ডাক্তার মেয়ে প্রেমে
৷৷৷ #৩য়_পর্ব ( শেষ পর্ব)
চিন্তায় পড়ে গেলাম।বয়ফ্রেন্ড নাতো আবার।
আমি তো জানিনা ওর বয়ফ্রেন্ড আছে।
আর জানবোই কিভাবে কখন তো জিজ্ঞেস ও করি নাই।
যাই হোক যা হবার কালকে হবে।
,
সারারাত চিন্তায় ঘুম হলো না।
পরের দিন বিকেল এ আমি পার্ক এ গেলাম।
ওইতো দেখা যাচ্ছে ওদের। বুকের ধুকপুকানি বেড়ে
গেলো তবে কি আমার ধারনাই সত্য?
আমি যত এগুচ্ছি ততই ধুকপুকানি বাড়ছে।
অবশেষে গেলাম ওদের সামনে।
আমার গলা কাপছে কথা বলতে পারতাছি না।
এই প্রথম আমি খেয়াল করলাম কারো জন্য আমার
গলা কাপছে। আসলে প্রচন্ড রকমের ভালোবাসলে
এরকম হয়।
আমি অনেক কষ্টে বললাম,
- কে এইটা??(আমি)
- ওর সাথে এতোদিন বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিলো আর এখন ও ........
আমি থামিয়ে দিলাম নিলিমাকে।
চলে আসলাম।
ও পিছন থেকে ডেকেছিলো কয়েকবার আমি ঘুরে তাকাই নি।
চলে আসলাম।
আমি শুনতে পারতাম না ওর মুখ থেকে কথাটা তাই চলে আসা।
,
এরপর আর দেখা করতে যাই নাই। ফোনটা অন ছিলো কল দিয়েছে আমি ধরি নাই।টেক্সটগুলা আনসিন।
কি দরকার মায়া বাড়িয়ে।
,
কিছুদিন পর ওর আবার কল আসলো।
আমি ধরলাম না তারপর একটা ভয়েস মেসেজ।
আমি প্লে করলাম।
আগামি ৭ তারিখ আমার বিয়ে দাওয়াত রইলো আসবেন কিন্তু।
মেসেজটা শোনার পর কয়েকমিনিট এর জন্য আমার পৃথিবি থমকে গেলো।
আমি কিছু বলতে পারতাছিনা শুধু চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।
আর কিছু সৃতি মনে পড়ছে।
খুব কাদলাম সেদিন রাত এ।
অনেকক্ষন কাদলাম তবুও মনটা হালকা লাগছে না।
তারপর থেকে শুরু আমি নিকোটিন নিয়েই পড়ে থাকি।
এর আগে অবশ্য কোনোদিন সিগারেট খাইনি।
,
ওকে ভুলে থাকতে চেষ্টা করছিলাম কিন্তু পারলাম না।
সবাইকে ভুলে থাকা যায়না।
দেখতে দেখতে সাত তারিখ চলে এলো।
একবার ভাবলাম যাবো না আবার ভাবলাম গিয়ে দেখে আসি একবার।
রাত আটটার দিকে ওদের বাসায় গেলাম।
কিন্তু ওকে দেখতে পাচ্ছিনা দেখবো কিভাবে সাজ তাছে মনে হয়।
আমি সাজ ঘরে গেলাম।
দরজার পাশ থেকে ওকে একবার দেখে চলে আসলাম।
তবে খটকা লাগলো ওর চাচাতো বোন ও বিয়ের সাজে কেনো।
হয়তো দুজনের এক সাজ।
ওদের যৌথ পরিবার একটা বাড়িতেই সবাই থাকে।
যাই হোক
খুব সুন্দর করে সেজেছে ও ঠিক আমার মনের মতো করে।
আমি চলে আসলাম ওখান থেকে ।
আমাকে কি দেখতে পেয়েছে ও নাকি দেখেনি।
ওদের বাড়ির পিছনে পুকুর পাড়ে গিয়ে বসলাম।
একটু পর শুনতে পেলাম বড় এসেছে।
সিগারেট এর নেশাটা প্রবল হয়ে উঠলো ।
আমি সিগারেট ধরালাম।
একটার পর একটা খেয়েই চলেছি ।
খুব শান্তি লাগছে সিগারেট খেয়ে।
তবে কষ্টটার পরিমান আরেকটু বেশি তাই হয়তো চোখ দিয়ে অঝোরে বৃষ্টি পড়তাছে।
আটটা সিগারেট ছিলো সবকটা শেষ করলাম।
একটু পর সবকিছু নিরব মনে হলো।
মনে হয় এখন কবুল বলবে।
আমি হন্তদন্ত হয়ে সিগারেট খুজতে লাগলাম পেলাম না অনেক খুজে শার্টের পকেট এ একটা আধপোড়া সিগারেট পেলাম।
ওটাই ধরালাম।
আহ শান্তি লাগতাছে।
হঠাৎ পিছনে কারো কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম।
পিছন ফিরে তাকালাম।
বিয়ে বাড়ির লাইটিং সব যায়গায় লাইট দেওয়া আমি স্পষ্ট নিলিমাকে দেখতে পেলাম।
সিগারেট টা পিছনে লুকিয়ে ফেললাম,
- লুকিয়ে লাভ নেই আমি সব দেখেছি।(নিলিমা)কাদতে কাদতে।
- কি দেখেছো তুমি?(আমি)
- কয়টা সিগারেট খাইছো তুমি?(নিলিমা)
- বাদ দাও তোমার বিয়ে বাদ দিয়ে এখানে কিভাবে?(আমি)
- বিয়েতো হয়ে গেছে।(নিলিমা)
- তাহলে এখানে কিভাবে আসলে।(আমি)
- আজকে আমার বোনের বিয়ে?(নিলিমা)
- তাহলে তুমি কনে সেজেছো কেনো?(আমি)
- তোমার জন্য?(নিলিমা)
- তাহলে সেদিন যে বললা তোমার বিয়ে।
- সেদিন আমি তোমাকে বলতে গেছিলাম আমার বন্ধুর সাথে আমার চাচাতো বোনের বিয়ে।আর তুমি কি সব ভেবে চলে আসলা।তারপর কতোবার কল দিছি তুমি ধরো নাই শেষে এই ভয়েস মেসেজ টা দিছি।(নিলিমা)
- এই তুমি কাদতাছো কেনো?(আমি)
- তুমি এতো বোকা কেনো?(নিলিমা)
- কোথায় বোকামি করলাম আমি?(আমি)
- তুমি বুঝোনা আমি তোমাকে ভালোবাসি।(নিলিমা)
- বলছো কখনো?(আমি)
- আমি কেনো বলবো।(নিলিমা)
- তাহলে কে বলবে?(আমি)
- তুমি বলবা।(নিলিমা)
দুজনের মুখে হাসি।
- আচ্ছা বললাম- আমি তোমাকে ভালোবাসি।সাগর যতটা পানিকে ভালোবাসে ততটা। পানি ছাড়া যেমন সাগরের মুল্য নেই তেমনি তুমি ছাড়া আমার জিবন ও মুল্যহিন।
তুমি কি আমার আকাশের চাদ হবে???
- হুমম ভালোবাসি তোমাকে গাধা।(নিলিমা)
- আমি কি জড়িয়ে ধরতে পারি?(আমি)
- পারমিশন নিতে হবে??(নিলিমা)
- না যদি ইনজেকশন দাও?(আমি)
- এখন জড়িয়ে না ধরলে ইনজেকশন দিবো।(নিলিমা)
আমি ওকে জড়িয়ে ধরলাম।
আর ও আমার বুকে মুখ লুকালো।
হাসছি আমি হাসছে নিলিমা আর হাসছে আকাশের চাদ।
আপনারা হাসেন নাইতো আবার।

#সমাপ্ত...
কোনো গল্পের কোনো পর্ব মিস করলে আমার টাইমলাইন থেকে পড়েনিবেন। চাইলে আপনার ফ্রেন্ড করে রাখতে পারেন।