অনেক তো হলো ছেলেদের শরীর দেখানো,আর কতো দেখাবি?নিজের স্বামীর জন্য কীছু জমা রাখ।
(কথাটা শুনেই চমকে পিছনে তাকালাম,তাকিয়ে দেখলাম রিয়ান ভাইয়া(আমার চাচাতো ভাই)
কী বলছো কী এই সব ভাইয়া?
কী বলছি বুজতে পারিসনি(দাঁতে দাঁত চিপে কথাটা বললো)
আসলে ভাইয়া (আর কীছুই বলতে পারলাম না,ভাইয়া পুরো ভার্সিটির সামনে আমাকে টানতে টানতে নিয়ে গাড়িতে বসালো)
চলেন আপনাদের সাথে পরিচিত হয়।
আমি রিনি এবার inter 3rt year a পড়ি।আসলে করোনাই পরিক্ষা দিতে পারছিনা তাই বললাম,আর যে আমার সাথে এই ভাবে কথা বললো সে হলো রিয়ান ভাইয়া। আমার চাচাতো ভাই।আমার মা ছোট বেলাই মারা গেছে,আর বাবা আর একটা বিয়ে করে বাহিরে চলে গেছে।ছোট থেকে কাকিমা আর কাকুর কাছেই মানুষ হয়েছি।ওরা সকলেই আমাকে খুব ভালোবাসে,শুধু এই রিয়ান ভাইয়া ছাড়া।আর রিয়ান ভাইয়া পড়াশোনা কমপ্লিট করে কাকুর ব্যবসা সামলাচ্ছে।আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে বাড়িতে চলে আসলাম,আর গাড়িতে ভাইয়া আমার সাথে একটা কথাও বলেনি।
গাড়ি থেকে নামিয়ে টানতে টানতে বাড়ির ভেতরে নিয়ে গেলো।
বসার রুমে কাকিমা আর আরুশ বসে ছিলো,(আরুশ রিয়ান ভাইয়া ছোট ভাই, ফোর এ পড়ে)
কাকিমার সামনেই আমাকে টানতে টানতে নিজের রুমে নিয়ে গেলান।পিছন থেকে কাকিমা বললো।
কী হয়েছে রিনিকে এমন গরুর মতো টেনে আনছিস কেনো?
কাকিমার কথাই কোনো উওর দেইনি ভাইয়া।
ভাইয়া রেগে গেলে কারো সাথে কথা বলে না,চুপ চাপ থাকে।
ভাইয়ার ঘরে দাড়িয়ে আছি। আর ভাইয়া বসে বসে আমাকে দেখছে।আমার খুব বিরক্ত লাগছে।
হঠাৎ ভাইয়া উঠে আলমারি থেকে একটা ব্যাগ বের করে আমার হাতে দিয়ে বললো।
এর পড় থেকে যেখানেই যাবি এটা পড়ে যাবি, আর কোনো দিন যদি এমন টাইট ফিটিং জামা পড়ে বাইরে বের হতে দেখেছি,সেদিনি তোর বাড়ি থেকে বের হওয়ার শেষ দিন হবে। এবার যা ঘর থেকে বের হ।
আমিও আর কথা না বাড়িয়ে নিজের ঘরে চলে আসলাম।
আসলে ভাইয়া আমাকে বোরখা দিয়েছে আর কাল থেকে বোরখা পড়েই বাইরে যেতে বলেছে।
রাতে সকলে এক সাথে টেবিলে বসে খাচ্ছিলাম।হঠাৎ করে কাকু বললো আমাদের রিনি মার জন্য একটা ভালো বিয়ের পস্তাব এসেছে,ছেলে ভালো জব করে।কাল দেখতে আসবে।
কাকুর কথা শুনে মাথা নিচু করে বসে আছি, খুব কষ্ট হচ্ছে,কীছু বলতে পারছি না,খাবার গলা দিয়ে নামছে না।
হঠাৎ কাকিমা বললো রিনি তুই কী কাউ কে ভালোবাসিস।
আমি শুধু মাথা নারলাম না,তার পরেই ওখান থেকে চলে আসলাম।কারণ আর একটু থাকলেই সকলে আমার চোখের পানি দেখে নিতো। খুব কান্না পাচ্ছে, কী করে বলবো তোমাদের আমি যে তোমাদের ছাড়া থাকতে পারবো না।
কান্না করতে করতেই ঘুমিয়ে পড়েছি।
হঠাৎ মনে হলো কেউ আমাকে টেনে তুলে নিজের কোলে বসালো।
তারা তারি চোখ খুলে দেখলাম রিয়ান ভাইয়া।অনেকটা অবাক হলাম।কারণ রিয়ান ভাইয়া খুব একটা দরকার ছাড়া আমার রুমে আসে না।তাও আবার আমাকে নিজের কোলে বসিয়েছে। আমি সরে আসতে চাইলাম।তখনই ভাইয়া আমার হাত ধরে আবার বসালো আর বললো।
না খেয়ে চলে আসলি কেনো।আর এতো কান্না করার কী আছে । দেখতেই তো আসবে বিয়ে করতে তো না।এবার আমি আবার কান্না করে দিলাম। তখন রিয়ান ভাইয়া আমাকে আরো অবাক করে দিয়ে জোরিয়ে ধরে চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো।
হয়েছে আর কান্না করতে হবে না।
হা কর আর সব টুকু খাবার শেষ কর।
এই প্রথম রিয়ান ভাইয়া আমাকে নিজের হাতে খাইয়ে দিলো আর এতো ভালো ব্যবহার করলো।খুব অবাক লাগছে।যে কী না আমাকে দেখতেই পারে না,সে আজ আমার কষ্ট টুকু বুজতে পেরেছে।
এই সব ভাবছিলাম হঠাৎ রিয়ান ভাইয়া আমাকে জোরিয়েই কম্বলের নিচে ঠুাে পড়লেন।
আর আমার মাথাই হাত বুলাতে বুলাতে বললো।
আর কোনো কথা না। এবার চুপচাপ ঘুমা।
আমি বুজতে পারছিলাম না কী হচ্ছে আমার সাথে।
চলবে"""
Shawon islam Suzon
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?
Siratuzzaman Sajid
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?
Khalid Hossain Siyam
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?