ধর্ষণের প্রধান কারণ হিসেবে আমরা যেটা ভাবি তা হলো, "বোনদের বেপর্দা।" বেপর্দা একটা অন্যতম কারণ হলেও একমাত্র কারণ নয়।
.
প্রথমত, মুসলিম হিসেবে বোনদের যেমন পর্দা করা প্রয়োজন, ভাইদের ও পর্দা করা প্রয়োজন। ভাইদের পর্দা কি? আল্লাহ পুরুষের পর্দা সম্পর্কে বলেনঃ
“মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয় তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত।” [সূরা নূর, ২৪ : ৩০]

অর্থাৎ, আপনি রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে বোনদের উত্ত্যক্ত করবেন, চোখ দিয়ে পুরো শরীর গিলে খাবেন, আর বলবেন, "বেপর্দা হলে তো দেখবই।' এই যুক্তি আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। আপনার পর্দাটা আপনি পালন করতে পারেননি।
.
দ্বিতীয়ত, হিন্দি সিনেমা, আইটেম সং, পর্ণ। অনেকে বলে থাকেন, " পর্দা ধর্ষণের অন্যতম কারণ হলে, শিশু ধর্ষণ হয় কেন???"

আইটেম সঙ, পর্ণ নয়, এই ক্ষেত্রে রাস্তাঘাটে চলাফেরা করা বেপর্দা বোনেরা ও বড় ভূমিকা পালন করেন।
.
তাহলে সমস্যা গুলো কি দাঁড়ালো???
১. বোনদের বেপর্দা।
২. পুরুষের দৃষ্টি সংযত না করা।
৩. পর্ণ।
৪. মুভি-আইটেম সঙ

সমস্যার কথা তো গেল, সমাধান তো দরকার। তাই না? আমি আমার মত করে ইসলামের আলোকে সমাধান বলে দিচ্ছি।
১. পুরুষরা নিজেদের দৃষ্টি সংযত করতে হবে। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলী (রাঃ)-কে বললেন: একবার দৃষ্টি চলে গেলে পুনরায় দৃষ্টিপাত করবে না, কারণ প্রথমবার দৃষ্টিপাত ক্ষমা করা হবে, কিন্তু দ্বিতীয়বার দৃষ্টি তোমার নয় শয়তানের পক্ষ থেকে হয় সেজন্য তোমাকে পাকড়াও করা হবে। (তিরমিযী হা: ২৭৭৭, আবূ দাঊদ হা: ২১৪৯, হাসান)

২. বোনরা শরীয়াহ মোতাবেক পর্দা করবে। অনেক আলেমের মতে নিকাবের প্রয়োজন নেই। অনেক আলেমের মতে নিকাব বাধ্যতামূলক। আমি নিকাবের পক্ষই নিচ্ছি। কারণ, নারীর চেহারায় সৌন্দর্য লক্ষণীয় হয়। বোনদের প্রতি অনুরোধ, "প্লিজ বোন। নিজেকে মাছ বাজারের মাছের চাইতেও সস্তা বানাবেন না। আল্লাহর আদেশ মেনে পর্দা করুন, সম্মানিত হওন।

৩. আমরা হিন্দি মুভি, আইটেম সঙ ছাড়া যেন চলতে পারিনা। এটা ছাড়তে হবে। পুরুষ যখন দৃষ্টি সংযত করবে, তখন তারা হিন্দি মুভি অবশ্যই এভয়েড করবে। আর বোনদের বলি, বইন, কোনো নারী নিজের দেহ দেখিয়ে পুরুষদের মনে লালসা জাগাচ্ছে, এই মুভি আপনি দেখেন কিভাবে? আপনার তো ঘৃণা করা উচিৎ। ঘর থেকে টিভি বিদায় করার চেষ্টা করুন। বিদায় করতে না পারলে, হিন্দি-মুভি গুলো যেকোনো ভাবে বন্ধ করার ব্যবস্থা করুন।

৪. চেষ্টা করুন বন্ধুদের দ্বীনের পথে আনার। অশ্লীল মুক্ত সমাজ গড়ার এটাই একমাত্র উপায় এটাই।