৯ ডিসেম্বর ১৮৮০, রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে সম্ভ্রান্ত ভূস্বামী আবু হায়দার আলী ও রাহাতুন্নেসা সাবেরা চৌধুরানীর ঘরে জন্মনেয় একটি মেয়ে , তৎকালীন সমাজব্যাবস্থার কারনে তাদের বাইরে পড়াশোনা করতে দেয়া হয়নি , সেই মেয়েটি ঘরে আরবি ও উর্দু শিখতে থাকে। মেয়েটির বড় ভাই ইব্রাহিম তার আগ্রহ দেখে ঘরেই গোপনে বাংলা ও ইংরেজি শেখান। ১৮ বছর বয়সে মেয়েটির বিয়ে হয় ভাগলপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এর সংগে , তার স্বামীও তার শিক্ষার প্রতি আগ্রহ দেখে তার লেখালেখি করতে উৎসাহ দেন এবং একটি স্কুল তৈরির জন্য অর্থ আলাদা করে রাখেন। ১৯০২ সালে পিপাসা নামে একটি বাংলা গল্প লিখে সাহিত্যজগতে তার অবদান রাখা শুরু হয়। ১৯০৯ সালে তার স্বামী মৃত্যুবরণ করেন। এর পাঁচ মাস পর স্বামীর নামে একটি মেয়েদের স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন ভাগলপুরে। কিন্তু জমি সংক্রান্ত জটিলতায় স্কুল বন্ধ করে তিনি কলকাতায় চলে যান । ১৯১১ সালে সেখানেই স্কুল খোলেন এবং মাত্র ৮ জন ছাত্রী নিয়ে ক্লাস শুরু করেন । ৮ বছরের মধ্যে তার ছাত্রী ৮৪ জন হয় । ১৯১৬ সালে তিনি মুসলিম বাঙালি নারীদের সংগঠন আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর তার জন্মতারিখেই তিনি মৃত্যুবরন করেন । তার নামে বাংলাদেশে পুর্নাংগ একটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ,

এই মহিয়সী নারী হচ্ছেন বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। আজ তার জন্মবার্ষিকী ।
উপরে ছবিটি হচ্ছে Google এর তরফ থেকে বেগম রোকেয়ার জন্য ছোট্ট একটি ট্রিবিউট ডুডল...!!!

#International_Domain
www.google.com :grinning:

image