বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকাবাসীদের সন্দেহ হচ্ছিল, এলাকায় কিছু একটা 'ভুল' কাজ হচ্ছে! তারা বিষয়টি নজরে রাখছিল! কেননা দেয়াল ঘেরা ছোট একটি জায়গায় শুধু গাড়ি নিয়ে কয়েকজনকে ঢুকতে দেখেন তারা। ভেতরে যাওয়ার পর তালা লাগিয়ে দেয়া হয় প্রবেশ দরজায়। প্রতিদিন একই ঘটনা দেখে আরো সন্দেহ জাগে এলাকাবাসীদের। সরেজমিনে দেখতেই সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয়রা প্রাচীর টপকে ভেতরে ঢোকেন।
ভারতীয় একটি গণমাধ্যম বলছে, সেখানে গিয়ে তারা যা দেখতে পান লোকচক্ষুর আড়ালে কাটা হচ্ছে কয়েক সপ্তাহ আগের মরা-গলা বিড়াল-কুকুর। এই খবর জানাজানি হতেই এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়। একটি গাড়ি আটক করে ভাঙচুর চালায় স্থানীয় জনতা। ভয়ে চার-পাঁচজন সেখান থেকে পালিয়ে যায়। হাতেনাতে ধরা পড়েন একজন।
পরে আটক ব্যক্তি জানান ভয়াবহ তথ্য। তিনি জানান, কলকাতার মধ্যমগ্রামের বিভিন্ন হোটেলে, যশোর রোডের দুধারের একাধিক রেস্তোরাঁয় কুকুর-বিড়ালের মাংস সরবরাহ করেন তারা। কুকুর-বিড়ালের মাংসকে খাসির মাংস বলে বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁতে দেয়া হতো।
গত সপ্তাহে দেশটির চেন্নাই প্রদেশের এগমোর রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম থেকে ১১০০ কেজি কুকুরের মাংস উদ্ধার করা হয়। এসব মাংস প্রদেশের বিভিন্ন হোটেলে সরবরাহ করা হতো বলে জানিয়েছে পুলিশ।