Discover postsExplore captivating content and diverse perspectives on our Discover page. Uncover fresh ideas and engage in meaningful conversations
ফিরে দেখা ২০১৭ ➡
জাতীয় নায়ক : হীরো আলম
জাতীয় নাটক : বড় ছেলে
জাতীয় ছবি : ডুব
জাতীয় মুভি : ঢাকা এ্যাট্রাক
জাতীয় মাছ : ব্লু হয়েল
জাতীয় প্রেমিক : খান হেলাল
জাতীয় প্রেমিকা: মিথিলা
জাতীয় খাবার : ক্রাশ
জাতীয় ডাক : বাবু
জাতীয় প্রশ্ন : জান, তুমি আমাকে ভরসা করো না?
জাতীয় জীবনের লক্ষ্য : ফলোয়ার বাড়ানো
জাতীয় উপদেশ : প্রেম করিও না
জাতীয় ফসল : বাঁশ
জাতীয় ফেবু আইডি : এন্জেল অমুক
জাতীয় নিউসফিড : মেনশন করুন, ওরা কারা
জাতীয় দিবস : ১৪ই ফেব্রুয়ারি
জাতীয় গায়ক : মাহফুজুর রহমান
জাতীয় সমস্যা : পেঁয়াজের দাম
জাতীয় রাঁধুনি :কেক্কাপ্পা
জাতীয় দাবি : লিংক হপ্পে
জাতীয় রোবট :সোফিয়া
জাতিয় শব্দ : বাল
জাতীয় শোক : ব্রেক আপ
জাতীয় মিথ্যা : ফোন সাইলেন্ট ছিলো
জাতীয় রোগ : ভাল্লাগেনা
জাতীয় দুঃখ : Message seen but no reply
জাতীয় কষ্ট : Friend request sent but not accepted
জাতীয় আতঙ্ক : চার্জ শেষ
জাতীয় পাখি : GF
জাতীয় খেলা : প্রেম
জাতীয় বানী : আমাকে সবার মতো ভাববেনা
জাতীয় খেলা : লুডো স্টার
জাতীয় পোশাক : প্লাজো
জাতীয় ইমোজি : ব্যাঙ্গের ইমু
জাতীয় মন্ত্রী : নুরুল টাক্লা
জাতীয় তেল : পেয়াজের তেল
জাতীয় প্লেয়ার : তাসকিন
জাতীয় বাচ্চা : জয়
জাতীয় রোবট : সোফিয়া
জাতীয় প্রশ্ন : কোথায় চান্স ?
জাতীয় টেনশন : সাকিব অপুর সংসার
টপ জাতীয় দাবি : নোয়াখালী বিভাগ চাই
জাতীয় ব্রেকআপ : সাকিব-অপুর ডিভোর্স
জাতীয় শোক : তাহসান মিথিলার ডিভোর্স
জাতীয় আলোচনা : রোহিঙ্গা
জাতীয় বান্দ্রামী : হা হা রিএক্ট দিয়া বিরক্ত করা
ট্যালেন্ট বা যোগ্যতা দিয়ে জীবনে কিছু একটা করে ফেলবো- এমনটা আশা করে কোন লাভ নাই। কারণ দুনিয়াতে ট্যালেন্ট বা যোগ্যতা দিয়ে কাউকে বিচার করা হয় না। বিচার করা হয় অর্জন দিয়ে। তোমার চারপাশে তাকালেই দেখতে পাবে- একজন মানুষের সাথে আরেকজন মানুষের আর্থিক, সামাজিক, পারিবারিক স্ট্যাটাসের ডিফারেন্স তৈরি হয় তাদের অর্জনের ডিফারেন্স দিয়ে। ট্যালেন্টের ডিফারেন্স দিয়ে না। এইটাই বাস্তবতা।
এইজন্যই যার জীবনে অর্জন যত বেশি, সে তত বেশি এগিয়ে যায়। আর জীবনের অর্জন যে যতবেশি উপলব্ধি করতে পারবে, সে তত বেশি হ্যাপি হবে। তবে কারো জীবনের অর্জনের সংখ্যা বাড়ানো খুব কঠিন কিছু না। বরং সিম্পল চারটা স্টেপ ফলো করলে যে কেউ জীবনে অনেক কিছু অর্জন করতে পারবে।
স্টেপ-১: যে কাজটা শুরু করি করি বলে শুরু করা হয়ে উঠতেছে না। সেটা শুরু করে দিতে হবে। কনফিউশন, ভয়, আর গাইডলাইন পাওয়ার জন্য যতদিন অপেক্ষা করবে, জীবনে কিছু একটা করার সম্ভাবনা তত বেশি কমবে। বিজনেস শুরু না করে, বিজনেস আইডিয়া নিয়ে যত বেশি দিন চিন্তা করবে, একই আইডিয়া নিয়ে অন্য কেউ বিজনেস শুরু করার চান্স তত বেশি বাড়বে। সো, প্ল্যান বানাতে গিয়ে সময় নষ্ট করো না। পড়ার রুটিন বানাতে গিয়ে ,পরীক্ষার পড়া বন্ধ করে রেখো না। যেটা মেইন কাজ, সেটা যত দ্রুত সম্ভব শুরু করে দাও।
স্টেপ-২: যে কাজটা শুরু করছো সেটা ফিনিশ করতে হবে। কবিতা অর্ধেক লিখে তুমি কবি হতে পারবা না। শুধু A মাইনর আর G মাইনর শিখে গিটার বাদক হতে পারবা না। ৮০ পাতা থিসিসের ১০ পাতা লিখলে ডিগ্রি দিবে না। কাজটা ফিনিশ করতে হবে। শেষ করতে হবে। ভালো না লাগলে, নিজের উপর জোর করে হলেও ফিনিশ করতে হবে।
স্টেপ-৩: আজকে যে কাজটা করছো। কালকেও সেই কাজটাই করতে হবে। কালকের চাইতে ভালো হোক বা খারাপ হোক, সেই একই কাজ করতে হবে। শুধু তিনটা গান সুর করে মিউজিশিয়ান হতে পারবা না। চারদিন ইট গেঁথে বিল্ডিং বানানো যায় না। দুই সপ্তাহ ক্রিকেট খেলে ন্যাশনাল টিমে চান্স পাওয়া যায় না। কাজটার পিছনে লেগে থাকতে হবে। লেগে থাকলেই উন্নতি হবে। দক্ষতা আসবে। নতুন নতুন কৌশল তোমার নিজের ভিতর থেকেই উদ্ভব হবে। হতাশ হয়ে ছেড়ে দিলে যে কয়দিন ট্রাই করছো, সেই কয়দিন সময় অপচয় ছাড়া আর কিছু না। তাই ভালো হচ্ছে, না খারাপ হচ্ছে। ভবিষ্যতে লাভ হবে কি, হবে না- বিচার না করেই লেগে থাকো।
স্টেপ-৪: শো-অফ করতে হবে। ওভার কনফিডেন্স দেখাতে হবে। তোমার যোগ্যতা যতটুকু, তার চাইতে বাড়িয়ে বলতে হবে। কারণ টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে ফুলের গন্ধ বের হবে, পিছনে হট মডেল ঘুরবে না দেখলে আমরা টুথপেস্ট কিনি না। ৩০ হাজার টাকা দিয়ে যে বিয়ে করে ফেলা যায়, সেই বিয়েতে ৩০ লাখ খরচ করে শো-অফ না করলে প্রেস্টিজ আসে না। তাই তোমার নিজের ঢোল নিজে পিটাতে গিয়ে একটু শো-অফ করে দিবা। হালকা বাড়িয়ে বলে নিজের যোগ্যতার মার্কেটিং করবা। অতটুকু বাড়িয়ে বলবে, যতটুকু এক্সট্রা পরিশ্রম করে, দুই-তিন সপ্তাহ খাটা-খাটুনি করে কভার করে দিতে পারবা।
অর্জনের প্রসেসে ঢুকে পড়ো। সম্মান, সম্পদ, সুখ সব হাতের মুঠোয় চলে আসবেই আসবে