বিশ্বের প্রথম মিলিয়নিয়ার হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার সান্তিয়াগো লোপেজ।
হ্যাকার, শব্দটা শুনলেই মনে হয় মুহূর্তের মধ্যে কেউ একজন হাতিয়ে নেবে কোটি কোটি তথ্য।
বেহাত করবে ব্যাংক কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একাউন্ট। তবে সব হ্যাকারই কিন্তু ক্ষতি করেন না। কেউ কেউ আছেন যারা প্রতিনিয়ত বাগ খুঁজে বের করে সুরক্ষিত রাখছেন ইন্টারনেটকে।
এমনই একজন আর্জেন্টিনারসান্তিয়াগো লোপেজ (Santiago Lopez)। যিনি বিশ্বের প্রথম মিলিয়নিয়ার হোয়াইট হ্যাট সার্টিফাইড হ্যাকার।
সান্তিয়াগো লোপেজ, বয়স ১৯, আর্জেন্টিনার প্রথম মিলিয়নিয়ার বাগ বাউন্টিং হ্যাকার।
বাগ হচ্ছে কম্পিউটার কোড এর নিরাপত্তা বিষয়ক ত্রুটি। অন্যদিকে বাউন্টি হচ্ছে এসব ত্রুটি খুঁজে বের করার পুরস্কার।আর এই কাজটি করে থাকেন সান্তিয়াগো।
গুগল, অ্যাপল, কোয়ালকমের মত টেকনোলজি জায়ান্টদের ব্যবহৃত সফটওয়্যার গুলোতে বাগ বা ত্রুটি খুঁজে বের করেছেন তিনি।
যা তাকে একজন সাধারন আর্জেন্টাইন থেকে ৪০ গুণ বেশি আয় করার সুযোগ করে দিয়েছে।
হোয়াইট হ্যাট বা ভালো হ্যাকার গ্রুপের তিনি প্রথম সদস্য যিনি একটি বাগ খোঁজার জন্য মিলিয়ন ডলার নেন।
তিনি বলেছেন দিনে অন্তত 7 ঘণ্টা ইন্টারনেটে বাগ
খোঁজার জন্য সময় দেন তিনি।
হোয়াইট হ্যাট হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্টদের একটি দল। যারা কম্পিউটার এর ত্রুটি খুজার মধ্য দিয়ে ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ ডলার নিয়ে থাকেন।যত বড় বাগ বা ত্রুটি, পুরস্কার তত বেশি।
কারণ কোম্পানি গুলো জানে এসব বাগ তাদের মেট্রিক্স নাম্বারে ক্ষতি করে। যার মানে ক্ষতির মাত্রা টা ভয়াবহ।
১৫ বছর বয়স থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ হয়ে উঠেন সান্তিয়াগোর। শুরু করেন স্বশিক্ষা। গুগোল, ইউটিউব থেকে হ্যাকিং শিখেন তিনি।
১৬ বছর বয়সে প্রথম বাগ বা ত্রুটি খুঁজে বের করে পুরস্কার পান সান্তিয়াগো। ওই বাগটি কম্পিউটারে প্রায় ১৬০০ ধরনের ত্রুটি করতে সক্ষম ছিল।
তবে ভবিষ্যতে একা নন কাজ করতে চান নিজের একটি প্রতিষ্ঠান খুলে। সান্তিয়াগো মনে করেন তার কাজ কখনোই শেষ হবেনা। কারণ ইন্টারনেট থাকলে সেখানে প্রতিনিয়ত বাগ তৈরি হবে।
Scarlett Angel 1 y
?