আজ পবিত্র হজ। করোনার দুই বছর পর এবার স্বাভাবিক পরিবেশে পবিত্র হজ পালিত হচ্ছে। আজ শুক্রবার সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন সারা বিশ্ব থেকে আসা ১০ লাখ মুসলমান। আরাফাতের ময়দানে আজ লাখো কণ্ঠে ধ্বনিত হবে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্‌দা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক্‌, লা শারিকা লাক।’

(আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার)। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা।

দুই মাইল দৈর্ঘ্য ও দুই মাইল প্রস্থের বিরাট সমতল ময়দানের নাম আরাফাত। এর তিন দিকে রয়েছে জা**** বা পাহাড়। জা****ে রহমত হলো রহমতের পাহাড়। বলা হয়ে থাকে, পৃথিবীতে এসে হজরত আদম (আ.) ও হজরত হাওয়া (আ.)–এর পুনর্মিলনও হয়েছিল এ ময়দানে। হজরত মুহাম্মদ (সা.) জা****ে রহমত পাহাড়ের কাছে দাঁড়িয়ে বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। এই পাহাড়ে একটি উঁচু পিলার আছে। একে কেউ কেউ দোয়ার পাহাড়ও বলেন। কোনো কোনো হজযাত্রী জা****ে রহমতে উঠে ইবাদত বন্দেগি করেন।

আজ আরাফাতের ময়দানে খুতবার পর জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন মুসল্লিরা। আরাফাতের ময়দানে মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেওয়া হবে।

এ বছর পবিত্র হজের খুতবা দেবেন শায়খ মোহাম্মদ বিন আবদুল করিম আল ঈসা। একই সঙ্গে তিনি মসজিদে নামিরায় নামাজে ইমামতি করবেন। হজের আরবি খুতবা বাংলাসহ ১৪টি ভাষায় শোনা যাবে। বাংলায় হজের খুতবা শোনা যাবে এই ওয়েবসাইটে। হজের খুতবার বাংলা অনুবাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মোহাম্মদ শোয়াইব রশীদ।

হাজিরা আজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতে অবস্থানের পর মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। রাতে সেখানে অবস্থান করবেন খোলা মাঠে। শয়তানের প্রতিকৃতিতে পাথর নিক্ষেপের জন্য প্রয়োজনীয় পাথর (৭০টি) সংগ্রহ করবেন সেখান থেকে।

মুজদালিফায় ফজরের নামাজ আদায় করে হাজিরা কেউ ট্রেনে, কেউ গাড়িতে, কেউ হেঁটে মিনায় যাবেন এবং নিজ নিজ তাঁবুতে ফিরবেন। মিনায় বড় শয়তানকে সাতটি পাথর নিক্ষেপ করবেন। জামারায় শয়তানের প্রতিকৃতিতে পাথর নিক্ষেপের পর হাজিদের দমে শোকর বা কোরবানির প্রস্তুতি নিতে হয়।