দেশে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির ভ্যাট কমানোর দাবি এবং পরবর্তী সময়ে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করার হুমকির পর অবশেষে তাদের ওপর বর্ধিত ভ্যাট কমানোর ঘোষণা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত এক আদেশে ইন্টারনেট টেরিস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আইটিসি), ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) ও ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) সেবার ক্ষেত্রে বিদ্যমান ১৫ শতাংশ ভ্যাট হার ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়। গত ২৫ আগস্ট এসংক্রান্ত একটি আদেশ গতকাল প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর ফলে দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভ্যাট বাবদ সরকারকে কম টাকা দিতে হবে। তবে এতে গ্রাহকের অর্থ ব্যয় কমবে না বলে জানিয়েছেন ইন্টারনেট সেবাদাতা সংগঠনের নেতারা। দুই বছর আগে যখন গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার ওপর ভ্যাট হার ১৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হলো, তখনো দুই-একটি ব্যতিক্রম বাদে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গ্রাহকের ব্যয় কমেনি। অথচ ঐ সময় বলা হয়েছিল, ভ্যাট হার কমালে গ্রাহকের ব্যয় কমবে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এসব সেবার ওপর ভ্যাট হার কমানোর সুযোগ গ্রাহকের পকেটে যায় না। অথচ ঐ সময় গ্রাহককে দেখিয়েই ভ্যাট হার কমানোর জন্য তদবির করা হয়েছিল।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এর সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক ইত্তেফাককে বলেন, আগে ১৫ শতাংশ ভ্যাট পরিশোধ করে রেয়াত নেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু ভ্যাট হার গ্রাহক পর্যায়ে ৫ শতাংশে নামানোর পর রেয়াত নেওয়ার সুযোগ বন্ধ হওয়ায় আমাদের ব্যয় বেড়ে গেছে। সব মিলিয়ে দুই স্তরে ১৫ শতাংশ ও এক স্তরে ৫ শতাংশের ফলে মোট ভ্যাট দিতে হবে ৩৫ শতাংশ। অথচ দেওয়ার কথা ১৫ শতাংশ। নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে এখন আমাদের ব্যয় কমে আসবে। তবে আগের চেয়ে ভালো মানের সেবা পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।
Scarlett Angel 2 yrs
?