চোখে পানি চলে আসবে ১০০%
---------------------------------#বোনের_অবহেলা পার্ট ০২?
------------------------------------------
কিছুক্ষণ পর নুসরাত ওর ঘরে চলে গেল।
আর শুভ ভাতের প্লেট হাতে নিয়ে
আবার নুসরাতের পেছন পেছন চললো।
ঘরে গিয়ে,,
- আপু তুই মনে হয় খাসনি,,এই ধর হা কর
আমি
খাইয়ে দিচ্ছি।
( এ কান্ড দেখে নুসরাত খুব রেগে গেল)
-ওই হারামজাদা তোরে কে এতো দরদ
দেখাতে বলছে হ্যাঁ, যা ভাগ এখান
থেকে।
. এরকম ভাবে বলার জন্য শুভর চোখটা
ছলছল
করে উঠলো জলে,,, শুভ মন খারাপ করে
চলে
গেল ঘর থেকে। অর্ধেক প্লেট ভাত
খেয়ে আর
বাকিটুকু না খেয়েই নিজের ঘরে গিয়ে
শুয়ে
পড়লো শুভ।
.
বাচ্চা পোলাপাইন। এখনো ভালবাসা
শব্দের
অর্থ জানে না। তবুও আজ খুব কষ্ট হচ্ছে
ওর,
কেন ওর আপু ওকে একটুও আদর করে না।
একটুও ভালবাসে না? খুব কান্না পাচ্ছে
শুভর।
তাই আজ শুভ শুয়ে শুয়ে নীরবে কেদে
যাচ্ছে।
সে কান্না ওর আপুর কানে যাচ্ছে না।
নুসরাত শুনতে পাচ্ছে না ওর ছোট্ট
ভাইয়ের কষ্ট মাখা কান্না। হয়তো
কোনো দিন শুনতেও পাবে না।
. তারপরের দিন বিকেলে শুভ স্কুল
থেকে এসে
তাড়াহুড়ো করে ওর আপুর কাছে গেল,
- আপু আপু বড়ই খাবি? দ্যাখ কি
মিষ্টি!!!!
- কই পাইছস?
- আমাদের স্কুলের সামনে মেইন
রোডের ধারে যে বড় বড়ই গাছ ওটা
থেকে পারছি ।
- গাছে উঠতে পারিস?
- হ্যাঁ, পারি।
- আচ্ছা রেখে যা।
.
তারপর শুভ বড় বড় কয়েক টা বড়ই ওর আপুর
বিছানায় রেখে খুশি মনে ফুটবল নিয়ে
বাইরে খেলতে গেল।খুশি হওয়ার কারণ
টা হলো : আজ
ওর আপু ওর উপর না রাগ করে ও যেগুলো
দিছে সেগুলো রেখে দিছে তাই শুভ
আজ অনেক
খুশি।
.
শুভ কতখন ফুটবল নিয়ে গড়াগড়ি করে
আবার মন খারাপ করে বাসায় চলে
আসলো। এবার মন
খারাপ হলো গিয়ে,,, ওর এখানে কোনো
খেলার সাথী নেই। শুভ একা একদম একা।
কেউ নেই এখন শুভর পাশে। কিছুক্ষণ পর
ভাবলো,,আমি
তো আজ আপুকে খুশি দেখেছি,, বড়ই
দিছি বলে আপু খুব খুশি হইছে তাই
আপুকে বলি আমার
সাথে খেলতে।
.
ঘরে গিয়ে শুভ দেখে ওর আপু রিমোট
নিয়ে টিভি দেখছে,
- আপু শোন।
- কি? - আমার সাথে বাইরে চল না একটু।
- ক্যা?
-ফুটবল খেলবো।
- তো খেল। আমি কি করবো?
- তুই তো জানিস এখানে তুই ছাড়া
আমার খেলার সাথী আর কেউ নেই,,
চল না আপু একটু খেলি।
- চুপ করে ঘরে গিয়ে বসে থাক যা এখান
থেকে। যত্তোসব। .
শুভ চলে গেল সেখান থেকে। আর নুসরাত
টিভি দেখতে লাগলো।
কিছুক্ষণ পর শুভ দেখে ওর আপু বাথরুমে
গেল। তাই দৌড়ে আপুর ঘরে গিয়ে আপুর
গোপাল
ভাঁড়ের হাসির বইটা নিয়ে নিজের
ঘরে চলে এলো শুভ।তার কিছুক্ষণ পরেই
শুভ ওর আপুর চিল্লাচিল্লি শুনতে পেল।
- শুভ এই শুভ।
- কি হইছে আপু?( অনেক ভয় নিয়ে
বললো)
- আমার ঘরে ঢুকেছিলি?
- হ্যাঁ, আপু।
- বই কে নিছে?
- আমি।
- নিছস কেন?
- একা ভালো লাগছে না, তাই পড়ার
জন্য নিয়েছি।
- ( ঠাস)
- আরেক বার যদি তুই আমার ঘরে আমার
অনুমতি ছাড়া ঢুকেছিস তো তোর পা
কেটে
ফেলবো। - আচ্ছা আপু আর যাব না
কোনো
দিন ( কেদে দিয়ে বললো শুভ)
- যা এখন।
আর ভুলেও কোনো দিন আমার
জিনিসের ভেতর হাত দিবি না। নইলে
ফল খারাপ হইবো।
- আচ্ছা ঠিক আছে।
.
এই বলে দৌড়ে চলে গিয়ে নিজের ঘরে
এসে খুব জোরে জোরে কাদতেঁ লাগলো
শুভ। এ
কান্না শুনেও ওর প্রতি একটুও মায়া
জন্মালো না ওর আপুর।কাছে এসে
একবারের জন্যও নুসরাত আদর করে বললো
না, কাঁদিস না ভাই,আর মারবো না।
.
শুভর মা বাবা এগুলো সব দেখে,শুধু শুভর
মা ওর আপুকে মাঝেমধ্যে একটু এ বিষয়
নিয়ে
বকতো,কেন ও এমন করে শুভর সাথে
কিন্তু এর
বেশী কিছু বলতো না।কি দোষ করেছিল
শুভ। কোনপাপের শাস্তি দিচ্ছে আজ ওর
আপু। কেন ওকে এতো কষ্ট দেয়। কোন
অপরাধের জন্য নুসরাত শুভ কে একটুও
ভালবাসে না। একটুও আদর করে না।
কিসের জন্য ছোট ভাইকে একটু
কাছে টেনে নেয় না। সবসময় কেন এতো
অবহেলা করে??
.
এভাবে চলছে দিন। কয়েক মাস পর
....