সচেতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ
------+++-------+++-------+++------
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নির্দেশনার প্রেক্ষিতে দেশের সকল সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীর ডাটাবেজ তৈরি করার লক্ষে গত ৯ জানুয়ারি/২০২২ প্রধান তথ্য কর্মকর্তা জনাব শাহেনুর মিয়া কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি পত্র সকল জেলা তথ্য কর্মকর্তার নিকট ১৮ই জানুয়ারির মধ্যে পৌঁচেছে। এতে বলা হয়েছে পত্র প্রাপ্তির ৩০দিনের মধ্যে তার নিজ জেলার সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীর ছকে বর্ণিত তথ্য সমূহ পূরণ করে তথ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করতে হবে। ছকটিতে রয়েছে সংবাদপত্র /নিউজ এজেন্সি /ইলেকট্রনিক মিডিয়া /অনলাইন মিডিয়া এর ঠিকানা, ফোন নম্বর, ই-মেইল। ১। সাংবাদিক কর্মীর নাম পিতার নাম ও মাতার নাম, ২। প্রতিষ্ঠানের নাম ও যোগদানের তারিখ, ৩। বর্তমান ঠিকানা, ,৪। স্থায়ী ঠিকানা, ৫। মোবাইল নম্বর,৬। জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর, ৭। ই-মেইল, ৮। সাংবাদিক অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড নম্বর (যদি থাকে), ৯। রক্তের গ্রুপ, ১০।লিংগ, ১১। ভূতপূর্ব প্রতিষ্ঠান নাম ও ১২। ছবি। এ সকল তথ্য যদি একজন সাংবাদিকের তথ্যভাণ্ডারে সংরক্ষণ করা হয় তাহলে তথ্য ভাণ্ডার তৈরীর মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। এতে হলুদ সাংবাদিক বৈধতা পাবে। ফকিরাপুল থেকে পত্রিকার আইডি কার্ড তৈরি করে তথ্য ফরম পূরণ করা সম্ভব। এখানে কে হলুদ সাংবাদিক, কে পেশাদার সাংবাদিক তা বুঝার কোনো সুযোগ নেই। ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অরগানাইজেশন (এফবিজও)সহ দেশের সাংবাদিক সংগঠনগুলোর দাবি হলুদ সাংবাদিকদের মুখোশ উন্মোচন করতে এবং পেশাদার সাংবাদিকদের মর্যাদা নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরি সহ তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে সাংবাদিক কার্ড প্রদান করা। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে ডাটাবেজ তৈরি হলে পেশাদার , অপেশাদার ও হলুদ সাংবাদিকদের চিহ্নিত করা কঠিন কাজ হবে। হলুদ সাংবাদিক বৈধতা পেয়ে যাবে। "হলুদ সাংবাদিক নিপাত যাক পেশাদার সাংবাদিক মর্যাদা পাক" জাতীয় স্বার্থে এটাই আমাদের কাম্য। বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ রইলো।।।
মোঃ শামছুল আলম
মহাসচিব
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন (এফবিজেও)
আব্দুল বাতেন সরকার
, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ ও অর্থ বিষয়ক সচিব,
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন (এফবিজও)।