টিকটক, লাইকির জোয়ারে নতুন প্রজন্ম

Comments · 1290 Views

নামটা শুধু মনে রেখো, অপু বাই...। এটুকু বলে মাথার রঙিন চুল ঝাঁকানো আর একটা হাসি। ছোট্ট ভিডিও শেষ। নামটা অনেকেরই মনে আছে, এবার তা রীতিমতো আলোচনায়। ৫ আগস্টের পত্রিকায় সংবাদ শিরোনাম টিকটক অপু কারাগারে।

২ আগস্ট ইয়াসিন আরাফাত অপু ঢাকার উত্তরায় তাঁর কয়েকজন বন্ধুসহ সড়ক বন্ধ করে ভিডিও করছিলেন। সেখানে একজনের গাড়ি আটকে যায়। পরে তাঁর সঙ্গে অপুর হাতাহাতি আর মারামারিও হয়। উত্তরা পূর্ব থানায় সেই গাড়িচালকের করা মামলায় গ্রেপ্তার হন অপু।

এরপর অপু যেমন আলোচনায় আসেন, তেমনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় আসে টিকটক নামের অ্যাপটি। যদিও টিকটক ছেড়ে অপু এখন লাইকি অ্যাপে নিয়মিত ভিডিও প্রকাশ করেন।

শুধু অপু নন, ছোট ছোট ভিডিও প্রকাশ করে অনেকেই এখন টিকটিক ও লাইকি অ্যাপের রীতিমতো পরিচিত তারকা। মিলিয়ন মিলিয়ন ভক্ত তাঁদের। চলচ্চিত্র, টিভি, সংগীতের অনেক তারকাও আছেন এই দুটি অ্যাপে। বাংলাদেশে এই দুটি অ্যাপের ব্যবহারকারীরা ক্রমেই বেশুমার হচ্ছে, বয়সে বেশির ভাগই কিশোর বা তরুণ।

লাইকি মাসিক সম্মানী দিয়ে জনপ্রিয় ভিডিও নির্মাতা ও জনপ্রিয় তারকাদের সঙ্গে চুক্তি করে, বাংলাদেশেও করছে। চুক্তিবদ্ধরা অন্য প্ল্যাটফর্মে ভিডিও দিতে পারবেন না। বাংলাদেশে টিকটকের এখনো এমন কোনো উদ্যোগ নেই।

কী ধরনের অ্যাপ
টিকটক স্মার্টফোনের অ্যাপ। টিকটকের স্লোগান হলো তোমার দিন বানাও: আসল মানুষ, আসল ভিডিও (মেক ইওর ডে: রিয়েল পিপল, রিয়েল ভিডিও)। চীনের খ্যাতনামা সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স ২০১৪ সালে সাংহাই থেকে মিউজিক্যাল.লি নামে অ্যাপ তৈরি করে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। ২০১৬ সালে চীনে ডুইন নামের অ্যাপ ছাড়ে বাইটড্যান্স। ২০১৮ সালে মিউজিক্যাল.লি ও ডুইন এক করে নতুন নামে ছাড়া হয় টিকটক। টিকটক ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় বিশ্বব্যাপী। তবে ডুইন এখনো রয়েছে টিকটকের চীনা বোন হিসেবে। শুরু থেকেই এতে যে কেউ চাইলে ৫, ১০, ১৫ সেকেন্ডের ভিডিও দিতে পারত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এখন দুইআড়াই মিনিট পর্যন্ত দৈর্ঘ্যের ভিডিও দেওয়া যায়।

টিকটকের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮০ কোটি। ১৫৫টি দেশে ৪০টি ভাষায় চলে এটি। প্রতিদিন ১০০ কোটি ভিডিও দেখা হয়। কেতাবি ভাষায় টিকটিক হলো মাইক্রো ভ্লগিং (ভিডিও ব্লগ) অ্যাপ। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১০০ কোটি বার নামানো হয় (ডাউনলোড) টিকটক। এক বছরের ব্যবধানে গত এপ্রিল মাস পর্যন্ত অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে ২৩৩ কোটি টিকটক অ্যাপ নামানো হয়েছে। এই সংখ্যা ফেসবুক গুগল, ইউটিউব অ্যাপের চেয়েও বেশি। এ বছরের প্রথম তিন মাসে টিকটক নামানো হয়েছে ৩১ কোটি ৫০ লাখ বার। তিন মাসে এত বেশি সংখ্যক অ্যাপ ডাউনলোডের বেলায় এটি রেকর্ড।

বিজ্ঞাপন থেকেই মূল আয় টিকটকের। ২০১৮ সালে টিকটকের মুনাফা ছিল ৭৪০ কোটি ডলার। ২০১৮ সালেই মুনাফা দ্বিগুণের বেশি হয় (১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার)।

টিকটকের তুলনায় নতুন লাইকি। সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিগো টেকনোলজি তৈরি করেছে এটি। বিগো ২০১৭ সালের জুলাই মাসে এটি বাজারে ছাড়ে। বিগোর মূল প্রতিষ্ঠান চীনভিত্তিক জয়। বর্তমানে প্রতি মাসে লাইকির সক্রিয় ব্যবহারকারী সাড়ে ১১ কোটি। ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগ অ্যাপ ইমো ব্যবহারকারীরা সরাসরি লাইকি ব্যবহার করতে পারেন। আগে এর নাম ছিল লাইক। এখন হয়েছে লাইকি। গত বছরে ৮ কোটি ডলারের বেশি রাজস্ব আয় ছিল লাইকির।

দুটি অ্যাপেরই জনপ্রিয়তার কারণ সহজে ভিডিও করা যায়, সম্পাদনা করা যায়, নানা রকম আবহ এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি (নতুন কোনো বাস্তবতা যুক্ত করা) যোগ করা যায়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও রয়েছে এই দুটি অ্যাপের। মূলত কম বয়সী ছেলেমেয়ে ও তরুণেরা এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করে। ওবারলো ডটকমের এক পরিসংখ্যান বলছে, টিকটকের ৪১ শতাংশ ব্যবহারকারীর বয়স ১৬ থেকে ২৪ বছর।

বাংলাদেশে এই টিকটক এবং লাইকি দুটিই জনপ্রিয়। এই দুটি অ্যাপ চালাতে বা ভিডিও দিতে খুব বেশি গতির ইন্টারনেটের প্রয়োজন হয় না। তাই ঢাকার বাইরে, এমনকি গ্রাম পর্যন্ত এদের ব্যবহারকারীরা ছড়িয়ে আছেন।

বন্ধ কিংবা নিষিদ্ধের বেড়াজাল
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ টিকটক যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করার হুমকি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আবার কানাঘুষা চলছে শীর্ষ সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট করপোরেশন নাকি টিকটক কিনে নেবে। টিকটিক বা লাইকির মতো অ্যাপ মাঝেমধ্যে নিষিদ্ধ হয় বিভিন্ন দেশে। কখনো এগুলোতে থাকা বিষয়বস্তুর কারণে, কখনো-বা বাণিজ্যের স্বার্থে। কখনো কখনো চীনের গুপ্তচরবৃত্তির মতো ষড়যন্ত্র তত্ত্বও পালে বাতাস পায়। চীন-ভারতের সীমান্তে সাম্প্রতিক সময়ে উত্তেজনার সময় ভারত ও পাকিস্তানে জুন থেকে বন্ধ রয়েছে টিকটক ও লাইকি।

বাংলাদেশেও বছরখানেক আগে কয়েক দিনের জন্য বন্ধ হয়েছিল টিকটক। কেন? ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার প্রথম আলোকে বলেন, মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে টিকটক বন্ধ করা হয়েছিল। আমাদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না, এমন কিছু ভিডিও ছিল। এরপর টিকটক কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারা কথা দেয় এমন ভিডিও থাকবে না। এই আশ্বাসের ভিত্তিতে টিকটক আবার ছেড়ে দেওয়া হয়।

নিজস্ব যাচাই-বাছাই
ইউটিউব বা ফেসবুকে যেভাবে ভিডিও বা কোনো পোস্ট দেওয়া যায়, টিকটক, লাইকি কিংবা বিগো লাইভেও কনটেন্ট সরাসরি আপলোড করা যায়। তবে কোন ধরনের কনটেন্ট দেওয়া যাবে না, সে ব্যাপারে নীতিমালা সবগুলো মাধ্যমেরই প্রায় একই রকম।

পর্নোগ্রাফি, সহিংসতা ছড়ায়, মানবতাবিরোধী এমন কোনো ভিডিও থাকলে সেই আইডি বা অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করে দেয় টিকটক আর লাইকি।

সরাসরি ভিডিও প্রচারের সময় ধূমপান, কোনো ধরনের মাদক সেবন করলে, যৌনতার প্রচার করলে সেই আইডি বন্ধ হয়ে যায়। শুধু ভিডিও দিতে বয়সের কোনো সীমা না থাকলেও লাইভ করতে প্রাপ্তবয়স্ক হতে হয়।

কী আছে বাংলাদেশের টিকটক, লাইকিতে
জনপ্রিয় কোনো গানের সঙ্গে ঠোঁট মেলানো (লিপ সিঙ্ক), হিন্দি বা বাংলা ছবির কোনো বিখ্যাত সংলাপ আওড়ানো, নাচ-গান, মজা করাএমন ভিডিওই সাধারণত বাংলাদেশ থেকে টিকটক, লাইকিতে ছাড়তে দেখা যায়। ছোট ছোট অনুপ্রেরণামূলক (মোটিভেশনাল) কথা মজার ভঙ্গিতেও বলে অনেকে। যেমন মাকে শুধু মাদারস ডেতে নয়, আদার্স ডেতেও একইভাবে ভালোবাসো।

ঢাকার একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ইয়াসিন ইসলাম মিউজিক্যাল.লিতে গানের ভিডিও দিত। ওটা টিকটকে হয়ে যাওয়ার পর থেকে সে আর ভিডিও করে না। সে বলে, এখন উল্টাপাল্টা অনেকে ভিডিও দেয়, তাই আমি আর দেই না। তবে দেখি। তার মতে, জুম করা, ঝাপসা করা ইত্যাদি নানা আবহ থাকায় ভিডিওগুলো দেখতে আকর্ষণীয় লাগে।

টিকটকে আগে লাইভ করার সুবিধা ছিল। এখন নেই। তবে লাইকিতে লাইভ করা যায়। লাইভের মাধ্যমে আয় করার সুবিধাও আছে। লাইকে প্রতি ৫০০ ভিউতে একটি করে ডায়মন্ড পাওয়া যায়। প্রতি ডায়মন্ডের জন্য পাওয়া যায় ৪০ টাকা।

যাদের ফলোয়ার বেশি, তাদের লাইভে দেখা যায় কয়েক হাজার বা লাখের ওপরে ভিউ হচ্ছে, ফলে তাদের আয় খারাপ হয় না। ফলোয়ার বেশি থাকলে মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা বা এরও বেশি আয় করতে পারে বলে জানাল এক তরুণ টিকটকার।

ব্যাপক পরিচিতি, কখনো তারকাখ্যাতি
জনপ্রিয় টিকটকার কিংবা লাইকির লিডারশিপ বোর্ডে থাকা ভিডিও নির্মাতাদের বেশির ভাগেরই বয়স ২০-২৫ বছরের আশপাশে। কিন্তু তাদের ফলোয়ারের সংখ্যা লাখ লাখ।

কারও কারও ২৫, ৩০ লাখের বেশি। এর ফলে ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ায় দ্রুত পরিচিতি পেয়ে যায় তারা। জনপ্রিয় টিকটকার বা লাইকির ভিডিও নির্মাতাদের ছোট ছোট ভিডিও এক করে ইউটিউব বা তাদের ফেসবুক পেজেও ছাড়া হয়। ইউটিউব চ্যানেল থেকেও এমন করা হয়।

ঢাকার মেয়ে রঙ্গন হৃদ্য মিরপুরের চেতনা মডেল একাডেমি থেকে চলতি বছর এসএসসি পাস করেছে জিপিএ৫ পেয়ে। লাইকারে তার ফলোয়ার ২৬ লাখের বেশি। দেড় বছর আগে ছিল টিকটকে, সেখানেও তার ফলোয়ার ১০ লাখের কাছাকাছি। হৃদ্য লাইকির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে, মাসিক সম্মানীও পায় সে।

আছেন মূলধারার তারকাও
টিকটক আর লাইকিতে যোগ দিয়েছেন দেশের প্রতিষ্ঠিত তারকারাও। বিশেষ করে করোনাকালে এই সংখ্যা বেড়েছে। তাঁদের অভিনীত কোনো নাটক বা সিনেমার অংশ নয়, লিপ সিঙ্ক, সংলাপ দিয়ে এই মাধ্যমের চলতি ধারা মেনেই ছোট ছোট ভিডিও দিচ্ছেন তাঁরা।

মৌসুমী, ওমর সানী, পূর্ণিমা থেকে শুরু করে বিদ্যা সিনহা মিম, সাফা কবির, টয়া, তানজিন তিশা, মেহ্জাবীন, ইমরান মাহমুদুল, কোনালসহ অনেকেই এই ভিডিও নির্মাতাদের তালিকায় আছেন। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবের পর নতুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন শ্রেণির দর্শকের কাছে পৌঁছার জন্যই এই প্রচেষ্টা।

অভিনেত্রী ও মডেল মুমতাহীনা টয়া ইদানীং লাইকিতে বেশি সক্রিয়। কারণ, কয়েক মাসের জন্য তিনি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন লাইকির সঙ্গে। লাইকিতে টয়ার অনুসারীর সংখ্যা ২ লাখ ৭০ হাজারের বেশি।

টয়া বলেন, বাংলাদেশের মানুষের কাছে লাইকি নতুন মাধ্যম। তবে ধীরে ধীরে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। একটি ভিডিও পোস্ট করলে এখন আগের চেয়ে বেশি সাড়া পাচ্ছি। দিন শেষে এসব মাধ্যমের কনটেন্ট বিনোদনের জন্যই। তাই ভরপুর বিনোদন পাই ভিডিওগুলো থেকে।

মে মাসে টিকটকে যোগ দিয়েছেন অভিনেত্রী মেহ্জাবীন চৌধুরী। করোনাকালে নিছক বিনোদনের জন্যই এ মাধ্যমে যুক্ত হন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়েও তৈরি করেছেন ভিডিও। অনেক শিল্পী মজার মজার ভিডিও দেন, যেগুলো তিনি খুব উপভোগ করেন।

নতুন স্রোত
টিকটক আর লাইকির ভিডিও খ্যাত, গাঁইয়া,এমন কথা অনেককেই বলতে শোনা যায়। আন্তর্জাতিক গবেষণা বলছে, টিকটকের কনটেন্ট কেউ পছন্দ করে, কেউ করে না। কিন্তু কেউই এখন এগুলো অবজ্ঞা করতে পারে না। কেননা ৯০ শতাংশ ব্যবহারকারী প্রতিদিন টিকটকে একবার হলেও যান। আর গড়ে তাঁরা প্রতিদিন ৫২ মিনিট সময় কাটান টিকটকে।

টিকটক বা লাইকিতে যে ধরনের ভিডিও রয়েছে, সে রকম ভিডিও কি ইউটিউব বা ফেসবুকে নেই? সে রকম লাইভ কি ফেসবুকে নেই? বিস্তর আছে।

বাংলা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বেশ তো-র প্রতিষ্ঠাতা এ কে এম ফাহিম মাশরুর বললেন, এখন যেভাবে টিকটকারদের নিয়ে কথা হচ্ছে, তাতে শ্রেণিবৈষম্য চোখে পড়ছে। তথাকথিত শিক্ষিত বা স্মার্টরা তাদের গায়ে খ্যাত তকমা সেঁটে দিচ্ছে। নিম্নবিত্তের ছেলেটা জনপ্রিয়তা পাচ্ছে, এটা মেনে নিতে পারছেন না অনেকে।

নতুন ধারার জনপ্রিয়তা
চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, সংগীত, ক্রীড়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে সফল হয়ে তারকা হওয়ার জায়গাটায় পরিবর্তন এসেছে, এটা বাস্তবতা। ইউটিউবার, মোটিভেশনাল স্পিকার, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার, টিকটকার, ভ্লগারএই অভিধাগুলো ডিজিটাল যুগে নতুন এবং শক্তিশালী।

ভার্চ্যুয়াল জগতের নতুন এই নায়কদের প্রত্যেকের ভক্ত, অনুসারী আর পেজে লাইক লাখ লাখ। কখনো কোটি থেকে ১০০ কোটিও ছাড়িয়ে যায়। অর্থাৎ সমাজের একটা বড় অংশ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম তাঁদের সঙ্গে আছে। তরুণ বা কম বয়সীদের মধ্যে তাঁদের প্রভাব রয়েছে।

এই বিশাল ভক্তকুলের কিন্তু ভালোমন্দ বিচারও রয়েছে। টিকটক বা লাইকির জনপ্রিয় ভিডিও নির্মাতাদের যেমন অনুসারী আছে, তেমনি হেটার বা প্রত্যাখ্যানকারীও আছে। শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, যাঁর হেটারদের পাল্লা বেশি তিনি ছিটকে পড়েছেন, যাঁর ফলোয়ার বেশি তিনি টিকে থাকছেন।

Comments