ইসলামী ফাউন্ডেশনের যাকাত তহবিলের ১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাত মামলায় যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে।
সোমবার সাঈদী ও বাকি ৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক সৈয়দা হোসনে আরা।
আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি সাঈদীর বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।
এদিন সকালেই অ্যাম্বুলেন্সে করে মামলার প্রধান আসামি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে আসামি আবুল কালাম আজাদ এবং আব্দুল হক পলাতক। জামিনে থাকা তিন আসামি হলেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুল হক, বন্ধুজন পরিষদের প্রধান সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুস, ইসলামী সমাজ কল্যাণ কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন।
যাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) আইয়ুব আলী চৌধুরী ২০১০ সালের ২৪ মে শেরে বাংলা নগর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ২০০৫-০৬ অর্থ বছরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যাকাত বোর্ডের ১ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ২০০৪-০৫ অর্থ বছরের ১৩ লাখ টাকাসহ যাকাত তহবিলের মোট ১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার দেশের ৬৪ জেলায় গরিব ও দুস্থদের না দিয়ে নিজেদের দলীয় প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ করে আত্মসাত করেন। ওই অর্থের মধ্যে সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোশারেফ হোসেন শাহজাহান জাতীয় বন্ধুজন পরিষদ ভোলার অনুকূলে ৫০ লাখ, কাঁঠালিয়া মুসলিম এ কে ইনস্টিটিউটের অনুকূলে ৬ লাখ ৫০ হাজার, মাওলানা আবুল কালাম আযাদের মসজিদ কাউন্সিল ফর কামউনিটি অ্যাডভান্সমেন্টের অনুকূলে ৪৫ লাখ, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির তৎকালীন সভাপতি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ইসলামী সমাজ কল্যাণ কেন্দ্র পিরোজপুরের অনুকূলে ৫ লাখ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ লুতফুল হকের দারুল কারার সোসাইটি, শরিয়তপুরের অনুকূলে ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন।
তদন্ত করে দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
Search
Popular Posts