ভুয়া অনলাইন শপিং সাইট চেনার উপায়। না দেখলে মিস করবেন

Comments · 1345 Views

ভুয়া অনলাইন শপিং সাইট চেনার উপায়

ব্যস্ত জীবনে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অনলাইনে কেনাকাটা। কনজ্যুমার ক্রেডিট রিপোর্টিং এজেন্সি এক্সপেরিয়ানের নতুন একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, অনলাইন শপিংয়ে প্রতারণার ঘটনাও ক্রমশ বেড়ে চলেছে- ২০১৬ সাল থেকে ২০১৭ সালে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়ে রিডার্স ডাইজেস্টের তথ্যসূত্রে বিস্তারিত জানিয়েছে রাইজিংবিডি।

বিদেশি আইপি অ্যাড্রেস

আমরা এটা বলছি না যে, বিদেশি আইপির ওয়েবসাইট মানেই ভুয়া। তবে বিদেশি আইপির ওয়েবসাইট দেশি আইপির ওয়েবসাইটের তুলনায় বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এক্সপেরিয়ানের মতে, অনলাইন শপিংয়ের ক্ষেত্রে চায়না এবং ভেনেজুয়েলা ভিত্তিক ওয়েবসাইটগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

অযাচিত ডোমেইন নেম

এক্সপেরিয়ানের পরামর্শ হচ্ছে, কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশের আগে ভালো করে ডোমেইন নেম খেয়াল করা জরুরি। আপনি যেটা খুঁজছিলেন এই নামটি কি সেটা কি না? নাকি এটা একটু অন্যরকম অথবা এতে অনেক বেশি রকম পার্থক্য রয়েছে?

 

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আপনি যদি পান্ডোরা জুয়েলারি থেকে শপিং করতে চান, গুগল সার্চের মাধ্যমে এমনটাও হয়ে যেতে পারে আপনি চলে গেলেন এমন একটি ওয়েবসাইটে যেটার নাম pandorapick.com। এই ওয়েবসাইটটি হয়তো পান্ডোরা এর মতো দেখতে ইমিটেশন গয়না বিক্রি করে। এজন্য খুব ভালো করে ডোমেইন নেম দেখে নিন, যাতে জালিয়াতির খপ্পরে পড়তে না হয়।

ইউআরএলে ‘https’ থেকে ‘s’ অনুপস্থিত কোনো ই-কমার্স সাইট থেকে কেনাকাটা করার আগে, নিশ্চিত হয়ে নিন ইআরএল শুরু হয়েছে ‘https’ দিয়ে, ‘http’ দিয়ে নয়। ‘s’ মানে হচ্ছে সিকিউর বা নিরাপদ। অর্থাৎ, আপনার ব্রাউজার থেকে এই ওয়েবসাইটে আপনি যে তথ্যগুলো দিবেন সেগুলো সরাসরি এই ওয়েবসাইটেই যাবে, এরমধ্যে অন্যকোনো থার্ড পার্টি নেই। তাই ‘http’ নয় বরং ‘https’ দিয়ে শুরু হওয়ার ইউআরএলের ই-কমার্স সাইট থেকে কেনাকাটা করুন।

ব্রাউজিংয়ের সময় সাইটটি আর্থিক তথ্য চেয়ে বসে কোনো শপিং সাইট ব্রাউজিংয়ের সময় যদি আপনি এমন কোনো ই-মেইল অথবা পপআপ মেসেজ পান যেখানে আপনার ব্যক্তিগত ও আর্থিক সম্পর্কিত তথ্য চাচ্ছে তাহলে এই ধরনের কোনো লিংকের রিপ্লাই দিবেন না। তাৎক্ষণিক সেই ওয়েবসাইটটি ত্যাগ করুন। বৈধ প্রতিষ্ঠান কখনোই এভাবে তথ্য জানতে চাইবে না।

ভোগান্তি হতে পারে, এমন শব্দ দেখে নিন

যখন আপনি চিন্তা করছেন যে আপনি অনলাইনে কিছু একটা কিনতে যাবেন তখন অবশ্যই বিক্রয়কারীর সমস্ত তথ্যাদি খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে নিন। আপনার পছন্দের পণ্যের মধ্যে এমন কোনো শব্দ আছে কি না, যেমন- ‘রিফার্বিশড’, ‘ভিনটেজ’ অথবা ‘ক্লোজড-আউট’। এ ধরনের শব্দগুলোর অর্থ হল পণ্যটি ব্যবহৃত পণ্য, যেটা কি না মেরামত করা হয়েছে এবং একদম নতুনের মতো কন্ডিশনে নেই।

অবিশ্বাস্য অফার

এমন কোনো পণ্য দেখে উত্তেজিত হয়ে ক্রয় করতে যাবেন না, যেটা অন্যান্য ওয়েবসাইটের তুলনায় খুবই স্বল্প মূল্যে। কিংবা অবিশ্বাস্য কোনো অফার। কেননা এ ধরনের ক্ষেত্রে পণ্যটি ত্রুটিপূর্ণ হতে পারে কিংবা স্ক্যাম হতে পারে।

Comments