গল্প :-
""অন্তঃস্বত্তা মেয়েকে বিয়ে""
.
লেখক:- #Nayem_Ahmed
.
100% কান্না করবেন challenge....শুধু শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন....
.
★------পর্ব :- ১৫ ~~২~♥️
দোস্ত তোর মাথা ছুঁয়ে
প্রমিজ করলাম। কথাকে বিয়ে করে তোর
সন্তানের পিতৃপরিচয় বহন করবো।
.
দোস্ত রাজ তুই আমার কাঁধ থেকে একটি
পাপ মোচন করলি। দোস্ত আমি কিছু দেখতি
পারছিনা কেন। আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে
আসছে। খুব কষ্ট হচ্ছে আমার দোস্ত মৃত্যু এত
কষ্ট কেন। মনে হচ্ছে ভুতাঁ চাকু কেউ আমার
কলিজাতে ডুকিয়ে দিচ্ছে। গরুর চামড়া
যেমন করে মাংস থেকে আলাদা করে তেমন
করে কে যেন আমার চামড়া আমার শরীর
থেকে আলাদা করছে। দোস্ত আমাকে একটু
বুকে নিবি।একবার বুকে নে তোর অপরাধী
বন্ধুটাকে!( সজিব)
.
সজিবের কথা শুনে চোখ দিয়ে অঝরে
নোনা জল বের হচ্ছে। কষ্টে বুকটা ফেঁটে
যাচ্ছে মনে হচ্ছে হৃদপিন্ডে কেউ ছুঁড়ি
ডুকিয়ে দিয়েছে। কি করবো বামহাতে
রুমাল দিয়ে ছুড়িটা বের করে সজিবকে শক্ত
করে জড়িয়ে ধরলাম।এদিকে সজিবের
শরীরের শক্তি নেই, তবুও আমাকে বাহুডরে
আবদ্ধ করে নিলো। কিছুক্ষণ পর সজিবের
কোন শ্বাসঃপ্রশ্বাস নেই। হাতের স্পদর্ন
দেখি নেই। সজিব আর জীবনে চোখ
খুলবেনা। নিজের অজান্তেই সজিব বলে
কেঁদে দিলাম।
সজিবকে ফ্লরে রেখে দিয়ে বাম হাতে
ছুড়িটা নিয়ে দাঁড়ালাম। কি করবো ভাবতে
পারছিনা। হঠাৎ খুন বলে পিছন থেকে
কারো চিৎকার শুনতে পেলাম। পিছন দিকে
চেয়েই দেখি কথা।ভয়ে তাঁর হাত পা
কাপচ্ছে।
.
কাঁপতে কাঁপতে বললো" রাজ তুমি তোমার
বন্ধুকে খুন করে ফেললে। আমি তোমাকে
ছাঁড়বোনা। আমি তোমাকে ফাঁসিতে
ঝুলাবো। ( কথা)
.
কথা প্লিজ বিলিভ করো, আমি খুন করিনি।
সজিব নিজেই সু- সাইড করেছে।
.
ছিঃ লজ্জা করেনা খুন করেও। সামনে লাশ
পড়ে আছে। হাতে রক্তাক্ত ছুড়ি, রক্তমাখা
শরীর এর পরও খুন করনি বললেই কেউ
বিশ্বাস করবেনা,যে তুমি খুনি নও।( কথা)
.
কথা প্লিজ আমাকে বিশ্বাস করো, আমার
মায়ের কসম করে বলছি,সজিব সুসাইড
করেছে। আমি তাকে খুন করেনি।
.
হা,হা,হা খুনিদের কী মা বাবাও আছে
নাকি? খুনি তো সবসময় খুনিই হয়। তারা
কারো সন্তান হতে পারেনা। তাদের
জন্মের দোষ। তারা সমাজের জারজ
সন্তান। আর তুই খুনি। রাজ তোর গলায় আমি
ফাঁসির দড়ি ঝুলাইয়ে ছাঁড়বো। এটা আমার
চ্যালেন্জ।( কথা)
.
এদিকে কথার মুখে জারজ সন্তান কথাটা
শুনে, নিজেই বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। মনে
মনে ভাবছি এভাবে বললে কখনো বিশ্বাস
করবে না। তাই ব্ল্যাকমেল করতে হবে।
আচ্ছা খুন সজিবকে আমি করেছি। এখন তকে
খুন করবো। তকে না শুধু তোর আদরের
ছোটবোন তোবাকেও। কারণ একটা খুন
করলেও ফাঁসি, দশটা খুন করলেও ফাঁসি। তাই
যদি ফাঁসিতে ঝুলতেই হয়, তোকে খুন করেই
ঝুলবো। কথাটা বলে ছুড়িটা কথার গলাতে
ধরলাম।খুব কষ্ট হচ্ছে কথার করুণ মুখটা
দেখে। কিন্তু কি করবো? সত্যটা যে আজ
মিথ্যার আড়ালে ঢাকা। এ ছাড়া যে আমার
কোন উপায় নেই।
.
প্লিজ আমাকে ছেড়ে দাও। আমি কিছু
দেখেনি। আর সজিব নিজেই সুসাইড
করেছে। তুমি করনি। (কাঁদতে কাঁদতে
কথাগুলো বলল কথা)
.
মনে থাকবে তো?
..
হ্যাঁ মনে থাকবে! ( কথা)
.
ওই আবার কাঁদছিস। একদম কাঁদবিনা। এর
পরের দিন সজিবের দাফন হয়ে গেলে।
কথাকে এক সপ্তাহ পর ফোন দিয়ে বলি যে
আমাকে যদি বিয়ে না করে তাহলে
তোমার গর্ভে যে সজিবের সন্তান এটা
কেউ বিশ্বাস করবেনা। কারণ তোমাদের
বিয়ের কোন ডুকোমেন্ট নেই। আর সবাই
তোমাদের সন্তানকে জারজ সন্তান বলবে।
এ লজ্জা,, ঘৃণায় তোমার বাবা সুসাইড
করবে। তোমার বোনকে কেউ বিয়ে
করবেনা। বল তুমি বিয়ে করবে নাকি
তোমার গর্ভে অবৈধ সন্তান তা তোমাদের
সবাইকে বলে দিবো?
.
কথা সেদিন কাঁদতে কাঁদতে বিয়েতে
স্বীকার হয়েছিল। বাসায় এসে শাওয়ার
ছেড়ে চিৎকার করে কান্না করেছিলাম।
কীভাবে পেয়েছি,আমার কলিজার
টুকরা,আমার ভালবাসার মানুষকে কাল
কাঁদাতে। কিন্তু এ ছাড়া কোন উপায় ছিল
না আমার।
.
দেখতে দেখতে বিয়েটা হয়ে গেলেও
কোনদিন কথার ভালবাসা পায়নি। পায়নি
স্বামীর বিন্দুমাএ অধিকার। মাঝরাতে ঘুম
থেকে ওঠে জ্যোৎস্নার দিকে চেয়ে
কাঁদতাম। সারাটা জীবন কথা শুধু আমাকে
ভুলই বুঝে গিয়েছে। তোবার গুছিরে মিথ্যা
কথা বলার জন্য, কথার সে অকাট্য গালি
এখনো কানের কাছে বাজে। খুব ভালো
লেগেছিল,নিউ মার্কেট মুড়ের পিচ্চি
মেয়ের হাতের সেই বকুলের মালা,এক
জোড়া কানের দুল। কিন্তু সে গুলো কথা
পড়েনি, বকুল ফুলের মালা কথার খোঁপাতে
শোভা না পেয়েছে তার পায়ের তলায়।
ভালবেসে আনা কানের দুল, ঝুমকো জুড়া
কথার কানে ঠাঁয় পায় নি পেয়েছে
ডাস্টবিনে ময়লা আবর্জনার ভিড়ে। খুব কষ্ট
হয়েছিল, সেদিন,অনেক কান্নাও করেছি।
তবে যেদিন তোবা আমাকে মিথ্যা ধর্ষণের
অভিযোগ করলো আর কথা তার বাহবা
দিলো সেদিন খুব কষ্ট হয়েছিল।কষ্টে বুকটা
ফেঁটে গিয়েছিল। তবে জীবনের সবচেয়ে বড়
কষ্ট পেয়েছি সেদিন,যেদিন কথা আমাকে
মারার জন্য নিপুণ প্ল্যান করেছিল সেদিন।
নিজের ভালবাসার মানুষের হাতে কয়জনই
বা মরতে পারে তাও এতটা ভালোবেসে।
তাই সবটা জেনেও, নিজে কথাকে সন্দেহের
হাত থেকে বাঁচাতে সুসাইডড নোট লিখি।
চোখের জলে সুসাইড নোট টা ভেঁজে গেলেও
মনটাকে এ বলে স্বান্ত্বনা দেয় যে,
ভালবাসার মানুষের হাতেই মৃত্যু হবে। তাও
যাকে নিজের থেকে বেশি ভালোবেসেছি
তাঁর হাতে।জানো কথা যেদিন আমাকে
দুধের সাথে ঘুমের বড়ি মিশিয়ে হয়তো
জীবনের শেষ খাওয়া খাওয়াও সেদিন
তোমাকে অনেক সুন্দর লাগবে হয়তো ।
অবাক নয়নে তাঁকিয়ে থাকবো তোমার
দিকে। জানিনা কতক্ষণ তোমার দিকে
তাকিয়ে থাকতে পারবো কি না?
.
আজকে রাতটাই হয়তো আমার শেষ রাত।
তাই দিনের বেলাতেই কিছু ভবিষ্যত লিখে
গেলাম। আর হ্যাঁ আমার মেয়েটার নাম
রাইসা রাখবে কিন্তু। আর তোমাকে অনেক
কষ্ট দিয়েছি, জানিনা ক্ষমা করবে কিনা
তবুও বলছি ক্ষমা করে দিয়ো আমায়।
জানিনা কোনদিন আমার লেখা ডাইরিটা
তোমার হাতে পরবে কিনা। তবে ডাইরিটা
যেন তোমার হাতে যাই সেই প্রার্থনা করি
আল্লাহর কাছে। সময় ভালো থেকে" বড্ড
বেশি ভালোবাসি তোমায়"!
ইতি " অতিথি পাখি"
" কথা ডাইরিটা পড়ে কান্না থামাতে
পারছেনা। এতটা ভালোবাসার পরও রাজকে
সে অবজ্ঞা করেছে। দিনের পর দিন অপমান
করেছে। অভিশাপ দিয়েছে। শেষে নিজে
হাতে ঘুমের ওষধ খাওয়াইছে। কথার চোখের
পানিতে ডাইরিটা ভেঁনজে যাচ্ছে। কথা
রাজের শাটটা গায়ে দিয়ে রয়েছে। বুকে
ডাইরি, আর ফুপিয়ে কাঁদছে। বার বার
রাজের ডাইরিটাকে চুমু খাচ্ছে। রাজের
ডাইরিটা এবং তার শার্টটা গায়ে জড়িয়ে
ঘুমিয়ে যায়।
.
হঠাৎ রিত্ত দৌঁড়ে এসে কাঁদতে কাঁদতে
বললো ভাবী ও ভাবী" ভাইয়া মারা
গিয়েছে"। ভাবী আমার ভাইয়াকে আর কি
ভাইয়া ডাকতে পারবোনা?"
.
রিত্তের কথা শুনে কথার পায়ের নিচে
মাটি সরে যাচ্ছে। পৃথিবীটা কেমন যেন
অন্ধকার মনে হচ্ছে। কিছুক্ষণ পর এমবুলেন্স
করে রাজের লাশ নিয়ে আসলে কথা গিয়ে
দেখি কফিনের ভিতরে রাজকে খুব সুন্দর
লাগছে। আর কখনো রাজ তাকাবেনা সেই
ভালবাসার দৃষ্টি নিয়ে.......
.

♥-----"To be Continue"---♥