অনূর্ধ্ব- ১৯ বিশ্বকাপে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই দলের হয়ে চট্টগ্রামের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন শাহাদাত হোসেন দীপু। তখনও হয়ত ধারনাই ছিল না বিশ্বকাপ জয় করতে পারবে তারা। তবে সেই অসাধ্য সাধন করেছে বাংলার টাইগাররা। সেই সাথে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে দীপুর।
বিশ্বকাপজয়ী এই তরুণ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের চরকানায় গ্রামে তার বাড়ী। তবে বর্তমানে নগরীর পাচলাইশ থানাধীন ষোলকবহর এলাকায় পরিবারসহ তাদের বসবাস। তিন বোন, দুই ভাইয়ের মধ্যে পরিবারের সবার ছোট শাহাদাত হোসেন দীপু। দীপুর বাবার চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চাকরির সুবাদে পুরো পরিবার চট্টগ্রাম চলে আসে।
তবে ক্রিকেটের শুরুটা তার এত সহজ ছিল না। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে প্রথমদিকে পরিবারের পুরোপুরি সমর্থন ছিল না ক্রিকেট খেলায়। পরে ২০১০ সালে মারা যায় টিপুর বাবা। এই সময় পরিবারের পুরো দায়িত্ব এসে পড়ে দীপুর বড় ভাইয়ের উপর। সেই সময় থেকেই ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ পেতে থাকে দীপুর। পরিবারের নানা অস্বচ্ছলতার মধ্যে ক্রিকেট ছাড়েননি দীপু। তার বড় ভাই আবুল হোসেন জানান, এক সময় তার নিজের ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ থাকলে পরিবারের কারণে আর খেলা হয়নি। কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে তিনি সব সময় দীপুকে খেলার প্রতি সমর্থন দিয়ে গেছেন। নিজের ব্যাট না থাকায় শুরুতে গাছ দিয়ে ব্যাট বানিয়ে, ধার করা ব্যাট দিয়ে দীপু খেলত বলে জানান তার বড় ভাই।
তবে দীপুর এই ভাল খেলার পিছনে সবচেয়ে বড় সমর্থন ছিল তার দুই দুলা ভাইয়ের। কান্না জড়িত কণ্ঠে তারা জানান, জীবনে নানা ঘাত-প্রতিঘাত পার করতে হয়েছে দীপুর। ছোট বেলা থেকে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে পাওয়া মেডেল, ট্রফি রাখার জন্যও ঘরে কিছু ছিল না বলে জানান তারা। খেলার জন্য ছিল না ভাল কোনো ব্যাট। ধার করা ব্যাট দিয়ে খেলতে হত দীপুকে। তবে শুধুমাত্র নিজের একাগ্রতা, খেলার প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষাই দীপুকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে বলে জানান তার দুই দুলাভাই।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দীপু যখন বাসায় এসে পৌঁছান ততক্ষণে ভক্ত সমর্থকদের ভিড় জমে গেছে, দীপুকে এক নজর দেখার জন্য। এ সময় ফুল দিয়ে, মিষ্টি খাইয়ে তাকে বুকে জড়িয়ে নেন মা ফেরদৌস বেগম।
এ সময় শাহাদাত হোসেন দীপু সময় সংবাদকে জানান, এই বিশ্বকাপ জয় দলীয় সাফল্য। এই জন্য দুই বছর তাদেও কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। ভবিষ্যতে জাতীয় দলের জার্সিতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার আগ্রহ প্রকাশ করেন শাহাদাত হোসেন। তামিক, সাকিব কিংবা মুশফিকের মত গড়ে তুলতে চান নিজেকে।
সাউথ আফ্রিকা থেকে আসার পথে বিমান বিরতি ছিল ডুবাই এয়ারপোর্টে। এ সময় সেখান থেকে মায়ের জন্য উপহার হিসেবে একটি স্বর্ণের আংটি কিনে আনেন দীপু। আর ঘরে প্রবেশ করেই নিজের মায়ের হাতে সবার সামনে আংটি পরিয়ে দেন চট্টগ্রামের লোকাল বয়। আর উপহারটি পেয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে তার মা বলেন, আমার জীবনের সেরা উপহার এটি’। ভকিষ্যতে ছেলেকে সাকিব, তামিমদের কাতারে দেখতে চান বলে জানান মা ফেরদৌস বেগম।
বিশ্বকাপ সংবাদ
36-copyবিশ্বকাপ জয়ী ইমনকে নিজ জেলায় গণসংবর্ধনাdipuধার করা ব্যাটে খেলে বিশ্বজয় দীপুরworld-cupদেশের মাটিতে পা রাখলেন 'বিশ্বজয়ী' বীরেরাwater-seluteনজিরবিহীন ওয়াটার স্যালুট পাবেন যুবারা
indian-loss‘বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং যুব ক্রিকেট দল আমাদের থেকে ভালো’
who-is-akber-the-greatবিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক কে এই আকবর আলী?
heroনায়কেরা এমনই হন
world-cup-inningsবিশ্বকাপ জিততে বাংলাদেশের সামনে মামুলি লক্ষ্য
world-cup-final-errorবিশ্বকাপ ফাইনালের সেই ভুল স্বীকার করলেন ধর্মসেনা
hathurushinghaহাথুরুসিংহেকে বরখাস্তের নির্দেশ
mashআমার মন খারাপ না হলে সেটা ‘লজ্জার’: মাশরাফী
wc-top-moments1বিশ্বকাপের সেরা দশ মুহূর্ত
injamamনির্বাচকের পদ ছাড়লেন ইনজামাম
ben-stokesআম্পায়ারদের ওই ৪ রান ফেরত নিতে বলেছিলেন স্টোকস!
gettyimages-1092462870-1553ভারতীয় কোচিং প্যানেলে ব্যাপক রদবদলের আভাস
iccআইসিসিকে নিয়ে অভিতাভের মজার টুইট!
stokesএবার নাইট উপাধি পাচ্ছেন স্টোকস
eng-news1অ্যাশেজ চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন জো রুট
garry'ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন করলে কোনো বিতর্ক হতো না'
eng-team-may1প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র সঙ্গে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের সাক্ষাৎ
england-champআম্পায়ারের ভুলেই চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড!
monti-panaserএই ট্রফি ইংল্যান্ডের আগামী প্রজন্মের ক্রিকেটকে পাল্টে