা ছিলো
"আমার মা খুব সুন্দর… সাজলে মাকে অত্যন্ত সুন্দরী লাগে,আজ আমার জন্মদিন মা কিন্তু একটুও সাজেনি...ভাল্লাগেনা আমার"
#৪.. ছেলেটা ফুল কিনে মেয়েটার হাতে দিচ্ছিলো। পাশ থেকে একজন বলে উঠলো
"ভালোই মানিয়েছে রে!"
কেউ জানেই না মেয়েটা তার নিজের দিদি এবং মেয়েটার আজ চাকরির প্রোমোশন হয়েছে বলে ছোট ভাইয়ের সামর্থ্য অনুযায়ী ঐ ফুলটাই কেনা সম্ভব ছিলো তার পক্ষে।
#৫.. ছেলেটা বন্ধুদের আড্ডায় খুব হাসিখুশি । গত সপ্তাহেই তার প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গিয়েছে।
প্রিয় বন্ধুদের মধ্যে একজন মন্তব্য করে বসলো
"এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলি সব!"
কেউ জানেই না যেদিন তার প্রেমিকার বিয়ে হলো সেদিন থেকে সে এক রাতও শান্তিতে ঘুমায় নি। শুধু কেঁদেছে।
মানুষের সামনে ভালো থাকার মিথ্যা অভিনয়ে সে আজ জয়ী।
#৬.. ছেলেটা খুব রোগা !
একেবারে পেংলা যাকে বলে।
একজন মন্তব্য করলো
"নেশা টেশা করে মনে হয়"
অথচ কেউ জানেই না ছেলেটা ক্যান্সার নামক ভয়াবহ রোগে ভুগছে।
এটাই আমরা । আমি, আপনি, আমরা সবাই । বদলাতে পারিনা নিজেদের কে একটু ! চলুন না, চেষ্টা করি নিজেদের মানসিকতা অল্প একটু বদলাতে, একটু অন্যভাবে ভাবতে !
চলুননা সবসময় পজেটিভ চিন্তা মাথায় আনি.........
মালিকঃ আমাদের দোকানে
যে পচা ডিমগুলো ছিলো,
সেগুলো কে কিনলো??
কর্মচারীঃ লিয়াকত সাহেব।
মালিকঃ গত বছরের পাঁচ কেজি
আটা?
কর্মচারীঃ লিয়াকত সাহেব।
মালিকঃ আর ঐ মেয়াদ শেষ
হয়ে যাওয়া সেমাইগুলো?
কর্মচারীঃ লিয়াকত সাহেবই
সব নিয়ে গেছেন।
এমন সময় মালিকের মুখ কালো
হয়ে গেল।কপাল
দিয়ে ঘাম ছুটতে লাগলো।
কর্মচারী ভয় পেয়ে জিজ্ঞাস
করল-
হুজুর আপনার কি শরীর খারাপ
লাগছে?
মালিকঃ না, লিয়াকত
সাহেবের বাসায় আজ
আমার সপরিবারে দাওয়াত
আছে।