জাতীয় দল ও আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দল সামলানো যে এক নয়, তা বোঝা যেতে পারে গ্যারি কারস্টেনের দিক তাকালে। ২০১১ সালে ভারতকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতানো এই কোচ আইপিএলের কোনো দলেই থিতু হতে পারেননি। কেন এমন হয়? ভারতের সাবেক কোচের ব্যাখ্যা, আইপিএলে প্রথম দিন থেকেই চাকরি হারানোর শঙ্কা থাকে। কারণ প্রথম ম্যাচ থেকেই কোচের পারফরম্যান্সকে রাখা হয় আতশি কাচের নিচে।
ভারত জাতীয় দলের কোচের চাকরি ছেড়ে অনেক বছর বাদে আইপিএলের দল পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন কারস্টেন। এরপর একে একে দিল্লি ক্যাপিটালস ও দিল্লি ডেয়ারডেভিলস থেকে বরখাস্ত হন , দুই জায়গাতেই চুক্তির এক বছর বাকি ছিল তাঁর। ২০১৮ সালে ব্যাটিং কোচ হিসেবে যোগ দেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে। প্রধান কোচ ডেনিয়েল ভেট্টোরি চাকরি ছাড়লে দলটির প্রধান কোচের দায়িত্ব পান। কিন্তু পূর্ণ মেয়াদ শেষ করার আগেই তাঁর স্থলে বসানো হয় সাইমন ক্যাটিচকে। সব মিলিয়ে আইপিএল পর্বটা একেবারেই ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১০১ টেস্ট ও ১৮৫ ওয়ানডে খেলা কারস্টেনের।
আরকে শো নামের এক অনুষ্ঠানে তিনি শুনিয়েছেন জাতীয় দল ও আইপিএল দলে কোচিং করানোর পার্থক্য। কারস্টেনের চোখে এখানে মূল পার্থক্যটা দল গোছানোর জন্য পাওয়া সময়ে। সবচেয়ে বড় পার্থক্যটা এখানে (জাতীয় দল ও আইপিএলে কোচিং করানোর মধ্যে) সময়ের। এত ভিন্ন সংস্কৃতি থেকে উঠে আসা খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া একটা দলের একটা স্বাতন্ত্র্য তৈরি করা, এমন কিছু গড়া যেটা সময়ের ব্যাপ্তি ছাড়িয়ে যায়, সেটা এখানে কঠিনবলেছেন কারস্টেন।
আইপিএলে কোচিং করালে প্রথম ম্যাচ থেকেই চাকরি হারানোর শঙ্কা থাকে বলে জানান তিনি, আপনি যদি সফল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর দিকে তাকান, যারা ভালো করছেমুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও চেন্নাই সুপার কিংসতারা সময় নিয়ে সফল হয়েছে। এর মৌসুম থেকে পরের মৌসুম পর্যন্ত একই দর্শন, একই সংস্কৃতি প্রয়োগ করেছে। আবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু সংস্কৃতি পরিবর্তন করে। মূল কথাটা হচ্ছে, এখানে প্রথম ম্যাচ থেকেই চাকরি সুতোয় ঝুলে। আর যখন অল্প সময়ে ভালো ফল আনার চাপ থাকে, তখন আপনি সঙ্কট ঠেকিয়ে রাখার পদ্ধতিতে যাবেন। আর সেটিই এক সময় আপনার চাকরির শেষ টেনে দেয়।