Discover postsExplore captivating content and diverse perspectives on our Discover page. Uncover fresh ideas and engage in meaningful conversations
রাসূল (ছাঃ)-এর পক্ষ থেকে কুরবানী করার ব্যাপারে শরী‘আতে কোন অনুমোদন আছে কি?
https://islamesite.wordpress.c....om/2017/09/19/%e0%a6
রাসূল (ছাঃ) বা কোন মৃতের জন্য পৃথকভাবে কুরবানী দেওয়ার কোন বিধান নেই। আলী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)- এর অছিয়ত হিসাবে তাঁর জন্য পৃথক একটি দুম্বা কুরবানী করেছিলেন মর্মে যে বর্ণনা এসেছে (আহমাদ হা/১২৭৮; তিরিমিযী হা/১৪৯৫; মিশকাত হা/১৪৬২), তা নিতান্তই যঈফ। কোন ছাহাবী রাসূল (ছাঃ)-এর জন্য বা রাসূল (ছাঃ) তার প্রিয় স্ত্রী ও সন্তানাদি বা প্রিয় চাচা হামযা বা অন্য কোন মৃতব্যক্তির জন্য এভাবে কুরবানী করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না। অতএব এসব থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
কিছু কিছু মাসআলার ক্ষেত্রে দেখা যায় একজন সালাফী আলেম সেটাকে বিদ‘আত বলছেন, অপরজন সেটাকে সুন্নাত বলছেন। যেমন রুকুর পরে উঠে পুনরায় বুকে হাত বাঁধার বিষয়টি। এজন্য কোন আলেমকে বিদ‘আতী বলে আখ্যায়িত করা যাবে কি?
https://islamesite.wordpress.c....om/2017/09/19/%e0%a6
বলা যাবে না। কারণ বিদ‘আত বলা এবং বিদ‘আতী বলা এক জিনিস নয়। ইজতিহাদী বা ব্যাখ্যাগত ভুলের কারণে কাউকে বিদ‘আতী বলা যায় না।
শায়েখ আলবানী (রহঃ) বলেন, একজন আলেম কোন বিদ‘আত করার অর্থ এই নয় যে তিনি বিদ‘আতী। কোন আলেম যদি ইজতিহাদের মাধ্যমে কোন হারাম কাজকে হালাল সাব্যস্ত করেন, তার অর্থ এই নয় যে, তিনি হারাম কাজে লিপ্ত হয়েছেন। হ্যাঁ আমরা বলতে পারি যে, এই আমলটি বিদ‘আত, কেননা তা সুন্নাতবিরোধী; কিন্তু এর কারণে আমরা বলি না যে, স্বয়ং ঐ ব্যক্তি বিদ‘আতী। …সঊদী আরবের অনেক ভাইয়ের মধ্যে এটি অনুপস্থিত, যখন তারা একটি বক্তব্যের জন্য আমার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করেন। যেখানে আমি বলেছি, রুকূ থেকে উঠার পর ডান হাত বাম হাতের উপর রাখা বিদ‘আত। (তারা বলেন) ‘কিভাবে আপনি একে বিদ‘আত বলতে পারেন অথচ অমুক অমুক শায়েখ এটাকে সুন্নাত বলেন!… তবে কি তারা সবাই বিদ‘আতী!! এখন আপনারা নিশ্চয়ই উত্তরটি পেয়েছেন! না, তাঁরা বিদ‘আতী নন। তবে আমার দলীল ও দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী উক্ত আমলটি বিদ‘আত (সিলসিলাতুল হূদা ওয়ান নূর, অডিও ক্লিপ নং ৭৮৫)। সুতরাং কোন কুফরী কাজের জন্য যেমন কাউকে কাফির বলা যায় না। তেমনি কোন বিদ‘আতী আমলের জন্য সহসা কাউকে বিদ‘আতী আখ্যা দেয়া যায় না।
https://islamesite.wordpress.c....om/2017/09/19/%e0%a6
বিগত দিনে আমাদের দেশের যেসব প্রবীণ ব্যক্তি দীর্ঘ সফরের মাধ্যমে হজ্জ করে ফিরে আসতেন এবং সকল অন্যায় কাজ-কর্ম হ’তে দূরে থেকে নিজেকে দ্বীনী কাজে লিপ্ত রাখতেন, তাদেরকে নাম ধরে না ডেকে বিশেষ শ্রদ্ধার সাথে ‘আলহাজ্জ’ বা ‘হাজী ছাহেব’ বলে সম্বোধন করা হ’ত। বিশেষ গুণ বা বৈশিষ্ট্যের কারণে মানুষকে এভাবে সম্মান করে ডাকা আদৌ অন্যায় নয়।
বরং উত্তম লকবে ডাকা ইসলামী শিষ্টাচারের অন্তর্ভুক্ত। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হযরত আবুবকর-কে ছিদ্দীক্ব, আয়েশা-কে হোমায়রা, আলী-কে আবু তুরাব, আব্দুর রহমান-কে আবু হুরায়রা, হুযায়ফা-কে নওমান, আব্দুল্লাহ-কে যুল-বিজাদায়েন, খিরবাক্ব-কে যুল-ইয়াদায়েন (দ্রঃ দরসে কুরআন ‘দ্বন্দ্ব নিরসন’ ২০/৯ জুন’১৭), খালেদ বিন অলীদকে ‘সায়ফুল্লাহ’ (আল্লাহর তরবারী) এবং জাফর বিন আবু তালিবকে ‘আত-ত্বইয়ার’ লকবে ডেকেছেন (দ্রঃ সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) ‘মুতার যুদ্ধ’ অধ্যায়)। এমনকি ইবনু হাজার বলেন, বলা হয়ে থাকে যে, রাসূল (ছাঃ) ওমর (রাঃ)-কে প্রথম ‘ফারূক্ব’ লকব দিয়েছিলেন (ফাৎহুল বারী ‘ওমরের মর্যাদা’ অনুচ্ছেদ হা/৩৬৭৯-এর পূর্বের আলোচনা দ্রষ্টব্য)।
তবে অহংকার প্রকাশার্থে নিজের নামের সাথে উক্তরূপ লকব যুক্ত করা নিষিদ্ধ। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘ঐ ব্যক্তি কখনোই জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যার অন্তরে সরিষা দানা পরিমান অহংকার রয়েছে’ (মুসলিম হা/৯১; মিশকাত হা/৫১০৮)। তাছাড়া সেটি রিয়া ও শ্রুতির অন্তর্ভুক্ত হবে, যা হারাম (বুখারী হা/৬৪৯৯; মুসলিম হা/২৯৮৬; মিশকাত হা/৫৩১৬)।
<iframe src="https://www.facebook.com/plugi....ns/post.php?href=htt width="500" height="498" style="border:none;overflow:hidden" scrolling="no" frameborder="0" allowTransparency="true"></iframe>