#গল্পঃদুষ্টু_বউ

(৪র্থ ও শেষ পর্ব)
↓↓
লেখকঃ (RK Rasel)
.
--চলে গেছে মানে? (আমি)
.
--হ স্কুলে চলে গেছে। কি নাকি কাজ
আছে।(আম্মু)
.
--আচ্ছা। আমি তাহলে যাই।।
রিক্সা করে স্কুল যাচ্ছি, আজ মনে হচ্ছে
রিক্সা চলছে না।। রাস্তাও বুঝি আর
ফুরোচ্ছে না।। কি কাজ থাকতে পারে
ওর?
না তেমন কোন কাজওতো নেই,, আর
প্রাইভেট স্যারেরতো আজ পড়া নাই।।
তবেকি কারো সাথে দেখা করতে
আসছে,, মেজাজটা বেশ খারাপ হচ্ছে।।
রিকসা থেকে নেমে ভাড়া দিচ্ছি-
.
--মামা এই নাও
.
--কত দিলেন মামা?
.
--কেন ১৫ টাকা
.
--মামা ২০ টাকা তো।।
.
--১৫ টাকা দিছি ওটাই রাখো
.
--মামা আপনে ২০ টাকাইতো দিতে
চাইছেন।।
--দুর রাখো।।
কখনো রিকসা ওয়ালা মামাদের সাথে,
উচু গলায় কথা বলি না, কিন্তু কেন যানি
আজ বকা দিলাম। পরে আবার গিয়ে ৫
টাকা দিয়ে আসলাম।।
ক্লাসে ঢুকে যে সিন দেকলাম তা
দেখে মাথা গরম হয়ে গেলো।।
আমার বউ অন্য ছেলের সাথে হাসি
তামাসা করছে।। কেমন কাছে গিয়ে
কথা বলছে।।
ওদের মাঝেকি তবে কিছু আছে?
ওরাকি তবে একে অপরকে,,,,,
.
না না কি সব ভাবছি আমি, আর ও চলে
গেলেতো আমার খুশি হওয়ার কথা।।
আমার এমন লাগছে কেন।। কেমন যেন
মনে হচ্ছে, যেমনটা প্রিয় কোন জিনিস
হারালে লাগে।। ভাবতে ভাবতে
গিয়ে সান্তাকে ডাকলাম-
.
--সান্তা, শোন
আমার দিকে তাকিয়ে মুখ ঘুড়িয়ে
নিলো,, মনে হলো আমি যেন বিরক্ত
করছি ওকে।।
--সান্তা,, এইদিকে শোন
.
--কি হইছে? (একটু রেগেই বল্লো)
.
--এদিকে একটু শোন
.
--যা বলার এখানেই বল।।
.
--না কিছুনা।।
.
বলেই চলে আসলাম।। আমি কি কম নাকি,
গিয়ে টিনার সাথে আমিও হাসি
তামাশা শুরু করে দিলাম। বেশ অনেক
ক্ষন ধরে হাসি তামাসা করছি কিন্তু ও
কোন রকম রিসপন্স করলো না।। আজ ওর
মাঝে আর রাগ দেখতে পেলাম না। আজ
আর চোখ গরম করলো না, বেশ স্বাভাবিক
ভাবেই বসে আছে।। তবেকি সত্যি ও ঐ
ছেলেটার সাথে কোন রিলেশনে
জড়িয়েছে?
.
কেন জানি আজ আর ক্লাসে মন বসছে না,
যে মেয়ে দিনে অনেক বার তাকাতো
সে আজ ভুলেও একবার তাকায়নি।।
.
স্কুল ছুটির পর বাসায় যাবো, কিন্তু
রিকসা পেলাম না।। তাই দুজন হেটেই
যাচ্ছি আর মাঝে মাঝে কথা বলছি--
.
--ঐ ছেলেটা কে রে?
.
--কেও না
.
--ও,, পছন্দ করিস?
.
--তাতে তোর কি?
.
--না এমনি,, তোদের ভাল মানাবে
.
--জানি,, ও কাল ওর আম্মুকে আমার কথা
বলবে।।
.
--এত ফাষ্ট তোরা?
.
--হুম
.
--আমার উপর রেগে আছিস?
.
--কেন? রাগ করবো কেন?
.
--না, এমনি মনে হলো,, আজ যে বিছানা
ভিজালি না, দুষ্টমিও করলি না।।
.
--কে বলছে করি নি,, আজ ওরে (ঐ ছেলে)
কিল দিছি পিঠে।।
.
--ও,, আচ্ছা তারাতারি হাট
.
কেন যানি খুব খারাপ লাগছে, আজ ও অন্য
কারো সাথে দুষ্টোমি করছে।। কিছু
ভাল লাগছে না।। বলতে ইচ্ছে করছে,
সান্তা তুই আমার সাথে দুষ্টমি করবি, আর
কারো সাথে না।। কিন্তু সে সুযোগটা
হয়তো আর নেই।।
.
বাসায় গিয়ে দেখি খেয়ে দেয়ে দেখি
সান্তা ব্যাগে কাপড় গুছাচ্ছে।।
.
--কিরে কই যাস? (আমি)
.
--কাল বাড়ি যামু
.
--কেন?
.
--তোগো বাড়ি থাইকে তোরে দিসটাব
কইরে লাভ নাই।। কাল আম্মু আব্বু
আসবো।।
.
--তুই কোথাও যেতে পারবি না।
.
--আমাকে যেতেই হবে।।
.
কেন যানি জোর করতে পারলাম না,
কারন এ বাসা থেকে যাওয়ার কারনটা
যে আমি।। খুব কষ্ট হচ্ছে।। বুকের
ভেতরটা কেমন যেন করছে,, কাঁদতে
পারছি না।। আম্মুর কোলে মাথা রেখে
কাঁদতেছি আর আম্মু বলছে
.
--কিরে কি হইছে?
.
--আম্মু অনেক পেট ব্যাথা করছে। (সত্য
কথাটা বলতে পারলাম না যে সান্তার
জন্য খারাপ লাগছে)
.
--পানি দিয়ে ঔষধটা খা।।
.
--না খাবো না, এমনিতেই চলে যাবে।।
.
রাতে আর খেলাম না, শুয়ে পড়লাম।।
সান্তা আমার পাশে আর একটা কম্বল
নিয়ে শুয়ে আছে।। কেও কিছু বলছি না।
অনেক ক্ষন পর আমিই কথা শুরু করলাম।।
.
--সান্তা,,,,,,,,,, ওই সান্তা,,,, ঘুমাইছিস?
.
--কি হইছে বল।।
.
--কালকি সত্যি তুই চলে যাবি?
.
-- হ,, থাইকা কি করুম বল।।
.
--হ তাইতো,,
.
(বলেই কাঁদতে শুরু করলাম)
.
--অই পাগল কাঁদস কেন?
.
--না কাদি না এমনি।
.--কান্না থামা,, আমি কোথাও যামু না,,
ওই পাগল, কান্না থামা
.
--তাইলে ক কাল যাবি না।।
.
--কাঁদলে যামুগা।।
.
--না কাদুমনা।।
.
--তুই একটা পাগল।। তোরে ছাইড়া কই
যামু
.
--হ,,,, সকালে তাইলে ঐ পোলা কেরা
আছিলো।
.
--ও আমার খালাতো ভাই, আমার মেঝ
খালার ছেলে।
.
--আমি কিছু জানিনা, কারো সাথে কথা
বলবি না।।
.
--নিজে যে টিনার সাথে...
.
--তোরে চেতাইবার লিগাই তো।।
.
--হ আমিও বুঝছি, এর জন্যইতো খালাত
ভাই আর আমি মিলা এই প্লেন করছি।।
.
--ইও,, দুষ্টু
.
---না দুষ্টি,,
.
--তাহলে বল আর দুষ্টামি করবি না
.
--না করুম না।।
.
সেদিন একটা কম্বাল ছুড়ে ফেলে দুইজনে
এক কম্বলেরই নিচে,, আমার উপর দিয়ে ও
পা দিয়েছে আর আমি ওর উপর দিয়ে
হাত দিয়ে দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে
শুয়েেআছি। কেন জানি খুব ভাল
লাগছে।।নিজেকে পরিপূর্ন লাগছে।।
যাক বাচা গেলো, কাল থেকে তবে আর
দু্ষ্টোমি করবে না,, আর চলেও যাবে না।
ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লাম।।
সকাল বেলা আবার ওর সেই
চিল্লাচিল্লি শুনে ঘুম ভাংলো।।
.
--আন্টি আন্টি দেখে যাও,,দেখে যাও
আন্টি তোমার ছেলে কি করছে।।
.
--কি করছে মা? ( আম্মু)
.
--এই দেখো আন্টি, তোমার ছেলে আমার
কামিছ পড়ে বসে আছে।।
.
হায় হায় এটা কি হলো, আমি কামিছ
পড়লাম কিভাবে।। হায় হায় ইজ্জত বুঝি
গেলো।। না না এটা আমি পড়ি নি।।
এটা নিশ্চই অন্য কেও করেছে, এটা
নিশ্চই ওর কাজ, মানে আমার "দুষ্টু বউ
"এর।।।
সমাপ্ত
.
(বিঃদ্রঃ বাল্য বিবাহ আইনত অপরাধ।
.
কিছু কথা-- গল্পটার স্থান,কাল, পাত্র, ঘটনা
সবই কাল্পনিক।।তাই কারো সাথে
কিছু মিলে গেলে বা অনুভুতিতে আঘাত
হানলে আমি কোন ভাবেই দায়ী নই।।
বানান সহ বিভিন্ন ভুল ক্ষমা করে
দিবেন)

image

#গল্প:দুষ্টু_বউ (৩য় পর্ব)
↓↓
লেখক: ( RK Rasel)
.
-আন্টি আন্টি দেখে যাও, তোমার ছেলে বিছানা নষ্ট করে ফেলেছে।। এই বুড়া বয়সে।।
--কি করছিস এটা? (আম্মু)
.
--কিছু করি নি তো,,
.
--তাহলে বিছানা ভেজা কেন?
.
-- ও ভিজাইছে।
.
--ও ভিজাইলে ওর জমা ভেজা থাকবো, তোর প্যান্ট ভেজা কেন?
.
-- আন্টি আগে বলতা তোমার ছেলের এ অভ্যাস আছে, তাহলো আমার ভাতিজার পেমপার্স নিয়ে আসতাম,, পড়ে ঘুমাইতো।। (সান্তা)
.
--তুই কিন্তু বেশি কথা বলস (আমি)
.
--ইইইই বিছানা নষ্ট করতে পারবা, কেও বলতে পারবো না।
.
বলতে বলতে দুজনে রুম থেকে চলে যায়, যাওয়ার আগে কি যেন ইঙ্গিত করে সান্তা।। কিন্তু কি তা বুঝলাম না।।
তাহলেকি সত্যি সত্যি বিছানা নষ্ট করে দিলাম,, খাটের তলা থেকে স্যান্ডেল বের করতে গিয়ে দেখি খালি পানির জগ, তার মানে বজ্জাতটার কাজ।।
কিসের পাল্লায় পড়লামরে ভাই।।। ভাবতে ভাবতে গোসল করে স্কুলের জন্য রেডি হতে হতে
৮.৩০ বেজে গেছে। । বিয়ের পর প্রথম স্কুল আজ।।
দুইজনে রিকসায় যাচ্ছি।। রিকসাটাও যেন ওর দখলে।। কোন রকম একটু বসে যাচ্ছি আর রিকসাওয়ালা বল্লো।।
.
--মামা গালফ্রেন্ড নাকি?
.
--গালফ্রেন্ড হলেতো ব্রেক আপ কইরা বাইচাই যাইতাম।। (আমি)
.
--তাইলে কি?
.
--এইডে আমার দজ্জাল বউ।।
.
--অই তুই আমারে দজ্জাল কইলি কেন?(সান্তা)
.
--তোরে কি কইবো?
.
--মামা কওতো আমার মত সুন্দরি মেয়ে ওর মত বাদর মার্কা পোলায় পাইবো?
.
. (রিকসাওয়ালা আমাদের দিকে ঘুড়ে তাকিয়ে)
.
--না পাইবো না।
.
হায়রে কপাল, রিকসাওয়ালা মামাও ওর পক্ষ নিলো। কোথায় যাবো।। নাহ আর না ওরে আমি মজা দেখাবো।।
.
--অই তুই ঐ মায়ার দিকে তাকিয়ে ছিলি কেন?
--কই নাতো।।
.
-- হ তাকিয়ে ছিলি। দেক কারো দিকে তাকাবি না, নইলে তোর খবর আছে।।
.
আমি অন্য কারো দিকে তাকালে অনেক রাগ করে,, তাহলে অন্য কারো সাথে প্রেম করতে দেখলে কি অবস্থা হবে।। ও ইয়েস,, দাড়াঁও মেয়ে তোমার প্রতিষোধ নিচ্ছি।।
.
স্কুলে সেরা ১০ সুন্দরিদের মধ্যে ও নিজেও আছে। আর কাটা দিয়েই কাটা তুলতে হবে।।। টিনাও সেরা সুন্দরিদের মধ্যে ১ জন।। তবে টিনার সাথে আজ থেকে প্রেম করবো,, টিনা আমাকে আগে থেকেই পছন্দ করে। ওর সাথেই রিলেশন করবো।। এ মেয়ের সাথে সংসার করা যাবে না।
.
স্কুলে গিয়েই টিনার সাথে ঘেসে ঘেসে কথা বলছি, আর হাসাহাসি করছি দুজন।। আরেক জন লুচির মত ফুলতেছে।। এটাইতো চেয়েছিলাম।। যাক বাচা গেছে স্কুলের কেও জানে না যে আমাদের বিয়ে হইছে।।
.
স্কুল ছুটির পর আবার রিকসায় বাড়ি যাচ্ছি,, কিন্তু এবার আর কথা নেই।।মাথা নিচু করে বসে আছে।। বাসায় গিয়েই আম্মুকে বলছে।।
.
--আন্টি আমি বাসায় যাবো।।
.
--কেন বাসায় যাবে কেন? তোমার আব্বু আম্মুতো হজ্জ থেকে আসে নি।। তুমি একা বাড়িতে। না না এখানেই থাক।।
.
--না আন্টি আমি বাসায় যাবো..
.
-- পাজিটা কিছু করছে?
.
--না
.
-- বকছে?
.
--না,, এমনিতেই বাসায় যাবো।।
.
--কোথাও যাওয়া হচ্ছে না।। কাপড় ছেড়ে গোসল করে খেতে আস।।
.
আম্মুর কথায় বাধ্য হয়ে থাকছে।। আমার কি, গেলে ভাল হতো বেঁচে যেতাম।। সাবধানে থাকতে হবে, আবার কোন মতলব আটছে জানিনা।।
.সেদিনের মত রাতে খেয়ে দেয়ে ঘুমাতে গেলাম। খেতে বসে ওকে দেখা যায় নি,, রুমে এসে দেখি ও আলাদা কম্বল নিয়ে শুয়ে আছে।। আজ কম্বল ভিজায় নি, কোন মতলবও করে নি।। যাক বাবা আজ শান্তিতে ঘুমানো যাবে।। কিন্তু ঘুম যেন আসছে না।। দুষ্টমি করলো না কেন? ওর দুষ্টমিতে একটু একটু রাগ হলেও বেশ ভালই লাগতো।। আজ ভাললাগাটা মিছ করছি।।
আজ আর ঘুম আসলো না। মধ্যরাত হয়ে গেছে কিন্তু ঘুম আসলো না।। আজ ওর পাঁ'টাও আমার উপর দিয়ে দেয় নি।। আমার উলটো দিকে মুখ করে শুয়ে আছে।। যাক বাবা ঘুমাই সকাল সকাল ওর আগে উঠতে হবে নইলে আবার কোন কান্ড করে বসবে।।
.
সকালে উঠতে উঠতে তাও ৮টা বেজে গেছে।। কাজ সেরেছে আজ আবার কি করেছে,, বিছানা চেক দিলাম, না ভেজা না।। আয়নার সামনে গেলাম, না মুখেও কিছু নেই।। কেন জানি খুব খারাপ লাগছে।। মনে হচ্ছে কি যেন নেই।। সবকিছুর মাঝেও কি একটা যেন নেই।। ভাবতে পারছি না।।
.
গোছল করে স্কুলের জন্য রেডি হয়ে ৯ টায় নাসতা করতে বসছি। কিন্তু ওকে দেখলাম না।। কেন যেন খুব জানতে ইচ্ছে করছে দুষ্টুটা কোথায়।।
.
--আম্মু,,
.
--কি বল?
..
--না কিছু না।।
.
--ওকে খা,,
.
--আম্মু, সান্তা কই? দেখছি না যে।
.
--ও তো চলে গেছে...
↓↓
চলবে..................
(দুঃখিত, গল্পটা দেরিতে দেয়ার জন্য। আমি একটু অসুস্থ। পরের পার্ট শিঘ্রই দেয়ার চেষ্টা করব।)

image

#গল্প_দুষ্টু_বউ (২য় পর্ব)
↓↓
লেখক: RK

কি করবো কিছুই বুঝতেছি না, আম্মু ওর
হাতে মানে ক্ষমতা ওর হাতে।।
জোট সরকারকে আমি বিরোধী দল কি
করতে পারবো।
কিন্তু করতে হবে, ভাবতে ভাবতে
মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি এলো। এক গ্লাস সরবত
বানিয়ে নিয়ে গেলাম।-
.
-সান্তা, সান্তা
.
-ওই আমার নাম ধরে ডাকলি কেন?
.
-তুইনা আমার আদরের বউ।
.
-বাহ বা,, এত পীরিত,, নিশ্চই কোন মতলব
আছে
.
-তুইযে কি বলিস, মতলব করবো কেন,
তাছাড়া তোরে সেই কবে থেকেই আমার
ভাল লাগতো, তোর দিকে তাকিয়ে
থাকতাম। (পুরাই ফাপড়)
.
-ওই মুখ ছুটাইস না, তুই তাকাইতি
শ্রাবণীর দিকে।।
.
(এই মেয়ে দেখি আমাকে আগে থেকেই
ফলো করছে, ফাপর দিয়েও কাপড়
ছিড়লো না।। উলটা ধরা খেলাম)
.
.-দুর কি যে বলিস, তুইতো আমার সব,
আমার আদুড়ি।
.
--হইছে হইছে কি করতে হইবো সেটা
বল।।
.
- এই সরবতটা খা।। তোর জন্য বানিয়ে
এনেছি।।
.
--এত ভালবাসিস আমাকে?
.
-হুম, তুই বুঝিস না?
.
-হুম বুঝছি। দে গ্লাসটা
(গ্লাসটা নিয়েই চিল্লাতে থাকে,)
.
--আন্টি, আন্টি,, আন্টি,,,,
.
-- আন্টিরে ডাকস কেন,, ওই থাম থাম
আম্মুরে কেন?
.
--কি হইছেরে মা? ( আম্মু)
.
--আন্টি, তোমার ছেলে আমারে কি যেন
খাওয়াইতে চাইছিলো, এই সরবতে
মিসেয়ে
.
--সত্যি? ছিজান বল এমন করেছিস?
.
-- না আম্মু কিছু নাই ওটায়।।
.
--তাহলে তুই খাঁ।।
.
(এই সেরেছে,, এটা খেলেতো টয়লেটে
গিয়ে বসে থাকতে হবে)
.
--না আম্মু একটু আগে অনেক পানি
খেলাম।।।
.
-আন্টি খাবেনা দেইখেন।। কার এডের
ভিতর কিছু দিছে।।
.
দুই জনের চিল্লা চিল্লিতে সরবতটা
বাধ্য হয়ে খেলাম।। খাওয়ার
ঘন্টাখানেকের মধ্যে একশন শুরু।। গুনে
গুনে ১৭ বার টয়লেটে যাই।। শেষবার
টয়লেটে যাওয়ার আগে দেখি টয়লেট
তালা দেওয়া।। আম্মুও পাশের বাড়ি
গেছে।। নিশ্টই এটা বজ্জাত মায়াটার
কাজ।।
.
-ওই বাতরুমে তালা দিছে কে? (আমি)
.
-আমি।
.
-তুই ভয় পাসনা আমারে? আবার বলস
"আমি"
.
- তোরে? আর ভয়? হি হি হি
.
-হাসি থামা আর চাবি দে।
.
-না,, চাবিও দিমু না হাসিও থামামুনা,,
হি হি হি, হো হো হো।। (আরো যেন
বেশি হাসি শুরু করলো, এদিকে আমার
যায় যায় অবস্থা)
.
-দেনা চাবিটা?
.
-তাইলে ক আর আমার পেছনে লাগবি না
.
--আইচ্ছা, এবার চাবিটা দে
(পেটে খুব গন্ডগোল করছে। মনে হয়
প্যান্ট নষ্ট হয়ে যাবে।।)
--এই নে এবারের মত দিলাম,, আমার
সাথে লড়তে আইলে তোর অবস্থা খারাপ
করে ফেলবো।।
.
চাবিটা নিয়ে বাতরুমে, গেলাম ইস
আরেকটু দেরি হলে প্যান্ট নষ্ট হয়ে
যেত।। মেয়েটাকে জব্দ করতে হবে।।
আজ বাতরুমে যেতে যেতে অবস্থা
শেষ।। দাড়াঁবার শক্তি পাচ্ছি না।।
ভাবতেছি আর মনে মনে বলছি-সখী
রাতে আসো দেখাবো মজা।।। বাতরুম
থেকে বের হয়ে দেখি ও দাড়াঁনো।।
.
--ভিতরে বইসে বইসে কি ভাবলি,,
আমারে জব্দ করবি?
.
--না না, তা কেন,,, (ও জানলো কেমনে
আমি বসে বসে ওকে জব্দ করার কথা
ভাবছি,, মেয়েটাকি তবে কালা জাদু
জানে?)
.--দেক আমার সাথে পাঙ্গা লবি না।।
মায়া মানুষের সাথে পাঙ্গা লইলে তার
ফল ভাল হয় না।।
.
--থাক বাবা, তুই তোর মত আমি আমার
মত।।
.
--জি না,, আমি যা বলুম তোরে তা শুনতে
হইবো।।
.
--ইস আমার ঠেকা পড়ছে!!
.
-করবি নাতো? ঠিক আছে তোরে দেখে
নেবো।।
.
সেদিন রাতে বসে খাচ্ছি সবাই,
খাবারটা বেশ মজা হইছে।। আহ কি মজা,
গরুর মাংশটা বেশ হইছে।। তাই আম্মুকে
জিজ্ঞাস করলাম-
.
-আম্মু গরুর মাংশ কে রান্না করছে?
.
-সান্তা,, কেন?
.
-একটুও মজা হয় নাই। (মজা কিন্ত ঠিকই
হইছে, বাট উলটা টা বল্লাম,, বলতে
চাইছিলাম মজা হইছে বাট ও রান্না
করছে তাই বল্লাম মজা হয় নাই )
.
-মজা হয় নাই? কাওরে খাইতেতো কেও
জোর করতাছে না।। আন্টি আপনার কেমন
লাগছে?
.
-- হুম, অনেক মজা হইছে।। (আম্মু)
.
--আন্টি তোমার মজা লাগলেই হইবো।।
.
মজার মাংশ প্লেটে রেখে উঠতে ইচ্ছে
হচ্ছিলো না। কিন্তু ইজ্জতের একটা
ব্যাপার সেপার আছে। উঠে রুমে
গেলাম।। আজ নিজের কম্বল আলাদা
এনেছি। আজ আর আমাকে জ্বালাতে
পারবে না।।
.
কিন্তু যা ভাবলাম তার উলটোটা হলো।।
ও জগ দিয়ে পানি আনলো। ভাবছিলাম
আমার কম্বলটা ভিজাবে।। একি সে
নিজের কম্বলটাই ভিজালো। আবে মায়া
নিজেরটা নিজেই ভিজাইলো, মাথা
খারাপ হইলো নাকি। যাইহোক আমারটা
ভিজায় নি তো।।
.
কম্বল ভিজিয়ে বাইরে চলেগেলো।।
এবার দেখি আম্মুকে নিয়ে এসে
রিপোর্ট-
.
--আন্টি দেখো তোমার ছেলে কি করছে?
.
--কি করছে?
.
--আমার কম্বলে পানি ঢেলে দিছে।।
.
(বলেই নেকা কান্না শুরু করছে, আর
আমাকে লুকিয়ে, লুকিয়ে ভেঙাচ্ছে।।
আল্লাহ কোথায় এসে পড়লাম।।)
.
-- আম্মু আমি ভিজাই নি, ও নিজেরটা
নিজেই ভিজাইছে।।
.
---থাক, আর বলতে হইবো না।। যা দুইটায়
এক কম্বল নিয়েই ঘুমা।।
.
কিছু করার নেই, একই কম্বলের নিচে
দুজনে শুতে হলো কিন্তু কম্বলটা কালকের
মত আবার নিজেই দখল করে নিলো।।
আম্মুকে ডাকতে চাইলাম
.
--আম্মু, আম্মু
.
-বুইড়া পোলা আম্মুরে কেন?
.
-দেখামু কতটুকু কম্বল দিছস।।
.
--ও তাই,, দাঁড়া দেখাচ্ছি মজা,, তোর
কষ্ট করা লাগবেনা আমিই ডাকি।।
আন্টি আন্টি
.
--অইে চুপ চুপ।। আর করুম না
.
--কানে ধর
.
--না,,
.
-- আন্টি,,,,
.
- ধরছিতো,,
.
--এবার ঘুমা।। কিছু করার চেষ্টা করবি
তার ফল ভাল হবে না।।
কিছু বল্লাম না, ঘুমিয়ে পড়লাম।। সারা
দিনের ধকলে শরির ক্লান্ত থাকায়
ঘুমিয়ে পড়লাম।
.
প্রতিদিনের মত আজও মাঝরাতে ঘুম
ভেঙে যায়।। ঘুম ভাংতেই দেখি তার
একটা পাঁ আমার উপর দিয়ে ঘুমাচ্ছে।।
ইচ্ছে হচ্ছে পাঁ টা ভেঙে দেই।। কিন্তু
শত হলেও আমার বউতো।। তাই আমিও ওর
উপর হাত দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।। সকাল
বেলাই ওর চিল্লাচিল্লি শুনে ঘুম
ভাংলো,।। আম্মুকে ডাকছে-
.
-- আন্টি, আন্টি দেখে যাও তোমার
ছেলে কি করছে।।
.আবার কি করলাম,
আবার কোন মতলব আটলো দুষ্টুটা?
↓↓
চলবে...................

image

#গল্পঃঃদুষ্টু্_বউ
↓↓
লেখক: RK
.
আম্মু আম্মু ঐ মেয়েটা নাকি আমার সাথে
শুবে।।
আমার বিছানায়। কেমন লাগে বলো।।
এমনিতেই আমার রাতে লুঙ্গি ঠিক
থাকে না, তার উপর আবার এই মেয়ে যে
দুষ্টু।। না না আম্মু, আমার রুমে আমি একা
থাকবো।।
.
তখন থেকে আমি আম্মুকে বলেই যাচ্ছি,
বলেই যাচ্ছি কিন্তু আম্মু কিছু বলছে না।
শুধু মুচকি মুচকি হাসছে।।
বিরক্ত হয়ে শুতে আসলাম।।
কিন্তু সেই মেয়েটা আমার বিছানা দখল
করে আছে।। কি পাজিরে ভাই, কিছু
বল্লেই সাপের মত ফনা তুলে। কিছু
বলতে পারি না।
না জানি কি করে বসে।। কিছু বলার
আগেই আন্টি আন্টি করে আম্মুকে ডাকে।
আর কি সব বানিয়ে বানিয়ে বলে আম্মুর
হাতে আমাকে জব্দ করে।।
এই পাজি মেয়েটাকে আম্মু আমার গলায়
ঝুলিয়ে দিয়েছে।।
.
একদিন যেই ক্লাসে একটু কলম
চেয়েছিলাম বলে কেমনই না করলো।।
আমাকে সারা ক্লাস ভেঙিয়েছে।।।
.
আম্মুযে কি করলো, পাজি আর ফাজিল
মেয়েটারে আমার গলায় ঝুলিয়ে
দিলো।
.
.ক্লাসের সবাই যদি জানে আমাদের
দুজনের বিয়ে হইছে, তবেতো শেষ।। তার
উপর আবার আমি মাত্র ১৬ বছর বয়সি। এত
পিচ্চি বয়সে বিয়ের কথা বল্লে কেমন
যেন হাসে।। যাইহোক
সাত পাঁচ না ভেবে ওকে ডাকলাম।।
.
-ওই শোন।
.
-কি হইছে? (এমন ভাব নিলো যেন রুমটা
ওর)
.
-আমার রুমে, আমারই বিছানায় শুয়ে
বলছো কি হইছে?
.
-তোর রুম,? তোর বিছানা? নাম লেখা
আছে?
.
-নাম লিখা লাগবে না, এগুলো আমার
.
- বল্লেই হলো আমার,, এগুলো আমার, আমি
আগে শুইছি আমার।।
.
কিসের পাল্লায় পড়লামরে বাবা, আমার
বিছানা দখল করে, বলছে তার
বিছানা।।
এই ছিলো আমার কপালে। বাসর রাতে
নাকি কত রোমেন্টিক কথা বার্তা বলে,
বউ আর বর।।
আমার বউ, ইস যেন ধানি লঙ্কা।।
কি আর করার, শীতের ভেতর ছোট লেপটা
নিয়ে পাশাপাশি শুয়ে আছি, কিন্তু
লেপটা যেন তার একাই লাগবে।। টেনে
পুরোটা নিজেই দখল করে রেখেছে।
তাই বিরক্ত হয়ে বল্লাম-
.
-দেখ ভাল হচ্ছে না কিন্তু
.
-অই অই তুই আমারে কি ভাল দেখাবিরে?
.
-তোরে ধইরে পিটামু।
.
-ইইইইইইই,,, আইছে বীরপুরুষ,,রাত্রে নিজের
লুঙ্গি ঠিক রাখা পারে না, আসছে
আমার সাথে পাঙ্গা লইতে।।
কিছু বল্লাম না, এ মেয়ে দেখি সবই
জানে, ইজ্জতের ১২ টা বাজিয়ে দিবে
নইলে।।
ঘুমানোর চেষ্টা করছি আর ভাবছি,,
১৬ বছরে কোন ছেলে যেন বিয়ে না
করে নইলে আমার মত ফাইসা যাইবো।।।
.
মাঝরাতে কেনযানি ঘুমটা ভেঙে যায়।
ঘুম থেকে উঠে দেখি ও ঘুমিয়ে আছে,
এলোচুলে যেন ওর প্রতি কেমন যেন
একটা আকর্ষন হচ্ছে,, ইচ্ছে করছে ওর এলো
চুল গুলো ঠিক করে দিই।।
ডিম লাইটের আলোতে, ওকে যেন সর্গের
পরীর মত লাগছে।।
আমি ছুয়ে দিতেই, চ্যা চ্যা করে
চিল্লায় ও।।
.
--অই অই মায়া মানুষের শরিরে হাত দেস?
আন্টি আন্টি..
(বলতে বলতেই চেচায়, আমি হাত দিয়ে
মুখটা চেপে ধরতেই সজরে কামড় বসিয়ে
দেয়।।)
--মা গো বাবা গো,,, আমাকে কামড়
দিয়ে মেরে ফেল্লো গো।।
এবার ও আমার মুখ চেপে ধরে। আমি কিছু
বল্লাম না।।
.
--কিরে কামড় দিবি না? (ও)
.
-না দিবো না,, আমি তোর মত ফাজিল
না।।
.
--আমি ফাজিল হইলে তুই ফাজিলের
জামাই,, হি হি হি
.
-হাসিছ না হাসিছ না, হাতটা জইলে
গেছে
.
--কই দেখি দেখি
.
---না দেখা লাগবো না, কামড় দিয়া অহন
আবার ঢং
.
-কি আমি ঢং করি?
.
-তা নাইলে কি,, যা ঘুমা আমারেও
ঘুমাইতে দে।।
.
সেদিনের মত ঘুমিয়ে পড়লাম, সকালে
ঘুমথেকে উঠে দেখি, পাজিটা
ঘুমাচ্ছে।। ইচ্ছে হচ্ছিলো পাতিলের
তলাটা ঘষে সাদা মুখটা কালো করে
দিই। কিন্তু দিলাম না।।
ঘড় থেকে উঠে আমার নিত্য দিনের
অভ্যাস সূর্যটা দেখা, তাই দেখতে
বেরুলে, সবাই আমার দিকে তাকিয়ে
হাসে। কিছু বুঝে উঠার আগে তুমুল
হাসি।। অতিপতি করে আয়নার সামনে
গিয়ে দেখি! গালে পাওডার, ঠোঁটে
লিপিষ্টিক, কপালে টিঁপ। এগুলো
বজ্জাতটার কাজ।। বজ্জাত মেয়েটার
আজ খবর করছি,, আজ ওর একদিন কি আমার
একদিন।। বলতে বলে বেশ রেগে মেগেই
রুমে গেলাম কিন্তু কোথাও খুজে পেলাম
না।। শেষে দেখি আম্মুর পেছনে গিয়ে
লুকিয়েছে।।। একি সর্বনাস হলো আমার।
আমার আম্মুটাকেও দখল করে ফেলেছে।।
এ মেয়েকে যে করেই হোক দ্রুত
তাড়াতে হবে।।
.
চলবে............

# পচা বউ #
.লেখক,,, RK Rasel
.
: এই যে শুনছেন,,,,,, এই
: হুম ডিস্টার্ব করিস নাতো রাব্বি আজ অফিস যাবো না।
: এই কি বললেন আপনি। আর রাব্বিকে? সকাল হতে না হতেই বউকে ভুলে গেলো
: ওহহ সরি,,,,, আপনি,,,,, না মানে হয়েছে কি,,,,
.
: কিছুই হয় নাই। আগে বলুন রাব্বি কে।
: ওহহ,,, রাব্বি আমার রুম মেট। যার সাথে একি মেসে থাকতাম। প্রতিদিন অফিস যাবার জন্য ওই আমাকে ডেকে দিতো তো। তাই আজো রাব্বিকেই ভেবে ছিলাম।
: বউ আর রুম মেট কি এক,,,,,
: না মানে অনেক দিন মেসে ছিলাম তো,,,,, সরি।
: হিহিহি। মেসে থাকা ছেলো গুলো বুঝি তার বউকে প্রথম প্রথম রুমমেট ভাবে।
: হতে পারে।
.
: নাস্তা করবেন না।
: হ্যা করবো। আপনি কি নাস্তা করেছেন।
: না,,,,, আমি রান্না করতে পারি না তাইতো আপনাকে ডাকলাম,,,,, খুব ক্ষুধা লাগছে।
: (কয় কিরে) তার মানে আমি নাস্তা বানাবো?
: জী। আপনি ছাড়াতো আর কেউ নাই বাসায়।
: রান্না শিক্ষতে পারেন না।
: ছিঃ এত কষ্ট করে রান্না শিক্ষতে যাবে কে।
: মেয়েদের রান্না শিক্ষতে হয়।
.
: এটা কোন হাদিসে লেখা আছে যে মেয়েদের রান্না শিক্ষতে হবে।
: না মানে কোন হাদিসে নাই। তবে এটাই নিয়ম। বউরা রান্না করবে বররা খেয়ে অফিসে যাবে। আপনি বাংলা সিনেমা দেখেন নি।
: আমি এসব আজগবি নিয়ম মানি না। আর এখন ঝগড়া করতে পারবো না। কিছু একটা বানান, আমার ক্ষুধাতে পেট চোচো করছে।
: চলুন আজকে আপনাকে নাস্তা বানানো শিক্ষাচ্ছি। কাল থেকে নিজেই বানিয়ে নিবেন।
.
: বয়েই গেছে আমার শিক্ষতে। প্রতিদিন আপনি নাস্তা বানিয়ে দিয়ে যাবেন। দুপুরে হোম ডেলিভারিতে খাবার পাঠাবেন, আর রাতে এসে রান্না করবেন।
: মারডালা।
: কি বললেন?
: না মানে বললাম রুটিন টা খুব ভালো।
: ভালো না খারাপ জানি না। ক্ষুধা লাগছে আমার। এমনিতেই রাতে শরীরের উপর দিয়ে সিডর গেছে। এখন বেশি কথা বললে একদম মাথা ফাটিয়ে দিবো।
.
: তার দরকার হবে না। যাচ্ছি।
.
.
সালার এ কোন মেয়েকে বিয়ে করলাম রে বাবা। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই রান্না ঘরে পাঠিয়ে দিলো। এত যাবত দেখে এসেছি বউরা রান্না করে বরের জন্য। কিন্তু আমার বউ দেখছি আমাকে দিয়েই রান্না করিয়ে নিচ্ছে।
.
চাকুরীজীবী মানুষ বিয়ে করে বউয়ের হাতের রান্না খাবার জন্য কিন্তু এই মেয়েকে নাকি আমারই রান্না করে খাওয়াতে হবে। এর থেকে তো মেসেই ভালো ছিলাম। কেন যে বিয়ে করতে গেলাম। আল্লাহ তুমি কেনো বিয়েটাকে ফরজ করে দিলা।
.
.
মনের দুঃখ মনে রেখে সারা জীবনের বউয়ের হাতের সুস্বাদু রান্না খাবার স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে নাস্তা করে, গেলাম অফিসে। দুপুর বেলা অনলাইনে অর্ডার দিলাম মহারানীর খাবার বাসায় পৌছে দেবার জন্য। অফিস শেষে বাসায় এসেছি,,,, একটু ফ্রেস হয়ে রেস্ট নিবো। কিন্তু তা আর হলো না।
.
আবার রান্না ঘরে যেতে হলো। কারন মহারানী না খেয়ে আছে। পিয়াজ কাটার ঝাঝ, ক্লান্তি আর মনের দুঃখে চোখের জল নাকের জল এক হয়ে গেলো। কোনটা দুঃখের জল সেটাই বুঝতে পারছি না।
.
এ কোন ডেন্জারাস মেয়ের পাল্লায় পরলাম রে বাবা। আগে কত মধুর স্বপ্ন দেখতাম। আমি অফিস থেকে ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরবো আর আমার বউটা আমার পছন্দের রান্না করে আমার জন্য বসে থাকবে। সারাদিনের ক্লান্তি ঝেরে ফেলে বউকে নিয়ে শান্তিতে খাবো। কিন্তু সব স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিনত হলো।
.
আমার মত একটা নিরীহ ছেলের পাল্লায় কেন যে আল্লাহ এমন ডেন্জারাস মেয়ে জুটালো।
.
.
সব ভাবনার ছেদন ঘটলো,,,, মহারানীর ডাকে,,,
.
: এই রান্না হয়নি। আমি ঘুমাবো। সারাদিন টিভি দেখছি। আমি অনেক ক্লান্ত।
: হচ্ছে একটু দারান
: দারাতে পারবো না। বসে বসে টিভি দেখছি। পা ব্যাথা করছে।
: পাও টিপে দিতে হবে নাকি।
: হুম। দিলে খুব ভালো হতো।
: ওকে রান্না টা শেষ করি।
.
.
সালার পোড়া কপাল। সারাদিন টিভি দেখে নাকি তিনি ক্লান্ত। আর আমি মহিষের মত কাজ করলাম অফিসে বসের গুতা খেয়ে। তাহলে আমার কি অবস্থা। আল্লাহ যে কোন পাপের শাস্তি আমায় দিচ্ছে তা জানি না। মনে হচ্ছে খাবারের সাথে বিষ ঢেলে দিয়ে মেরে দেই আপদ টাকে।
.
.
.
(৭ দিন পর,,,,,,)
অফিস থেকে বাসায় ফিরার জন্য বাসে বসে আছি। জীবনটা তেনা তেনা হয়ে গেছে এই ৭ দিনে। আমার অবস্থা এখন মাছের কাটা গলায় বিধার মত। না পারছি গিলতে না পারছি ওগলাতে।
.
বউ নামের এই আজব প্রানীটা আমার জীবন শেষ করে দিলো। বাথরুম পরিষ্কার থেকে শুরু করে কাপড় কাচানো প্রর্যন্ত সব কাজি আমার থেকে করে নিয়েছে। আমার এতই খারাপ অবস্থা যে বন্ধুদের সাথে শেয়ারো করতে পারছি না কিছু। শেয়ার করলে আমি হাসির পাত্র হয়ে দারাবো সবার কাছে।
.
মাঝে মাঝে মনে হয় বাড়ি ঘর ছেরে বনবাসে চলে যাই। সেখানে গিয়ে গাছের উপর বাড়ি বানিয়ে থাকবো। সাপ, ব্যাঙ, পোকামাকড় ধরে ধরে খাবো। গাছের পাতা পড়ে থাকবো। আর রাত হলে গাছে চড়ে ঘুমাবো। সেখানে না থাকবে বসের ঝারি, না থাকবে বউয়ের প্যারা। ইফফ জীবন টা পুরাই তেজপাতা হয়ে গেছে।
.
.
.
এসব বাসে বসে ভাবছিলাম। আর তাই বাস থেকে শ্যামলিতে নামার কথা থাকলেও তা পারকরে কখন যে যাত্রাবাড়ি পৌছে গেছি তা খেয়াল করিনি। বাস থেকে নেমে দেখলাম আমি যাত্রাবাড়িতে। তাই অগত্যায় লেগুনাতে চরে ফিরে আসলাম শ্যামলিতে। আজ এসব কারনে বাসায় আসতে ১ ঘন্টা লেট হইলো। না জানি কোন ঝর আজ আমার জন্য অপেক্ষা করছে।
.
নিজের বাড়ির কলিং বেলটাকে যেনো যমের দরজার কলিং বেল মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে টিপ দিলেই যম দরজা খুলে আমার যান কবজ করে নেবে।
.
.
সব ভয় কে পকেট বন্দি করে কলিং বেল চেপে একটা সাইক্লোনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। দরজাটা খুললো ঠিকি তবে প্রত্যাশার সেই ঝরটা হলো না। মহরানী হাসি মুখেই বললো।
.
: আজ এত দেরি হলো যে?
: না মানে জ্যাম ছিলো (মিথ্যা কথা)
: ওহহ। ভিতরে আসছো না কেনো।
: ওহহ,,, আসছি।
: শার্টটা খোলো গন্ধ লাগছে।
: ওহহ তাইতো।
: যাও ফ্রেশ হয়ে আসো।
.
: (এত ভালো ব্যবহার ) ও আপনি খাইছেন।
: না। আপনার অপেক্ষায় বসে ছিলাম।
: ওহহ। ওকে ফ্রেশ হয়ে খাবারের ব্যবস্থা করছি।
.
.
সালার কি বউ মাইরী। দেরি করে আসছি। আজকের দিনটা নিজে রান্না করলেই পারতো । তা না করে আমার মাথা খাবার জন্য বসে আছে। গোসল করলাম আর গালি দিয়ে বউয়ের গুস্টি উদ্ধার করলাম। গোসল শেষে রান্না ঘরে যাবো। কিন্তু মহারানীর ডাক পরলো।
.
: এই যে শুনেন। এদিকে আসেন।
: কি, কিছু বলবেন।
: বসেন আজ আপনার প্রিয় গরুর মাংস আর বিরয়ানী রান্না করছি।
: হ্যা
: রান্নারর বই দেখে দেখে আর আম্মুর হেল্প নিয়ে রান্না করছি। জীবনে প্রথম কারো জন্য রান্না করলাম। খারাপ হলে আমাকে বকবেন না কিন্তু।
: হ্যা।
.
: কি পাগলের মত হ্যা হ্যা করছেন। খাওয়া শুরু করুনতো। আমিও খাবো খুব ক্ষুধা লাগছে।
: (মুখে দিলাম ১ নলা) খুব সুন্দর হইছে।
: এখন থেকে রোজ আমি রান্না করবো। আসলে কখনো বাসার কোন কাজ আম্মু করতে দেয়নি তো। তাই কোন কিছুই পারিনা। আপনি আমাকে সব কাজ শিখাই দিয়েন কেমন। আর ভুল হলে বকবেন না কিন্তু।
: ঠিক আছে।
: আর এই কদিনের জন্য সরি। আসলে আমি বরের সাথে একটু দুষ্টামী করবো। এটা অনেক দিনের স্বপ্ন ছিলো। তাই এমন করছি । আজ থেকে আমি লক্ষী বউ হবো।
: আচ্ছা একটা কথা বলি।
.
: জী বলেন
: আমি স্বপ্ন দেখছি নাতো। কেন জানি মনে হচ্ছে আমি স্বপ্ন দেখছি। ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে জীবনটা আবার অসয্য হয়ে যাবে।
: পাগল স্বপ্ন দেখবেন কেনো।
: আমাকে একটা চিমটি দাওতো দেখি, স্বপ্ন না বাস্তব।
: উম্ম,,,, ওকে।
: অমাগো। এত জোরে কেউ চিমটি দেয় বরকে। পচা বউ।
: হিহিহি,,,,,, পচা হই আর যাই হই,,,,, আমিতো আপনারি....
:হুম,,,,আমারই.......

(((আর নাই শেষ)))

♥ভালোবাসার গল্প♥
#গল্পঃ "বউয়ের অভিমান"
#Writer→ ღRK Raselღ
বউ বাপের বাড়ি গেছে। এমনি এমনি যায় নাই, রাগ করে
গেছে। অবশ্য রাগ করার যথেষ্ট কারণ আছে। গত ৩ সপ্তাহ
হল তার বাইনা, তাকে নিয়ে বাইরে ডিনার করতে হবে।
আর আমি আজ নয় কাল বলতে বলতে ৩ সপ্তাহ কাটিয়ে
তার ধৈর্যের বাধ ভেঙ্গে ফেলেছি। বউটা রাগি, কিন্তু
এতটা রাগি না যে, আমার উপর রাগ করে বাপের বাড়ি যাবে!
ঘটনায় আসা যাক।
আজ সকালে অফিসের উদ্দেশ্য বের
হবার আগে যথারীতি বউয়ের কাছে প্রমিস করে গেলাম,
যেভাবেই হোক আজ দ্রুত অফিস থেকে ফিরেই তাকে
নিয়ে বাইরে খেতে যাবো। সবকিছু ঠিকঠাক ছিল,
মাঝখানে একটা ঘটনা ঘটে গেল। অফিসের কলিগ আলিম
সাহেবের মেয়ে সন্তান হয়েছে গতকাল। আর সেই সুবাদে
আজকে তিনি আমাকে সন্ধ্যায় খাওয়াবেন। তিনি
নাছোরবান্দা! ছাড়াছাড়ির কোন উপায় নেই। এছাড়া
অনেকদিন হল, তার কাছে খাওয়ার আবদার করছিলাম!
তিনি একরকম জোড় করেই নিয়ে গেলেন, অনিচ্ছা সত্বেও
যেতে হল। তারপরে বাসায় ফিরতে ফিরতে অনেক দেরি
হয়ে গেছে! যতক্ষণে ফিরলাম, দেখি ঘরে তালা ঝুলছে!
২য় চাবিটা দিয়ে ঘর খুলে দেখি, ঘরের ভিতর মোটামুটি
টর্নেডো বয়ে গেছে। সবকিছু এলোমেলো, বিছানা
উল্টাপাল্টা। ঘরের ভিতর কিছু দ্রব্যাদির ভাঙ্গা অংশ
ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। অ্যাকুরিয়ামের মাছটা মেঝেতে
মরে পরে আছে।
এসব দেখে আমি ঠিক কি করব? বুঝে উঠতে পারলাম না।
তাৎক্ষণিক কোন প্রতিক্রিয়াও কাজ করল না। সাতপাঁচ
না ভেবে কোনমতে বিছানা ঠিক করে ঘুমুতে গেলাম।
এপাশ-ওপাশ করছি, আর ঘুমানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু, ঘুম
যেন আমার সাথে আড়ি দিয়েছে! কিছুতেই দু-চোখের
পাতা এক হচ্ছে না। তবুও বৃথা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এভাবে কতক্ষণ কেটে গেছে জানিনা। হইত হালক ঘুম ঘুম
এসেছিল। ঠিক তখনই ফোনটা বেজে উঠে জানান দিল,
কেউ একজন আমাকে স্বরণ করেছে। ফোনের দিকে
তাকিয়ে দেখলাম নাম্বারটা "বউ" লেখা দিয়ে সেভ
করা। মোবাইল স্কিনে তখন রাত ১১ টা ৩৫। ফোনটা
রিসিভ করলাম……
----হ্যালো………
----হ্যালো দুলাভাই……
----ওহ, তুমি!
----আসবেন না আমাদের বাসায়?
----না……
----বুবু কিন্তু রাগ করে আছে। অনেকক্ষণ হল, পুকুরপাড়ে
দাড়িয়ে আছে। আমি ডাকতে গেলাম, আমার সাথে
রাগারাগী করে পাঠিয়ে দিল! মোবাইলটাও ওর রুমে পড়ে
আছে……
----আচ্ছা থাকুক, দেখি আমি আসছি……
শালিকা ফোন করেছিল। এর আগেও দু-একবার বউ রাগ
করে বাপের বাড়ি আসলেও যতই রাত হোক, আমি চলে
আসতাম। কেননা, বউকে নিয়ে ঘুমুতে ঘুমতে একটা অভ্যাস
হয়ে গেছে। প্রতিদিন রাতে ঘুমন্ত বউয়ের কপালে একটা
চুমু না খেলে এখন আর ঘুম আসেনা। বউ বাহুতে মাথা না
রাখলে ঘুম হয় না। আর আমি জানি, ওরও ঘুম হবে না।
প্রতিদিন রাতে ওই আগে ঘুমিয়ে যায়। আমার বাহুতে
মাথা রাখে, ওর চুলের ভিতরে আমি হাত বুলিয়ে দেই,
হঠাৎ করে দেখি ও ঘুমো ঘুমো চোখে আমার দিকে
তাকায়। তারপরে ঘুমন্ত অবস্থায়ই অদ্ভুতভাবে তাকিয়ে
ভেংচি কাটে, তারপরে আরেকটু কাছে এসে জড়িয়ে ধরে
ঘুমায়। আর এই দৃশ্যটা আমার কাছে পৃথিবীর যেকোন
জিনিসের থেকে মূল্যবান। খুব ভাললাগে, এটা না
দেখলে আমার ঘুম হয় না।
-
আমি রাজ । আর আমার বউয়ের নাম রিফা। আমাদের বিয়েটা পারিবারিকভাবেই
সম্পূর্ন হয়েছিল।বিয়েটা হয়েছে, ১ বছরেরও বেশি সময়
হল। মায়ের বান্ধবির মেয়ে, যদিও বিয়ের আগ পর্যন্তও এ
কথাটা জানতাম না। বউ পুরোপুরি ধার্মিক না হলেও,
মোটামুটি ধার্মিক বলা চলে। বিয়ের আগে কোন প্রেম
করেনি। অবশ্য আমি এমনটা না। প্রেম করেছিলাম দু-
তিনটা। কিন্তু, বিধিরাম একটাও টিকে নি। তবে, মেয়ে
মানুষ আমাকে ছেড়ে চলে যাবে বলেই, ভেঙ্গে পড়ার মত
ছেলে আমি ছিলাম না। নতুন উদ্যমে সবকিছু শুরু করতাম।
কে জানে, হয়তো তাদেরকে মন থেকে ভালবাসতে পারি
নি। তবে, বর্তমানে বউ যদি কোনকারণে আমাকে ছেড়ে
চলে যায়? জানিনা কি হবে, তবে সম্ভবত আমার বেচে
থাকাটা অনেক কঠিন হয়ে যাবে। কারণ, নিঃশ্বাষ
নেওয়া ছাড়া কেউ বাচতে পারেনা।
-
রিফাদের বাড়ি আমাদের বাসা থেকে প্রায় ৫-৬ মাইল।
এতরাতে রাস্তায় কিছু পাওয়ার আশা করা বোকামি,তবুও
একটা মিনিট্রাকে করে প্রায় ৫ মাইলের বেশি এসেছি,
আর বাকিটুকু হেটে যেতে হবে। সঙ্গি মোবাইল, আর
মোবাইলের টর্চ। প্রায় ১৫-২০ দ্রুত গতিতে হেটে যাওয়ার
পরে অবশেষে ওদের বাড়িতে গিয়ে পৌছালাম। ওদের
বাড়িটা গেট করা, কারণ এই দিকটা শহরও না আবার
গ্রামও না। আবার ফোন দিলাম, শালিকা উঠে বাইরের
গেট খুলে দিল। আমাকে দেখে মুচকি হাসল সে। আমি
বললাম,
----হাসির কি হল?
----আপনাদের দেখে! কি প্রেম মাইরি!
----আগে বিয়ে কর, তারপরে বুঝবা। তো সে এখন কোথায়?
----আমার রুমে!
----ঘুমিয়ে পড়েছে?
----না, আর আমাকেও ঘুমাতে দিচ্ছে না।
----তুমি একটা কাজ কর, এখন অন্য রুমে গিয়ে ঘুমাও, আমি
দেখি কি করা যায়..
----ওকে…
-
ধীরপায়ে ওর রুমের দিকে গেলাম। দড়জায় পা রাখতেই
রিফা বলে উঠল……
----আপনি এখানে এসেছেন কেন?
---- আমি কোন কথা না বলে কান ধরে মুখটা মলিন করে
ফেললাম। যেন তার মন গলে যায়। কিন্তু কাজ হল না, ও
হঠাৎ চিৎকার করার জন্য করল। আমি জ্বলদি গিয়ে ওর
মুখটা চেপে ধরলাম……
----ছাড়ুন বলছি……
----আমার ভুল হয়ে গেছে…
----প্রতিদিনই তো হয়……
----আর হবে না……
----প্রতিদিনই বলেন……
----এবার সত্যি বলছি……
----বলা লাগবে না, চলে যান……
----সত্যি যাবো তো?
----হুম সত্যি…
----তাহলে আর কি করার? দেখি নতুন কাউকে খুজতে হবে
বিয়ে করার জন্য, অনিমতি দিও, আমি আবার বউ ছাড়া
ঘুমোতে পারব না……
----আচ্ছা দিলাম……
----তাইলে থাক, আমি গেলাম……
----খুন করে ফেলব, হুম……
----কাকে?
----আপনাকে!
----আমি তো খুন হয়েই আছি।
রিফা নিঃশব্দে হেসে উঠল। এই হাসিটার দাম আমার
জানা নেই, পৃথিবীতে কিছু জিনিস আছে যা কখনো
কোন মূল্য দিয়ে কেনা যায় না, যেগুলো হয় অমূল্য। এই
হাসিটা হল, সেই অমূল্য সম্পদ। জীবন সুখের হত আর কি
দরকার। (কাল্পনিক)
--------------------------
---------------------------
#প্রিয়_পাঠক , গল্পটি কেমন লাগলো কমেন্টস করে জানাতে ভুলবেন না সবাই। ধন্যবাদ।

image

আব্বু, কাল সারারাত আমি কেঁদেছি। আমাদের সেলে গত সন্ধ্যায় এক নতুন কয়েদি এসেই বলে, ‘চার লম্বর (নম্বর) খুন করে আইলাম।’ রাতে ভয় দেখিয়ে আমাকে দিয়ে তার শরীর পা টিপিয়েছে। আমাকে শব্দ করে ...............
বিস্তারিত পড়ুন ......
http://www.somoyerkonthosor.co....m/2018/06/26/239696.

‘আব্বু আমি মরে গেলে জেলখানায় আমার মরদেহটি নিতে আসবে তো?’ – সময়ের কণ্ঠস্বর
www.somoyerkonthosor.com

‘আব্বু আমি মরে গেলে জেলখানায় আমার মরদেহটি নিতে আসবে তো?’ – সময়ের কণ্ঠস্বর

সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক- ‘জীবনকে ভালোবাসুন, মাদক থেকে দূরে থাকুন’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে লক্ষ্মীপুরে মাদকবিরোধী র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আন্তর্জাতিক মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার দিবস উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসন ও জেলা মাদক দ্রব্য

image

ওই গৃহবধূকে খুনের পর মেজর নিজের বান্ধবীকে নিজেই ফোন করে জানিয়েছিলেন ‘শৈলজাকে ফিনিশ করে দিয়েছি’
----------
http://www.somoyerkonthosor.co....m/2018/06/26/239635.

ফোনকল রেকর্ডে বেরিয়ে এলো মেজরের স্ত্রী হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য – সময়ের কণ্ঠস্বর
www.somoyerkonthosor.com

ফোনকল রেকর্ডে বেরিয়ে এলো মেজরের স্ত্রী হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য – সময়ের কণ্ঠস্বর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক- সহকর্মীর স্ত্রীকে খুন করার দায়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মেজর নিখিল হান্ডা। তার ফোনকল রেকর্ড ও জিজ্ঞাসাবাদের পরই বেরিয়ে আসে খুনের চাঞ্চল্যকর তথ্য। শৈলজা নামে ওই গৃহবধূকে খুনের পর মেজর নিজের বান্ধবীকে নিজেই ফোন করে জানিয়েছিলেন ‘