চোখে পানি চলে আসবে ১০০%
---------------------------------#বোনের_অবহেলা পার্ট ০১?
------------------------------------------
আপু ১০টা টাকা দে তো।
- কেন?
- স্কুল যামু।
- টাকা নাই এখন যা।
- এমন করস কেন আপু দে না প্লিজ।
- বলছি না, নাই এখন ঘ্যানর ঘ্যানর
করিস না তো।
- আপু দিবি কিনা? ( ঠাস)
- এই নে দিলাম, হইছে এখন?
- উহুঁ উহুঁ। ..
কাদতেঁ কাদতেঁ বেরিয়ে গেল ঘর থেকে
শুভ।
এই হলো নুসরাত আর ওর ভাই। নুসরাত
পরে
ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে আর শুভ পরে ক্লাস
ফাইভে। শুভ সবসময় ওর আপুর সাথে
মেলামেশার চেষ্টা করে কিন্তু ওর আপু
ওর সাথে এমন ব্যবহার করে। দুজনে সাপ
বেজির মতো,, শুভ ওর আপুর কাছে
থাকতে চাইলেও ওর আপু ওকে ঝামেলা
মনে করে দূরে রাখে।
.
স্কুলে যাওয়ার সময়, শুভ ভাবলো আপু
তো আমার স্কুলের সামনে দিয়েই
কলেজে যায়।
আমার স্কুলের সামনে দিয়েই কলেজে
যাওয়ার রাস্তা, তাই আমি আপুর সাথে
যাব।
শুভ ওর আপুর ঘরে গিয়ে দেখে ওর আপু
রেডি
হয়ে গেছে কলেজে যাবার জন্য।
.
- আপু আপু আমাকে সঙ্গে নিয়ে যা।
- একা যেতে পারিস না।
- এতো গাড়ির মধ্যে একা যেতে ভয়
লাগে
তোর সাথে যাব।
- আচ্ছা নিয়ে যাব, রাস্তায় বেরিয়ে
এটা ওটা বাহানা ধরবি তো,সকালের
মতো আরেক টা দিব।
- আচ্ছা চুপ করে থাকবো।
.
তারপর শুভ আর নুসরাত বেরিয়ে পড়ে।
দুজনে চুপচাপ রাস্তা দিয়ে হাটছে।
তবুও ওদের মাঝে প্রায় ১ হাত ফাকা
জায়গা
বিরাজ করছে। শুভর অনেক ইচ্ছে করছে
আপুর হাতটা ধরে রাস্তায় চলতে কিন্তু
শুভ ১ হাত ফাক
দিয়ে যাচ্ছে। আর আপুর কাছে যেতে ভয়
পাচ্ছে,যদি মাইর দেয়। .
ওর আপু তো ওকে একটুও ভালবাসে না।
সবসময় মারধোর করে। তাই এখন শুভর
মনে
সবসময় এক ভয় কাজ করে,,, সেটা হলো
আপুর কাছে যাওয়া যাবে না, নয়তো
মার খেতে হবে।
তখন শুভ বলে,,,
- আপু একটু কোলে নে না।
- কিইইইই?? ( চোখ বড় বড় করে রাগি লুক
নিয়ে তাকালো শুভর দিকে)
- না,,, কিছু বলি নাই।
.
শুভ ভয় পেয়ে আরও একটু দূরে সড়ে যায়।
তারপর শুভ ওর স্কুলে চলে যায় আর ওর
আপু
একটু শান্তি পায়। মনে মনে বলতে
থাকে আপদ গেছে।
. এরপর সারাদিন শুভ স্কুলে আর নুসরাত
কলেজে কাটায়। এভাবেই দিন চলছে
দুজনের।
শুভ পাচ্ছে শুধু ওর আপুর অবহেলা।
কোনো সময় একটু ভালবেসে আদর করেনি
ওকে।
সবসময় বকাঝকা আর মেরেই সময় কাটায়
বাড়িতে ওর আপু।
. বিকেল ৪ টার ছুটি হয় শুভর স্কুল।
ওর বাসার আশেপাশে ওর কোনো বন্ধু
নেই।
তাই স্কুল ছুটি হওয়ার পর শুভ একা একা
মেইন
রোডের ধার দিয়ে ধীরে ধীরে হাটতে
হাটতে বাসার
দিকে অগ্রসর হয়।রাস্তায় দিয়ে
যাওয়ার সময় শুভ দেখে একটা মেয়ে
একটা ছেলেকে নিয়ে রাস্তা পার
হচ্ছে। ছেলেটি মেয়েটার কোলে
ছিলো,
বিশেষ করে মেয়েটার ছোট ভাই হবে
হয়তো।
. রাস্তা পাড় হওয়ার পরই দুজনে আবার
একসাথে চলতে লাগলো।
শুভ তখন ভাবে, ইসসসস এমন করে যদি
আমার
আপু আমাকে আদর করতো ভালবাসতো
তাহলে
ও অনেক সুখী হতো। আর কিছু চাইতো
না ওর
আপুর কাছে।এটুকুই যথেষ্ট ছিলো শুভর
কাছে।
কিন্তু এটা নুসরাত বুঝতো না,যে ওর ভাই
কি চায়।
শুভ শুধু ওর কাছে একটু আদর চায় কিন্তু
নুসরাত শুভকে অবহেলা ছাড়া কোনো
দিন কিছু দেয়নি।
.
এসব ভাবতে ভাবতে বাসায় চলে আসে
শুভ।
আর ওর আপু তো আগেই এসেছে,,কারণ
স্কুল
থেকে কলেজ আগে ছুটি হয়। এসে ফ্রেস
হয়ে দেখে আম্মু বাসায় নেই।
.
-আপু আম্মু কই গেছে?
- পাশের বাসায়।
- খেতে দে। - আমার কাজ আছে, ভাত
বেড়ে খা।
- ধ্যাত, ভাল্লাগেনা,, কোনো কিছু
করতেই
বললেই সবসময় বলস তুই নিজে কর।
এমন করস কেন আপু?
- উফফফ, কি করি এটাকে নিয়ে!!
আচ্ছা বস দিচ্ছি।
-( শুভ খুশি মনে তাড়াতাড়ি বসে
পড়লো) - এই নে খা।
- আপু তুই খেয়েছিস?
- তোর সেটা নিয়ে মাথা ঘামাতে
হবে না,,
চুপচাপ খা।
- ( শুভ মুখ কালো করে খাওয়া শুরু
করলো)
.