আগামী বছর (২০২১ সালের) পবিত্র হজ পালনের জন্য প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম সারা বছর চলবে বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। গত বুধবার মন্ত্রণালয়টির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে আগামী বছর হজে যেতে প্রাক-নিবন্ধনের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে-মর্মে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালে গত বুধবার প্রকাশিত এক নোটিশে জানানো হয়েছে, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক প্রাক-নিবন্ধন সিস্টেমের কার্যক্রমের মেয়াদ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। এর আগে গত ৩১ আগস্ট একই পোর্টালে জানানো হয়েছিল, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক প্রাক-নিবন্ধন সিস্টেম আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছিল।
সূত্র মতে, এ বছর সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জনের হজ করার কোটা নির্ধারিত ছিল। এর মধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজার এবং সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা নির্ধারিত ছিল।
তবে করোনা মহামারির কারণে সীমিত পরিসরে হজ অনুষ্ঠিত হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে কেউ যেতে পারেননি। প্রস্তুতি নিয়েও হজে যেতে না পারায় সরকার সংশ্লিষ্টদের টাকা ফেরত নেওয়ার সুযোগ দেয়। তবে কিছু সংখ্যক ব্যক্তি টাকা ফেরত নিয়েছেন। অনেকে আগামী বছরের (২০২১ সালের) জন্য নিবন্ধন বহাল রেখেছেন। বর্তমানে মোট ৬২ হাজার ৩১০ জনের চূড়ান্ত নিবন্ধন রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ১০৪ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৯ হাজার ২১০ জন। এ বছর নিবন্ধিতরা আগামী বছর অগ্রাধিকার পাবেন। একই সঙ্গে আগামী বছরের হজের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগ্রহীদের প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
সূত্র মতে, এ পর্যন্ত এক লাখ ৬২ হাজার ৩২০ জন প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৩৬০ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ৫৮ হাজার ৯৬০ জন।